(Book# 114/٢٨٧)-৪৮৯ www.motaher21.net সুরা: আল-আনয়াম সুরা:৬ ১৬৪ নং আয়াত:- وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى কেহ কারও কোন বোঝা বহন করবেনা, No bearer of burdens shall bear the burden of another.

أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ

(Book# 114/٢٨٧)-৪৮৯
www.motaher21.net
সুরা: আল-আনয়াম
সুরা:৬
১৬৪ নং আয়াত:-

وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى

কেহ কারও কোন বোঝা বহন করবেনা,
No bearer of burdens shall bear the burden of another.
قُلۡ اَغَیۡرَ اللّٰہِ اَبۡغِیۡ رَبًّا وَّ ہُوَ رَبُّ کُلِّ شَیۡءٍ ؕ وَ لَا تَکۡسِبُ کُلُّ نَفۡسٍ اِلَّا عَلَیۡہَا ۚ وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی ۚ ثُمَّ اِلٰی رَبِّکُمۡ مَّرۡجِعُکُمۡ فَیُنَبِّئُکُمۡ بِمَا کُنۡتُمۡ فِیۡہِ تَخۡتَلِفُوۡنَ ﴿۱۶۴﴾
তুমি জিজ্ঞেস করঃ আমি কি আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য রবের সন্ধান করব? অথচ তিনিই হচ্ছেন প্রতিটি বস্তুর রাব্ব! প্রত্যেক ব্যক্তিই স্বীয় কৃতকর্মের জন্য দায়ী হবে, কেহ কারও কোন বোঝা বহন করবেনা, পরিশেষে তোমাদের রবের নিকট তোমাদের প্রত্যাবর্তন করতে হবে, অতঃপর তিনি তোমরা যে বিষয়ে মতবিরোধ করেছিলে সে বিষয়ের মূল তত্ত্ব তোমাদেরকে অবহিত করবেন।

১৬৪ নং আয়াতের তাফসীর:

তাফসীরে‌ ফাতহুল মাজীদ বলেছেন:-

আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে নির্দেশ দেন যে, বল: আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কাকে রব ও মা‘বূদ হিসেবে অন্বেষণ করব? অথচ তিনি সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা, মালিক ও পরিচালনাকারী। এখানে যদিও রব বা প্রতিপালকের কথা বলা হয়েছে উদ্দেশ্য হল তাওহীদে উলুহিয়্যাহ। কেননা এ কথা পূর্বেও উল্লেখ করা হয়েছে যে, মুশরিকরা সব কিছুর মালিক, স্রষ্টা ইত্যাদি একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাকে মানত। তারা স্বীকার করত আল্লাহ তা‘আলা আছেন, তিনি রিযিকদাতা, জীবন-মৃত্যুর মালিক। কিন্তু সমস্যা ছিল তাওহীদে উলুহিয়্যাতে। কিছু চাইলে সরাসরি আল্লাহ তা‘আলার কাছে না চেয়ে মূর্তির কাছে চাইত। মানত মানলে মূর্তির নামে মানত। সুতরাং যিনি সব কিছুর মালিক, তিনিই সকল ইবাদত পাওয়ার হকদার। তাই আমরা তাঁকে ছাড়া অন্য কাউকে মা‘বূদ হিসেবে গ্রহণ করতে পারি না।

(وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِّزْرَ أُخْرٰي)

‘কেউ অন্য কারো (পাপের) ভার বহন করবে না।’অর্থাৎ কিয়ামতের দিন কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না। এমনকি পিতা-মাতাও সন্তানের কোন পাপের বোঝা বহন করবে না। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

(وَإِنْ تَدْعُ مُثْقَلَةٌ إِلٰي حِمْلِهَا لَا يُحْمَلْ مِنْهُ شَيْءٌ وَّلَوْ كَانَ ذَا قُرْبٰي)

“যদি কোন বোঝা ভারাক্রান্ত ব্যক্তি কাউকে তার বোঝা বহন করতে ডাকে, তবে তা থেকে কিছুই বহন করা হবে না, যদিও সে তার নিকটাত্মীয় হয়।”(সূরা ফাতির ৩৫:১৮)

বরং সে বোঝা নিজের ঘাড়েই বহন করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

(مَنْ عَمِلَ صَالِحًا فَلِنَفْسِه۪ ج وَمَنْ أَسَا۬ءَ فَعَلَيْهَا ط وَمَا رَبُّكَ بِظَلَّامٍ لِّلْعَبِيْدِ )‏

“যে সৎ আমল করে সে নিজের কল্যাণের জন্যই তা করে এবং কেউ মন্দ আমল করলে তার প্রতিফল সে-ই ভোগ করবে। তোমার প্রতিপালক তাঁর বান্দাদের প্রতি কোন জুলুম করেন না।”(সূরা হা-মীম আস-সিজদাহ ৪১:৪৬)

তবে যদি দুনিয়াতে কোন ব্যক্তি এমন পাপ কাজের রীতি-নীতি চালু করে, যার অনুসরণ করে মানুষ পাপ কাজে লিপ্ত হয় তাহলে তাদের পাপের সমপরিমাণ বোঝা সে ব্যক্তিকেও বহন করতে হবে, যে ব্যক্তি সে রীতি-নীতি চালু করেছে।

(وَإِذَا قِيْلَ لَهُمْ مَّاذَآ أَنْزَلَ رَبُّكُمْ لا قَالُوْآ أَسَاطِيْرُ الْأَوَّلِيْنَ)‏

যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমাদের প্রতিপালক কী অবতীর্ণ করেছেন?’ তখন তারা বলে, ‘পূর্ববর্তীদের উপকথা!’ (সূরা নাহল ১৬:২৫)

হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:

مَنْ دَعَا إِلَي هُدًي كَانَ لَهُ مِنَ الأَجْرِ مِثْلُ أُجُورِ مَنْ تَبِعَهُ لاَ يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَنْ دَعَا إِلَي ضَلاَلَةٍ كَانَ عَلَيْهِ مِنَ الإِثْمِ مِثْلُ آثَامِ مَنْ تَبِعَهُ لاَ يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ آثَامِهِمْ شَيْئًا

যে ব্যক্তি মানুষকে সঠিক পথের দিকে আহ্বান করবে, সে ব্যক্তি তেমন প্রতিদান পাবে যেমন প্রতিদান পাবে সে পথের অনুসারীরা; তবে তাদের প্রতিদান থেকে কোন কম করা হবে না। আর যে ব্যক্তি মানুষকে পথভ্রষ্টতার দিকে আহ্বান করবে সে ব্যক্তি তেমন গুনাহগার হবে যেমন গুনাহগার হবে সে পথের অনুসারীরা। তবে তাদের গুনাহ থেকে কম করা হবে না। (সহীহ মুসলিম হা: ৬৯৮০)

কিয়ামতের দিন সবকিছু আল্লাহ তা‘আলা জানিয়ে দেবেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

(قُلْ لَّا تُسْأَلُوْنَ عَمَّآ أَجْرَمْنَا وَلَا نُسْأَلُ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ ‏ قُلْ يَجْمَعُ بَيْنَنَا رَبُّنَا ثُمَّ يَفْتَحُ بَيْنَنَا بِالْحَقِّ ط وَهُوَ الْفَتَّاحُ الْعَلِيْمُ)

“বল, আমাদের প্রতিপালক আমাদেরকে একত্রিত করবেন, অতঃপর তিনি আমাদের মধ্যে বিচার করবেন সঠিকভাবে, আর তিনিই শ্রেষ্ঠ ফায়সালাকারী, সর্বজ্ঞ। বল: আমরা যে অপরাধ করেছি সেজন্য তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে না এবং তোমরা যা কর তার জন্য আমরাও জিজ্ঞাসিত হব না ” (সূরা সাবা ৩৪:২৫-২৬)

(خَلٰ۬ئِفَ الْأَرْضِ)

‘দুনিয়ার প্রতিনিধি’ খলিফা বা প্রতিনিধি এর দু’টি অর্থ: ১. শাসক, কর্তৃত্বশীল। যারা অন্যদের নেতৃত্ব দেয় ও পরিচালনা করে। ২. উত্তরাধিকারী, স্থলাভিষিক্ত। একজন চলে গেলে অন্যজনের আগমন করা। এখানে দ্বিতীয় অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে। এক জাতি চলে যাবে আবার নতুন জাতি দুনিয়া আবাদ করবে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

(عَسٰي رَبُّكُمْ أَنْ يُّهْلِكَ عَدُوَّكُمْ وَيَسْتَخْلِفَكُمْ فِي الْأَرْضِ فَيَنْظُرَ كَيْفَ تَعْمَلُوْنَ)

‘শীঘ্রই তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের শত্র“ ধ্বংস করবেন এবং তিনি তোমাদেরকে জমিনে তাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন, অতঃপর তোমরা কী কর তা তিনি লক্ষ করবেন।’(সূরা আ‘রাফ ৭:১২৯)

(وَرَفَعَ بَعْضَكُمْ فَوْقَ بَعْضٍ)

‘তোমাদের কতককে কতকের ওপর মর্যাদায় উন্নীত করেছেন।’অর্থাৎ জীবিকা, চরিত্র, সৌন্দর্য, দৃশ্য, দৈহিক গঠন, রং ইত্যাদিতে একজনকে অপরের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

(نَحْنُ قَسَمْنَا بَيْنَهُمْ مَّعِيْشَتَهُمْ فِي الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا وَرَفَعْنَا بَعْضَهُمْ فَوْقَ بَعْضٍ دَرَجٰتٍ لِّيَتَّخِذَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا سُخْرِيًّا ط وَرَحْمَتُ رَبِّكَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُوْنَ)‏

“আমিই তাদের মধ্যে জীবিকা বন্টন করি তাদের পার্থিব জীবনে এবং একজনকে অপরের ওপর মর্যাদায় উন্নীত করি যাতে একে অপরের দ্বারা খেদমত লাভ করতে পারে এবং তারা যা জমা করে তা হতে তোমার প্রতিপালকের রহমত উৎকৃষ্টতর।”(সূরা যুখরুফ ৪৩:২)

(لِّيَبْلُوَكُمْ فِيْ مَآ اٰتٰكُمْ)

‘যা তিনি তোমাদেরকে দিয়েছেন সে সম্বন্ধে পরীক্ষার উদ্দেশ্যে’অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়াতে মানুষকে যা দিয়েছেন তার দ্বারা তাকে পরীক্ষা করেন। কে ধন-সম্পদ, সুযোগ সুবিধা ইত্যাদি পেয়ে আল্লাহ তা‘আলার শুকরিয়া আদায় করে ও তাঁর দীনের ওপর অটল থাকে আর কে আল্লাহ তা‘আলার নাফরমানী করে ও দীন থেকে সরে যায়।

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: দুনিয়া হচ্ছে সুমিষ্ট, শ্যামল ও সবুজ। আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে অন্যান্যদের পরে দুনিয়া ভোগ করার সুযোগ করে দিয়েছেন এবং তোমাদেরকে তাদের স্থলাভিষিক্ত বানিয়েছেন। এখন তিনি দেখতে চান তোমরা কিরূপ আমল কর। অতএব দুনিয়া থেকে বেঁচে চল এবং মেয়েদের থেকেও বেঁচে চল। কেননা বানী ইসরাঈলগণ সর্বপ্রথম মহিলাদের ফেতনায় পড়েছিলেন। (সহীহ মুসলিম হা: ৭১২৪, তিরমিযী হাঃ ২১৯১, ইবনু মাযাহ হা: ৪০০০)

(إِنَّ رَبَّكَ سَرِيْعُ الْعِقَابِ)

‘তোমার প্রতিপালক তো শাস্তি প্রদানে তৎপর’অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা যেমন শাস্তি দিতে তৎপর আবার তেমন তিনি দয়ালুও বটে।

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আল্লাহ তা‘আলার শাস্তি যে কত কঠিন তা যদি মু’মিনরা জানত তাহলে কেউ জান্নাতের আশা করত না আর কাফিররা যদি জানত যে, আল্লাহ তা‘আলার কাছে কী পরিমাণ রহমত রয়েছে তাহলে তারা কেউ জান্নাতের আশা ছাড়ত না। আল্লাহ তা‘আলা একশত রহমত সৃষ্টি করেছেন। তার এক ভাগ সৃষ্টির মাঝে দিয়েছেন যার দ্বারা পরস্পর পরস্পরকে দয়া করে থাকে। আর নিরানব্বই ভাগ নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। (সহীহ মুসলিম হা: ২৭৫৫, তিরমিযী হা: ৩৫৪২)

সুতরাং আশা ও ভয় উভয়ের সমন্বয়ে ঈমান আনয়ন ও ইবাদত করা। জান্নাতের আশায় আমল করতে হবে আর জাহান্নামের ভয়ে আল্লাহ তা‘আলার অবাধ্যতামূলক কাজ-কর্ম বর্জন করতে হবে।

আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:

১. যিনি সব কিছুর মালিক তিনিই একমাত্র সব ইবাদত পাবার যোগ্য।
২. মক্কার মুশরিকরাও আল্লাহ তা‘আলাকে সব কিছুর মালিক বলে জানত কিন্তু এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করত না।
৩. যে যা কর্ম করবে তার পাপের বোঝা তাকেই বহন করতে হবে। কোন নিকটাত্মীয়ও বহন করবে না।
৪. আল্লাহ তা‘আলা ধন-সম্পদ, উত্তম অবয়ব ইত্যাদি দিয়ে মানুষকে পরীক্ষা করেন।

English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura Anam
Sura:6
Verses :- 164
وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى
No bearer of burdens shall bear the burden of another.
The Command to Sincerely Trust in Allah

Allah said,

قُلْ

Say,

O Muhammad, to those idolators, about worshipping Allah alone and trusting in Him,

أَغَيْرَ اللّهِ أَبْغِي رَبًّا

Shall I seek a lord other than Allah…,

وَهُوَ رَبُّ كُلِّ شَيْءٍ

while He is the Lord of all things.

and Who protects and saves me and governs all my affairs But, I only trust in Him and go back to Him, because He is the Lord of everything, Owner of all things and His is the creation and the decision.

This Ayah commands sincerely trusting Allah, while the Ayah before it commands sincerely worshipping Allah alone without partners. These two meanings are often mentioned together in the Qur’an. Allah directs His servants to proclaim,
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
(You (alone) we worship, and You (alone) we ask for help (for each and every thing). (1:5)

Allah said,

فَاعْبُدْهُ وَتَوَكَّلْ عَلَيْهِ

So worship Him and put your trust in Him. (11:123)

and,

قُلْ هُوَ الرَّحْمَـنُ ءَامَنَّا بِهِ وَعَلَيْهِ تَوَكَّلْنَا

Say:”He is the Most Gracious (Allah), in Him we believe, and in Him we put our trust”. (67:29)

and,

رَّبُّ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ لَا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ فَاتَّخِذْهُ وَكِيلً

Lord of the east and the west; none has the right to be worshipped but He. So take Him a guardian. (73:9)

There are similar Ayat on this subject.
Every Person Carries His Own Burden

Allah said,

وَلَا تَكْسِبُ كُلُّ نَفْسٍ إِلاَّ عَلَيْهَا وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى

No person earns any (sin) except against himself (only), and no bearer of burdens shall bear the burden of another.

thus emphasizing Allah’s reckoning, decision and justice that will occur on the Day of Resurrection. The souls will only be recompensed for their deeds, good for good and evil for evil. No person shall carry the burden of another person, a fact that indicates Allah’s perfect justice.

Allah said in other Ayat,

وَإِن تَدْعُ مُثْقَلَةٌ إِلَى حِمْلِهَا لَا يُحْمَلْ مِنْهُ شَىْءٌ وَلَوْ كَانَ ذَا قُرْبَى

And if one heavily laden calls another to (bear) his load, nothing of it will be lifted even though he be near of kin. (35:18)

and,

فَلَ يَخَافُ ظُلْماً وَلَا هَضْماً

Then he will have no fear of injustice, nor of any curtailment (of his reward). (20:112)

Scholars of Tafsir commented, “No person will be wronged by carrying the evil deeds of another person, nor will his own good deeds be curtailed or decreased.”

Allah also said;

كُلُّ نَفْسٍ بِمَا كَسَبَتْ رَهِينَةٌ

إِلاَّ أَصْحَـبَ الْيَمِينِ

Every person is a pledge for what he has earned. Except those on the Right. (74:38-39)

meaning, every person will be tied to his evil deeds. But, for those on the right — the believers — the blessing of their good works will benefit their offspring and relatives, as well.

Allah said in Surah At-Tur,

وَالَّذِينَ ءَامَنُواْ وَاتَّبَعَتْهُمْ ذُرِّيَّتُهُم بِإِيمَـنٍ أَلْحَقْنَا بِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَمَأ أَلَتْنَـهُمْ مِّنْ عَمَلِهِم مِّن شَىْءٍ

And those who believe and whose offspring follow them in faith, to them shall We join their offspring, and We shall not decrease the reward of their deeds in anything. (52:21)

meaning, We shall elevate their offspring to their high grades in Paradise, even though the deeds of the offspring were less righteous, since they shared faith with them in its general form.

Allah says, We did not decrease the grades of these righteous believers so that those (their offspring and relatives) who have lesser grades, can share the same grades as them. Rather Allah elevated the lesser believers to the grades of their parents by the blessing of their parents’ good works, by His favor and bounty. Allah said next (in Surah At-Tur),

كُلُّ امْرِىءٍ بِمَا كَسَبَ رَهَينٌ

Every person is a pledge for that which he has earned. (52:21),

meaning, of evil.

Allah’s statement here,

ثُمَّ إِلَى رَبِّكُم مَّرْجِعُكُمْ فَيُنَبِّيُكُم بِمَا كُنتُمْ فِيهِ تَخْتَلِفُونَ

Then unto your Lord is your return, so He will tell you that wherein you have been differing.

means, work you (disbelievers), and we will also work. Surely, both you and us will be gathered to Allah and He will inform us of our deeds and your deeds and the decision on what we used to dispute about in the life of this world.

Allah said in other Ayat,

قُل لاَّ تُسْـَلُونَ عَمَّأ أَجْرَمْنَا وَلَا نُسْـَلُ عَمَّا تَعْمَلُونَ

قُلْ يَجْمَعُ بَيْنَنَا رَبُّنَا ثُمَّ يَفْتَحُ بَيْنَنَا بِالْحَقِّ وَهُوَ الْفَتَّاحُ الْعَلِيمُ

Say:”You will not be asked about our sins, nor shall we be asked of what you do.”

Say:”Our Lord will assemble us all together, then He will judge between us with truth. And He is the Just Judge, the All-Knower of the true state of affairs.” (34:25-26)

তাফসীরে ইবনে ‌কাসীর বলেছেন:-
এখানে আল্লাহ তাআলা স্বীয় নবী (সঃ)-কে সম্বোধন করে বলছেনঃ হে নবী (সঃ)! মুশরিকদেরকে নির্ভেজাল ইবাদত ও আল্লাহর উপর ভরসাকরণ সম্পর্কে তুমি বলে দাও-আমি কি আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যকে স্বীয় প্রতিপালক বানিয়ে নিবো ? অথচ তিনিই তো প্রত্যেক বস্তুর প্রতিপালকু। সুতরাং আমি তাকেই আমার প্রতিপালক বানিয়ে নিবো। আমার এই প্রতিপালক একাকীই আমাকে। লালন-পালন করে থাকেন, আমার রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকেন এবং আমার প্রতিটি বিষয়ে তিনি আমার তদবীরকারী। তাই আমি তিনি ছাড়া আর কারও সামনে মাথা নত করবো না। কেননা, সমস্ত সৃষ্টবস্তু ও সৃষ্টজীব তারই। নির্দেশ প্রদানের হক একমাত্র তাঁরই রয়েছে। মোটকথা, এ আয়াতে ইবাদতে আন্তরিকতা ও আল্লাহর উপর ভরসা করার নির্দেশ রয়েছে। যেমন এর পূর্ববর্তী আয়াতে ইবাদতে আন্তরিকতা শিক্ষা দেয়া হয়েছিল। আর কুরআন কারীমে এই বিষয়ের পারস্পরিক মিলন অধিক পরিলক্ষিত হয়। যেমন আল্লাহ পাক বলেনঃ তোমরা বল- “আমরা আপনারই ইবাদত করি এবং আপনারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি।” অন্য জায়গায় রয়েছেঃ “তারই ইবাদত কর এবং তাঁরই উপর ভরসা কর।” অন্যত্র বলেনঃ “হে নবী (সঃ)! তুমি বল-তিনি পরম দাতা ও দয়ালু, আমরা তাঁরই উপর ঈমান এনেছি এবং তাঁরই উপর ভরসা করেছি।” আর এক জায়গায় বলেনঃ “তিনি পূর্ব ও পশ্চিমের প্রভু, তিনি ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই, সুতরাং তাকেই ভরসার কেন্দ্রস্থল বানিয়ে নাও।” এর সাথে সাদৃশ্য যুক্ত আয়াত আরও রয়েছে। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “কেউ কোন দুষ্কর্ম করলে ওর পাপের ফল তাকেই ভোগ করতে হবে, কারও পাপের বোঝা অপর কেউ বহন করবে না।” এই আয়াতগুলোর মাধ্যমে এই সংবাদ দেয়া হচ্ছে যে, কিয়ামতের দিন যে শাস্তি দেয়া হবে তা নিপুণতা ও ন্যায়ের ভিত্তিতেই হবে। আমলের প্রতিফল আমলকারীই পাবে। ভাল লোককে ভাল প্রতিদান এবং মন্দ লোককে মন্দ প্রতিদান দেয়া হবে। একজনের পাপের কারণে অপরজনকে শাস্তি দেয়া হবে না। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ “পাপের বোঝা বহনকারী কেউ যদি তার সেই বোঝা বহনের জন্যে কাউকে আহ্বান করে তবে সে তার ঐ বোঝা বহন করবে না। যদিও সে তার নিকটতম আত্মীয়ও হয়।” (আরবী) (২০:১১২) -এর তাফসীরে আলেমগণ বলেন যে, কোন লোককে অপর কোন লোকের পাপের বোঝা বহন করতে বলে তার প্রতি অত্যাচার করা হবে না

এবং তার পুণ্য কিছু কমিয়ে দিয়েও তার উপর যুলুম করা হবে না । আল্লাহ পাক আরও বলেনঃ “প্রত্যেককেই তার কৃতকর্মের জন্যে আবদ্ধ রাখা হবে, শাস্তি প্রাপ্তির পূর্বে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে না, তবে এটা ডানদিক ওয়ালাদের জন্যে প্রযোজ্য নয়। কেননা, তাদের নেক আমলের বরকত তাদের সন্তান-সন্ততি ও আত্মীয়-স্বজন পর্যন্ত পৌছে যাবে। যেমন আল্লাহ তাআলা সূরায়ে তুরে বলেছেনঃ “যারা ঈমান এনেছে এবং যাদের সন্তান-সন্ততিও ঈমান আনয়নে তাদের সঙ্গী হয়েছে, আমি তাদের সন্তান-সন্ততিদেরকেও (মর্যাদায়) তাদের সাথে শামিল করে দিবো, আর (এই জন্যে) আমি তাদের আমলসমূহ হতে কিছুমাত্রও কম করবো না।” অর্থাৎ পূর্ববর্তীরাও পরবর্তীদের সৎ আমলের পুণ্য লাভ করবে কিন্তু তাই বলে পরবর্তীদের প্রতিদান হতে একটুও কম করা হবে না এবং জান্নাতে উচ্চ আসনে সৎ সন্তানদের নিকটে তাদের পূর্ব পুরুষদেরকেও পৌছিয়ে দেয়া হবে। পুত্রের পুণ্য পিতাও লাভ করে থাকে, যদিও সে সৎ আমলে পুত্রের সাথে শরীক না থাকে। এ কারণে যে পুত্রের প্রতিদান কিছু কেটে নেয়া হবে তা নয়, বরং দু’জনকেই সমান সমান বিনিময় প্রদান করা হবে। এমন কি আল্লাহ তা’আলা পুত্রদেরকেও পিতাদের আমলের বরকতের কারণে তাদের মনযিল পর্যন্ত। পৌছিয়ে থাকেন। এটা তার বিশেষ অনুগ্রহ। আল্লাহ তাআলা বলেন যে, প্রত্যেকে তার কৃতকর্মের জন্যে আবদ্ধ থাকবে। অর্থাৎ তাকে তার কৃতকর্মের কারণে পাকড়াও করা হবে। এরপর আল্লাহ পাক বলেনঃ তোমাদেরকে তোমাদের প্রভুর কাছেই ফিরে যেতে হবে। অর্থাৎ তোমরা যা করতে চাও স্বীয় জায়গায়। করতে থাক, আমিও আমার জায়গায় আমার কাজ করবো। শেষ পর্যন্ত একদিন তোমাদেরকে আমার কাছে আসতেই হবে। সেই দিন আমি মুমিন ও মুশরিক সবকেই তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে অবহিত করবো এবং তারা দুনিয়ায় অবস্থানরত অবস্থায় প্রকাল সম্পর্কে যে মতানৈক্য রাখতো, সেই দিন সবকিছুই প্রতীয়মান হয়ে পড়বে।

মহান আল্লাহ বলেনঃ “হে নবী (সঃ)! তুমি মুশরিক ও কাফিরদেরকে বলে দাও-আমাদের কার্য সম্পর্কে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না এবং তোমাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে আমরাও জিজ্ঞাসিত হবো না। তুমি আরও বলআমাদের প্রভু আমাদের সকলকেই একত্রিত করবেন, অতঃপর তিনি আমাদের মধ্যে হক ও ন্যায়ের সাথে ফায়সালা করবেন, তিনি হচ্ছেন সবচেয়ে উত্তম ফায়সালাকারী, সবকিছু অবহিত।”

তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-

টিকা:১৪৪) অর্থাৎ বিশ্ব-জাহানের সমস্ত জিনিসের রব হচ্ছে আল্লাহ, কাজেই অন্য কেউ কেমন করে আমার রব হতে পারে? সমস্ত বিশ্ব-জাহান আল্লাহর আনুগত্য ব্যবস্থার অধীনে সচল রয়েছে এবং বিশ্ব-জাহানের একটি অংশ হিসেবে আমার নিজের অস্তিত্বও সে পথের অনুসারী। কিন্তু নিজের চেতনাসঞ্জাত ও নিজস্ব ক্ষমতা ইখতিয়ারের আওতাধীন জীবনের জন্য আমি অন্য কোন রবের সন্ধান করবো, এটা কেমন করে যুক্তিসঙ্গত হতে পারে? সমগ্র সৃষ্টি জগতের প্রাকৃতিক ও স্বাভাবিক অবস্থার বিরুদ্ধাচরণ করে আমি একাই কি অন্যদিকে চলতে থাকবো?

টিকা:১৪৫) অর্থাৎ প্রত্যেক ব্যক্তি নিজেই নিজের কাজের জন্য দায়ী। একজনের কাজের দায়-দায়িত্ব অন্যের ঘাড়ে চাপবে না।

Leave a Reply