(বই#৯২৯) [ الَّذِينَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُم بِالْغَيْبِ যারা না দেখেও তাদের রবকে ভয় করে।] সূরা:- আল্ আম্বিয়া। সুরা:২১ ৪৮-৫০ নং আয়াত:- www.motaher21.net

أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(বই#৯২৯)
[ الَّذِينَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُم بِالْغَيْبِ
যারা না দেখেও তাদের রবকে ভয় করে।]
সূরা:- আল্ আম্বিয়া।
সুরা:২১
৪৮-৫০ নং আয়াত:-
www.motaher21.net
২১:৪৮
وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَا مُوۡسٰی وَ ہٰرُوۡنَ الۡفُرۡقَانَ وَ ضِیَآءً وَّ ذِکۡرًا لِّلۡمُتَّقِیۡنَ ﴿ۙ۴۸﴾
আমি মূসা ও হারূনকে দিয়েছিলাম সত্যাসত্যের মাঝে পার্থক্যকারী (গ্রন্থ তাওরাত) এবং সংযমীদের জন্য জ্যোতি ও উপদেশ।
২১:৪৯
الَّذِیۡنَ یَخۡشَوۡنَ رَبَّہُمۡ بِالۡغَیۡبِ وَ ہُمۡ مِّنَ السَّاعَۃِ مُشۡفِقُوۡنَ ﴿۴۹﴾
যারা না দেখেও তাদের প্রতিপালককে ভয় করে এবং কিয়ামত সম্পর্কে থাকে ভীত সন্ত্রস্ত।
২১:৫০
وَ ہٰذَا ذِکۡرٌ مُّبٰرَکٌ اَنۡزَلۡنٰہُ ؕ اَفَاَنۡتُمۡ لَہٗ مُنۡکِرُوۡنَ ﴿٪۵۰﴾
আর এ হল কল্যাণময় উপদেশ; যা আমি অবতীর্ণ করেছি; তবুও কি তোমরা এটাকে অস্বীকার করবে?

৪৮-৫০ নং আয়াতের তাফসীর:

তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন‌্য বলেছেন :-

# এখান থেকে নবীদের আলোচনা শুরু হয়েছে। একের পর এক বেশ কয়েক জন নবীর জীবনের সংক্ষিপ্ত বা বিস্তারিত ঘটনাবলীর প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। যে প্রেক্ষাপটে এ আলোচনা এসেছে সে সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করলে নিম্নোক্ত কথাগুলো অনুধাবন করানোই যে এর উদ্দেশ্য তা পরিষ্কার বুঝা যায়।

একঃ পূর্বের সকল নবীই মানুষ ছিলেন, তাঁরা কোন অভিনব সৃষ্টি ছিলেন না। একজন মানুষকে নবী বানিয়ে পাঠানো হয়েছে, ইতিহাসে আজ এটা কোন নতুন ঘটনা নয়।

দুইঃ আজ মুহাম্মাদ ﷺ যে কাজ করছেন পূর্বের নবীগণও সেই একই কাজ করতে এসেছিলেন। এটিই ছিল তাদের জীবনের উদ্দেশ্য ও শিক্ষা।

তিনঃ নবীদের সঙ্গে আল্লাহ বিশেষ ব্যবহার করেন ও বিশেষ সম্পর্ক রাখেন। তারা বড় বড় বিপদের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেন। বছরের পর বছর বিপদের মুখোমুখি হতে থাকেন। একক ও ব্যক্তিগত বিপদে এবং বিরোধীদের সৃষ্ট বিপদেও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁরা আল্লাহর সাহায্য ও সহায়তা লাভ করেন। তিনি তাঁদের প্রতি নিজের রহমত ও অনুগ্রহ বর্ষণ করেন। তাঁদের দোয়া কবুল করেন ও কষ্ট দূর করেন। তাঁদের বিরোধীদেরকে পরাজিত করেন এবং অলৌকিক পদ্ধতিতে তাঁদেরকে সাহায্য করেন।

চারঃ মহান আল্লাহর প্রিয়তম ও তাঁর দরবারে সবচেয়ে বেশী পছন্দনীয় হওয়া সত্ত্বেও এবং তাঁর পক্ষ থেকে বড় বড় বিস্ময়কর ক্ষমতা লাভ করার পরও তাঁরা ছিলেন বান্দা ও মানুষই। তাঁদের কেউই খোদায়ী কর্তৃত্বের অধিকারী হননি। মত প্রকাশ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে তাঁরা ভুলও করতেন। রোগগ্রস্তও হয়ে পড়তেন। পরীক্ষায়ও তাঁদের ফেলা হতো। এমনকি ভুলচুকও তাঁদের দ্বারা হয়ে যেতো। ফলে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁদেরকে শুধরে দেয়া হতো।

# এ তিনটি শব্দের মাধ্যমে তাওরাতের পরিচয় দান করা হয়েছে। অর্থাৎ তাওরাত ছিল হক ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টিকারী মানদণ্ড, মানুষকে সত্য-সরল পথ দেখাবার আলোকবর্তিকা এবং মানবজাতিকে তার বিস্মৃত পাঠ স্মরণ করিয়ে দেবার উপদেশ।

# যদিও তা পাঠানো হয়েছিল সমগ্র মানবজাতির জন্য কিন্তু তা থেকে কার্যত লাভবান তারাই হতে পারতো যারা ছিল এসব গুণে গুণান্বিত।

# যার আলোচনা এই মাত্র ওপরে করা হলো অর্থাৎ কিয়ামত।

 

ফী জিলালিল কুরআন বলেছেন:-

*তাওরাত ও কোরআনের অভিন্ন বৈশিষ্ট : সুরার এই তৃতীয় পর্বে নবী ও রসূলদের উম্মাতসমূহ সম্পর্কে আলােচনা করা হয়েছে। এদের কারাে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে এবং কারাে সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করা হয়েছে। এ আলােচনা থেকে জানা যায়, আল্লাহ তায়ালা তার নবী ও রসূলদের ওপর কতাে সদয়, আর যারা নবী ও রসূলদেরকে অবিশ্বাস ও প্রত্যাখ্যান করে তাদের জন্যে রয়েছে কী ভয়াবহ পরিণাম । অনুরূপভাবে কতিপয় নবী রসূলকে সুখ ও দুঃখ দিয়ে বিভিন্ন সময় কিভাবে পরীক্ষা করেছেন এবং তারা কিভাবে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তারও বিবরণ এই সূরায় রয়েছে। আরাে রয়েছে যুগে যুগে মানুষের মধ্য থেকে নবী ও রসূল প্রেরণের ব্যাপারে আল্লাহর বিধান ও রীতি এবং সকল যুগের সকল নবীর আকীদা ও জীবন পদ্ধতির ঐক্যের কথাও। এই ঐক্যের ফলে নবী ও রসূলরা ও তাদের অনুসারীরা স্থান ও কালের ব্যবধান অতিক্রম করে একই জাতি ও উম্মাহর অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। আর এই ঐক্য স্বয়ং আল্লাহর একত্বেরও অকাট্য প্রমাণ। এটা আল্লাহর ইচ্ছা ও পরিকল্পনার একত্ব এবং প্রাকৃতিক নিয়মেরও একত্ব প্রমাণ করে। এই প্রাকৃতিক নিয়ম বিশ্ব জগতে কার্যকর। আল্লাহর শাশ্বত বিধানের মধ্যে সংযােগ ও সমন্বয় সাধন করে এবং তাকে একক মাবুদের অনুগত করে। আমি তােমাদের প্রভু। কাজেই আমার এবাদাত করাে। ‘আমি মূসা ও হারুনকে সত্য মিথ্যায় পার্থক্যকারী, আলাে ও স্মরণিকা দিয়েছিলাম আল্লাহভীরুদের জন্যে…'(আয়াত ৪৮-৫০) ইতিপূর্বে এ সূরার বিভিন্ন আয়াতে বলা হয়েছে যে, মােশরেকরা রসূল(স.)-কে এই বলে ব্যংগ-বিদ্রুপ করতাে যে, একজন মানুষ হয়েও তিনি নাকি রসূল হয়েছেন। তারা তার ওহীকে অস্বীকার করতাে এবং বলতো, এটা যাদু অথবা কবিতা মনগড়া সাহিত্য। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তায়ালা তায়ালা জানাচ্ছেন যে, মানুষ থেকে রসূল পাঠানাে একটা চিরাচরিত রীতি। আর রসূলদের ওপর কিতাব নাযিল হওয়া কোনাে বিস্ময়কর ও নতুন ব্যাপার নয়। মূসা ও হারুনকেও আল্লাহ তায়ালা কিতাব দিয়েছিলেন। এই কিতাবের নাম আল ফুরকান। এটা কোরআনেরও গুণবাচক নাম। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, আল্লাহর কিতাবগুলাের নামেও ঐক্য রয়েছে। এই ঐক্য এভাবে রয়েছে যে, আল্লাহর নাযিল করা সব কটা কিতাবই কোরআন অর্থাৎ সত্য ও মিথ্যার মাঝে, হেদায়াত ও গােমরাহীর মাঝে এবং জীবন যাপনের ন্যায় ও অন্যায় পন্থার মাঝে পার্থক্য সৃষ্টিকারী । এই দিক দিয়ে সব কটা আসমানী গ্রন্থই ‘ফোরকান’। এটা কোরআন ও তাওরাতের অভিন্ন বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তায়ালা তাওরাতকে ‘আলাে’ও বানিয়েছেন, যা দ্বারা হৃদয়ের অন্ধকার, আকীদা বিশ্বাস ও চিন্তার অন্ধকার এবং গােমরাহী ও বাতিলের অন্ধকার দূরীভূত করেছেন। এসব অন্ধকার মানুষের বিবেক বুদ্ধিকে নিস্ক্রিয় ও বিপথগামী করে দেয়। মানুষের হৃদয়ে যতােক্ষণ ঈমানের জ্যোতি প্রজ্জ্বলিত না হয়, ততােক্ষণ তার মন তমসাচ্ছন্ন থাকে। ঈমানের আলােই তার জীবন পথকে আলােকিত করে । ন্যায় ও অন্যায়কে স্পষ্ট করে দেয় এবং ভালাে ও মন্দ মূল্যবােধের মিশ্রন ও জট পাকানাের সুযােগ খতম করে দেয়। কোরআনের মতাে তাওরাতকেও আল্লাহ তায়ালা আল্লাহভীরুদের জন্যে স্মরণিকা বা গাইড বানিয়ে দিয়েছেন। এই গাইড তাদেরকে প্রতিমুহূর্তে আল্লাহর কথা ও তাঁর হুকুমের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সেই সাথে মানব সমাজের আল্লাহভীরুদেরকে স্মরণীয় করে রাখে। তাওরাতের আগে বনী ইসরাঈলের অবস্থা কেমন ছিলাে? তারা ছিলাে ফেরাউনের স্বৈরাচারী শাসনের অধীন নির্যাতিত, নিষ্পেষিত ও লাঞ্ছিত। তাদের নারী সন্তান কে জীবিত রেখে পুরুষ সন্তানদেরকে হত্যা করা হতাে এবং তাদেরকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ ও উৎপীড়নের শিকার করা হতাে। এই আল্লাহভীরুদের গুণ বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ করতে গিয়ে বলা হচ্ছে যে, যারা না দেখেও তাদের প্রতিপালককে ভয় করে। কেননা আল্লাহকে না দেখা সত্তেও যাদের অন্তরে তার ভয় জাগরুক থাকে, আর যারা কেয়ামতের ভয়ে শংকিত এবং সে জন্যে আখেরাতের আযাব থেকে মুক্তি লাভের লক্ষ্যে কাজ করে ও প্রস্তুতি নেয়, তারাই প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর কিতাবের আলাে দ্বারা উপকৃত হয় এবং তার পথনির্দেশ অনুসারে চলে। এভাবে আল্লাহর কিতাব তাদের জন্যে স্মরণিকা হয়ে যায়। তা হলাে তাদেরকেও যেমন আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, তেমনি কিতাবের অনুসারীদেরকে মানব জাতির কাছে স্মরণীয় করে রাখে। মূসা ও হারুনের বিষয়ে আলােচনার পর বর্তমান গ্রন্থ কোরআনের প্রসংগ তােলা হয়েছে। ‘আর এ হচ্ছে এক কল্যাণময় স্মরণিকা, যা আমি নাযিল করেছি।’ অর্থাৎ এটা কোনাে অভিনব ও বিস্ময়কর কিছু নয়। এটা একটা চিরন্তন ও সুপরিচিত ধারা। তোমরা কি এটা অস্বীকার করতে চাও এর কোনটা অস্বীকার করতে চাও? পূর্ববর্তী নবীরাও তাে এরূপ কিতাব এনেছেন।

 

তাফসীরে‌ হাতহুল মাজিদ বলেছেন:-

৪৮-৫০ নং আয়াতের তাফসীর:

উক্ত আয়াতগুলোতে মূসা (عليه السلام) ও হারূন (عليه السلام) সর্ম্পকে আলোচনা করা হয়েছে। মূসা (عليه السلام)-কে মূল হিসেবে আর হারূন (عليه السلام)-কে তাঁর অনুগামী হিসেবে তাওরাত প্রদান করা হয়েছে। الْفُرْقَانَ অর্থ সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্যকারী, ضِيَا۬ءً অর্থ মানবাত্মার জন্য আলো, ذِكْرًا মানুষের জন্য উপদেশ। এ তিনটিই তাওরাতের গুণ। এ তাওরাত হল মুত্তাক্বীদের জন্য সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী, তাদের জন্য আলো এবং উপদেশ। ‘মুত্তাক্বীদের জন্য উপদেশ’ এ কথা বিশেষভাবে বলার কারণ হল যাদের অন্তরে আল্লাহ তা‘আলার ভয় নেই তারা আসমানী কিতাব দ্বারা কোন উপকার পেতে পারে না, কারণ তারা দীন ধর্মের কোন পরওয়া করে না। সুতরাং কেবল মুত্তাক্বীরা ইলম ও আমলের মাধ্যমে উপকৃত হয়। পরের আয়াতে মুত্তাক্বীদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে; মুত্তাক্বী হল যারা আল্লাহ তা‘আলাকে না দেখেই ভয় করে এবং কিয়ামতের ব্যাপারে শংকিত। কিয়ামত কখন হবে, কিয়ামতের দিন তাদের পরিস্থিতি কী হবে, তারা নাজাত পাবে কিনা ইত্যাদি নিয়ে তারা শংকিত। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা এ কুরআনের কথা উল্লেখ করে বলেন যে, এটা কল্যাণময় উপদেশ, যারা এ কুরআন থেকে উপদেশ গ্রহণ করতে চায় কুরআন তাদেরকে কল্যাণের পথ দেখাবে। সুতরাং কুরআন কল্যাণের পথ দেখানোর পরেও তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।

আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

১. আল্লাহ তা‘আলাকে না দেখে তাঁর প্রতি ঈমান রাখা ও ভয় করা মুত্তাক্বীদের বৈশিষ্ট্য।
২. প্রত্যেক আসমানী কিতাব সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী ছিল।
৩. কুরআন বরকতময় কিতাব।

তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
৪৮-৫০ নং আয়াতের তাফসীর:

আমরা পূর্বেও একথা বলেছি যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হযরত মূসা (আঃ) ও হযরত হারূণের (আঃ) বর্ণনা মিলিতভাবে এসেছে এবং অনুরূপভাবে কুরআন ও তাওরাতের বর্ণনায়ই এক সাথে দেয়া হয়েছে। ফুরকান দ্বারা কিতাব অর্থাৎ তাওরাত উদ্দেশ্য, যা সত্য ও মিথ্যা এবং হারাম ও হালালের মধ্যে পার্থক্যকারী ছিল। এর দ্বারা হযরত মূসা (আঃ) সাহায্য প্রাপ্ত হন। সমস্ত আসমানী কিতাবই হক ও বাতিল, হিদায়াত ও গুমরাহী ভাল ও মন্দ ও হারাম হালালের মধ্যে পার্থক্যকারী।

এর দ্বারা অন্তরে জ্যোতি, আমলে সত্যতা, আল্লাহর ভয় এবং তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন ইত্যাদি লাভ হয়। এজন্যেই মহান আল্লাহ বলেনঃ মুত্তাকীন বা খোদাভীরুদের জন্যে এটা জ্যোতি ও উপদেশ।

এরপর আল্লাহ তাআলা মুত্তাকীদের গুণাবলী বর্ণনা করছেন যে, তারা না দেখেও তাদের প্রতিপালককে ভয় করে এবং কিয়ামত সম্পর্কে তারা সদা ভীত সন্ত্রস্ত থাকে। যেমন জান্নাতীদের গুণাবলী বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহ পাক বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ ‘যারা না দেখে দয়াময় আল্লাহকে ভয় করে এবং বিনীত চিত্তে উপস্থিত হয়।” (৫০:৩৩) আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যারা দৃষ্টির অগোচরে তাদের প্রতিপালককে ভয় করে তাদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।” (৬৭:১২) মুত্তাকীদের দ্বিতীয় বিশেষণ এই যে, তারা কিয়ামত সম্পর্কে সদা ভীত সন্ত্রস্ত থাকে। ওর ভয়াবহ অবস্থার কথা চিন্তা করে তারা প্রকম্পিত হয়।

এরপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ এই মহান ও পবিত্র কুরআন আমিই অবতীর্ণ করেছি। এর আশে পাশেও মিথ্যা আসতে পারে না। এটা বিজ্ঞানময় ও প্রশংসিত আল্লাহর পক্ষ হতে অবতারিত। কিন্তু বড় পরিতাপের বিষয় যে, এতো স্পষ্ট, সত্য ও জ্যোতিপূর্ণ কুরআনকেও তোমরা অস্বীকার করছো?

أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book#929)
[ الَّذِينَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُم بِالْغَيْبِ

Those who fear their Lord in the unseen.]
Sura:21
Sura: Al-Anbiyaa
Ayat: 48-50
www.motaher21.net
21:48

وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَا مُوۡسٰی وَ ہٰرُوۡنَ الۡفُرۡقَانَ وَ ضِیَآءً وَّ ذِکۡرًا لِّلۡمُتَّقِیۡنَ ﴿ۙ۴۸﴾

And We had already given Moses and Aaron the criterion and a light and a reminder for the righteous

 

The Revelation of the Tawrah and the Qur’an

We have already noted that Allah often mentions Musa and Muhammad together — may the peace and blessings of Allah be upon them both — and He often mentions their Books together as well.

He says:

وَلَقَدْ اتَيْنَا مُوسَى وَهَارُونَ الْفُرْقَانَ

And indeed We granted to Musa and Harun the criterion.

Mujahid said,

“This means the Scripture.”

Abu Salih said:

“The Tawrah.”

Qatadah said:

“The Tawrah, what it permits and it forbids, and how Allah differentiated between truth and falsehood.”

In conclusion, we may say that the heavenly Books included the distinction between truth and falsehood, guidance and misguidance, transgression and the right way, lawful and unlawful, and that which will fill the heart with light, guidance, fear of Allah and repentance.

So Allah says:

الْفُرْقَانَ

وَضِيَاء وَذِكْرًا لِّلْمُتَّقِينَ

the criterion, and a shining light and a Reminder for those who have Taqwa.

meaning, a reminder and exhortation for them.

Then He describes them as

21:49

الَّذِیۡنَ یَخۡشَوۡنَ رَبَّہُمۡ بِالۡغَیۡبِ وَ ہُمۡ مِّنَ السَّاعَۃِ مُشۡفِقُوۡنَ ﴿۴۹﴾

Who fear their Lord unseen, while they are of the Hour apprehensive.

 

الَّذِينَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُم بِالْغَيْبِ

Those who fear their Lord in the unseen.

This is like the Ayah:

مَّنْ خَشِىَ الرَّحْمَـنَ بِالْغَيْبِ وَجَأءَ بِقَلْبٍ مُّنِيبٍ

Who feared the Most Gracious in the unseen and came with a repenting heart. (50:33)

إِنَّ الَّذِينَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُم بِالْغَيْبِ لَهُم مَّغْفِرَةٌ وَأَجْرٌ كَبِيرٌ

Verily, those who fear their Lord unseen, theirs will be forgiveness and a great reward. (67:12)

وَهُم مِّنَ السَّاعَةِ مُشْفِقُونَ

and they are afraid of the Hour.

means, they fear it.

Then Allah says

21:50

وَ ہٰذَا ذِکۡرٌ مُّبٰرَکٌ اَنۡزَلۡنٰہُ ؕ اَفَاَنۡتُمۡ لَہٗ مُنۡکِرُوۡنَ ﴿٪۵۰﴾

And this [Qur’an] is a blessed message which We have sent down. Then are you with it unacquainted?

 

وَهَذَا ذِكْرٌ مُّبَارَكٌ أَنزَلْنَاهُ

And this is a blessed Reminder which We have sent down;

means, the Magnificent Qur’an, which falsehood cannot approach, from before it or behind it, revealed by the All-Wise, Worthy of all praise.

أَفَأَنتُمْ لَهُ مُنكِرُونَ

will you then deny it!

means, will you deny it when it is the utmost in clarity and truth

For getting Quran app: play.google.com/store/apps/details?id=com.ihadis.quran

Leave a Reply