أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(বই#৮৩২)
সুরা: আল্ বনি ইসরাইল
সুরা:১৭
০৯- ১১ নং আয়াত:-
[ اِنَّ ہٰذَا الۡقُرۡاٰنَ یَہۡدِیۡ لِلَّتِیۡ ہِیَ اَقۡوَمُ
নিশ্চয় এ কুরআন এমন পথনির্দেশ করে, যা সর্বশ্রেষ্ঠ,
Verily, this Qur’an guides to that which is most just and right].
www.motaher21.net
اِنَّ ہٰذَا الۡقُرۡاٰنَ یَہۡدِیۡ لِلَّتِیۡ ہِیَ اَقۡوَمُ وَ یُبَشِّرُ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ الَّذِیۡنَ یَعۡمَلُوۡنَ الصّٰلِحٰتِ اَنَّ لَہُمۡ اَجۡرًا کَبِیۡرًا ۙ﴿۹﴾
নিশ্চয় এ কুরআন এমন পথনির্দেশ করে, যা সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সৎকর্মপরায়ণ বিশ্বাসীদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার।
Indeed, this Qur’an guides to that which is most suitable and gives good tidings to the believers who do righteous deeds that they will have a great reward.
وَّ اَنَّ الَّذِیۡنَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡاٰخِرَۃِ اَعۡتَدۡنَا لَہُمۡ عَذَابًا اَلِیۡمًا ﴿٪۱۰﴾
আর যারা পরলোকে বিশ্বাস করে না, তাদের জন্য আমি প্রস্তুত করে রেখেছি মর্মান্তিক শাস্তি।
And that those who do not believe in the Hereafter – We have prepared for them a painful punishment.
وَ یَدۡعُ الۡاِنۡسَانُ بِالشَّرِّ دُعَآءَہٗ بِالۡخَیۡرِ ؕ وَ کَانَ الۡاِنۡسَانُ عَجُوۡلًا ﴿۱۱﴾
আর মানুষ অকল্যাণ কামনা করে ; যেভাবে কল্যাণ কামনা করে; মানুষ তো প্রকৃতিগতভাবে খুব বেশি তারাহুড়াকারী।
And man supplicates for evil as he supplicates for good, and man is ever hasty.
৯-১১ নং আয়াতের তাফসীর:
তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-
(اِنَّ ھٰذَا الْقُرْاٰنَ یَھْدِیْ لِلَّتِیْ ھِیَ اَقْوَمُ…. اَعْتَدْنَا لَھُمْ عَذَابًا اَلِیْمًا)
উক্ত আয়াতে কুরআনের মর্যাদা বর্ণনা করা হচ্ছে যে, এই কুরআন উত্তম পথের নির্দেশ প্রদান করে। অর্থাৎ আকীদাহ, আমল ও আখলাকের এমন পথ যা দৃঢ় ও মজবুত এবং উৎকৃষ্ট। সুতরাং যারা কুরআনের অনুসরণ করবে তারা পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে হিদায়াতের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে এবং কুরআন সুসংবাদ প্রদান করে যে, তাদের জন্য রয়েছে বড় প্রতিদান জান্নাত। আর যারা ঈমান আনে না ও সৎ কর্ম করে না তারা হবে আখিরাতে জাহান্নামী। মূলত এ কুরআন একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা র ইবাদত করার দিকেই আহ্বান করে। কুরআন যে সঠিক ও সুদৃঢ় পথের দিশা দেয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ইমাম শানকিত্বী (عليه السلام) তার তাফসীর আযওয়াউল বায়ানে।
(وَیَدْعُ الْاِنْسَانُ بِالشَّرِّ دُعَا۬ءَھ۫ بِالْخَیْرِ….)
বিদ্বানগণ উক্ত আয়াতের দুটি তাফসীর বর্ণনা করেছেন যা ইমাম শানকিত্বী তার তাফসীরে নিয়ে এসেছেন: (১) মানুষ যেহেতু দ্রুততাপ্রিয় এবং দুর্বল মনের তাই যখন কোন কষ্ট বা বিপদে পড়ে তখন নিজের ধ্বংসের জন্য বদ্দুআ করে বলে: হে আল্লাহ তা‘আলা আমাকে এ বিপদে ফেলার আগে কেন মৃত্যু দিলে না। ঠিক যেভাবে স্বচ্ছলতা বা সুখের সময় কল্যাণের জন্য দু‘আ করে। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা মেহেরবান যে মানুষের এ সকল বদ্দু‘আ কবুল করেন না।
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلَوْ يُعَجِّلُ اللّٰهُ لِلنَّاسِ الشَّرَّ اسْتِعْجَالَهُمْ بِالْخَيْرِ لَقُضِيَ إِلَيْهِمْ أَجَلُهُمْ)
“আল্লাহ যদি মানুষের অকল্যাণ ত্বরান্বিত করতেন, যেভাবে তারা তাদের কল্যাণ ত্বরান্বিত করতে চায়, তবে অবশ্যই তাদের মৃত্যু ঘটত।” (সূরা ইউনুস ১০:১১)
অধিকাংশ মুফাসসিরগণ যেমন ইবনু আব্বাস, মুজাহিদ, কাতাদাহ এ তাফসীর করেছেন।
(২) মানুষ যেমন কল্যাণের দু‘আ করে আল্লাহ তা‘আলার কাছে জান্নাত চায় ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি চায় তেমনি খারাপ কাজ করার কামনা করে আল্লাহ তা‘আলার কাছে দু‘আ করে বলে: হে আল্লাহ তা‘আলা অমুক কাজটা আমার জন্য সহজ করে দাও, অমুককে হত্যা করা সহজ করে দাও ইত্যাদি। এ সম্পর্কে সূরা ইউনুসের ১১ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কুরআন ঈমানদারদের সুসংবাদ দেয় আর কাফিরদের জাহান্নামের ভীতি প্রদর্শন করে।
২. কুরআন সৎ ও দৃঢ় পথের দিক নির্দেশনা দেয়।
৩. যারা কুরআনের দিক নির্দেশনা অনুসরণ করবে তারা সফলকাম হবে।
৪. কোন কিছুর ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করা যাবে না।
৫. কোন জিনেসের ব্যাপারে বদ দু‘আ করা যাবে না।
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
# মূল বক্তব্য হচ্ছে, যে ব্যক্তি বা দল অথবা জাতি এ কুরআনের উপদেশ ও সতর্কবাণীর পর সঠিক পথে না চলে, বনী ইসরাঈলরা যে শাস্তি ভোগ করেছিল তাদের সেই একই শাস্তি ভোগ করার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত।
# মক্কার কাফেররা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বারবার যে কথাটি বলছিল যে, ঠিক আছে তোমার সেই আযাব আনো যার ভয় তুমি আমাদের দেখিয়ে থাকো, এ বাক্যটি তাদের সেই নির্বুদ্ধিতাসুলভ কথার জবাব। ওপরের বক্তব্যের পর সাথে সাথেই এ উক্তি করার উদ্দেশ্য হচ্ছে এ মর্মে সতর্ক করে দেয়া যে, নির্বোধের দল, কল্যাণ চাওয়ার পরিবর্তে আযাব চাচ্ছো? তোমাদের কি এ ব্যাপারে কিছু জানা আছে যে, আল্লাহর আযাব যখন কোন জাতির ওপর নেমে আসে তখন তার দশাটা কি হয়?
এ সঙ্গে এ বাক্যে মুসলমানদের জন্যও একটি সূক্ষ্ম সতর্কবাণী ছিল। মুসলমানরা কাফেরদের জুলুম-নির্যাতন এবং তাদের হঠকারিতায় বিরক্ত ও ধৈর্যহারা হয়ে কখনো কখনো তাদের ওপর আযাব নাযিল হওয়ার দোয়া করতে থাকতো। অথচ এখনো এ কাফেরদের মধ্যে পরবর্তী পর্যায়ে ঈমান এনে সারা দুনিয়ায় ইসলামের ঝাণ্ডা বুলন্দ করার মতো বহু লোক ছিল। তাই মহান আল্লাহ বলেন, মানুষ বড়ই ধৈর্যহারা প্রমাণিত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে যে জিনিসে প্রয়োজন অনুভূত হয় মানুষ তাই চেয়ে বসে। অথচ পরে অভিজ্ঞতায় সে নিজেই জানতে পারে যে, সে সময় যদি তার দোয়া কবুল হয়ে যেতো তাহলে তা তার জন্য কল্যাণকর হতো না।
ফী জিলালিল কুরআন বলেছেন:-
‘এই কোরআন সবচেয়ে নির্ভুল পথের সন্ধান দেয়…'(আয়াত ৯-১০) এখানে কাকে ও কোন বিষয়ে নির্ভুল পথের সন্ধান দেয়, তার উল্লেখ করা হয়নি। এ কারণে তা সর্বকালের সকল জায়গার সকল মানুষকে এবং সর্বকালের সর্বোত্তম পথ ও বিষয়কে বুঝায়। এ কোরআন মানুষকে সর্বোত্তম আকীদা, আদর্শ, চিন্তাধারা ও মতবাদের পথ দেখায়। সে আদর্শে কোনাে অস্পষ্টতা ও জটিলতা নেই। সে আদর্শ মানুষের অন্তরাত্মাকে অলীক ধ্যান ধারণা ও কূ-সংস্কারের জঞ্জাল থেকে মুক্ত করে। মুক্ত করে মানুষের ক্ষমতা ও প্রতিভাকে কাজে লাগানাের জন্যে স্বাধীন করে দেয়। কোরআন বিশ্ব প্রকৃতির নিয়ম ও মানব সত্ত্বার প্রাকৃতিক নিয়মের মাঝে সংযােগ স্থাপন করে। সমন্বয় সাধন করে মানুষের প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সত্ত্বার মাঝে, মানুষের চিন্তা ও কর্মের মাঝে এবং তার আদর্শ ও বাস্তবতার মাঝে। ফলে মানুষ এমন এক যােগসূত্রের সন্ধান পেয়ে যায়, যা কখনাে ছিন্ন হয় না। সে পৃথিবীতে অবস্থান করেও উর্ধ্ব জগতে বিচরণ করে। এ জন্যে মানুষ যখন আল্লাহর দিকে নিবিষ্ট থাকে, তখন তার কাজও এবাদাতে পরিণত হয়, এমনকি তা যদি জৈবিক সুখ উপভােগের কাজও হয়। এবাদাতের ক্ষেত্রেও সর্বোত্তম পথ প্রদর্শন করে কোরআন। এ ক্ষেত্রে সে ক্ষমতা ও দায়িত্বের মধ্যে ভারসাম্য স্থাপন করে। মানুষের ওপর সে এতাে কষ্টকর দায়িত্ব চাপিয়ে দেয় না, যা পালন করা তার পক্ষে সম্ভব হয় না। আবার তার প্রতি এতাে নমনীয়তাও প্রদর্শন করে না যে, তার ভেতরে উদাসীনতা ও ধৃষ্টতার মনােভাব গড়ে উঠতে পারে। সে দায়িত্ব অর্পণ করে তা মধ্যমপন্থী, সুষম ও সহনীয়তার সীমা অতিক্রম করে না। আশু মানবিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও কোরআন সবচেয়ে সুষ্ঠু ও নিখুঁত পন্থা শিক্ষা দেয়। ব্যক্তিগত, দাম্পত্য, রাষ্ট্রীয়, জাতীয়, আন্তর্জাতিক-সর্বক্ষেত্রেই সে এই সম্পর্ককে এমন টেকসই ও মযবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করে যে, তা কারাে প্ররােচনা বা ভাবাবেগ দ্বারা প্রভাবিত হয় না, বা ভালােবাসা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না এবং স্বার্থপরতা দ্বারা তাড়িত হয় না। এর ভিত্তিগুলােকে মহাজ্ঞানী আল্লাহ তায়ালা নিজের সৃষ্টির জন্যে তৈরী করেছেন। নিজের সৃষ্টির ভালােমন্দ সম্পর্কে তিনি নিজেই অধিকতর অভিজ্ঞ। কোন দেশ ও কোন প্রজন্মের জন্যে কোন জিনিস অধিকতর উপযােগী, তা তিনিই সবচেয়ে ভালাে জানেন। তাই তিনি রাজনৈতিক, অর্থনেতিক, সামাজিক ও আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে নিখুঁত ও নির্ভুল পন্থা প্রদর্শন করেন এই কোরআনের মাধ্যমে। নবী ও রসূলদের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ইসলামের যে বিধানসমূহ নাযিল হয়েছে, তার মধ্য থেকে সর্বোত্তম বিধানকে বেছে গ্রহণ করার ব্যাপারেও কোরআন পথ প্রদর্শন করে। পথ প্রদর্শন করে ওই সব বিধানের মধ্যে সংযোগ ও সমন্বয় সাধনের এবং প্রত্যেক উম্মতের পবিত্র স্থান ও বিধি-নিষেধের প্রতি সম্মান প্রদর্শনেরও। ফলে সব কটা ঐশী বিধানের অনুসারীরা সহ গােটা মানবজাতি পরিপূর্ণ শান্তি ও সংহতির সাথে জীবন যাপন করে। এই কোরআন সবচেয়ে সুষ্ঠু ও নির্ভুল বিধানের দিকে পথ প্রদর্শন করে এবং সৎকর্মশীল মােমেনদেরকে বিপুল পুরস্কারের সুসংবাদ দেয়, ‘আর যারা আখেরাতে বিশ্বাস করে না তাদের জন্যে নির্ধারণ করে রেখেছি যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ এটা হচ্ছে কর্ম ও কর্মফলের ব্যাপারে কোরআনের মূলনীতি। ঈমান ও সৎকর্মশীলতার ওপর তার ভিত্তি গড়ে তােলে। সৎকর্ম ছাড়া ঈমানের মূল্য নেই, আর ঈমান ছাড়া কোনাে সৎকর্মের গ্রহণযােগ্যতা নেই। প্রথমটা অপূর্ণতার দোষে দুষ্ট। আর দ্বিতীয়টা অগ্রহণযােগ্য। এই উভয়টার সমন্বয়েই সবচেয়ে নির্ভুল ও সুষ্ঠু জীবন গড়ে ওঠে এবং এই উভয়টার সমন্বয় ঘটলেই মানুষ কোরআন দ্বারা হেদায়াত লাভ করতে সক্ষম হয়।
তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
৯-১১ নং আয়াতের তাফসীর
আল্লাহ তাবারাক ওয়া তাআলা স্বীয় পবিত্র কিতাবের প্রশংসায় বলেন যে, এই কুরআন সুপথ প্রদর্শন করে থাকে। যে সব মু’মিন ঈমান অনুযায়ী নবীর (সঃ) ফরমানের উপর আমল করে, তাদেরকে এই সুসংবাদ দেয়া হয়, তাদের জন্যে আল্লাহ তাআলার নিকট রয়েছে বিরাট পুরস্কার এবং সেখানে পাবে তারা অফুরন্ত নিয়ামত। পক্ষান্তরে যাদের মধ্যে ঈমান নেই তাদেরকে এই কুরআন এই খবর দেয় যে, কিয়ামতের দিন তাদের জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ তুমি তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দিয়ে দাও।” (৪৫:৮)
# আল্লাহ তাআলা মানুষের একটা বদ অভ্যাসের বর্ণনা দিচ্ছেন যে, তারা কখনো কখনো মনভাঙ্গা ও নিরাশ হয়ে গিয়ে ভুল করে নিজের জন্যে অমঙ্গলের প্রার্থনা করতে শুরু করে। মাঝে মাঝে নিজের মাল-ধন ও সন্তানসন্ততির জন্যে বদদুআ করতে লাগে। কখনো মৃত্যুর, কখনো ধ্বংসের এবং কখনো অভিশাপের দুআ করে। কিন্তু তার প্রতিপালক আল্লাহ তার নিজের চেয়েও তার উপর বেশী দয়ালু। এদিকে সে দুআ করে আর ওদিকে যদি তিনি কবুল করে নেন তবে সাথে সাথেই সে ধ্বংস হয়ে যায় (কিন্তু তিনি তা করেন না)। হাদীসেও আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “তোমরা নিজেদের জান ও মালের জন্যে বদ দুআ করো না। নচেৎ কবুল হওয়ার মুহূর্তে হয়তো কোন খারাপ কথা মুখ দিয়ে বেরিয়ে পড়বে।” এর একমাত্র কারণ হচ্ছে মানুষের চাঞ্চল্যকর অবস্থাও দ্রুততা। মানুষ আশুরূপায়ণ কামনাকারীই বটে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে হযরত সালমান ফারসী (রাঃ) ও হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) হযরত আদমের (আঃ) ঘটনা বর্ণনা করেছেন যে, তখন তাঁর রূহ তাঁর পায়ের নিম্নদেশ পর্যন্ত পৌঁছে নাই, অথচ তখনই তিনি দাঁড়াবার চেষ্টা করেন। রূহ মাথার দিক থেকে আসছিল। যখন নাক পর্যন্ত পৌঁছলো তখন তার হাঁচি আসলো। তিনি বললেনঃ (আরবি) (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যে)। তখন আল্লাহ তাআলা বলেনঃ (আরবি) (হে আদম (আঃ)! তোমার প্রতিপালক তোমার প্রতি দয়া করুন!) রূহ যখন চক্ষু পর্যন্ত পৌঁছলো তখন তিনি চক্ষু খুলে দেখতে লাগলেন। তারপর যখন নীচের অঙ্গগুলিতে পৌঁছলো তখন তিনি খুশী হয়ে নিজের দিকে তাকাতে থাকলেন। তখনো পর্যন্ত পৌঁছে নাই। অথচ হাঁটার ইচ্ছা করলেন, কিন্তু হাঁটতে পারলেন না তখন দুআ করতে লাগলেনঃ “হে আল্লাহ! রাত্রির পূর্বেই যেন পায়ে রূহ্ চলে আসে!”
(Book# 832)
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura:- Al- Boni Israyel
Sura: 17
Verses :- 09-11
[ اِنَّ ہٰذَا الۡقُرۡاٰنَ یَہۡدِیۡ لِلَّتِیۡ ہِیَ اَقۡوَمُ
Verily, this Qur’an guides to that which is most just and right].
www.motaher21.net
اِنَّ ہٰذَا الۡقُرۡاٰنَ یَہۡدِیۡ لِلَّتِیۡ ہِیَ اَقۡوَمُ وَ یُبَشِّرُ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ الَّذِیۡنَ یَعۡمَلُوۡنَ الصّٰلِحٰتِ اَنَّ لَہُمۡ اَجۡرًا کَبِیۡرًا ۙ﴿۹﴾
Indeed, this Qur’an guides to that which is most suitable and gives good tidings to the believers who do righteous deeds that they will have a great reward.
وَّ اَنَّ الَّذِیۡنَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡاٰخِرَۃِ اَعۡتَدۡنَا لَہُمۡ عَذَابًا اَلِیۡمًا ﴿٪۱۰﴾
And that those who do not believe in the Hereafter – We have prepared for them a painful punishment.
وَ یَدۡعُ الۡاِنۡسَانُ بِالشَّرِّ دُعَآءَہٗ بِالۡخَیۡرِ ؕ وَ کَانَ الۡاِنۡسَانُ عَجُوۡلًا ﴿۱۱﴾
And man supplicates for evil as he supplicates for good, and man is ever hasty.
(Book# 832)
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura:- Al- Boni Israyel
Sura: 17
Verses :- 09-11
[ اِنَّ ہٰذَا الۡقُرۡاٰنَ یَہۡدِیۡ لِلَّتِیۡ ہِیَ اَقۡوَمُ
Verily, this Qur’an guides to that which is most just and right].
www.motaher21.net
Praising the Qur’an
Allah praises His noble Book,
إِنَّ هَـذَا الْقُرْانَ يِهْدِي لِلَّتِي هِيَ أَقْوَمُ
Verily, this Qur’an guides to that which is most just and right
Allah praises His noble Book, the Qur’an, which He revealed to His Messenger Muhammad. It directs people to the best and clearest of ways.
وَيُبَشِّرُ الْمُوْمِنِينَ
and gives good news to those who believe, (in it)
الَّذِينَ يَعْمَلُونَ الصَّالِحَاتِ
those who do righteous deeds,
in accordance with it, telling them,
أَنَّ لَهُمْ أَجْرًا كَبِيرًا
that they will have a great reward,
i.e., on the Day of Resurrection.
And He tell
وأَنَّ الَّذِينَ لاأَ يُوْمِنُونَ بِالاأخِرَةِ
those who do not believe in the Hereafter,
أَعْتَدْنَا
We have prepared
لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا
for them is a painful torment,
i.e. on the Day of Resurrection.
As Allah says:
فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ أَلِيمٍ
then announce to them a painful torment. (84:24)
Man’s Haste and Prayers against Himself
Allah tells;
وَيَدْعُ الاِنسَانُ بِالشَّرِّ دُعَاءهُ بِالْخَيْرِ
And man invokes (Allah) for evil as he invokes (Allah) for good and man is ever hasty.
Allah tells us about man’s haste and how he sometimes prays against himself or his children or his wealth, praying for something bad to happen for them, or for them to die or be destroyed, invoking curses, etc. If Allah were to answer his prayer, he would be destroyed because of it, as Allah says:
وَلَوْ يُعَجِّلُ اللَّهُ لِلنَّاسِ الشَّرَّ
And were Allah to hasten for mankind the evil… (10:11)
This is how it was interpreted by Ibn Abbas, Mujahid and Qatadah.
We have already discussed the Hadith:
لَاا تَدْعُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ وَلَاا عَلَى أَمْوَالِكُمْ أَنْ تُوَافِقُوا مِنَ اللهِ سَاعَةَ إِجَابَةٍ يَسْتَجِيبُ فِيهَا
Do not pray against yourselves or your wealth, for that might coincide with a time when Allah answers prayers.
What makes the son of Adam do that is his anxiety and haste.
Allah says:
وَكَانَ الاِنسَانُ عَجُولاً
And man is ever hasty.
Salman Al-Farisi and Ibn Abbas mentioned the story of Adam, when he wanted to get up before his soul reached his feet.
When his soul was breathed into him, it entered his body from his head downwards. When it reached his brain he sneezed, and said,
“Al-Hamdu Lillah” (praise be to Allah),
and Allah said, “May your Lord have mercy on you, O Adam.”
When it reached his eyes, he opened them, and when it reached his body and limbs he started to stare at them in wonder.
He wanted to get up before it reached his feet, but he could not.
He said, “O Lord, make it happen before night comes. এই