أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book# 114/١٩٨)-৩৯৯
www.motaher21.net
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ امَنُواْ لَا تَتَّخِذُواْ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى
হে মুমিনগণ, ইয়াহূদী ও নাসারাদেরকে তোমরা বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না।
O you who believe! Do not take friends from the Jews and the Christians.
সুরা: আল্ মায়িদাহ
আয়াত নং :-৫১-৫৩
يٰٓأَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الْيَهُودَ وَالنَّصٰرٰىٓ أَوْلِيَآءَ ۘ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَآءُ بَعْضٍ ۚ وَمَن يَتَوَلَّهُم مِّنكُمْ فَإِنَّهُۥ مِنْهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِى الْقَوْمَ الظّٰلِمِينَ
হে মুমিনগণ, ইয়াহূদী ও নাসারাদেরকে তোমরা বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। আর তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে নিশ্চয় তাদেরই একজন। নিশ্চয় আল্লাহ যালিম কওমকে হিদায়াত দেন না।
আয়াত:-৫২
فَتَرَى الَّذِينَ فِى قُلُوبِهِم مَّرَضٌ يُسٰرِعُونَ فِيهِمْ يَقُولُونَ نَخْشٰىٓ أَن تُصِيبَنَا دَآئِرَةٌ ۚ فَعَسَى اللَّهُ أَن يَأْتِىَ بِالْفَتْحِ أَوْ أَمْرٍ مِّنْ عِندِهِۦ فَيُصْبِحُوا عَلٰى مَآ أَسَرُّوا فِىٓ أَنفُسِهِمْ نٰدِمِينَ
সুতরাং তুমি দেখতে পাবে, যাদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে, তারা কাফিরদের মধ্যে (বন্ধুত্বের জন্য) ছুটছে। তারা বলে, ‘আমরা আশঙ্কা করছি যে, কোন বিপদ আমাদেরকে আক্রান্ত করবে’। অতঃপর হতে পারে আল্লাহ দান করবেন বিজয় কিংবা তাঁর পক্ষ থেকে এমন কিছু, যার ফলে তারা তাদের অন্তরে যা লুকিয়ে রেখেছে, তাতে লজ্জিত হবে।
আয়াত:-৫৩
وَيَقُولُ الَّذِينَ ءَامَنُوٓا أَهٰٓؤُلَآءِ الَّذِينَ أَقْسَمُوا بِاللَّهِ جَهْدَ أَيْمٰنِهِمْ ۙ إِنَّهُمْ لَمَعَكُمْ ۚ حَبِطَتْ أَعْمٰلُهُمْ فَأَصْبَحُوا خٰسِرِينَ
আর মুমিনগণ বলবে, ‘এরাই কি তারা, যারা আল্লাহর নামে কঠিন শপথ করেছে যে, নিশ্চয় তারা তোমাদের সাথে আছে’? তাদের আমলসমূহ বরবাদ হয়েছে, ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
৫১-৫৩ নং আয়াতের তাফসীর:
তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ বলেছেন:-
৫১ নং আয়াতের শানে নুযূল:
উবাদাহ বিন সামেত (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন: যখন বানু কাইনুকা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করে তখন আব্দুল্লাহ বিন উবাই তাদের সাথে সম্পৃক্ত থাকে এবং তাদের সহযোগিতা করার জন্য উঠে পড়ে লাগে। উবাদাহ বিন সামেত (রাঃ) তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে চলে আসেন। জাহেলি যুগ থেকেই আব্দুল্লাহ বিন উবাই ও উবাদাহ বিন সামেত (রাঃ) দু’জনের ইয়াহূদীদের সাথে মৈত্রীচুক্তি ছিল। উবাদাহ বিন সামেত (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললেন: হে আল্লাহর রাসূল! আমি তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে চলে এসেছি এবং আল্লাহ, রাসূল ও মু’মিনদের সাথে সম্পর্ক গড়ে নিয়েছি। কিন্তু আবদুল্লাহ বিন উবাই তাদের সাথে সম্পর্ক বহাল রাখে এবং তাদের রক্ষা করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। (তাফসীর তাবারী হা: ১২১৫৮, ইবনু কাসীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা ইয়াহূদ ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন; কারণ তারা ইসলাম ও মুসলিমদের চরম শত্র“ এবং ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে পরস্পর সহযোগিতা করে।
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِّلَّذِيْنَ اٰمَنُوا الْيَهُوْدَ وَالَّذِيْنَ أَشْرَكُوْا)
“অবশ্যই মু’মিনদের প্রতি শত্র“তায় মানুষের মধ্যে ইয়াহূদী ও মুশরিকদেরকেই তুমি সর্বাধিক উগ্র দেখবে।” (সূরা মায়িদাহ ৫:৮২)
এ সম্পর্কে সূরা আলি-ইমরানের ২৮ ও ১১৮ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
(وَمَنْ يَّتَوَلَّهُمْ مِّنْكُمْ فَإِنَّه۫ مِنْهُمْ)
“তোমাদের মধ্য থেকে যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে সে তাদেরই একজন গণ্য হবে” অর্থাৎ কোন মুসলিম ব্যক্তি জেনে-শুনে তাদের সাথে সম্পর্ক রাখলে সে তাদের মত হয়ে যাবে, মুসলিম থাকবে না। মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করা যে কুফরী কাজ তার বিশেষ দলীল হলো অত্র আয়াত।
অর্থ হলো: মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সাহায্য করা এমনভাবে যে, কোথাও মুসলিম ও কাফিরদের মাঝে যুদ্ধ হচ্ছে সেখানে মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফিরদেরকে যেকোনভাবে সহযোগিতা করা। হতে পারে সম্পদ দ্বারা, অস্ত্র দ্বারা অথবা সমর্থন দ্বারা। এভাবে যদি কেউ মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফিরদের সাহায্য করে তাহলে সে কাফির হয়ে যাবে; কেননা সে মুসলিদের ওপর মুশরিকদেরকে প্রাধান্য দিয়েছে। এরূপ প্রাধান্য দেয়া প্রমাণ করে, সে ইসলামকে অপছন্দ করে, আল্লাহ ও রাসূলকে অপছন্দ করে। এরূপ করা কুফরী ও ধর্মহীনতা।
যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলাকে অপছন্দ করবে, অথবা আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলকে অপছন্দ করবে অথবা আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা নিয়ে এসেছেন তার কোন কিছু অপছন্দ করবে সে ব্যক্তি কাফির হয়ে যাবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(ذٰلِكَ بِأَنَّهُمْ كَرِهُوْا مَآ أَنْزَلَ اللّٰهُ فَأَحْبَطَ أَعْمَالَهُمْ)
“কারণ, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তা তারা অপছন্দ করছে; তাই আল্লাহ তাদের আমল বরবাদ করে দিয়েছেন।” (সূরা মুহাম্মাদ ৪৭:৯)
مرض (ব্যাধি) এখানে ব্যাধি অর্থ হল সংশয় ও সন্দেহ।
অর্থাৎ দীন ইসলামের ব্যাপারে যাদের সন্দেহ ও কপটতা রয়েছে তারা ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানদের সাথে বন্ধুত্ব করতে তড়িঘড়ি করে।
دائرة ‘মুসিবত’অর্থাৎ তারা বলে আমরা ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানদের সাথে বন্ধুত্ব রাখি এ আশংকায় যে, ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানগণ মুসলিমদের ওপর জয়ী হলে তখন আমাদের খুব কাজে আসবে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন: তিনি অচিরেই ইসলাম ও মুসলিমদেরকে মক্কা বিজয় দেবেন। তখন মুনাফিকরা তাদের কৃতকর্মের জন্য আফসোস করবে, কিন্তু কোন কাজ হবে না।
‘শ্রীঘ্রই আল্লাহ বিজয় দেবেন’ এখানে বিজয় দ্বারা উদ্দেশ্য হল মক্কা বিজয়। (তাফসীর মুয়াসসার – ১১৭)
অতএব যে ইয়াহূদী ও খ্রীষ্টানেরা ইসলাম ও মুসিলমদের চরম শত্র“, পদে পদে মুসলিমদের ক্ষতি করার ষড়যন্ত্র করে তাদের লেবাস-পোষাক, আচার-আচরণ, কাজ-কর্ম পছন্দ করত তাদেরকে যারা বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছে তাদের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. অমুসলিমদের সাথে সুসম্পর্ক রাখা ধর্মহীনতা ও হারাম।
২. কেবল মুনাফিকরাই কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব রাখতে পারে।
৩. মু’মিনদের উপেক্ষা করে কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব করা ইসলাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার শামিল।
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Al Mayadah
Verse:- 51-53
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ امَنُواْ لَا تَتَّخِذُواْ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى
O you who believe! Do not take friends from the Jews and the Christians,
The Prohibition of Taking the Jews, Christians and Enemies of Islam as Friends
Allah says;
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ امَنُواْ لَا تَتَّخِذُواْ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى أَوْلِيَاء بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاء بَعْضٍ
O you who believe! Do not take friends from the Jews and the Christians, as they are but friends of each other.
Allah forbids His believing servants from having Jews and Christians as friends, because they are the enemies of Islam and its people, may Allah curse them.
Allah then states that they are friends of each other and He gives a warning threat to those who do this,
وَمَن يَتَوَلَّهُم مِّنكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ
And if any among you befriends them, then surely he is one of them.
Ibn Abi Hatim recorded that;
Umar ordered Abu Musa Al-Ashari to send him on one sheet of balance the count of what he took in and what he spent. Abu Musa then had a Christian scribe, and he was able to comply with Omar’s demand.
Umar liked what he saw and exclaimed, “This scribe is proficient. Would you read in the Masjid a letter that came to us from Ash-Sham?”
Abu Musa said, `He cannot.”
Umar said, “Is he not pure?”
Abu Musa said, “No, but he is Christian.”
Abu Musa said, “So `Umar admonished me and poked my thigh (with his finger), saying, `Drive him out (from Al-Madinah).’
He then recited,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ امَنُواْ لَا تَتَّخِذُواْ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى أَوْلِيَاء
O you who believe! Take not the Jews and the Christians as friends…”
Then he reported that Abdullah bin `Utbah said,
“Let one of you beware that he might be a Jew or a Christian, while unaware.”
The narrator of this statement said, “We thought that he was referring to the Ayah,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ امَنُواْ لَا تَتَّخِذُواْ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى أَوْلِيَاء
(O you who believe! Take not the Jews and the Christians as friends),”
إِنَّ اللّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ
Verily, Allah guides not those people who are the wrongdoers.
Allah said
فَتَرَى الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِم مَّرَضٌ
And you see those in whose hearts there is a disease…,
A disease of doubt, hesitation and hypocrisy.
يُسَارِعُونَ فِيهِمْ
they hurry to their friendship,
meaning, they rush to offer them their friendship and allegiances in secret and in public.
يَقُولُونَ نَخْشَى أَن تُصِيبَنَا دَايِرَةٌ
saying:”We fear lest some misfortune of a disaster may befall us.”
They thus offer this excuse for their friendship and allegiances to the disbelievers, saying that they fear that the disbelievers might defeat the Muslims, so they want to be in favor with the Jews and Christians, to use this favor for their benefit in that eventuality!
Allah replied,
فَعَسَى اللّهُ أَن يَأْتِيَ بِالْفَتْحِ
Perhaps Allah may bring a victory…,
According to As-Suddi,
referring to the conquering of Makkah.
أَوْ أَمْرٍ مِّنْ عِندِهِ
or a decision according to His will,
As-Suddi stated,
means, requiring the Jews and Christians to pay the Jizyah.
فَيُصْبِحُواْ
Then they will become,
meaning, the hypocrites who gave their friendship to the Jews and Christians, will become,
عَلَى مَا أَسَرُّواْ فِي أَنْفُسِهِمْ
for what they have been keeping as a secret in themselves,
of allegiances,
نَادِمِينَ
regretful.
for their friendship with the Jews and Christians which did not benefit them or protect them from any harm. Rather, it was nothing but harm, as Allah exposed their true reality to His faithful servants in this life, although they tried to conceal it.
When the signs that exposed their hypocrisy were compiled against them, their matter became clear to Allah’s faithful servants. So the believers were amazed at these hypocrites who pretended to be believers, swearing to their faithfulness, yet their claims were all lies and deceit.
This is why Allah said,
وَيَقُولُ الَّذِينَ امَنُواْ أَهَـوُلاء الَّذِينَ أَقْسَمُواْ بِاللّهِ جَهْدَ أَيْمَانِهِمْ إِنَّهُمْ لَمَعَكُمْ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فَأَصْبَحُواْ خَاسِرِينَ
And those who believe will say, “Are these the men who swore their strongest oaths by Allah that they were with you!” All that they did has been in vain, and they have become the losers.
তাফসীর ইবনে কাসীর:-
৫১-৫৩ নং আয়াতের তাফসীর:
এখানে আল্লাহ তাআলা ইসলামের শত্রু ইয়াহুদী ও খ্রীষ্টানদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করতে মুমিনদেরকে নিষেধ করছেন। তিনি বলছেন- তারা কখনও তোমাদের বন্ধু হতে পারে না। কেননা, তোমাদের ধর্মের প্রতি তাদের হিংসা ও শক্রতা রয়েছে। হ্যাঁ, তারা নিজেরা একে অপরের বন্ধু বটে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব কায়েম করবে তারা তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে। হযরত উমার (রাঃ) হযরত আবু মূসা (রাঃ)-কে এ ব্যাপারে পূর্ণ সচেতন করেছিলেন এবং এ আয়াতটি পড়ে শুনিয়েছিলেন।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উবা বলেনঃ “হে লোক সকল! তোমরা এ থেকে বেঁচে থাকো যে, তোমরা নিজেরা জানতেই পারবে না, অথচ আল্লাহর কাছে ইয়াহুদী ও নাসারা বলে পরিগণিত হয়ে যাবে।” বর্ণনাকারী বলেন, আমরা বুঝে গেলাম যে, এ আয়াতের ভাবার্থই তার উদ্দেশ্য।
যাদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তারা গোপনীয়ভাবে ইয়াহুদী ও খ্রীষ্টানদের সাথে যোগাযোগ ও ভালবাসা স্থাপন করে থাকে এবং অজুহাত পেশ করে বলে-এরা যদি মুসলমানদের উপর জয়যুক্ত হয়ে যায় তবে না জানি আমরা বিপদে পড়ে যাই। এ জন্যই তাদের সাথে মিল রাখছি। কারও মন চটিয়ে আমাদের লাভ কি? আল্লাহ পাক বলেন-খুব সম্ভব, আল্লাহ মুসলমানদেরকে স্পষ্ট বিজয় দান করবেন। মক্কাও তাদের হাতে বিজিত হবে এবং শাসনকর্তা তারাই হবে। আল্লাহ তাদেরই পায়ের নীচে হুকুমত নিক্ষেপ করবেন অথবা ইয়াহূদী নাসারাদেরকে পরাজিত করে তাদেরকে লাঞ্ছিত করতঃ তাদের নিকট থেকে জিযিয়া কর আদায় করার নির্দেশ তিনি মুসলমানদেরকে প্রদান করবেন। সুতরাং আজ যেসব মুনাফিক গোপনীয়ভাবে ইয়াহুদী ও খ্রীষ্টানদের সাথে সংযোগ স্থাপন করছে এবং নেচে কুদে বেড়াচ্ছে, সেদিন এ চালাকির জন্যে তাদেরকে রক্তাশ্রু বহাতে হবে। তাদের পর্দা সেদিন খুলে যাবে। ঐ সময় মুসলমানরা তাদের এ চক্রান্তের উপর বিস্ময়বোধ করবে এবং বলবেঃ আরে! এরা কি ওরাই, যারা আমাদেরকে শপথ করে করে বলতো যে, তারা অমাদের সাথেই আছে! তারা যা কিছু করেছিল সব বিনষ্ট হয়ে গেল। (আরবী) তো হচ্ছে জমহরের কিরআত। (আরবী) ছাড়াও একটি কিরআত রয়েছে। মদীনাবাসীর কিরআত এটাই। ইয়াকুলু হচ্ছে মুবতাদা এবং এর অন্য কিরআত ইয়াকুলা আছে। তাহলে এটা ফাআসা এর উপর আতফ হবে। এটা যেন ওয়া আঁইয়াকুলা ছিল। মদীনাবাসীর মতে এই আয়াতগুলোর শানে নকূল এই যে, উহুদ যুদ্ধের পর একটি লোক বলে- “আমি এ ইয়াহূদীর সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করেছি, যাতে সুযোগ আসলে আমি এর দ্বারা উপকৃত হতে পারি।” অপর একটি লোক বললোঃ “আমি অমুক খ্রীষ্টানের নিকট গমনাগমন করে থাকি এবং তার সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করে আমি তাকে সাহায্য করবো।” তখন এ আয়াতগুলো অবতীর্ণ হয়।
ইকরামা (রঃ) বলেন যে, লুবাবাহ ইবনে মুনযিরের ব্যাপারে এ আয়াতগুলো অবতীর্ণ হয়। যখন নবী (সঃ) তাঁকে বানু কুরাইযার নিকট প্রেরণ করেন তখন তারা তাকে জিজ্ঞেস করে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) আমাদের সাথে কিরূপ ব্যবহার করবেন? তখন তিনি স্বীয় গলদেশের প্রতি ইঙ্গিত করেন অর্থাৎ তিনি ইঙ্গিতে বলেনঃ “তিনি তোমাদের সকলকে হত্যা করবেন।”
একটি বর্ণনায় আছে যে, এ আয়াতগুলো আবদুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সালের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়। হযরত উবাদাহ্ ইবনে সামিত (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে বলেনঃ বহু ইয়াহদীর সাথে আমার বন্ধুত্ব আছে, কিন্তু তাদের সবারই বন্ধুত্ব ভেঙ্গে দিলাম। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সঃ)-এর বন্ধুত্বই আমার জন্যে যথেষ্ট। তখন ঐ মুনাফিক (আবদুল্লাহ ইবনে উবাই) বললোঃ আগা-পিছা চিন্তা করা আমার অভ্যাস। আমার দ্বারা এটা হতে পারে না। বলা যায় না কোন সময় কি হয়। তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে বললেনঃ “হে আবদুল্লাহ! তুমি উবাদা। (রাঃ) হতে খুবই নিম্নস্তরে নেমে গেছ।” ঐ সময় এ আয়াতগুলো অবতীর্ণ হয়।
আর একটি বর্ণনায় আছে যে, বদর যুদ্ধে যখন মুশকিরদের পরাজয় ঘটে তখন কতক মুসলমান তাদের সাথে বন্ধুত্ব সূত্রে আবদ্ধ ইয়াহূদীদেরকে বললেনঃ “তোমাদের পরিণামও এরূপই হবে। সুতরাং এর পূর্বেই তোমরা সত্য ধর্ম (ইসলাম) কবুল করে নাও।” উত্তরে তারা বললোঃ “যুদ্ধবিদ্যায় অনভিজ্ঞ কতক কুরাইশের উপর জয়লাভ করে অহংকারে মেতে ওঠো না। যদি আমাদের সাথে যুদ্ধের পালা পড়ে তবে যুদ্ধ কাকে বলে তা জেনে নেবে। সেই সময় হযরত উবাদা (রাঃ) ও আবদুল্লাহ ইবনে উবাই-এর মধ্যে ঐ কথোপকথন হয় যা উপরে বর্ণিত হলো।
যখন ইয়াহুদীদের এ গোত্রের সাথে মুসলমানদের যুদ্ধ বাঁধে এবং আল্লাহ পাকের অনুগ্রহে মুসলমানরা জয়।ভ করেন তখন আবদুল্লাহ ইবনে উবাই রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে বলতে থাকেঃ হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আমার বন্ধুদের ব্যাপারে আমার উপর অনুগ্রহ করুন। এ লোকগুলো খাযরা গোত্রের সঙ্গী ছিল। রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে কোন উত্তর দিলেন না। সে আবার বললো। তিনি মুখ ফিরিয়ে নিলেন। সে তখন তাঁর অঞ্চল ধরে লটকে গেল। তিনি রাগতঃ স্বরে বললেনঃ “ছেড়ে দাও।” সে বললোঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! না, আমি ছাড়বো না, যে পর্যন্ত না আপনি তাদের প্রতি অনুগ্রহ করেন। তাদের দল খুবই বড় এবং আজ পর্যন্ত তারা আমার পক্ষ অবলম্বন করে আসছে। আর একদিনেই তারা ধ্বংসের ঘাটে অবতরণ করছে! আমার তো খুব ভয় হচ্ছে যে, ভবিষ্যতে হয় তো আমাদেরকে কঠিন বিপদের সম্মুখীন হতে হবে।” অবশেষে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ “যাও, ঐ সব কিছু তোমারই জন্যে অবধারিত।” অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে যে, যখন বান্ কাইনুকার ইয়াহূদীরা রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর সাথে যুদ্ধ করে এবং আল্লাহ তাদেরকে পরাজয়ের গ্লানি ভোগ করান, তখন আবদুল্লাহ ইবনে উবাই রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর সামনে তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে। কিন্তু হযরত উবাদা ইবনে সামিত (রাঃ) তাদের বন্ধু হওয়া সত্ত্বেও তাদের পক্ষে সুপারিশ করতে স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেন। তখন ‘হুমুল গালেবুনা পর্যন্ত আয়াতগুলো। অবতীর্ণ হয়। মুসনাদে আহমাদে রয়েছে যে, আবদুল্লাহ ইবনে উবাই রোগাক্রান্ত হয়ে পড়লে রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে দেখতে যান এবং বলেনঃ “আমি তো তোমাকে বারবার ঐ ইয়াহূদীদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করতে নিষেধ করেছিলাম। তখন সে বললোঃ “সা’দ ইবনে যারারা’ (রাঃ) তো তাদের সাথে শত্রুতা করতেন, তথাপি তিনি তো মারা গেছেন।”
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
টিকা:৮৪) তখনো পর্যন্ত আরবে কুফর ও ইসলামের দ্বন্দ্বের কোন মীমাংসা হয়নি। যদিও নিজের আনসারীদের কর্মতৎপরতা, সাধনা ও আত্মত্যাগের কারণে ইসলাম একটি শক্তিতে পরিণত হয়েছিল তবুও বিরুদ্ধ শক্তিগুলোও ছিল প্রবল পরাক্রান্ত। ইসলামের বিজয়ের সম্ভাবনা যেমন ছিল তেমনি কুফরের বিজয়ের সম্ভাবনাও ছিল। তাই মুসলমানদের মধ্যে যেসব মোনাফেক বিদ্যমান ছিল তারা ইসলামী দলের মধ্যে থেকেও ইহুদী ও খৃস্টানদের সাথেও সম্পর্ক রাখতে চাইতো। তারা ভাবতো, ইসলাম ও কুফরের এ দ্বন্দ্বে যদি ইসলামের পরাজয় ঘটে যায় তাহলে তাদের জন্য যেন কোন একটা আশ্রয় স্থল অবশিষ্ট থাকে। এছাড়াও সে সময় আরবে খৃস্টান ও ইহুদীদের অর্থবল ছিল সবচেয়ে বেশী। মহাজনী ব্যবসায়ের বেশীর ভাগ ছিল তাদের হাতে। আরবের সবচেয়ে উর্বর ও শস্য শ্যামল ভূখণ্ড ছিল তাদের অধিকারে। তাদের সুদখোরীর জাল চারদিকে ছড়িয়ে ছিল। কাজেই অর্থনৈতিক কারণেও এ মোনাফেকরা তাদের সাথে নিজেদের আগের সম্পর্ক অটুট রাখতে চাইতো। তাদের ধারণা ছিল, ইসলাম ও কুফরের এ সংঘর্ষে পুরোপুরি জড়িয়ে পড়ে আমরা যদি ইসলামের সাথে বর্তমানে বিরোধে ও যুদ্ধে লিপ্ত সম্প্রদায়গুলোর সাথে নিজেদের সম্পর্ক ছিন্ন করি, তাহলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উভয় দিক দিয়েই এটা হবে আমাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ও বিপজ্জনক।
টিকা:৮৫) অর্থাৎ চূড়ান্ত বিজয়ের চাইতে কম পর্যায়ের এমন কোন জিনিস যার মাধ্যমে লোকদের মনে বিশ্বাস জন্মে যে, জয় পরাজয়ের চূড়ান্ত ফয়সালা ইসলামের পক্ষেই হবে।
টিকা:৮৬) অর্থাৎ ইসলামের বিধান মেনে চলতে গিয়ে তারা যা কিছু করলোঃ নামায পড়লো, রোযা রাখলো, যাকাত দিল, জিহাদে শরীক হলো, ইসলামী আইনের আনুগত্য করলো–এসব কিছুই এ জন্য নষ্ট হয়ে গেলো যে, ইসলামের ব্যাপারে তাদের মনে আন্তরিকতা ও একনিষ্ঠতা ছিল না এবং তারা সবার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে একমাত্র আল্লাহর সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে একমাত্র তারই অনুগত বান্দায় পরিণত হয়ে যায়নি। বরং নিজেদের পার্থিব স্বার্থের কারণে তারা আল্লাহ ও তাঁর বিদ্রোহীদের মধ্যে নিজেদেরকে অর্ধেক অর্ধেক ভাগ করে রেখেছিল।
তাফসীরে আবুবকর যাকারিয়া বলেছেন:-
[১] আল্লামা শানকীতী বলেন, বিভিন্ন আয়াত থেকে এটাই বুঝা যায় যে, কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারটি ঐ সময়ই হবে, যখন ব্যক্তির সেখানে ইচ্ছা বা এখতিয়ার থাকবে। কিন্তু যখন ভয়-ভীতি বা সমস্যা থাকবে, তখন তাদের সাথে বাহ্যিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কস্থাপনের অনুমতি ইসলাম শর্তসাপেক্ষে দিয়েছে। তা হচ্ছে, যতটুকু করলে তাদের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রেও আন্তরিক বন্ধুত্ব থাকতে পারবে না। [আদওয়াউল বায়ান]
[২] মুজাহিদ বলেন, এখানে যাদের অন্তরে অসুখ রয়েছে বলে মুনাফিকদেরকে বোঝানো হয়েছে। তারা ইয়াহুদীদের সাথে গোপন শলা-পরামর্শ ও তাদের খাতির করে কথা বলতে সাচ্ছন্দ বোধ করে। অনুরূপভাবে তারা তাদের সন্তানদের দুধ পান করাতেও অভ্যস্ত। এমতাবস্থায় তাদের আন্তরিক সম্পর্ক ইয়াহুদীদের সাথেই থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাই তারা সবসময় ভাবে যে, ইয়াহুদীদেরই বিজয় হবে। আর তখন তাদের কাছ থেকে তারা বাড়তি সুবিধা পাবে। [তাবারী]
[৩] মুসলিমরা সে বিজয় দেখেছিল। সুদ্দী বলেন, সে বিজয় হচ্ছে, মক্কা বিজয়। [তাবারী] কাতাদা বলেন, এখানে বিজয় বলে আল্লাহর ফয়সালা বুঝানো হয়েছে। তাবার কাতাদা আরও বলেন, মুনাফিকরা তখন ইয়াহুদীদের সাথে তাদের যে গোপন আঁতাত, ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও তাদের বিরুদ্ধাচারণ ও এতদসংক্রান্ত যাবতীয় কার্যকলাপের জন্য লজ্জিত হবে । [তাবারী]
[৪] এ আয়াতে বিষয়টি আরো পরিস্কার করে বলা হয়েছে যে, যখন মুনাফেকদের মুখোশ উন্মোচিত হবে এবং তাদের বন্ধুত্বের দাবী ও শপথের স্বরূপ ফুটে উঠবে, তখন মুসলিমরা বিস্ময়াভিভূত হয়ে বলবে, এরাই কি আমাদের সাথে আল্লাহর নামে কঠোর শপথ করে বন্ধুত্বের দাবী করত? আজ এদের সব লোকদেখানো ধর্মীয় কার্যকলাপই বিনষ্ট হয়ে গেছে। আলোচ্য আয়াতসমূহে আল্লাহ তা’আলা যে অবস্থার কথা বর্ণনা করেছে, অল্প কিছু দিনের মধ্যেই প্রত্যেক মুমিন-মুসলিম সবাই তার বাস্তব চিত্র প্রত্যক্ষ করেছিল। [সা’দী] আল্লামা শানকীতী বলেন, মুনাফিকদের মিথ্যা শপথের মূল কারণ হচ্ছে, তারা প্রচন্ড ভীতুপ্রকৃতির মানুষ ছিল। যদি কোথাও পালাবার পথ তাদের জানা থাকত তবে তারা সেটাই করত। [আদওয়াউল বায়ান]
তাফসীরে আহসানুল বায়ান বলেছেন:-
[১] এখানে ইয়াহুদ ও খ্রিষ্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। কেননা তারা ইসলাম ও মুসলমানের শত্রু। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব রাখবে তাদের জন্য কঠিন শাস্তির কথাও ঘোষণা করা হয়েছে যে, তারা তদেরই দলভুক্ত বলে গণ্য হবে। (বিস্তারিত দেখুন, সূরা আলে-ইমরানের ৩:২৮ ও ৩:১১৮ নং আয়াতের টীকা)
[২] প্রত্যেক মানুষ কুরআনে বর্ণিত এই প্রকৃতত্বকে লক্ষ্য করতে পারে যে, ইয়াহুদ ও খ্রিষ্টানরা তাদের পরষ্পরের মধ্যে আকীদাগত কঠিন মতভেদ এবং পরষ্পরের মধ্যে বিদ্বেষ ও শত্রুতা বিদ্যমান আছে; কিন্তু তা সত্ত্বেও ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে তারা একে অপরের পৃষ্ঠপোষক ও সহায়ক।
[৩] এই আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার কারণ হিসাবে বলা হয় যে, উবাদা বিন স্বামেত আনসারী (রাঃ) এবং মুনাফিকদের সর্দার আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই দু’জনেই জাহেলিয়াতের যুগ থেকে ইয়াহুদীদের সাথে মৈত্রীচুক্তিতে আবদ্ধ ছিল। বদরের যুদ্ধে যখন মুসলিমগণ বিজয়ী হলেন, তখন আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই নিজেকে মুসলিম বলে প্রকাশ করল। এদিকে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই বানু কাইনুকার ইয়াহুদীরা ফিতনার আগুন জ্বালিয়ে দিল এবং তা নির্বাপিত করা হল। এর ফলে উবাদা (রাঃ) ইয়াহুদীদের সাথে মৈত্রী-সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করে দিলেন। কিন্তু আব্দুল্লাহ বিন উবাই বিপরীত পথ অবলম্বন করে ইয়াহুদীদেরকে বাঁচানোর জন্য সমস্ত রকম প্রচেষ্টা শুরু করে দিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে এই আয়াত অবতীর্ণ হয়।
[৪] উদ্দেশ্য মুনাফেকী বা কপটতা রয়েছে। অর্থাৎ মুনাফিকরা ইয়াহুদীদের সাথে ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব করার ব্যাপারে তড়িঘড়ি করে।
[৫] অর্থাৎ, মুসলিমরা পরাজিত হলে তার ফলে হয়তো আমাদেরকেও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। কিন্তু যদি ইয়াহুদীদের সাথে মিত্রতা-বন্ধুত্ব থাকে, তাহলে সেই সময়ে আমাদের বড়ই উপকার হবে।
[৬] অর্থাৎ, মুসলমানদেরকে।
[৭] ইয়াহুদ ও নাসারাদের উপর জিযিয়া-কর নির্ধারণ করবেন। এ আয়াত বানু কুরাইযাকে হত্যা ও তাদের সন্তানদেরকে বন্দী এবং বানু নাযীরকে নির্বাসিত করার প্রতি ইঙ্গিত বহন করে; যা তা অদূর ভবিষ্যতেই সংঘটিত হয়েছিল।