أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book# 775)
সুরা: হিজর
সুরা:১৫
০৬-৯ নং আয়াত:-
[ يَا أَيُّهَا الَّذِي نُزِّلَ عَلَيْهِ الذِّكْرُ
ওহে যার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে!
O you (Muhammad) to whom the Dhikr (the Qur’an) has been revealed!]
www.motaher21.net
وَ قَالُوۡا یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡ نُزِّلَ عَلَیۡہِ الذِّکۡرُ اِنَّکَ لَمَجۡنُوۡنٌ ؕ﴿۶﴾
তারা বলে, ‘ওহে যার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে! তুমি তো নিশ্চয় উন্মাদ।
And they say,”O you upon whom the message has been sent down, indeed you are mad!
لَوۡ مَا تَاۡتِیۡنَا بِالۡمَلٰٓئِکَۃِ اِنۡ کُنۡتَ مِنَ الصّٰدِقِیۡنَ ﴿۷﴾
তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের নিকট ফিরিশতাবর্গ হাযির করছ না কেন?’
Why do you not bring us the angels, if you should be among the truthful?”
مَا نُنَزِّلُ الۡمَلٰٓئِکَۃَ اِلَّا بِالۡحَقِّ وَ مَا کَانُوۡۤا اِذًا مُّنۡظَرِیۡنَ ﴿۸﴾
আমি ফিরিশতাদেরকে যথার্থ কারণ ব্যতীত অবতীর্ণ করি না; আর (ফিরিশতা অবতীর্ণ করলে) তখন তারা অবকাশ পাবে না।
We do not send down the angels except with truth; and the disbelievers would not then be reprieved.
اِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا الذِّکۡرَ وَ اِنَّا لَہٗ لَحٰفِظُوۡنَ ﴿۹﴾
নিশ্চয় আমিই কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং আমিই ওর সংরক্ষক।
Indeed, it is We who sent down the Qur’an and indeed, We will be its guardian.
সুরা: হিজর
সুরা:১৫
০৬-৯ নং আয়াত:-
[ يَا أَيُّهَا الَّذِي نُزِّلَ عَلَيْهِ الذِّكْرُ
ওহে যার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে!
O you (Muhammad) to whom the Dhikr (the Qur’an) has been revealed!]
www.motaher21.net
৬-৯ নং আয়াতের তাফসীর:
তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-
আল্লাহ তা‘আলা এখানে কাফির মুশকিরদের কুফরী, অবাধ্যতা, ঔদ্ধত্যপনা, অহংকার এবং হঠকারীতার সংবাদ দিচ্ছেন যে, তারা বিদ্রƒপ করে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতো: এই সে মুহাম্মাদ! যার ওপর কুরআন নাযিল হওয়ার কথা দাবী করে, আমরা তাকে পাগল মনে করি।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(قَالَ إِنَّ رَسُوْلَكُمُ الَّذِيْ أُرْسِلَ إِلَيْكُمْ لَمَجْنُوْنٌ)
“ফির‘আউন বলল: ‘তোমাদের প্রতি প্রেরিত তোমাদের রাসূল নিশ্চয়ই পাগল।’’ (সূরা শু‘আরা ২৬:২৭)
সুতরাং এ পাগলের কথায় আমাদের বাপ-দাদার ধর্ম বর্জন করব না। তুমি যদি সত্যিকার রাসূল হও তাহলে ফেরেশতা নিয়ে আসো না কেন? তারা এসে আমাদের কাছে তোমার সত্যবাদিতার বর্ণনা দেবে। যেমন ফির‘আউন বলেছিল:
(فَلَوْلَآ أُلْقِيَ عَلَيْهِ أَسْوِرَةٌ مِّنْ ذَهَبٍ أَوْ جَا۬ءَ مَعَهُ الْمَلٰٓئِكَةُ مُقْتَرِنِيْنَ )
“(তিনি যদি নাবী হতেন তবে) মূসাকে কেন দেয়া হল না স্বর্ণবালা অথবা তার সাথে কেন আসল না ফেরেশতারা দলবদ্ধভাবে।” (সূরা যুখরুফ ৪৩:৫৩)
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَقَالَ الَّذِيْنَ لَا يَرْجُوْنَ لِقَا۬ءَنَا لَوْلَآ أُنْزِلَ عَلَيْنَا الْمَلٰ۬ئِكَةُ أَوْ نَرٰي رَبَّنَا ط لَقَدِ اسْتَكْبَرُوْا فِيْٓ أَنْفُسِهِمْ وَعَتَوْا عُتُوًّا كَبِيْرًا)
“যারা আমার সাক্ষাৎ কামনা করে না তারা বলে: ‘আমাদের নিকট ফেরেশ্তা অবতীর্ণ করা হয় না কেন? অথবা আমরা আমাদের প্রতিপালককে প্রত্যক্ষ করি না কেন?’ তারা তো তাদের অন্তরে অহংকার পোষণ করে এবং তারা সীমালংঘন করেছে গুরুতরভাবে।” (সূরা ফুরকান ২৫:২১)
তাদের কথার প্রত্যুত্তরে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَا صَاحِبُكُمْ بِمَجْنُوْنٍ)
“এবং তোমাদের সাথী (মুহাম্মদ) পাগল নয়।” (সূরা আত-তাকবীর ৮১:২২)
আর আমি যথাযথ কারণ ছাড়া ফেরেশতা প্রেরণ করি না। অর্থাৎ যখন আমার ইচ্ছা ও হিকমত অনুযায়ী কোন জাতির ওপর আযাব পাঠানোর প্রয়োজন হয় তখন আমি ফেরেশতা প্রেরণ করি। যেদিন তারা ফেরেশতাদেরকে প্রত্যক্ষ করবে সেদিন তাদের জন্য কোন কল্যাণ থাকবে না।
আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:
(وَقَالُوْا لَوْلَآ أُنْزِلَ عَلَيْهِ مَلَكٌ ط وَلَوْ أَنْزَلْنَا مَلَكًا لَّقُضِيَ الْأَمْرُ ثُمَّ لَا يُنْظَرُوْنَ)
“তারা বলে, ‘তার নিকট কোন ফেরেশতা কেন প্রেরিত হয় না? যদি আমি ফেরেশতা প্রেরণ করতাম তা হলে চূড়ান্ত ফায়সালাই হয়ে যেত আর তাদেরকে কোন (তাওবার) অবকাশ দেয়া হত না।” (সূরা আন‘আম ৬:৮)
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(يَوْمَ يَرَوْنَ الْمَلٰٓئِكَةَ لَا بُشْرٰي يَوْمَئِذٍ لِّلْمُجْرِمِيْن)
“যেদিন তারা ফেরেশতাদেরকে প্রত্যক্ষ করবে সেদিন অপরাধীদের জন্য সুসংবাদ থাকবে না।” (সূরা ফুরকান ২৫:২২)
অতএব তারা যতই ছলচাতুরী করে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবুওয়াতকে অস্বীকার করতে ইচ্ছা করুক তাতে তারা পার পাবে না, তাদেরকে কুফর ও অবাধ্যতার কারণে পাকড়াও করা হবে।
الذِّكْرَ দ্বারা উদ্দেশ্য হল ওয়াহী, ওয়াহী মাতলূ (কুরআন)। অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা কুরআন নাযিল করেছেন এবং তা সকল প্রকার পরিবর্তন, পরিবর্ধন, বিকৃতি সাধন তথা অবৈধ হস্তক্ষেপ থেকে সংরক্ষণ করবেন।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَاِنَّھ۫ لَکِتٰبٌ عَزِیْزٌﭸﺫ لَّا یَاْتِیْھِ الْبَاطِلُ مِنْۭ بَیْنِ یَدَیْھِ وَلَا مِنْ خَلْفِھ۪ﺚ تَنْزِیْلٌ مِّنْ حَکِیْمٍ حَمِیْدٍﭹ)
“এটা অবশ্যই এক মহিমাময় গ্রন্থ। কোন মিথ্যা এতে অনুপ্রবেশ করবে না অগ্র হতেও নয়, পশ্চাত হতেও নয়। এটা প্রজ্ঞাবান, প্রশংসনীয় আল্লাহর নিকট হতে অবতীর্ণ।” (সূরা হা-মীম সাজদাহ ৪১:৪১-৪২)
সুতরাং যে সকল শিয়া ও ভ্রান্ত ফিরকার লোকেরা বলে থাকে কুরআন তার নাযিলকালের অবস্থার মত নেই, বিকৃত হয়েছে। কুরআন ছিল ৬০ পারা, আছে ৩০ পারা, বাকী ৩০ পারা কোথায় গেল? কিছু কিছু সুফীরাও এরূপ কথা বলে থাকে, তাদের এসব কথা ভিত্তিহীন। কারণ স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা কুরআন সংরক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছেন।
আল্লাহ তা‘আলা যুগে যুগে অসংখ্য মুসলিম বিদ্বান প্রেরণ করেছেন যারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীসকে মুখস্ত, শিক্ষা ও প্রচার করে সংরক্ষণ করেছেন এবং যাতে ইসলাম ও মুসলিমদের শত্র“দের বানানো কোন কথা প্রবেশ না করতে পারে সে জন্য ছাত্রদেরকে সতর্ক করে গেছেন যে, অমুক এরূপ দোষে দুষ্ট তার হাদীস নেয়া যাবে না। তাই যারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নামে হাদীস তৈরি করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল তারা চিহ্নিত, তাদের কোন কথা গ্রহণ করার পূর্বে আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে সতর্ক করেছেন।
তিনি বলেন:
(يٰٓأَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْآ إِنْ جَا۬ءَكُمْ فَاسِقٌۭ بِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوْا)
“ওহে যারা ঈমান এনেছ! যদি কোন ফাসিক লোক তোমাদের কাছে কোন খবর নিয়ে আসে তাহলে এর সত্যতা যাচাই করে নাও।” (সূরা হুজুরাত ৪৯:৬)
কুরআন অক্ষরে অক্ষরে সংরক্ষণের দায়িত্ব আল্লাহ তা‘আলা নিয়েছেন এবং হাদীসের ক্ষেত্রে আল্লাহ তা‘আলা কুরআনের মতো অক্ষরে অক্ষরে সংরক্ষণের দায়িত্ব না নিলেও যুগে যুগে তার একনিষ্ঠ বান্দাদের মাধ্যমে তাকে এর শত্র“দের হাত থেকে হেফাযত করবেন এবং তার দ্বীনকে কালিমা মুক্ত করবেন, কাফির-বেঈমান ও মুশরিকরা তা ধ্বংস করার করার জন্য যতই চেষ্টা করুক না কেন। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে তাঁর মনোনীত দ্বীন পরিপূর্ণভাবে পালন করার তাওফীক দান করুন। আমীন!
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কাফিররা অস্বীকার করত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে পাগল বলে নবুওয়াতকে মানত না।
২. আল্লাহ তা‘আলা উপযুক্ত দায়িত্ব দিয়ে দুনিয়াতে ফেরেশতা অবতীর্ণ করেন।
৩. শাস্তি আসার পর কেউ রেহাই পাবে না।
৪. প্রত্যেকের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। এ সময়ের পূর্বে কেউ মৃত্যুবরণ করবেনা এবং পরেও করবে না।
৫. কুরআন ও হাদীসে কেউ পরিবর্তন, বিকৃতি ও অসৎ উদ্দেশ্যে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
# “যিকির” বা বাণী শব্দটি পারিভাষিক অর্থে কুরআন মজীদে আল্লাহর বাণীর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। আর এ বাণী হচ্ছে আগাগোড়া উপদেশমালায় পরিপূর্ণ। পূর্ববর্তী নবীদের ওপর যতগুলো কিতাব নাযিল হয়েছিল সেগুলো সবই “যিকির” ছিল এবং এ কুরআন মজীদও যিকির। যিকিরের আসল মানে হচ্ছে স্মরণ করিয়ে দেয়া, সতর্ক করা এবং উপদেশ দেয়া।
# তারা ব্যঙ্গ ও উপহাস করে একথা বলতো। এ বাণী যে, নবী ﷺ এর ওপর নাযিল হয়েছে একথা তারা স্বীকারই করতো না। আর একথা স্বীকার করে নেয়ার পর তারা তাঁকে পাগল বলতে পারতো না। আসলে তাদের একথা বলার অর্থ ছিল এই যে, “ওহে, এমন ব্যক্তি! যার দাবী হচ্ছে আমার ওপর যিকির তথা আল্লাহর বাণী অবতীর্ণ হয়েছে।” এটা ঠিক তেমনি ধরনের কথা যেমন ফেরাউন হযরত মূসার (আঃ) দাওয়াত শুনার পর তার সভাসদদের বলেছিলঃ
إِنَّ رَسُولَكُمُ الَّذِي أُرْسِلَ إِلَيْكُمْ لَمَجْنُونٌ
“এই যে পয়গম্বর সাহেবকে তোমাদের নিকট পাঠানো হয়েছে, এর মাথা ঠিক নেই।”
# নিছক তামাশা দেখাবার জন্য ফেরেশতাদেরকে অবতরণ করানো হয় না। কোন জাতি দাবী করলো, ডাকো ফেরেশতাদেরকে আর অমনি ফেরেশতারা হাযির হয়ে গেলেন, এমনটি হয় না। কারণ ফেরেশতারা এজন্য আসেন না যে, তারা লোকদের সামনে সত্যকে উন্মুক্ত করে দেবেন এবং গায়েবের পর্দা চিরে এমন সব জিনিস দেখিয়ে দেবেন যার প্রতি ঈমান আনার জন্য নবীগণ দাওয়াত দিয়েছেন। যখন কোন জাতির শেষ সময় উপস্থিত হয় এবং তার ব্যাপারে চূড়ান্ত ফায়সালা করার সংকল্প করে নেয়া হয় তখনই ফেরেশতাদেরকে পাঠানো হয়। তখন কেবলমাত্র ফায়সালা অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করে ফেলা হয়। তখন আর একথা বলা হয় না যে, এখন ঈমান আনলে ছেড়ে দেয়া হবে। যতক্ষণ সত্য আবরণ মুক্ত না হয়ে যায়, কেবল ততক্ষণ পর্যন্তই ঈমান আনার অবকাশ থাকে। তার আবরণ মুক্ত হয়ে যাওয়ার পর আর ঈমান আনার কি অর্থ থাকে?
“সত্য সহকারে অবতীর্ণ হওয়ার” মানে হচ্ছে সত্য নিয়ে অবতীর্ণ হওয়া। অর্থাৎ তারা মিথ্যাকে মিটিয়ে দিয়ে তার জায়গায় সত্যকে কায়েম করার জন্যই আসেন। অথবা অন্য কথায় বুঝে নিন, তারা আল্লাহর ফায়সালা নিয়ে আসেন এবং তা প্রতিষ্ঠিত করেই ক্ষান্ত হন।
# এই বাণী, যার বাহককে তোমরা পাগল বলছো, আমিই তা অবতীর্ণ করেছি, তিনি নিজে তা তৈরী করেননি। তাই এ গালি তাঁকে দেয়া হয়নি বরং আমাকে দেয়া হয়েছে। আর তোমরা যে এ বাণীর কিছু ক্ষতি করতে পারবে তা ভেবো না। এটি সরাসরি আমার হেফাজতে রয়েছে। তোমাদের চেষ্টায় একে বিলুপ্ত করা যাবে না। তোমরা একে ধামাচাপা দিতে চাইলেও দিতে পারবে না। তোমাদের আপত্তি ও নিন্দাবাদের ফলে এর মর্যাদাও কমে যাবে না। তোমরা ঠেকাতে চাইলেও এর দাওয়াতকে ঠেকাতে পারবে না। একে বিকৃত বা এর মধ্যে পরিবর্তন সাধন করার সুযোগও তোমরা কেউ কোনদিন পাবে না।
তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
৬-৯ নং আয়াতের তাফসীর
আল্লাহ তাআলা এখানে কাফিরদের কুফরী, অবাধ্যতা, ঔদ্ধত্যপনা, অহংকার এবং হঠকারিতার সংবাদ দিচ্ছেন যে, তারা বিদ্রুপ করে রাসূলুল্লাহকে (সঃ) বলতোঃ ‘হে সেই ব্যক্তি যে তার উপর কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার দাবী করছে অর্থাৎ-হে মুহাম্মদ (সঃ)! আমরা তো দেখছি যে, তুমি একটা আস্ত পাগল, তাই তুমি আমাদেরকে তোমার অনুসরণ করার জন্যে আহ্বান করছে। এবং আমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছ যে, আমরা যেন আমাদের বাপদাদা ও পূর্ব পুরুষদের ধর্ম পরিত্যাগ করি। যদি তুমি সত্যবাদী হয়ে থাকো তবে আমাদের কাছে ফেরেস্তাদেরকে আনয়ন করছো না কেন? তাহলে তারা এসে আমাদের কাছে তোমার সত্যবাদিতার বর্ণনা দেবে?’ ফিরাউনও যেমন বলেছিলঃ (আরবি) অর্থাৎ “তার উপর সোনার কংকন কেন নিক্ষেপ করা হয়নি, অথবা ফেরেশতারা তার সাথে মিলিত হয়ে কেন আসেনি?” (৪৩:৫৩) অন্য জায়গায় আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “যারা আমার সাক্ষাৎ কামনা করে না তারা। বলেঃ “আমাদের নিকট ফেরেস্তা অবতীর্ণ করা হয় না কেন? অথবা আমরা আমাদের প্রতিপালককে প্রত্যক্ষ করি না কেন? তারা তাদের অন্তরে অহংকার পোষণ করে এবং তারা সীমালংঘন করেছে গুরুতর রূপে।
যেদিন তারা ফেরেশতাদেরকে প্রত্যক্ষ করবে সেদিন অপরাধীদের জন্যে সুসংবাদ থাকবে না এবং তারা বলবেঃ “রক্ষা কর, রক্ষা কর।” অনুরূপ অত্র আয়াতে বলেনঃ “আমি ফেরেশতাদেরকে যথার্থ কারণ ব্যতীত প্রেরণ করি না; ফেরেস্তারা হাযির হলে তারা অবকাশ পাবে না।”
মহান আল্লাহ বলেনঃ “এই যিকর অর্থাৎ কুরআন কারীম আমি অবতীর্ণ করেছি, আর এর সংরক্ষণের দায়িত্বশীল আমিই। আমিই এটাকে সর্বক্ষণের জন্যে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন হতে রক্ষা করবো। কেউ কেউ বলেন যে, এর। সর্বনামটি নবীর (সঃ) দিকে প্রত্যাবর্তিত হয়েছে। অর্থাৎ কুরআন আল্লাহ কর্তৃকই অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং নবীর (সঃ) রক্ষক তিনিই। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “হে নবী (সঃ) আল্লাহ তোমাকে মানুষের উৎপীড়ন থেকে রক্ষা করবেন।” (৫:৬৭) তবে প্রথম অর্থটিই সঠিকতর। রচনা ভংগীও এটাকেই প্রাধান্য দেয়।
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura:- Al-Hijr
Sura: 15
Verses :- 06-9
[ يَا أَيُّهَا الَّذِي نُزِّلَ عَلَيْهِ الذِّكْرُ
O you (Muhammad) to whom the Dhikr (the Qur’an) has been revealed!]
www.motaher21.net
The Accusation that the Prophet was a Madman and Demands for Him to bring down Angels
Allah tells:
وَقَالُواْ
And they say:
Allah tells about the disbelief, arrogance and stubbornness of the disbelievers as reflected in their words:
يَا أَيُّهَا الَّذِي نُزِّلَ عَلَيْهِ الذِّكْرُ
O you (Muhammad) to whom the Dhikr (the Qur’an) has been revealed!
i.e., the one who claims to receive it.
إِنَّكَ لَمَجْنُونٌ
Verily, you are a mad man!
i.e., by your invitation to us to follow you and leave the way of our forefathers.
لَّوْ مَا تَأْتِينَا بِالْمَليِكَةِ إِن كُنتَ مِنَ الصَّادِقِينَ
Why do you not bring angels to us if you are of the truthful!
i.e., to bear witness to the accuracy of what you have brought to us is true, if you are really telling the truth!
This is similar to what Pharaoh said:
فَلَوْلَا أُلْقِىَ عَلَيْهِ أَسْوِرَةٌ مِّن ذَهَبٍ أَوْ جَأءَ مَعَهُ الْمَلَـيِكَةُ مُقْتَرِنِينَ
Why then are not golden bracelets bestowed on him, or angels sent along with him. (43:53)
And Allah said:
وَقَالَ الَّذِينَ لَا يَرْجُونَ لِقَأءَنَا لَوْلَا أُنزِلَ عَلَيْنَا الْمَلَـيِكَةُ أَوْ نَرَى رَبَّنَا لَقَدِ اسْتَكْبَرُواْ فِى أَنفُسِهِمْ وَعَتَوْا عُتُوّاً كَبِيراً
يَوْمَ يَرَوْنَ الْمَلَـيِكَةَ لَا بُشْرَى يَوْمَيِذٍ لِّلْمُجْرِمِينَ وَيَقُولُونَ حِجْراً مَّحْجُوراً
And those who do not expect a meeting with Us (i.e., those who deny the Day of Resurrection and the life of the Hereafter), say:”Why are not the angels sent down to us, or why do we not see our Lord!”
Indeed they think too highly of themselves, and are scornful with great pride.
On the Day that they do see the angels – there will be no good news given on that day to the guilty. And they (angels) will say:”All kinds of glad tidings are forbidden for you.” (25:21-22)
For this reason Allah said:
مَا نُنَزِّلُ الْمَليِكَةَ إِلاَّ بِالحَقِّ وَمَا كَانُواْ إِذًا مُّنظَرِينَ
We do not send the angels down except with the truth, and in that case, they (the disbelievers) would have no respite!
Mujahid said in this Ayah:
مَا نُنَزِّلُ الْمَليِكَةَ إِلاَّ بِالحَقِّ
(We do not send the angels down except with the truth),
“i.e., with the Message and the punishment.”
إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ
Verily, We, it is We Who revealed the Dhikr (i.e. the Qur’an) and surely We will guard it (from corruption).
Allah, may He be exalted, stated that He is the One Who revealed the Dhikr to him, which is the Qur’an, and He is protecting it from being changed or altered.