أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book# 667)
[ كَأَن لَّمْ يَلْبَثُواْ إِلاَّ سَاعَةً مِّنَ النَّهَارِ
যেন তাদের অবস্থিতি দিনের মুহূর্তকাল মাত্র ছিল !
As if they had not stayed but an hour of a day!
www.motaher21.net
وَ یَوۡمَ یَحۡشُرُہُمۡ کَاَنۡ لَّمۡ یَلۡبَثُوۡۤا اِلَّا سَاعَۃً مِّنَ النَّہَارِ یَتَعَارَفُوۡنَ بَیۡنَہُمۡ ؕ قَدۡ خَسِرَ الَّذِیۡنَ کَذَّبُوۡا بِلِقَآءِ اللّٰہِ وَ مَا کَانُوۡا مُہۡتَدِیۡنَ ﴿۴۵﴾
আর যেদিন তিনি তাদেরকে একত্রিত করবেন, (সেদিন ওদের মনে হবে যে, দুনিয়ায়) যেন তারা দিবসের মুহূর্তকাল মাত্র অবস্থান করেছিল। তারা পরস্পর একে অপরকে চিনবে। বাস্তবিকই ক্ষতিগ্রস্ত হবে ঐসব লোক, যারা আল্লাহর সাক্ষাৎকে মিথ্যা মনে করেছিল এবং তারা সৎপথপ্রাপ্ত ছিল না।
And on the Day when He will gather them, [it will be] as if they had not remained [in the world] but an hour of the day, [and] they will know each other. Those will have lost who denied the meeting with Allah and were not guided.
সুরা: ইউনুস
সুরা:১০
৪৫ নং আয়াত:-
كَأَن لَّمْ يَلْبَثُواْ إِلاَّ سَاعَةً مِّنَ النَّهَارِ
যেন তাদের অবস্থিতি দিনের মুহূর্তকাল মাত্র ছিল !
As if they had not stayed but an hour of a day!
৪৫ নং আয়াতের তাফসীর:
তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা মানুষদেরকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, তারা যখন স্ব-স্ব কবর থেকে উঠে হিসাব-নিকাশের জন্য হাশরের ময়দানে একত্রিত হবে তখন কিয়ামতের ভয়াবহতা দেখে মনে হবে তারা দুনিয়াতে একদিনের কিছু সময় অবস্থান করেছে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَیَوْمَ تَقُوْمُ السَّاعَةُ یُقْسِمُ الْمُجْرِمُوْنَﺃ مَا لَبِثُوْا غَیْرَ سَاعَةٍ)
“যেদিন কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে, সেদিন পাপীরা শপথ করে বলবে যে, তারা মুহূর্তকালের বেশি অবস্থান করেনি।” (সূরা রূম ৩০:৫৫)
আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:
(كَأَنَّهُمْ يَوْمَ يَرَوْنَهَا لَمْ يَلْبَثُوْآ إِلَّا عَشِيَّةً أَوْ ضُحَاهَا)
“যেদিন তারা তা দেখবে, তাতে তাদের মনে হবে যেন তারা (পৃথিবীতে) এক সন্ধ্যা অথবা এক সকালের অধিক অবস্থান করেনি।” (সূরা নাযিআত ৭৯:৪৬)
হাশরের মাঠে মানুষের বিভিন্ন অবস্থা হবে, যা কুরআনের বিভিন্ন স্থানে বর্ণিত হয়েছে। কখনো কেউ কাউকে চিনতে পারবে না, আবার তারা একে অপরকে চিনতে পারবে কখনো পিতা তার সন্তানকে চিনবে, ভাই তার ভাইকে চিনবে যেমনভাবে তারা দুনিয়াতে একে অপরকে চিনত। কিন্তু তারা নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকবে, কেউ কারো প্রতি কোন দৃষ্টিপাত করবে না।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(فَإِذَا نُفِخَ فِي الصُّوْرِ فَلَآ أَنْسَابَ بَيْنَهُمْ يَوْمَئِذٍ وَّلَا يَتَسَا۬ءَلُوْنَ)
“সুতরাং যেদিন শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে সেদিন পরস্পরের মধ্যে আত্মীয়তার বন্ধন থাকবে না, এবং একে অপরের খোঁজ-খবর নেবে না।” (সূরা মু’মিনুন ২৩:১০১)
আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:
(وَلَا یَسْئَلُ حَمِیْمٌ حَمِیْمًاﭙﺊ یُّبَصَّرُوْنَھُمْﺚ یَوَدُّ الْمُجْرِمُ لَوْ یَفْتَدِیْ مِنْ عَذَابِ یَوْمِئِذٍۭ بِبَنِیْھِﭚﺫ وَصَاحِبَتِھ۪ وَاَخِیْھِﭛﺫ وَفَصِیْلَتِھِ الَّتِیْ تُؤْیْھِﭜﺫ وَمَنْ فِی الْاَرْضِ جَمِیْعًاﺫ ثُمَّ یُنْجِیْھِﭝﺫ کَلَّاﺚ اِنَّھَا لَظٰیﭞﺫ)
“আর কোন অন্তরঙ্গ বন্ধু কোন অন্তরঙ্গ বন্ধুর খোঁজ নেবে না, তাদেরকে সামনা-সামনি করা হবে। অপরাধী সেই দিনের আযাব থেকে বাঁচার বিনিময়ে দিতে চাইবে সন্তান-সন্ততিকে, তার স্ত্রী ও ভাইকে, আর তার গোষ্ঠীকে, যারা তাকে আশ্রয় দিত। এবং পৃথিবীর সকলকে, যাতে এসব কিছু তাকে মুক্তি দিতে পারে। না, কক্ষনো নয়, নিশ্চয়ই এটা লেলিহান অগ্নি শিখা।” (সূরা মা‘আরিজ ৭০:১০-১৫)
প্রকৃতপক্ষে যারা আল্লাহ তা‘আলার সাক্ষাতকে অস্বীকার করে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যেমন
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَيْلٌ يَّوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِيْنَ)
“সেদিন দুর্ভোগ মিথ্যা আরোপকারীদের জন্য।” (সূরা মুরসালাত ৭৭:১৫)
আল্লাহ তা‘আলা তাদের এই ক্ষতিটাকে চার ভাগে বিভক্ত করেছেন। যথা:
(১) ঈমানের দিক দিয়ে,
(২) সৎ আমলের দিক দিয়ে,
(৩) সৎ কাজের পরামর্শের ব্যাপারে ও
(৪) ধৈর্য ধারণের পরামর্শের ব্যাপারে। (সূরা আসর)
যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَالْعَصْرِﭐﺫ اِنَّ الْاِنْسَانَ لَفِیْ خُسْرٍﭑﺫ اِلَّا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّﺃ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِﭒﺟ)
“কসম যুগের, নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত; কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং পরস্পরকে উপদেশ দেয় সত্যের এবং উপদেশ দেয় সবরের।” (সূরা আসর ১০৩:১-৩)
সুতরাং প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত তারাই যারা দুনিয়াতে থাকতে আখিরাতের পাথেয় সংগ্রহ করেনি। যারা ঈমান ও ইসলামের পরওয়া না করে যেমন খুশি চলাফেরা করেছে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সকল মানুষকে আখিরাতে হাজির করা হবে, কাউকে ছেড়ে দেয়া হবে না।
২. দুনিয়ার জীবন খুবই ক্ষণিকের মনে হবে।
৩. কিয়ামতের মাঠে পরস্পর পরস্পরকে চিনতে পারবে।
তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
আল্লাহ তাআলা মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন যে, যেই দিন কিয়ামত সংঘটিত হবে এবং লোকেরা নিজ নিজ কবর থেকে উঠে হাশরের মাঠে একত্রিত হবে, সেটা হবে খুবই ভয়াবহ দিন। সেই দিন মানুষ মনে করবে যে, দুনিয়ায় তারা একটি দিনের কিছু অংশ মাত্র অবস্থান করেছিল। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ “যেই দিন তারা ওটা দেখতে পাবে, তখন এইরূপ মনে করবে যে, তারা শুধুমাত্র একদিনের শেষাংশ অথবা প্রথমাংশে অবস্থান করেছিল। অন্য এক জায়গায় আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “যেই দিন শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে, সেই দিন পাপীরা দলে দলে উদ্বিগ্ন অবস্থায় হাশরের মাঠের দিকে বের হয়ে আসবে। তারা পরস্পরের মধ্যে চুপেচুপে বলাবলি করবে-আমরা দুনিয়ায় দশ দিনের বেশী অবস্থান করিনি। তাদের তীক্ষ্ণ স্মরণশক্তি সম্পন্ন লোক বলবে- তোমরা এক দিনের বেশী অবস্থান করনি।” আর এক জায়গায় মহান আল্লাহ বলেনঃ “যেই দিন কিয়ামত সংঘটিত হবে, সেই দিন পাপীরা শপথ করে করে বলবে যে, তারা এক ঘন্টা ছাড়া (দুনিয়ায়) অবস্থান করেনি।” এতে একথাই প্রমাণ করে যে, আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবন কতই না ঘৃণ্য ও তুচ্ছ! আল্লাহ তা’আলা আরো বলেনঃ ‘জিজ্ঞেস করা হবে-আচ্ছা বলতো, তোমরা দুনিয়ায় কত বছর অবস্থান করেছিলে? তারা উত্তরে বলবে- এক দিন বা একদিনের কিছু অংশ । তখন স্মরণশক্তি সম্পন্ন লোকদেরকে জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলবে-তোমরা যদি জানতে যে, তোমরা কতই না অল্প সময় অবস্থান করেছিলে!”
আল্লাহ পাকের উক্তিঃ (আরবী) অর্থাৎ তারা পরস্পর একে অপরকে চিনবে। পিতামাতা ছেলেকে চিনবে এবং ছেলে পিতামাতাকে চিনবে। আত্মীয়-স্বজন নিজ নিজ আত্মীয়-স্বজনকে চিনতে পারবে। কিন্তু প্রত্যেকেই নিজ নিজ বিপদ আপদ বা নিজ নিজ সুখ শান্তির মধ্যে নিমগ্ন থাকবে। কোন প্রিয়জন নিজ প্রিয়জনকে কিছুই জিজ্ঞেস করবে না।
আল্লাহ তাআলার (আরবী) এই উক্তিটি তার (আরবী) (অবিশ্বাসীদের বড় সর্বনাশ হবে) এই উক্তির মতই। কেননা তারা নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবারবর্গকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এর চেয়ে বড় সর্বনাশ ও ক্ষতি আর কি হতে পারে যে, তারা কিয়ামতের দিন নিজেদের সঙ্গী সাথীদের সামনে লজ্জিত ও অপমানিত হবে এবং তাদের থেকে পৃথক থাকবে?
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
যখন একদিকে তাদের সামনে থাকবে আখেরাতের অনন্ত জীবন এবং অন্যদিকে তারা পেছনে ফিরে নিজেদের পৃথিবীর জীবনের দিকে তাকাবে তখন তাদের ভবিষ্যতের তুলনায় নিজেদের এ অতীত বড়ই সামান্য ও নগণ্য মনে হবে। সে সময় তারা একথা উপলব্ধি করতে পারবে, যে তারা নিজেদের পূর্ববর্তী জীবনের সামান্য স্বাদ ও লাভের বিনিময়ে নিজেদের এ চিরন্তন ভবিষ্যত নষ্ট করে কত বড় বোকামী করেছে!
* একদিন আল্লাহর সামনে হাযির হতে হবে, একথাকে মিথ্যা বলেছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান বলেছেন:-
[১] অর্থাৎ হাশরের কঠিন অবস্থা দেখে তারা পৃথিবীর সমস্ত সুখ ও আরাম ভুলে যাবে এবং পার্থিব জীবন এমন মনে হবে যে, ঠিক যেন পৃথিবীতে এক-আধ ঘণ্টা বসবাস করেছে।
(لَمْ يَلْبَثُوا إِلَّا عَشِيَّةً أَوْ ضُحَاهَا)
(দেখুন: সূরা নাযিআত ৭৯:৪৬)
[২] হাশরের ময়দানে মানুষের বিভিন্ন অবস্থা হবে, যা কুরআনের বিভিন্ন স্থানে বর্ণনা করা হয়েছে। একটি সময় এমনও হবে যখন একজন অপরজনকে চিনবে, কোন কোন সময় এমন হবে যে, একে অন্যকে ভ্রষ্টতার জন্য দায়ী করবে, কোন কোন সময় এমন ভয়ানক হবে যে,
(فَلا أَنْسَابَ بَيْنَهُمْ يَوْمَئِذٍ وَلا يَتَسَاءَلُونَ)
“সেদিন তাদের পারস্পরিক আত্মীয়তার বন্ধন থাকবে না এবং একে অপরকে জিজ্ঞাসাবাদও করবে না।” (সূরা মু’মিনূন ২৩:১০১)
তাফসীরে আবুবকর জাকারিয়া বলেছেন:-
[১] কাফেরগণ হাশরের মাঠে দুনিয়ার সময়টুকুকে অত্যন্ত সামান্য সময় বিবেচনা করবে। তাদের কেউ কেউ মনে করবে যে, দুনিয়াতে একঘন্টা অবস্থান করেছিল। যেমনটি এ আয়াতে এবং সূরা আল-আহকাফের ৩৫, সূরা ত্বা-হা এর ১০২-১০৪ এবং সূরা আর-রূমের ৫৫ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। আবার তাদের কেউ কেউ মনে করবে যে, সে এক বিকাল বা দিবসের প্রথমভাগ অবস্থান করেছিল। যেমনটি সূরা আন-নাযি’আতের ৪৬ এবং সূরা আল-মুমিনুন এর ১১২-১১৪ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।
[২] কেয়ামতে যখন মৃতদেহকে কবর থেকে উঠানো হবে, তখন একে অপরকে চিনতে পারবে এবং মনে হবে দেখা-সাক্ষাত হয়নি তা যেন খুব একটা দীর্ঘ সময় নয়। তবে অন্য আয়াত দ্বারা বুঝা যায় যে, তারা চিনতে পারলেও একে অপরকে কিছু জিজ্ঞাসা করবে না। আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ “সেদিন তারা একে অপরকে জিজ্ঞাসা করবে না” [সূরা আল-কাসাসঃ ৬৬] আল্লাহ্ তা’আলা আরো বলেনঃ যেদিন শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে সেদিন তাদের মাঝে না থাকবে বংশের সম্পর্ক, না তারা একে অপরকে কোন কিছু জিজ্ঞাসা করবে” [সূরা আল-মুমিনুনঃ ১০১] আল্লাহ তা’আলা আরো বলেনঃ “সেদিন কোন অন্তরঙ্গ বন্ধু অপর বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করবে না” [সূরা আল-মা’আরিজঃ১০]
[৩] একদিন আল্লাহর সামনে হাযির হতে হবে, তাঁর সাথে তাদের সাক্ষাত হবে, একথাকে মিথ্যা বলেছে।
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura:- Yunus
Sura: 10
Verses :- 45
كَأَن لَّمْ يَلْبَثُواْ إِلاَّ سَاعَةً مِّنَ النَّهَارِ
As if they had not stayed but an hour of a day!
The Feeling of Brevity toward the Worldly Life at the Gathering on the Day of Resurrection
To remind people of the establishment of the Hour and their resurrection from their graves to the gathering for the Day of Judgment, Allah says:
وَيَوْمَ يَحْشُرُهُمْ
كَأَن لَّمْ يَلْبَثُواْ إِلاَّ سَاعَةً مِّنَ النَّهَارِ
And on the Day when He shall gather (resurrect) them together, (it will be) as if they had not stayed (in the life of this world and graves) but an hour of a day.
Similarly Allah said:
كَأَنَّهُمْ يَوْمَ يَرَوْنَ مَا يُوعَدُونَ لَمْ يَلْبَثُواْ إِلاَّ سَاعَةً مِّن نَّهَارٍ
On the Day when they will see that (torment) with which they are promised (threatened, it will be) as if they had not stayed more than an hour in a single day. (46:35)
Allah also said:
كَأَنَّهُمْ يَوْمَ يَرَوْنَهَا لَمْ يَلْبَثُواْ إِلاَّ عَشِيَّةً أَوْ ضُحَـهَا
The Day they see it, (it will be) as if they had not tarried (in this world) except an afternoon or a morning. (79:46)
يَوْمَ يُنفَخُ فِى الصُّورِ وَنَحْشُرُ الْمُجْرِمِينَ يَوْمِيِذٍ زُرْقاً
يَتَخَـفَتُونَ بَيْنَهُمْ إِن لَّبِثْتُمْ إِلاَّ عَشْراً
نَّحْنُ أَعْلَمُ بِمَا يَقُولُونَ إِذْ يَقُولُ أَمْثَلُهُمْ طَرِيقَةً إِن لَّبِثْتُمْ إِلاَّ يَوْماً
The Day when the Trumpet will be blown (the second blowing):that Day, We shall gather the criminals, blue eyed. They will speak in a very low voice to each other (saying):”You stayed not longer than ten (days).”
We know very well what they will say, when the best among them in knowledge and wisdom will say:”You stayed no longer than a day!” (20:102-104)
and,
وَيَوْمَ تَقُومُ السَّاعَةُ يُقْسِمُ الْمُجْرِمُونَ مَا لَبِثُواْ غَيْرَ سَاعَةٍ
And on the Day that the Hour will be established, the criminals will swear that they stayed not but an hour. (30:55)
These all are evidence of the brevity of the worldly life compared to the Hereafter.
Allah said:
قَـلَ كَمْ لَبِثْتُمْ فِى الاٌّرْضِ عَدَدَ سِنِينَ
قَالُواْ لَبِثْنَا يَوْماً أَوْ بَعْضَ يَوْمٍ فَاسْأَلِ الْعَأدِّينَ
قَالَ إِن لَّبِثْتُمْ إِلاَّ قَلِيلً لَّوْ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
He (Allah) will say:”What number of years did you stay on earth!”
They will say:”We stayed a day or part of a day. Ask of those who keep account.”
He (Allah) will say:”You stayed not but a little, if you had only known!” (23:112-114)
Allah then said:
يَتَعَارَفُونَ بَيْنَهُمْ
They will recognize each other.
The children will know their parents and relatives will recognize one another. They will know them just like they used to know them during the life in this world. However, on that Day everyone will be busy with himself.
Allah then said:
فَإِذَا نُفِخَ فِى الصُّورِ فَلَ أَنسَـبَ بَيْنَهُمْ
Then, when the Trumpet is blown, there will be no kinship among them. (23:101)
Allah also said:
وَلَا يَسْـَلُ حَمِيمٌ حَمِيماً
And no friend will ask a friend (about his condition). (70:10)
Allah then said:
قَدْ خَسِرَ الَّذِينَ كَذَّبُواْ بِلِقَاء اللّهِ وَمَا كَانُواْ مُهْتَدِينَ
Ruined indeed will be those who denied the meeting with Allah and were not guided.
This is similar to the Ayah:
وَيْلٌ يَوْمَيِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
Woe that Day to the deniers. (77:15)
Woe to them because they will lose themselves and their families on the Day of Resurrection. That is indeed the great loss. There is no loss greater than the loss of one who will be taken away from his dear ones on the Day of Grief and Regret.