(Book# 114/٢٧٠)-৪৭২ www.motaher21.net সুরা: আল-আনয়াম ১৩০ নং আয়াত:- يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالاِنسِ أَلَمْ يَأْتِكُمْ رُسُلٌ مِّنكُمْ হে জিন ও মানব জাতি! তোমাদের কাছে কি তোমাদের মধ্য হতেই নাবী রাসূল আসেনি? “O you assembly of Jinn and humans! Did not there come to you Messengers from among you,”?

أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ

(Book# 114/٢٧٠)-৪৭২
www.motaher21.net
সুরা: আল-আনয়াম
১৩০ নং আয়াত:-

يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالاِنسِ أَلَمْ يَأْتِكُمْ رُسُلٌ مِّنكُمْ
হে জিন ও মানব জাতি! তোমাদের কাছে কি তোমাদের মধ্য হতেই নাবী রাসূল আসেনি?
“O you assembly of Jinn and humans! Did not there come to you Messengers from among you,”?

یٰمَعۡشَرَ الۡجِنِّ وَ الۡاِنۡسِ اَلَمۡ یَاۡتِکُمۡ رُسُلٌ مِّنۡکُمۡ یَقُصُّوۡنَ عَلَیۡکُمۡ اٰیٰتِیۡ وَ یُنۡذِرُوۡنَکُمۡ لِقَآءَ یَوۡمِکُمۡ ہٰذَا ؕ قَالُوۡا شَہِدۡنَا عَلٰۤی اَنۡفُسِنَا وَ غَرَّتۡہُمُ الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَا وَ شَہِدُوۡا عَلٰۤی اَنۡفُسِہِمۡ اَنَّہُمۡ کَانُوۡا کٰفِرِیۡنَ ﴿۱۳۰﴾
(কিয়ামাত দিবসে আল্লাহ জিজ্ঞেস করবেন) হে জিন ও মানব জাতি! তোমাদের কাছে কি তোমাদের মধ্য হতেই নাবী রাসূল আসেনি যারা তোমাদের কাছে আমার আয়াতসমূহ বর্ণনা করত এবং আজকের এ দিনের ব্যাপারে তোমাদের সাক্ষাত হওয়ার ভীতি প্রদর্শন করেনি? তারা জবাব দিবেঃ হ্যাঁ, আমরাই আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিচ্ছি (অর্থাৎ আমরা অপরাধ করেছি), পার্থিব জীবনই তাদেরকে ধোঁকায় নিপতিত করেছিল। আর তারাই নিজেদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে যে, তারা কাফির ছিল।

তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ বলেছেন:-

(أَلَمْ يَأْتِكُمْ رُسُلٌ مِّنْكُمْ)

‘তোমাদের মধ্য হতে কি রাসূলগণ তোমাদের কাছে আসেনি’অর্থাৎ কাফির জিন ও মানুষকে আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন এ কথা জিজ্ঞেস করবেন। আল্লাহ তা‘আলা তো সবকিছু জানেন, তারপরেও জিজ্ঞেস করবেন; কারণ হচ্ছে তাদের থেকে স্বীকৃতি নেয়া। তাই তারা স্বীকৃতি দিয়ে বলবে:

(شَهِدْنَا عَلٰٓي أَنْفُسِنَا وَغَرَّتْهُمُ الْحَيٰوةُ الدُّنْيَا وَشَهِدُوْا عَلٰٓي أَنْفُسِهِمْ أَنَّهُمْ كَانُوْا كٰفِرِيْنَ)

‘‘আমরা আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলাম।’বস্তুত পার্থিব জীবন তাদেরকে প্রতারিত করেছিল, আর তারা নিজেদের বিরুদ্ধে এ সাক্ষ্যও দেবে যে, তারা কাফির ছিল।”(সূরা আন‘আম ৬:১৩০)

এ কথা সর্বজনবিদিত যে, রাসূলগণ কেবল মানুষের মধ্য হতে আগমন করেছেন, জিনদের মধ্য হতে নয়। এ ব্যাপারে কুরআনে অসংখ্য আয়াত রয়েছে। এসবের অন্যতম আয়াত হল:

(وَمَآ أَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ إِلَّا رِجَالًا نُّوْحِيْٓ إِلَيْهِمْ مِّنْ أَهْلِ الْقُرٰي)

“তোমার পূর্বেও জনপদবাসীর মধ্য হতে পুরুষগণকেই প্রেরণ করেছিলাম, যাদের নিকট ওয়াহী পাঠাতাম। (সূরা ইউসুফ ১২:১০৯)

ইবরাহীম (রাঃ) সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

(وَيَعْقُوْبَ وَجَعَلْنَا فِيْ ذُرِّيَّتِهِ النُّبُوَّةَ وَالْكِتٰبَ)

“তার বংশধরদের জন্য স্থির করলাম নবুওয়াত ও কিতাব।”(সূরা আনকাবুত ২৯:২৭)

তবে হ্যাঁ, জিনদের থেকে ভীতি প্রদর্শনকারী রয়েছে যারা নাবী রাসূলদের থেকে শিখে স্বজাতিকে ভীতি প্রদর্শন করত। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

(وَإِذْ صَرَفْنَآ إِلَيْكَ نَفَرًا مِّنَ الْجِنِّ يَسْتَمِعُوْنَ الْقُرْاٰنَ ج فَلَمَّا حَضَرُوْهُ قَالُوْآ أَنْصِتُوْا ج فَلَمَّا قُضِيَ وَلَّوْا إِلٰي قَوْمِهِمْ مُّنْذِرِيْنَ)

“ (হে রাসূল! এ ঘটনাটাও উল্লেখ করার মত যে) আমি একদল জিনকে তোমার‎ দিকে নিয়ে এসেছিলাম, যাতে তারা কুরআন শুনে। যখন ওরা ঐ জায়গায় পৌঁছল (যেখানে তুমি কুরআন তেলাওয়াত করছিলে) তখন একে অপরকে বলেছিল, তোমরা চুপ করে শোন। তারপর যখন কুরআন পড়া হয়ে গেল তখন তারা নিজ কাওমের নিকট সতর্ককারী হয়ে ফিরে গেল।”(সূরা আহকাফ ৪৬:২৯)

নাবী ও রাসূল প্রেরণের উদ্দেশ্য এই যে, কোন জাতি জুলুম করল আর সে সম্পর্কে অবগত না করেই ধ্বংস করেন এমনটি যাতে না হয় এবং যাতে কিয়ামতের দিন কেউ ওযর পেশ করতে না পারে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

(وَمَا كُنَّا مُعَذِّبِيْنَ حَتّٰي نَبْعَثَ رَسُوْلًا)

“আমি রাসূল না পাঠান পর্যন্ত‎ কাউকেও শাস্তি‎ দেই না।”(সূরা ইসরা ১৭:১৫)

অন্যত্র তিনি বলেন:

(رُسُلاً مُّبَشِّرِيْنَ وَمُنْذِرِيْنَ لِئَلَّا يَكُوْنَ لِلنَّاسِ عَلَي اللّٰهِ حُجَّةٌۭ بَعْدَ الرُّسُلِ ط وَكَانَ اللّٰهُ عَزِيْزًا حَكِيْمًا)

“সুসংবাদদাতা ও সাবধানকারী রাসূল প্রেরণ করেছি, যাতে রাসূল আসার পর আল্লাহর বিরুদ্ধে মানুষের কোন অভিযোগ না থাকে। আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।”(সূরা নিসা ৩:১৬৫)

তাফসীরে ইবনে ‌কাসীর বলেছেন:-

এখানে আল্লাহ পাক কাফির দানব ও মানবকে সতর্ক করে বলছেন-হে জ্বিন ও মানব গোষ্ঠী! আমি কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে জিজ্ঞেস করবো, তোমাদের কাছে আমার নবীরা এসে কি তাদের নবুওয়াতের দায়িত্ব পালন করেনি? এটাকে (আরবী) বলা হয়। অর্থাৎ অবশ্যই তোমাদের কাছে আমার নবীরা এসে তোমাদেরকে কিয়ামতের দিন সম্পর্কে ভয় প্রদর্শন করেছিল। রাসূল শুধুমাত্র মানুষের মধ্যেই ছিলেন, জ্বিনদের মধ্যে কোন রাসূল হননি। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, রাসূল শুধু বানী আদমের মধ্যেই হয়ে থাকেন এবং জ্বিনদের মধ্যে থাকে ভয় প্রদর্শক, যারা তাদেরকে আল্লাহর শাস্তি থেকে ভয় প্রদর্শন করে থাকে। ইবনে মাযাহিমের ধারণা এই যে, জ্বিনদের মধ্যেও রাসুল আছে এবং স্বীয় দাবীর অনুকূলে এই আয়াতে কারীমা দলীল রূপে পেশ করেছেন। কিন্তু এটা বিশেষ চিন্তা করার বিষয়। কেননা এটা কোন নিশ্চিত কথা নয়। কারণ, কোন আয়াতেই এ বিষয়ের ব্যাখ্যা নেই। খুব বেশী বললে একথা বলা যেতে পারে যে, জ্বিনদের মধ্যে নবী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মাত্র। আল্লাহই সবচেয়ে বেশী জানেন। এটা আল্লাহ পাকের নিম্নের আয়াতের মত। তিনি বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “তিনি দুটি সমুদ্রকে সম্মিলিত করেছেন, ফলে পরস্পরে মিলিত হয়ে আছে। এতদুভয়ের মধ্যে একটি অনতিক্রমনীয় অন্তরায় রয়েছে।” (৫৫:১৯-২০) এরপর তিনি বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “এতদুভয়ের মধ্য হতে মুক্তা ও প্রবাল-রত্নসমূহ বের হয়ে থাকে।” (৫৫:২২) এখন এটা স্পষ্ট কথা যে, মুক্তা ও প্রবাল-রত্ন লবণাক্ত সমুদ্রের মধ্যেই থাকে, মিষ্ট পানির সমুদ্রের মধ্যে থাকে না। তাহলে যেমন মুক্তা ও প্রবাল-রত্নকে মিষ্ট ও লবণাক্ত উভয় সমুদ্রের সাথে সম্বন্ধযুক্ত করা হয়েছে, ঠিক অদ্রুপই রাসূলদেরকে দানব ও মানব উভয়ের মধ্যেই গণনা করা হয়েছে। ইবনে জারীর (রঃ)-ও এই উত্তরই দিয়েছেন। রাসূলগণ যে শুধু মানুষের মধ্য থেকেই হয়েছেন এটা আল্লাহ পাকের উক্তিতেই রয়েছে। তিনি বলেনঃ (আরবী) পর্যন্ত (৪:১৬৩-১৬৫)। আর ইবরাহীম (আঃ)-এর যিক্র সম্পর্কিত আল্লাহ তা’আলার (আরবী) (২৯:২৭) এই উক্তিতেও রয়েছে। এর দ্বারা জানা গেল যে, হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর পরে নবুওয়াত ও কিতাবকে তার সন্তানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। আর কোন লোকেরই এই উক্তি নেই যে, হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর পূর্বে নবুওয়াত জ্বিনদের মধ্যে ছিল এবং তাঁকে প্রেরণ করার পরে তাদের নবুওয়াত শেষ হয়ে গেছে। মোটকথা জ্বিনদের মধ্যে নবুওয়াত থাকা হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর পূর্বেও প্রমাণিত হচ্ছে না এবং তার পরেও না। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “হে রাসূল (সঃ)! তোমার পূর্বে আমি যেসব রাসূল পাঠিয়েছিলাম তারাও খাদ্য খেতো এবং বাজারে চলাফেরা করতো।” আর এক জায়গায় তিনি বলেনঃ “হে নবী (সঃ)! তোমার পূর্বে আমি যাদেরকে রাসূল হিসেবে পাঠিয়েছিলাম তারা তাদের গ্রামবাসীদেরই অন্তর্ভুক্ত ছিল। আর এটা জানা কথা যে, রিসালাতের ব্যাপারে জ্বিনেরা মানুষের অনুসারী। এ জন্যেই জ্বিনদের সম্পর্কে খবর দিতে গিয়ে আল্লাহ পাক বলেন-“হে নবী (সঃ)! জ্বিনদের একটি দলকে আমি তোমার দিকে ফিরিয়ে দিয়েছি। তারা কুরআন শুনতে থাকে। যখন তারা কুরআনের মজলিসে হাযির হয় তখন পরস্পর বলাবলি করে-তোমরা নীরবতা অবলম্বন করে কুরআন শুনতে থাক। যখন কুরআন পাঠ শেষ হয় তখন তারা তাদের কওমের কাছে গিয়ে তাদেরকে আল্লাহ থেকে ভয় প্রদর্শন করে এবং বলে- হে আমার সঙ্গীরা, আমরা একটা কিতাব শুনেছি যা হযরত মূসা (আঃ)-এর পরে অবতীর্ণ হয়েছে এবং যা তাওরাতের সত্যতা প্রতিপাদনকারী, আর সত্য কথা ও সোজা সরল পথের দিশা দিয়ে থাকে। হে বন্ধুরা! আল্লাহর দিকে আহ্বানকারীর আহ্বানে সাড়া দাও এবং তার উপর ঈমান আন। তাহলে আল্লাহ তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করে দিবেন এবং যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে তোমাদেরকে মুক্তি দান করবেন। আর যদি কেউ আল্লাহর আহ্বানকারীর আহ্বানে সাড়া না দেয় এবং কাফির থেকে যায় তবে সে আল্লাহকে অপারগ করতে পারে না এবং আল্লাহ তার ওলী হতে পারেন না। এসব লোক বড়ই বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যাবে।” জামিউত তিরমিযীতে রয়েছে যে, নবী (সঃ) সূরায়ে আর রাহমান পাঠ করেন এবং তাতে নিম্নের আয়াত পড়েনঃ (আরবী) অর্থাৎ “হে জ্বিন ও মানব! আমি তোমাদের (হিসাব গ্রহণের নিমিত্ত শীঘ্রই অবসর গ্রহণ করবো।” (৫৫:৩১)।

মহান আল্লাহ বলেনঃ “হে আমার মানব ও দানবের দল! তোমাদের কাছে কি আল্লাহর রাসূলগণ এসেছিল না, যারা আমার আয়াতগুলো তোমাদেরকে পড়ে শুনাতো এবং আজকের দিনের সাক্ষাৎ সম্পর্কে তোমাদেরকে সতর্ক করতো? তারা উত্তরে বলবে- হে আল্লাহ! আমরা স্বীকার করছি যে, আপনার রাসূলগণ আমাদের কাছে আপনার বাণী প্রচার করেছিলেন এবং আমাদেরকে আপনার সাথে সাক্ষাৎ হওয়া সম্পর্কে ভয়ও দেখিয়েছিলেন, আর তারা আমাদেরকে এ কথাও বলেছিলেন যে, আজকের এ দিনটা (অর্থাৎ কিয়ামত) অবশ্যই সংঘটিত হবে।”

(আরবী) অর্থাৎ পার্থিব জীবনই তাদেরকে ধোকায় নিপতিত রেখেছিল। পার্থিব জীবনে তারা ইফরাত’ ও ‘তাফরীত’ অর্থাৎ অত্যধিক ও অত্যল্পের মধ্যে জড়িয়ে পড়েছিল এবং রাসূলদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে ও মু’জিযাগুলোর বিরুদ্ধাচরণ করে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। কেননা, তারা পার্থিব জীবনের সুখ সম্ভোগে এবং প্রবৃত্তির অনুসরণে গ্রেপ্তার হয়ে পড়েছিল। আর কিয়ামতের দিন তারা নিজেদেরই বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে যে, তারা কাফির ছিল।

English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura Anam
Verses :- 130

يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالاِنسِ أَلَمْ يَأْتِكُمْ رُسُلٌ مِّنكُمْ

“O you assembly of Jinn and humans! Did not there come to you Messengers from among you,”?

Chastising the Jinns and Humans after their Admission that Allah Sent Messengers to Them

Allah will chastise the disbelieving Jinns and humans on the Day of Resurrection, when He asks them, while having better knowledge, if the Messengers delivered His Messages to them,

يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالاِنسِ أَلَمْ يَأْتِكُمْ رُسُلٌ مِّنكُمْ

“O you assembly of Jinn and humans! Did not there come to you Messengers from among you,”

We should note here that the Messengers are from among mankind only, not vice versa, as Mujahid, Ibn Jurayj and others from the Imams of Salaf and later generations have stated. The proof for this is that Allah said,

إِنَّا أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ كَمَا أَوْحَيْنَا إِلَى نُوحٍ وَالنَّبِيِّينَ مِن بَعْدِهِ

Verily, We have sent the revelation to you as We sent the revelation to Nuh and the Prophets after him. (4:163) until,

رُّسُلً مُّبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَ لِيَلَّ يَكُونَ لِلنَّاسِ عَلَى اللّهِ حُجَّةٌ بَعْدَ الرُّسُلِ

Messengers as bearers of good news as well as of warning in order that mankind should have no plea against Allah after the (coming of) Messengers. (4:165)

Allah said, concerning the Prophet Ibrahim,

وَجَعَلْنَا فِى ذُرِّيَّتِهِ النُّبُوَّةَ وَالْكِتَـبَ

And We ordained among his offspring Prophethood and the Book. (29:27),

thus sending the Prophethood and the Book exclusively through the offspring of the Prophet Ibrahim. No one has claimed that there were Prophets from among the Jinns before the time of Ibrahim, but not after that.

Allah said,

وَمَأ أَرْسَلْنَا قَبْلَكَ مِنَ الْمُرْسَلِينَ إِلاَّ إِنَّهُمْ لَيَأْكُلُونَ الطَّعَامَ وَيَمْشُونَ فِى الاٌّسْوَاقِ

And We never sent before you any of the Messengers but verily, they ate food and walked in the markets. (25:20)

and,

وَمَأ أَرْسَلْنَا مِن قَبْلِكَ إِلاَّ رِجَالاً نُّوحِى إِلَيْهِمْ مِّنْ أَهْلِ الْقُرَى

And We sent not before you any but men unto whom We revealed, from among the people of townships. (12:109)

Therefore, concerning Prophethood, the Jinns follow mankind in this regard and this is why Allah said about them,

وَإِذْ صَرَفْنَأ إِلَيْكَ نَفَراً مِّنَ الْجِنِّ يَسْتَمِعُونَ الْقُرْءَانَ فَلَمَّا حَضَرُوهُ قَالُواْ أَنصِتُواْ فَلَمَّا قُضِىَ وَلَّوْاْ إِلَى قَوْمِهِم مُّنذِرِينَ

قَالُواْ يقَوْمَنَأ إِنَّا سَمِعْنَا كِتَـباً أُنزِلَ مِن بَعْدِ مُوسَى مُصَدِّقاً لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ يَهْدِى إِلَى الْحَقِّ وَإِلَى طَرِيقٍ مُّسْتَقِيمٍ

يقَوْمَنَأ أَجِيبُواْ دَاعِىَ اللَّهِ وَءَامِنُواْ بِهِ يَغْفِرْ لَكُمْ مِّن ذُنُوبِكُمْ وَيُجِرْكُمْ مِّنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ

وَمَن لاَّ يُجِبْ دَاعِىَ اللَّهِ فَلَيْسَ بِمُعْجِزٍ فِى الاٌّرْضَ وَلَيْسَ لَهُ مِن دُونِهِ أَوْلِيَأءُ أُوْلَـيِكَ فِى ضَلَـلٍ مُّبِينٍ

And (remember) when We sent towards you a group of the Jinn, listening to the Qur’an. When they stood in the presence thereof, they said:”Listen in silence!” And when it was finished, they returned to their people, as warners. They said:”O our people! Verily, we have heard a Book sent down after Musa, confirming what came before it, it guides to the truth and to the straight way. O our people! Respond to Allah’s caller, and believe in him. He (Allah) will forgive you your sins, and will save you from a painful torment (i.e. Hell-fire). And whosoever does not respond to Allah’s caller, he cannot escape on earth, and there will be no helpers for him besides Allah. Those are in manifest error. (46:29-32)

A Hadith collected by At-Tirmidhi stated that;

the Messenger of Allah recited Surah Ar-Rahman, to these Jinns, in which Allah said,

سَنَفْرُغُ لَكُمْ أَيُّهَا الثَّقَلَنِ

فَبِأَىِّ ءَالاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ

We shall attend to you, O you two classes (Jinn and men)! Then which of the blessings of your Lord will you both (Jinn and men) deny! (55:31-32)

Allah said in this honorable Ayah,

يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالاِنسِ أَلَمْ يَأْتِكُمْ رُسُلٌ مِّنكُمْ

يَقُصُّونَ عَلَيْكُمْ ايَاتِي وَيُنذِرُونَكُمْ لِقَاء يَوْمِكُمْ هَـذَا قَالُواْ شَهِدْنَا عَلَى أَنفُسِنَا

O you assembly of Jinn and humans! “Did not there come to you Messengers from amongst you, reciting unto you My verses and warning you of the meeting of this Day of yours!” They will say:”We bear witness against ourselves.”

meaning, we affirm that the Messengers have conveyed Your Messages to us and warned us about the meeting with You, and that this Day will certainly occur.

Allah said next,

وَغَرَّتْهُمُ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا

It was the life of this world that deceived them.

and they wasted their lives and brought destruction to themselves by rejecting the Messengers and denying their miracles. This is because they were deceived by the beauty, adornment and lusts of this life.

وَشَهِدُواْ عَلَى أَنفُسِهِمْ

And they will bear witness against themselves,

on the Day of Resurrection,

أَنَّهُمْ كَانُواْ كَافِرِينَ

that they were disbelievers…

in this worldly life, rejecting what the Messengers, (may Allah’s peace and blessings be on them), brought them.

তাফসীরে আবুবকর ‌যাকারিয়া‌ বলেছেন:-
ষোলতম রুকূ’

[১] এ আয়াতে একটি প্রশ্ন ও উত্তর বর্ণিত হয়েছে। এ প্রশ্নটি হাশরের ময়দানে জ্বিন ও মানবকে করা হবে। প্রশ্নটি এইঃ তোমরা কি কারণে কুফর ও আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত হলে? তোমাদের কাছে কি আমার নবী পৌঁছেননি? তিনি তো তোমাদের মধ্য থেকেই ছিল এবং আমার আয়াতসমূহ তোমাদেরকে পাঠ করে শোনাত, আজকের দিনের উপস্থিতি এবং হিসাব-কিতাবের ভয় প্রদর্শন করত। এর উত্তরে তাদের সবার পক্ষ থেকে নবীগণের আগমন, আল্লাহর বাণী পৌঁছানো এবং এতদসত্ত্বেও কুফরে লিপ্ত হওয়ার স্বীকারোক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। [কুরতুবী] এ ভ্রান্ত কর্মের কোন কারণ ও হেতু তাদের পক্ষ থেকে বর্ণনা করা হয়নি; বরং আল্লাহ নিজেই এর কারণ বর্ণনা করেছেন যে, (وَّغَرَّتْهُمُ الْحَيٰوةُ الدُّنْيَا)” অর্থাৎ তাদেরকে পার্থিব জীবন ও ভোগ-বিলাস ধোকায় ফেলে দিয়েছে।“ ফলে তারা একেই মূখ্য মনে করে বসেছে, অথচ এটা প্রকৃতপক্ষে কিছুই নয়। এভাবে তারা দুনিয়ার জীবনে রাসূলদের উপর মিথ্যারোপ করেছিল, তাদের আনিত সত্যে ঈমান আনতে অস্বীকার করেছিল। তাদের উপস্থাপিত মু’জিযার বিরোধিতায় লিপ্ত ছিল। [ইবন কাসীর]

[২] অর্থাৎ এভাবে তারা হাশরের মাঠে নিজেদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়ে বলবে যে, তারা দুনিয়াতে কাফের ছিল। আয়াতে প্রণিধানযোগ্য বিষয় এই যে, অন্য কতিপয় আয়াতে তারা মুখ মুছে অস্বীকার করবে এবং রব-এর দরবারে কসম খেয়ে মিথ্যা বলবে,

(وَاللّٰهِ رَبِّنَا مَا كُنَّا مُشْرِكِيْنَ)

অর্থাৎ আমাদের রব-এর কসম, আমরা কখনো মুশরিক ছিলাম না। [সূরা আল-আন’আম: ২৩] অথচ এ আয়াত থেকে জানা যাচ্ছে যে, তারা অনুতাপ সহকারে স্বীয় কুফর ও শির্ক স্বীকার করে নেবে। অতএব, আয়াতদ্বয়ের মধ্যে বাহ্যতঃ পরস্পর বিরোধিতা দেখা দেয়। কিন্তু অন্যান্য আয়াতে এভাবে এর ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে, প্রথমে যখন তাদেরকে প্রশ্ন করা হবে, তখন তারা অস্বীকার করবে। সে মতে আল্লাহ্ তা’আলা স্বীয় কুদরাত-বলে তাদের মুখ বন্ধ করে দেবেন। হাত, পা ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাক্ষ্য নেবেন। সেদিন আল্লাহর কুদরাতে সেগুলো বাকশক্তিপ্রাপ্ত হবে। সেগুলো পরিস্কারভাবে তাদের কুকর্মের ইতিবৃত্ত বর্ণনা করে দেবে। তখন জ্বিন ও মানব জানতে পারবে যে, তাদের হাত, পা, কান, জিহবা সবই ছিল আল্লাহর গুপ্ত প্রহরী, যারা সব কাজ-কারবার ও অবস্থার অভ্রান্ত রিপোর্ট প্রদান করছে। এমতাবস্থায় তাদের আর অস্বীকার করার জো থাকবে না। তখন তারা সবাই পরিস্কার ভাষায় অপরাধ স্বীকার করে নেবে। [যামাখশারী; কুরতুবী; ফাতহুল কাদীর]

Leave a Reply