أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book# 114/٦٧)-২৭১
www.motaher21.net
لِمَ تَكْفُرُونَ
কেন কুফরী কর?
Why do you reject ?
সুরা: আলে-ইমরান
আয়াত নং :-৯৮-৯৯
قُلْ يٰٓأَهْلَ الْكِتٰبِ لِمَ تَكْفُرُونَ بِـَٔايٰتِ اللَّهِ وَاللَّهُ شَهِيدٌ عَلٰى مَا تَعْمَلُونَ
বলুন, ‘হে আহলে কিতাবগণ! তোমরা আল্লাহ্র নিদর্শনসমূহের সাথে কেন কুফরী কর? আর তোমরা যা কর আল্লাহ তার সাক্ষী’।
قُلْ يَٰٓأَهْلَ ٱلْكِتَٰبِ لِمَ تَصُدُّونَ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ مَنْ ءَامَنَ تَبْغُونَهَا عِوَجًا وَأَنتُمْ
شُهَدَآءُۗ وَمَا ٱللَّهُ بِغَٰفِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ
বল, হে কিতাবধারীগণ! যে ব্যক্তি ঈমান এনেছে তাকে কেন আল্লাহর পথে বাধা দিচ্ছ, ওকে বক্র করার পথ খুঁজছ, অথচ তোমরাই (এ পথের সত্যতার) সাক্ষী? এমতাবস্থায় আল্লাহ তোমাদের কার্যাবলী সম্বন্ধে বে-খবর নন।
৯৮-৯৯ নং আয়াতের তাফসীর:
তাফসীরে ইবনে কাসীর বলেছেন:-
কিতাবীদের ঐ কাফিরদেরকে আল্লাহ ধমক দিচ্ছেন যারা সত্যের বিরুদ্ধাচরণ করেছিল, আল্লাহ তা’আলার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছিল এবং জনগণকেও জোরপূর্বক ইসলাম হতে সরিয়ে রেখেছিল। অথচ রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর সত্যতা সম্বন্ধে তাদের পূর্ণ অবগতি ছিল। পূর্ববর্তী নবী রাসূলগণের ভবিষ্যদ্বাণী এবং তাঁদের শুভ সংবাদ তাদের নিকট বিদ্যমান ছিল। নিরক্ষর, হাশেমী, আরবী, মক্কা ও মদীনাবাসী, বানী আদমের নেতা ও নবীকুল শিরোমণি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর বর্ণনা তাদের গ্রন্থসমূহে মওজুদ ছিল। তথাপি তারা তাঁকে অবিশ্বাস করে। এ জন্যেই আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে বলেনঃ “আমি খুব ভাল করেই প্রত্যক্ষ করছি যে, তোমরা কিভাবে আমার নবীদেরকে অস্বীকার করছো, কি প্রকারে শেষ নবী (সঃ)-কে কষ্ট দিচ্ছ এবং কিরূপে আমার খাটি বান্দাদেরকে তাদের ইসলামের পথে বাধা প্রদান করছে। আমি তোমাদের কার্যাবলী সম্বন্ধে অমনোযোগী নই। তোয়মাদের প্রত্যেক অন্যায় কার্যের আমি পূর্ণ প্রতিদান প্রদান করবো। আমি তোমাদেরকে সেদিন ধরবো যেদিন তোমরা তোমাদের জন্যে কোন সুপারিশকারী ও সাহায্যকারী পাবে না।’
কাতাদা বলেন, আয়াতের অর্থ, হে আহলে কিতাব সম্প্রদায়! তোমরা কেন যারা আল্লাহ্র উপর ঈমান এনেছে, তাদেরকে ইসলাম ও আল্লাহ্র নবী থেকে বাধা দিচ্ছ? অথচ তোমরা তোমাদের কাছে সংরক্ষিত আল্লাহ্র কিতাবে যা পড় তার কারণে একথার সাক্ষ্য দিতে বাধ্য যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ্র রাসূল এবং ইসলামই একমাত্র গ্রহণযোগ্য দ্বীন, যা ব্যতীত আল্লাহ্ তা’আলা অন্য কিছু গ্রহণ করবেন না। তোমাদের কাছে সংরক্ষিত তাওরাত ও ইঞ্জীলে তোমরা সেটা দেখতে পাও৷ [তাবারী]
তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ বলেছেন:-
আলোচ্য আয়াত দু’টিতে আল্লাহ তা‘আলা আহলে কিতাবকে তাদের কর্মের কারণে ভর্ৎসনা করেছেন। আহলে কিতাবরা জানে যে, ইসলাম সত্য দীন। এ দীনের প্রতি আহ্বানকারী আল্লাহ তা‘আলার প্রেরিত রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্য নাবী। কারণ এ কথাগুলো সেই কিতাবসমূহে লিপিবদ্ধ ছিল যা তাদের নাবীর ওপর অবতীর্ণ হয়েছে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মানুষকে সত্যবিমুখ করা হারাম।
২. বান্দার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সব আমল সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা অবগত রয়েছেন।