أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book# 681)
[ فَسۡـَٔلِ الَّذِیۡنَ یَقۡرَءُوۡنَ الۡکِتٰبَ مِنۡ قَبۡلِکَ
তুমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করে দেখ, যারা তোমার পূর্বের গ্রন্থ পাঠ করে।
Previous books Attest to the Truth of the Qur’an .]
www.motaher21.net
فَاِنۡ کُنۡتَ فِیۡ شَکٍّ مِّمَّاۤ اَنۡزَلۡنَاۤ اِلَیۡکَ فَسۡـَٔلِ الَّذِیۡنَ یَقۡرَءُوۡنَ الۡکِتٰبَ مِنۡ قَبۡلِکَ ۚ لَقَدۡ جَآءَکَ الۡحَقُّ مِنۡ رَّبِّکَ فَلَا تَکُوۡنَنَّ مِنَ الۡمُمۡتَرِیۡنَ ﴿ۙ۹۴﴾
অতঃপর (হে নবী!) আমি যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, যদি তুমি সে (গ্রন্থ) সম্পর্কে সন্দিহান হও, তাহলে তুমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করে দেখ, যারা তোমার পূর্বের গ্রন্থ পাঠ করে। নিঃসন্দেহে তোমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে তোমার নিকট সত্য এসেছে। সুতরাং তুমি কখনই সংশয়ীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।
So if you are in doubt, [O Muhammad], about that which We have revealed to you, then ask those who have been reading the Scripture before you. The truth has certainly come to you from your Lord, so never be among the doubters.
وَ لَا تَکُوۡنَنَّ مِنَ الَّذِیۡنَ کَذَّبُوۡا بِاٰیٰتِ اللّٰہِ فَتَکُوۡنَ مِنَ الۡخٰسِرِیۡنَ ﴿۹۵﴾
আর ঐসব লোকদেরও অন্তর্ভুক্ত হয়ো না, যারা আল্লাহর আয়াতগুলোকে মিথ্যা মনে করেছে, নচেৎ তুমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
And never be of those who deny the signs of Allah and [thus] be among the losers.
اِنَّ الَّذِیۡنَ حَقَّتۡ عَلَیۡہِمۡ کَلِمَتُ رَبِّکَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿ۙ۹۶﴾
এবং যারা আল্লাহ্র আয়াতসমূহে মিথ্যারোপ করেছে আপনি কখনো তাদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না- তাহলে আপনিও ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবেন।
Indeed, those upon whom the word of your Lord has come into effect will not believe,
وَ لَوۡ جَآءَتۡہُمۡ کُلُّ اٰیَۃٍ حَتّٰی یَرَوُا الۡعَذَابَ الۡاَلِیۡمَ ﴿۹۷﴾
নিশ্চয় যাদের বিরুদ্ধে আপনার রবের বাক্য সাব্যস্ত হয়ে গেছে, তারা ঈমান আনবে না।
Even if every sign should come to them, until they see the painful punishment.
সুরা: ইউনুস
সুরা:১০
৯৪-৯৭ নং আয়াত:-
فَسۡـَٔلِ الَّذِیۡنَ یَقۡرَءُوۡنَ الۡکِتٰبَ مِنۡ قَبۡلِکَ
তুমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করে দেখ, যারা তোমার পূর্বের গ্রন্থ পাঠ করে।
Previous books Attest to the Truth of the Qur’an .
৯৪-৯৭ নং আয়াতের তাফসীর:
তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-
এখানে আল্লাহ তা‘আলা উম্মাতে মুহাম্মাদীকে উৎসাহ প্রদান করছেন যে, তারা যেন তাদের দীনের ওপর অটল থাকে। কারণ নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্য নাবী, তাঁর সম্পর্কে পূর্ববর্তী কিতাব তাওরাত, ইঞ্জিলে বর্ণনা দেয়া হয়েছে। এজন্য আল্লাহ তা‘আলা পূর্ববর্তী কিতাব যারা পাঠ করেছে তাদের কাছে তাঁর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য বলেছেন। এখানে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সম্বোধন করে বলা হলেও উম্মাতে মুহাম্মাদী উদ্দেশ্য। কারণ কোন নাবী তার নবুওয়াতের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করতে পারে না। সুতরাং নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবুওয়াতের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করা যাবে না এবং মিথ্যাও প্রতিপন্ন করা যাবে না। যদি কেউ মিথ্যা প্রতিপন্ন করে তাহলে পূর্বে মিথ্যা আরোপকারীদের মতই তার অবস্থা হবে এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের দলভুক্ত হবে। সে আখিরাতে নাজাত পাবে না। কারণ যাদের ওপর শাস্তি বাস্তবায়িত হয়েছে, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা মূলত ছিল কাফির। তারা আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূলদের প্রতি ঈমান আনত না, তারা শুধু নিদর্শন দেখতে চাইত এবং ওযর পেশ করত। যেমন ফির‘আউন ও তার দলবল নিদর্শন দেখার পরও ঈমান আনেনি অনুরূপ তারাও নিদর্শন দেখতে চাইত। তাই আল্লাহ তা‘আলা বলেন: তারা যদি সমস্ত নিদর্শনও দেখে এমনকি মৃত মানুষও যদি তাদের সাথে কথা বলে তবুও তারা ঈমান আনবে না। কারণ তাদের ওপর আল্লাহ তা‘আলার শাস্তির বিধান আবশ্যক হয়ে গেছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَكَأَيِّنْ مِّنْ اٰيَةٍ فِي السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ يَمُرُّوْنَ عَلَيْهَا وَهُمْ عَنْهَا مُعْرِضُوْنَ)
“আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে অনেক নিদর্শন রয়েছে; তারা এ সমস্ত প্রত্যক্ষ করে, কিন্তু তারা এসব থেকে বিমুখ।” (সূরা ইউসুফ ১২:১০৫)
আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:
(وَمَا تَأْتِيْهِمْ مِّنْ اٰيَةٍ مِّنْ اٰيٰتِ رَبِّهِمْ إِلَّا كَانُوْا عَنْهَا مُعْرِضِيْنَ)
“তাদের প্রতিপালকের নিদর্শনাবলীর এমন কোন নিদর্শন তাদের নিকট উপস্থিত হয় না যা হতে তারা মুখ না ফেরায়।” (সূরা আন‘আম ৬:৪)
অতএব তাদের ইচ্ছানুযায়ী নিদর্শন প্রকাশ করে কোনই লাভ নেই। মূলত তারা ঈমান আনবে না।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বর্ণনা পূর্ববর্তী কিতাবে দেয়া হয়েছে।
২. নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবুওয়াতকে অস্বীকার বা সন্দেহ করলে আখিরাতে নাজাত পাওয়া যাবে না।
৩. যাদের ওপর শাস্তি বাস্তবায়িত হয়েছে তারা হল কাফির, তারা মু’মিন ছিল না।
৪. যে জানেনা সে যে ব্যক্তি জানে তার কাছে জিজ্ঞাসা করবে।
৫. দীনের মূল ভিত্তি এবং শাখা-প্রশাখা কোন একটির প্রতি সন্দেহ পোষণ করা কুফরী।
তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
৯৪-৯৭ নং আয়াতের তাফসীর:
কাতাদা ইবনে আমা (রঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ)! বলেছেনঃ “আমি সন্দেহও করি না এবং আমার জিজ্ঞেস করার কোন প্রয়োজনও নেই।এই আয়াতে উম্মতে মুহাম্মাদীকে দ্বীনের উপর অটল থাকার প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। এতে জানানো হয়েছে যে, পূর্ববর্তী আসমানী গ্রন্থ তাওরাত, ইঞ্জীলে নবী (সঃ)-এর গুণাবলীর বর্ণনা বিদ্যমান ছিল। যেমন আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “যারা নবী উম্মী (সঃ)-এর আনুগত্য করে, তারা এর উপর ভিত্তি করেই করে যে, তার গুণাবলীর বর্ণনা তারা তাওরাত ও ইঞ্জীলে লিখিত পেয়ে থাকে। কিন্তু তাদের অধিকাংশ লোক তার উপর ঈমান আনয়ন করে না, অথচ তারা তার সত্যবাদিতা ও সততাকে এমনভাবে জানে ও চিনে, যেমনভাবে চিনে নিজেদের সন্তানদেরকে। তারা ইঞ্জীলের মধ্যে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করে এবং নবী (সঃ)-এর গুণাবলী গোপন করে দেয়। হুজ্জত কায়েম হওয়ার পরেও তারা ঈমান আনে না। এ জন্যেই আল্লাহ পাক বলেনঃ “সত্যের প্রমাণাদি কায়েম হয়ে গেছে, কিন্তু যতই প্রমাণ তাদের কাছে উপস্থিত করা হাক না কেন, তারা ঐ পর্যন্ত ঈমান আনবে , যে পর্যন্ত না আল্লাহর আযাৰ অবলোকন করে। কিন্তু ঐ সময় তাদের ঈমান আনয়নে কোনই লাভ হবে না। কওমের এই পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ার পরই মূসা (আঃ) তাদের উপর বদ দুআ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেনঃ “হে আমার প্রতিপালক! তাদের ধন-সম্পদ ধ্বংস করে দিন এবং তাদের অন্তরসমূহের উপর মোহর লাগিয়ে দিন। শাস্তি দেখা ছাড়া তারা ঈমান আনবে না।” অনুরূপভাবে আল্লাহ পাকের উক্তি রয়েছে- “আমি যদি তাদের উপর ফিরিশতাও অবতীর্ণ করি এবং মৃত লোকেরা তাদের সাথে কথাও বলতে থাকে, আর সমস্তই যদি তাদের কাছে জমা করে দেয়া হয়, তবুও তারা ঈমান আনবে না। তাদের মধ্যে অধিকাংশ লোকই অজ্ঞ।
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
এ সম্বোধনটা করা হয়েছে নবী (সা.) কে। কিন্তু আসলে যারা তার দাওয়াতের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করেছিল তাদেরকে শুনানোই মূল উদ্দেশ্য। এ সঙ্গে আহলি কিতাবের উল্লেখ করার কারণ হচ্ছে এই যে, আরবের সাধারণ মানুষ যথার্থই আসমানী কিতাবের জ্ঞানের সাথে মোটেই পরিচিত ছিল না। তাদের জন্য এটি ছিল একটি সম্পূর্ণ নতুন আওয়াজ। কিন্তু আহলি কিতাবদের আলেমদের মধ্যে যারা ধর্মভীরু ও ন্যায়নিষ্ঠ মননশীলতার অধিকারী ছিলেন তারা একথার সত্যতার সাক্ষ্য দিতে পারতেন যে, কুরআন যে জিনিসটির দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছে পূর্ববর্তী যুগের সকল নবী তারই দাওয়াত দিয়ে এসেছেন।
* সে কথাটি হচ্ছে এই যে, যারা নিজেরাই সত্যের অন্বেষী হয় না এবং যারা নিজেদের মনের দুয়ারে জিদ, হঠকারিতা, অন্ধগোষ্ঠী প্রীতি ও সংকীর্ণ স্বার্থ বিদ্বেষের তালা ঝুলিয়ে রাখে আর যারা দুনিয়া প্রেমে বিভোর হয়ে পরিণামের কথা চিন্তাই করে না তারাই ঈমান লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত থেকে যায়।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান বলেছেন:-
*এই সম্বোধনটি হয় সাধারণ মানুষকে করা হয়েছে অথবা নবী (সাঃ)-কে এই সম্বোধন করে এর দ্বারা উম্মতকে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। কারণ কোন অহীর ব্যাপারে নবী (সাঃ)-এর সংশয় ও সন্দেহ হতেই পারে না। “তুমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করে দেখ, যারা তোমার পূর্বের গ্রন্থ পাঠ করে।” কথাটির উদ্দেশ্য হল, কুরআন মাজীদের পূর্বে আসমানী কিতাব (তাওরাত, ইঞ্জীল ইত্যাদি) যাদের নিকট বিদ্যমান, তাদের নিকট থেকে কুরআন সম্পর্কে জেনে নাও। কারণ সেই কিতাবসমূহে তার বহু নিদর্শন এবং শেষ পয়গম্বরের গুণাবলী বর্ণনা করা হয়েছে।
* এটাও প্রকৃতপক্ষে উম্মতকে সম্বোধন করে বুঝানো হচ্ছে যে, মিথ্যাজ্ঞান করার পথই হচ্ছে ক্ষতি ও ধ্বংসের পথ।
* এরা ঐ সকল মানুষ, যারা কুফর ও আল্লাহর অবাধ্যাচরণে এমনভাবে নিমজ্জিত থাকে যে, তাদের উপর ওয়াজ-নসীহতের কোন প্রভাব পড়ে না এবং কোন প্রমাণ তাদের জন্য ফল দেয় না। কারণ পাপাচরণ করে করে সত্য গ্রহণের প্রাকৃতিক ক্ষমতা তারা শেষ করে দিয়েছে। তারা তাদের চোখ খুললেও তখন খুলে, যখন আল্লাহর শাস্তি তাদের মাথার উপর এসে পড়ে। আর তখন সেই ঈমান আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য হয় না। ((فَلَمْ يَكُ يَنْفَعُهُمْ إِيمَانُهُمْ لَمَّا رَأَوْا بَأْسَنَا “অতঃপর তাদের এ ঈমান তাদের কোন উপকারে আসল না, যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করল।” (সূরা মু’মিন ৪০:৮৫ আয়াত)
তাফসীরে আবুবকর জাকারিয়া বলেছেন:-
* বাহ্যত এ সম্বোধনটা করা হয়েছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনও সন্দেহে ছিলেন না। কাতাদা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন যে, ‘আমি সন্দেহ করিনা এবং প্রশ্নও করিনা’ [ইবন কাসীর, মুরসাল উত্তম সনদে] আসলে যারা তাঁর দাওয়াতের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করছিল তাদেরকে শুনানোই মূল উদ্দেশ্য। এ সংগে আহলে কিতাবদের উল্লেখ করার কারণ হচ্ছে এই যে, আরবের সাধারণ মানুষ যথার্থই আসমানী কিতাবের জ্ঞানের সাথে মোটেই পরিচিত ছিল না। তাদের জন্য এটি ছিল একটি সম্পূর্ণ নতুন আওয়াজ। কিন্তু আহলে কিতাবের আলেমদের মধ্যে যারা ন্যায়নিষ্ঠ মননশীলতার অধিকারী ছিলেন তারা একথার সত্যতার সাক্ষ্য দিতে পারতেন যে, কুরআন যে জিনিসটির দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছে পূর্ববর্তী যুগের সকল নবী তারই দাওয়াত দিয়ে এসেছেন। তাছাড়া আরও প্রমাণিত হচ্ছে যে, এ নবীর কথা পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে বর্ণিত হয়েছে। যা তাদের কিতাবে লিখা আছে। [ইবন কাসীর] যেমন আল্লাহ্ বলেন, “যারা অনুসরণ করে রাসূলের, উম্মী নবীর, যার উল্লেখ তারা তাদের কাছে তাওরাত ও ইঞ্জীলে লিপিবদ্ধ পায়” [সূরা আল-আ’রাফ: ১৫৭]
* সে কথাটি হচ্ছে এই যে, যারা নিজেরাই সত্যের অন্বেষী হয় না এবং যারা নিজেদের মনের দুয়ারে জিদ, হঠকারিতা, অন্ধগোষ্ঠি প্রীতি ও সংকীর্ণ স্বার্থ-বিদ্বেষের তালা রাখে আর যারা দুনিয়া প্রেমে বিভোর হয়ে পরিণামের কথা চিন্তাই করে না তারাই ঈমান লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত থেকে যায়। হ্যাঁ তারা একসময় ঈমান আনবে, আর তা হচ্ছে, যখন তারা মর্মন্তদ শাস্তি দেখতে পাবে। কিন্তু তখনকার ঈমান আর গ্রহণযোগ্য হবে না। আর এজন্যই মূসা আলাইহিস সালাম যখন ফিরআউন ও তার সভাষদদের উপর বদ-দো’আ করলেন, তখন বলেছিলেন, “হে আমাদের রব! তাদের সম্পদ বিনষ্ট করুন, আর তাদের হৃদয় কঠিন করে দিন, তারা তো যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রত্যক্ষ না করা পর্যন্ত ঈমান আনবে না”। [ইবন কাসীর]
* শাস্তি দেখার পর তাদের ঈমান আর গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। সূরা ইউনুসের ৮৮ নং আয়াতেও এ কথা বলা হয়েছে, মূসা আলাইহিসসালাম ফিরআউন সম্পর্কে বলেছিলেন যে, “ওরা তো মর্মম্ভদ শাস্তি প্রত্যক্ষ না করা পর্যন্ত ঈমান আনবে না” অনুরূপভাবে সূরা আল-আন’আমের ১১১ নং আয়াতে বলা হয়েছেঃ “আমি তাদের কাছে ফিরিশতা পাঠালেও এবং মৃতেরা তাদের সাথে কথা বললেও এবং সকল বস্তুকে তাদের সামনে হাযির করলেও আল্লাহর ইচ্ছে না হলে তারা কখনো ঈমান আনবে না; কিন্তু তাদের অধিকাংশই অজ্ঞ”। অর্থাৎ ঈমান না আনা তাদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে সুতরাং যত নিদর্শনই তাদের কাছে আসুক না কেন তা কোন কাজে লাগবে না।
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura:- Yunus
Sura: 10
Verses :- 94-97
فَسۡـَٔلِ الَّذِیۡنَ یَقۡرَءُوۡنَ الۡکِتٰبَ مِنۡ قَبۡلِکَ
Previous books Attest to the Truth of the Qur’an .
Allah said:
فَإِن كُنتَ فِي شَكٍّ مِّمَّا أَنزَلْنَا إِلَيْكَ فَاسْأَلِ الَّذِينَ يَقْرَوُونَ الْكِتَابَ مِن قَبْلِكَ لَقَدْ جَاءكَ الْحَقُّ مِن رَّبِّكَ فَلَ تَكُونَنَّ مِنَ الْمُمْتَرِينَ وَلَا تَكُونَنَّ مِنَ الَّذِينَ كَذَّبُواْ بِأيَاتِ اللّهِ فَتَكُونَ مِنَ الْخَاسِرِينَ
So if you are in doubt concerning that which We have revealed unto you, then ask those who are reading the Book before you. Verily, the truth has come to you from your Lord. So be not of those who doubt (it).And be not one of those who belie the Ayat of Allah, for then you shall be one of the losers.
Allah said:
الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ الرَّسُولَ النَّبِىَّ الاُمِّىَّ الَّذِى يَجِدُونَهُ مَكْتُوبًا عِندَهُمْ فِى التَّوْرَاةِ وَالاِنجِيلِ
Those who follow the Messenger, the Prophet who can neither read nor write whom they find written of with them in the Tawrah and the Injil. (7:157)
They are as certain of this as they are about who their children are, yet they hide it and distort it. They did not believe in it despite its clear evidence.
Therefore Allah said:
إِنَّ الَّذِينَ حَقَّتْ عَلَيْهِمْ كَلِمَتُ رَبِّكَ لَا يُوْمِنُونَ وَلَوْ جَاءتْهُمْ كُلُّ ايَةٍ حَتَّى يَرَوُاْ الْعَذَابَ الَالِيمَ
Truly, those, against whom the Word (wrath) of your Lord has been justified, will not believe. Even if every sign should come to them, until they see the painful torment.
meaning they would not believe in a way that they might benefit from that belief. This is when they believe at a time one may not be able to benefit from his belief.
An example is when Musa prayed against Fir`awn and his chiefs, saying:
رَبَّنَا اطْمِسْ عَلَى أَمْوَلِهِمْ وَاشْدُدْ عَلَى قُلُوبِهِمْ فَلَ يُوْمِنُواْ حَتَّى يَرَوُاْ الْعَذَابَ الاٌّلِيمَ
Our Lord! Destroy their wealth, and harden their hearts, so that they will not believe until they see the painful torment. (10:88)
And Allah said:
وَلَوْ أَنَّنَا نَزَّلْنَأ إِلَيْهِمُ الْمَلَـيِكَةَ وَكَلَّمَهُمُ الْمَوْتَى وَحَشَرْنَا عَلَيْهِمْ كُلَّ شَىْءٍ قُبُلً مَّا كَانُواْ لِيُوْمِنُواْ إِلاَّ أَن يَشَأءَ اللَّهُ وَلَـكِنَّ أَكْثَرَهُمْ يَجْهَلُونَ
And even if We had sent down unto them angels, and the dead had spoken unto them, and We had gathered together all things before their very eyes, they would not have believed, unless Allah willed, but most of them behave ignorantly. (6:111)