Book #611

أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم

(Book# 611)
www.motaher21.net
সুরা: আত্ তাওবাহ
সুরা:০৯
৪০ নং আয়াত:-
إِلاَّ تَنصُرُوهُ فَقَدْ نَصَرَهُ اللّهُ
যদি তোমরা তাঁকে সাহায্য না কর, তবে আল্লাহ্‌ তো তাঁকে সাহায্য করেছিলেন,
If you help him not for Allah did indeed help him,

اِلَّا تَنۡصُرُوۡہُ فَقَدۡ نَصَرَہُ اللّٰہُ اِذۡ اَخۡرَجَہُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ثَانِیَ اثۡنَیۡنِ اِذۡ ہُمَا فِی الۡغَارِ اِذۡ یَقُوۡلُ لِصَاحِبِہٖ لَا تَحۡزَنۡ اِنَّ اللّٰہَ مَعَنَا ۚ فَاَنۡزَلَ اللّٰہُ سَکِیۡنَتَہٗ عَلَیۡہِ وَ اَیَّدَہٗ بِجُنُوۡدٍ لَّمۡ تَرَوۡہَا وَ جَعَلَ کَلِمَۃَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوا السُّفۡلٰی ؕ وَ کَلِمَۃُ اللّٰہِ ہِیَ الۡعُلۡیَا ؕ وَ اللّٰہُ عَزِیۡزٌ حَکِیۡمٌ ﴿۴۰﴾
যদি তোমরা তাঁকে সাহায্য না কর, তবে আল্লাহ্‌ তো তাঁকে সাহায্য করেছিলেন যখন কাফেরেরা তাঁকে বহিস্কার করেছিল এবং তিনি ছিলেন দুজনের দ্বিতীয়জন, যখন তারা উভয়ে গুহার মধ্যে ছিল; তিনি তখন তাঁরা সঙ্গীকে বলেছিলেন, ‘বিষন্ন হয়ো না, আল্লাহ্‌ তো আমাদের সাথে আছেন।’ অতঃপর আল্লাহ্‌ তার উপর তাঁর প্রশান্তি নাযিল করেন এবং তাঁকে শক্তিশালী করেন এমন এক সৈন্যবাহিনী দ্বারা যা তোমরা দেখনি এবং তিনি কাফেরদের কথা হেয় করেন। আর আল্লাহ্‌র কথাই সমুন্নত এবং আল্লাহ্‌ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
If you do not aid the Prophet – Allah has already aided him when those who disbelieved had driven him out [of Makkah] as one of two, when they were in the cave and he said to his companion, “Do not grieve; indeed Allah is with us.” And Allah sent down his tranquillity upon him and supported him with angels you did not see and made the word of those who disbelieved the lowest, while the word of Allah – that is the highest. And Allah is Exalted in Might and Wise.

৪০ নং আয়াতের তাফসীর:

তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-
(ثَانِيَ اثْنَيْنِ إِذْ هُمَا فِي الْغَارِ)

‘দু’জনের একজন, যখন তারা উভয়ে গুহার মধ্যে ছিল’ এখানে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও আবূ বকর (রাঃ) এর মক্কা থেকে মদীনার উদ্দেশ্যে হিজরতকালীন ‘গারে সূর’ পর্বতে অবস্থান ও তখনকার পরিস্থিতির কথা তুলে ধরা হচ্ছে। শত্রুরা খুঁজতে খুঁজতে যে গর্তে নাবী (সাঃ) ও আবূ বাকর (রাঃ) লুকিয়ে ছিলেন সেখানে চলে এসেছে, এমন কঠিন মুহূর্তেও আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে সাহায্য করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আবূ বাকর (রাঃ)-কে বললেন: তুমি চিন্তা করো না, আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সাথে আছেন। আবূ বাকর (রাঃ) বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সাথে গারে সূর থেকে মুশরিকদের (পায়ের) চি‎‎‎হ্ন দেখাচ্ছিলাম। আমি বললাম: হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ)! যদি তাদের কেউ পা তুলে তাহলেই আমাদেরকে দেখতে পাবে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন: যাদের তিনজনের একজন আল্লাহ তা‘আলা তাদের দুজন সম্পর্কে তোমার ধারণা কী? (সহীহ বুখারী হা: ৪৬৬৩)

এ ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে অনেকে বলে থাকে: গুহার মুখে কবুতর এসে ডিম পেড়ে দিয়েছিল ইত্যাদি এসব মিথ্যা বানোয়াট কথা।

(كَلِمَةَ الَّذِيْنَ كَفَرُوا السُّفْلٰي)

‘এবং তিনি কাফিরদের কথা হেয় করলেন’ কাফিরদের বাক্য বলতে শির্ক আর আল্লাহ তা‘আলার বাণী বলতে তাওহীদ।

যেমন রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হল: একজন বীরত্ব প্রকাশ করার জন্য যুদ্ধ করে, একজন স্বগোত্রের অন্ধ পক্ষপাতিত্ব করার জন্য যুদ্ধ করে আর অন্যজন লোক দেখানোর জন্য যুদ্ধ করে- এদের মধ্যে আল্লাহ তা‘আলার রাস্তায় যুদ্ধ কার হয়? তিনি বললেন: যে আল্লাহ তা‘আলার কালিমাকে সুউচ্চ করার জন্য যুদ্ধ করে তার যুদ্ধ আল্লাহ তা‘আলার রাস্তায় হয়। (সহীহ বুখারী হা: ১২৩)

সুতরাং মুসলিম নেতা যদি সাধারণভাবে জিহাদের জন্য আহ্বান করে তাহলে সব কিছু বর্জন করে জিহাদে বের হওয়া আবশ্যক। কেউ জিহাদ না করলে আল্লাহ তা‘আলার কোন ক্ষতি হবে না বরং নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনবে ।

আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

* দীনের জন্য রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে সাহায্য করা ওয়াজিব।
* আবূ বকর (রাঃ)-এর মর্যাদা জানতে পারলাম।
* ইসলাম সর্বদা বিজয়ী থাকে তার ওপর কোন কিছু বিজয় লাভ করতে পারে না।

তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
আল্লাহ তা’আলা (জিহাদ পরিত্যাগকারীদের সম্বোধন করে) বলছেন-তোমরা যদি আমার রাসূল (সঃ)-এর সাহায্য সহযোগিতা ছেড়ে দাও তবে জেনে রেখো যে, আমি কারো মুখাপেক্ষী নই। আমি নিজেই তার সহায়ক ও পৃষ্ঠপোষক। ঐ সময়ের কথা তোমরা স্মরণ কর অর্থাৎ হিজরতের বছর যখন কাফিররা আমার রাসূল (সঃ)-কে হত্যা করা বা বন্দী করা অথবা দেশান্তর করার ষড়যন্ত্র করেছিল তখন তিনি প্রিয় ও বিশ্বস্ত সহচর আবু বকর (রাঃ)-কে সাথে নিয়ে অতি সন্তর্পণে মক্কা থেকে বেরিয়ে যান। সেই সময় তার সাহায্যকারী কে ছিল? তিন দিন পর্যন্ত ‘সাওর’ পর্বতের গুহায় তারা আশ্রয় নেন। উদ্দেশ্য এই যে, তাঁদের পশ্চাদ্ধাবনকারীরা তাদেরকে না পেয়ে যখন নিরাশ হয়ে ফিরে যাবে তখন তারা মদীনার পথ ধরবেন। ক্ষণে ক্ষণে আবু বকর (রাঃ) ভীত বিহ্বল হয়ে ওঠেন যে, না জানি কেউ হয়তো জানতে পেরে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে কষ্ট দেয়! রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাঁকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেনঃ “হে আবু বকর (রাঃ)! দু’জনের কথা চিন্তা করছো কেন? তৃতীয়জন যে আল্লাহ রয়েছেন!”

আবু বকর ইবনে আবু কুহাফা (রাঃ) গুহায় নবী (সঃ)-কে বলেনঃ “এই কাফিরদের কেউ যদি পায়ের দিকে তাকায় তবেই তো আমাদেরকে দেখে নেবে!” তখন তিনি বলেনঃ “হে আবু বকর! তুমি ঐ দু’জনকে কি মনে কর যাঁদের তৃতীয়জন আল্লাহ রয়েছেন?” (এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ) ও ইমাম মুসলিম (রঃ) আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে তাখরীজ করেছেন) মোটকথা, এই জায়গাতেও মহান আল্লাহ তাঁর রাসূল (সঃ)-কে সাহায্য করেছিলেন। কোন কোন গুরুজন বলেছেন যে, এর দ্বারা আল্লাহ তা’আলা নিজের পক্ষ থেকে আবু বকর (রাঃ)-এর উপর সান্ত্বনা ও প্রশান্তি নাযিল করা বুঝানো হয়েছে। ইবনে আব্বাস (রাঃ) ও অন্যান্যদের তাফসীর এটাই। তাদের দলীল এই যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর মধ্যে তো প্রশান্তি ছিলই। কিন্তু এই বিশেষ অবস্থায় প্রশান্তি নতুনভাবে নাযিল করার মধ্যেও তো কোন বৈপরীত্য নেই। এ জন্যেই আল্লাহ পাক এরই সাথে বলেন-আমি আমার অদৃশ্য সেনাবাহিনী পাঠিয়ে অর্থাৎ ফেরেশতাদের মাধ্যমে তাঁকে সাহায্য করেছি।

আল্লাহ তা’আলা কালেমায়ে কুফরকে দাবিয়ে দিয়েছেন এবং নিজের কালেমাকে সমুন্নত করেছেন। তিনি শিরুককে নীচু করেছেন এবং তাওহীদকে উপরে উঠিয়েছেন। সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে আবু মূসা আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হয়ঃ “একটি লোক বীরত্ব প্রকাশের উদ্দেশ্যে এবং আর একটি লোক মানুষকে খুশী করার জন্যে যুদ্ধ করছে, অন্য একটি লোক যুদ্ধ করছে জাতীয় মর্যাদা রক্ষার উদ্দেশ্যে, এ তিনজনের মধ্যে আল্লাহর পথের মুজাহিদ কে?” তিনি উত্তরে বললেনঃ “যে ব্যক্তি আল্লাহর কালেমাকে সমুন্নত করার নিয়তে যুদ্ধ করে সেই হচ্ছে আল্লাহর পথের মুজাহিদ।”

প্রতিশোধ গ্রহণে আল্লাহ প্রবল পরাক্রান্ত । তিনি যাকে ইচ্ছা সাহায্য করে থাকেন। তাঁর ইচ্ছায় কেউ পরিবর্তন আনয়ন করতে পারে না। কে এমন আছে যে, তাঁর সামনে মুখ খুলতে পারে বা চক্ষু উঠাতে পারে? তাঁর সমস্ত কথা ও কাজ নিপুণতা, যুক্তিসিদ্ধতা, কল্যাণ ও সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ।

তাফসীরে আহসানুল ‌বায়ন বলেছেন:-
[১] জিহাদ থেকে যারা পিছিয়ে থাকতে অথবা গা বাঁচাতে চায়, তাদেরকে বলা হচ্ছে যে, যদি তোমরা সাহায্য না কর, তাহলে আল্লাহ তাআলা তোমাদের সাহায্যের মুখাপেক্ষী নন। আল্লাহ তাআলা নিজ নবীর মদদ সেই সময়ও করেছিলেন যখন তিনি সওর গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। আর তাঁর সঙ্গী (আবু বকর (রাঃ))-কে বলেছিলেন, “চিন্তা করো না আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন।” এর বিস্তারিত বর্ণনা হাদীস গ্রন্থে উল্লিখিত হয়েছে। হিজরতের ঘটনায় আবু বাকর (রাঃ) বলেন, যখন আমরা গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলাম, তখন আমি নবী (সাঃ)-কে বলেছিলাম, ‘ঐ মুশরিকরা (যারা আমাদের পিছন ধরেছে তারা) যদি নিজেদের পায়ের নিচে তাকায়, তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে দেখে নেবে।’ নবী (সাঃ) বললেন, “হে আবু বাকর! তোমার সেই দুই ব্যক্তি সম্বন্ধে কি ধারণা, যাদের তৃতীয়জন হলেন আল্লাহ?” অর্থাৎ, যাদের সাথে আল্লাহর সাহায্য ও মদদ রয়েছে। (বুখারীঃ সূরা তাওবার ব্যাখ্যা)

[২] এখানে সেই দুই প্রকার সাহায্যের কথা বর্ণনা করা হয়েছে, যার দ্বারা আল্লাহ তাঁর রসূল (সাঃ)-কে সাহায্য করেছিলেন। প্রথমতঃ হল প্রশান্তি বা সান্ত্বনা এবং দ্বিতীয়তঃ হল ফিরিশতাদের সহযোগিতা।

[৩] অবিশ্বাসী কাফেরদের বাক্য বলতে শিরক, আর আল্লাহর বাণী বলতে তাওহীদ উদ্দেশ্য। যেমন, এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, একদা রসূল (সাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হল “একজন বীরত্বের শক্তি প্রকাশ করার জন্য যুদ্ধ করে, একজন স্বগোত্রের অন্ধ পক্ষপাতিত্ব করে যুদ্ধ করে, আর অন্য একজন লোক দেখানোর জন্য যুদ্ধ করে, এদের মধ্যে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ কার হয়? তিনি বললেন, “যে আল্লাহর কালেমা (বাণী)-কে সুউচ্চ করার জন্য যুদ্ধ করে, তার যুদ্ধ আল্লাহর রাস্তায় হয়।”

(বুখারীঃ ইলম অধ্যায়, মুসলিমঃ ইমারা অধ্যায়)

তাফসীরে আবুবকর জাকারিয়া বলেছেন:-

[১] এ আয়াতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হিজরতের ঘটনা উল্লেখ করে দেখিয়ে দেয়া হয় যে, আল্লাহর রাসূল কোন মানুষের সাহায্য সহযোগিতার মুখাপেক্ষী নন। আল্লাহ প্রত্যক্ষভাবে গায়েব থেকে সাহায্য করতে সক্ষম। যেমন হিজরতের সময় করা হয়, যখন তার আপন গোত্র ও দেশবাসী তাকে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করে। সফরসঙ্গী হিসেবে একমাত্র সিদীকে আকবর রাদিয়াল্লাহু আনহু ছাড়া আর কেউ ছিলনা। পদব্রজী ও অশ্বারোহী শক্ররা সর্বত্র তার খোজ করে ফিরছে। অথচ আশ্রয়স্থল কোন মজবুত দুর্গ ছিল না। বরং তা এক গিরী গুহা, যার দ্বারপ্রান্তে পর্যন্ত পৌছেছিল তার শক্ররা। তখন গুহা সঙ্গী আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর চিন্তা নিজের জন্য ছিল না, বরং তিনি এই ভেবে সন্ত্রস্ত হয়েছিলেন যে, হয়তো শক্ররা তার বন্ধুর জীবন নাশ করে দেবে, কিন্তু সে সময়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন পাহাড়ের মত অনড়, অটল ও নিশ্চিত। শুধু যে নিজের তা নয়, বরং সফর সঙ্গীকেও অভয় দিয়ে বলছিলেন, চিন্তিত হয়ো না, আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন। (অর্থাৎ তাঁর সাহায্য আমাদের সাথে রয়েছে।) আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি গিরী গুহায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে ছিলাম। তখন আমি কাফেরদের পদশব্দ শুনতে পেলাম। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! তাদের কেউ যদি পা উচিয়ে দেখে তবে আমাদের দেখতে পাবে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, যে দুজনের সাথে আল্লাহ তৃতীয়জন তাদের ব্যাপারে তোমার কি ধারণা? [বুখারী: ১৭৭][ তাছাড়া পুরো ঘটনাটির জন্য দেখুন, সীরাতে ইবন হিশাম]

তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
মক্কার কাফেররা যখন নবী (সা.) কে হত্যা করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত করে ফেলেছিল, এটা সে সময়ের কথা। যে রাতে তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সে রাতেই তিনি মক্কা থেকে বের হয়ে মদীনার দিকে হিজরত করেছিলেন। ইতিপূর্বে দুজন চারজন করে যেতে যেতে মুসলমানদের বেশীর ভাগ মদীনায় পৌঁছে গিয়েছিল। মক্কায় কেবলমাত্র তারাই থেকে গিয়েছিল যারা ছিল একেবারেই অসহায় অথবা যাদের ঈমানের মধ্যে মোনাফেকীর মিশ্রণ ছিল এবং তাদের ওপর কোন প্রকারে ভরসা করা যেতে পারতো না। এ অবস্থায় যখন তিনি জানতে পারলেন, তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, তখন তিনি শুধুমাত্র একজন সাথী হযরত আবু বকরকে(রা.) সঙ্গে নিয়ে মক্কা থেকে বের হয়ে পড়লেন। নিশ্চয়ই তার পেছনে ধাওয়া করা হবে, এ ধারণার বশবর্তী হয়ে তিনি মদিনার পথ ছেড়ে (যা ছিল উত্তরের দিকে) দক্ষিণের পথ অবলম্বন করলেন। এখানে তিন দিন সাওর নামক পর্বত গুহায় আত্মগোপন করে থাকলেন। তাঁর রক্ত পিপাসু দুশমনেরা তাঁকে চারদিকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল। মক্কার আশপাশের উপত্যকাগুলোর কোন জায়গা খুঁজতে তারা বাকী রাখেনি। এভাবে তাদের কয়েকজন খুঁজতে খুঁজতে যে গিরি গুহায় তিনি লুকিয়েছিলেন তার মুখে পৌঁছে গেলো। হযরত আবু বরক(রা.) ভীষণ ভয় পেয়ে গেলেন। তিনি ভাবলেন, দুশমনদের একজন যদি একটু ভিতরে ঢুকে উকি দেয়, তাহলে তাদের দেখে ফেলবে। কিন্তু নবী (সা.) একটুও বিচলিত না হয়ে হযরত আবু বকর(সা.) কে এ বলে সান্ত্বনা দিলেন, “চিন্তিত হয়ো না, মন খারাপ করো না, আল্লাহ‌ আমাদের সাথে আছেন।”

English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura Tawbah
Sura:09
Verses :- 40

إِلاَّ تَنصُرُوهُ فَقَدْ نَصَرَهُ اللّهُ

If you help him not for Allah did indeed help him,

Allah supports His Prophet

Allah said,

إِلاَّ تَنصُرُوهُ فَقَدْ نَصَرَهُ اللّهُ

If you help him (Muhammad) not (it does not matter), for Allah did indeed help him,

if you do not support His Prophet, then it does not matter, for Allah will help, support, suffice and protect him, just as He did,

إِذْ أَخْرَجَهُ الَّذِينَ كَفَرُواْ ثَانِيَ اثْنَيْنِ

when the disbelievers drove him out, the second of the two;

During the year of the Hijrah, the idolators tried to kill, imprison or expel the Prophet, who escaped with his friend and Companion, Abu Bakr bin Abi Quhafah, to the cave of Thawr. They remained in the cave for three days so that the pagans who were sent in their pursuit, returned (to Makkah), and they proceed to Al-Madinah.

إِذْ هُمَا فِي الْغَارِ إِذْ يَقُولُ لِصَاحِبِهِ لَا تَحْزَنْ إِنَّ اللّهَ مَعَنَا

when they were both in the cave, he said to his companion:”Be not sad (or afraid), surely, Allah is with us.”

While in the cave, Abu Bakr was afraid the pagans might discover them for fear that some harm might touch the Messenger.

The Prophet kept reassuring him and strengthening his resolve, saying,

يَا أَبَا بَكْرٍ مَا ظَنُكَ بِاثْنَينِ اللهُ ثَالِثُهُمَا

O Abu Bakr! What do you think about two, with Allah as their third!

Imam Ahmad recorded from Anas that Abu Bakr said to him,

“I said to the Prophet when we were in the cave, `If any of them looks down at his feet, he will see us.’

He said,

يَا أَبَا بَكْرٍ مَا ظَنُكَ بِاثْنَينِ اللهُ ثَالِثُهُمَا

O Abu Bakr! What do you think about two with Allah as their third!”

This is recorded in the Two Sahihs. This is why Allah said,

فَأَنزَلَ اللّهُ سَكِينَتَهُ عَلَيْهِ

Then Allah sent down His Sakinah upon him,

sent His aid and triumph to His Messenger,

or they say it refers to Abu Bakr,

وَأَيَّدَهُ بِجُنُودٍ لَّمْ تَرَوْهَا

and strengthened him with forces which you saw not, (the angels),

وَجَعَلَ كَلِمَةَ الَّذِينَ كَفَرُواْ السُّفْلَى وَكَلِمَةُ اللّهِ هِيَ الْعُلْيَا

and made the word of those who disbelieved the lowermost, while the Word of Allah that became the uppermost;)

Ibn Abbas commented,

“‘The word of those who disbelieved’, is Shirk, while, `The Word of Allah’ is `La ilaha illallah.”

It is recorded in the Two Sahihs that Abu Musa Al-Ashari said,

“The Messenger of Allah was asked about a man who fights because of courage, or out of rage for his honor, or to show off. Whom among them is in the cause of Allah?’

The Prophet said,

مَنْ قَاتَلَ لِتَكُونَ كَلِمَةُ اللهِ هِيَ الْعُلْيَا فَهُوَ فِي سَبِيلِ الله

He who fights so that Allah’s Word is superior, then he fights in Allah’s cause.”

Allah said next,

وَاللّهُ عَزِيزٌ

and Allah is All-Mighty,

in His revenge and taking retribution, He is the Most Formidable and those who seek refuge with Him and take shelter by adhering to what He instructs are never made to suffer injustice,

حَكِيمٌ

All-Wise,

in His statements and actions.

Leave a Reply