أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(বই#৯২৬)
[ کُلُّ نَفۡسٍ ذَآئِقَۃُ الۡمَوۡتِ ؕ
জীব মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে;]
সূরা:- আল্ আম্বিয়া।
সুরা:২১
৩৪-৩৫ নং আয়াত:-
www.motaher21.net
২১:৩৪
وَ مَا جَعَلۡنَا لِبَشَرٍ مِّنۡ قَبۡلِکَ الۡخُلۡدَ ؕ اَفَا۠ئِنۡ مِّتَّ فَہُمُ الۡخٰلِدُوۡنَ ﴿۳۴﴾
আমি তোমার পূর্বে কোন মানুষকে অনন্ত জীবন দান করিনি; সুতরাং তোমার মৃত্যু হলে তারা কি চিরজীবী হয়ে থাকবে?
২১:৩৫
کُلُّ نَفۡسٍ ذَآئِقَۃُ الۡمَوۡتِ ؕ وَ نَبۡلُوۡکُمۡ بِالشَّرِّ وَ الۡخَیۡرِ فِتۡنَۃً ؕ وَ اِلَیۡنَا تُرۡجَعُوۡنَ ﴿۳۵﴾
জীব মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে; আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দ্বারা বিশেষভাবে পরীক্ষা করে থাকি। আর আমারই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।
৩৪-৩৫ নং আয়াতের তাফসীর:
তাফসীরে হাতহুল মাজিদ বলেছেন:-
৩৪-৩৫ নং আয়াতের তাফসীর:
মক্কার কাফিররা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ব্যাপারে বলত যে, সে তো একদিন মারাই যাবে। এ আয়াত তারই উত্তর। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: মৃত্যু তো প্রত্যেক মানুষের জন্যই অবধারিত। মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ও এ নিয়ম বহির্ভূত নয়। কারণ সেও একজন মানুষ। আর আমি কোন মানুষকে অমরত্ব দান করিনি। কিন্তু যারা একথা বলে তারা কি মরবে না? এ হতে মুশরিকদের মতবাদের খণ্ডন হয়ে যায় যারা দেবতা, আম্বিয়া ও আওলিয়াগণের চিরজীবী হওয়ার ধারণা পোষণ করে থাকে। আর সে ভিত্তিতেই তারা তাদেরকে নিজেদের সাহায্যকারী মনে করে। অত্র সূরার ৮ নং আয়াতে বলা হয়েছে ইতোপূর্বে যত রাসূল এসেছিল তারা সবাই খাবার খেতেন এবং তারা চিরস্থায়ী ছিলেন না। সুতরাং প্রত্যেক আত্মা মারা যাবে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ও মারা যাবেন এটাই স্বাভাবিক।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(إِنَّكَ مَيِّتٌ وَّإِنَّهُمْ مَّيِّتُوْنَ)
“নিশ্চয়ই তুমিও মৃত্যুবরণ করবে আর তারাও মৃত্যুবরণ করবে।” (সূরা যুমার ৩৯:৩০)
আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:
(كُلُّ مَنْ عَلَيْهَا فَانٍ - وَّيَبْقٰي وَجْهُ رَبِّكَ ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ)
“ভূ-পৃষ্ঠে যা কিছু আছে সমস্তই ধ্বংসশীল। অবশিষ্ট থাকবে শুধু তোমার প্রতিপালকের চেহারা (চেহারাবিশিষ্ট সত্তা), যা মহিমাময়, মহানুভব।” (সূরা আর রাহমান-৫৫ঃ২৬-২৭)
(وَنَبْلُوْكُمْ بِالشَّرِّ وَالْخَيْرِ)
কখনো দুঃখ-দুর্দশা দিয়ে, কখনো পার্থিব সুখ-শান্তি দিয়ে, কখনো সুস্বাস্থ্য ও প্রশস্ততা দিয়ে, কখনো অসুস্থতা ও সংকীর্ণতা দিয়ে, কখনো বিলাস-সামগ্রী দিয়ে, কখনো দরিদ্রতা ও অভাব দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা পরীক্ষা করে থাকেন, যাতে কে কৃতজ্ঞ ও কে অকৃতজ্ঞ হয়, কে ধৈর্যশীল হয়, কে অধৈর্য হয়ে যায় তা নির্ণয় করা যায়। অতঃপর দুনিয়ার জীবন অতীত করে প্রত্যেককেই আল্লাহ তা‘আলার নিকট ফিরে যেতে হবে। আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(كُلُّ نَفْسٍ ذَا۬ئِقَةُ الْمَوْتِ قف ثُمَّ إِلَيْنَا تُرْجَعُوْنَ)
“প্রতিটি প্রাণ মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে; অতঃপর তোমরা আমারই দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে।” (সূরা অনকাবুত ২৯:৫৭)
সুতরাং কেউই পৃথিবীতে চিরস্থায়ী হবে না, প্রত্যেককেই একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আর মৃত্যুর পর সকলকেই আল্লাহ তা‘আলার নিকট ফিরে যেতে হবে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হায়াতুন্নাবী নন, বরং তিনি মারা গেছেন।
২. দুনিয়ার জীবন পরীক্ষার হল, যারা ভাল আমল করতে পারবে তারাই সফলকাম।
৩. আল্লাহ বিভিন্ন সময় ভাল-মন্দ দ্বারা পরীক্ষা করবেন, যারা ধৈর্য ধারণ করবে তারাই সলফকাম।
ফী জিলালিল কুরআন বলেছেন:-
*কোনাে সৃষ্টিই চিরঞ্জীব নয় : অধ্যায়টার শেষভাগে মহাবিশ্বের সৃষ্টি ও তৎপরতার নিয়ম এবং মানব জীবনের প্রকৃতি, অবসান ও পুনরুজ্জীবনের নিয়মের মাঝে সংযােগ স্থাপন করা হয়েছে, ‘আমি তােমার পূর্বে কোনাে মানুষকে অমরত্ব দেইনি। তুমি যদি মারা যাও, তবে তারা কি চিরঞ্জীব হবে? প্রত্যেক জীবই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। আমি তােমাদেরকে ভালাে ও মন্দ দিয়ে পরীক্ষা করবাে, তােমরা আমারই কাছে ফিরে আসবে।’ ‘তোমার পূর্বে কোনাে মানুষকে অমরত্ব দেইনি।’ বস্তুত প্রত্যেক সৃষ্টিই ধ্বংসশীল। যে জিনিসেরই শুরু আছে, তার শেষও আছে। রাসূল(স.) যদি ইন্তেকাল করেন, তাহলে তারা কি চিরদিন বেঁচে থাকবে? যদি না থাকে তাহলে তারা কেন মরণশীল মানুষের মতাে কাজ করেছ না? কেন চিন্তা ভাবনা করে না ও বিবেক বুদ্ধি খাটায় না? ‘প্রত্যেক প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে।’ এটাই হচ্ছে জীবনকে নিয়ন্ত্রণকারী প্রাকৃতিক বিধান। এটা সেই অমােঘ বিধি, যার কোনাে ব্যতিক্রম নেই। সুতরাং সকল প্রাণীর উচিত অবধারিত এই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণের কথা মনে রেখে সব কাজ করা। মৃত্যুই হলাে প্রত্যেক জীবের শেষ পরিণতি এবং পৃথিবীতে তার সংক্ষিপ্ত সফরের পরিসমাপ্তি। সবাইকে আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে হবে। এই সফর চলাকালে মানুষকে যে সুখ বা দুঃখের মােকাবেলা করতে হয়। সেটা তার জন্যে পরীক্ষা স্বরূপ, ‘তোমাদেরকে ভাল ও মন্দ দিয়ে পরীক্ষা করি।’ মন্দ বা দুঃখ দিয়ে যে পরীক্ষা করা হয় তা সহজেই বােধগম্য। এ দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তির ধৈর্য, সহনশীলতা, আল্লাহর ওপর আস্থা ও তার রহমতের আশার দৃঢ়তার পরীক্ষা হয়ে থাকে। কিন্তু ভালাে ও সুখ সমৃদ্ধি দিয়ে কিভাবে পরীক্ষা করা হয়, সেটা ব্যাখ্যাসাপেক্ষ বটে। সুখ ও সচ্ছলতা দিয়ে যে পরীক্ষা করা হয়, তা অধিকতর বিপজ্জনক ও কঠিন- যদিও মনে হয় দুঃখজনিত পরীক্ষার চেয়ে সহজ। কেননা বিপদ ও দুঃখের পরীক্ষায় অনেকেই উত্তীর্ণ হয়। কিন্তু সুখের পরীক্ষায় খুব কম লােকই পাস করতে পারে। প্রাচুর্য ও সামর্থের পরীক্ষায় খুব কম লােক ধৈর্যধারণ করতে পারে। শক্তি সামর্থের প্রবলতার চাপকে সংযত করতে অনেকেই সক্ষম হয় না। দারিদ্র ও বঞ্চনার পরীক্ষায় অনেকেই উত্তীর্ণ হয়। ফলে তাদের পদস্খলন হয় না এবং হীনতায় আক্রান্ত হয় না। কিন্তু প্রাপ্তি ও প্রাচুর্যের পরীক্ষায় অনেকেই উত্তীর্ণ হয় না। ভােগ বিলাসের আতিশয্যে অনেকেই সীমা অতিক্রম করে যায়। জুলুম নিপীড়ন ও শোষণ নিষ্পেষণে অনেকেই ধৈর্যধারণ করে, সন্ত্রাস শাসানি ও রক্তচক্ষুর ভ্রুকুটিতেও অনেকে ভয় পায় না। কিন্তু ভােগ, পদ ও প্রাচুর্যের প্রলােভনে খুব কম লােকই ধৈর্যধারণ করতে সমর্থ হয়। জীবনের কঠোর সাধনা ও সংগ্রামে অনেকে ধৈর্যধারণ করে। কিন্তু আয়েশী জীবনের সুখ সম্ভোগে খুব কম লােকই স্থির থাকতে পারে। লােভ লালসার কাছে অনেকেই মাথা নোয়ায় এবং উদারতা ও শৈথিল্য অনেককে ভীরু কাপুরুষ বানিয়ে দেয়। বিপদমুসিবত ও দুঃখ কষ্ট অনেকের মধ্যে সংগ্রাম ও প্রতিরােধের চেতনা গড়ে তােলে, সৃষ্টি করে দুর্জয় মনোবল ও কষ্ট সহিষ্ণুতা। পক্ষান্তরে সুখ শান্তি স্নায়ুমন্ডল শিথিল উদাসীন করে দেয় এবং জাগৃত ও প্রতিরােধের ক্ষমতা হ্রাস করে। তাই অনেকে বিপদ মুসিবতে ও দুঃখ কষ্টের স্তর সাফল্যের সাথে মােকাবেলা করে। কিন্তু যেই সুখ ও সমৃদ্ধি আসে, অমনি পরীক্ষায় পড়ে যায়। এটাই মানুষের স্বভাব। তবে আল্লাহতায়ালা অনেককে এ অবস্থা থেকে রক্ষা করেন। তাদের সম্পর্কেই রসূল(স.) বলেছেন, ‘মােমেনের অবস্থাটা বড়ােই বিস্ময়কর তার সব কিছুই কল্যাণকর। এটা মােমেন ছাড়া আর কারাে বেলায় খাটে না। সে যদি সুখ লাভ করে, তবে শােকর করে। সেটা তার জন্যে কল্যাণকর হয়। আর যদি দুঃখ লাভ করে, তবে ধৈর্যধারণ করে। সেটাও তার জন্যে কল্যাণকর হয়।'(সহীহ মুসলিম) তবে এ ধরনের লােকের সংখ্যা খুবই কম। সুতরাং সুখের পরীক্ষায় সচেতনতা ও সতর্কতা দুঃখের পরীক্ষার সতর্কতা ও সচেতনতার চেয়ে অগ্রগণ্য। উভয় অবস্থায় আল্লাহর সাথে সম্পর্ক রক্ষা করাই সফলতা রক্ষা করা।
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন্য বলেছেন :-
# এখান থেকে আবার ভাষণের মোড় ঘুরে যাচ্ছে নবী ﷺ ও তাঁর বিরোধীদের মধ্যে যে সংঘাত চলছিল সেদিকে।
# যে সমস্ত হুমকি-ধমকি, বদদোয়া ও হত্যার ষড়যন্ত্রের সাহায্যে সর্বক্ষণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে স্বাগত জানানো হতো এ হচ্ছে তার সংক্ষিপ্ত জবাব। একদিকে ছিল কুরাইশ নেতারা। তারা প্রতিদিন তাঁর এই প্রচার কার্যের জন্য তাঁকে হুমকি দিতে থাকতো এবং তাদের মধ্য থেকে কিছু সংখ্যক বিরোধী আবার বসে বসে যে কোনভাবে তাঁকে খতম করে দেবার কথাও ভাবতো। অন্যদিকে যে গৃহের কোন একজন ইসলাম গ্রহণ করতো সে গৃহের সবাই তার শত্রু হয়ে যেতো। মেয়েরা দাঁতে দাঁত পিশে তাঁকে অভিশাপ দিতো এবং বদদোয়া করতো। আর গৃহের পুরুষরা তাঁকে ভয় দেখাতো। বিশেষ করে হাবশায় হিজরাতের পরে মক্কার ঘরে ঘরে বিলাপ শুরু হয়ে গিয়েছিল। কারণ এমন একটি বাড়ি পাওয়াও কঠিন ছিল যেখান থেকে একজন পুরুষ বা মেয়ে হিজরত করেনি। এরা সবাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামে অভিযোগ করে বলতো, এ লোকটি আমাদের পরিবার ধ্বংস করে দিয়েছে। এসব কথার জবাব এ আয়াতে দেয়া হয়েছে এবং একই সঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেও উপদেশ দেয়া হয়েছে যে ওদের কোন পরোয়া না করে তুমি নির্ভয়ে নিজের কাজ করে যাও।
# দুঃখ-আনন্দ, দারিদ্র-ধনাঢ্যতা, জয়-পরাজয়, শক্তিমত্তা-দুর্বলতা, সুস্থতা-রুগ্নতা ইত্যাদি সকল অবস্থায় তোমাদেরকে পরীক্ষা করা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে, ভালো অবস্থায় তোমরা অহংকারী, জালেম, আল্লাহ বিস্মৃত ও প্রবৃত্তির দাস হয়ে যাও কিনা। খারাপ অবস্থায় হিম্মত ও সাহস কমে যাওয়ায় নিম্নমানের ও অবমাননাকর পদ্ধতি এবং অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে বসো কি না। কাজেই কোন বুদ্ধিমান ব্যক্তির এ রকমারি অবস্থা বুঝার ব্যাপারে ভুল করা উচিত নয়। সে যে অবস্থারই সম্মুখীন হোক, তাকে অবশ্যই পরীক্ষার এ দিকটি সামনে রাখতে হবে এবং সাফল্যের সাথে একে অতিক্রম করতে হবে। কেবলমাত্র একজন বোকা ও সংকীর্ণমনা লোকই ভাল অবস্থায় ফেরাউনে পরিণত হয় এবং খারাপ অবস্থা দেখা দিলে মাটিতে নাক-খত দিতে থাকে।
তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
৩৪-৩৫ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ হে মুহাম্মদ (সঃ)! তোমার পূর্বেও আমি কোন মানুষকে দুনিয়ায় অনন্ত জীবন দান করি নাই। বরং ভূ-পৃষ্ঠে যা কিছু আছে সমস্তই নশ্বর, অবিনশ্বর শুধু তোমার প্রতিপালকের সত্তা, যিনি মহিমময়, মহানুভব। এই আয়াত দ্বারাই আলেমগণ দলীল গ্রহণ করেছেন যে, হযরত খিযর (আঃ) মারা গেছেন। তিনি আজ পর্যন্ত জীবিত আছেন এটা ভুল কথা। কেননা, তিনিও মানুষই ছিলেন। হোন তিনি ওয়ালী বা নবী অথবা রাসূল, কিন্তু ছিলেন তো মানুষই।
মহান আল্লাহ বলেনঃ হে মুহাম্মদ (সাঃ)! তুমি যদি মৃত্যুবরণ কর তবে তারা কি চিরজীবি হয়ে থাকবে? অর্থাৎ তারা কি আশা করছে যে, তোমার মৃত্যুর পর তারা দুনিয়ায় চিরদিন বেঁচে থাকবে? না, এটা হতে পারে না, বরং প্রত্যেকেই ধ্বংস হয়ে যাবে। এজন্যেই আল্লাহ তাআলা বলেনঃ জীব মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। ইমাম শাফিয়ী (রঃ) বলতেনঃ “লোকেরা আমার মৃত্যুর কামনা করে, আমি যদি মারা যাই তবে এই পথে কি আমি একাই রয়েছি? এমন কেউই নেই যে এর স্বাদ গ্রহণ করবে না।”
এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দ্বারা বিশেষভাবে পরীক্ষা করে থাকি। অর্থাৎ আমি তোমাদেরকে ভাল ও মন্দ দ্বারা, সুখ ও দুঃখ দ্বারা, মিষ্ট ও তিক্ত দ্বারা এবং প্রশস্ততা ও সংকীর্ণতা দ্বারা পরীক্ষা করে থাকি, যাতে কৃতজ্ঞ ও অকৃতজ্ঞ এবং ধৈর্যশীল ও হতাশা গ্রস্ত ব্যক্তি প্রকাশ হয়ে পড়ে। ঐশ্বর্য ও দারিদ্র, কঠোরত ও কোমলতা, হালাল ও হারাম, হিদায়াত ও গুমরাহী এবং আনুগত্য ও অবাধ্যতা এ সবগুলিই পরীক্ষামূলক। এর দ্বারা ভাল ও মন্দ প্রকাশ পেয়ে থাকে।
তোমাদের সবারই প্রত্যাবর্তন আমারই কাছে। ঐ সময় যে যেমন ছিল তা প্রকাশ হয়ে পড়বে। পাপীরা শাস্তি এবং পুণ্যবারা পুরস্কার লাভ করবে।
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book#926)
[ کُلُّ نَفۡسٍ ذَآئِقَۃُ الۡمَوۡتِ ؕ
Everyone is going to taste death,]
Sura:21
Sura: Al-Anbiyaa
Ayat: 34-35
www.motaher21.net
21:34
وَ مَا جَعَلۡنَا لِبَشَرٍ مِّنۡ قَبۡلِکَ الۡخُلۡدَ ؕ اَفَا۠ئِنۡ مِّتَّ فَہُمُ الۡخٰلِدُوۡنَ ﴿۳۴﴾
And We did not grant to any man before you eternity [on earth]; so if you die – would they be eternal?
No One has been granted Immortality in this World
Allah tells:
وَمَا جَعَلْنَا لِبَشَرٍ مِّن قَبْلِكَ
And We granted not to any human being immortality before you;
means, O Muhammad.
الْخُلْدَ
immortality,
means, in this world.
On the contrary,
كُلُّ مَنْ عَلَيْهَا فَانٍ
وَيَبْقَى وَجْهُ رَبِّكَ ذُو الْجَلْـلِ وَالاِكْرَامِ
Whatsoever is on it (the earth) will perish. And the Face of your Lord full of majesty and honor will remain forever. (55:26-27)
أَفَإِن مِّتَّ
then if you die,
means, O Muhammad,
فَهُمُ الْخَالِدُونَ
would they live forever!
means, they hope that they will live forever after you, but that will not happen; everything will pass away.
21:35
کُلُّ نَفۡسٍ ذَآئِقَۃُ الۡمَوۡتِ ؕ وَ نَبۡلُوۡکُمۡ بِالشَّرِّ وَ الۡخَیۡرِ فِتۡنَۃً ؕ وَ اِلَیۡنَا تُرۡجَعُوۡنَ ﴿۳۵﴾
Every soul will taste death. And We test you with evil and with good as trial; and to Us you will be returned.
So Allah says:
كُلُّ نَفْسٍ ذَايِقَةُ الْمَوْتِ
Everyone is going to taste death,
…
وَنَبْلُوكُم بِالشَّرِّ وَالْخَيْرِ فِتْنَةً
and We shall test you with evil and with good by way of trial.
Meaning, “We shall test you, sometimes with difficulties and sometimes with ease, to see who will give thanks and who will be ungrateful, who will have patience and who will despair.”
Ali bin Abi Talhah reported from Ibn Abbas:
وَنَبْلُوكُم
(and We shall test you) means,
We will test you,
بِالشَّرِّ وَالْخَيْرِ فِتْنَةً
(with evil and with good by way of trial) means,
with difficulties and with times of prosperity, with health and sickness, with richness and poverty, with lawful and unlawful, obedience and sin, with guidance and misguidance.
…
وَإِلَيْنَا تُرْجَعُونَ
And to Us you will be returned.
means, and We will requite you according to your deeds
For getting Quran app: play.google.com/store/apps/details?id=com.ihadis.quran