أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(বই#৮৩৪)
সুরা: আল্ বনি ইসরাইল
সুরা:১৭
১৩-১৪ নং আয়াত:-
[ اِقۡرَاۡ کِتٰبَکَ ؕ کَفٰی بِنَفۡسِکَ الۡیَوۡمَ عَلَیۡکَ حَسِیۡبًا ﴿ؕ۱۴﴾
‘তুমি তোমার কিতাব (আমলনামা) পাঠ কর; আজ তুমি নিজেই তোমার হিসাব-নিকাশের জন্য যথেষ্ট।’
“Read your record. Sufficient is yourself against you this Day as accountant.”]
www.motaher21.net
وَ کُلَّ اِنۡسَانٍ اَلۡزَمۡنٰہُ طٰٓئِرَہٗ فِیۡ عُنُقِہٖ ؕ وَ نُخۡرِجُ لَہٗ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ کِتٰبًا یَّلۡقٰىہُ مَنۡشُوۡرًا ﴿۱۳﴾
প্রত্যেক মানুষের কৃতকর্ম আমি তার গ্রীবালগ্ন করেছি এবং কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য বের করব এক কিতাব, যা সে উন্মুক্ত পাবে।
And [for] every person We have imposed his fate upon his neck, and We will produce for him on the Day of Resurrection a record which he will encounter spread open.
اِقۡرَاۡ کِتٰبَکَ ؕ کَفٰی بِنَفۡسِکَ الۡیَوۡمَ عَلَیۡکَ حَسِیۡبًا ﴿ؕ۱۴﴾
‘তুমি তোমার কিতাব (আমলনামা) পাঠ কর; আজ তুমি নিজেই তোমার হিসাব-নিকাশের জন্য যথেষ্ট।’
“Read your record. Sufficient is yourself against you this Day as accountant.”
www.motaher21.net
১৩-১৪ নং আয়াতের তাফসীর:
তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-
طَآئِرَ শব্দের শাব্দিক অর্থ: পাখি, আর عُنُقِ অর্থ: ঘাড়, গ্রীবা। বিদ্বানগণ এখানে طَآئِرَ এর দুটি তাফসীর উল্লেখ করেছেন। (১) এর উদ্দেশ্য হল আমল, যা প্রতিনিয়ত মানুষ করে থাকে। অর্থাৎ মানুষ যে সকল আমল করে থাকে তা তাদের গ্রীবার সাথে সংযুক্ত থাকা আবশ্যক করে দিয়েছি। গলার হার যেমন গলার সাথে সংযুক্ত থাকে কখনো বিচ্ছিন্ন হয় না তেমনি মানুষের আমল তার গলার সাথে সম্পৃক্ত করে দেয়া হয়েছে যা কখনো আলাদা হবে না। অর্থাৎ ভাল-মন্দ সকল আমল লিপিবদ্ধ করে রাখা হয় কিয়ামতের দিন সেই লিপিবদ্ধ কিতাব তার সামনে উন্মুক্ত করে দেয়া হবে এবং বলা হবে আজ তুমি নিজেই তোমার আমলের তালিকা পড়, আমল হিসাব-নিকাশ করে জান্নাতী হবে, না জাহান্নামী হবে তার ফায়সালার জন্য তুমিই যথেষ্ট। এ অর্থে কুরআনে অনেক আয়াত রয়েছে,
যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(لَيْسَ بِأَمَانِيِّكُمْ وَلَآ أَمَانِيِّ أَهْلِ الْكِتٰبِ ط مَنْ يَّعْمَلْ سُوْ۬ءًا يُّجْزَ بِه۪)
“তোমাদের বাসনা ও আহলে কিতাবীদের বাসনা অনুসারে কাজ হবে না; কেউ মন্দ কাজ করলে তার প্রতিফল সে পাবে” (সূরা নিসা ৪:১২৩)
এ ছাড়াও সূরা তুরের ১৬ নং, সূরা ইনশিকাকের ৬ নং সূরা ফুসসিলাতের ৪৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে।
(২) طَآئِرَ অর্থ মানুষের ভাগ্য যা আল্লাহ তা‘আলা তাঁর জ্ঞানানুযায়ী প্রথমেই লিপিবদ্ধ করে দিয়েছেন। যারা সৌভাগ্যবান ও আল্লাহ তা‘আলার অনুগত হওয়ার ছিল, তা আল্লাহ তা‘আলার জানা ছিল এবং যারা অবাধ্য ও দুর্ভাগা হওয়ার তাও তাঁর জানা ছিল। এ ভাগ্যই প্রত্যেক মানুষের সাথে গলার হারের মত লেগে আছে। সে অনুযায়ী হবে তার আমল এবং কিয়ামতের দিন সে অনুযায়ীই তার ফায়সালা হবে। এ অর্থে কুরআনের অনেক আয়াত রয়েছে- যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(هُوَ الَّذِيْ خَلَقَكُمْ فَمِنْكُمْ كٰفِرٌ وَّمِنْكُمْ مُّؤْمِنٌ ط وَاللّٰهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِيْرٌ )
“তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউ হয় কাফির এবং কেউ হয় মু’মিন। তোমরা যা কর আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা।” (সূরা তাগাবুন ৬৪:২)
অতএব আল্লাহ তা‘আলা মানুষের সকল আমল লিপিবদ্ধ করে রাখছেন যাতে করে মানুষ বলতে না পারে যে, তার প্রতি জুলুম করা হয়েছে। বরং আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেকের প্রতি সুবিচার করবেন।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মানুষের আমলসমূহ লিখে রাখা হয়।
২. কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক ব্যক্তিকে দিয়ে তার আমলনামা পাঠ করাবেন।
৩. কিয়ামতের দিন মানুষ তার অপরাধ বুঝতে পারবে।
ফী জিলালিল কুরআন বলেছেন:-
‘আমি প্রত্যেক মানুষের ভাগ্যকে তার কাধের সাথে সংলগ্ন করে রেখেছি। আর কেয়ামতের দিন তার জন্যে একখানা উন্মুক্ত আমলনামা বের করবাে। তুমি তােমার আমল নামা পড়ো। আজকে তােমার হিসাব গ্রহণের জন্যে তুমিই যথেষ্ট।'(আয়াত ১৩-১৪) এখানে মানুষের ভাগ্য দ্বারা তার আমলকে বুঝানাে হয়েছে, যা তার জন্যে বরাদ্দ করা হয়। তার কাঁধের সাথে এটাকে সংলগ্ন করা দ্বারা তার সাথে তার লেগে থাকা ও বিচ্ছিন্ন না হওয়া বুঝানাে হয়েছে। তত্ত্বীয় বিষয় ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বস্তুর আকারে তুলে ধরার এ রীতি কোরআনের একটা সুপরিচিত রীতি। মানুষের আমল বা কাজ তার কাছ থেকে কখনাে বিচ্ছিন্ন হয় না এবং মানুষ তা থেকে কখনাে দায়মুক্ত হয় না। অনুরূপভাবে ‘কেয়ামতের দিন তার জন্যে উন্মুক্ত পুস্তক বের করবাে’ এই কথাটাও কোরআনের সুপরিচিতি বাচনভংগী । এ দ্বারা তার আমল বা কাজকে একটা প্রকাশ্য বস্তুর আকারে তুলে ধরা হয়েছে, যা গােপন করা বা অস্বীকার করা সম্ভব হবে না। এ বিষয়টাকে একটা উন্মুক্ত পুস্তক বলা হয়েছে, যা মনের ওপর অধিকতর প্রভাব বিস্তার করে এখানে কষ্টলগ্ন সেই ভাগ্য যেন মানুষের কল্পনার চোখে ভেসে ওঠে এবং এই পুস্তক যেন এক দুর্যোগময় দিনের আতংকদায়ক পুস্তক হয়ে মূর্ত হয়ে ওঠে, যাতে সমস্ত গােপনীয় বিষয় উন্মোচিত হয়। কোনাে সাক্ষী-সাবুদের দরকার হয় না। ‘তুমিই তােমার পুস্তক পড়, তােমার হিসাবগ্রহণকারী হিসাবে তুমিই যথেষ্ট।’ ওই প্রাকৃতিক বিধানের সাথে কর্ম ও কর্মফলের বিধানের গভীর সম্পর্ক ও অবিচ্ছেদ্য সংযােগ রয়েছে। যে ব্যক্তি হেদায়াত লাভ করে, সে নিজের কল্যাণের জন্যেই হেদায়াত লাভ করে, আর যে বিপথগামী হয় সে নিজের ক্ষতির জন্যেই বিপথগামী হয়। একজন অন্যজনের পাপের বােঝা বহন করে না। বস্তুত এ হচ্ছে ব্যক্তিগত দায়দায়িত্ব, যা প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব ব্যাপার। সে যদি সৎপথে চালিত হয় তবে তারই কল্যাণ হয়, আর যে কুপথে চলে তবে তারই অকল্যাণ হয়। কোনাে মানুষ অন্য মানুষের দায় বহন করে না। কেউ অন্যের দায় হালকাও করতে পারে না। প্রত্যেককে তার কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে, প্রত্যেককে তার কাজের ফলাফল ভােগ করানাে হবে এবং কোনাে অন্তরংগ বন্ধুও অপর অন্তরংগ বন্ধুর কাজের দায়ভার বহন করবে না।
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
# প্রত্যেক মানুসের সৌভাগ্য ও দুর্ভাগ্য এবং তা পরিণতির ভাল ও মন্দের কারণগুলো তার আপন সত্তার মধ্যেই বিরাজিত রয়েছে। নিজের গুণাবলী, চরিত্র ও কর্মধারা এবং বাছাই ও নির্বাচন করার এবং সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা ব্যবহারের মাধ্যমে সে নিজেই নিজেকে সৌভাগ্যের অধিকারী করে আবার দুর্ভাগ্যেরও অধিকারী করে। নির্বোধ লোকেরা নিজেদের ভাগ্যের ভাল-মন্দের চিহ্নগুলো বাইরে খুঁজে বেড়ায় এবং তারা সব সময় বাইরের কার্যকারণকেই নিজেদের দুর্ভাগ্যের জন্য দায়ী করে। কিন্তু প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে এই যে, তাদের ভাল-মন্দের পরোয়ানা তাদের নিজেদের গলায়ই লটকানো থাকে। নিজেদের কার্যক্রমের প্রতি নজর দিলে তারা পরিষ্কার দেখতে পাবে, যে জিনিসটি তাদেরকে বিকৃতি ও ধ্বংসের পথে এগিয়ে দিয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত তাদের সর্বস্বান্ত করে ছেড়েছে, তা ছিল তাদের নিজেদেরই অসৎ গুণাবলী ও অশুভ সিদ্ধান্ত। বাইর থেকে কোন জিনিস এসে জোর পূর্বক তাদের ওপর চেপে বসেনি।
তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
১৩-১৪ নং আয়াতের তাফসীর
উপরের আয়াতে সময়ের বর্ণনা দেয়া হয়েছে যার মধ্যে মানুষ আমল করে থাকে। এখানে আল্লাহ তাআলা বলছেন যে, মানুষ ভাল মন্দ যা কিছু আমল করে তা তার সাথেই সংলগ্ন হয়ে যায়। ভাল কাজের প্রতিদান ভালহবে এবং মন্দ কাজের প্রতিদান মন্দ হবে, তা পরিমাণে যতই কম হোক না কেন। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “যেই ব্যক্তি অনুপরিমাণ সৎ কাজ করবে সে তা দেখতে পাবে। আর যেই ব্যক্তি অনুপরিমাণ মন্দ কাজ করবে সে তা তথায় দেখতে পাবে।” (৯৯: ৭-৮) মহান আল্লাহ আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “যখন গ্রহণকারী ফেরেস্তারা (মানুষের কার্যাবলী) গ্রহণ করতে থাকে, যারা ডানে ও বামে উপবিষ্ট আছে। সে কোন কথা মুখ হতে বের করা মাত্র তার নিকটেই একজন রক্ষক (ফেরে) প্রস্তুত রয়েছে (সে লিপিবদ্ধ করে)।” (৫০:১৭-১৮) আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “তোমাদের উপর নিযুক্ত রয়েছে সংরক্ষক ফেরেশতাগণ, সম্মানিত লেখকগণ, যারা তোমাদের সমুদয় কার্যকলাপ অবগত আছে।” (৮২:১০-১২) অন্য এক জায়গায় আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “তোমাদেরকে শুধু তোমাদের কৃত কর্মেরই প্রতিদান দেয়া হবে।” আর এক জায়গায় বলেনঃ “প্রত্যেক মন্দকর্মকারীকে শাস্তি দেয়া হবে।” উদ্দেশ্য এই যে, আদম সন্তানের ছোট বড়, গোপনীয়, প্রকাশ্য, ভাল, মন্দ কাজ , সকাল, সন্ধ্যা, দিন ও রাত অনবরতই লিখে নেয়া হয়।
মুসনাদে আহমদে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “অবশ্যই প্রত্যেক মানুষের আমলের বোঝা তার গ্রীবাদেশে রয়েছে।” ইবনু লাহীআহ বলেন যে, এমন কি ভাবী শুভাশুভের লক্ষণ গ্রহণ করাও।” (হাদীসের এই ব্যাখ্যা গারীব বা দুর্বল)
মানুষের আমলের সমষ্টির কিতাবখানা (আমলনামা) কিয়ামতের দিন তার ডান হাতে দেয়া হবে অথবা বাম হাতে দেয়া হবে। সৎ লোকদেরকে তাদের। আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে এবং মন্দলোকদেরকে তাদের আমলনামা। বাম হাতে দেয়া হবে। এই আমলনামা খোলা থাকবে, যেন সে নিজে পাঠ করে এবং অন্যেরাও দেখে নেয়। তার সারা জীবনের সমস্ত আমল তাতে লিখিত থাকবে। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “সেই দিন মানুষকে তার সমস্ত পূর্বকৃত ও পরেকৃত কার্যাবলী জানিয়ে দেয়া হবে। বরং মানুষ নিজেই নিজের অবস্থা সম্বন্ধে খুব অবহিতহবে, যদিও সে নিজের ওজরসমূহ পেশ করবে।” (১৩:১৪-১৫) ঐ সময় তাকে বলা হবেঃ তুমি ভালরূপেই জান যে, তোমার উপর জুলুম করা হবে না। এতে ওটাই লিখা আছে যা তুমি করেছে। সেই বিস্মরণ হওয়া জিনিসও স্মরণ হয়ে যাবে সেই কারণে প্রকৃতপক্ষে কোন ওযর পেশ করার সুযোগই থাকবে না। তাছাড়া সামনে কিতাব (আমলনামা) থাকবে যা সে পড়ে থাকবে। যদিও দুনিয়ায় সে মুখ ও নিরক্ষর থেকে থাকে, তথাপি সেই দিন সে পড়তে পারবে।
এখানে গ্রীবাকে বিশিষ্ট করার কারণ এই যে, ওটা এমন একটা বিশেষ অংশ যাতে যে জিনিস লটকিয়ে দেয়া হয় তা ওর সাথে সংলগ্ন থাকে। কবিরাও এই ধারণা প্রকাশ করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন যে, রোগ সংক্রামক হওয়া কোন কথা নয় এবং শুভাশুভ নিরূপণও কোন জিনিস নয়। প্রত্যেক মানুষের আমল তার গলার হার স্বরূপ।”
আর একটি রিওয়াইয়াতে রয়েছে যে, শুভাশুভ নিরূপণ হচ্ছে প্রত্যেক মানুষের গলার হার। রাসূলুল্লাহর (সঃ) উক্তি রয়েছে যে, প্রত্যেক দিনের আমলের উপর মোহর মেরে দেয়া হয়। যখন মু’মিন রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে তখন ফেরেস্তাগণ বলেনঃ “হে আল্লাহ! আপনি তো অমুককে আমল থেকে বিরত রেখেছেন?” উত্তরে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ“ যার যে আমল ছিল তা বরাবর লিখেই যাও, যে পর্যন্ত না আমি তাকে সুস্থ করে তুলি অথবা তার মৃত্যু ঘটাই।”
কাতাদা (রঃ) বলেন যে, এই আয়াত (আরবি) দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে আমল। হযরত হাসান বসরী (রঃ) বলেন যে, আদম সন্তানকে সম্বোধন করে বলা হয়ঃ “হে আদম সন্তান! তোমার ডানে ও বামে ফেরে বসে রয়েছে এবং সহীফা (ক্ষুদ্র পুস্তিকা) খুলে রেখেছে। ডান দিকের ফেরেস্তারা পূণ্য লিখছে এবং বাম দিকের গুলো পাপ লিখছে। এখন তোমার ইচ্ছা, হয় তুমি বেশী পূণ্যের কাজ কর অথবা বেশী পাপের কাজ কর। তোমার মৃত্যুর পর এই দফতর জড়িয়ে নেয়া হবে এবং তোমার কবরে তোমার গ্রীবাদেশে লটকিয়ে দেয়া হবে। কিয়ামতের দিন খোলা অবস্থায় তোমার সামনে পেশ করা হবে এবং তোমাকে বলা হবেঃ “তোমার আমলনামা তুমি স্বয়ং পাঠ কর এবং তুমি নিজেই তোমার হিসাব ও বিচার কর।” আল্লাহর কসম! তিনি বড়ই ন্যায় বিচারক, যিনি তোমার কাজ কারবার তোমার উপর অর্পণ করেছেন।
(Book# 834)
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura:- Al- Boni Israyel
Sura: 17
Verses :- 13-14
[ اِقۡرَاۡ کِتٰبَکَ ؕ کَفٰی بِنَفۡسِکَ الۡیَوۡمَ عَلَیۡکَ حَسِیۡبًا ﴿ؕ۱۴﴾
“Read your record. Sufficient is yourself against you this Day as accountant.”]
www.motaher21.net
وَ کُلَّ اِنۡسَانٍ اَلۡزَمۡنٰہُ طٰٓئِرَہٗ فِیۡ عُنُقِہٖ ؕ وَ نُخۡرِجُ لَہٗ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ کِتٰبًا یَّلۡقٰىہُ مَنۡشُوۡرًا ﴿۱۳﴾
And [for] every person We have imposed his fate upon his neck, and We will produce for him on the Day of Resurrection a record which he will encounter spread open.
اِقۡرَاۡ کِتٰبَکَ ؕ کَفٰی بِنَفۡسِکَ الۡیَوۡمَ عَلَیۡکَ حَسِیۡبًا ﴿ؕ۱۴﴾
“Read your record. Sufficient is yourself against you this Day as accountant.”
www.motaher21.net
(Book# 834)
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura:- Al- Boni Israyel
Sura: 17
Verses :- 13-14
Every Person will have the Book of his Deeds with Him
After mentioning time, and the deeds of the son of Adam that take place therein, Allah says:
وَكُلَّ إِنسَانٍ أَلْزَمْنَاهُ طَأيِرَهُ فِي عُنُقِهِ
And We have fastened every man’s Ta’irah (deeds) to his neck,
The word Ta’irah (lit. something that flies) refers to man’s deeds which fly from him, as Ibn Abbas, Mujahid and others said.
It includes both good deeds and bad deeds, he will be forced to acknowledge them and will be rewarded or punished accordingly.
فَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْراً يَرَهُ
وَمَن يَعْـمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرّاً يَرَهُ
So whosoever does good equal to the weight of a speck of dust shall see it.
And whosoever does evil equal to the weight of a speck of dust shall see it. (99:7-8)
Allah says:
إِذْ يَتَلَقَّى الْمُتَلَقِّيَانِ عَنِ الْيَمِينِ وَعَنِ الشِّمَالِ قَعِيدٌ
مَّا يَلْفِظُ مِن قَوْلٍ إِلاَّ لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ
(Remember) that the two receivers (recording angels) receive (each human being), one sitting on the right and one on the left (to note his or her actions).
Not a word does he (or she) utter but there is a watcher by him ready (to record it). (50:17-18)
وَإِنَّ عَلَيْكُمْ لَحَـفِظِينَ
كِرَاماً كَـتِبِينَ
يَعْلَمُونَ مَا تَفْعَلُونَ
But verily, over you (are appointed angels in charge of mankind) to watch you, Kiraman (Honorable) Katibin – writing down (your deeds), they know all that you do. (82:10-12)
إِنَّمَا تُجْزَوْنَ مَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
You are only being requited for what you used to do. (52:16)
مَن يَعْمَلْ سُوءًا يُجْزَ بِهِ
whosoever works evil, will have the recompense thereof. (4:123)
The meaning is that the deeds of the sons of Adam are preserved, whether they are great or small, and they are recorded night and day, morning and evening.
وَنُخْرِجُ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ كِتَابًا يَلْقَاهُ مَنشُورًا
and on the Day of Resurrection, We shall bring out for him a Book which he will find wide open.
meaning, `We will collect all of his deeds for him in a Book which will be given to him on the Day of Resurrection, either in his right hand, if he is one of the blessed, or in his left hand if he is one of the wretched.’
مَنشُورًا
(wide open) means,
it will be open for him and others to read all of his deeds, from the beginning of his life until the end.
يُنَبَّأُ الاِنسَـنُ يَوْمَيِذِ بِمَا قَدَّمَ وَأَخَّرَ
بَلِ الاِنسَـنُ عَلَى نَفْسِهِ بَصِيرَةٌ
وَلَوْ أَلْقَى مَعَاذِيرَهُ
On that Day man will be informed of what (deeds) he sent forward, and what (deeds) he left behind.
Nay! Man will be a witness against himself, though he may put forth his excuses. (75:13-15)
Allah says:
اقْرَأْ كَتَابَكَ كَفَى بِنَفْسِكَ الْيَوْمَ عَلَيْكَ حَسِيبًا
(It will be said to him):”Read your Book. You yourself are sufficient as a reckoner against you this Day.”
meaning, you have not been treated unjustly and nothing has been recorded against you except what you have done, because you remember everything that you have done, and no one will forget anything that he did. Everyone will be able to read his Book, whether he is literate or illiterate.
أَلْزَمْنَاهُ طَأيِرَهُ فِي عُنُقِهِ
And We have fastened every man’s Ta’irah (deeds) to his neck,
The neck is mentioned because it is a part of the body that has no counterpart, and when one is restrained by it, he has no escape.
Ma`mar narrated from Qatadah,
“His deeds,
وَنُخْرِجُ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
(and on the Day of Resurrection, We shall bring out for him), We shall bring forth those deeds.”
كِتَابًا يَلْقَاهُ مَنشُورًا
(a Book which he will find wide open).
Ma`mar said:Al-Hasan recited,
عَنِ الْيَمِينِ وَعَنِ الشِّمَالِ قَعِيدٌ
one sitting on the right and one on the left. (50:17)
And he said;
“O son of Adam, your Book has been opened for you, and two noble angels have been entrusted to accompany you, one on your right and one on your left.
The one who is on your right records your good deeds, and the one who is on your left records your bad deeds. `So do whatever you want, a lot or a little, until you die, then I will fold up your Book and tie it to your neck with you in your grave. Then when you come out on the Day of Resurrection, you will find the Book wide open, so read your Book.’
By Allah, the One Who makes you accountable for your own deeds is being perfectly just.”
These are some of the best words Al-Hasan ever spoke, may Allah have mercy on him