أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(বই#৮৩৬)
সুরা: আল্ বনি ইসরাইল
সুরা:১৭
১৬ নং আয়াত:-
[ فَفَسَقُوۡا فِیۡہَا فَحَقَّ عَلَیۡہَا
তারা সেথায় অসৎকর্ম করে;
They defiantly disobey therein.]
www.motaher21.net
وَ اِذَاۤ اَرَدۡنَاۤ اَنۡ نُّہۡلِکَ قَرۡیَۃً اَمَرۡنَا مُتۡرَفِیۡہَا فَفَسَقُوۡا فِیۡہَا فَحَقَّ عَلَیۡہَا الۡقَوۡلُ فَدَمَّرۡنٰہَا تَدۡمِیۡرًا ﴿۱۶﴾
যখন আমি কোন জনপদকে ধ্বংস করার ইচ্ছা করি, তখন ওর সমৃদ্ধিশালী ব্যক্তিদেরকে (সৎকর্ম করতে) আদেশ করি, অতঃপর তারা সেথায় অসৎকর্ম করে; ফলে ওর প্রতি দন্ডাজ্ঞা ন্যায়সঙ্গত হয়ে যায় এবং ওটাকে সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত করি।
And when We intend to destroy a city, We command its affluent but they defiantly disobey therein; so the word comes into effect upon it, and We destroy it with [complete] destruction.
১৬ নং আয়াতের তাফসীর:
ফী জিলালিল কুরআন বলেছেন:-
*আযাব ও গযব নাযিলের নিয়ম : আল্লাহ তায়ালা নিজ দয়াগুণে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, বিশ্ব প্রকৃতিতে আল্লাহর যে নিদর্শনাবলী ছড়িয়ে রয়েছে কিংবা প্রত্যেক মানুষের কাছে থেকে তার পিতার ঔরসে থাকা অবস্থায় যে আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি নেয়া হয়েছিলো, তার ভিত্তিতে তাকে ঈমান আনার জন্যে দায়ী করা হবে না, বরং তার কাছে নবী ও রসূল পাঠিয়ে সতর্ক করা ও স্মরণ করানাে হবে। সে কথাই ১৫ নং আয়াতের শেষভাগে বলা হয়েছে, ‘রসূল না পাঠানাে পর্যন্ত আমি (কাউকে) শাস্তি দেই না।’ বস্তুত এটা আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ যে, বান্দাদেরকে শাস্তি দেয়ার আগে যাবতীয় সুযােগ দিয়ে ওযর বাহানার পথ বন্ধ করেছেন। অনুরূপভাবে রসূলের দাওয়াত প্রত্যাখ্যানকারীদেরকে দুনিয়ার জীবনেই শাস্তি দেয়া ও ধ্বংস করার শাশ্বত খােদায়ী বিধান কার্যকর থাকে। দিন ও রাতের সংঘটক সেই প্রাকৃতিক বিধানের সাথে এর অংগাংগী সংযোগ রয়েছে। ‘আমি যখন কোনাে জনপদ ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেই, তখন তার বিত্তশালীদেরকে আদেশ দেই, অতপর (তারা তা না করে) পাপাচারে লিপ্ত হয়, ফলে তার ওপর আমার ফায়সালা কার্যকর হয়। আর আমি তাকে ধ্বংস করে দেই।’ ‘মুতরাফুন’ বলতে প্রত্যেক জাতির সেই বিলাসী ধনকুবের শ্রেণীকে বুঝায় যাদের ধন সম্পদ, চাকর-নকর, সুখ-সমৃদ্ধি সর্বোচ্চ পরিমাণে বিদ্যমান। সমাজ ও রাষ্ট্রের নেতৃত্ব কর্তৃত্বও তাদের করায়ত্ত থাকে। ফলে তাদের মন অত্যন্ত ভােগবাদী ও পাপাসক্ত হয়ে পড়ে, নৈতিক মূল্যবােধ, পবিত্র স্থান, ও মহৎ কর্মকান্ডকে অগ্রাহ্য ও অমান্য করে, মানুষের সম্মান ও মর্যাদাকে বুড়াে আংগুল দেখায়, প্রতিরােধকারী কেউ না থাকলে সর্বত্র বিপর্যয় বিশৃংখলা ও অনাচার ছড়ায়। সমাজে অশ্লীলতার বিস্তার ঘটায় এবং যে মূল্যবােধগুলাের উদ্দেশ্যেই মানবজাতি বেঁচে থাকে, সেগুলােকে ভূ-লুন্ঠিত করে। এ জন্যে জাতি তার জীবনী শক্তি হারিয়ে নিস্তেজ হতে হতে এক সময়ে একেবারেই ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। জাতি ধ্বংসের যাবতীয় উপকরণ অবলম্বন করে, ওই জাতিতে পাপাচারী ভােগবাদী ধনিকদের সংখ্যা ও দৌরাত্ম ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায়, এবং ওই জাতি তাদের অব্যাহত অপতৎপরতা প্রতিরােধের আল্লাহর এই শাশ্বত বিধানটাই এ আয়াতে তুলে ধরা হয়েছে। বিধানটা এই যে যখন কোনাে জাতি ধ্বংসের যাবতীয় উপকরণ অবলম্বন করে, ওই জাতিতে পাপাচারী ভোগবাদী ধনীদের সংখ্যা ও দৌরাত্ম ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায় এবং তাদের অব্যাহত তৎপরতা প্রতিরোধের কোনাে ব্যবস্থা গ্রহণ করে না, তখন আল্লাহ তায়ালা ওই পাপাচারী ধনিকদেরকে ওই জাতির ওপর চাপিয়ে দেন। এর ফলে ওই ধনিকরা ব্যাপকভাবে পাপাচারে লিপ্ত হয় সমাজের সর্বত্র অন্যায় ও অনাচার ছড়িয়ে পড়ে এবং গােটা জাতি পাপাসক্ত হয়ে পড়ে। অবশেষে ওই জাতি আল্লাহর শাশ্বত বিধানের প্রয়ােগক্ষেত্র হবার যােগ্য হয়ে পড়ে এবং ধ্বংস হয়ে যায়। এই ধ্বংসযজ্ঞের জন্যে ওই জাতি নিজেই দায়ী হয়ে থাকে। কেননা সেই জাতি ক্রমবর্ধমান পাপাচারে বাধা দিতে ও ওই পাপাচারীদের বরদাশতকারী সমাজ ব্যবস্থাকে সংশােধন করতে চেষ্টা করেনি। মোদ্দাকথা হলাে, পাপাসক্ত ধনিক শ্রেণীর অস্তিত্বই সমাজের তাদের পরিপূর্ণ আধিপত্য ও প্রতিষ্ঠা লাভের মূল কারণ। সমাজ তাদেরকে টিকে থাকতে দেয়ার কারণেই আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে গােটা জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। আর ঘাড়ে চেপে বসার পরই তারা পূর্ণ ঔদ্ধত্য সহকারে, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধে পাপ ও অনাচারকে ছড়িয়ে দেয়ার সুযোগ পায়। জাতি যদি শুরুতে তাদের আবির্ভাবে বাধা দিতাে, তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দিতেন না, তারাও জাতিকে ধ্বংসের পথে টেনে নেয়ার সুযােগ পেতাে না এবং জাতি ধ্বংসের কবলে নিক্ষিপ্ত হতাে না। আল্লাহ তায়ালা মানব জীবনের জন্যে কিছু নিয়ম নির্ধারণ করে দিয়েছেন, যার কোনাে রদবদল হয় না। এই নিয়ম অনুসারে কিছু নির্দিষ্ট কারণ ঘটলে নির্দিষ্ট ফলাফল অনিবার্যভাবে দেখা দেয়। এভাবেই আল্লাহর ইচ্ছা কার্যকর হয় এবং তার ফয়সালা বাস্তবায়িত হয়। আল্লাহ তায়ালা নিজে কখনাে পাপ ও অশ্লীল কাজের নির্দেশ দেন না। কিন্তু পাপাসক্ত ধনিকদের অস্তিত্বই প্রমাণ করে যে, জাতি ও সমাজ কখনাে কখনা নিজেই নিজের ধ্বংসের কারণ সৃষ্টি করে এবং পাপিষ্ঠ লােকদেরকে লালন পালন করে ও বিকাশবৃদ্ধির সুযোগ দিয়ে আল্লাহর শাস্তি স্বরূপ ধ্বংসের যােগ্য হয়ে যায়। সুতরাং আয়াতে আল্লাহর যে ইচ্ছার উল্লেখ রয়েছে, সেটা ধ্বংসের কারণ সৃষ্টিকারী ও বল প্রয়ােগমূলক আদেশ দানের সিদ্ধান্ত নয়, বরং তা ধ্বংসের কারণ সৃষ্টির পর তার ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত এবং সে ফল শাশ্বত প্রাকৃতিক নিয়মের অধীন স্বয়ংক্রিয় ও অনিবার্য, আর যে আদেশের উল্লেখ আয়াতে রয়েছে, তা পাপাচারের আদেশ নয়, বরং পাপাচারী ধনিকদের অস্তিত্ব বরদাশত করার স্বাভাবিক ফল প্রকাশের আদেশ। সেই স্বাভাবিক ফল হলাে সমাজে সর্বব্যাপী পাপাচার, অত্যাচার ও অনাচার।
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
# এ আয়াতে ‘নির্দেশ’ মানে প্রকৃতিগত নির্দেশ ও প্রাকৃতিক বিধান। অর্থাৎ প্রকৃতিগতভাবে সবসময় এমনটিই হয়ে থাকে। যখন কোন জাতির ধ্বংস হবার সময় এসে যায়, তার সমৃদ্ধিশালী লোকেরা ফাসেক হয়ে যায়। আর ধ্বংস করার সংকল্প মানে এ নয় যে, আল্লাহ এমনিতেই বিনা কারণে কোন নিরপরাধ জনবসতি ধ্বংস করার সংকল্প করে নেন, বরং এর মানে হচ্ছে, যখন কোন জনবসতি অসৎকাজের পথে এগিয়ে যেতে থাকে এবং আল্লাহ তাকে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন তখন এ সিদ্ধান্তের প্রকাশ এ পথেই হয়ে থাকে।
মূলত এ আয়াতে যে সত্যটির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে সেটি হচ্ছে এই যে, একটি সমাজের সচ্ছল, সম্পদশালী ও উচ্চ শ্রেণীর লোকদের বিকৃতিই শেষ পর্যন্ত তাকে ধ্বংস করে। যখন কোন জাতির ধ্বংস আসার সময় হয় তখন তার ধনাঢ্য ও ক্ষমতাশালী লোকেরা ফাসেকী ও নৈতিকতা বিরোধী কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। তারা জুলুম-নির্যাতন ও দুষ্কর্ম-ব্যভিচারে গা ভাসিয়ে দেয়। আর শেষ পর্যন্ত এ বিপর্যয়টি সমগ্র জাতিকে ধ্বংস করে। কাজেই যে সমাজ নিজেই নিজের ধ্বংসকামী নয় তার ক্ষমতার লাগাম এবং অর্থনৈতিক সম্পদের চাবিকাঠি যাতে নীচ ও হীনমনা এবং দুশ্চরিত্র ধনীদের হাতে চলে না যায় সেদিকে নজর রাখা উচিত।
তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-
পূর্বের আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ তা‘আলা রাসূল প্রেরণ না করে কোন জাতিকে ধ্বংস করেন না। এখানে সে মূল নীতির কথা তুলে ধরা হয়েছে যার ভিত্তিতে জাতির ধ্বংস করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। তা হল কোন এলাকা ধ্বংস করার ইচ্ছা করলে সে এলাকার সমৃদ্ধশালী ব্যক্তিদেরকে সৎ কাজ করার আদেশ দেন কিন্ত তারা আল্লাহ তা‘আলার আদেশ ভঙ্গ করে পাপাচারে লিপ্ত হয় ফলে ধ্বংস অনিবার্য হয়ে যায়।
তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
প্রসিদ্ধ পঠন (আরবি) এরূপই রয়েছে। এখানে ‘আমর’ দ্বারা তকদীরী আমর বুঝানো হয়েছে। যেমন অন্য আয়াতে রয়েছে (আরবি) অর্থাৎ “সেখানে। আমার নির্ধারিত আদেশ এসে পড়ে রাত্রে অথবা দিবসে।” আল্লাহ তাআলা মন্দের হুকুম করেন না। ভাবার্থ এই যে, তারা অশ্লীল ও নির্লজ্জতার কাজে জড়িত হয়ে পড়ে। আর এই কারণে তারা শাস্তির যোগ্য হয়ে পড়ে। এও অর্থ করা হয়েছেঃ “আমি তাদেরকে আমার আনুগত্য করার হুকুম করে থাকি, তখন তারা মন্দ কাজে লেগে পড়ে, তখন আমার শাস্তির প্রতিশ্রুতি তাদের উপর পূর্ণ হয়ে যায়।”
যাঁদের কিরআতে (আরবি) রয়েছে তাঁরা বলেন যে, এর ভাবার্থ হচ্ছেঃ “আমি দুষ্ট লোকদেরকে তথাকার নেতা বানিয়ে দেই। তারা সেখানে অসৎকার্য করতে শুরু করে দেয়। অবশেষে আল্লাহর শাস্তি তাদেরকে তাদের বস্তিসহ ধ্বংস ও তচনচ করে দেয়। যেমন এক জায়গায় মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ (আরবি)“এইরূপে আমি প্রত্যেক জনপদে তথাকার নেতৃস্থানীয় লোকদেরই (প্রথমতঃ) পাপে লিপ্ত করিয়েছি, যেন তারা তথায় শঠতা করতে থাকে।” (৬:১২৩)
হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, এর ভাবার্থ হচ্ছেঃ “আমি তাদের শত্রুদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে থাকি এবং সেখানে তাদের হঠকারিতা শেষ সীমায় পৌঁছে যায়।”
মুসনাদে আহমাদে একটি হাদীস রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “উত্তম সম্পদ হচ্ছে এ জন্তু যা অধিক বাচ্চা দিয়ে থাকে। অথবা এ রাস্তা যা খেজুরের গাছ দ্বারা সজ্জিত থাকে। কেউ কেউ বলেন যে, এটা একটা সাদৃশ্য। যেমন তাঁর উক্তিঃ “পাপীরা, পুরস্কার প্রাপ্ত নয়।”
(Book# 836)
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura:- Al- Boni Israyel
Sura: 17
Verses :- 16
[ فَفَسَقُوۡا فِیۡہَا فَحَقَّ عَلَیۡہَا
They defiantly disobey therein.]
www.motaher21.net
وَ اِذَاۤ اَرَدۡنَاۤ اَنۡ نُّہۡلِکَ قَرۡیَۃً اَمَرۡنَا مُتۡرَفِیۡہَا فَفَسَقُوۡا فِیۡہَا فَحَقَّ عَلَیۡہَا الۡقَوۡلُ فَدَمَّرۡنٰہَا تَدۡمِیۡرًا ﴿۱۶﴾
And when We intend to destroy a city, We command its affluent but they defiantly disobey therein; so the word comes into effect upon it, and We destroy it with [complete] destruction.
Allah says:
وَإِذَا أَرَدْنَا أَن نُّهْلِكَ قَرْيَةً أَمَرْنَا مُتْرَفِيهَا فَفَسَقُواْ فِيهَا فَحَقَّ عَلَيْهَا الْقَوْلُ فَدَمَّرْنَاهَا تَدْمِيرًا
And when We decide to destroy a town (population), Amarna those who live luxuriously. Then, they transgress therein, and thus the word (of torment) is justified against it (them). Then We destroy it with complete destruction.
Meanings of Amarna
The commentators differed over the meaning of this word.
It was said that the phrase translated here as “Amarna those who live luxuriously. Then, they transgress therein”
means, “We send Our decree upon them,” as Allah says elsewhere:
أَتَاهَأ أَمْرُنَا لَيْلً أَوْ نَهَارًا
Our decree reaches it by night or by day. (10:24)
For (Amarna cannot mean “Our command”) because Allah does not command or enjoin immorality.
Or, they said it means that Allah subjugated them to commit immoral deeds, so they deserved the punishment.
Or it was said that it means:”We commanded them to obey Us, but they committed immoral sins, so they deserved punishment.”
This was reported from Ibn Jurayj from Ibn Abbas, and it is also the view of Sa`id bin Jubayr.
أَمَرْنَا مُتْرَفِيهَا فَفَسَقُواْ فِيهَا
Amarna those who live luxuriously. Then, they transgress therein,
Ali bin Abi Talhah reported that Ibn Abbas said:
(this means) “We gave power to the evil people, so they committed sin therein (in the town), and because they did that, Allah destroyed them with the punishment.”
This is similar to the Ayah:
وَكَذلِكَ جَعَلْنَا فِي كُلِّ قَرْيَةٍ أَكَـبِرَ مُجْرِمِيهَا
And thus We have set up in every town great ones of its wicked people. (6:133)
This was also the view of Abu Al-Aliyah, Mujahid and Ar-Rabi’ bin Anas.
وَإِذَا أَرَدْنَا أَن نُّهْلِكَ قَرْيَةً أَمَرْنَا مُتْرَفِيهَا فَفَسَقُواْ فِيهَا
And when We decide to destroy a town (population), Amarna those who live luxuriously. Then, they transgress therein,
Al-`Awfi reported that Ibn Abbas said,
(it means) “We increase their numbers.”
This was also the view of Ikrimah, Al-Hasan, Ad-Dahhak and Qatadah, and it was reported from Malik and Az-Zuhri.