(Book# 673) [ اِلَّا فِیۡ کِتٰبٍ مُّبِیۡنٍ কোন কিছু নেই, যা সুস্পষ্ট গ্রন্থে নেই। But that it is in a clear register. www.motaher21.net وَ مَا تَکُ

أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ

(Book# 673)
[ اِلَّا فِیۡ کِتٰبٍ مُّبِیۡنٍ
কোন কিছু নেই, যা সুস্পষ্ট গ্রন্থে নেই।
But that it is in a clear register.
www.motaher21.net
وَ مَا تَکُوۡنُ فِیۡ شَاۡنٍ وَّ مَا تَتۡلُوۡا مِنۡہُ مِنۡ قُرۡاٰنٍ وَّ لَا تَعۡمَلُوۡنَ مِنۡ عَمَلٍ اِلَّا کُنَّا عَلَیۡکُمۡ شُہُوۡدًا اِذۡ تُفِیۡضُوۡنَ فِیۡہِ ؕ وَ مَا یَعۡزُبُ عَنۡ رَّبِّکَ مِنۡ مِّثۡقَالِ ذَرَّۃٍ فِی الۡاَرۡضِ وَ لَا فِی السَّمَآءِ وَ لَاۤ اَصۡغَرَ مِنۡ ذٰلِکَ وَ لَاۤ اَکۡبَرَ اِلَّا فِیۡ کِتٰبٍ مُّبِیۡنٍ ﴿۶۱﴾
আর আপনি যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন এবং আপনি সে সম্পর্কে কুরআন থেকে যা-ই তিলাওয়াত করেন এবং তোমরা যে আমলই কর না কেন, আমরা তোমাদের সাক্ষী থাকি, যখন তোমরা তাতে প্রবৃত্ত হও। আর আসমানসমূহ ও যমীনের অণু পরিমাণও আপনার রবের চেয়ে ক্ষুদ্রতর বা বৃহত্তর কিছুই নেই যা সুস্পষ্ট কিতাবে নেই।
And, [O Muhammad], you are not [engaged] in any matter or recite any of the Qur’an and you [people] do not do any deed except that We are witness over you when you are involved in it. And not absent from your Lord is any [part] of an atom’s weight within the earth or within the heaven or [anything] smaller than that or greater but that it is in a clear register.

সুরা: ইউনুস
সুরা:১০
৬১ নং আয়াত:-
اِلَّا فِیۡ کِتٰبٍ مُّبِیۡنٍ
কোন কিছু নেই, যা সুস্পষ্ট গ্রন্থে নেই।
But that it is in a clear register.

৬১ নং আয়াতের তাফসীর:

তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-

এই আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং মু’মিনদেরকে সম্বোধন করে বলছেন যে, তিনি সমস্ত সৃষ্টির অবস্থা সম্পর্কে অবগত আছেন এবং সর্বক্ষণ তিনি মানুষের সকল অবস্থা অবলোকন করছেন। আকাশ ও পৃথিবীর ছোট বড় কোন বস্তুই তাঁর নিকট লুক্কায়িত নয়। তিনি দৃশ্য, অদৃশ্য সবই জানেন। কারণ তাঁরই নিকট রয়েছে অদৃশ্যের চাবিকাঠি। আল্লাহ তা‘আলার বাণী:

(وَعِنْدَه۫ مَفَاتِحُ الْغَيْبِ لَا يَعْلَمُهَآ إِلَّا هُوَ ط وَيَعْلَمُ مَا فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ ط وَمَا تَسْقُطُ مِنْ وَّرَقَةٍ إِلَّا يَعْلَمُهَا وَلَا حَبَّةٍ فِيْ ظُلُمٰتِ الْأَرْضِ وَلَا رَطْبٍ وَّلَا يَابِسٍ إِلَّا فِيْ كِتٰبٍ مُّبِيْنٍ)‏

“সকল গায়েবের চাবিকাঠি তাঁরই নিকট রয়েছে, তিনি ব্যতীত অন্য কেউ তা জানে না। জলে ও স্থলে যা কিছু আছে তা তিনিই অবগত, তাঁর অজ্ঞাতসারে একটি পাতাও পড়ে না। মাটির অন্ধকারে এমন কোন শস্যকণাও অঙ্কুরিত হয় না অথবা রসযুক্ত কিংবা শুষ্ক এমন কোন বস্তু নেই যা সুস্পষ্ট কিতাবে (লাওহে মাহফুজে) নেই।” (সূরা আনআম ৬:৫৯)

জলে-স্থলে যা কিছু আছে তা তিনিই অবগত। তাঁর অজ্ঞাতসারে একটি পাতাও পড়ে না, মৃত্তিকার অন্ধকারে এমন কোন শষ্যকণা অথবা রসযুক্ত কিংবা শুষ্ক কোন বস্তু পড়ে না, যা সুস্পষ্ট কিতাবে নেই। তিনি রিযিকের যিম্মাদার ও দায়িত্বশীল। ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী সকল সৃষ্টি জীব মানুষ হোক বা জিন হোক, পশু হোক বা পক্ষীকুল হোক, মোট কথা তিনি সমুদয় প্রাণীকে তার প্রয়োজন মত খাদ্য দেন।

সুতরাং যে আল্লাহ তা‘আলা সব কিছু দেখেন ও শোনেন তাঁকে ভয় করে চলা উচিত। কিছু বলার বা কিছু করার পূর্বে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, কেননা তিনি সব কিছুর হিসাব নেবেন।

আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

১. আল্লাহ তা‘আলা সকল কিছু জানেন, তার নিকট কোন কিছু লুকায়িত থাকে না।
২. গায়েব একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই জানেন অন্য কেউ নয়।
৩. সকল কিছুর রিযিকের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা।

তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-

আল্লাহ তাআলা স্বীয় নবী (সঃ)-কে সংবাদ দিচ্ছেন- আল্লাহ তাআলা তোমার উম্মত এবং সমস্ত মাখলুকের সমুদয় অবস্থা সম্পর্কে সব সময় অবহিত রয়েছেন। যমীন ও আসমানের অণু পরিমাণ জিনিসও, তা যতই নগণ্য হাক না কেন, কিতাবে মুবীন অর্থাৎ ইলমে ইলাহীতে বিদ্যমান রয়েছে। কিছুই তাঁর দৃষ্টির অগোচরে নেই। অদৃশ্যের জ্ঞান একমাত্র তাঁরই রয়েছে। জল ও স্থলের অদৃশ্যের খবর তিনি ছাড়া আর কেউই জানে না। গাছের একটা পাতাও যে ঝরে পড়ে, রাতের অন্ধকারে কোন জায়গায় কোন অণু পরিমাণ জিনিসও যে পড়ে থাকে, যে কোন জিনিস, তা সিক্ত হাক বা শুষ্কই হাক, ভাল হাক বা মন্দই হাক, সব কিছুরই জ্ঞান একমাত্র তাঁরই আছে। বৃক্ষ, জড় পদার্থ এবং প্রাণীসমূহের গতির খবর তিনিই রাখেন। যমীনে যত প্রাণী রয়েছে, শূন্যে যত পাখী উড়ছে, এসবও তোমাদের মত দলে দলে রয়েছে। প্রতিটি প্রাণীর জীবিকার জামিন তিনিই।

এ সমুদয় বস্তুর গতিরও জ্ঞান যখন তার রয়েছে, তখন যে মানুষ মুকাল্লাফ ও ইবাদতের জন্যে আদিষ্ট, তাদের গতি ও আমলের জ্ঞান তাঁর কেন থাকবে না? যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ “ভূ-পৃষ্ঠে বিচরণকারী যত প্রাণী রয়েছে এবং যেসব পাখী দু’ডানার সাহায্যে উড়ে বেড়ায়, সবই তোমাদের ন্যায় এক একটি জাতি বা সম্প্রদায়।” অন্যত্র তিনি বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “ভূ-পৃষ্ঠে বিচরণকারী এমন কোন প্রাণী নেই যে, তার রিযক আল্লাহর যিম্মায় না রয়েছে।” (১১:৬) তাহলে বুঝা গেল যে, পৃথিবীতে বিচরণকারী সমুদয় প্রাণীরই খবর যখন তিনি রাখেন, তখন তাঁর ইবাদতের জন্যে আদিষ্ট মানুষের খবর যে তিনি রাখবেন, এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই? যেমন তিনি বলেনঃ “তুমি মহা প্রতাপশালী ও দয়ালুর উপর (আল্লাহর উপর ভরসা রাখো, যিনি তোমাকে তোমার দণ্ডায়মান অবস্থায়ও দেখেন এবং যখন তুমি সিজদা কর তখনও তোমাকে দেখতে পান।” এ জন্যেই মহান আল্লাহ বলেনঃ “যে অবস্থাতে তোমরা থাক, কুরআন পাঠ কর, কিংবা অন্য যে কোন কাজ কর, আমি তোমাদেরকে দেখছি এবং সবকিছুই শুনছি।” এ কারণেই যখন জিবরাঈল (আঃ) রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে ইহসান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন তখন তিনি বলেনঃ “(ইহসানের অর্থ এই যে) এমনভাবে তুমি আল্লাহ্ তা’আলার ইবাদত করবে যেন তুমি তাকে দেখছো, এটা না হলে কমপক্ষে এটা হওয়া উচিত যে, তিনি অবশ্যই তোমাকে দেখছেন (এরূপ বিশ্বাস রাখবে)।”

তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
নবীকে সান্ত্বনা দেয়া এবং তাঁর বিরোধীদেরকে সতর্ক করার উদ্দেশ্যেই এখানে এ কথার উল্লেখ করা হয়েছে। একদিকে নবীকে বলা হচ্ছে, সত্যের বাণী লোকদের কাছে প্রচার এবং আল্লাহর বান্দাদের সংশোধন করার জন্য তুমি যেভাবে জান প্রাণ দিয়ে এবং সবর ও সহিষ্ণুতা সহকারে কাজ করে যাচ্ছো তার প্রতি আমি নজর রাখছি। এমন নয় যে, এ বিপদসংকুল কাজে তোমাকে নামিয়ে দিয়ে আমি তোমাকে অসহায় ছেড়ে দিয়েছি। যা কিছু তুমি করছো তাও আমি দেখছি এবং যে আচরণ তোমার সাথে করা হচ্ছে সে সম্বন্ধেও আমি বেখবর নই। অন্যদিকে নবীর বিরোধীদেরকে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে, একজন সত্যের আহবায়ক ও মানব হিতৈষীর সংস্কারধর্মী প্রচেষ্টার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তোমরা একথা মনে করে নিয়ো না যে, তোমাদের এসব কাজ কারবার দেখার মতো কেউ নেই এবং কখনো তোমাদেরকে এহেন কাজের জন্য কোন জবাবদিহি করতে হবে না। জেনে রাখো, তোমরা যা কিছু করছো সবই আল্লাহ‌ রেকর্ডে সংরক্ষিত হচ্ছে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান বলেছেন:-

এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা নবী (সাঃ) এবং মু’মিনদেরকে সম্বোধন করে বলেছেন যে, তিনি সমস্ত সৃষ্টির অবস্থা সম্পর্কে অবগত আছেন এবং সর্বক্ষণ তিনি মানুষের সকল অবস্থা অবলোকন করছেন। আকাশ ও পৃথিবীর ছোট-বড় কোন বস্তুই তাঁর নিকট লুক্কায়িত নয়। উক্ত বিষয়টি ইতিপূর্বে সূরা আন্আমের ৬:৫৯ নং আয়াতে পার হয়ে গেছে। তাঁরই নিকট অদৃশ্যের চাবি রয়েছে; তিনি ব্যতীত অন্য কেউ তা জানে না। জলে-স্থলে যা কিছু আছে তা তিনিই অবগত। তাঁর অজ্ঞাতসারে (বৃক্ষের) একটি পাতাও পড়ে না, মৃত্তিকার অন্ধকারে এমন কোন শস্যকণা অথবা রসযুক্ত কিম্বা শুষ্ক এমন কোন বস্তু পড়ে না, যা সুস্পষ্ট কিতাবে (লিপিবদ্ধ) নেই।” অনুরূপ সূরা আন্আমের ৬:৩৮নং আয়াতে এবং সূরা হূদের ১১:৬ নং আয়াতেও উক্ত বিষয়কে বর্ণনা করা হয়েছে। যখন ঘটনা এই যে, তিনি আকাশ ও পৃথিবীতে অবস্থিত সকল বস্তুর নড়া-চড়ার খবর রাখেন, তখন তিনি মানুষ ও জীন জাতি, যারা আল্লাহর ইবাদতের ভারপ্রাপ্ত ও আদেশপ্রাপ্ত তাদের চলা-ফেরা ও কর্মকান্ড থেকে কিভাবে বেখবর থাকবেন?

English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura:- Yunus
Sura: 10
Verses :- 61
اِلَّا فِیۡ کِتٰبٍ مُّبِیۡنٍ
But that it is in a clear register.
Everything Small or Large is within the Knowledge of Allah

Allah tells;

وَمَا تَكُونُ فِي شَأْنٍ وَمَا تَتْلُو مِنْهُ مِن قُرْانٍ وَلَا تَعْمَلُونَ مِنْ عَمَلٍ إِلاَّ كُنَّا عَلَيْكُمْ شُهُودًا إِذْ تُفِيضُونَ فِيهِ وَمَا يَعْزُبُ عَن رَّبِّكَ مِن مِّثْقَالِ ذَرَّةٍ فِي الَارْضِ وَلَا فِي السَّمَاء وَلَا أَصْغَرَ مِن ذَلِكَ وَلا أَكْبَرَ إِلاَّ فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ

Neither you do any deed nor recite any portion of the Qur’an, nor you do any deed, but We are Witness thereof when you are doing it. And nothing is hidden from your Lord (so much as) the weight of a speck of dust on the earth or in the heaven. Not what is less than that or what is greater than that but is (written) in a Clear Record.

Allah informed His Prophet that He knows and is well acquainted with all of the affairs and conditions of him and his Ummah and all of creation and its creatures at all times — during every hour and second. Nothing slips or escapes from His knowledge and observation, not even anything the weight of a speck of dust within the heavens or earth, or anything that is smaller or larger than that. Everything is in a manifest Book, as Allah said:

وَعِندَهُ مَفَاتِحُ الْغَيْبِ لَا يَعْلَمُهَأ إِلاَّ هُوَ وَيَعْلَمُ مَا فِى الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَمَا تَسْقُطُ مِن وَرَقَةٍ إِلاَّ يَعْلَمُهَا وَلَا حَبَّةٍ فِى ظُلُمَـتِ الاٌّرْضِ وَلَا رَطْبٍ وَلَا يَابِسٍ إِلاَّ فِى كِتَـبٍ مُّبِينٍ

And with Him are the keys of the Ghayb (all that is hidden and unseen), none knows them but He. And He knows whatever there is in the land and in the sea; not a leaf falls, but He knows it. There is not a grain in the darkness of the earth nor anything fresh or dry, but is written in a Clear Record. (6:59)

He stated that He is Well-Aware of the movement of the trees and other inanimate objects. He is also Well-Aware of all grazing beasts. He said:

وَمَا مِن دَابَّةٍ فِى الاٌّرْضِ وَلَا طَايِرٍ يَطِيرُ بِجَنَاحَيْهِ إِلاَّ أُمَمٌ أَمْثَـلُكُمْ

There is not a moving creature on earth, nor a bird that flies with its two wings, but are communities like you. (6:38)

He also said:

وَمَا مِن دَابَّةٍ فِي الاٌّرْضِ إِلاَّ عَلَى اللَّهِ رِزْقُهَا

And no moving creature is there on earth but its provision is due from Allah. (11:6)

If this is His knowledge of the movement of these things, then what about His knowledge of the movement of the creatures that are commanded to worship Him Allah said:

وَتَوكَّلْ عَلَى الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ

الَّذِى يَرَاكَ حِينَ تَقُومُ

وَتَقَلُّبَكَ فِى السَّـجِدِينَ

And put your trust in the Almighty, the Most Merciful, Who sees you when you stand up, and your movements among those who fall prostrate. (26:217-219)

That is why Allah said:

وَمَا تَكُونُ فِي شَأْنٍ وَمَا تَتْلُو مِنْهُ مِن قُرْانٍ وَلَا تَعْمَلُونَ مِنْ عَمَلٍ إِلاَّ كُنَّا عَلَيْكُمْ شُهُودًا إِذْ تُفِيضُونَ فِيهِ

Neither you do any deed nor recite any portion of the Qur’an, nor you do any deed, but We are Witness thereof when you are doing it.

meaning, `We are watching and hearing you when you engage in that thing.’

When Jibril asked the Prophet about Ihsan, he said:

أَنْ تَعْبُدَ اللهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاك

It is that you worship Allah as if you are seeing Him. But since you do not see Him, be certain that He is watching you.

Leave a Reply