أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book# 114/٢٨٦)-৪৮৮
www.motaher21.net
সুরা: আল-আনয়াম
সুরা:৬
১৬১-১৬৩ নং আয়াত:-
قُلۡ اِنَّ صَلَاتِیۡ وَ نُسُکِیۡ وَ مَحۡیَایَ وَ مَمَاتِیۡ لِلّٰہِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۱۶۲﴾ۙ
তুমি বলে দাওঃ আমার সালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মরণ সব কিছু সারা জাহানের রাব্ব আল্লাহর জন্য।
Say:”Verily, my Salah, my sacrifice, my living, and my dying are for Allah, the Lord of the all that exists.”
قُلۡ اِنَّنِیۡ ہَدٰىنِیۡ رَبِّیۡۤ اِلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ ۬ۚ دِیۡنًا قِیَمًا مِّلَّۃَ اِبۡرٰہِیۡمَ حَنِیۡفًا ۚ وَ مَا کَانَ مِنَ الۡمُشۡرِکِیۡنَ ﴿۱۶۱﴾
তুমি বলঃ নিঃসন্দেহে আমার রাব্ব আমাকে সঠিক ও নির্ভুল পথে পরিচালিত করেছেন। ওটাই সুপ্রতিষ্ঠিত দীন এবং ইবরাহীমের অবলম্বিত আদর্শ যা সে ঐকান্তিক নিষ্ঠার সাথে গ্রহণ করেছিল। আর সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলনা।
قُلۡ اِنَّ صَلَاتِیۡ وَ نُسُکِیۡ وَ مَحۡیَایَ وَ مَمَاتِیۡ لِلّٰہِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۱۶۲﴾ۙ
তুমি বলে দাওঃ আমার সালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মরণ সব কিছু সারা জাহানের রাব্ব আল্লাহর জন্য।
لَا شَرِیۡکَ لَہٗ ۚ وَ بِذٰلِکَ اُمِرۡتُ وَ اَنَا اَوَّلُ الۡمُسۡلِمِیۡنَ ﴿۱۶۳﴾
তাঁর কোন শরীক নেই, আমি এর জন্য আদিষ্ট হয়েছি, আর মুসলিমদের মধ্যে আমিই হলাম প্রথম।
১৬১-১৬৩ নং আয়াতের তাফসীর:
তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ বলেছেন:-
আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সঠিক পথের হিদায়াত দিয়ে যে অনুগ্রহ করেছেন তা প্রকাশ করতে নির্দেশ দিচ্ছেন, যে দীন বা সঠিক পথের একনিষ্ঠ অনুসারী ছিলেন ইবরাহীম (আঃ)। কারণ মক্কার মুশরিকরা দাবি করত তারা সঠিক পথের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং তারা ইবরাহীমের মিল্লাতের ওপর রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَجَاهِدُوْا فِي اللّٰهِ حَقَّ جِهَادِهِ ط هُوَ اجْتَبٰكُمْ وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّيْنِ مِنْ حَرَجٍ ط مِلَّةَ أَبِيْكُمْ إِبْرٰهِيْمَ)
“এবং জিহাদ কর আল্লাহর পথে যেভাবে জিহাদ করা উচিত। তিনি তোমাদেরকে মনোনীত করেছেন। তিনি দীনের ব্যাপারে তোমাদের ওপর কোন কঠোরতা আরোপ করেননি। এটাই তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের ধর্ম।”(সূরা হজ্জ ২২:৭৮) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(اِنَّ اِبْرٰھِیْمَ کَانَ اُمَّةً قَانِتًا لِّلّٰهِ حَنِیْفًاﺚ وَلَمْ یَکُ مِنَ الْمُشْرِکِیْنَﺫ شَاکِرًا لِّاَنْعُمِھ۪ﺚ اِجْتَبٰٿھُ وَھَدٰٿھُ اِلٰی صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ وَاٰتَیْنٰھُ فِی الدُّنْیَا حَسَنَةًﺚ وَاِنَّھ۫ فِی الْاٰخِرَةِ لَمِنَ الصّٰلِحِیْنَﺚ ثُمَّ اَوْحَیْنَآ اِلَیْکَ اَنِ اتَّبِعْ مِلَّةَ اِبْرٰھِیْمَ حَنِیْفًاﺚ وَمَا کَانَ مِنَ الْمُشْرِکِیْنَ)
“নিশ্চয়ই ইব্রাহীম ছিল এক ‘উম্মাত’, আল্লাহর অনুগত, একনিষ্ঠ এবং সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না; সে ছিল আল্লাহর অনুগ্রহের জন্য কৃতজ্ঞ; আল্লাহ তাকে মনোনীত করেছিলেন এবং তাকে পরিচালিত করেছিলেন সরল পথে। আমি তাকে দুনিয়ায় দিয়েছিলাম মঙ্গল এবং নিশ্চয়ই আখিরাতেও সে সৎ কর্মপরায়ণদের অন্যতম। অতঃপর আমি তোমার প্রতি প্রত্যাদেশ করলাম, ‘তুমি একনিষ্ঠ ইব্রাহীমের ধর্মাদর্শ অনুসরণ কর; এবং সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।”(সূরা নাহল ১২:১২০-২৩)
قِيَمًا শব্দটি قَيِّمٌ ধাতুর অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এর অর্থ সুদৃঢ়, অর্থাৎ এ দীন সুদৃঢ় মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত যা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে আগত, কারও ব্যক্তিগত ধ্যান-ধারণা নয় এবং যাতে সন্দেহ হতে পারে এমন কোন নতুন ধর্মও নয় বরং এটিই ছিল পূর্ববর্তী নাবীদের ধর্ম। এখানে বিশেষভাবে ইবরাহীম (আঃ)-এর নাম উল্লেখ করার কারণ হল- ইয়াহুদ ও খ্রিস্টানসহ সকল আসমানী ধর্মের অনুসারীরা দাবী করে তারা ইবরাহীম (আঃ)-এর অনুসারী, ইবরাহীম (আঃ)-এর মিল্লাতের ওপর প্রতিষ্ঠিত। আল্লাহ তা‘আলা তাদের দাবীকে খণ্ডন করে জানিয়ে দিলেন যে, ইবরাহীম (আঃ) ইয়াহূদী ও খ্রিস্টান ছিলেন না এবং মুশরিকও ছিলেন না। তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ তাওহীদপন্থী মুসলিম।
(قُلْ إِنَّ صَلَاتِيْ وَنُسُكِيْ… )
‘বল: ‘আমার সালাত, আমার কুরবানী…’ এ আয়াতে তাওহীদে উলুহিয়্যার বর্ণনা দেয়া হচ্ছে। আমার জীবন, মরণ, সালাত, কুরবানী সবকিছু একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্য। এ তাওহীদের দিকে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-সহ সকল নাবীগণ দাওয়াত দিয়েছেন। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আল্লাহ তা‘আলা এ ঘোষণাও দিতে বলছেন যে, আমি আত্মসমর্পণ কারীদের মধ্যে প্রথম।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَآ أَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ مِنْ رَّسُوْلٍ إِلَّا نُوْحِيْٓ إِلَيْهِ أَنَّه۫ لَآ إِلٰهَ إِلَّآ أَنَا فَاعْبُدُوْنِ )
“আমি তোমার পূর্বে যখন কোন রাসূল প্রেরণ করেছি তার প্রতি এ ওয়াহী করেছি, ‘আমি ব্যতীত অন্য কোন সত্যিকার মা‘বূদ নেই; সুতরাং আমারই ‘ইবাদত কর।’(সূরা আম্বিয়াহ ২১:২৫)
নূহ (আঃ)ও এ ঘোষণা দিয়েছেন:
(فَإِنْ تَوَلَّيْتُمْ فَمَا سَأَلْتُكُمْ مِّنْ أَجْرٍ ط إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَي اللّٰهِ لا وَأُمِرْتُ أَنْ أَكُوْنَ مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ)
‘আর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে তোমাদের নিকট আমি তো কোন পারিশ্রমিক চাই না, আমার পারিশ্রমিক আছে একমাত্র আল্লাহর নিকট, আমি আত্মসমর্পণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হতে আদিষ্ট হয়েছি।’(সূরা ইউনুস ১০:৭২)
ইবরাহীম (আঃ)-কে যখন আল্লাহ তা‘আলা বললেন: اَسْلِمْ আত্মসমর্পণ কর। তখন তিনি বলেছিলেন-
(أَسْلَمْتُ لِرَبِّ الْعٰلَمِيْنَ)
“বিশ্বজগতসমূহের প্রতিপালকের কাছে আমি আত্মসমর্পণ করলাম।”(সূরা বাক্বারাহ ২:১৩১) এরূপ সকল নাবীদের কথা ও দাওয়াত একটাই ছিল। তাই আমাদের সকল কাজকর্ম একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাকে খুশি করার জন্য করা উচিত, তাঁর কাছেই আত্মসমর্পণ করা এবং তাঁর সাথে সকল প্রকার অংশী স্থাপন করা থেকে সাবধান থাকা উচিত।
(وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِيْنَ)
“আমিই প্রথম মুসলিম” অর্থাৎ এ উম্মাতের মধ্যে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ই প্রথম আল্লাহ তা‘আলার কাছে আত্মসমর্পণকারী। সুতরাং একজন মুসলিম তাঁর জীবন থেকে শুরু করে মরণ পর্যন্ত সকল ইবাদত ও কর্মকাণ্ড একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্য উৎসর্গ করবে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. জীবন-মরণসহ যাবতীয় ইবাদত একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্য।
২. সকল নাবীদের দাওয়াতী মিশন ছিল তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করা।
৩. ইবারাহীম (আঃ) একনিষ্ঠ মুসলিম ছিলেন। তিনি ইয়াহূদী, খ্রিস্টান অথবা মুশরিক ছিলেন না।
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura Anam
Sura:6
Verses :- 161-163
قُلۡ اِنَّ صَلَاتِیۡ وَ نُسُکِیۡ وَ مَحۡیَایَ وَ مَمَاتِیۡ لِلّٰہِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۱۶۲﴾ۙ
Say:”Verily, my Salah, my sacrifice, my living, and my dying are for Allah, the Lord of the all that exists.”
Islam is the Straight Path
Allah commands His prophet to;
قُلْ إِنَّنِي هَدَانِي رَبِّي إِلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ دِينًا قِيَمًا مِّلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا
وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ
Say:”Truly, my Lord has guided me to a straight path, a right religion, the religion of Ibrahim, Hanifan (monotheism) and he was not of the Mushrikin.”
Allah commands His Prophet, the chief of the Messengers, to convey the news of being guided to Allah’s straight path. This path is neither wicked, nor deviant,
دِينًا قِيَمًا
(a right religion…) that is, established on firm grounds,
مِّلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا
وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ
(The religion of Ibrahim, Hanifan and he was not of the Mushrikin).
Allah said in similar Ayat,
وَمَن يَرْغَبُ عَن مِّلَّةِ إِبْرَهِيمَ إِلاَّ مَن سَفِهَ نَفْسَهُ
And who turns away from the religion of Ibrahim except him who deludes himself! (2:130)
and,
وَجَـهِدُوا فِى اللَّهِ حَقَّ جِهَـدِهِ هُوَ اجْتَبَـكُمْ وَمَا جَعَلَ عَلَيْكمْ فِى الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ مِّلَّةَ أَبِيكُمْ إِبْرَهِيمَ
And strive hard in Allah’s cause as you ought to strive. He has chosen you, and has not laid upon you in religion any hardship:it is the religion of your father Ibrahim. (22:78)
and,
إِنَّ إِبْرَهِيمَ كَانَ أُمَّةً قَـنِتًا لِلَّهِ حَنِيفًا وَلَمْ يَكُ مِنَ الْمُشْرِكِينَ
شَاكِراً لانْعُمِهِ اجْتَبَـهُ وَهَدَاهُ إِلَى صِرَطٍ مُّسْتَقِيمٍ
وَءاتَيْنَـهُ فِى الْدُّنْيَا حَسَنَةً وَإِنَّهُ فِى الاٌّخِرَةِ لَمِنَ الصَّـلِحِينَ
ثُمَّ أَوْحَيْنَأ إِلَيْكَ أَنِ اتَّبِعْ مِلَّةَ إِبْرَهِيمَ حَنِيفًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ
Verily, Ibrahim was an Ummah (or a nation), obedient to Allah, a Hanif, and he was not one of the Mushrikin.
(He was) thankful for His (Allah’s) favors. He (Allah) chose him (as an intimate friend) and guided him to a straight path. And We gave him good in this world, and in the Hereafter he shall be of the righteous.
Then, We have sent the revelation to you (saying):”Follow the religion of Ibrahim, (he was a) Hanif, and he was not of the Mushrikin.” (16:120-123)
Ordering the Prophet to follow the religion of Ibrahim, the Hanifiyyah, does not mean that Prophet Ibrahim reached more perfection in it than our Prophet. Rather, our Prophet perfectly established the religion and it was completed for him; and none before him reached this level of perfection. This is why he is the Final Prophet, the chief of all the Children of Adam who holds the station of praise and glory, the honor of intercession on the Day of Resurrection. All creation (on that Day) will seek him, even Ibrahim the friend of Allah, peace be upon him (to request the beginning of Judgment).
Imam Ahmad recorded that Ibn Abbas said,
“The Messenger of Allah was asked, `Which religion is the best with Allah, the Exalted?’
He said,
الْحَنِيفِيَّةُ السَّمْحَة
Al-Hanifiyyah As-Samhah (the easy monotheism).”
The Command for Sincerity in Worship
Allah said next,
قُلْ إِنَّ صَلَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
Say:”Verily, my Salah, my sacrifice, my living, and my dying are for Allah, the Lord of the all that exists.”
Allah commands the Prophet to inform the idolators who worship other than Allah and sacrifice to something other than Him, that he opposes them in all this, for his prayer is for Allah, and his rituals are in His Name alone, without partners.
Allah said in a similar statement,
فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ
Therefore turn in prayer to your Lord and sacrifice. (108:2)
meaning, make your prayer and sacrifice for Allah alone.
As for the idolators, they used to worship the idols and sacrifice to them, so Allah commanded the Prophet to defy them and contradict their practices. Allah, the Exalted, commanded him to dedicate his intention and heart to being sincere for Him alone.
Mujahid commented,
إِنَّ صَلَتِي وَنُسُكِي
(Verily, my prayer and my Nusuk…),
refers to sacrificing during Hajj and Umrah.
لَا شَرِيكَ لَهُ
وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَاْ أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ
“He has no partner. And of this I have been commanded, and I am the first of the Muslims.”
Islam is the Religion of all Prophets
The Ayah,
وَأَنَاْ أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ
(and I am the first of the Muslims), means,
from this Ummah, according to Qatadah.
This is a sound meaning, because all Prophets before our Prophet were calling to Islam, which commands worshipping Allah alone without partners.
Allah said in another Ayah,
وَمَأ أَرْسَلْنَا مِن قَبْلِكَ مِن رَّسُولٍ إِلاَّ نُوحِى إِلَيْهِ أَنَّهُ لا إِلَـهَ إِلاَّ أَنَاْ فَاعْبُدُونِ
And We did not send any Messenger before you but We revealed to him (saying):”None has the right to be worshipped but I, so worship Me.” (21:25)
Allah informed us that Nuh said to his people,
فَإِن تَوَلَّيْتُمْ فَمَا سَأَلْتُكُمْ مِّنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِىَ إِلاَّ عَلَى اللَّهِ وَأُمِرْتُ أَنْ أَكُونَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ
But if you turn away, then no reward have I asked of you, my reward is only from Allah, and I have been commanded to be of the Muslims. (10:72)
Allah said,
وَمَن يَرْغَبُ عَن مِّلَّةِ إِبْرَهِيمَ إِلاَّ مَن سَفِهَ نَفْسَهُ وَلَقَدِ اصْطَفَيْنَـهُ فِي الدُّنْيَا وَإِنَّهُ فِى الاٌّخِرَةِ لَمِنَ الصَّـلِحِينَ
إِذْ قَالَ لَهُ رَبُّهُ أَسْلِمْ قَالَ أَسْلَمْتُ لِرَبِّ الْعَـلَمِينَ
وَوَصَّى بِهَأ إِبْرَهِيمُ بَنِيهِ وَيَعْقُوبُ يَـبَنِىَّ إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى لَكُمُ الدِّينَ فَلَ تَمُوتُنَّ إَلاَّ وَأَنتُم مُّسْلِمُونَ
And who turns away from the religion of Ibrahim except him who deludes himself Truly, We chose him in this world and verily, in the Hereafter he will be among the righteous.
When his Lord said to him, “Submit (i.e. be a Muslim)!”
He said, “I have submitted myself (as a Muslim) to the Lord of the all that exists.”
And this was enjoined by Ibrahim upon his sons and by Yaqub (saying), “O my sons! Allah has chosen for you the (true) religion, then die not except as Muslims.” (2:130-132)
Yusuf, peace be upon him, said,
رَبِّ قَدْ اتَيْتَنِى مِنَ الْمُلْكِ وَعَلَّمْتَنِى مِن تَأْوِيلِ الاٌّحَادِيثِ فَاطِرَ السَّمَـوَتِ وَالاٌّرْضِ أَنتَ وَلِىِّ فِى الدُّنُيَا وَالاٌّخِرَةِ تَوَفَّنِى مُسْلِمًا وَأَلْحِقْنِى بِالصَّـلِحِينَ
My Lord! You have indeed bestowed on me of the sovereignty, and taught me something of the interpretation of dreams — the (Only) Creator of the heavens and the earth! You are my Wali (Protector) in this world and in the Hereafter. Cause me to die as a Muslim, and join me with the righteous. (12:101)
Musa said,
وَقَالَ مُوسَى يقَوْمِ إِن كُنتُمْ ءامَنْتُمْ بِاللَّهِ فَعَلَيْهِ تَوَكَّلُواْ إِن كُنْتُم مُّسْلِمِينَ
فَقَالُواْ عَلَى اللَّهِ تَوَكَّلْنَا رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلْقَوْمِ الظَّـلِمِينَ
وَنَجِّنَا بِرَحْمَتِكَ مِنَ الْقَوْمِ الْكَـفِرِينَ
And Musa said:”O my people! If you have believed in Allah, then put your trust in Him if you are Muslims.”
They said:”In Allah we put our trust. Our Lord! Make us not a trial for the folk who are wrongdoers. And save us by your mercy from the disbelieving folk.” (10:84-86)
Allah said,
إِنَّأ أَنزَلْنَا التَّوْرَاةَ فِيهَا هُدًى وَنُورٌ يَحْكُمُ بِهَا النَّبِيُّونَ الَّذِينَ أَسْلَمُواْ لِلَّذِينَ هَادُواْ وَالرَّبَّانِيُّونَ وَالاٌّحْبَارُ
Verily, We did send down the Tawrah, therein was guidance and light, by which the Prophets, who submitted themselves to Allah’s will, judged for the Jews. And the rabbis and the priests (did also). (5:44)
and,
وَإِذْ أَوْحَيْتُ إِلَى الْحَوَارِيِّينَ أَنْ ءَامِنُواْ بِى وَبِرَسُولِى قَالُواْ ءَامَنَّا وَاشْهَدْ بِأَنَّنَا مُسْلِمُونَ
And when I (Allah) inspired Al-Hawariyyun (the disciples) (of Isa) to believe in Me and My Messenger, they said:”We believe. And bear witness that we are Muslims.” (5:111)
Therefore, Allah states that He sent all His Messengers with the religion of Islam, although their respective laws differed from each other, and some of them abrogated others. Later on, the Law sent with Muhammad abrogated all previous laws and nothing will ever abrogate it, forever. Certainly, Muhammad’s Law will always be apparent and its flags raised high, until the Day of Resurrection.
The Prophet said,
نَحْنُ مَعَاشِرُ الاَْنْبِيَاءِ أَوْلَادُ عَلَّتٍ دِينُنَا وَاحِد
We, the Prophets, are half brothers, but our religion is one.
Half brothers, mentioned in the Hadith, refers to the brothers to one father, but different mothers. Therefore, the religion, representing the one father, is one; worshipping Allah alone without partners, even though the laws which are like the different mothers in this parable, are different. Allah the Most High knows best.
Imam Ahmad recorded that Ali said that when the Messenger of Allah used to start the prayer with Takbir (saying, “Allahu Akbar” (Allah is the Great)) he would then supplicate,
وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالاَْرْضَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ صَلَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي للهِ رَبِّ الْعَالَمِين
I have directed my face towards He Who has created the heavens and earth, Hanifan and I am not among the Mushrikin. Certainly, my prayer, sacrifice, living and dying are all for Allah, Lord of the worlds.
اللَّهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لَا إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ أَنْتَ رَبِّي وَأَنَا عَبْدُكَ ظَلَمْتُ نَفْسِي وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ وَاهْدِنِي لاَِحْسَنِ الاَْخْلَقِ لَا يَهْدِي لاَِحْسَنِهَا إِلاَّ أَنْتَ وَاصْرِفْ عَنِّي سَيِّيَهَا لَا يَصْرِفُ عَنِّي سَيِّيَهَا إِلاَّ أَنْتَ تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْك
O Allah! You are the King, there is no deity worthy of worship except You. You are my Lord and I am Your servant. I have committed wrong against myself and admitted to my error, so forgive me all my sins. Verily, You, only You forgive the sins. (O Allah!) Direct me to the best conduct, for none except You directs to the best conduct. Divert me from the worst conduct, for only You divert from the worst conduct. Glorified and Exalted You are. I seek Your forgiveness and repent to You.
This Hadith, which was also recorded by Muslim in the Sahih, continues and mentions the Prophet’s supplication in his bowing, prostrating and final sitting positions.
তাফসীরে ইবনে কাসীর বলেছেন:-
১৬১-১৬৩ নং আয়াতের তাফসীর:
এখানে আল্লাহ তা’আলা স্বীয় নবী (সঃ)-কে নির্দেশ দিচ্ছেন, তুমি সংবাদ দিয়ে দাও-আল্লাহ তাঁর নবী (সঃ)-এর উপর কিরূপ ইন’আম বর্ষণ করেছেন যে, তাকে সরল সোজা পথে পরিচালিত করেছেন, যার মধ্যে কোন বক্রতা নেই। ওটা হচ্ছে একটা সুপ্রতিষ্ঠিত ধর্ম এবং ওটাই হচ্ছে মিল্লাতে ইবরাহীম (আঃ)। তিনি একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করতেন এবং তিনি কখনও শিক করেননি। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ “নির্বোধেরা ছাড়া আর কেউই মিল্লাতে ইবরাহীম (আঃ) থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় না।” অন্যত্র আল্লাহ পাক বলেনঃ “তোমরা আল্লাহর পথে এমন চেষ্টা তদবীর কর যেমন চেষ্টা তদবীরের হক রয়েছে। তিনি তোমাদেরকে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং দ্বীনের ব্যাপারে তিনি তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা রাখেননি, এটাই হচ্ছে তোমাদের পিতা ইবরাহীম (আঃ)-এর ধর্ম।” আর এক জায়গায় তিনি বলেনঃ “ইবরাহীম বড়ই আবেদ ছিল, সে ছিল নিষ্কলুষ অন্তরের অধিকারী এবং শিরুক থেকে বহু দূরে অবস্থানকারী। সে ছিল আল্লাহর নিয়ামতের বড়ই কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারী। আমি তাঁকে সরল-সোজা পথে পরিচালিত করেছিলাম। দুনিয়াতেও সে বহু পুণ্য লাভ করেছিল এবং আখিরাতেও সে আল্লাহর সৎ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হবে। এখন আমি তোমার কাছে এই অহী করছি যে, তুমি মিল্লাতে ইবরাহীম (আঃ) এর অনুসরণ করো।” নবী (সঃ)-কে মিল্লাতে ইবরাহীম (আঃ)-এর অনুসরণ করতে বলা হলো বলে যে তার উপর হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হলো তা নয়। কেননা, নবী (সঃ) হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর মাযহাবের অনুসরণের মাধ্যমে তার মাযহাবকে আরও সুদৃঢ় করেছেন এবং তার মাধ্যমেই হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর দ্বীন পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়েছে। অন্য কোন নবী তাঁর দ্বীনকে পূর্ণতা দানে সক্ষম হননি। আমাদের নবী (সঃ) তো খাতেমুল আম্বিয়া। তিনি সাধারণভাবে আদম সন্তানের নেতা এবং মাকামে মাহমূদের উপর তিনি সমাসীন থাকবেন। কিয়ামতের দিন সমস্ত মাখলুক তাঁরই দিকে ফিরে আসবে, এমন কি স্বয়ং ইবরাহীম খলীল (আঃ)-ও। ইবনে ইবী তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, যখন সকাল হতো তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলতেনঃ “আমরা মিল্লাতে ইসলাম ও কালেমায়ে ইখলাসের উপর এবং আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সঃ)-এর দ্বীনের উপর ও আমাদের পিতা একনিষ্ঠ ইবরাহীমের মিল্লাতের উপর সকাল করলাম যিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না।” ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হয়, “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আল্লাহর কাছে কোন দ্বীন সব চেয়ে প্রিয়?” তিনি উত্তরে বললেনঃ “ইবরাহীম হানীফ (আঃ)-এর ধর্ম।” (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ) মুসনাদে আহমাদে তাখরীজ করেছেন)
হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি স্বীয় থুনী রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর কাঁধের উপর রাখতাম এবং তাঁর পৃষ্ঠদেশের পিছনে থেকে হাবশীদের নাচ দেখতাম। অতঃপর যখন ক্লান্ত হয়ে পড়তাম তখন সরে আসতাম। ঐ দিন রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছিলেনঃ “ইয়াহূদীদের এটা জেনে নেয়া উচিত যে, আমাদের ধর্ম সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম এবং আমাকে এমন দ্বীন দিয়ে প্রেরণ করা হয়েছে যা শির্ক থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত।”
ইরশাদ হচ্ছে-হে নবী (সঃ)! তুমি বলে দাও, আমার নামায, আমার সকল ইবাদত, আমার জীবন এবং আমার মরণ সবই বিশ্বপ্রভু আল্লাহর জন্যে। যেমন অন্য জায়গায় আল্লাহ পাক কলেনঃ “হে নবী (সঃ)! তুমি তোমার প্রভুর জন্যেই নামায পড় এবং তারই জন্যে কুরবানী কর।”
মুশরিকরা তো মূর্তির পূজা করতো এবং মূর্তির নামেই কুরবানী করতো। আল্লাহ তাদের বিরুদ্ধাচরণ করার নির্দেশ দিচ্ছেন এবং ওদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে কলুষমুক্ত অন্তঃকরণ নিয়ে অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে আল্লাহর উপাসনায় নিমগ্ন থাকতে মুসলমানদেরকে হুকুম করছেন। যেমন তিনি স্বীয় নবী (সঃ)-কে বলতে বললেনঃ “নিশ্চয়ই আমার নামায, আমার ইবাদত-বন্দেগী সব কিছুই বিশ্ব প্রভু আল্লাহর জন্যে।” (আরবী) হজ্ব ও উমরা পালনের সময় কুরবানী করাকে বলা হয়। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) ঈদুল আযহার দিন দু’টি দুম্বা যবাই করেন এবং যবাই করার সময় বলেন : (আরবী) অর্থাৎ “নিশ্চয়ই আমি আমার মুখমণ্ডল সেই সত্তার দিকে একনিষ্ঠভাবে ফিরাচ্ছি যিনি আকাশসমূহ ও ভূ-মণ্ডল সৃষ্টি করেছেন এবং আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই। নিশ্চয়ই আমার নামায, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মরণ বিশ্বপ্রভু আল্লাহরই জন্যে। তার কোন অংশীদার নেই, আমি এর জন্যেই আদিষ্ট হয়েছি এবং আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে আমিই হলাম প্রথম।” (এটা ইবনে আবি হাতিম (রঃ) জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন)
(আরবী) দ্বারা ঐ উম্মতের প্রথম মুসলমান বুঝানো হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর পূর্ববর্তী সকল নবী ইসলামেরই দাওয়াত দিতেন। প্রকৃত ইসলাম হচ্ছে আল্লাহকে মা’বুদ মেনে নেয়া এবং তাঁকে এক ও শরীক বিহীন বলে বিশ্বাস করা। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ “হে নবী (সঃ)! আমি তোমার পূর্বে যতজন নবী পাঠিয়েছিলাম তাদের সকলের কাছেই এই অহী করেছিলাম যে, আল্লাহ এক, তার কোন অংশীদার নেই, সুতরাং তোমরা তাঁরই ইবাদত কর।” আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “নূহ তার কওমকে বললো-তোমরা যদি আমা থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও তবে বলতো- আমি কি তাবলীগ করার বিনিময়ে তোমাদের কাছে। কোন পারিশ্রমিক চাচ্ছি? আমাকে পারিশ্রমিক তো আল্লাহই প্রদান করবেন। আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, আমি যেন সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করি।” আর এক জায়গায় আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “যে মিল্লাতে ইবরাহীম (আঃ) থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় সে বড়ই নির্বোধ। আমি তাকে দুনিয়াতেও মনোনীত করেছি এবং পরকালেও সে আল্লাহর ইবাদতকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” যখন আল্লাহ ইবরাহীম (আঃ)-কে বললেনঃ ইসলাম গ্রহণ কর, তখন সে তৎক্ষণাৎ বলে উঠলো-আমি সারা জাহানের প্রভুর কাছে আত্মসমর্পণ করলাম। ইবরাহীম (আঃ) স্বীয় সন্তানদেরকে অসিয়ত করেছিলো এবং ইয়াকূব (আঃ)ঃ “হে আমার সন্তানগণ! আল্লাহ তোমাদের জন্যে এই দ্বীনকে নির্দিষ্ট করেছেন, সুতরাং তোমরা কখনও মুসলমান না হয়ে মরো না।” হযরত ইউসুফ (আঃ) বলেছিলেনঃ “হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে রাজত্বের বিরাট অংশ দান করেছেন এবং আমাকে স্বপ্নফল বর্ণনা শিক্ষা দিয়েছেন, হে আকাশসমূহের ও ভূ-মণ্ডলের সৃষ্টিকর্তা! আপনি আমার কার্য নির্বাহক দুনিয়াতেও আখিরাতেও, আমাকে পূর্ণ আনুগত্যের অবস্থায় দুনিয়া হতে উঠিয়ে নিন এবং আমাকে বিশিষ্ট নেক বান্দাদের মধ্যে পরিগণিত করুন।” হযরত মূসা (আঃ) বলেছিলেনঃ “হে আমার কওম! যদি তোমরা আল্লাহর উপর ঈমান এনে থাক তবে তাঁরই উপর ভরসা কর যদি তোমরা মুসলমান হও।” তখন তাঁর উম্মত বলেছিলঃ “আমরা আমাদের প্রভুর উপরই ভরসা করছি। হে আমাদের প্রভু! আপনি আমাদেরকে যালিমদের লক্ষ্যস্থল বানাবেন না এবং স্বীয় রহমতে আমাদেরকে কফিরদের আধিপত্য হতে মুক্তি দান করুন!”
আল্লাহ পাক বলেনঃ “নিশ্চয়ই আমি তাওরাত অবতীর্ণ করেছিলাম যার মধ্যে হিদায়াত ও নূর রয়েছে, যার মাধ্যমে আত্মসমর্পণকারী নবীরা ইয়াহুদী, আল্লাহওয়ালা ও আলেমদের মধ্যে ফায়সালা করতো।” অন্যত্র আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “যখন আমি হাওয়ারীদের কাছে অহী করেছিলাম-তোমরা আমার উপর ও আমার রাসূলের উপর ঈমান আনয়ন কর, তখন তারা বললো- আমরা ঈমান আনলাম, আপনি সাক্ষী থাকুন যে, আমরা মুসলমান।” এসবের মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা সংবাদ দিলেন যে, তিনি সমস্ত নবীকে ইসলাম দিয়ে পঠিয়েছিলেন। কিন্তু নবীদের উম্মতেরা নিজ নিজ শরীয়তের প্রতি লক্ষ্য রেখে পৃথক পৃথক ধর্মের উপর ছিল। কোন কোন নবী পূর্ববর্তী নবীর শাখা ধর্মকে রহিত করে দিয়ে নিজস্ব ধর্ম চালু করেন। শেষ পর্যন্ত শরীয়তে মুহাম্মাদীর মাধ্যমে অন্যান্য সমস্ত দ্বীন মানসূখ বা রহিত হয়ে যায় এবং দ্বীনে মুহাম্মাদী কখনও রহিত হবে না, বরং চির বিদ্যমান থাকবে। কিয়ামত পর্যন্ত এর পতাকা উঁচু হয়েই থাকবে। এ জন্যেই নবী (সঃ) বলেছেনঃ “আমরা নবীরা পরস্পর বৈমাত্রেয় সন্তান। অর্থাৎ বৈমাত্রেয় সন্তানদের পিতা একজনই হয় তদ্রুপ আমাদেরও সবারই দ্বীন একই। আমরা। সবাই সেই আল্লাহকে মেনে থাকি যিনি এক ও অংশীবিহীন। আমরা তাঁরই ইবাদত করে থাকি। যদিও আমাদের শরীয়ত বিভিন্ন; কিন্তু এই শরীয়তগুলো মায়ের মত। যেমন বৈপিত্রেয় ভাই বৈমাত্রেয় ভাই এর বিপরীত হয়ে থাকে। অর্থাৎ মা এক এবং পিতা পৃথক পৃথক। আর প্রকৃত ভাই একই মা ও একই পিতার সন্তান হয়ে থাকে। তাহলে উম্মতের দৃষ্টান্ত পরম্পর এক মায়েরই সন্তানের মত।” হযরত আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (সঃ) যখন নামায শুরু করতেন তখন তাকবীর বলতেন। তারপর (আরবী) বলতেন। এরপর নিম্নের দু’আটি বলতেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “হে আল্লাহ! আপনি বাদশাহ। আপনি ছাড়া অন্য কেউ উপাস্য নেই। আপনি আমার প্রভু এবং আমি আপনার দাস। আমি আমার নিজের উপর অত্যাচার করেছি এবং আমি আমার পাপের কথা স্বীকার করছি। সুতরাং আপনি আমার সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দিন। আপনি ছাড়া আর কেউ পাপরাশি ক্ষমা করতে পারে না। আমাকে উত্তম চরিত্রের পথ বাতলিয়ে দিন। আপনি ছাড়া অন্য কেউ আমাকে উত্তম চরিত্রের পথ বাতলিয়ে দিতে পারে না। আমা থেকে দুশ্চরিত্রতা দূর করে দিন। আপনি ছাড়া অন্য কেউ আমা থেকে দুশ্চরিত্রতা দূর করতে পারে না। আপনি কল্যাণময় ও উচ্চ মর্যাদার অধিকারী। আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং (পাপকার্য থেকে) আপনার কাছে তাওবা করছি।” তারপর তিনি রুকূ ও সিজদায় এবং তাশাহহুদে যা বলেছিলেন সেগুলো সম্বলিত সম্পূর্ন হাদীসটি বর্ণনা করা হয়। (এ হাদীসটি ইমাম মুহাম্মাদ (রঃ) তাঁর সহীহ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন)