أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(বই#১০৯৯)[*মুনাফেকি কী, কেন ও কীভাবে: নাং:১-৩৭:-]
একাদশ মুদ্রণ, রামাদান ১৪৪৫, মার্চ ২০২৪
সূরা:২:বাক্বারা, আয়াত ৮-২০,পারা-১
সূরা:৬৩: আল্ মনাফিকুন, আয়াত ১-১১ পারা-২৮
(সংক্ষেপিত)
ইন্জিনিয়ার মুহাম্মদ মোতাহার হোসাইন
www.motaher21.net
Book No.-1099(In going)
চলমান বইয়ের নাম্বার -১০৯৯
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
সূরা:২:বাক্বারা, আয়াত ৮-২০,পারা-১
সূরা:২:বাক্বারা:৮
وَ مِنَ النَّاسِ مَنۡ یَّقُوۡلُ اٰمَنَّا بِاللّٰہِ وَ بِالۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ وَ مَا ہُمۡ بِمُؤۡمِنِیۡنَ ۘ﴿۸﴾
কিছু লোক এমনও আছে যারা বলে, আমরা আল্লাহর ওপর ও আখেরাতের দিনের ওপর ঈমান এনেছি, অথচ আসলে তারা মু’মিন নয়।
সূরা:২:বাক্বারা:৯
یُخٰدِعُوۡنَ اللّٰہَ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ۚ وَ مَا یَخۡدَعُوۡنَ اِلَّاۤ اَنۡفُسَہُمۡ وَ مَا یَشۡعُرُوۡنَ ؕ﴿۹﴾
তারা আল্লাহর সাথে ও যারা ঈমান এনেছে তাদের সাথে ধোঁকাবাজি করছে। কিন্তু আসলে তারা নিজেদেরকেই প্রতারণা করছে, তবে তারা এ ব্যাপারে সচেতন নয়।
সূরা:২:বাক্বারা:১০
فِیۡ قُلُوۡبِہِمۡ مَّرَضٌ ۙ فَزَادَہُمُ اللّٰہُ مَرَضًا ۚ وَ لَہُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌۢ ۬ۙ بِمَا کَانُوۡا یَکۡذِبُوۡنَ ﴿۱۰﴾
তাদের হৃদয়ে আছে একটি রোগ, আল্লাহ সে রোগ আরো বেশী বাড়িয়ে দিয়েছেন, আর যে মিথ্যা তারা বলে তার বিনিময়ে তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
সূরা:২:বাক্বারা:১১
وَ اِذَا قِیۡلَ لَہُمۡ لَا تُفۡسِدُوۡا فِی الۡاَرۡضِ ۙ قَالُوۡۤا اِنَّمَا نَحۡنُ مُصۡلِحُوۡنَ ﴿۱۱﴾
তাদেরকে যখন বলা হয়, ‘পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করো না’, তারা বলে, ‘আমরা তো শান্তি স্থাপনকারীই।’
সূরা:২:বাক্বারা:১২
اَلَاۤ اِنَّہُمۡ ہُمُ الۡمُفۡسِدُوۡنَ وَ لٰکِنۡ لَّا یَشۡعُرُوۡنَ ﴿۱۲﴾
সাবধান! এরাই ফাসাদ সৃষ্টিকারী, তবে তারা এ ব্যাপারে সচেতন নয়।
সূরা:২:বাক্বারা:১৩
وَ اِذَا قِیۡلَ لَہُمۡ اٰمِنُوۡا کَمَاۤ اٰمَنَ النَّاسُ قَالُوۡۤا اَنُؤۡمِنُ کَمَاۤ اٰمَنَ السُّفَہَآءُ ؕ اَلَاۤ اِنَّہُمۡ ہُمُ السُّفَہَآءُ وَ لٰکِنۡ لَّا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۳﴾
যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘ তোমরা ঈমান আন যেমন লোকেরা ঈমান এনেছে’ , তারা বলে, ; নির্বোধ লোকেরা যেরুপ ঈমান এনেছে আমরাও কি সেরুপ ঈমান আনবো ?’ সাবধান ! নিশ্চয় এরা নির্বোধ, কিন্তু তারা তা জানে না।
সূরা:২:বাক্বারা:১৪
وَ اِذَا لَقُوا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا قَالُوۡۤا اٰمَنَّا ۚۖ وَ اِذَا خَلَوۡا اِلٰی شَیٰطِیۡنِہِمۡ ۙ قَالُوۡۤا اِنَّا مَعَکُمۡ ۙ اِنَّمَا نَحۡنُ مُسۡتَہۡزِءُوۡنَ ﴿۱۴﴾
যখন এরা মু’মিনদের সাথে মিলিত হয়, বলেঃ “আমরা ঈমান এনেছি”, আবার যখন নিরিবিলিতে নিজেদের শয়তানদের সাথে মিলিত হয় তখন বলেঃ “আমরা তো আসলে তোমাদের সাথেই আছি আর ওদের সাথে তো নিছক তামাশা করছি।”
সূরা:২:বাক্বারা:১৫
اَللّٰہُ یَسۡتَہۡزِئُ بِہِمۡ وَ یَمُدُّہُمۡ فِیۡ طُغۡیَانِہِمۡ یَعۡمَہُوۡنَ ﴿۱۵﴾
আল্লাহ্ তাদের সাথে উপহাস করেন , এবং তাদেরকে তাদের অবাধ্যতার মধ্যে বিভ্রান্তের মত ঘুরে বেড়াবার অবকাশ দেন।
সূরা:২:বাক্বারা:১৬
اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ اشۡتَرَوُا الضَّلٰلَۃَ بِالۡہُدٰی ۪ فَمَا رَبِحَتۡ تِّجَارَتُہُمۡ وَ مَا کَانُوۡا مُہۡتَدِیۡنَ ﴿۱۶﴾
এরাই হিদায়াতের বিনিময়ে গোমরাহী কিনে নিয়েছে, কিন্তু এ সওদাটি তাদের জন্য লাভজনক নয় এবং এরা মোটেই সঠিক পথে অবস্থান করছে না।
সূরা:২:বাক্বারা:১৭
مَثَلُہُمۡ کَمَثَلِ الَّذِی اسۡتَوۡقَدَ نَارًا ۚ فَلَمَّاۤ اَضَآءَتۡ مَا حَوۡلَہٗ ذَہَبَ اللّٰہُ بِنُوۡرِہِمۡ وَ تَرَکَہُمۡ فِیۡ ظُلُمٰتٍ لَّا یُبۡصِرُوۡنَ ﴿۱۷﴾
এদের দৃষ্টান্ত হচ্ছে, যেমন এক ব্যক্তি আগুন জ্বালালো এবং যখনই সেই আগুন চারপাশ আলোকিত করলো তখন আল্লাহ তাদের দৃষ্টিশক্তি ছিনিয়ে নিলেন এবং তাদের ছেড়ে দিলেন এমন অবস্থায় যখন অন্ধকারের মধ্যে তারা কিছুই দেখতে পাচ্ছিল না।
সূরা:২:বাক্বারা:১৮
صُمٌّۢ بُکۡمٌ عُمۡیٌ فَہُمۡ لَا یَرۡجِعُوۡنَ ﴿ۙ۱۸﴾
তারা বধির, বোবা ও অন্ধ; সুতরাং তারা ফিরবে না।
সূরা:২:বাক্বারা:১৯
اَوۡ کَصَیِّبٍ مِّنَ السَّمَآءِ فِیۡہِ ظُلُمٰتٌ وَّ رَعۡدٌ وَّ بَرۡقٌ ۚ یَجۡعَلُوۡنَ اَصَابِعَہُمۡ فِیۡۤ اٰذَانِہِمۡ مِّنَ الصَّوَاعِقِ حَذَرَ الۡمَوۡتِ ؕ وَ اللّٰہُ مُحِیۡطٌۢ بِالۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۱۹﴾
অথবা এদের দৃষ্টান্ত এমন যে, আকাশ থেকে মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে। তার সাথে আছে অন্ধকার মেঘমালা, বজ্রের গর্জন ও বিদ্যুৎ চমক। বজ্রপাতের আওয়াজ শুনে নিজেদের প্রাণের ভয়ে এরা কানে আঙুল ঢুকিয়ে দেয়। আল্লাহ এ সত্য অস্বীকারকারীদেরকে সবদিক দিয়ে ঘিরে রেখেছেন।
সূরা:২:বাক্বারা:২০
یَکَادُ الۡبَرۡقُ یَخۡطَفُ اَبۡصَارَہُمۡ ؕ کُلَّمَاۤ اَضَآءَ لَہُمۡ مَّشَوۡا فِیۡہِ ٭ۙ وَ اِذَاۤ اَظۡلَمَ عَلَیۡہِمۡ قَامُوۡا ؕ وَ لَوۡ شَآءَ اللّٰہُ لَذَہَبَ بِسَمۡعِہِمۡ وَ اَبۡصَارِہِمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿٪۲۰﴾
বিদ্যুৎ চমকে তাদের অবস্থা এই দাঁড়িয়েছে যেন বিদ্যুৎ শীগ্গির তাদের দৃষ্টিশক্তি ছিনিয়ে নেবে। যখন সামান্য একটু আলো তারা অনুভব করে তখন তার মধ্যে তারা কিছুদূর চলে এবং যখন তাদের ওপর অন্ধকার ছেয়ে যায় তারা দাঁড়িয়ে পড়ে। আল্লাহ চাইলে তাদের শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি একেবারেই কেড়ে নিতে পারতেন। নিঃসন্দেহে তিনি সবকিছুর ওপর শক্তিশালী।
সূরা:৬৩: আল্ মনাফিকুন, আয়াত ১-১১ পারা-২৮
সূরা:৬৩: আল্ মনাফিকুন:১
اِذَا جَآءَکَ الۡمُنٰفِقُوۡنَ قَالُوۡا نَشۡہَدُ اِنَّکَ لَرَسُوۡلُ اللّٰہِ ۘ وَ اللّٰہُ یَعۡلَمُ اِنَّکَ لَرَسُوۡلُہٗ ؕ وَ اللّٰہُ یَشۡہَدُ اِنَّ الۡمُنٰفِقِیۡنَ لَکٰذِبُوۡنَ ۚ﴿۱﴾
যখন মুনাফিকরা আপনার কাছে আসে তখন তারা বলে, ‘আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি নিশ্চয় আল্লাহর রাসূল।’ আর আল্লাহ জানেন যে, আপনি নিশ্চয় তাঁর রাসূল এবং আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, মুনাফিকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী
সূরা:৬৩: আল্ মনাফিকুন:২
اِتَّخَذُوۡۤا اَیۡمَانَہُمۡ جُنَّۃً فَصَدُّوۡا عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ؕ اِنَّہُمۡ سَآءَ مَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۲﴾
আর তাদের শপথগুলোকে ঢালরূপে ব্যবহার করে, ফলে তারা আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে নিবৃত্ত করে। তারা যা করে, নিশ্চয় তা কতই না মন্দ !
সূরা:৬৩: আল্ মনাফিকুন:৩
ذٰلِکَ بِاَنَّہُمۡ اٰمَنُوۡا ثُمَّ کَفَرُوۡا فَطُبِعَ عَلٰی قُلُوۡبِہِمۡ فَہُمۡ لَا یَفۡقَہُوۡنَ ﴿۳﴾
এটা এজন্য যে, তারা ঈমান আনার পর কুফরী করেছে। ফলে তাদের হৃদয় মোহর করে দেয়া হয়েছে ; তাই তারা বুঝতে পারছে না।
সূরা:৬৩: আল্ মনাফিকুন:৪
وَ اِذَا رَاَیۡتَہُمۡ تُعۡجِبُکَ اَجۡسَامُہُمۡ ؕ وَ اِنۡ یَّقُوۡلُوۡا تَسۡمَعۡ لِقَوۡلِہِمۡ ؕ کَاَنَّہُمۡ خُشُبٌ مُّسَنَّدَۃٌ ؕ یَحۡسَبُوۡنَ کُلَّ صَیۡحَۃٍ عَلَیۡہِمۡ ؕ ہُمُ الۡعَدُوُّ فَاحۡذَرۡہُمۡ ؕ قٰتَلَہُمُ اللّٰہُ ۫ اَنّٰی یُؤۡفَکُوۡنَ ﴿۴﴾
তুমি যখন এদের প্রতি তাকিয়ে দেখ, তখন তাদের দেহাবয় তোমার কাছে খুবই আকর্ষণীয় মনে হয়। আর যখন কথা বলে তখন তাদের কথা তোমার শুনতেই ইচ্ছা করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এরা দেয়ালের গায়ে খাড়া করে রাখা কাঠের গুড়ির মত। যে কোন জোরদার আওয়াজকে এরা নিজেদের বিরুদ্ধে মনে করে। এরাইকট্টর দুশমন। এদের ব্যাপারে সাবধান থাক। এদের ওপর আল্লাহর গযব। এদেরকে উল্টো কোন্দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?
সূরা:৬৩: আল্ মনাফিকুন:৫
وَ اِذَا قِیۡلَ لَہُمۡ تَعَالَوۡا یَسۡتَغۡفِرۡ لَکُمۡ رَسُوۡلُ اللّٰہِ لَوَّوۡا رُءُوۡسَہُمۡ وَ رَاَیۡتَہُمۡ یَصُدُّوۡنَ وَ ہُمۡ مُّسۡتَکۡبِرُوۡنَ ﴿۵﴾
যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা আস, আল্লাহর রাসূল তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।’ তখন তারা মাথা নেড়ে অস্বীকৃতি জানায়, আর আপনি তাদেরকে দেখতে পাবেন, অহংকারবশত ফিরে যেতে।
সূরা:৬৩: আল্ মনাফিকুন:৬
سَوَآءٌ عَلَیۡہِمۡ اَسۡتَغۡفَرۡتَ لَہُمۡ اَمۡ لَمۡ تَسۡتَغۡفِرۡ لَہُمۡ ؕ لَنۡ یَّغۡفِرَ اللّٰہُ لَہُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَا یَہۡدِی الۡقَوۡمَ الۡفٰسِقِیۡنَ ﴿۶﴾
আপনি তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন বা না করুন, উভয়ই তাদের জন্য সমান। আল্লাহ তাদেরকে কখনো ক্ষমা করবেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ফাসিক সম্পপ্রদায়কে হেদায়াত দেন না।
সূরা:৬৩: আল্ মনাফিকুন:৭
ہُمُ الَّذِیۡنَ یَقُوۡلُوۡنَ لَا تُنۡفِقُوۡا عَلٰی مَنۡ عِنۡدَ رَسُوۡلِ اللّٰہِ حَتّٰی یَنۡفَضُّوۡا ؕ وَ لِلّٰہِ خَزَآئِنُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ لٰکِنَّ الۡمُنٰفِقِیۡنَ لَا یَفۡقَہُوۡنَ ﴿۷﴾
এরাই তো সেই সব লোক যারা বলে, আল্লাহর রসূলের সাথীদের জন্য খরচ করা বন্ধ করে দাও যাতে তারা বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। অথচ আসমান ও যমীনের সমস্ত ধন ভাণ্ডারের মালিকানা একমাত্র আল্লাহর। কিন্তু এই মুনাফিকরা তা বুঝে না।
সূরা:৬৩: আল্ মনাফিকুন:৮
یَقُوۡلُوۡنَ لَئِنۡ رَّجَعۡنَاۤ اِلَی الۡمَدِیۡنَۃِ لَیُخۡرِجَنَّ الۡاَعَزُّ مِنۡہَا الۡاَذَلَّ ؕ وَ لِلّٰہِ الۡعِزَّۃُ وَ لِرَسُوۡلِہٖ وَ لِلۡمُؤۡمِنِیۡنَ وَ لٰکِنَّ الۡمُنٰفِقِیۡنَ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ٪﴿۸﴾
তারা বলে, ‘আমরা মদীনায় ফিরে আসলে সেখান থেকে শক্তিশালীরা অবশ্যই দুর্বলদেরকে বের করে দেবে।’ অথচ শক্তি-সম্মান তো আল্লাহরই, আর তাঁর রাসূল ও মুমিনদের। কিন্তু মুনাফিকরা এটা জানে না।
সূরা:৬৩: আল্ মনাফিকুন:৯
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تُلۡہِکُمۡ اَمۡوَالُکُمۡ وَ لَاۤ اَوۡلَادُکُمۡ عَنۡ ذِکۡرِ اللّٰہِ ۚ وَ مَنۡ یَّفۡعَلۡ ذٰلِکَ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡخٰسِرُوۡنَ ﴿۹﴾
‘হে মুমিনগণ ! তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান–সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণে উদাসীন না করে। আর যারা এরূপ উদাসীন হবে তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত।
সূরা:৬৩: আল্ মনাফিকুন:১০
وَ اَنۡفِقُوۡا مِنۡ مَّا رَزَقۡنٰکُمۡ مِّنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّاۡتِیَ اَحَدَکُمُ الۡمَوۡتُ فَیَقُوۡلَ رَبِّ لَوۡ لَاۤ اَخَّرۡتَنِیۡۤ اِلٰۤی اَجَلٍ قَرِیۡبٍ ۙ فَاَصَّدَّقَ وَ اَکُنۡ مِّنَ الصّٰلِحِیۡنَ ﴿۱۰﴾
আমি তোমাদের যে রিযিক দিয়েছি তোমাদের কারো মৃত্যুর সময় আসার পূর্বেই তা থেকে খরচ করো। সে সময় সে বলবেঃ হে আমার রব, তুমি আমাকে আরো কিছুটা অবকাশ দিলে না কেন? তাহলে আমি দান করতাম এবং নেককার লোকদের মধ্যে শামিল হয়ে যেতাম।
সূরা:৬৩: আল্ মনাফিকুন:১১
وَ لَنۡ یُّؤَخِّرَ اللّٰہُ نَفۡسًا اِذَا جَآءَ اَجَلُہَا ؕ وَ اللّٰہُ خَبِیۡرٌۢ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ ﴿٪۱۱﴾
কিন্তু নির্ধারিত কাল যখন উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ কখনো কাউকেও অবকাশ দেবেন না। আর তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত।
ফী জিলালিল কুরআন বলেছেন:-
সংক্ষিপ্ত আলােচনা : এই সূরাটির নাম আল মুনাফিকুন। এই নাম দ্বারাই এর আলােচ্য বিষয় স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তবে মুনাফিকদের আলােচনা এবং তাদের স্বভাব চরিত্র ও চক্রান্তের বিবরণ শুধু যে এই সূরাতেই এসেছে তা নয়; বরং বলতে গেলে মদীনায় নাযিল হওয়া কোনাে সূরাতেই মুনাফিকদের প্রসঙ্গ বাদ যায়নি। তা প্রত্যক্ষভাবেই হােক বা পরােক্ষভাবেই হােক। কিন্তু এই সূরা মুনাফিকদের এবং তাদের কথিত কিছু কথাবার্তা ও তাদের দ্বারা সংঘটিত কিছু ঘটনার আলােচনায় সীমাবদ্ধ। তাছাড়া মুনাফিকের চরিত্র, মিথ্যাচার, জালিয়াতি, ষড়যন্ত্র, তাদের অন্তরে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সঞ্চিত আক্রোশ, চক্রান্ত, নীচাশয়তা, কাপুরুষতা এবং চোখ ও মনের অন্ধত্ব সম্পর্কেও এই সূরায় তীব্র সমালােচনা করা হয়েছে। এছাড়া এ সূরায় অন্য কোনাে প্রসংগ আলােচিত হয়নি বললেই চলে। কেবল শেষের দিকে মােমেনদের অতি সংক্ষেপে সতর্ক করা হয়েছে যে, তারা যেন মুনাফিকদের সামান্যতম দোষেও দুষ্ট না হয়। এই সাথে কয়েকটি জিনিসকে মুনাফিকদের ন্যূনতম চারিত্রিক দোষ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তা হচ্ছে আল্লাহর জন্যে সর্বতােভাবে আত্মনিবেদিত না হওয়া, ধন সম্পদ ও সন্তান সন্ততি নিয়ে অতিমাত্রায় ব্যস্ত থাকার কারণে আল্লাহকে ভুলে যাওয়া এবং আল্লাহর পথে ব্যয় করতে কার্পণ্য প্রদর্শন করতে থাকা, যতােক্ষণ না মৃত্যুর দিন ঘনিয়ে আসে- যেদিন কোনাে দানশীলতাই কাজে আসবে না। মুনাফিকী নামক রােগটা মুসলমানদের মধ্যে ঢুকতে শুরু করে মদীনায় ইসলামের আগমনের সাথে সাথেই। রসূল(স.)-এর ইন্তেকালের সময় পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে এবং বলতে গেলে কোনাে সময়ে তা পুরােপুরি নির্মূল হয়নি। অবশ্য সময়ে সময়ে তার বৈশিষ্ট্য, নিদর্শনাবলী ও পদ্ধতিতে পরিবর্তন এসেছে। রসূল(স.)-এর জীবদ্দশায় ইসলামের যে ঐতিহাসিক যুগটা অতিবাহিত হয়েছে, তার বিভিন্ন ঘটনাবলীতে এই রােগটার যথেষ্ট অবদান রয়েছে। মুসলমানদের চেষ্টা-সাধনা, সময় ও শক্তির এক বিরাট অংশ এই রােগের কবলে পড়ে নষ্ট হয়েছে। কোরআন ও হাদীসে এ রােগ সম্পর্কে এতােবার আলােচনা করা হয়েছে যে, তা দ্বারা বুঝা যায়, এ রােগটি কতাে সাংঘাতিক এবং তৎকালীন ইসলামী আন্দোলনের ওপর এর প্রভাব কতাে বেশী ছিলাে। অধ্যাপক মােহাম্মদ ইযযত দারুয়া লিখিত ‘সীরাতুর রাসূল, সুয়ারুম মুকতাবাসাতুম মিনাল কোরআনিল কারীম (কোরআনে রাসূল জীবনের কয়েকটি চিত্র) নামক গ্রন্থে মুনাফিকী সম্পর্কে একটি চমৎকার অধ্যায় রয়েছে। নিম্নে সেই অধ্যায় থেকে কিছুটা উদ্ধৃতি দিচ্ছি… মদীনায় এই ব্যাধিটি ছড়িয়ে পড়ার কারণ সুবিদিত। রসূল(স.) ও প্রথম যুগের মুসলমানরা মক্কায় থাকাকালে এমন শক্তি সামর্থ ও প্রভাব প্রতিপত্তির অধিকারী ছিলেন না যে, তাদের ভয়ে বা তাদের কাছ থেকে সুবিধা লাভের আশায় কেউ প্রকাশ্যে তাদের চাটুকারিতায় লিপ্ত হবে ও তাদের সাথে মিতালী পাবে, আর গােপনে তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র পাকাবে, ফন্দিফিকির আঁটবে ও ধােকাবাজি করবে, যেমনটি ছিলাে মুনাফিকদের সাধারণ স্বভাব। মক্কাবাসীরা ও বিশেষত তাদের নেতারা রাসূল(স.)-এর বিরােধিতা প্রকাশ্যেই করতাে, মুসলমানদের মধ্যে যাকে যতােটা পারতাে কঠোর নির্যাতন করতাে এবং কোনাে রকম রাখঢাক না করেই ইসলামী আন্দোলনের প্রতিরােধ করতাে। শক্তি সামর্থ ও প্রভাব প্রতিপত্তি যা কিছু ছিলাে মক্কাবাসী কাফেরদেরই ছিলাে। শেষ পর্যন্ত মুসলমানরা নিজেদের প্রাণ ও ঈমান বাঁচানাের জন্যে প্রথমে আবিসিনিয়ায় ও পরে মদীনায় হিজরত করতে বাধ্য হয়। কেউবা কাফেরদের নৃশংসতা ও বল প্রয়ােগের কারণে, কেউবা প্রলােভন ও সন্ত্রাসের দরুন ইসলাম পরিত্যাগে বাধ্য হয়েছে, কেউবা পদদলিত হয়েছে, কেউবা দ্বার্থবােধক শব্দ উচ্চারণ করতে ও মােশরেকদের সাথে কপটতার আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। এমনকি কেউ কেউ ইসলামকে অবিচলভাবে আঁকড়ে ধরার ফলে নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত বরণ করেছে। কিন্তু মদীনার পরিস্থিতি ছিলাে একেবারেই ভিন্ন রকমের । রাসূল(স.) মদীনায় হিজরত করার আগেই আওস এবং খাযরাজ গােত্রদ্বয় থেকে বেশ কিছু সংখ্যক প্রভাবশালী ও জোরালাে সমর্থক লােক পেতে সক্ষম হয়েছিলেন। মদীনায় নিজের অবস্থান সুসংহত হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এবং প্রায় প্রতিটি পরিবারে ইসলাম প্রবেশ না করা পর্যন্ত তিনি হিজরত করেননি। এরূপ পরিবেশে ইসলাম গ্রহণ করেনি এমন লােকদের পক্ষে এটা মােটেই সহজ ছিলাে না যে, তারা রাসূল(স.), মদীনার আদি অধিবাসী মুসলমান (আনসার) ও হিজরত করে আসা মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিরােধিতা ও শত্রুতামূলক অবস্থান গ্রহণ করবে, চাই তাদের ইসলাম গ্রহণ না করার কারণ অজ্ঞতা ও নির্বুদ্ধিতা হােক অথবা ইচ্ছাকৃত হঠকারিতা, গােয়ার্তুমি, প্রতিহিংসা ও বিদ্বেষই হােক। সম্ভাব্য এই হঠকারিতা ও বিদ্বেষের কারণ এই যে, রসূল(স.)-এর আগমনে তাদের কর্তৃত্ব ও প্রভাব প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠার পথ রুদ্ধ হওয়া যে অবধারিত তা তার আঁচ করতে পেরেছিলাে। প্রকাশ্য শত্রুতা করতে না পারার আরাে একটা কারণ এই যে, ইসলাম ও মুসলমানদের সাথে মদীনাবাসীর এক ধরনের আত্মীয়তার সম্পর্কও সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিলাে। কেননা, আওস ও খাযরাজের বেশীর ভাগ মানুষ মুসলমান হয়ে গিয়েছিলাে এবং তাকে সাহায্য করা ও সংরক্ষণ করার অংগীকারে আবদ্ধ ছিলাে। শুধু তাই নয়, তাদের অধিকাংশ ইসলামের প্রতি এত আন্তরিক ও একনিষ্ঠ ছিলাে যে, রাসূল(স.)-কে তারা শুধু আল্লাহর রসূলই মনে করতাে না, বরং নিজেদের সর্বোচ্চ নেতা ও সর্বশ্রেষ্ঠ পথপ্রদর্শকও মনে করতাে এবং তাঁর আনুগত্য অনুসরণ অপরিহার্য বলে বিবেচনা করতাে। তাই যারা তখনাে শিরকের প্রতি অধিকতর ঝোঁক ও অনুরাগ পােষণ করতাে, অহংকার ও হিংসার ন্যায় মানসিক ব্যাধি তাদের মনের ওপর প্রবলতর প্রভাব বিস্তার করে রাখতে এবং এই ব্যাধি তাদের রসূল(স.), তার আন্দোলন ও তার প্রভাব প্রতিপত্তির বিরুদ্ধে প্রতিরােধ গড়ে তুলতে প্ররােচিত করতো, তাদের পক্ষে তাদের উক্ত ঝোঁক ও বিরােধিতার মনােভাব খােলাখুলিভাবে প্রকাশ করা সম্ভব ছিলাে না। ইসলামের প্রতি আনুগত্য লােক দেখানাে ভাবে হলেও জাহির না করে তাদের উপায় ছিলাে না। ইসলামের মৌলিক এবাদাতসমূহ পালন এবং তাদেরই স্বগােত্রীয় মুসলমানদের প্রতি সংহতি ও একাত্মতা প্রকাশ করা ছাড়া তাদের গত্যন্তর ছিলাে না। আর তাদের ধােকা, শঠতা ও ষড়যন্ত্রগুলাে চরম জালিয়াতির মাধ্যমে ভিন্ন মােড়কে পেশ করতে তারা বাধ্য ছিলাে। কদাচিত তারা কোনাে প্রকাশ্য মুনাফিকী ও ভন্ডামিপূর্ণ আচরণ এবং ধােকা ও প্রবঞ্চনাপূর্ণ অবস্থান গ্রহণ করতাে বটে, তবে সেটা করতাে শুধুমাত্র কতিপয় সংকটজনক অবস্থাতেই যা রসূল(স.) ও মুসলমানদের ওপর সময় সময় আপতিত হতাে। আর এসব সংকটজনক পরিস্থিতিকে তারা তাদের আচরণের অজুহাত হিসাবে দাড় করাতাে। কিন্তু কোনাে অবস্থাতেই তারা তাদের কুফরী বা মােনাফেকীর কথা স্বীকার করতাে না। তথাপি তাদের কুফরী, মুনাফি ও চক্রান্ত রসূল(স.) ও তার নিবেদিতপ্রাণ সাহাবীদের কাছে গােপন থাকতাে না। আর এই সংকটজনক অবস্থা তাদের প্রকাশ্য ইসলাম বিরােধী ভূমিকা ও আচরণ, তাদের কুফরী ও মুনাফিকের আরাে অপমানজনক এবং নিন্দনীয়ভাবে প্রকাশ করে দিতে। কোরআনের আয়াত ও তাদের নিন্দা ভৎর্সনা সহকারে বারংবার নাযিল হতাে এবং রসূল(স.) ও মুসলমানদের তাদের সম্পর্কে সাবধান করে দিতাে। মুনাফিকের আচরণ ও চক্রান্তের প্রভাব যে খুবই সুদূরপ্রসারী ছিলাে, সে কথা কোরআনের মদীনায় নাযিল হওয়া অংশ থেকে বুঝা যায়। এ অংশটি এমন একটি দুরন্ত সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরে, যা রসূল(স.) ও মক্কার নেতাদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব সংঘাত স্মরণ করিয়ে দেয়। অবশ্য মক্কার দুই পক্ষের ভূমিকা ও তার ফলাফল মদীনায় দুই পক্ষের ভূমিকা ও ফলাফল থেকে ভিন্নতর ছিল। কেননা, মদীনায় রাসূল(স.)-এর কেন্দ্র ক্রমেই শক্তিশালী, তার ক্ষমতা ক্রমেই সংহত এবং ইসলাম ক্রমেই প্রসার ও বিস্তার লাভ করতে থাকে। এখানে তিনি ছিলেন ক্ষমতাসীন ও পরাক্রান্ত শাসক, আর মুনাফিকদের না ছিলাে কোনাে সুসংগঠিত দল, না ছিলাে কোনাে খ্যাতিমান বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। উপরন্তু রসূল(স.)-এর পর্যায়ক্রমিক শক্তি বৃদ্ধি, ইসলামের বিকাশ ও বিস্তার এবং তার শক্তি ও প্রভাব প্রতিপত্তির প্রসারের সাথে সাথে আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছিলাে তাদের দুর্বলতা, কমে যাচ্ছিলাে তাদের জনশক্তি ও প্রভাব প্রতিপত্তি। মুনাফিকদের ভূমিকা, বিশেষত সেই প্রাথমিক যুগের পটভূমিতে কতাে মারাত্মক ও ক্ষতিকর ছিলাে, তা বুঝার জন্যে এটুকু জানাই যথেষ্ট যে, (১) মুনাফিকদের যা কিছু শক্তি ও প্রতিপত্তি ছিলাে, তার প্রধান উৎস ছিলাে তাদের আত্মীয়তার সম্পর্ক। এই সম্পর্ক তাদের গোত্রসমূহের জনগণের মনে তখনাে অত্যন্ত শক্তভাবে বিরাজ করছিলাে। (২) তারা তখনাে বিশ্বাসঘাতক হিসাবে পুরােপুরিভাবে চিহ্নিত ও কলংকিত হয়নি। (৩) মদীনার গােত্রসমূহের সাধারণ জনতার মনে ইসলাম তখনাে যথেষ্ট শক্তি নিয়ে বন্ধমূল হয়নি। (৪) রসূল(স.) চারদিক থেকে ইসলামের ঘােরতর শত্রু মােশরেকদের দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিলেন। (৫) বিশেষত মক্কাবাসী তখনাে তাঁর কট্টরতম শত্রু ছিলাে। আরব দেশের কেন্দ্রভূমিতে তাদের অবস্থান ছিলাে। প্রতি মুহূর্তে তারা তার ক্ষতি সাধনে এবং সাধ্যে কুলালে তাকে সমূলে ধ্বংস করার সুযােগ সন্ধানে তৎপর ছিলাে। (৬) মদীনায় ও তার আশেপাশে ইহুদীরা শুরু থেকেই তাকে অস্বীকার এবং নিজেদের জন্যে অশুভ এবং অকল্যাণকর মনে করে আসছিলাে। এক পর্যায়ে তারা প্রকাশ্যভাবেই তাঁর প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে এবং শত্রুতা ও বিশ্বাসঘাতকতা করতে আরম্ভ করে। (৭) এই পরিস্থিতিতে তাদের মধ্যে ও মুনাফিকদের মধ্যে ইসলামের বিরােধিতা, মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র পাকানাের ব্যাপারে একাত্মতা, চেষ্টার ঐক্য এবং স্বাভাবিক মৈত্রী গড়ে ওঠে। এক কথায় বলা চলে, ইহুদীদের পক্ষ থেকে সহযােগিতা, সমর্থন ও শক্তি অর্জন করা ছাড়া মুনাফিকরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে এতােটা শক্তি ও স্থিতি লাভ করতে পারতাে না, এতােটা মারাত্মক নির্যাতনকারী বিশ্বাসঘাতক ও প্রতারকের ভূমিকা পালন করতে পারতাে না, যেটা কার্যত করতে পেরেছিলাে। আর রসূল(স.)-কে আল্লাহ তায়ালা পর্যাপ্ত ক্ষমতা ও প্রতাপ দান করে তাদের ওপর বিজয়ী করা এবং তাদের ক্ষতি থেকে রক্ষা করার পূর্ব পর্যন্ত তাদের শক্তি কিছুমাত্র স্তিমিত হয়নি, তাদের দিক থেকে ভয় ভীতি মোটেই হ্রাস পায়নি।(মুহাম্মাদ ইজ্জত দারুশার উক্ত গ্রন্থের ১৭৬ থেকে ২১৬ পৃঃ দ্রষ্টব্য)