أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book# 114/٣٠٤)-৫০৭
www.motaher21.net
সুরা: আল্ আরাফ
সুরা:৭
৪৪-৪৫ নং আয়াত:-
أَن لَّعْنَةُ اللّهِ عَلَى الظَّالِمِينَ
আল্লাহর লা’নত যালিমদের উপর’।
The curse of Allah is on the wrongdoers.
وَ نَادٰۤی اَصۡحٰبُ الۡجَنَّۃِ اَصۡحٰبَ النَّارِ اَنۡ قَدۡ وَجَدۡنَا مَا وَعَدَنَا رَبُّنَا حَقًّا فَہَلۡ وَجَدۡتُّمۡ مَّا وَعَدَ رَبُّکُمۡ حَقًّا ؕ قَالُوۡا نَعَمۡ ۚ فَاَذَّنَ مُؤَذِّنٌۢ بَیۡنَہُمۡ اَنۡ لَّعۡنَۃُ اللّٰہِ عَلَی الظّٰلِمِیۡنَ ﴿ۙ۴۴﴾
আর জান্নাতের অধিবাসীগণ আগুনের অধিবাসীদেরকে ডাকবে যে, ‘আমাদের রব আমাদেরকে যে ওয়াদা দিয়েছেন তা আমরা সত্য পেয়েছি। সুতরাং তোমাদের রব তোমাদেরকে যে ওয়াদা দিয়েছেন, তা কি তোমরা সত্যই পেয়েছ’? তারা বলবে, ‘হ্যাঁ’। অতঃপর এক ঘোষক তাদের মধ্যে ঘোষণা দেবে যে, আল্লাহর লা’নত যালিমদের উপর’।
الَّذِیۡنَ یَصُدُّوۡنَ عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَ یَبۡغُوۡنَہَا عِوَجًا ۚ وَ ہُمۡ بِالۡاٰخِرَۃِ کٰفِرُوۡنَ ﴿ۘ۴۵﴾
যারা আল্লাহর পথে চলতে (মানুষকে) বাধা দিত এবং তাতে বক্রতা অনুসন্ধান করত তারা পরকালকেও অস্বীকার করত।
৪৪-৪৫ নং আয়াতের তাফসীর:
তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ বলেছেন:-
এ আয়াতগুলোতে আল্লাহ তা‘আলা তিন শ্রেণির মানুষের কথা তুলে ধরেছেন। এক শ্রেণি জান্নাতবাসী, এক শ্রেণি জাহান্নামবাসী এবং এক শ্রেণি আ‘রাফবাসী। প্রথমেই জান্নাতবাসীদের কথা দিয়ে শুরু করেছেন যারা জাহান্নামীদের সম্বোধন করে বলবে, আমরা আমাদের প্রতিপালকের ওয়াদা যথাযথভাবে পেয়েছি, তোমরা কি পেয়েছ? উত্তরে জাহান্নামবাসীরা বলবে, হ্যাঁ। তখন এক ঘোষক ঘোষণা করে দিবে যে, আল্লাহ তা‘আলার লা‘নত জালিমদের ওপর। যালেম কারা তার পরিচয় দিতে গিয়ে পরের আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(الَّذِيْنَ يَصُدُّوْنَ عَنْ سَبِيْلِ اللّٰهِ وَيَبْغُوْنَهَا عِوَجًا ج وَهُمْ بِالْاٰخِرَةِ كٰفِرُوْنَ)
‘যারা ‘আল্লাহর পথে বাধা প্রদান করে এবং তাতে বক্রতা অনুসন্ধান করে মূলত তারাই আখিরাত সম্বন্ধে অবিশ্বাসী।’ (সূরা আ‘রাফ ৭:৪৫)
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura Al-Araf
Sura:7
Verses :- 44-45
أَن لَّعْنَةُ اللّهِ عَلَى الظَّالِمِينَ
The curse of Allah is on the wrongdoers.
People of Hellfire will feel Anguish upon Anguish
Allah tells;
وَنَادَى أَصْحَابُ الْجَنَّةِ أَصْحَابَ النَّارِ
And the dwellers of Paradise will call out to the dwellers of the Fire (saying):
Allah mentioned how the people of the Fire will be addressed, chastised and admonished when they take their places in the Fire,
أَن قَدْ وَجَدْنَا مَا وَعَدَنَا رَبُّنَا حَقًّا فَهَلْ وَجَدتُّم مَّا وَعَدَ رَبُّكُمْ حَقًّا قَالُواْ نَعَمْ
“We (dwellers of Paradise) have indeed found true what our Lord had promised us; have you (dwellers of Hell) also found true what your Lord promised (warned)!”
They shall say:”Yes.”
In Surah As-Saffat, Allah mentioned the one who had a disbelieving companion,
فَاطَّلَعَ فَرَءَاهُ فِى سَوَاءِ الْجَحِيمِ
قَالَ تَاللَّهِ إِن كِدتَّ لَتُرْدِينِ
وَلَوْلَا نِعْمَةُ رَبِّى لَكُنتُ مِنَ الْمُحْضَرِينَ
أَفَمَا نَحْنُ بِمَيِّتِينَ
إِلاَّ مَوْتَتَنَا الاٍّولَى وَمَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِينَ
So he looked down and saw him in the midst of the Fire. He said:”By Allah! You have nearly ruined me. Had it not been for the grace of my Lord, I would certainly have been among those brought forth (to Hell).”
(The dwellers of Paradise will say!) “Are we then not to die (any more) Except our first death, and we shall not be punished.” (37:55-59)
Allah will punish the disbeliever for the claims he used to utter in this life. The angels will also admonish the disbelievers, saying,
هَـذِهِ النَّارُ الَّتِى كُنتُم بِهَا تُكَذِّبُونَ
أَفَسِحْرٌ هَـذَا أَمْ أَنتُمْ لَا تُبْصِرُونَ
اصْلَوْهَا فَاصْبِرُواْ أَوْ لَا تَصْبِرُواْ سَوَاءٌ عَلَيْكُمْ إِنَّمَا تُجْزَوْنَ مَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
This is the Fire which you used to belie. Is this magic or do you not see! Taste you therein its heat and whether you are patient of it or impatient of it, it is all the same. You are only being requited for what you used to do. (52:14-16)
The Messenger of Allah admonished the inhabitants of the well at Badr:
يَا أَبَا جَهْلِ بْنَ هِشَامٍ وَيَا عُتْبَةَ بْنَ رَبِيعَةَ وَيَا شَيْبَةَ بْنَ رَبِيعَةَ وَسَمَّى رُوُوسَهُمْ هَلْ وَجَدْتُمْ مَا وَعَدَ رَبُّكُمْ حَقًّا فَإِنِّي وَجَدْتُ مَا وَعَدَنِي رَبِّي حَقًّا
O Abu Jahl bin Hisham! O Utbah bin Rabi`ah! O Shaybah bin Rabi`ah (and he called their leaders by name)! Have you found what your Lord promised to be true (the Fire)! I certainly found what my Lord has promised me to be true (victory).
Umar said, “O Allah’s Messenger! Do you address a people who have become rotten carrion!”
He said,
وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا أَنْتُمْ بِأَسْمَعَ لِمَا أَقُولُ مِنْهُمْ وَلَكِنْ لَاا يَسْتَطِيعُونَ أَنْ يُجِيبُوا
By He in Whose Hand is my soul! You do not hear what I am saying better than they do, but they cannot reply.
Allah’s statement,
فَأَذَّنَ مُوَذِّنٌ بَيْنَهُمْ
Then a crier will proclaim between them,
will herald and announce,
أَن لَّعْنَةُ اللّهِ عَلَى الظَّالِمِينَ
The curse of Allah is on the wrongdoers.
meaning, the curse will reside with the wrongdoers.
Allah then described them by saying
الَّذِينَ يَصُدُّونَ عَن سَبِيلِ اللّهِ وَيَبْغُونَهَا عِوَجًا
Those who hindered (men) from the path of Allah, and would seek to make it crooked,
meaning, they hindered the people from following Allah’s path, His Law, and what the Prophets brought. They sought to make Allah’s path appear crooked and winding, so that no one would follow it.
Allah said,
وَهُم بِالاخِرَةِ كَافِرُونَ
and they were disbelievers in the Hereafter.
They disbelieved in the Meeting with Allah in the Hereafter, They used to deny this will ever occur, not accepting it nor believing in it. This is why they used to discount the seriousness of the evil deeds and statements that they committed, because they did not fear any reckoning or punishment. Therefore, they were and are indeed the worst people in statement and action.
তাফসীরে ইবনে কাসীর বলেছেন:-
৪৪-৪৫ নং আয়াতের তাফসীর:
জাহান্নামবাসীকে জাহান্নামে যাওয়ার পর উপহাসমূলকভাবে সম্বোধন করা হচ্ছে যে, জান্নাতবাসী জাহান্নামবাসীকে সম্বোধন করে বলবেঃ “আমাদের প্রতিপালক আমাদের সাথে যে অঙ্গীকার করেছিলেন তা তিনি সত্যরূপে দেখিয়েছেন। তোমাদের সাথে আল্লাহ তা’আলা যে ওয়াদা করেছিলেন তা তোমরা সত্যরূপে পেয়েছো কি?” (আরবী) এখানে হরফটি উহ্য উক্তির তাফসীর করছে এবং (আরবী) শব্দটি নিশ্চয়তা বুঝাবার জন্যে এসেছে। সেই সময় কাফিররা উত্তরে বলবেঃ “হা (আমরা তা সত্যরূপে পেয়েছি)।” যেমন মহান আল্লাহ সূরায়ে সাফফাতে বলেছেন এবং তিনি ঐ ব্যক্তি সম্বন্ধে সংবাদ দিয়েছেন যে ব্যক্তি দুনিয়ায় কোন কাফিরের বন্ধু ছিল। ঐ মুমিন ব্যক্তি যখন তার কাফির বন্ধুকে জাহান্নামে উঁকি মেরে দেখবে তখন বলবেঃ “আল্লাহর শপথ! তুমি তো আমাকেও ধ্বংস করারই উপক্রম করেছিলে, যদি না আমার প্রভুর অনুগ্রহ হতো তবে আমিও তোমার ন্যায় দণ্ডিতদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।” এই কাফিররা বলতোঃ “এই যে, আমরা মরলাম তো মরলামই, আর আমরা উথিত হবে না এবং আমাদেরকে শাস্তিও দেয়া হবে না।” ফেরেশতা এখন তাদের কান খুলে দেবে এবং বলবে- দেখ, এটাই হচ্ছে সেই জাহান্নাম যা তোমরা অস্বীকার করতে। এটা কি কোন যাদু, না তোমরা এটা দেখতে পাচ্ছ না? এসো, জাহান্নামে প্রবেশ কর। পেরে না পেরে তোমাদেরকে সহ্য করতেই হবে। তোমরা তোমাদের কৃতকর্মের প্রতিদান পাচ্ছ।
অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বদরের নিহতদেরকে সম্বোধন করে বলেছিলেন“হে আবু জেহেল ইবনে হিশাম, হে উৎবা ইবনে রাবীআ, হে শাইবা ইবনে রাবীআ এবং অন্যান্য মৃত কুরায়েশ নেতৃবর্গের নাম ধরে ধরে বলেছিলেন! আল্লাহ তোমাদের সাথে যে ওয়াদা করেছিলেন তা সত্যে পরিণত হয়েছে কি? আমার প্রভু আমার সাথে যে ওয়াদা করেছিলেন তা পূর্ণ হয়ে গেছে।” ঐ সময় হযরত উমার (রাঃ) জিজ্ঞেস করেছিলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আপনি মৃতদেরকে সম্বোধন করছেন (অথচ তারা তো শুনতেই পায় না)?” তিনি উত্তরে বলেছিলেনঃ “আল্লাহর কসম! তারা তোমাদের চেয়ে কম শুনতে পাচ্ছে না, কিন্তু তারা উত্তর দিতে সক্ষম নয়।”
অতঃপর ইরশাদ হচ্ছে- একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা করবে- যালিমদের উপর আল্লাহর অভিসম্পাত। আল্লাহ পাক বলেনঃ এরা হচ্ছে ঐসব লোক যারা লোকদেরকে সরল সোজা পথে আসতে বাধা প্রদান করতো। তারা জনগণকে নবীদের শরীয়তের পথ থেকে ফিরিয়ে দিতো, যেন তারা বক্র পথে পরিচালিত হয় এবং নবীদের অনুসরণ না করে। তারা পরকালে আল্লাহর সামনে হাজির হওয়াকে অস্বীকার করতো। কেননা, তাদের হিসাবের দিনের কোন ভয়ই ছিল না। এরা ছিল বড়ই দুষ্ট প্রকৃতির লোক।
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
এ আরাফাবাসীরা হবে এমন একদল লোক, যাদের জীবনের ও কর্মকাণ্ডের ইতিবাচক বা ভাল দিক এত বেশী শক্তিশালী হবে না, যার ফলে তারা জান্নাত লাভ করতে সক্ষম হয়, আবার এর নেতিবাচক বা খারাপ দিকও এত বেশী খারাপ হবে না, যার ফলে তাদের জাহান্নামে নিক্ষেপ করা যেতে পারে। তাই তারা জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝখানে একটি সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করবে।