Book#558

أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ

(Book# 114/٣٥٤) -৫৫৭
www.motaher21.net
সুরা: আল্‌ আরাফ
সুরা:৭
২০৩ নং আয়াত:-

وَ اِذَا لَمۡ تَاۡتِہِمۡ بِاٰیَۃٍ

তুমি যখন তাদের নিকট কোন নিদর্শন (মু’জিযা) উপস্থিত কর না,
Idolators ask to witness Miracles

وَ اِذَا لَمۡ تَاۡتِہِمۡ بِاٰیَۃٍ قَالُوۡا لَوۡ لَا اجۡتَبَیۡتَہَا ؕ قُلۡ اِنَّمَاۤ اَتَّبِعُ مَا یُوۡحٰۤی اِلَیَّ مِنۡ رَّبِّیۡ ۚ ہٰذَا بَصَآئِرُ مِنۡ رَّبِّکُمۡ وَ ہُدًی وَّ رَحۡمَۃٌ لِّقَوۡمٍ یُّؤۡمِنُوۡنَ ﴿۲۰۳﴾
তুমি যখন তাদের নিকট কোন নিদর্শন (মু’জিযা) উপস্থিত কর না, তখন তারা বলে, ‘তুমি নিজেই তা বেছে নাও না কেন?’ বল, ‘আমার প্রতিপালকের নিকট থেকে আমাকে যে অহী (প্রত্যাদেশ) করা হয়, আমি তো শুধু তারই অনুসরণ করি। এ (কুরআন) তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে দলীল ও নিদর্শন এবং বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য পথনির্দেশ ও দয়া।

তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ বলেছেন:-
وَإِذَا لَمْ تَأْتِهِمْ بِاٰيَةٍ)

‘তুমি যখন তাদের নিকট কোন নিদর্শন উপস্থিত কর’ অর্থাৎ এমন মু’জিযাহ উদ্দেশ্য যা তাদের ইচ্ছানুসারে তাদের কথামত প্রকাশ করা হবে। যেমন তাদের কিছু দাবী সূরা বানী ইসরাঈলের ৯০-৯৩ নং আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে।

(لَوْلَا اجْتَبَيْتَهَا)

‘তুমি নিজেই একটি নিদর্শন বেছে নাও না কেন?’ এর অর্থ হল: নিজ হতে কেন এসব মু’জিযাহ প্রকাশ কর না? এটাই বলেছেন: কাতাদাহ, সুদ্দী, আবদুর রহমান বিন যায়েদ প্রমুখ। ইবনু জারীর (রহঃ) এটাই পছন্দ করেছেন। (তাফসীর তাবারী, ১৩/৩৪৩)

সুতরাং আল্লাহ তা‘আলার নিদর্শন থেকে তারাই উপকৃত হবে এবং ঈমান বৃদ্ধি পাবে যারা মু’মিন, পক্ষান্তরে যারা মু’মিন না তাদের পথভ্রষ্টতা আরো বৃদ্ধি পাবে।

English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura Al-Araf
Sura:7
Verses :- 203

وَ اِذَا لَمۡ تَاۡتِہِمۡ بِاٰیَۃٍ

Idolators ask to witness Miracles

Idolators ask to witness Miracles

Allah says;
وَإِذَا لَمْ تَأْتِهِم بِأيَةٍ قَالُواْ لَوْلَا اجْتَبَيْتَهَا قَالُواْ لَوْلَا اجْتَبَيْتَهَا وَإِذَا لَمْ تَأْتِهِم بِأيَةٍ قَالُواْ لَوْلَا اجْتَبَيْتَهَا وَإِذَا لَمْ تَأْتِهِم بِأيَةٍ إِن نَّشَأْ نُنَزِّلْ عَلَيْهِمْ مِّنَ السَّمَأءِ ءَايَةً فَظَلَّتْ أَعْنَـقُهُمْ لَهَا خَـضِعِينَ قُلْ إِنَّمَا أَتَّبِعُ مَا يِوحَى إِلَيَّ مِن رَّبِّي هَـذَا بَصَأيِرُ مِن رَّبِّكُمْ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّقَوْمٍ يُوْمِنُونَ

This (the Qur’an) is nothing but evidences from your Lord, and a guidance and a mercy for a people who believe.

তাফসীরে ইবনে ‌কাসীর বলেছেন:-

আল্লাহ পাক বলেনঃ হে নবী (সঃ)! যখন এই লোকগুলো কোন মুজিযা এবং নিদর্শন দেখতে চায় এবং তা তুমি তাদের সামনে পেশ কর না তখন তার বলে- ‘কোন নিদর্শন আপনি পেশ করছেন না কেন? নিজের পক্ষ থেকে তা বানিয়ে নিচ্ছেন না কেন? অথবা কেন আপনি আকাশ থেকে কোন নিদর্শন টেনে আনছেন না?’ এই আয়াত দ্বারা মুজিযা বা অলৌকিক ব্যাপার বুঝানো হয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ আমি ইচ্ছে করলে আকাশ থেকে মুজিযা অবতীর্ণ করতে পারি যা দেখে তাদের গ্রীবা ঝুঁকে পড়বে। এই কাফিররাও আমার রাসূল (সঃ)-কে বলে- আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন নিদর্শন লাভ করার চেষ্টা আপনি করেন না কেন? তাহলে আমরা তা দেখে ঈমান আনতাম! তাই আল্লাহ পাক বলেনঃ হে নবী (সঃ)! তুমি বলে দাও আমি এই ব্যাপারে আমার কিছুই চেষ্টা করতে চাই না। আমি তো একজন আল্লাহর বান্দা মাত্র! আমার কাছে যে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে আমি সেটাই পালনকারী। যদি তিনি স্বয়ং কোন মু’জিযা পাঠান তবে আমি তা পেশ করে দেবো। আর যদি তিনি তা প্রেরণ না করেন তবে আমি সেজন্যে জেদ বা হঠকারিতা করতে পারি না। তিনি আমাকে এ কথাই বলে দিয়েছেন যে, এই কুরআনই হচ্ছে সবচেয়ে বড় মু’জিযা। এর মধ্যে তাওহীদের দলীলগুলো এমন স্পষ্ট ও খোলাখখালিভাবে রয়েছে যে, তা স্বয়ং মু’জিযা হয়ে গেছে। তাই আল্লাহ পাক বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ এই কুরআনই হচ্ছে তোমার প্রতিপালকের বিরাট দলীল ও নিদর্শন বিশেষ, আর এটা ঈমানদার সম্প্রদায়ের জন্যে হিদায়াত ও অনুগ্রহের প্রতীক বিশেষ।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান বলেছেন:-
[১] উদ্দেশ্য এমন মু’জিযা যা তাদের ইচ্ছানুসারে তাদের কথামত প্রকাশ করা হবে। যেমন তাদের কিছু দাবী সূরা বানী ইস্রাঈল ১৭:৯০-৯৩নং আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে।

[২] لَوْلاَ اجْتَبَيْتَهَا এর অর্থ হল, নিজ হতে কেন তুমি এসব মু’জিযা পেশ করো না? এর উত্তরে বলা হচ্ছে যে, তুমি বলে দাও, মু’জিযা দেখানো আমার সাধ্যে নেই, আমি তো শুধুমাত্র আল্লাহর অহীর অনুসরণ করি। তবে হ্যাঁ, অবশ্যই এই কুরআন যা আমার নিকট এসেছে, তা নিজেই এক মহা মু’জিযা। এতে তোমাদের রবের পক্ষ হতে তোমাদের জন্য রয়েছে দলীল-প্রমাণাদি, পথনির্দেশ, অনুগ্রহ ও করুণা। তবে শর্ত হল, তাতে ঈমান আনা চাই।

তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-

কাফেরদের এ প্রশ্নের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট বিদ্রূপের ভাব ফুটে উঠেছিল। অর্থাৎ তাদের কথাটার অর্থ ছিলঃ আরে মিয়া! তুমি যেভাবে নবী হয়ে বসেছো ঠিক তেমনিভাবে নিজের জন্য একটি মুজিযাও বেছে খুটে সাথে নিয়ে এলে পারতে। কিন্তু এ বিদ্রূপের জবাব কিভাবে দেয়া হয়েছে তা দেখুন।

* অর্থাৎ যে জিনিসটির চাহিদা দেখা দেয় বা আমি নিজে যার প্রয়োজন অনুভব করি সেটি আমি নিজে উদ্ভাবন বা তৈরী করে পেশ করে দেবো, এটা আমার কাজ নয়। আমি তো একজন রসূল-আল্লাহর প্রেরিত। আমার দায়িত্ব কেবল এতটুকু, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করে যাবো। মুজিযার পরিবর্তে আমার প্রেরণকারী আমার কাছে এ কুরআন পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে আছে অন্তরদৃষ্টির আলো। এর প্রধানতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই যে, যারা একে মেনে নেয় তারা জীবনের সঠিক-সরল পথ পেয়ে যায় এবং তাদের নৈতিকবৃত্তিতে আল্লাহর অনুগ্রহের নিদর্শন সুস্পষ্টভাবে প্রকাশিত হতে থাকে।

Leave a Reply