أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ(Book# 670)
وَيَسْتَنبِيُونَكَ أَحَقٌّ هُوَ ]
আর তারা আপনার কাছে জানতে চায়, ‘এটা কি সত্য!’
And they ask you to inform them :”Is it true!”]
www.motaher21.netوَ یَسۡتَنۡۢبِئُوۡنَکَ اَحَقٌّ ہُوَ ؕؔ قُلۡ اِیۡ وَ رَبِّیۡۤ اِنَّہٗ لَحَقٌّ ۚؕؔ وَ مَاۤ اَنۡتُمۡ بِمُعۡجِزِیۡنَ ﴿٪۵۳﴾
আর তারা আপনার কাছে জানতে চায়, ‘এটা কি সত্য?’ বলুন, ‘হ্যাঁ, আমার রবের শপথ এটা অবশ্যই সত্য আর তোমরা মোটেই অপারগকারী নও।’
And they ask information of you, [O Muhammad], “Is it true?” Say, “Yes, by my Lord. Indeed, it is truth; and you will not cause failure [to Allah ].”
وَ لَوۡ اَنَّ لِکُلِّ نَفۡسٍ ظَلَمَتۡ مَا فِی الۡاَرۡضِ لَافۡتَدَتۡ بِہٖ ؕ وَ اَسَرُّوا النَّدَامَۃَ لَمَّا رَاَوُا الۡعَذَابَ ۚ وَ قُضِیَ بَیۡنَہُمۡ بِالۡقِسۡطِ وَ ہُمۡ لَا یُظۡلَمُوۡنَ ﴿۵۴﴾
আর যমীনে যা রয়েছে, তা যদি প্রত্যেক যুলুমকারী ব্যাক্তির হয়ে যায়, তবে সে মুক্তির বিনিময়ে সেসব দিয়ে দেবে এবং অনুতাপ গোপন করবে যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে। আর তাদের মীমাংসা ন্যায়ভিত্তিক করা হবে এবং তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না।
And if each soul that wronged had everything on earth, it would offer it in ransom. And they will confide regret when they see the punishment; and they will be judged in justice, and they will not be wrongedসুরা: ইউনুস
সুরা:১০
৫৩-৫৪ নং আয়াত:-
وَيَسْتَنبِيُونَكَ أَحَقٌّ هُوَ
আর তারা আপনার কাছে জানতে চায়, ‘এটা কি সত্য!’
And they ask you to inform them :”Is it true!”৫৩-৫৪ নং আয়াতের তাফসীর:
তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-
কাফির-মুশরিকরা জিজ্ঞাসা করে যে, মানুষ মৃত্যুবরণ করে পচে গলে যাবার পরও কি পুনরুত্থান হবে, এটা কি সত্য? আল্লাহ তা‘আলা বলেন: হে নাবী! তাদেরকে বলে দাও, আমার রবের শপথ! তা সত্য। তোমরা মাটি হয়ে মাটির সাথে মিশে গেলেও তা তোমাদেরকে পুনর্জীবিত করার ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলাকে অপারগ করতে পারবে না। বরং এটি আল্লাহ তা‘আলার জন্য একেবারেই সহজ। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(إِنَّمَآ أَمْرُه۫ ٓ إِذَآ أَرَادَ شَيْئًا أَنْ يَّقُوْلَ لَه۫ كُنْ فَيَكُوْنُ)
“বস্তুতঃ তাঁর সৃষ্টিকার্য এরূপ যে, যখন তিনি কোন কিছু সৃষ্টি করতে ইচ্ছা করেন, তখন তিনি তাকে বলেনঃ “হও”, অমনি তা হয়ে যায়।” (সূরা ইয়াসীন ৩৬:৮২)
আল্লাহ তা‘আলা এরূপ শপথ করে পবিত্র কুরআনের আরো দু‘জায়গায় বলেছেন যে, অবশ্যই পুনরুত্থান করা হবে। যেমন
আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(وَقَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَا تَأْتِيْنَا السَّاعَةُ ط قُلْ بَلٰي وَ رَبِّيْ لَتَأْتِيَنَّكُمْ)
“কাফিরেরা বলে: আমাদের মাঝে কিয়ামত আসবে না। তুমি বলে দাও, হ্যাঁ আসবেই? কসম আমার প্রতিপালকের! অবশ্যই তা তোমাদের মাঝে আসবে।” (সূরা সাবা ৩৪:৩)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
(زَعَمَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْآ أَنْ لَّنْ يُّبْعَثُوْا ط قُلْ بَلٰي وَ رَبِّيْ لَتُبْعَثُنَّ ثُمَّ لَتُنَبَّؤُنَّ بِمَا عَمِلْتُمْ ط وَذٰلِكَ عَلَي اللّٰهِ يَسِيْرٌ)
“কাফিররা ধারণা করে যে, তারা কখনো পুনরুত্থিত হবে না। বল: নিশ্চয়ই হবে, আমার প্রতিপালকের শপথ! তোমরা অবশ্যই পুনরুত্থিত হবে। অতঃপর তোমরা যা করতে তোমাদেরকে সে সম্বন্ধে অবশ্যই অবহিত করা হবে। এটা আল্লাহর পক্ষে অতি সহজ।” (সূরা তাগাবুন ৬৪:৭)
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন যে, যখন কিয়ামত সংঘটিত হবে এবং তাদেরকে পুনরুত্থান করা হবে ও তারা শাস্তি দেখবে তখন তারা দুনিয়ার সমস্ত কিছু দিয়ে হলেও শাস্তি থেকে রক্ষা পেতে চাইবে। কিন্তু তারা সেখানে শাস্তি থেকে রক্ষা পাবার মতো কোন কিছুই পাবে না। যখন তারা শাস্তি দেখতে পাবে তখন তাদের মাথা অপমানে নত হয়ে যাবে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(إِنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَوْ أَنَّ لَهُمْ مَّا فِي الْأَرْضِ جَمِيْعًا وَّمِثْلَه۫ مَعَه۫ لِيَفْتَدُوْا بِه۪ مِنْ عَذَابِ يَوْمِ الْقِيٰمَةِ مَا تُقُبِّلَ مِنْهُمْ ج وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ)
“নিশ্চয়ই যারা কুফরী করেছে, যদি তাদের কাছে পৃথিবীর সমস্ত সম্পদ থাকে এবং তার সাথে সমপরিমাণ আরো থাকে আর এগুলোর বিনিময়ে কিয়ামতের দিন শাস্তি থেকে রেহাই পেতে চায়, তবুও তাদের থেকে তা কবূল করা হবে না। আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।” (সূরা মায়েদা ৫:৩৬)
সুতরাং যেদিন কোন বিনিময় চলবে না, কেউ কারো উপকার করতে পারবে না সেদিন আসার আগেই আমাদেরকে সতর্ক হওয়া উচিত, আমরা সেদিনের জন্য কী প্রস্তুত করেছি।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. শপথ একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার নামেই করতে হবে। অন্য কারো নামে শপথ করা যাবে না।
২. কিয়ামত অবশ্য অবশ্যই সংঘটিত হবে।
৩. মানুষকে মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত করা হবে।তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
৫৩-৫৪ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা’আলা স্বীয় নবী (সঃ)-কে বলছেনঃ “লোকেরা তোমাকে জিজ্ঞেস করছে যে, দেহ মাটিতে পরিণত হওয়ার পর কিয়ামতের দিন পুনরুত্থান কি সত্য? তুমি তাদেরকে বলে দাও- হ্যা! আল্লাহর কসম! এটা সত্য। তোমাদের মাটি হয়ে যাওয়া এবং এরপর তোমাদেরকে পুনরায় পূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে আনা আমার প্রতিপালকের কাছে খুবই সহজ কাজ। তিনি যখন কোন কাজের ইচ্ছা। করেন, তখন শুধু ‘হও’ বললেই তা হয়ে যায়।” এইরূপ কসমযুক্ত আয়াত কুরআন কারীমের মধ্যে আর মাত্র দুই জায়গায় রয়েছে। এতে আল্লাহ পাক স্বীয় রাসূল (সঃ)-কে হুকুম করেছেন যে, পুনরুত্থান ও পুনর্জীবনকে যারা অস্বীকার করে, তাদের কাছে তিনি যেন কসম দিয়ে বর্ণনা করেন। সূরায়ে সাবায় রয়েছেঃ “কাফির লোকেরা বলে, আমাদের উপর কিয়ামত আসবে না; তুমি বলে দাও(কেন আসবে না?) হ্যা, আমার প্রতিপালকের কসম! অবশ্যই ওটা তোমাদের উপর আসবে।” সূরায়ে তাগাবুনে রয়েছেঃ “কাফিররা এই দাবী করে যে, তাদেরকে কখনো পুনরুজ্জীবিত করা হবে না; তুমি বলে দাও- (কেন করা হবে না?) হ্যাঁ, আমার প্রতিপালকের শপথ! নিশ্চয়ই তোমাদেরকে পুনরায় জীবিত করা হবে, অনন্তর, তোমরা যা কিছু করেছে, সমস্তই তোমাদেরকে জানিয়ে দেয়া হবে; আর এটা আল্লাহর পক্ষে খুবই সহজ।” এরপর আল্লাহ তাআলা খবর দিচ্ছেন যে, যখন কিয়ামত সংঘটিত হবে তখন কাফিররা কামনা করবে যে, যদি যমীন ভর্তি সোনার বিনিময়ে হলেও তারা আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা পেতো! কিন্তু এটা কখনই হতে পারবে না। আর যখন তারা শাস্তি দেখতে পাবে তখন নিজেদের মনস্তাপকে গোপন রাখবে। তবে তাদের সাথে যে ব্যবহার করা হবে তা ইনসাফের সাথেই করা হবে। তাদের প্রতি মোটেই কোন অবিচার করা হবে না।
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
সারা জীবন তারা যে জিনিসটিকে মিথ্যা বলতে থাকে, যাকে মিথ্যা মনে করে সারাটি জীবন ভুল কাজে ব্যয় করে এবং যার সংবাদ দানকারী পয়গম্বরদেরকে বিভিন্নভাবে দোষারোপ করতে থাকে, সেই জিনিসটি যখন তাদের সমস্ত প্রত্যাশাকে গুড়িয়ে দিয়ে অকস্মাৎ সামনে এসে দাঁড়াবে তখন তাদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাবে। এটিই যেহেতু যথার্থ সত্য ছিল তাই তারা দুনিয়ায় যা কিছু করে এসেছে তা পরিণাম এখন কি হওয়া উচিত তা তাদের বিবেকই তাদেরকে জানিয়ে দেবে। নিজের কৃতকর্মের হাত থেকে বাঁচার কোন পথ থাকে না। মুখ বন্ধ হয়ে যাবে। লজ্জায় ও আক্ষেপে অন্তর ভিতরে ভিতরেই দমে যাবে। আন্দাজ ও অনুমানের ব্যবসায়ে যে ব্যক্তিতার সমস্ত পুঁজি ঢেলে দিয়েছে এবং কোন শুভাকাংখীর কথা মেনে নেয়নি সে দেউলিয়া হয়ে যাবার পর তার নিজের ছাড়া আর কার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারে?তাফসীরে আহসানুল বায়ান বলেছেন:-
* তারা জিজ্ঞাসা করে যে, কিয়ামত এবং পুনরুত্থান (মানুষ মৃত্যুবরণ করে পচে-গলে মাটি হয়ে যাওয়ার পর পুনরায় জীবিত হয়ে ওঠা কি সত্য? আল্লাহ তাআলা বলেন, হে নবী! তাদেরকে বলে দাও যে, তোমাদের মাটি হয়ে মাটির সাথে মিশে গেলেও, তা তোমাদেরকে পুনর্জীবিত করার ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাকে ব্যর্থ ও অপারগ করতে পারবে না। অতএব পুনর্জীবন অবশ্যই ঘটবে। ইমাম ইবনে কাসীর (রঃ) বলেন যে, এই আয়াতের মত আয়াত কুরআনে শুধু আর দুটি আছে, যাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর পয়গম্বরকে আদেশ করেছেন যে, তিনি যেন শপথ করে কিয়ামত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা প্রচার করেন। প্রথমটি সূরা সাবা’র ৩৪:৩ নং আয়াত, আর দ্বিতীয়টি সূরা তাগাবুনের ৬৪:৭ নং আয়াত।*পৃথিবীর সমস্ত প্রকার সম্পদ দিয়েও যদি তারা শাস্তি থেকে রক্ষা পায়, তবে তা দেওয়ার জন্য তৈরী হয়ে যাবে। কিন্তু সেখানে মানুষের নিকট থাকবেই বা কি? উদ্দেশ্য হল যে, শাস্তি থেকে রক্ষার কোন পথই থাকবে না।
তাফসীরে আবুবকর জাকারিয়া বলেছেন:-
এখানে আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর নবীকে আল্লাহর সত্বার শপথ করে কেয়ামত যে আসন্ন তা বলতে নির্দেশ দিচ্ছেন। পবিত্র কুরআনের আরো দুটি স্থানে এ ধরণের নির্দেশ এসেছে, [যেমন সূরা সাবাঃ ৩, এবং আত-তাগাবুনঃ ৭] মূলতঃ কেয়ামতের ব্যাপারটি বিশেষ গুরুত্বের দাবী রাখার কারণেই আল্লাহ্ তাঁর নবীকে শপথ করে বলার নির্দেশ দিয়েছেন।
* [১] এখানে যুলুম বলতে শির্ক ও কুফর বোঝানো হয়েছে। [মুয়াসসার] কারণ, শির্ক হচ্ছে সবচেয়ে বড় যুলুম। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় শির্ক হচ্ছে বড় যুলুম | [সূরা লুকমান: ১৩]
[২] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেয়ামতের দিন কাফেরদেরকে উপস্থিত করে বলা হবেঃ যদি তোমার নিকট পৃথিবীর সমান পরিমান স্বর্ণ থাকে, তাহলে কি তুমি এর বিনিময়ে এ শাস্তি থেকে মুক্তি কামনা করবে? তখন তারা বলবেঃ হ্যাঁ, তাকে বলা হবে যে, তোমার নিকট এর চেয়েও সহজ জিনিস চাওয়া হয়েছিল… আমার সাথে আর কাউকে শরীক না করতে কিন্তু তুমি তা মানতে রাজি হওনি। [বুখারীঃ ৬৫৩৮]
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura:- Yunus
Sura: 10
Verses :- 53-54
وَيَسْتَنبِيُونَكَ أَحَقٌّ هُوَ
And they ask you to inform them :”Is it true!”
The Resurrection is RealAllah says;
وَيَسْتَنبِيُونَكَ أَحَقٌّ هُوَ
And they ask you to inform them (saying):”Is it true!”
asking about the return and the Resurrection from the graves, after the bodies become sand.
قُلْ إِي وَرَبِّي إِنَّهُ لَحَقٌّ وَمَا أَنتُمْ بِمُعْجِزِينَ
Say:”Yes! By my Lord! It is the very truth! And you cannot escape it!”
meaning that becoming sand does not make Allah incapable of bringing you back, since He originated you from nothing.
إِنَّمَأ أَمْرُهُ إِذَا أَرَادَ شَيْياً أَن يَقُولَ لَهُ كُن فَيَكُونُ
Verily, His command, when He intends a thing, is only that He says to it, `Be!’ – and it is! (36:82)
There are only two other Ayat in the Qur’an similar to this. Allah commands His Messenger to give an oath by Him to answer those who deny the return. He said in Surah Saba’,
وَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُواْ لَا تَأْتِينَا السَّاعَةُ قُلْ بَلَى وَرَبِّى لَتَأْتِيَنَّكُمْ
Those who disbelieve say:”The Hour will not come to us.”
Say:”Yes, by my Lord!, it will come to you.” (34:3)
The second is in Surah At-Taghabun,
He said:
زَعَمَ الَّذِينَ كَفَرُواْ أَن لَّن يُبْعَثُواْ قُلْ بَلَى وَرَبِّى لَتُبْعَثُنَّ ثُمَّ لَتُنَبَّوُنَّ بِمَا عَمِلْتُمْ وَذَلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسِيرٌ
The disbelievers claimed that they will never be resurrected.
Say:”Yes! By my Lord! you will certainly be resurrected, then you will be informed of (and recompensed for) what you did; and that is easy for Allah.” (64:7)
وَلَوْ أَنَّ لِكُلِّ نَفْسٍ ظَلَمَتْ مَا فِي الَارْضِ لَافْتَدَتْ بِهِ
And if every person who had wronged, possessed all that is on the earth and sought to ransom himself therewith (it will not be accepted),
Allah informed us that when the Resurrection is established the disbelievers will wish that they could ransom themselves from Allah’s punishment with the equivalent of the weight of the earth in gold.
وَأَسَرُّواْ النَّدَامَةَ لَمَّا رَأَوُاْ الْعَذَابَ وَقُضِيَ بَيْنَهُم بِالْقِسْطِ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ
And they would feel in their hearts regret when they see the torment, and they will be judged with justice, and no wrong will be done unto them.