أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(বই#৯৩৬)
[ وَ تَقَطَّعُوْۤا اَمْرَهُمْ بَیْنَهُمْ١ؕ
লোকেরা পরস্পরের মধ্যে নিজেদের দ্বীনকে টুকরো টুকরো করে ফেলেছে।]
সূরা:- আল্ আম্বিয়া।
সুরা:২১
৯৩-৯৫ নং আয়াত:-
www.motaher21.net
২১:৯৩
সুরা: আল-আম্বিয়া
আয়াত নং :-৯৩
وَ تَقَطَّعُوْۤا اَمْرَهُمْ بَیْنَهُمْ١ؕ كُلٌّ اِلَیْنَا رٰجِعُوْنَ۠
কিন্তু লোকেরা পরস্পরের মধ্যে নিজেদের দ্বীনকে টুকরো টুকরো করে ফেলেছে। সবাইকে আমার দিকে ফিরে আসতে হবে।
২১:৯৪
আয়াত নং :-৯৪
فَمَنْ یَّعْمَلْ مِنَ الصّٰلِحٰتِ وَ هُوَ مُؤْمِنٌ فَلَا كُفْرَانَ لِسَعْیِهٖ١ۚ وَ اِنَّا لَهٗ كٰتِبُوْنَ
কাজেই যে ব্যক্তি মু’মিন থাকা অবস্থায় সৎকাজ করে, তার কাজের অমর্যাদা করা হবে না এবং আমি তা লিখে রাখছি।
২১:৯৫
আয়াত নং :-৯৫
وَ حَرٰمٌ عَلٰى قَرْیَةٍ اَهْلَكْنٰهَاۤ اَنَّهُمْ لَا یَرْجِعُوْنَ
আর যে জনপদকে আমি ধ্বংস করে দিয়েছি তার অধিবাসীরা আবার ফিরে আসবে, এটা সম্ভব নয়।
৯৩- ৯৫ নং আয়াতের তাফসীর:
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন্য বলেছেন :-
# এখানে “তোমরা” শব্দের মাধ্যমে সম্বোধন করা হয়েছে সমগ্র মানবতাকে। এর অর্থ হচ্ছে, হে মানবজাতি! তোমরা সবাই আসলে একই দল ও একই মিল্লাতের অন্তর্ভুক্ত। দুনিয়ায় যত নবী এসেছেন তাঁরা সবাই একই দ্বীন ও জীবন বিধান নিয়ে এসেছেন। আর তাঁদের সেই আসল দ্বীন এই ছিলঃ কেবলমাত্র এক ও একক আল্লাহই মানুষের রব এবং এক আল্লাহরই বন্দেগী ও পূজা করা উচিত। পরবর্তীকালে যতগুলো ধর্ম তৈরি হয়েছে সবগুলোই এ দ্বীনেরই বিকৃত রূপ। কেউ এর কোন একটি জিনিস নিয়েছে, কেউ অন্যটি, আবার কেউ তৃতীয়টি। এদের প্রত্যেকে আবার এই দ্বীনের একটি অংশ নিয়ে তার সাথে নিজের পক্ষ থেকে অনেক কিছু মিশিয়ে দিয়েছে। এভাবে এই অংশ দ্বীন ও মিল্লাতের সৃষ্টি হয়েছে। এখন অমুক নবী অমুক ধর্মের প্রবর্তক, অমুক নবী অমুক ধর্মের ভিত গড়েছেন এবং নবীগণ মানবজাতিকে এই বহুধর্ম ও বহু মিল্লাতে বিভক্ত করেছেন, এ ধরনের কথা নিছক বিভ্রান্ত চিন্তার ফসল ছাড়া আর কিছুই নয়। এই সব দ্বীন ও মিল্লাত নিজেদেরকে বিভিন্ন ভাষা ও বিভিন্ন দেশের নবীদের সাথে সম্পৃক্ত করছে বলেই এ কথা প্রমাণিত হয় না যে, বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় বিভিন্নতা নবীদের সৃষ্টি। আল্লাহর প্রেরিত নবীগণ দশটি বিভিন্ন ধর্ম সৃষ্টি করতে পারে না। তাঁরা এক আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো বন্দেগী করার শিক্ষা দিতে পারেন না।
# এ আয়াতটির তিনটি অর্থ হয়ঃ
একঃ যে জাতি একবার আল্লাহর আযাবের মুখোমুখি হয়েছে সে আর কখনো উঠে দাঁড়াতে পারেনি। তার পুনরুত্থান ও নব জীবন লাভ সম্ভব নয়।
দুইঃ ধ্বংস হয়ে যাবার পর আবার তার এই দুনিয়ায় ফিরে আসা এবং পুনরায় পরীক্ষার সুযোগ লাভ করা তার পক্ষে অসম্ভব। এরপর তো আল্লাহর আদালতেই তার শুনানি হবে।
তিনঃ যে জাতির অন্যায় আচরণ, ব্যভিচার, বাড়াবাড়ি ও সত্যের পথনির্দেশনা থেকে দিনের পরদিন মুখ ফিরিয়ে নেয়া এত বেশী বেড়ে যায় যে, আল্লাহর পক্ষ থেকে তাকে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত হয়ে যায়, তাকে আবার ফিরে আসার ও তাওবা করার সুযোগ দেয়া হয় না। গোমরাহী থেকে হেদায়াতের দিকে ফিরে আসা তার পক্ষে আর সম্ভব হতে পারে না।
ফী জিলালিল কুরআন বলেছেন:-
*তাওহীদ হলাে যাবতীয় ঐক্যের মূল ভিত্তি : ইতিপূর্বে সৃষ্টিজগত সংক্রান্ত আল্লাহর বিধান ও নিয়ম-নীতি আলাচিত হয়েছে যা একক স্রষ্টার পরিচয় বহন করে। আরাে আলােচিত হয়েছে দাওয়াত ও রিসালাত সংক্রান্ত বিধান যা অভিন্ন। জাতি সত্ত্বা ও অভিন্ন আদর্শের পরিচয় বহন করে। এখন আলােচনার শেষ পর্বে কেয়ামতের বর্ণনা আসছে। কেয়ামতের বিভিন্ন নিদর্শন ও আলামতের বর্ণনা আসছে। সাথে সাথে মোশরেক ও তাদের কল্পিত দেব-দেবীর পরিণতি এবং সে ব্যাপারে আল্লাহর সর্বময় ও নিরংকুশ ক্ষমতার বর্ণনাও আসছে। এরপর পৃথিবীর বুকে ক্ষমতার পালা বদলে আল্লাহর নিয়ম-নীতি কি- সে ব্যাপারে বক্তব্য আসছে এবং হযরত মােহাম্মদ(স.)-এর নবুওত যে গােটা সৃষ্টি জগতের জন্যে রহমতস্বরূপ সে কথাও ব্যক্ত করা হচ্ছে। সব শেষে রসূল(স.)-কে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে, তিনি যেন কাফের মােশরেকদের ব্যাপারটা আল্লাহর হাতেই ছেড়ে দেন, ওদের অনিবার্য পরিণতি ওদেরকে বরণ করতে দেন, ওদের শিরকী, কুফরী ও ঠাট্টা-বিদ্রুপের মুখে যেন আল্লাহর সাহায্য কামনা করেন। কেয়ামতের ময়দানেই ওদের বিচার হবে। আর এই কেয়ামত হচ্ছে অতি নিকবর্তী।(আয়াত ৯৩-৯৪) সকল নবী রসূলদের উম্মত এক ও অভিন্ন। এই উম্মত এক ও অভিন্ন। এই উম্মতের বােধ ও বিশ্বাস এবং আদর্শ ও মূল্যবােধও অভিন্ন, যার ভিত্তি হচ্ছে তাওহীদ বা একত্ববাদ । প্রত্যেক যুগের ও প্রত্যেক সম্প্রদায়ের নবী রসূলরা প্রথম থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত এই তাওহীদের দিকেই মানুষকে আহবান করেছেন। এতে কখনও ব্যতিক্রম ঘটেনি এবং কোনাে পরিবর্তনও ঘটেনি। সকলের দাওয়াতী কার্যক্রম এই মূল ভিত্তিকে কেন্দ্র করেই পরিচালিত হয়েছে। তাওহীদভিত্তিক জীবন বিধানের খুঁটি নাটি কিছু বিষয়ে পরিবর্তন পরিবর্ধন সাধিত হয়েছে। এটা মূলত প্রত্যেক জাতি ও সম্প্রদায়ের ধারণ ক্ষমতা, প্রতিটি প্রজন্মের উন্নতি ও অগ্রগতি, মানব সমাজের নতুন নতুন অভিজ্ঞতা বিভিন্ন প্রকারের আইন কানুন ও বিধি বিধান পালনের যােগ্যতা, নতুন নতুন চাহিদা ও প্রয়ােজনীয়তা এবং জীবনমান বৃদ্ধির ওপর ভিত্তি করে হয়েছে। সকল নবী রসূলদের উম্মত অভিন্ন এবং তাদের রিসালাতের বুনিয়াদ অভিন্ন হওয়া সত্তেও তাদের অনুসারীরা শতধা বিভক্ত হয়ে পড়ছে। তাদের মাঝে বিভেদ জন্ম নিয়েছে, বিবাদ বিসংবাদ জন্ম নিয়েছে। তাদের মাঝে শত্রুতা জন্ম নিয়েছে, হিংসা বিদ্বেষ জন্ম নিয়েছে, এমনকি এই বিভেদ একই রসূলের অনুসারীদের মাঝেও সৃষ্টি হয়েছে। ফলে তারা আদর্শের নামে, আকীদা-বিশ্বাসের নামে পরস্পর মারামারি ও হানাহানিতে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। অথচ এদের আদর্শও অভিন্ন এবং আকীদা বিশ্বাসও অভিন্ন। কারণ, তারা একই নবীর উম্মত এবং একই জাতির অন্তর্ভুক্ত। দুনিয়ার বুকে তারা বিভেদ সৃষ্টির ফলে বিভিন্ন পথের পথিক হলেও পরকালে কিন্তু তারা সকলেই সে একই আল্লাহর কাছে ফিরে যাবে। সেদিক থেকে বিচার করলে তাদের শেষ ঠিকানাও অভিন্ন। সেই ঠিকানা হচ্ছে মহান আল্লাহর দরবার যেখানে প্রত্যেক হিসাব নিকাশ নেয়া হবে। তখন প্রত্যেকেই জানতে পারবে, সে সৎ পথের পথিক ছিলাে, না অসৎ পথের পথিক। (আয়াত ৯৪) এটাই হচ্ছে কর্ম ও কর্মফলের সঠিক বিধান। অর্থাৎ ঈমানের সাথে যদি কেউ সৎ কাজ করে তাহলে এই সৎ কাজের বিনিময় ও প্রতিদান তাকে অবশ্যই প্রদান করা হবে। তার সাথে কোনাে রকম বে-ইনসাফী করা হবে না, কোনাে যুলুম করা হবে না। কারণ, এই সৎ কাজের পূর্ণ বিবরণ আল্লাহর দফতরে লিপিবদ্ধ থাকবে। তিনি এটাকে হারাবেন না এবং ভুলেও যাবেন না। সৎ কাজের মূল্যায়নের জন্যে ঈমান হচ্ছে মাপকাঠি। ঠিক তেমনিভাবে ঈমানের অস্তিত্ব প্রমাণের জন্যে আমল হচ্ছে মাপকাঠি। কাজেই ঈমান ব্যতীত আমলের মূল্য নেই এবং আমল ব্যতীত ঈমানেরও সার্থকতা নেই। ঈমান হচ্ছে জীবনের মূল ভিত্তি। একে কেন্দ্র করেই সৃষ্টি জগতের সাথে মানুষের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ঈমান হচ্ছে এমন একটি যােগসূত্র যা গােটা সৃষ্টি জগতকে সৃষ্টিকর্তার সাথে জুড়ে দেয় এবং একক ও অভিন্ন সত্তার দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। আমরা জানি, কোনাে কাঠামােই ভিত্তি ছাড়া টিকে থাকতে পারে না। সৎকাজ হচ্ছে একটি ইমারত বা কাঠামােস্বরূপ কাজেই সেটা যদি তার মূল ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত না থাকে তাহলে তা ধ্বসে যেতে বাধ্য। সৎ কাজ হচ্ছে ঈমানেরই ফল। এরই মাধ্যমে ঈমানের অস্তিত্ব ও এর কার্যকারিতা হৃদয়ে অনুভূত হয়। ইসলাম হচ্ছে একটি গতিশীল আদর্শের নাম। হৃদয়ের গভীরে এই আদর্শের অস্তিত্ব বিরাজ করলে তার বহিপ্রকাশ সৎ কাজের মাধ্যমে ঘটবেই। ঈমানের মূল যতাে বেশী গভীরে প্রােথিত থাকবে, এর ফলও তত বেশী পরিপক্কতা অর্জন করবে। এ কারণেই পবিত্র কোরআনে যেখানেই কর্ম ও কর্মফলের প্রসংগ উল্লেখ করা হয়েছে সেখানেই ঈমান ও আমলের প্রসংগও উল্লেখ করা হয়েছে। কাজেই কর্মবিহীন ও ফলবিহীন ঈমানের বিনিময়ে কোনাে প্রতিদান নেই। তেমনিভাবে ঈমান বিহীন আমলেরও কোনাে প্রতিদান নেই। আসলে ঈমানবিহীন সৎকাজ হচ্ছে দৈব ঘটনার মতাে যা সচরাচর ঘটে না। ঘটলেও হঠাৎ করেই ঘটে থাকে। কারণ, ঈমানবিহীন আমল কোনাে নির্ধারিত আদর্শের সাথে সম্পৃক্ত থাকে না। এমনকি কোনাে বলিষ্ঠ নিয়ম নীতির ওপরও প্রতিষ্ঠিত থাকে না। এ জাতীয় আমলকে নিতান্ত ব্যক্তিগত ইচ্ছা ও অভিরুচিই বলা যেতে পারে, যার পেছনে সেই প্রকৃত প্রেরণা নেই যা ঈমান থেকে উৎসারিত এবং সৎকাজের প্রধান চালিকা শক্তি। মােমেন বান্দা সৎ কাজের প্রেরণা পায় তার ঈমান থেকে। কারণ, এই ঈমান এমন এক মহান সত্ত্বার সাথে সম্পৃক্ত যিনি সৎ কাজ পছন্দ করেন। এই সকাজ হচ্ছে জগত সংসারে গড়ার উপায়, জীবনের উৎকর্ষের উপায়! এই সৎ কাজ হচ্ছে উদ্দেশ্যপূর্ণ আচরণ, জীবনের লক্ষ্য ও পরিণতির সাথে সম্পর্কযুক্ত আচরণ। এটা হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনাে বিষয় নয়। সাময়িক কোনাে আচরণ নয়। উদ্দেশ্যবিহীন কোনাে কর্মকান্ড নয়। এমনকি জগত ও জগতের শাশ্বত নিয়ম নীতির বিপরীতমুখী কোনাে পদক্ষেপও নয়। কাজের চূড়ান্ত বিনিময় প্রদান করা হবে কেয়ামতের দিন। অবশ্য আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার জীবনেই অনেক সময় এই বিনিময়ের কিছু অংশ প্রদান করে থাকেন। কাজেই যে সকল জাতি ও সম্প্রদায়কে কোনাে গজবের মাধ্যমে দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয়েছে, তাদেরকে কেয়ামতের দিন পরকালীন শাস্তি ভােগ করার জন্যে আল্লাহর কাছে ফিরে আসতে হবে এবং এটা অবধারিত ও চূড়ান্ত। এতে কোনাে হেরফের করা হবে না। যে সকল জনপদকে আমি ধ্বংস করে দিয়েছি, তারা ফিরে আসবে না- এটা অসম্ভব।(আয়াত ৯৫) পুর্বে বলা হয়েছে, ‘প্রত্যেককেই আমার কাছে ফিরে আসতে হবে।’ এখন বলা হচ্ছে যে, ধ্বংস প্রাপ্ত জনপদের বাসিন্দাদেরকে আল্লাহর কাছে ফিরে আসতে হবে। পৃথকভাবে এদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করার পেছনে একটি কারণ রয়েছে। আর সেটা হলাে, অনেকে মনে করতে পারে, দুনিয়ার বুকে যে সকল জাতি ও সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে, তাদের হিসাব কিতাব বুঝি এখানেই শেষ। তাই, আলােচ্য আয়াতে জোর দিয়ে বলা হচ্ছে যে, ওদেরকেও আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে হবে। বরং ফিরে না যাওয়ার বিষয়টিকে অসম্ভব বলে প্রমাণ করার জন্যে ‘হারাম’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এই বর্ণনা ভংগি কিছুটা অভিনব ও অপরিচিত । যার ফলে বিভিন্ন মুফাসসির এর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আয়াতে বর্ণিত ‘লা’ অব্যয়টিকে অতিরিক্ত হিসেবে গণ্য করেছেন এবং অর্থ করেছেন যে, ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিগুলাে পুনরায় পৃথিবীতে ফিরে যাবে না। অথবা কেয়ামত পর্যন্ত এসব জাতি তাদের ভ্রান্ত নীতি ও পথ পরিহার করবে না। আমাদের মতে এ দুটো ব্যাখ্যার আদৌ কোনাে প্রয়ােজন নেই। বরং আয়াতের বাহ্যিক ও মূল বক্তব্য থেকে যা বুঝা যায় সে অর্থই গ্রহণযােগ্য। কারণ, পূর্ববর্তী আয়াতের বক্তব্যের সাথে এই অর্থের মিল রয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহর কাছে ফিরে না যাওয়াটা অসম্ভব। এ ক্ষেত্রে আয়াতে বর্ণিত ‘লা’ অব্যয়টির অর্থ যথাযথভাবে গ্রহণ করা হয়েছে।
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book#936)
[ وَ تَقَطَّعُوۡۤا اَمۡرَہُمۡ بَیۡنَہُمۡ ؕ
And [yet] they divided their affair among themselves,]
Sura:21
Sura: Al-Anbiyaa
Ayat: 93-95
www.motaher21.net
21:93
وَ تَقَطَّعُوۡۤا اَمۡرَہُمۡ بَیۡنَہُمۡ ؕ کُلٌّ اِلَیۡنَا رٰجِعُوۡنَ ﴿٪۹۳﴾
And [yet] they divided their affair among themselves, [but] all to Us will return.
وَتَقَطَّعُوا أَمْرَهُم بَيْنَهُمْ
But they have broken up and differed in their religion among themselves.
meaning, the nations were divided over their Messengers; some of them believed in them and some rejected them.
Allah says:
كُلٌّ إِلَيْنَا رَاجِعُونَ
(And) they all shall return to Us.
meaning, `on the Day of Resurrection, when We will requite each person according to his deeds. If they are good, then he will be rewarded and if they are evil then he will be punished.’
Allah says
21:94
فَمَنۡ یَّعۡمَلۡ مِنَ الصّٰلِحٰتِ وَ ہُوَ مُؤۡمِنٌ فَلَا کُفۡرَانَ لِسَعۡیِہٖ ۚ وَ اِنَّا لَہٗ کٰتِبُوۡنَ ﴿۹۴﴾
So whoever does righteous deeds while he is a believer – no denial will there be for his effort, and indeed We, of it, are recorders.
فَمَن يَعْمَلْ مِنَ الصَّالِحَاتِ وَهُوَ مُوْمِنٌ
So whoever does righteous good deeds while he is a believer,
meaning, his heart believes and his deeds are righteous.
فَلَ كُفْرَانَ لِسَعْيِهِ
his efforts will not be rejected.
This is like the Ayah:
إِنَّا لَا نُضِيعُ أَجْرَ مَنْ أَحْسَنَ عَمَلً
certainly We shall not make the reward of anyone who does his deeds in the most perfect manner to be lost. (18:30)
which means, his efforts will not be wasted; they will be appreciated and not even a speck of dust’s weight of injustice will be done.
Allah says:
وَإِنَّا لَهُ كَاتِبُونَ
Verily, We record it for him.
means, all his deeds are recorded and nothing of them at all is lost
21:95
وَ حَرٰمٌ عَلٰی قَرۡیَۃٍ اَہۡلَکۡنٰہَاۤ اَنَّہُمۡ لَا یَرۡجِعُوۡنَ ﴿۹۵﴾
And there is prohibition upon [the people of] a city which We have destroyed that they will [ever] return
Those who have been destroyed, will never return to this World
Allah tells:
وَحَرَامٌ عَلَى قَرْيَةٍ أَهْلَكْنَاهَا أَنَّهُمْ لَا يَرْجِعُونَ
And a ban is laid on every town which We have destroyed that they shall not return.
وَحَرَامٌ عَلَى قَرْيَةٍ
And a ban is laid on every town.
Ibn Abbas said,
“it is enforced”, i.e., it has been decreed that the people of each township that has been destroyed will never return to this world before the Day of Resurrection, as is reported clearly (through other narrations) from Ibn Abbas, Abu Ja`far Al-Baqir, Qatadah and others.
Ya’juj and Ma’juj
Then Allah tells
For getting Quran app: play.google.com/store/apps/details?id=com.ihadis.quran