أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book# 114/٣٠٠)-৫০৩
www.motaher21.net
সুরা: আল্ আরাফ
সুরা:৭
৩৭ নং আয়াত:-
فَمَنۡ اَظۡلَمُ مِمَّنِ افۡتَرٰی عَلَی اللّٰہِ
যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করে,
Who is more unjust than one who invents a lie against Allah,
فَمَنۡ اَظۡلَمُ مِمَّنِ افۡتَرٰی عَلَی اللّٰہِ کَذِبًا اَوۡ کَذَّبَ بِاٰیٰتِہٖ ؕ اُولٰٓئِکَ یَنَالُہُمۡ نَصِیۡبُہُمۡ مِّنَ الۡکِتٰبِ ؕ حَتّٰۤی اِذَا جَآءَتۡہُمۡ رُسُلُنَا یَتَوَفَّوۡنَہُمۡ ۙ قَالُوۡۤا اَیۡنَ مَا کُنۡتُمۡ تَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ ؕ قَالُوۡا ضَلُّوۡا عَنَّا وَ شَہِدُوۡا عَلٰۤی اَنۡفُسِہِمۡ اَنَّہُمۡ کَانُوۡا کٰفِرِیۡنَ ﴿۳۷﴾
যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করে এবং তাঁর নিদর্শনসমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে সে অপেক্ষা বড় যালিম আর কে হতে পারে? তাদের ‘আমলনামায় লিখিত নির্ধারিত অংশ তাদের নিকট পৌঁছবেই, পরিশেষে যখন আমার প্রেরিত মালাক/ফেরেশতা তাদের প্রাণ হরণের জন্য তাদের নিকট পৌঁছবে, তখন তারা (ফেরেশতারা) জিজ্ঞেস করবেঃ আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে তোমরা ডাকতে তারা কোথায়? তখন তারা উত্তরে বলবেঃ আমাদের হতে তারা উধাও হয়ে গেছে। আর নিজেরাই স্বীকারোক্তি করবে যে, তারা কাফির বা সত্য প্রত্যাখ্যানকারী ছিল।
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura Al-Araf
Sura:7
Verses :- 37
فَمَنۡ اَظۡلَمُ مِمَّنِ افۡتَرٰی عَلَی اللّٰہِ
Who is more unjust than one who invents a lie against Allah,
Idolators enjoy Their destined Share in This Life, but will lose Their Supporters upon Death
Allah said,
فَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرَى عَلَى اللّهِ كَذِبًا أَوْ كَذَّبَ بِأيَاتِهِ
Who is more unjust than one who invents a lie against Allah or rejects His Ayat,
meaning, none is more unjust than whoever invents a lie about Allah or rejects the Ayat that He has revealed.
أُوْلَـيِكَ يَنَالُهُمْ نَصِيبُهُم مِّنَ الْكِتَابِ
For such their appointed portion will reach them from the Book,
Muhammad bin Ka`b Al-Qurazi said that,
it refers to each person’s deeds, allotted provisions and age.
Similar was said by Ar-Rabi bin Anas and Abdur-Rahman bin Zayd bin Aslam.
Allah said in similar statements,
قُلْ إِنَّ الَّذِينَ يَفْتَرُونَ عَلَى اللَّهِ الْكَذِبَ لَا يُفْلِحُونَ
مَتَـعٌ فِى الدُّنْيَا ثُمَّ إِلَيْنَا مَرْجِعُهُمْ ثُمَّ نُذِيقُهُمُ الْعَذَابَ الشَّدِيدَ بِمَا كَانُواْ يَكْفُرُونَ
Verily, those who invent a lie against Allah, will never be successful. (A brief) enjoyment in this world! And then unto Us will be their return, then We shall make them taste the severest torment because they used to disbelieve. (10:69-70)
and,
وَمَن كَفَرَ فَلَ يَحْزُنكَ كُفْرُهُ إِلَيْنَا مَرْجِعُهُمْ فَنُنَبِّيُهُم بِمَا عَمِلُواْ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ
نُمَتِّعُهُمْ قَلِيلً
And whoever disbelieves, let not his disbelief grieve you. To Us is their return, and We shall inform them what they have done. Verily, Allah is the All-Knower of what is in the breasts (of men). We let them enjoy for a little while. (31:23-24)
Allah said next,
حَتَّى إِذَا جَاءتْهُمْ رُسُلُنَا يَتَوَفَّوْنَهُمْ
until when Our messengers come to them to take their souls.
Allah states that when death comes to the idolators and the angels come to capture their souls to take them to Hellfire, the angels horrify them, saying,
قَالُواْ أَيْنَ مَا كُنتُمْ تَدْعُونَ مِن دُونِ اللّهِ
they (the angels) will say:”Where are those whom you used to invoke and worship besides Allah,”
“Where are the so-called partners (of Allah) whom you used to call in the life of this world, invoking and worshipping them instead of Allah Call them so that they save you from what you are suffering.”
However, the idolators will reply,
قَالُواْ ضَلُّواْ عَنَّا
they will reply, “They have vanished and deserted us.”
meaning, we have lost them and thus, we do not hope in their benefit or aid,
وَشَهِدُواْ عَلَى أَنفُسِهِمْ
And they will bear witness against themselves,
they will admit and proclaim against themselves,
أَنَّهُمْ كَانُواْ كَافِرِينَ
that they were disbelievers.
তাফসীরে ইবনে কাসীর বলেছেন:-
ইরশাদ হচ্ছে- ঐ ব্যক্তি অপেক্ষা বড় অত্যাচারী আর কেউই নেই যে আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করে অথবা তাঁর আয়াতসমূহকে এবং মু’জিযাগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। এই লোকগুলো তাদের তকদীরে লিখিত অংশ অবশ্যই পেয়ে যাবে। মুফাসসিরগণ এর অর্থে মতভেদ করেছেন। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, তাদের মুখমণ্ডল কালো হয়ে যাবে, অথবা এর অর্থ এই যে, যে ভাল কাজ করবে সে ভাল প্রতিদান পাবে এবং যে মন্দ কাজ করবে সে পাবে মন্দ প্রতিদান। অথবা নিজের অংশ দ্বারা নিজের আমল, নিজের জীবিকা এবং নিজের বয়স বুঝানো হয়েছে। আর এই উক্তি রচনা ভঙ্গীর দিক দিয়ে বেশী মজবুত। আল্লাহ পাকের নিম্নের উক্তিটিকে এর প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারেঃ “আমার ফেরেশতারা যখন তাদের রূহ কবয করার জন্যে আসবে।” এই আয়াতের অনুরূপ অর্থ বিশিষ্ট হচ্ছে মহান আল্লাহর এই উক্তিটিঃ “যারা আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করে, তারা পার্থিব উপভোগ হিসেবে কোনই সফলতা লাভ করবে না, অতঃপর তারা আমারই কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, আমি তখন তাদেরকে তাদের কুফরীর কারণে কঠিন শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করাবো।” এরপর আল্লাহ পাক বলেনঃ যদি কেউ কুফরী করে তবে তাকে করতে দাও। তাদের কুফরী যেন তোমাদেরকে চিন্তিত না করে। তাদেরকে শেষ পর্যন্ত আমার কাছে ফিরে আসতেই হবে। ঐ সময় তাদের আমল তাদের উপর খুলে যাবে। আল্লাহ অন্তরের খবর ভালরূপেই জানেন। আমি তো কিছুদিনের জন্যে তাদেরকে পার্থিব সম্পদ উপভোগ করতে দিয়েছি।
আল্লাহ পাক উপরোক্ত আয়াতে সংবাদ দিচ্ছেন- মুশরিকদের রূহ কব্য করার সময় ফেরেশতারা তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করবে এবং রূহ ক্যু করে নিয়ে জাহান্নামের দিকে তাদেরকে নিয়ে যাবে এবং বলবে- “যাদেরকে তোমরা আল্লাহর শরীক স্থাপন করতে তারা আজ কোথায়? তোমরা তো তাদের কাছে প্রার্থনা করতে এবং তাদেরই উপাসনা করতে! আজ তাদেরকে ডাক। তারা তোমাদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তিদান করুক।” তখন তারা বলবে“তাদেরকে আজ কোথায় পাবো? তারা তো আজ পালিয়ে গেছে । আজ আমরা তাদের খবরেরও কোন আশা করছি না। তারা সেদিন স্বীকারোক্তি করবে যে, তারা কুফরী করতো।
তাফসীরে আবুবকর যাকারিয়া বলেছেন:-
[১] অর্থাৎ তাদের শাস্তির যে পরিমাণ লেখা আছে তা তাদের কাছে পৌঁছবেই। [তাবারী]
কাতাদা বলেন, দুনিয়াতে তারা যে আমল করেছে সেটার ফলাফল আখেরাতে তাদের কাছে পৌঁছবেই। [আত-তাফসীরুস সহীহ]
[২] অর্থাৎ আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে তোমরা ডাকতে, যাদের তোমরা ইবাদত করতে এখন তারা কোথায়? তারা কি তোমাদেরকে এখন সাহায্য করতে পারে না? তারা কি তোমাদেরকে এ বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারে না? তখন তারা স্বীকার করবে যে, আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে তারা আহবান করত, যাদের ইবাদত করত, তারা সবাই তাদের কাছ থেকে হারিয়ে গেছে। এভাবে তারা তাদের নিজেদের বিপক্ষে সাক্ষী দিল যে, তারা মুশরিক ছিল, তাওহীদবাদী ছিল না। [মুয়াসসার]
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
অর্থাৎ দুনিয়ায় যতদিন তাদের অবকাশের মেয়াদ নির্ধারিত থাকবে ততদিন তারা এখানে থাকবে এবং যে ধরনের ভাল বা মন্দ জীবন যাপন করার কথা তাদের নসীবে লেখা থাকবে, সেই ধরনের জীবন তারা যাপন করবে।