أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book# 114/٣٤٩) -৫৫২
www.motaher21.net
সুরা: আল্ আরাফ
সুরা:৭
১৮৮ নং আয়াত:-
قُل لاَّ أَمْلِكُ لِنَفْسِي نَفْعًا وَلَا ضَرًّا إِلاَّ مَا شَاء اللّهُ
বল, ‘আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত আমার নিজের ভাল-মন্দের উপরই আমার কোন অধিকার নেই।
Say :”I possess no power over benefit or harm to myself except as Allah wills.
قُلۡ لَّاۤ اَمۡلِکُ لِنَفۡسِیۡ نَفۡعًا وَّ لَا ضَرًّا اِلَّا مَا شَآءَ اللّٰہُ ؕ وَ لَوۡ کُنۡتُ اَعۡلَمُ الۡغَیۡبَ لَاسۡتَکۡثَرۡتُ مِنَ الۡخَیۡرِۚۖۛ وَ مَا مَسَّنِیَ السُّوۡٓءُ ۚۛ اِنۡ اَنَا اِلَّا نَذِیۡرٌ وَّ بَشِیۡرٌ لِّقَوۡمٍ یُّؤۡمِنُوۡنَ ﴿۱۸۸﴾٪
বল, ‘আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত আমার নিজের ভাল-মন্দের উপরই আমার কোন অধিকার নেই। আমি যদি অদৃশ্যের খবর জানতাম, তাহলে তো আমি প্রভূত কল্যাণ লাভ করতাম এবং কোন অকল্যাণই আমাকে স্পর্শ করত না। আমি তো শুধু বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য সতর্ককারী ও সুসংবাদবাহী।
তাফসীরে ইবনে কাসীর বলেছেন:-
এখানে আল্লাহ তাআলা স্বীয় রাসূল (সঃ)-কে নির্দেশ দিচ্ছেন- হে নবী (সঃ)! তুমি সমস্ত বিষয়ের সম্পর্ক আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে দাও। নিজের সম্পর্কে তুমি বলে দাও-ভবিষ্যতের জ্ঞান আমারও নেই। হ্যা, তবে আল্লাহ যেটা বলে দেন একমাত্র সেটাই আমি বলতে পারি। যেমন আল্লাহ পাক বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “তিনি (আল্লাহ) অদৃশ্যের সংবাদ জ্ঞাত, তাঁর অদৃশ্য বিষয় কারো উপর প্রকাশিত হয় না (তার অদৃশ্য বিষয় কেউ জানতে পারে না)।” (৭২:২৬)
আল্লাহ পাকের উক্তিঃ হে নবী (সঃ)! তুমি বলে দাও আমি যদি অদৃশ্যের বিষয় জানতাম তবে আমি নিজের জন্যে অনেক কিছু কল্যাণ জমা করে নিতাম। অর্থাৎ যদি আমি আমার মত্যর সংবাদ অবগত হতাম যে, কোন তারিখে আমি মারা যাবো, তবে তাড়াহুড়া করে অনেক সকাজ করে ফেলার চেষ্টা করতাম। এটা হচ্ছে মুজাহিদ (রঃ)-এর উক্তি। ইবনে জুরাইহও এটাই বলেন। কিন্তু এ কথায় চিন্তা ভাবনার অবকাশ রয়েছে। কেননা, রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর সমস্ত কাজ ভালই ছিল এবং তিনি যে কাজই করতেন তা স্থায়ীভাবেই করতেন। তাঁর সমস্ত কাজ একই রকমের ছিল। প্রত্যেক আমলের সময় তার দৃষ্টি আল্লাহর দিকেই থাকতো। মোটকথা, তাঁর কোন আমলই ভাল ছাড়া মন্দ হতো না। হ্যাঁ, ভাবার্থ এরূপ হতে পারে- আমি যদি অদৃশ্যের সংবাদ জানতাম যে, জনগণের কোন্ ধরনের মঙ্গল কোন্ কাজে রয়েছে, তবে আমি তাদেরকে তা অবহিত করতাম। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) (আরবী) -এর অর্থ সম্পদ নিয়েছেন এবং এটাই উত্তমও বটে। অথবা ভাবার্থ হবে- যে জিনিস ক্রয়ে লাভ বা উপকার রয়েছে তা আমার জানা থাকলে ওটা অবশ্যই ক্রয় করতাম। আর কোন জিনিস বিক্রয় করতাম না যে পর্যন্ত না ওর লাভ জানতাম। মোটকথা, ব্যবসায়ে কখনও ক্ষতিগ্রস্ত হতাম না বা কাউকেও ক্ষতিগ্রস্ত হতে দিতাম না। অথবা দারিদ্র বা সংকীর্ণতা আমাকে কখনো স্পর্শ করতো না। কেউ কেউ এ অর্থও নিয়েছেন- দুর্ভিক্ষ আসার খবর জানলে পূর্বেই বহু খাদ্য জমা করে রাখতাম। সস্তার সময় কিনতাম এবং দুর্মূল্যের সময় বিক্রী করতাম। ফলে আমাকে দারিদ্র স্পর্শ করতে পারতো না। কেননা, আমার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোন সম্ভাবনাই থাকতো না।
(আরবী) আমি শুধু (জাহান্নাম হতে) ভয় প্রদর্শনকারী এবং (জান্নাতের) সুসংবাদদাতা। যেমন আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “আমি কুরআনকে তোমার ভাষায় সহজ করে দিয়েছি, যেন এর মাধ্যমে মুত্তাকীদেরকে (জান্নাতের) সুসংবাদ দাও এবং বিবাদী ও ঝগড়াটে লোকদেরকে (জাহান্নাম হতে) ভয় প্রদর্শন কর।”
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura Al-Araf
Sura:7
Verses :- 188
قُل لاَّ أَمْلِكُ لِنَفْسِي نَفْعًا وَلَا ضَرًّا إِلاَّ مَا شَاء اللّهُ
Say :”I possess no power over benefit or harm to myself except as Allah wills.
The Messenger does not know the Unseen, and He cannot bring Benefit or Harm even to Himself
Allah
قُل لاَّ أَمْلِكُ لِنَفْسِي نَفْعًا وَلَا ضَرًّا إِلاَّ مَا شَاء اللّهُ
Say :”I possess no power over benefit or harm to myself except as Allah wills.
Allah commanded His Prophet to entrust all matters to Him and to inform, about himself, that he does not know the unseen future, but he knows of it only what Allah informs him.
Allah said in another Ayah,
عَـلِمُ الْغَيْبِ فَلَ يُظْهِرُ عَلَى غَيْبِهِ أَحَداً
(He Alone is) the All-Knower of the Ghayb (Unseen), and He reveals to none His Ghayb. (72:26)
وَلَوْ كُنتُ أَعْلَمُ الْغَيْبَ لَاسْتَكْثَرْتُ مِنَ الْخَيْرِ
If I had the knowledge of the Ghayb (Unseen), I should have secured for myself an abundance of wealth.
Ad-Dahhak reported that Ibn Abbas said that,
refers to money.
In another narration, Ibn Abbas commented,
“I would have knowledge of how much profit I would make with what I buy, and I would always sell what I would make profit from,
وَمَا مَسَّنِيَ السُّوءُ
(“and no evil should have touched me).” and poverty would never touch me.”
Ibn Jarir said,
“And others said, `This means that if I know the Unseen then I would prepare for the years of famine during the prosperous years, and in the time of high cost, I would have prepared for it.”‘
Abdur-Rahman bin Zayd bin Aslam also commented on this Ayah;
وَمَا مَسَّنِيَ السُّوءُ
(and no evil should have touched me),
“I would have avoided and saved myself from any type of harm before it comes.”
The Prophet then stated that;
إِنْ أَنَاْ إِلاَّ نَذِيرٌ وَبَشِيرٌ لِّقَوْمٍ يُوْمِنُونَ
“I am but a warner, and a bringer of glad tidings unto people who believe.”
Allah tells that the Prophet is a warner and bearer of good news. He warns against the torment and brings good news of Paradise for the believers,
فَإِنَّمَا يَسَّرْنَـهُ بِلَسَانِكَ لِتُبَشِّرَ بِهِ الْمُتَّقِينَ وَتُنْذِرَ بِهِ قَوْماً لُّدّاً
So We have made this (the Qur’an) easy on your tongue, only that you may give glad tidings to the pious, and warn with it the most quarrelsome of people. (19:97).
তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ বলেছেন:-
قُلْ لَّا أَمْلِكُ لِنَفْسِيْ نَفْعًا)
‘নিজের ভাল-মন্দের ওপরও আমার কোন অধিকার নেই।’ আল্লাহ তা‘আলার রাসূল নিজের কোন কল্যাণ ও অকল্যাণের মালিক নন এবং তিনি গায়েবও জানেন না। যদি তা জানতেন তাহলে তিনি সকল কল্যাণ গ্রহণ করতেন, অকল্যাণ তাঁকে স্পর্শ করতে না। এ সম্পর্কে পূর্বের সূরাগুলোতে অনেক আলোচনা হয়েছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান বলেছেন:-
এই আয়াত এ বিষয়টিকে কত স্পষ্ট করে যে, নবী (সাঃ) গায়বের খবর জানতেন না। গায়েবের জ্ঞান কেবল মহান আল্লাহর আছে। কিন্তু অন্যায় ও অজ্ঞতা এমন সীমা ছাড়িয়ে গেছে যে, এ সত্ত্বেও বিদআতীরা নবী (সাঃ)-কে গায়বের খবর জানতেন বলে মনে করে! যুদ্ধে তাঁর দাঁত মুবারক শহীদ হয়েছে, তাঁর মুখ মন্ডলও রক্তাক্ত হয়েছে। সে সময় তিনি বলেছিলেন যে, “সেই জাতি কিভাবে সফল হতে পারে, যে জাতি তার নবীর মাথা যখম করে দেয়!” (হাদীস গ্রন্থে উক্ত ঘটনা ও নিমেনর ঘটনাও বর্ণিত হয়েছে,) আয়েশা (রাঃ) র চরিত্রে যখন কলঙ্ক দেওয়া হয়, তখন পূর্ণ একমাস নবী (সাঃ) অত্যন্ত অস্থিরতা ও পেরেশানী ভোগ করেন। একটি ইয়াহুদী মহিলা তাঁকে দাওয়াত দিয়ে খাবারে বিষ মিশিয়ে দেয়; যা তিনি ও সাহাবাগণও খেয়ে ফেলেন। এমন কি ঐ বিষাক্ত খাবার খেয়ে একজন সাহাবীর মৃত্যুও ঘটে। আর খোদ নবী (সাঃ) জীবনভোর বিষের প্রতিক্রিয়া ভোগ করেন। এই ঘটনা ও অন্যান্য বহু ঘটনা প্রমাণ করে যে, গায়বের খবর না জানার ফলেই তাঁকে এরূপ কষ্ট যাতনা ভোগ করতে হয়েছিল। যাতে কুরআনের এই সত্যতাই প্রমাণিত হয় যে, “যদি আমি গায়ব জানতাম, তাহলে আমার কোন অমঙ্গল হত না।”
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
এর অর্থ হচ্ছে, কিয়ামতের সঠিক তারিখ একমাত্র সে-ই বলতে পারে, যে গায়েবের জ্ঞান রাখে আর আমার অবস্থা এমন যে, আমি আগামীকাল আমার ও আমার পরিবারবর্গের কি অবস্থা হবে তাও বলতে পারিনা। তোমরা নিজেরাই বুঝতে পারো, যদি আমি এ জ্ঞানের অধিকারী হতাম তাহলে পূর্বাহ্ণে অবগত হয়ে বহু ক্ষতির হাত থেকে আমি বেঁচে যেতাম এবং নিছক আগেভাগে জানতে পারার কারণে নিজের বহু স্বার্থোদ্ধার করা আমার পক্ষে সহজতর হতো। এ অবস্থা দেখার ও জানার পরও তোমরা আমাকে জিজ্ঞেস করছো-কিয়ামত কবে হবে? এটা তোমাদের কত বড় অজ্ঞতার পরিচায়ক।