أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(বই#৯৭১)
[ الْخَبِيثَاتُ لِلْخَبِيثِينَ
দুশ্চরিত্র নারী দুশ্চরিত্র পুরুষের জন্য; ]
সূরা:- আন-নূর।
সুরা:২৪
পারা:১৮
২৬- নং আয়াত:-
www.motaher21.net
২৪:২৬
اَلۡخَبِیۡثٰتُ لِلۡخَبِیۡثِیۡنَ وَ الۡخَبِیۡثُوۡنَ لِلۡخَبِیۡثٰتِ ۚ وَ الطَّیِّبٰتُ لِلطَّیِّبِیۡنَ وَ الطَّیِّبُوۡنَ لِلطَّیِّبٰتِ ۚ اُولٰٓئِکَ مُبَرَّءُوۡنَ مِمَّا یَقُوۡلُوۡنَ ؕ لَہُمۡ مَّغۡفِرَۃٌ وَّ رِزۡقٌ کَرِیۡمٌ ﴿٪۲۶﴾
দুশ্চরিত্রা মহিলারা দুশ্চরিত্র পুরুষদের জন্য এবং দুশ্চরিত্র পুরুষরা দুশ্চরিত্রা মহিলাদের জন্য। সচ্চরিত্রা মহিলারা সচ্চরিত্র পুরুষদের জন্য এবং সচ্চরিত্র পুরুষরা সচ্চরিত্রা মহিলাদের জন্য। লোকে যা বলে তা থেকে তারা পূত-পবিত্র। তাদের জন্য রয়েছে মাগফিরাত ও মর্যাদাপূর্ণ জীবিকা।
তাফসীর তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
# এ আয়াতে একটি নীতিগত কথা বুঝানো হয়েছে। সেটি হচ্ছেঃ দুশ্চরিত্ররা দুশ্চরিত্রদের সাথেই জুটি বাঁধে এবং সচ্চরিত্র ও পাক-পবিত্র লোকেরা স্বাভাবিকভাবেই সচ্চরিত্র ও পাক-পবিত্র লোকদের সাথেই মানানসই। একজন দুষ্কৃতকারী শুধু একটিমাত্র দুষ্কৃতি করে না। সে আর সব দিক দিয়ে একদম ভালো এবং শুধুমাত্র একটি দুষ্কর্মে লিপ্ত— ব্যাপারটা মোটেই এ রকম নয়। তার চলাফেরা, আচার-আচরণ, স্বভাব-চরিত্র সবকিছুর মধ্যে নানান অসৎপ্রবণতা লুকিয়ে থাকে এবং এগুলো তার একটি বড় অসৎপবণতা কোন অদৃশ্য গোলার মতো বিষ্ফোরিত হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে, অথচ এর কোন আলামত ইতিপূর্বে তার চালচলন ও আচার-আচরণে দেখা যায়নি, এটা কোনক্রমেই সম্ভব হতে পারে না। মানব জীবনে প্রতিনিয়ত এ মনস্তাত্বিক সত্যটির প্রদর্শনী হচ্ছে। একজন পাক-পবিত্র মানুষ, যার সমগ্র জীবন সবার সামনে সুস্পষ্ট, সে একটি ব্যভিচারী নারীর সাথে ঘর সংসার করে এবং বছরের পর বছর তাদের মধ্যে গভীর প্রেম ও প্রীতিপূর্ণ সম্পর্ক থাকে, একথা কিভাবে বোধগম্য হয়? একথা কি চিন্তা করা যেতে পারে যে, কোন নারী এমনও হতে পারে যে ব্যভিচারিণী হবে এবং তারপর তার চলন-বলন, অংগভংগী, আচার-ব্যবহার কোন জিনিস থেকেও তার এসব অসৎবৃত্তির কোন লক্ষণই ফুটে উঠবে না? অথবা কোন ব্যক্তি পবিত্র হৃদয়বৃত্তির অধিকারী ও উন্নত চরিত্রবানও হবে আবার সে এমন নারীর প্রতি সন্তুষ্টও থাকবে যার মধ্যে এসব লক্ষণ দেখা যাবে? একথা এখানে বুঝাবার কারণ হচ্ছে এই যে, ভবিষ্যতে যদি কারোর প্রতি এ অপবাদ দেযা হয়, তাহলে লোকেরা যেন অন্ধের মতো তা শুনেই বিশ্বাস করে না নেয়, বরং তারা যেন চোখ খুলে দেখে নেয় কার বিরুদ্ধে অপবাদ দেয়া হচ্ছে, কি অপবাদ দেয়া হচ্ছে এবং তা কোনভাবে সেখানে খাপ খায় কি না? কথা যদি জুতসই হয়, তাহলে মানুষ এক পর্যায় পর্যন্ত তা বিশ্বাস করতে পারে অথবা কমপক্ষে সম্ভব মনে করতে পারে। কিন্তু উদ্ভট ও অপরিচিত কথা, যার সত্যতার স্বপক্ষে একটি চিহ্নও কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না, তা শুধুমাত্র কোন নির্বোধ বা দুর্জনের মুখ দিয়ে বেরিয়েছে বলেই তাকে কেমন করে মেনে নেয়া যায়? কোন কোন মুফাস্সির এ আয়াতের এ অর্থও করেছেন যে, খারাপ কথা খারাপ লোকদের জন্য (অর্থাৎ তারা এর হকদার) এবং ভালো কথা ভালো লোকদের জন্য, আর ভালো লোকদের সম্পর্কে দুমূর্খেরা যেসব কথা বলে তা তাদের প্রতি প্রযুক্ত হওয়া থেকে তারা মুক্ত ও পবিত্র। অন্য কিছু লোক এর অর্থ করেছেন এভাবে, খারাপ কাজ খারাপ লোকদের পক্ষেই সাজে এবং ভালো কাজ ভালো লোকদের জন্যই শোভনীয়, ভালো লোকেরা খারাপ কাজের অপবাদ বহন থেকে পবিত্র। ভিন্ন কিছু লোক এর অর্থ নিয়েছেন এভাবে, খারাপ কথা খারাপ লোকদেরই বলার মতো এবং ভালো লোকেরা ভালো কথা বলে থাকে, অপবাদদাতারা যে ধরনের কথা বলছে ভালো লোকেরা তেমনি ধরনের কথা বলা থেকে পবিত্র। এসবগুলো ব্যাখ্যার অবকাশ আয়াতের শব্দাবলী মধ্যে আছে। কিন্তু এ শব্দগুলো পড়ে প্রথমেই যে অর্থ মনের মধ্যে বাসা বাঁধে তা হচ্ছে যা আমি প্রথমে বর্ণনা করে এসেছি এবং পরিবেশ পরিস্থিতির দিক দিয়েও তার মধ্যে যে তাৎপর্য রয়েছে, অন্য অর্থগুলোর মধ্যে তা নেই।
তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-
২৬ নং আয়াতের তাফসীর:
শানে নুযূল:
মুনাফিকরা যখন আয়িশাহ -কে মিথ্যা অপবাদ দিল তখন আল্লাহ তা‘আলা অভিযোগ থেকে মুক্ত করার জন্য এ আয়াতটি নাযিল করেন।
উক্ত আয়াতে মূলত বলা হচ্ছে যে, নাবী-রাসূলগণ যেমন সৎ ও পূতঃপবিত্র, তাদের স্ত্রীগণও কখনো অসৎ হতে পারে না। সুতরাং তাদের স্ত্রীগণও সৎ ও সতী-সাধ্বী। আর অসৎ স্ত্রীগণ তো অসৎ লোকদের জন্য, কোন সৎ লোকদের জন্য অসৎ স্ত্রী নয়।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. নাবীদের স্ত্রীগণও তাদের মতই সতী-সাধ্বী।
২. সৎ লোকেরা কোন সময় অসৎ মেয়েদেরকে বিবাহ করবে না। বরং অসৎ লোকেরাই অসৎ মেয়েদেরকে বিবাহ করবে।
তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, এইরূপ মন্দ কথা মন্দ লোকদের জন্যেই শোভা পায়। ভাল কথা ভাল লোকদের জন্যেই শোভনীয় হয়ে থাকে। অর্থাৎ মুনাফিকরা হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ)-এর উপর যে অপবাদ আরোপ করেছে এবং তাঁর সম্পর্কে যে জঘন্য কথা উচ্চারণ করেছে তার যোগ্য তারাই। কেননা, তারাই অশ্লীল ও ম্লেচ্ছ। হযরত আয়েশা (রাঃ) সতী-সাধ্বী বলে তিনি পবিত্র কথারই যোগ্য। এ আয়াতটিও হযরত আয়েশা (রাঃ)-এর ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়। আয়াতটির পরিষ্কার অর্থ এই যে, আল্লাহর রাসূল (সঃ), যিনি সব দিক দিয়েই পবিত্র, তাঁর বিবাহে যে আল্লাহ তা’আলা অসতী ও ম্লেচ্ছা নারী প্রদান করবেন এটা অসম্ভব। কলুষিতা নারী কলুষিত পুরুষের জন্যে শোভনীয়। এজন্যেই মহান আল্লাহ বলেনঃ লোকে যা বলে তারা তা হতে পবিত্র। এই দুষ্ট লোকদের মন্দ ও ঘৃণ্য কথায় তারা যে দুঃখ ও কষ্ট পেয়েছে এটাও ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা লাভের কারণ। তারা রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর স্ত্রী বলে জান্নাতে আদনে তাঁর সাথেই থাকবে।
একদা হযরত উসায়েদ ইবনে জাবির (রাঃ) হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর নিকট এসে বলেন- “আজ আমি ওয়ালীদ ইবনে উকবা (রাঃ)-এর এক অতি মূল্যবান ও উত্তম কথা শুনেছি।” তখন হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) তাকে বলেনঃ “ঠিকই বটে। মুমিনের অন্তরে একটি কথা আসে। তারপরে ওটা তার বক্ষের উপর চলে আসে এবং এরপর সে ওটা মুখ দ্বারা প্রকাশ করে। কথাটি ভাল বলে ভাল কথা শ্রবণকারী ওটাকে নিজের অন্তরে বসিয়ে নেয়। অনুরূপভাবে মন্দ কথা মন্দ লোকদের অন্তর হতে বক্ষের উপর এবং বক্ষ হতে জিহ্বা পর্যন্ত চলে আসে। মন্দ লোক ওটাকে শোনা মাত্রই নিজের অন্তরে বসিয়ে নেয়।” অতঃপর হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) (আরবি)-এই আয়াতটি পাঠ করেন। (এটা ইবনে আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন)
রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি বহু কিছু কথা শোনার পর ওগুলোর মধ্যে যে কথা সবচেয়ে নিকৃষ্ট ওটাই বর্ণনা করে তার দৃষ্টান্ত হলো ঐ ব্যক্তি যে কোন বকরীর মালিকের কাছে একটি বকরী চাইলো। তখন বকরীর মালিক তাকে বললোঃ “তুমি বকরীর যুথ বা খোয়াড়ে গিয়ে তোমার ইচ্ছামত একটি বকরী নিয়ে নাও।” তার কথামত সে যুথে গিয়ে বকরীর (প্রহরী) কুকুরের কান। ধরে নিয়ে আসলো।” (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন) অন্য হাদীসে রয়েছেঃ “জ্ঞানের কথা মুমিনের হারারো সম্পদ। সে ওটা যেখানেই পাবে নিয়ে নিবে।”
اللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book#971)
[ الْخَبِيثَاتُ لِلْخَبِيثِينَ
Evil words are for evil men,]
Sura:24
Para:18
Sura: An- Noor.
Ayat: 26-
www.motaher21.net
24:26
اَلۡخَبِیۡثٰتُ لِلۡخَبِیۡثِیۡنَ وَ الۡخَبِیۡثُوۡنَ لِلۡخَبِیۡثٰتِ ۚ وَ الطَّیِّبٰتُ لِلطَّیِّبِیۡنَ وَ الطَّیِّبُوۡنَ لِلطَّیِّبٰتِ ۚ اُولٰٓئِکَ مُبَرَّءُوۡنَ مِمَّا یَقُوۡلُوۡنَ ؕ لَہُمۡ مَّغۡفِرَۃٌ وَّ رِزۡقٌ کَرِیۡمٌ ﴿٪۲۶﴾
Evil words are for evil men, and evil men are [subjected] to evil words. And good words are for good men, and good men are [an object] of good words. Those [good people] are declared innocent of what the slanderers say. For them is forgiveness and noble provision.
The Goodness of `A’ishah because She is married to the best of Mankind
Allah says,
الْخَبِيثَاتُ لِلْخَبِيثِينَ وَالْخَبِيثُونَ لِلْخَبِيثَاتِ وَالطَّيِّبَاتُ لِلطَّيِّبِينَ وَالطَّيِّبُونَ لِلطَّيِّبَاتِ
Bad statements are for bad people and bad people for bad statements. Good statements are for good people and good people for good statements:
Ibn Abbas said,
“Evil words are for evil men, and evil men are for evil words; good words are for good men and good men are for good words. This was revealed concerning A’ishah and the people of the slander.”
This was also narrated from Mujahid, Ata’, Sa`id bin Jubayr, Ash-Sha`bi, Al-Hasan bin Abu Al-Hasan Al-Basri, Habib bin Abi Thabit and Ad-Dahhak, and it was also the view favored by Ibn Jarir.
He interpreted it to mean that evil speech is more suited to evil people, and good speech is more suited to good people. What the hypocrites attributed to A’ishah was more suited to them, and she was most suited to innocence and having nothing to do with them.
Allah said:
أُوْلَيِكَ مُبَرَّوُونَ مِمَّا يَقُولُونَ
such (good people) are innocent of (every) bad statement which they say;
Abdur-Rahman bin Zayd bin Aslam said,
“Evil women are for evil men and evil men are for evil women, and good women are for good men and good men are for good women.”
This also necessarily refers back to what they said, i.e., Allah would not have made A’ishah the wife of His Messenger unless she had been good, because he is the best of the best of mankind. If she had been evil, she would not have been a suitable partner either according to His Laws or His decree.
Allah said:
أُوْلَيِكَ مُبَرَّوُونَ مِمَّا يَقُولُونَ
such are innocent of (every) bad statement which they say;
meaning, they are remote from what the people of slander and enmity say.
لَهُم مَّغْفِرَةٌ
for them is forgiveness,
means, because of the lies that were told about them,
وَرِزْقٌ كَرِيمٌ
and honored provision.
meaning, with Allah in the Gardens of Delight.
This implies a promise that she will be the wife of the Messenger of Allah in Paradise
For getting Quran app: play.google.com/store/apps/details?id=com.ihadis.quran