(Book# 114/٢٥٧)-৪৫৯ www.motaher21.net সুরা: আল-আনয়াম ১১১ নং আয়াত:- وَلَوْ أَنَّنَا نَزَّلْنَا إِلَيْهِمُ الْمَليِكَةَ আমি যদি তাদের কাছে মালাক অবতীর্ণ করতাম, And even if We had sent down unto them angels,

أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ

(Book# 114/٢٥٧)-৪৫৯
www.motaher21.net
সুরা: আল-আনয়াম
১১১ নং আয়াত:-

وَلَوْ أَنَّنَا نَزَّلْنَا إِلَيْهِمُ الْمَليِكَةَ
আমি যদি তাদের কাছে মালাক অবতীর্ণ করতাম,
And even if We had sent down unto them angels,

وَ لَوۡ اَنَّنَا نَزَّلۡنَاۤ اِلَیۡہِمُ الۡمَلٰٓئِکَۃَ وَ کَلَّمَہُمُ الۡمَوۡتٰی وَ حَشَرۡنَا عَلَیۡہِمۡ کُلَّ شَیۡءٍ قُبُلًا مَّا کَانُوۡا لِیُؤۡمِنُوۡۤا اِلَّاۤ اَنۡ یَّشَآءَ اللّٰہُ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَہُمۡ یَجۡہَلُوۡنَ ﴿۱۱۱﴾
আমি যদি তাদের কাছে মালাক অবতীর্ণ করতাম, আর মৃতরাও যদি তাদের সাথে কথা বলত এবং দুনিয়ার সমস্তই যদি আমি তাদের চোখের সামনে সমবেত করতাম, তবুও তারা ঈমান আনতনা আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত। কিন্তু তাদের অধিকাংশই মূর্খ।

১১১ নং আয়াতের তাফসীর:
তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ বলেছেন:-

পূর্বের আয়াতে যেমন বলা হয়েছে যে, কাফিররা আল্লাহ তা‘আলার নামে শপথ করে বলে- এবার কোন নিদর্শন আসলে অবশ্যই আমরা ঈমান আনব। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তাদের কাছে ফেরেশতা পাঠানো হলে, তাদের সাথে মৃত ব্যক্তি কথা বললে, এমনকি তাদের সামনে প্রত্যেক বস্তু হাজির করে দিলেও তারা ঈমান আনবে না। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

(إِنَّ الَّذِيْنَ حَقَّتْ عَلَيْهِمْ كَلِمَتُ رَبِّكَ لَا يُؤْمِنُوْنَ – وَلَوْ جَا۬ءَتْهُمْ كُلُّ اٰيَةٍ حَتّٰي يَرَوُا الْعَذَابَ الْأَلِيْمَ)

“নিশ্চয়ই যাদের বিরুদ্ধে তোমার প্রতিপালকের বাক্য সাব্যস্ত হয়ে গেছে, তারা ঈমান আনবে না, যদিও তাদের নিকট সকল নিদর্শন আসে (তবুও তারা ঈমান আনবে না) যতক্ষণ না তারা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে।” (সূরা ইউনুস ১০:৯৬-৯৭)

আল্লাহ তা‘আলা যাদের হিদায়াত দিতে ইচ্ছা করেন কেবল তারাই হিদায়াত পায়।

আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:

১. যারা সত্য মেনে নেয়ার তারা সহজেই মেনে নেয় আর যারা না মানার তাদের শত নিদর্শন দেখালেও মানবে না।

English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura Anam
Verses :- 111

وَلَوْ أَنَّنَا نَزَّلْنَا إِلَيْهِمُ الْمَليِكَةَ

And even if We had sent down unto them angels,

Allah says:

وَلَوْ أَنَّنَا نَزَّلْنَا إِلَيْهِمُ الْمَليِكَةَ

And even if We had sent down unto them angels,

Allah says:`Had We accepted what the disbelievers asked for,’ that is — those who swore their strongest oaths by Allah that if a miracle came to them they would believe in it — `had We sent down angels,’ to convey to them Allah’s Message, in order to support the truth of the Messengers, as they asked, when they said,
أَوْ تَأْتِيَ بِاللّهِ وَالْمَليِكَةِ قَبِيلً
(or you bring Allah and the angels before (us) face to face). (17:92)

قَالُواْ لَن نُّوْمِنَ حَتَّى نُوْتَى مِثْلَ مَأ أُوتِىَ رُسُلُ اللَّهِ

They said:”We shall not believe until we receive the like of that which the Messengers of Allah had received.” (6:124)

and,

وَقَالَ الَّذِينَ لَا يَرْجُونَ لِقَأءَنَا لَوْلَا أُنزِلَ عَلَيْنَا الْمَلَـيِكَةُ أَوْ نَرَى رَبَّنَا لَقَدِ اسْتَكْبَرُواْ فِى أَنفُسِهِمْ وَعَتَوْا عُتُوّاً كَبِيراً

And those who expect not a meeting with Us said:”Why are not the angels sent down to us, or why do we not see our Lord!” Indeed they think too highly of themselves, and are scornful with great pride. (25:21)

Allah said,

وَكَلَّمَهُمُ الْمَوْتَى

and the dead had spoken unto them,

This is, to inform them of the truth of what the Messengers brought them;

وَحَشَرْنَا عَلَيْهِمْ كُلَّ شَيْءٍ قُبُلً

and We had gathered together all things before them,

Ali bin Abi Talhah and Al-Awfi reported from Ibn Abbas,

before their eyes.

This is the view of Qatadah and Abdur-Rahman bin Zayd bin Aslam.

This Ayah means, if all nations were gathered before them, one after the other, and each one testifies to the truth of what the Messengers came with,

مَّا كَانُواْ لِيُوْمِنُواْ إِلاَّ أَن يَشَاء اللّهُ

they would not have believed, unless Allah willed,

for guidance is with Allah not with them. Certainly, Allah guides whom He wills and misguides whom He wills, and He does what He wills,
لَاا يُسْأَلُ عَمَّا يَفْعَلُ وَهُمْ يُسْأَلُونَ
(He cannot be questioned about what He does, while they will be questioned). (21:23)

This is due to His knowledge, wisdom, power, supreme authority and irresistibility.

Similarly, Allah said,

إِنَّ الَّذِينَ حَقَّتْ عَلَيْهِمْ كَلِمَةُ رَبِّكَ لَا يُوْمِنُونَ

وَلَوْ جَأءَتْهُمْ كُلُّ ءايَةٍ حَتَّى يَرَوُاْ الْعَذَابَ الاٌّلِيمَ

Truly, those, against whom the Word (wrath) of your Lord has been justified, will not believe. Even if every sign should come to them, until they see the painful torment. (10:96-97)

وَلَـكِنَّ أَكْثَرَهُمْ يَجْهَلُونَ

but most of them behave ignorantly.

তাফসীরে ইবনে ‌কাসীর বলেছেন:-

আল্লাহ পাক বলেনঃ যারা কসম করে করে বলে যে, তারা কোন নিদর্শনও মু’জিযা দেখতে পেলে অবশ্যই ঈমান আনবে, তাদের প্রার্থনা যদি আমি ককূল করি এবং তাদের উপর ফেরেশতাও অবতীর্ণ করি যারা রাসূলদেরকে সত্যায়িত করবে এবং তোমার (মুহাম্মাদ সঃ-এর) রিসালাতের সাক্ষ্য প্রদান করবে, তথাপিও তারা ঈমান আনবে না। যেমন আল্লাহ তা’আলা তাদের উক্তি উদ্ধৃত করে বলেনঃ “আপনি আল্লাহ এবং ফেরেশতাদেরকে এনে হাজির করুন। আর আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমান আনবো না যতক্ষণ পর্যন্ত অন্যান্য রাসূলদের মত আপনিও নিদর্শনসমূহ পেশ না করবেন।” “যারা আমার সাথে সাক্ষাতের বিশ্বাস রাখে না তারা বলে- আমাদের উপর কেন ফেরেশতা অবতীর্ণ করা হয় না, কেন আমরা আমাদের প্রভুকে দেখতে পাই না? এরা বড়ই একগুয়েমি ও অবাধ্যতার মধ্যে রয়েছে।” “আর যদি ফেরেশতাও তাদের কাছে এসে কথা বলে এবং রাসূলদেরকে সত্যায়িত করে ও সমস্ত জিনিসের ভান্ডার তাদের কাছে এনে জমা করে দেয়, তথাপি তারা ঈমান আনবে না।” (আরবী) শব্দটিকে কেউ কেউ (আরবী) -এ যের দিয়ে এবং -কে যবর দিয়ে পড়েছেন, যার অর্থ হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। আবার কেউ কেউ দু’টোকেই পেশ দিয়ে পড়েছেন, যার কারণে অর্থ দাঁড়িয়েছে-“দলে দলে লোক এসেও যদি রাসূলদেরকে সত্যায়িত করে তথাপিও তারা ঈমান আনবে না। হিদায়াত দান তো একমাত্র আল্লাহর হাতে। যতই লোক হাক না লে তাদেরকে হিদায়াত করতে পারবে না। তিনি যা চান তা-ই করেন। তিনি সলকেই প্রশ্ন করবেন, কিন্তু তাকে প্রশ্ন করা যেতে পারে না। যেমন তিনি বলেনঃ “(হে নবী সঃ!) যাদের উপর তোমার প্রভুর কথা সত্য ও পূর্ণ হয়ে গেছে। তারা সমস্ত নিদর্শন দেখলেও ঈমান আনবে না, যে পর্যন্ত না তারা বেদনাদায়ক শাস্তি অবলোকন করে।”

তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
টিকা:৭৮) অর্থাৎ তারা নিজেদের স্বাধীন নির্বাচন ক্ষমতা ব্যবহার করে মিথ্যার মোকাবিলায় সত্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে গ্রহণ করার ইচ্ছা পোষণ করে না। এমতাবস্থায় তাদের সত্যপন্থী হবার কেবলমাত্র একটি পথ বাকি থাকে। সেটি হচ্ছে, সৃষ্টিগত ও প্রকৃতিগতভাবে যেমন প্রতিটি স্বাধীন ক্ষমতাহীন সৃষ্টিকে সত্যপন্থী হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে ঠিক তেমনি তাদের থেকেও স্বাধীন ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়ে প্রকৃতিগত ও জন্মগতভাবে তাদেরকে সত্যপন্থী বানিয়ে দেয়া। কিন্তু আল্লাহ্‌ যে কর্মকৌশলের ভিত্তিতে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন এটি তার পরিপন্থী। কাজেই আল্লাহ্‌ সরাসরি তাঁর প্রকৃতিগত ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাদেরকে মু’মিন বানিয়ে দেবেন, তোমাদের এ ধরনের আশা করা বাতুলতা ছাড়া আর কিছুই নয়।

Leave a Reply