أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book# 114/٢٩٨)-৫০১
www.motaher21.net
সুরা: আল্ আরাফ
সুরা:৭
৩৩ নং আয়াত:-
قُلْ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ
তুমি বলঃ আমার রাব্ব প্রকাশ্য, অপ্রকাশ্য অশ্লীলতা, পাপ কাজ হারাম করেছেন।
Say:”(But) the things that my Lord has indeed forbidden are the Fawahish (immoral deeds) whether committed openly or secretly,
قُلۡ اِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّیَ الۡفَوَاحِشَ مَا ظَہَرَ مِنۡہَا وَ مَا بَطَنَ وَ الۡاِثۡمَ وَ الۡبَغۡیَ بِغَیۡرِ الۡحَقِّ وَ اَنۡ تُشۡرِکُوۡا بِاللّٰہِ مَا لَمۡ یُنَزِّلۡ بِہٖ سُلۡطٰنًا وَّ اَنۡ تَقُوۡلُوۡا عَلَی اللّٰہِ مَا لَا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۳۳﴾
তুমি বলঃ আমার রাব্ব প্রকাশ্য, অপ্রকাশ্য অশ্লীলতা, পাপ কাজ, অন্যায় ও অসংগত বিদ্রোহ ও বিরোধিতা এবং আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক করা যার পক্ষে আল্লাহ কোন দলীল প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি, আর আল্লাহ সম্বন্ধে এমন কিছু বলা যে সম্বন্ধে তোমাদের কোন জ্ঞান নেই, (ইত্যাদি কাজ ও বিষয়সমূহ) নিষিদ্ধ করেছেন।
৩৩ নং আয়াতের তাফসীর:
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
ব্যাখ্যার জন্য সূরা আন’আমের ১২৮ ও ১৩১ টীকা দেখুন।
[[টিকা:১২৮) অর্থাৎ আল্লাহর সত্তায়, তাঁর গুণাবলীতে, তাঁর ক্ষমতা-ইখতিয়ারে বা তাঁর অধিকারে কোন ক্ষেত্রে কাউকে শরীক করো না।
আল্লাহর সত্তায় শরীক করার অর্থ হচ্ছে, ইলাহী সত্তার মৌল উপাদানে কাউকে অংশীদার করা। যেমন খৃস্টানদের ত্রিত্ববাদের আকীদা, আরব মুশরিকদের ফেরেশতাদের আল্লাহর কণ্যা গণ্য করা এবং অন্যান্য মুশরিকদের নিজেদের দেব-দেবীদেরকে এবং নিজেদের রাজ পরিবারগুলোকে আল্লাহ বংশধর বা দেবজ ব্যক্তিবর্গ হিসেবে গণ্য করা-এসবগুলোই আল্লাহর সত্তায় শরীক করার অন্তর্ভুক্ত।
আল্লাহর গুণাবলীতে শরীক করার অর্থ হচ্ছে, আল্লাহর গুণাবলী আল্লাহর জন্য যে অবস্থায় থাকে ঠিক তেমনি অবস্থায় সেগুলোকে বা তার কোনটিকে অন্য কারোর জন্য নির্ধারিত করা। যেমন কারোর সম্পর্কে এ ধারণা পোষণ করা যে, সমস্ত অদৃশ্য সত্য তার কাছে দিনের আলোর মতো সুস্পষ্ট। অথবা সে সবকিছু দেখে ও সবকিছু শোনে। অথবা সে সব রকমের দোষ-ত্রুটি ও দুর্বলতা মুক্ত একটি পবিত্র সত্তা।
ক্ষমতা –ইখতিয়ারের ক্ষেত্রে শিরক করার অর্থ হচ্ছে, সার্বভৌম ক্ষমতা সম্পন্ন ইলাহ হবার কারণে যে সমস্ত ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত সেগুলোকে বা সেগুলোর মধ্য থেকে কোনটিকে আল্লাহ ছাড়া আর কারোর জন্য স্বীকার করে নেয়া। যেমন অতি প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কাউকে লাভবান বা ক্ষতিগ্রস্ত করা, কারোর অভাব ও প্রয়োজন পূর্ণ করা, কাউকে সাহায্য করা, কারোর হেফাজত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা, কারোর প্রার্থনা শোনা, ভাগ্য ভাঙ্গাগড়া করা। এছাড়া হারাম–হালাল ও জায়েয-নাজায়েযের সীমানা নির্ধারণ করা এবং মানব জীবনের জন্য আইন-বিধান রচনা করা। এসবই আল্লাহর বিশেষ ক্ষমতা ও ইখতিয়ার। এর মধ্য থেকে কোন একটিকেও আল্লাহ ছাড়া আর কারোর জন্য স্বীকার করা শিরক।
অধিকারের ক্ষেত্রে শিরক করার অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ হবার কারণে বান্দাদের ওপর আল্লাহর বিশেষ অধিকার রয়েছে। সে অধিকারসমূহ বা তার মধ্য থেকে কোন একটি অধিকার আল্লাহ ছাড়া আর কারোর জন্য মেনে নেয়া। যেমন রুকূ ও সিজদা করা, বুকে হাত বেঁধে বা হাত জোড় করে দাঁড়ানো, সালামী দেয়া ও আস্তানা চুম্বন করা, নিয়ামতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ বা শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ নযরানা ও কুরবানী পেশ করা, প্রয়োজন পূরণ ও সংকট দূর করার জন্য মানত করা, বিপদ-আপদে সাহায্যের জন্য আহবান করা এবং এভাবে পূজা-আর্চনা, সম্মান ও মর্যাদা দান করার জন্য অন্যান্য যাবতীয় পদ্ধতি একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্ধারিত অধিকার। অনুরূপভাবে কাউকে এমন প্রিয় জ্ঞান করা যে, তার প্রতি ভালবাসার মোকাবিলায় অন্য সমস্ত ভালবাসাকে উৎসর্গ করে দেয়া হয় এবং কাউকে এমন ভয় করা যে, গোপনে ও প্রকাশ্যে সর্বাবস্থায় তার অসন্তোষকে ভীতির নজরে দেখা-এসবও একমাত্র আল্লাহর অধিকার। আল্লাহর শর্তহীন আনুগত্য করা, তাঁর নির্দেশকে ভুল ও নির্ভুলের মানদণ্ড মনে করা এবং এমন কোন আনুগত্যের শৃংখল নিজের গলায় পরিধান না করা যা আল্লাহর আনুগত্যের শৃংখলমুক্ত একটি স্বতন্ত্র আনুগত্য এবং যার নির্দেশের পেছনে আল্লাহর নির্দেশের সনদ নেই-এসবও আল্লাহর অধিকার। এ অধিকারগুলোর মধ্য থেকে যে কোন একটি অধিকারও কাউকে দেয়া হলে, তাকে আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট নামগুলোর মধ্য থেকে কোন একটি নাম না দিলেও তাকে আল্লাহর সাথে শরীক করা হবে।]]
[[টিকা:১৩১) অর্থাৎ মূলত আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের প্রাণকে হারাম ও মর্যাদা সম্পন্ন ঘোষণা করা হয়েছে। তাকে ন্যায় ও সত্যের খাতিরে ছাড়া কোনক্রমেই ধ্বংস করা যাবে না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এ “ন্যায়সঙ্গতভাবে” বা “ন্যায় ও সত্যের খাতিরে” এর অর্থ কি? কুরআনে আর তিনটি পর্যায় বর্ণিত হয়েছে এবং নবী ﷺ এর ওপর আরো দু’টি পর্যায় বৃদ্ধি করেছেন। কুরআনে বর্ণিত তিনটি পর্যায় হচ্ছেঃ
(১) যখন এক ব্যক্তি আর এক ব্যক্তিকে জেনে বুঝে হত্যা করার অপরাধ করে এবং হত্যাকারীর ওপর কিসাস বা রক্তপণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়।
(২) যখন কোন ব্যক্তি আল্লাহর সত্য দ্বীন প্রতিষ্ঠার পথে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায় এবং তার সাথে যুদ্ধ করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না।
(৩) যখন কোন ব্যক্তি দারুল ইসলামের সীমানার মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অথবা ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থার পতন ঘটাবার চেষ্টা করে।
হাদীসে বর্ণিত অন্য পর্যায় দু’টি হচ্ছেঃ
(৪)কোন ব্যক্তি বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও যিনা করলে।
(৫)কোন ব্যক্তি মুরতাদ হয়ে গেলে এবং মুসলিম সমাজ ত্যাগ করলে। এ পাঁচটি পর্যায়ে ও অবস্থা ছাড়া অন্য কোন অবস্থায় একজন মানুষ আর একজন মানুষকে হত্যা করতে পারে না। সে মু’মিন, যিম্মী বা সাধারণ কাফের যেই হোক না কেন, কোন ক্ষেত্রেই তার রক্ত হালাল নয়।]]
টিকা:২৫) এখানে মূল শব্দ হচ্ছে,إِثْمَ (ইসম)। এর আসল অর্থ হচ্ছে, ত্রুটি-বিচ্যুতি। اثمة ইসমাহ এমন এক ধরনের উটনীকে বলা হয়, যে দ্রুত চলতে পারে কিন্তু জেনে বুঝে অলসভাবে চলে। এ থেকেই এ শব্দের মধ্যে গোনাহের ভাবধারা সৃষ্টি হয়েছে। অর্থাৎ মানুষ যখন নিজের রবের আনুগত্য করার ও তাঁর হুকুম মেনে চলার ক্ষমতা ও সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও গড়িমসি ও গাফিলতি করে এবং জেনে বুঝে ভুল-ত্রুটি করে তার সন্তুষ্টি লাভেঅসমর্থ হয়, তখন সেই আচরণটিকেই গোনাহ বলা হয়।
টিকা:২৬) অর্থাৎ নিজের সীমানা অতিক্রম করে এমন একটি সীমানায় পদার্পণকরা যেখানে প্রবেশ করার অধিকার মানুষের নেই। এ সংজ্ঞার আলোকে বিচার করলে যারা বন্দেগীর সীমানা পেরিয়ে আল্লাহর রাজ্যেস্বেচ্ছাচারী মনোভাব ও আচরণ গ্রহণ করে, যারা আল্লাহর সার্বভৌম ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের মধ্যে থেকেও নিজেদের অহংকার ও শ্রেষ্ঠত্বের ডংকা বাজায় এবং যারা মানুষের অধিকারে হস্তক্ষেপ করে, তারা সবাই বিদ্রোহী গণ্য হয়।
তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ বলেছেন:-
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: আল্লাহ তা‘আলার চেয়ে অধিক ধৈর্যধারণকারী আর কেউ নেই। তিনি মানুষকে সুস্থ রাখেন, রিযিক দেন। তারপরেও তারা আল্লাহ তা‘আলার স্ত্রী ও সন্তান নির্ধারণ করে। (সহীহ বুখারী হা: ৬০৯, সহীহ মুসলিম হা: ২৮০৪)
বরং হারাম করেছেন প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সকল খারাপ কাজ। যেমন চুরি, ডাকাতি, জুলুম ব্যভিচার, সমকামিতা ইত্যাদি কবীরা গুনাহ।
ইবনু মাসউদ (রাঃ) মারফূ‘ সূত্রে বর্ণনা করেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন: অন্যায়কে ঘৃণাকারী আল্লাহ তা‘আলার তুলনায় অন্য কেউ নেই, এজন্যই তিনি প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য যাবতীয় অশ্লীলতা হারাম করেছেন। আবার আল্লাহ তা‘আলার চেয়ে প্রশংসা-প্রীতি অন্য কেউ নেই, তাই তিনি নিজে নিজের প্রশংসা করেছেন। (সহীহ বুখারী হা: ৪৬৩৭, সহীহ মুসলিম হা: ২৭৬০)
(وَالْبَغْيَ بِغَيْرِ الْحَقِّ)
‘অসংগত বিদ্রোহ’ অসংগত বিদ্রোহ বলতে মানুষের রক্ত, সম্পদ, সম্মান ইত্যাদিতে সীমালঙ্ঘন করা, আবার আল্লাহ তা‘আলার হকের ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন করা, আল্লাহ তা‘আলার সাথে শির্ক করা ও আল্লাহ তা‘আলার ব্যাপারে এমন কথা বলা যে ব্যাপারে তার কোন জ্ঞান নেই, এ সবই হারাম।
সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা যা হালাল করে দিয়েছেন তা হারাম করে নেয়ার কারো অধিকার নেই। প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য যত খারাপ কাজ আছে তা থেকে বিরত থাকাই তাক্বওয়ার পরিচয়।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইচ্ছামত দীন পালন করলে চলবে না বরং দীন পালন করতে হবে তার বিধানানুযায়ী।
২. আল্লাহ তা‘আলা নিজে অথবা তাঁর রাসূলের মাধ্যমে যা হারাম করেছেন তা-ই হারাম, বাকি সব হালাল।
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura Al-Araf
Sura:7
Verses :- 33
قُلْ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ
Say:”(But) the things that my Lord has indeed forbidden are the Fawahish (immoral deeds) whether committed openly or secretly,
Fahishah, Sin, Transgression, Shirk and Lying about Allah are prohibited
Allah says to His prophet (peace be upon him);
قُلْ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ
Say:”(But) the things that my Lord has indeed forbidden are the Fawahish (immoral deeds) whether committed openly or secretly,
Imam Ahmad recorded that Abdullah said that the Messenger of Allah (peace be upon him) said,
لَاا أَحَدَ أَغْيَرُ مِنَ اللهِ فَلِذَلِكَ حَرَّمَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَلَاا أَحَدَ أَحَبُّ إِلَيْهِ الْمَدْحُ مِنَ الله
None is more jealous than Allah, and this is why He prohibited Fawahish, committed openly or in secret. And none likes praise more than Allah.
This was also recorded in the Two Sahihs.
In the explanation of Surah Al-An`am, we explained the Fahishah that is committed openly and in secret.
Allah said next,
وَالاِثْمَ وَالْبَغْيَ بِغَيْرِ الْحَقِّ
and Ithm, and transgression without right,
As-Suddi commented,
“Al-Ithm means, `disobedience’. As for unrighteous oppression, it occurs when you transgress against people without justification.”
Mujahid said,
“Ithm includes all types of disobedience. Allah said that the oppressor commits oppression against himself.”
Therefore, the meaning of, Ithm is the sin that one commits against himself, while `oppression’ pertains to transgression against other people, and Allah prohibited both.
Allah’s statement,
وَأَن تُشْرِكُواْ بِاللّهِ مَا لَمْ يُنَزِّلْ بِهِ سُلْطَانًا
and joining partners with Allah for which He has given no authority,
prohibits calling partners with Allah in worship.
وَأَن تَقُولُواْ عَلَى اللّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ
and saying things about Allah of which you have no knowledge.
such as lies and inventions, like claiming that Allah has a son, and other evil creeds that you — O idolators — have no knowledge of.
This is similar to His saying:
فَاجْتَنِبُواْ الرِّجْسَ مِنَ الاٌّوْثَـنِ
So shun the abomination (worshipping) of the idols. (22:30).
তাফসীরে ইবনে কাসীর বলেছেন:-
রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন যে, আল্লাহ তা’আলা অপেক্ষা বেশী লজ্জাশীল আর কেউ নেই। এ কারণেই প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সমুদয় পাপের কাজই তিনি হারাম করে দিয়েছেন। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন যে, (আরবী) শব্দের অর্থ হচ্ছে পাপকাজ এবং (আরবী) শব্দের অর্থ হচ্ছে অন্যায়ভাবে মানুষের মাল হরণ করা বা মানহানির কাজে বাড়াবাড়ি করা। মুজাহিদ (রঃ) বলেন যে, ‘বাগী’ হচ্ছে ঐ ব্যক্তি যে স্বয়ং নিজের উপর বিদ্রোহ ঘোষণা করে। তাফসীরের সারাংশ এই যে, (আরবী) হচ্ছে ঐ পাপ যা পাপীর সত্তার সাথে সম্পর্কযুক্ত। আর (আরবী) হচ্ছে ঐ সীমালংঘন বা বাড়াবাড়ি যা জনগণ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। আল্লাহ তা’আলা এ দুটো জিনিস হারাম করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, আল্লাহর সাথে শির্ক করা হারাম যার কোন সনদ নেই। আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক বানানোর অধিকারই নেই। আল্লাহ এটাও হারাম করেছেন যে, তোমরা এমন কথা বলবে যা তোমাদের জানা নেই। অর্থাৎ তোমরা (নাউযুবিল্লাহ) বলবে যে, আল্লাহর সন্তান রয়েছে। আর এই প্রকারের কথা বলা যার সম্পর্কে কোন জ্ঞান ও বিশ্বাসই নেই। যেমন তিনি বলেনঃ “তোমরা মূর্তিপূজার অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাকো।”
তাফসীরে আবুবকর যাকারিয়া বলেছেন:-
[১] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘আল্লাহর চেয়ে অধিক আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন আর কেউ নেই; এজন্যই তিনি অশ্লীলতাকে হারাম করেছেন আর আল্লাহর চেয়ে অধিক প্রশংসাপ্রিয় আর কেউ নেই। [ বুখারীঃ ৫২২০]
[২] আল্লাহর উপর না জেনে কথা বলার ব্যাপারে কুরআনুল কারীমের বিভিন্ন আয়াতে সাবধান করা হয়েছে। যেমনঃ সূরা আল-বাকারার ১৬৯, এবং সূরা আল-ইসরার ৩৬ নং আয়াত আল্লাহর উপর না জেনে কথা বলা আসলেই বড় গোনাহর কাজ। আল্লাহ্ সম্পর্কে, গায়েব সম্পর্কে, আখেরাত সম্পর্কে, আল্লাহ্র দ্বীন সম্পর্কে যাবতীয় কথা যতক্ষন পর্যন্ত কুরআন ও সহীহ হাদীস ভিত্তিক না হবে ততক্ষন তা আল্লাহর উপর না জেনে কথা বলার আওতায় পড়বে। অনুরূপভাবে যারা না জেনে-বুঝে ফাতাওয়া দেয় তারাও আল্লাহর উপর না জেনে কথা বলেন। আর এজন্যই বলা হয়ঃ ‘ফাতাওয়া দানে যে যতবেশী তৎপর জাহান্নামে যাওয়ার জন্যও সে ততবেশী তৎপর’।