(Book# 689) [ وَمَا مِن دَابَّةٍ বিচরণকারী সবার জীবিকার.. For the Provisions of All Creatures…] www.motaher21.net

أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ

(Book# 689)
[ وَمَا مِن دَابَّةٍ
বিচরণকারী সবার জীবিকার..
For the Provisions of All Creatures…]
www.motaher21.net
وَ مَا مِنۡ دَآبَّۃٍ فِی الۡاَرۡضِ اِلَّا عَلَی اللّٰہِ رِزۡقُہَا وَ یَعۡلَمُ مُسۡتَقَرَّہَا وَ مُسۡتَوۡدَعَہَا ؕ کُلٌّ فِیۡ کِتٰبٍ مُّبِیۡنٍ ﴿۶﴾
আর যমীনে বিচরণকারী সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহ্‌রই এবং তিনি সেসবের স্থায়ী ও অস্থায়ী অবস্থিতি সম্বন্ধে অবহিত; সবকিছুই সুস্পষ্ট কিতাবে আছে।
And there is no creature on earth but that upon Allah is its provision, and He knows its place of dwelling and place of storage. All is in a clear register.

সুরা: হুদ।
সুরা:১১
০৬ নং আয়াত:-
وَمَا مِن دَابَّةٍ
বিচরণকারী সবার জীবিকার..
For the Provisions of All Creatures.
৬ নং আয়াত ।

তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-

উক্ত আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর একটি বিশাল বড় দায়িত্ব সম্পর্কে আলোচনা তুলে ধরেছেন। ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী সকল সৃষ্টিজীব, মানুষ হোক বা জিন হোক, পশু হোক বা পক্ষী হোক, ছোট হোক বা বড় হোক, জলচর হোক আর স্থলচর হোক মোট কথা তিনি সমুদয় প্রাণীকে তার প্রয়োজন মত জীবিকা দিয়ে থাকেন। আমরা যদি একটু চিন্তা করি তাহলে দেখতে পাই দুনিয়াতে কোটি কোটি মানুষ রয়েছে যাদের রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহ তা‘আলা নিয়েছেন, এমনকি একটি পিপীলিকার রুযীও আল্লাহ তা‘আলা দিয়েছেন। মানুষের কত রিযিক প্রয়োজন তার চেয়ে হাজার হাজার টন রিযিক প্রয়োজন এমন প্রাণী সমুদ্রে বাস করে। তাদের রিযিকেরও ব্যবস্থা আল্লাহ তা‘আলা করেন।

আল্লাহ তা‘আলার বাণী:

(وَکَاَیِّنْ مِّنْ دَا۬بَّةٍ لَّا تَحْمِلُ رِزْقَھَاﺣ اَللہُ یَرْزُقُھَا وَاِیَّاکُمْﺘ وَھُوَ السَّمِیْعُ الْعَلِیْمُ ‏)

এমন কত জীবজন্তু আছে যারা নিজেদের খাদ্য মওজুদ রাখে না। আল্লাহই রিযিক দান করেন তাদেরকে ও তোমাদেরকে; এবং তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (সূরা আনকাবুত ২৯:৬০)

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:

(لَوْ أَنَّكُمْ كُنْتُمْ تَوَكَّلُونَ عَلَي اللّٰهِ حَقَّ تَوَكُّلِهِ لَرُزِقْتُمْ كَمَا يُرْزَقُ الطَّيْرُ تَغْدُو خِمَاصًا وَتَرُوحُ بِطَانًا)

যদি তোমরা আল্লাহর ওপর প্রকৃত ভরসা কর যেমন ভরসা করা উচিত তাহলে তেমনভাবে রিযিক দেবেন যেমনভাবে রিযিক পাখিদেরকে দিয়ে থাকেন। পাখিরা সকাল বেলা খালি পেটে বের হয় এবং বিকেল বেলা ভরা পেটে ফিরে আসে। (তিরমিযী হা: ২৩৪৪, সহীহ)

আর তিনি তাদের স্থায়ী ও অস্থায়ী অবস্থান সম্পর্কে জানেন। এখানে স্থায়ী অবস্থান (مستقر) বলতে বুঝানো হয়েছে মায়ের গর্ভাশয় এবং مستودع বা অস্থায়ী অবস্থানস্থল হল পিতার পিঠ। ইমাম শাওকানী বলেন, مستقر হল মায়ের গর্ভাশয় এবং مستودع হল পৃথিবীর সেই অংশ যেখানে মানুষকে দাফন করা হয়। মোট কথা স্থায়ী অবস্থান বলতে এমন স্থানকে বুঝানো হয়েছে যেখানে প্রতিটি প্রাণী অবস্থান করে, ঘুরে-ফিরে আসে। যেমন মানুষের বাড়ি, পাখিদের বাসা, সাপের গর্ত ইত্যাদি। আর مُسْتَقَرَّ বলা হয়, যে স্থানে যাতায়াত করে ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক অবস্থান। অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা প্রতিটি প্রাণীর স্থায়ী অস্থায়ী অবস্থানক্ষেত্র সম্পর্কে জানেন। কে রিযিক অন্বেষণের জন্য কোথায় যায়, রিযিক আহরণ করে কোথায় ফিরে আসে সব আল্লাহ তা‘আলা জানেন এবং তা লাওহে মাহফুজে লিপিবদ্ধ রয়েছে।

আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

১. সমস্ত মাখলুকের রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহ তা‘আলার।
২. আল্লাহ তা‘আলা সকলের স্থায়ী ও অস্থায়ী আবাসস্থল সম্পর্কে অবগত আছেন ইত্যাদি।

তাফসী্রে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
আল্লাহ তাআ’লা সংবাদ দিচ্ছেন যে, ছোট-বড় স্থলভাগে অবস্থানকারী এবং জলভাগে অবস্থানকারী সমস্ত মাখলুকের জীবিকা তাঁরই যিম্মায় রয়েছে। তিনিই ওগুলির চলা, ফেরা, আসা, যাওয়া, স্থির থাকা, মৃত্যুর স্থান, গর্ভাশয়ের মধ্যে অবস্থানের স্থান ইত্যাদি সম্পর্কে পূর্ণভাবে অবহিত রয়েছেন। এটা মুজাহিদ (রঃ), ইবনু আব্বাস (রাঃ), যহ্‌হাক (রঃ) এবং একদল মনীষী বর্ণনা করেছেন। এখানে ইবনু আবি হা’তিম (রঃ) মুফাসসিরদের উক্তিগুলি উল্লেখ করেছেন। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তাআ’লাই সর্বাধিক জ্ঞানের অধিকারী।

এসব ঘটনা ঐ কিতাবে লিখিত আছে যা আল্লাহ তাআ’লার নিকট রয়েছে এবং ঐ কিতাবই এর ব্যাখ্যা দান করে থাকে। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবি)

অর্থাৎ “ভূ-পৃষ্ঠে বিচরণকারী যে কোন প্রাণী রয়েছে এবং যে কোন পাখী তার ডানার সাহায্যে উড়ে থাকে, সবগুলিই তোমাদের মতো এক একটি জাতি, কোন কিছুই আমি কিতাবে লিখতে ছাড়ি নাই, অতঃপর সবকিছুকেই তাদের প্রতিপালকের নিকট একত্রিত করা হবে।” (৬: ৩৮) আল্লাহ পাক আরো বলেনঃ (আরবি)

অর্থাৎ “অদৃশ্যের চাবিকাঠি তাঁরই কাছে রয়েছে, তিনি ছাড়া কেউই তা জানে না, যা কিছু জলে ও স্থলে রয়েছে সেগুলির খবরও একমাত্র তিনিই জানেন, যে পাতা ঝরে পড়ে সে সংবাদও তিনিই রাখেন, যমীনের অন্ধকারে এমন কোন দানা নেই এবং আর্দ্র ও শুস্ক এমন কোন জিনিষ নেই যা সুস্পষ্ট কিতাবে নেই।” (৬: ৫৯)।

তাফসীরে আবুবকর জাকারিয়া বলেছেন:-

[১] রিযিকের আভিধানিক অর্থ এমন বস্তু যা কোন প্রাণী আহার্যরূপে গ্রহণ করে, যার দ্বারা সে দৈহিক শক্তি সঞ্চয়, প্রবৃদ্ধি সাধন এবং জীবন রক্ষা করে থাকে। রিযিকের জন্য মালিকানা স্বত্ব শর্ত নয়। সকল জীব জন্তু রিযিক ভোগ করে থাকে কিন্তু তারা তার মালিক হয় না। কারণ, মালিক হওয়ার যোগ্যতাই ওদের নেই। অনুরূপভাবে ছোট শিশুরাও মালিক নয়, কিন্তু ওদের রিযিক অব্যাহতভাবে তাদের কাছে পৌছতে থাকে। [কুরতুবী]

[২] এমন সব প্রাণীকে (دابة) বলে যা ভূপৃষ্ঠে বিচরণ করে। [কুরতুবী] পক্ষীকুলও এর অন্তর্ভুক্ত। কারণ, খাদ্য গ্রহনের জন্য তারা ভূপৃষ্ঠে অবতরণ করে থাকে এবং তাদের বাসস্থান ভূ-পৃষ্ঠ সংলগ্ন হয়ে থাকে। সামুদ্রিক প্রাণীসমূহ ও পৃথিবীর বুকে বিচরণশীল। কেননা, সাগর-মহাসাগরের তলদেশেও মাটির অস্তিত্ব রয়েছে। মোটকথা, সমুদয় প্রাণীকুলের রিযিকের দায়িত্ব তিনি নিজেই গ্রহন করছেন। এবং একথা এমনভাবে ব্যক্ত করেছেন যা দ্বারা দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্দেশ করা যায়। ইরশাদ হয়েছে, “তাদের রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহর উপর ন্যস্ত”। একথা সুস্পষ্ট যে, আল্লাহ তা’আলার উপর এহেন গুরুদায়িত্ব চাপিয়ে দেয়ার মত কোন ব্যক্তি বা শক্তি নেই, বরং তিনি নিজেই অনুগ্রহ করে গ্রহন করে আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন। আর এক পরম সত্য, দাতা ও সর্বশক্তিমান সত্তার ওয়াদা যাতে নড়চড় হওয়ার অবকাশ নেই। সুতরাং নিশ্চয়তা বিধান করণার্থে এখানে (على) শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে যা ফরয বা অবশ্যকরণীয় ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। অথচ আল্লাহ্‌র উপর কোন কাজ ফরয বা ওয়াজিব হতে পারে না, তিনি কারো হুকুমের তোয়াক্কা করেন না। বরং এটি সম্পূর্ণ তার অনুগ্রহ। [কুরতুবী] কোন কোন মুফাসসির অবশ্য বলেছেন যে, এখানে (على) বা উপরে বলে (من) বা হতে বলা উদ্দেশ্য। অর্থাৎ সবার রিযক আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে আসে। [কুরতুবী]

[৩] আয়াতে উল্লেখিত (مستقر) এবং (مستودع) এর অর্থ, (مستقر) শব্দটির কয়েকটি অর্থ করা হয়েছে, ১. যমীনের বুকে অবস্থান স্থল। বা পিতার পিঠে অবস্থানকে। ২. দিন বা রাতে আশ্রয় নেয়ার স্থান। আর (مستودع) শব্দটিরও কয়েকটি অর্থ বর্ণনা করা হয়েছে, ১. মায়ের রেহেমে অবস্থান বা ডিমের মধ্যে অবস্থানকে। ২. মৃত্যু হওয়ার স্থানকে। [দেখুন, তাবারী; কুরতুবী; ইবন কাসীর; সাদী] এ ব্যাপারে এক হাদীসে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যখন কারো মৃত্যু কোন যমীনে লিখা থাকে তখন সে সেখানে যাওয়ার জন্য কোন না কোন প্রয়োজন অনুভব করবে। তারপর সে যখন সেখানে পৌছবে তখন তাকে মৃত্যু দেয়া হয়। আর কিয়ামতের দিন যমীন তাকে বের করে দিয়ে বলবে, (هٰذَا ما اسْتَوْدَعْتَنِيْ) অর্থাৎ এটা আমার কাছে আপনি আমানত রেখেছিলেন। [মুস্তাদরাকে হাকিমঃ ১/৪২, সুনানুল কুবরা লিল বাইহাকীঃ ৯৮৮৯] কালেমাদ্বয়ের আরো বিস্তারিত তাফসীর সূরা আলআন’আমের ৯৮ নং আয়াতে করা হয়েছে।

[৪] আয়াতে বর্ণিত সুস্পষ্ট কিতাব বলতে লাওহে মাহফুজকে বুঝানো হয়েছে। আল্লাহ তা’আলা বান্দার সমস্ত কর্মকাণ্ড সুস্পষ্ট কিতাবে লিখে নিয়েছেন এবং তার জ্ঞান থেকে এর সামান্যও গোপন থাকে না, এটা তিনি পবিত্র কুরআনে বারবার ঘোষণা করেছেন। [দেখুন, সূরা আল-আনআমঃ৩৮, ৫৯, সূরা ইউনুসঃ ৬১]

তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
যে আল্লাহ এমন সূক্ষ্মজ্ঞানী যে প্রত্যেকটি পাখির বাসা ও প্রত্যেকটি পোকা-মাকড়ের গর্ত তাঁর জানা এবং তাদের প্রত্যেকের কাছে তিনি তাদের জীবনোপকরণ পাঠিয়ে দিচ্ছেন, আর তাছাড়া প্রত্যেকটি প্রাণী কোথায় থাকে এবং কোথায় মৃত্যুবরণ করে প্রতি মুহূর্তে যিনি এ খবর রাখেন, তাঁর সম্পর্কে যদি তোমরা এ ধারণা করে থাকো যে, এভাবে মুখ লুকিয়ে অথবা কানে আঙ্গুল চেপে কিংবা চোখ বন্ধ করে তাঁর পাকড়াও থেকে রক্ষা পাবে তাহলে তোমরা বড়ই বোকা। সত্যের আহবায়ককে দেখে তোমরা মুখ লুকালে তাতে লাভ কি? এর ফলে কি তোমরা আল্লাহর কাছ থেকেও নিজেদের গোপন করতে পেরেছো? আল্লাহ কি দেখছেন না, এক ব্যক্তি তোমাদের সত্যের সাথে পরিচিত করাবার দায়িত্ব পালন করছেন আর তোমরা তার কোন কথা যাতে তোমাদের কানে না পড়ে সেজন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছো?

তাফসীরে আহসানুল বায়ান বলেছেন:-

[১] অর্থাৎ, তিনি রুযীর যিম্মাদার ও দায়িতত্ত্বশীল। ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী সকল সৃষ্টিজীব, মানুষ হোক বা জীন, পশু হোক বা পক্ষীকুল, ছোট হোক বা বড়, জলচর হোক বা স্থলচর; মোটকথা, তিনি সমুদয় প্রাণীকে তার প্রয়োজন মত রুযী দান করেন।

[২] مستقر ومستودع (স্থায়ী ও অস্থায়ী অবস্থানক্ষেত্র)এর ব্যাখ্যার ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। অনেকের নিকট مستقر হল চলা ফেরা করতে করতে যেখানে থেমে যায় সেই জায়গা এবং যেখানে অবস্থান করে তা হল مستودع । কেউ কেউ বলেন, মায়ের গর্ভাশয় হল مستقر আর পিতার পিঠ হল مستودع। আবার অনেকের নিকট মানুষ বা পশু জীবিত অবস্থায় যেখানে অবস্থান করে তা হল তার مستقر এবং মৃত্যুর পর যেখানে দাফন করা হবে তা হল তার مستودع। (তাফসীর ইবনে কাসীর) ইমাম শওকানী (রঃ) বলেন, مستقر হল মায়ের গর্ভাশয় এবং مستودع হল পৃথিবীর সেই অংশ যেখানে মানুষ দাফন হয়। ইমাম হাকেমের এক বর্ণনা অনুযায়ী এই অর্থকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সুতরাং অর্থ যাই হোক, আয়াতের অর্থ পরিষ্কার যে, আল্লাহ তাআলা সকলের (স্থায়ী ও অস্থায়ী অবস্থানক্ষেত্র) সম্পর্কে অবগত। তিনি সকলকে রুযী দানের ক্ষমতা রাখেন এবং তিনি রুযীর দায়িতত্ত্বশীল। আর তিনি আপন দায়িতত্ত্ব পূর্ণ করে থাকেন।

English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura:- HUD.
Sura: 11
Verses :- 06
وَمَا مِن دَابَّةٍ
For the Provisions of All Creatures…

Allah is Responsible for the Provisions of All Creatures

Allah says;

وَمَا مِن دَابَّةٍ فِي الَارْضِ إِلاَّ عَلَى اللّهِ رِزْقُهَا

وَيَعْلَمُ مُسْتَقَرَّهَا وَمُسْتَوْدَعَهَا كُلٌّ فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ

And no moving creature is there on earth but its provision is due from Allah. And He knows its dwelling place and its deposit. All is in a Clear Book.

Allah, the Exalted, informs that He is responsible for the provisions of all the creatures that dwell in the earth, whether they are small, large, sea-dwelling or land-dwelling. He knows their place of dwelling and their place of deposit.

This means that He knows where their journeying will end in the earth and where they will seek shelter when they wish to nest.

This place of nesting is also considered their place of deposit.

Ali bin Abi Talhah and others reported from Ibn Abbas that he said concerning the statement,
رِزْقُهَا

وَيَعْلَمُ
(And He knows its dwelling place),

it means where it resides.

In reference to the statement,
مُسْتَقَرَّهَا
(and its deposit), he (Ibn Abbas) said;

it means where it will die.

كُلٌّ فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ

All is in a Clear Book.

Allah informs us that all of this is written in a Book with Allah that explains it in detail.

This is similar to Allah’s statement,

وَمَا مِن دَابَّةٍ فِى الاٌّرْضِ وَلَا طَايِرٍ يَطِيرُ بِجَنَاحَيْهِ إِلاَّ أُمَمٌ أَمْثَـلُكُمْ مَّا فَرَّطْنَا فِى الكِتَـبِ مِن شَىْءٍ ثُمَّ إِلَى رَبِّهِمْ يُحْشَرُونَ

There is not a moving creature on earth, nor a bird that flies with its two wings, but are communities like you. We have neglected nothing in the Book, then unto their Lord they (all) shall be gathered. (6:38)

and,

وَعِندَهُ مَفَاتِحُ الْغَيْبِ لَا يَعْلَمُهَأ إِلاَّ هُوَ وَيَعْلَمُ مَا فِى الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَمَا تَسْقُطُ مِن وَرَقَةٍ إِلاَّ يَعْلَمُهَا وَلَا حَبَّةٍ فِى ظُلُمَـتِ الاٌّرْضِ وَلَا رَطْبٍ وَلَا يَابِسٍ إِلاَّ فِى كِتَـبٍ مُّبِينٍ

And with Him are the keys of the Ghayb (all that is hidden and unseen), none knows them but He. And He knows whatever there is in the land and in the sea; not a leaf falls, but he knows it. There is not a grain in the darkness of the earth nor anything fresh or dry, but is written in a Clear Record. (6:59).

Leave a Reply