أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book# 699)
[ قَدْ جَادَلْتَنَا فَأَكْثَرْتَ جِدَالَنَا
“তুমি আমাদের সাথে বিতর্ক করেছ এবং সে বিতর্ক অনেক বেশি করে ফেলেছ।”
“You have disputed with us and much have you prolonged the dispute with us…”]
www.motaher21.net
وَ لَاۤ اَقُوۡلُ لَکُمۡ عِنۡدِیۡ خَزَآئِنُ اللّٰہِ وَ لَاۤ اَعۡلَمُ الۡغَیۡبَ وَ لَاۤ اَقُوۡلُ اِنِّیۡ مَلَکٌ وَّ لَاۤ اَقُوۡلُ لِلَّذِیۡنَ تَزۡدَرِیۡۤ اَعۡیُنُکُمۡ لَنۡ یُّؤۡتِیَہُمُ اللّٰہُ خَیۡرًا ؕ اَللّٰہُ اَعۡلَمُ بِمَا فِیۡۤ اَنۡفُسِہِمۡ ۚۖ اِنِّیۡۤ اِذًا لَّمِنَ الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۳۱﴾
আর আমি তোমাদেরকে বলছি না যে, আমার নিকট আল্লাহর ধন-ভান্ডার আছে। আমি অদৃশ্যের কথাও জানি না। আর আমি এটাও বলি না যে, আমি ফিরিশতা। আর যারা তোমাদের চোখে হীন, আমি তাদের সম্বন্ধে এটা বলি না যে, আল্লাহ কখনো তাদেরকে কোন মঙ্গল দান করবেন না; তাদের অন্তরে যা কিছু আছে, তা আল্লাহ উত্তমরূপে জানেন। (এরূপ বললে) আমি অবশ্যই যালেমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।’
And I do not tell you that I have the depositories [containing the provision] of Allah or that I know the unseen, nor do I tell you that I am an angel, nor do I say of those upon whom your eyes look down that Allah will never grant them any good. Allah is most knowing of what is within their souls. Indeed, I would then be among the wrongdoers.”
قَالُوۡا یٰنُوۡحُ قَدۡ جٰدَلۡتَنَا فَاَکۡثَرۡتَ جِدَالَنَا فَاۡتِنَا بِمَا تَعِدُنَاۤ اِنۡ کُنۡتَ مِنَ الصّٰدِقِیۡنَ ﴿۳۲﴾
তার বলল, ‘হে নূহ ! তুমি তো আমাদের সাথে বিনন্ডা করেছ—তুমি বিতন্ডা করেছ আমাদের সাথে অতি মাত্রায়; কাজেই তুমি সত্যবাদী হলে আমাদেরকে যার ওয়াদা তুমি করছ তা আমাদের কাছে নিয়ে আস।’
They said, “O Noah, you have disputed us and been frequent in dispute of us. So bring us what you threaten us, if you should be of the truthful.”
قَالَ اِنَّمَا یَاۡتِیۡکُمۡ بِہِ اللّٰہُ اِنۡ شَآءَ وَ مَاۤ اَنۡتُمۡ بِمُعۡجِزِیۡنَ ﴿۳۳﴾
তিনি বললেন, ‘ইচ্ছে করলে আল্লাহ্ই তা তোমাদের কাছে উপস্থিত করবেন এবং তোমরা তা ব্যর্থ করতে পারবে না।’
He said, ” Allah will only bring it to you if He wills, and you will not cause [Him] failure.
وَ لَا یَنۡفَعُکُمۡ نُصۡحِیۡۤ اِنۡ اَرَدۡتُّ اَنۡ اَنۡصَحَ لَکُمۡ اِنۡ کَانَ اللّٰہُ یُرِیۡدُ اَنۡ یُّغۡوِیَکُمۡ ؕ ہُوَ رَبُّکُمۡ ۟ وَ اِلَیۡہِ تُرۡجَعُوۡنَ ﴿ؕ۳۴﴾
‘আর আমি তোমাদেরকে উপদেশ দিতে চাইলেও আমার উপদেশ তোমাদের উপকারে আসবে না, যদি আল্লাহ্ তোমাদেরকে বিভ্রান্ত করতে চান । তিনিই তোমাদের রব এবং তাঁরই কাছে তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে।
And my advice will not benefit you – although I wished to advise you – If Allah should intend to put you in error. He is your Lord, and to Him you will be returned.”
সুরা: হুদ।
সুরা:১১
৩১-৩৪ নং আয়াত:-
قَدْ جَادَلْتَنَا فَأَكْثَرْتَ جِدَالَنَا
“তুমি আমাদের সাথে বিতর্ক করেছ এবং সে বিতর্ক অনেক বেশি করে ফেলেছ।”
“You have disputed with us and much have you prolonged the dispute with us…”
৩১-৩৪ নং আয়াতের তাফসীর :-
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
# বিরোধী পক্ষ তাঁর ব্যাপারে আপত্তি উত্থাপন করে বলেছিল, তোমাকে তো আমরা আমাদেরই মত একজন মানুষ দেখছি। তাদের আপত্তির জবাবে একথা বলা হয়েছিল। এখানে হযরত নূহ (আ) বলেন, যথার্থই আমি একজন মানুষ। একজন মানুষ হওয়া ছাড়া নিজের ব্যাপারে তো আমি আর কিছুই দাবী করিনি। তাহলে তোমরা আমার বিরুদ্ধে এ আপত্তি উঠাচ্ছো কেন? আমি শুধু এতটুকুই দাবী করি যে, আল্লাহ আমাকে জ্ঞান ও কর্মের সহজ সোজা পথ দেখিয়েছেন। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা এ ব্যাপারটির পরীক্ষা করে নাও। কিন্তু এ দাবীর ব্যাপারটি পরীক্ষা করার এ কোন্ ধরনের পদ্ধতি যে, কখনো তোমরা আমার কাছে গায়েবের খবর জিজ্ঞেস করো, কখনো এমন ধরনের অদ্ভূত দাবী উত্থাপন করতে থাকো যাতে মনে হয় যেন আল্লাহর ভাণ্ডারের সমস্ত চাবী আমার কাছে আছে আবার কখনো আপত্তি করতে থাকো যে, আমি মানুষের মতো আহার-বিহার করি কেন? যেন মনে হয় আমি ফেরেশতা হবার দাবী করেছিলাম। যে ব্যক্তি আকীদা-বিশ্বাস, চরিত্র-নৈতিকতা ও সমাজ-সংস্কৃতির ব্যাপারে সঠিক পথের দিশা দেবার দাবী করেছে তাকে এ জিনিসগুলোর ব্যাপারে যে কোন প্রশ্ন চাও করতে পারো। কিন্তু তোমরা দেখি অদ্ভূত লোক। তোমরা তাকে জিজ্ঞেস করছো অমুকের মোষের নর-বাচ্চা হবে না মাদী-বাচ্চা? প্রশ্ন হলো মানুষের জীবনের জন্য সঠিক নৈতিক ও তামাদ্দুনিক নীতি বর্ণনা করার সাথে মোষের বাচ্চা প্রসব করার কোন সম্পর্ক আছে কি? (দেখুন সূরা আন’আম, ৩১ টীকা ও ৩২ টীকা )
# আল্লাহ যদি তোমাদের হঠকারিতা, দুর্মতি এবং সদাচারে আগ্রহ হীনতা দেখে এ ফায়সালা করে থাকেন যে, তোমাদের সঠিক পথে চলার সুযোগ আর দেবেন না এবং যেসব পথে তোমরা উদভ্রান্তের মতো ঘুরে বেড়াতে চাও সেসব পথে তোমাদের ছেড়ে দেবেন তাহলে এখন আর তোমাদের কল্যাণের জন্য আমার কোন প্রচেষ্টা সফলকাম হতে পারে না।
তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
হযরত নূহ (আঃ) তাঁর কওমকে খবর দিচ্ছেনঃ আমি শুধুমাত্র আল্লাহর রাসূল। আমি এক ও অংশীবিহীন আল্লাহর নির্দেশক্রমে তোমাদের সকলকে তাঁর ইবাদত ও তাওহীদের দিকে আহবান করছি। এর দ্বারা তোমাদের নিকট থেকে মাল-ধন লাভ করার আমার উদ্দেশ্য নয়। ছোট-বড় সবারই জন্যে আমার উপদেশ সাধারণ। যে এটা কবুল করবে সে মুক্তি পেয়ে যাবে। আল্লাহর ধন ভান্ডারকে হেরফের করার ক্ষমতা আমার নেই। আমি অদৃশ্যের খবরও জানি না। তবে আল্লাহ যা জানিয়ে দেন তা জানতে পারি। আমি ফেরেশতা হওয়ারও দাবি করছিনা। বরং আমি একজন মানুষ মাত্র। আমাকে আল্লাহ রাসূল করে তোমাদের নিকট পাঠিয়েছেন এবং আমার রিসালতের পৃষ্ঠপোষকতার জন্যে তিনি আমাকে কতকগুলি মু’জিযাও দিয়েছেন। যাদেরকে তোমরা ইতর ও লাঞ্ছিত বলছে, তাদের ব্যাপারে আমি এ উক্তি করতে পারি না যে, তাদেরকে তাদের সৎ কার্যের বিনিময় প্রদান করা হবে না। তাদের ভিতরের খবরও আমি জানি না। তাদের অন্তরের খবর একমাত্র আল্লাহই জানেন। বাইরের মত ভিতরেও যদি তারা মু’মিন হয়ে থাকে তবে অবশ্যই মহান আল্লাহর কাছে তাদের পুরস্কার রয়েছে। যারা তাদের পরিণাম খারাপ বলবে তারা হবে বড় অত্যাচারী এবং তাদের এই উক্তি হবে অজ্ঞতাপূর্ণ উক্তি।
হযরত নূহের (আঃ) কওম যে আল্লাহর আযাব, গযব ও ক্রোধ তাদের উপর অতি সত্বর পতিত হোক এটা কামনা করছিল, আল্লাহ তাআ’লা এখানে ওরই বর্ণনা দিচ্ছেন। তারা তাঁকে বললো- “হে নূহ (আঃ)! তুমি আমাদেরকে অনেক কিছু শুনালে এবং খুব তর্ক-বিতর্কও করলে, এখন আমাদের শেষ সিদ্ধান্ত এই যে, আমরা তোমার অনুসরণ করবো না এবং তোমার কথা মানবোও না। সুতরাং যদি তুমি তোমার কথায় সত্যবাদী হও তবে তোমার প্রতিপালকের কাছে প্রার্থনা করে তার শাস্তি আমাদের উপর আনয়ন কর। তিনি তাদের এ কথার উত্তরে বললেন : ‘এটাও আমার অধিকারে নেই, বরং এটা আল্লাহরই হাতে। তবে জেনে রেখো যে, তোমরা আল্লাহকে অপারগ ও অক্ষম করতে পারবে না। যদি তোমাদেরকে পথভ্রষ্ট করা ও ধ্বংস করা স্বয়ং আল্লাহরই ইচ্ছা থাকে তবে সত্যি আমার উপদেশ তোমাদের কোনই কাজে আসবে না। সবারই মালিক একমাত্র আল্লাহ। সমস্ত কাজের পূর্ণতা দানের ক্ষমতা তারই। তিনিই হচ্ছেন সমস্ত কাজের ব্যবস্থাপক। তিনিই হচ্ছেন শাসনকর্তা এবং ন্যায় বিচারক। তিনি অত্যাচার করেন না। তিনিই প্রথমে সবকিছু সৃষ্টি করেছেন এবং সবকিছু তারই কাছে ফিরে যাবে। দুনিয়া ও আখেরাতের একক মালিক তিনিই। সমস্ত মাখলুক তারই কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে।’
তাফসীরে আহসানুল বায়ান বলেছেন:-
# [১] বরং আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ঈমান রূপে বড় উত্তম বস্তু দান করে রেখেছেন এবং তারই ভিত্তিতে তারা আখেরাতে জান্নাতের মত নিয়ামত দ্বারা উপকৃত হবে এবং আল্লাহ তাআলা চাইলে দুনিয়াতেও বড় মর্যাদাবান হতে পারবে। সুতরাং তাদেরকে তোমাদের হেয় প্রতিপন্ন করা তাদের জন্য কোন ক্ষতির কারণ নয়। অবশ্য তোমরাই আল্লাহ তাআলার নিকট পাপী হবে; কারণ তোমরা আল্লাহর নেক বান্দাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন কর অথচ আল্লাহর নিকট তারা বড় সম্মানিত।
[২] কারণ, যে বস্তুর জ্ঞান আমার নিকট নেই, একমাত্র আল্লাহর নিকট রয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলা যুলুম।
# [১] কিন্তু এর পরেও আমরা ঈমান আনছি না।
[২] এটা সেই আহাম্মকি ও বেওকুফী যা ভ্রষ্ট সম্প্রদায় পূর্ব থেকে করে আসছে, তারা আপন পয়গম্বরদের বলত যে, যদি তুমি সত্যবাদী হও, তাহলে আমাদের উপর আযাব অবতীর্ণ করিয়ে আমাদেরকে ধ্বংস করে দাও! অথচ যদি তারা জ্ঞানী হত, তাহলে তারা বলত যে, যদি তুমি সত্যবাদী হও এবং প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর রসূল হও, তাহলে আমাদের জন্যও দু’আ কর, যেন আল্লাহ তাআলা আমাদের বক্ষ উন্মুক্ত করে দেন; যাতে আমরা তা গ্রহণ করতে পারি।
# আযাব আসা একমাত্র আল্লাহর ইচ্ছার উপর, এ নয় যে আমি যখন চাইব, তখনই তোমাদের উপর আযাব চলে আসবে। এর পরেও আল্লাহ তাআলা যখন আযাবের ফায়সালা করে নেবেন বা প্রেরণ করে দেবেন, তখন তাঁকে কেউ ব্যর্থ করতে পারবে না।
# [১] إِغْوَآءٌ এর অর্থ হল পথভ্রষ্ট করা। অর্থাৎ, তোমাদের কুফরী ও অস্বীকার করা এমন পর্যায়ে পৌছে যায়, যেখান থেকে ফিরে আসা এবং হিদায়াত পাওয়া অসম্ভব। উক্ত অবস্থাকে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে মোহর লাগিয়ে দেওয়া বলা হয়। যার পরে হিদায়াতের আর কোন আশা করা যায় না। উদ্দেশ্য এই যে, যদি তোমরাও সেই বিপদ সীমায় পৌঁছে গেছ, তাহলে যদিও আমি তোমাদের মঙ্গল কামনা করি; অর্থাৎ সঠিক পথের দিশা দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করি, তবুও এই মঙ্গল কামনা ও চেষ্টা তোমাদের জন্য ফলপ্রসূ হবে না, কারণ তোমরা ভ্রষ্টতার শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছ।
[২] হিদায়াত ও ভ্রষ্টতাও তাঁরই হাতে আছে এবং তাঁরই নিকট সকলকে ফিরে যেতে হবে, যেখানে তিনি তোমাদেরকে তোমাদের আমলের প্রতিদান দেবেন। ভাল লোকদেরকে তাদের ভাল আমলের প্রতিদান এবং মন্দ লোকদেরকে তাদের মন্দ আমলের প্রতিফল দেবেন।
তাফসীরে আবুবকর জাকারিয়া বলেছেন:-
# [১] আর আমি গায়েবও জানিনা যে তোমাদের গোপন ও অব্যক্ত কথা ও কাজ বলে দেব। [সা’দী] আল্লাহ্ যা জানিয়েছেন সেটার বাইরে তো আমি তোমাদেরকে গায়েবের কোন সংবাদ জানাতে পারবো না। [ইবন কাসীর] সম্ভবত: উক্ত জাহেলদের আরো বিশ্বাস ছিল যে, যারা সত্যিকার নবী, তারা নিশ্চয়ই গায়েবের খবর জানবেন। নূহ আলাইহিস সালামের উক্তি দ্বারা স্পষ্ট হয়ে গেল যে, নবুওয়াত ও রেসালতের জন্য গায়েবের ইলম অপরিহার্য নয়। আর তা হবেই বা কি করে? গায়েবের ইলম তো একমাত্র আল্লাহ তা’আলার বিশেষ ছিফাত বা বৈশিষ্ট্য। কোন নবী, অলী বা ফেরেশতা সেটার অংশীদার হতে পারে না। তাদেরকে এ গুণে গুনাম্বিত মনে করা স্পষ্ট শির্কী কাজ।
[২] বিরোধী পক্ষ তাঁর ব্যাপারে আপত্তি উত্থাপন করে বলেছিল, তোমাকে তো আমরা আমাদেরই মত একজন মানুষ দেখছি। তাদের আপত্তির জবাবে একথা বলা হয়েছিল। এখানে নূহ আলাইহিসসালাম বলেন, যথার্থই আমি একজন মানুষ। একজন মানুষ হওয়া ছাড়া নিজের ব্যাপারে তো আমি আর কিছুই দাবী করিনি। আমি তো কখনো ফেরেশতা হওয়ার দাবী করিনি। আমার বৈশিষ্ট্য এই যে, আমাকে মু’জিযা দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে। [ইবন কাসীর] আমি কখনও আমার নিজেকে আমার মর্যাদার উপরে অন্য কারো মর্যাদার বলে দাবী করিনি। আমাকে আল্লাহ্ যে মর্যাদা দিয়েছেন আমি তো সেটাই বলি। কারও উপর আমি মনগড়া কোন কথাও বলি না। [সা’দী]
[৩] অর্থাৎ যাদেরকে তোমরা হেয় গণ্য করছ, তাদের সম্পর্কে আমি এটা বলি না যে, তাদের রবের কাছে তাদের ঈমানের কোন সওয়াব নেই। কারণ, আল্লাহই জানেন তাদের ঈমানের অবস্থা। যদি তারা প্রকাশ্যে যেভাবে ঈমানদার তেমনি সত্যিকার অর্থেই ঈমানদার হয় তবে তাদের জন্য রয়েছে উত্তম প্রতিদান। যদি তারা ঈমানদার হওয়ার পরও কেউ তাদের সাথে খারাপ কথা বলে, তবে অবশ্যই সে যালেমদের অন্তর্ভুক্ত হবে এবং এমন কথা বলে যাতে তার কোন জ্ঞান নেই। [ইবন কাসীর]
#আল্লাহ যদি তোমাদের হঠকারিতা, দুর্মতি এবং সদাচারে অনাগ্রহ দেখে এ ফায়সালা করে থাকেন যে, তোমাদের সঠিক পথে চলার সুযোগ আর দেবেন না এবং যেসব পথে তোমরা উদভ্রান্তের মতো ঘুরে বেড়াতে চাও সেসব পথে তোমাদের ছেড়ে দেবেন তাহলে এখন আর তোমাদের কল্যাণের জন্য আমার কোন প্রচেষ্টা সফলকাম হতে পারে না। আল্লাহ্ তা’আলা নুহ আলাইহিসসালামকে প্রায় এক হাজার বছরের দীর্ঘ জীবন দান করেছিলেন। কিন্তু শতাব্দীর পর শতাব্দী যাবত প্রাণপন চেষ্টা করা সত্ত্বেও তারা যখন ঈমান আনলনা তখন তিনি আল্লাহ রাববুল ইজ্জতের দরবারে তাদের সম্পর্কে ফরিয়াদ করলেন- “নিশ্চয় আমি আমার জাতিকে দিবা রাত্রি দাওয়াত দিয়েছি। কিন্তু আমার দাওয়াত তাদের শুধু সত্যপথ থেকে পলায়নের প্রবণতাই বৃদ্ধি করেছে।” [সূরা নূহঃ ৫-৬] সুদীর্ঘকাল যাবত অসহনীয় কষ্ট ক্লেশ ভোগ করার পর তিনি দো’আ করলেন, “হে আল্লাহ আমাকে সাহায্য করুন, কারণ তারা আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছে।” [সুরা আল মুমিনূনঃ৩৯]
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura:- HUD.
Sura: 11
Verses :- 31-34
قَدْ جَادَلْتَنَا فَأَكْثَرْتَ جِدَالَنَا
“You have disputed with us and much have you prolonged the dispute with us…”
Allah tells what Nuh said to his people;
وَلَا أَقُولُ لَكُمْ عِندِي خَزَايِنُ اللّهِ وَلَا أَعْلَمُ الْغَيْبَ وَلَا أَقُولُ إِنِّي مَلَكٌ وَلَا أَقُولُ لِلَّذِينَ تَزْدَرِي أَعْيُنُكُمْ لَن يُوْتِيَهُمُ اللّهُ خَيْرًا اللّهُ أَعْلَمُ بِمَا فِي أَنفُسِهِمْ
إِنِّي إِذًا لَّمِنَ الظَّالِمِينَ
And I do not say to you that with me are the treasures of Allah, nor that I know the Ghayb; nor do I say I am an angel, and I do not say of those whom your eyes look down upon that Allah will not bestow any good on them. Allah knows what is in their inner selves. In that case, I should, indeed be one of the wrongdoers.
Nuh is informing them that he is a Messenger from Allah, calling to the worship of Allah alone, without any partners and he is doing this by the permission of Allah.
At the same time, he is not asking them for any reward for this work. He invites whomever he meets, whether of nobility or low class. Therefore, whoever responds favorably, then he has achieved salvation.
He also explains that he has no power to manipulate the hidden treasures of Allah, nor does he have any knowledge of the Unseen, except what Allah has allowed him to know. Likewise, he is not an angel, rather, he is merely a human Messenger aided with miracles.
Nuh goes on to say, “I do not say about these people whom you (disbelievers) detest and look down upon, that Allah will not reward them for their deeds. Allah knows best what is in their souls. If they are believers in their hearts, as their condition appears to be outwardly, then they will have a good reward. If anyone behaves evilly with them after they have believed, then he is a wrongdoer who speaks what he has no knowledge of.
The People’s Request of Nuh to bring the Torment and His Response to Them
Allah, the Exalted, informs that the people of Nuh sought to hasten Allah’s vengeance, torment, anger and the trial (His punishment).
This is based on their saying,
قَالُواْ يَا نُوحُ قَدْ جَادَلْتَنَا فَأَكْثَرْتَ جِدَالَنَا
They said:”O Nuh! You have disputed with us and much have you prolonged the dispute with us…”
They meant by this, “You (Nuh) have argued with us long enough, and we are still not going to follow you.”
فَأْتَنِا بِمَا تَعِدُنَا
now bring upon us what you threaten us with,
What he (Nuh) promised is referring to the vengeance and torment (from Allah). They were actually saying, “Supplicate against us however you wish, and let whatever you have supplicated come to us.”
إِن كُنتَ مِنَ الصَّادِقِينَ
قَالَ إِنَّمَا يَأْتِيكُم بِهِ اللّهُ إِن شَاء وَمَا أَنتُم بِمُعْجِزِينَ
“…if you are of the truthful.”
(In reply to this), He said:”Only Allah will bring it (the punishment) on you, if He wills, and then you will escape not.
This means, `It is only Allah Who can punish you and hasten your punishment for you. He is the One from Whom nothing escapes.
وَلَا يَنفَعُكُمْ نُصْحِي إِنْ أَرَدتُّ أَنْ أَنصَحَ لَكُمْ إِن كَانَ اللّهُ يُرِيدُ أَن يُغْوِيَكُمْ
And my advice will not profit you, even if I wish to give you good counsel, if Allah’s will is to keep you astray.
This means:something that could be useful to you (in acceptance) of my preaching to you, warning you and advising you.
إِن كَانَ اللّهُ يُرِيدُ أَن يُغْوِيَكُمْ
(if Allah’s will is to keep you astray),
This means:your deception and your ultimate destruction.
هُوَ رَبُّكُمْ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
He is your Lord! and to Him you shall return.
He is the Owner of the finality of all matters. He is the Controller, the Judge, the Most Just and He does not do any injustice. Unto Him belongs the creation and the command. He is the Originator and the Repeater (of the creation). He is the Owner of this life and the Hereafter.