أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book# 720)
وَمَا أَمْرُ فِرْعَوْنَ بِرَشِيدٍ ]
অথচ ফিরআউনের নির্দেশ মোটেই সঠিক ছিল না।
The command of Fir`awn was no right guide.]
www.motaher21.net
وَ لَقَدۡ اَرۡسَلۡنَا مُوۡسٰی بِاٰیٰتِنَا وَ سُلۡطٰنٍ مُّبِیۡنٍ ﴿ۙ۹۶﴾
আমি মূসাকে প্রেরণ করলাম আমার নিদর্শনাবলী ও সুস্পষ্ট প্রমাণ সহকারে।
And We did certainly send Moses with Our signs and a clear authority
اِلٰی فِرۡعَوۡنَ وَ مَلَا۠ئِہٖ فَاتَّبَعُوۡۤا اَمۡرَ فِرۡعَوۡنَ ۚ وَ مَاۤ اَمۡرُ فِرۡعَوۡنَ بِرَشِیۡدٍ ﴿۹۷﴾ ফিরআউন ও তার প্রধানবর্গের নিকট, তারা ফিরআউনের নির্দেশ মেনে চলতে লাগল অথচ ফিরআউনের নির্দেশ মোটেই সঠিক ছিল না।
To Pharaoh and his establishment, but they followed the command of Pharaoh, and the command of Pharaoh was not [at all] discerning.
یَقۡدُمُ قَوۡمَہٗ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ فَاَوۡرَدَہُمُ النَّارَ ؕ وَ بِئۡسَ الۡوِرۡدُ الۡمَوۡرُوۡدُ ﴿۹۸﴾
কিয়ামতের দিন সে নিজ সম্প্রদায়ের অগ্রভাগে থাকবে, অতঃপর তাদেরকে উপনীত করবে দোযখে। আর তা অতি নিকৃষ্ট স্থান যাতে তারা উপনীত হবে।
He will precede his people on the Day of Resurrection and lead them into the Fire; and wretched is the place to which they are led.
وَ اُتۡبِعُوۡا فِیۡ ہٰذِہٖ لَعۡنَۃً وَّ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ ؕ بِئۡسَ الرِّفۡدُ الۡمَرۡفُوۡدُ ﴿۹۹﴾
আর অভিশাপ তাদের পেছনে লাগিয়ে দেয়া হয়েছিল এ দুনিয়ায় এবং কিয়ামতের দিনেও। কতই না নিকৃষ্ট সে পুরুস্কার যা তাদেরকে দেয়া হবে !
And they were followed in this [world] with a curse and on the Day of Resurrection. And wretched is the gift which is given.
সুরা: হুদ।
সুরা:১১
৯৬-৯৯ নং আয়াত:-
وَمَا أَمْرُ فِرْعَوْنَ بِرَشِيدٍ
অথচ ফিরআউনের নির্দেশ মোটেই সঠিক ছিল না।
The command of Fir`awn was no right guide.
৯৬-৯৯ নং আয়াতের তাফসীর:-
তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-
এখানে আল্লাহ তা‘আলা মূসা (عليه السلام) ও ফির‘আউন সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। যা আমরা সূরা ইউনুসে বিস্তারিতভাবে আলোকপাত করেছি।
আল্লাহ তা‘আলা বিভিন্ন নিদর্শন ও প্রমাণ দিয়ে মূসা (عليه السلام)-কে ফির‘আউন ও তার পরিষদবর্গের কাছে প্রেরণ করেন। وَمَلَاْئِه পরিষদবর্গ জাতির সম্মানিত ও সর্বোচ্চ পর্যায়ের লোকদেরকে বলা হয়। ফির‘আউনের সাথে তার দরবারের সম্মানিত লোকদের নাম এ জন্য নেয়া হয়েছে যে, জাতির উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরাই সর্ববিষয়ে দায়িত্বশীল হয়ে থাকে এবং জাতির মানুষ তাদের অনুসরণ করে থাকে। যদি তারা ঈমান আনত তাহলে জাতির সবাই মূসা (عليه السلام)-এর প্রতি ঈমান আনত। ফির‘আউনের সম্প্রদায়েরা যেহেতু দুনিয়াতে তার অনুসরণ করেছে আখিরাতেও তারা ফির‘আউনের অনুসারী হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَجَعَلْنٰھُمْ اَئِمَّةً یَّدْعُوْنَ اِلَی النَّارِﺆ وَیَوْمَ الْقِیٰمَةِ لَا یُنْصَرُوْنَﭸوَاَتْبَعْنٰھُمْ فِیْ ھٰذِھِ الدُّنْیَا لَعْنَةًﺆ وَیَوْمَ الْقِیٰمَةِ ھُمْ مِّنَ الْمَقْبُوْحِیْنَﭹﺟ)
“তাদেরকে আমি নেতা করেছিলাম; তারা লোকদেরকে জাহান্নামের দিকে আহ্বান করত; কিয়ামতের দিন তাদেরকে সাহায্য করা হবে না। এ পৃথিবীতে আমি তাদের ওপর লাগিয়ে দিয়েছি অভিসম্পাত এবং কিয়ামতের দিন তারা হবে ঘৃণিত” (সূরা কাসাস ২৮:৪১-৪২)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
(وَقَالُوْا رَبَّنَآ إِنَّآ أَطَعْنَا سَادَتَنَا وَكُبَرَا۬ءَنَا فَأَضَلُّوْنَا السَّبِيْلَا ﮒ رَبَّنَآ اٰتِهِمْ ضِعْفَيْنِ مِنَ الْعَذَابِ وَالْعَنْهُمْ لَعْنًا كَبِيْرًا)
“তারা আরো বলবে- হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তো অনুসরণ করেছিলাম আমাদের নেতাদের এবং আমাদের প্রধানদের। অতএব তারাই আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিল। হে আমাদের প্রতিপালক! তাদেরকে দ্বিগুণ শাস্তি দিন এবং মহা অভিশাপ দিন।” (সূরা আহযাব ৩৩:৬৭-৬৮)
بِرَشِيْدٍ অর্থ সঠিক, যুক্তিসম্পন্ন ও বিবেকসম্পন্ন। অর্থাৎ মূসা (عليه السلام)-এর কথাই ছিল সঠিক ও যুক্তিসঙ্গত, কিন্তু তারা তা প্রত্যাখ্যান করল। আর ফির‘আউনের কথা যা সঠিক ও যুক্তিসঙ্গত ছিল না তারা তার অনুসরণ করল।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. দুনিয়াতে যে ভাল মানুষের অনুসারী হবে আখিরাতেও সে তারই অনুসারী হবে, আর যে খারাপ লোকের অনুসরণ করবে আখিরাতেও সে খারাপ লোকেরই অনুসরণ করবে।
তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
৯৬-৯৯ নং আয়াতের তাফসীর
আল্লাহ তাআ’লা খবর দিচ্ছেন যে, তিনি কিবতী কওমের বাদশাহ্ ফিরআউন এবং তার প্রধানবর্গের নিকট স্বীয় রাসূল হযরত মূসাকে (আঃ) নিদর্শনসমূহ ও সুস্পষ্ট দলীল প্রমাণাদিসহ প্রেরণ করেন। কিন্তু কিবতীরা ফিরআউনের আনুগত্য পরিত্যাগ করলো না। তারা তারই ভ্রান্ত নীতির পিছনে পড়ে রইলো। এই দুনিয়ায় যেমন তারা ফিরআউনের আনুগত্য পরিত্যাগ করলো না বরং তাকে নেতা মেনেই চললো, অনুরূপভাবে কিয়ামতের দিনও তারা তারই পিছনে থাকবে এবং সে তাদের সবাইকে নেতৃত্ব দিয়ে জাহান্নামে নিয়ে যাবে। আর তাকে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। যেমন আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ (আরবি)
অর্থাৎ “ফির’আউন সেই রাসূলের কথা অমান্য করলো, সুতরাং আমি তাকে কঠোরভাবে পাকড়াও করলাম।” (৭৩:১৬) আল্লাহপাক আরো বলেনঃ (আরবি)
অর্থাৎ “সে অবিশ্বাস করলো এবং কথা মানলো না। অনন্তর সে পৃথক হয়ে (মূসার (আঃ) বিরুদ্ধে) প্রচেষ্টা চালাতে লাগলো। অতঃপর সে (লোকদের) সমবেত করলো, তৎপর সে উচ্চৈঃ স্বরে আহ্বান করলো। অতঃপর বললো: আমি তোমাদের শ্রেষ্ঠ প্রতিপালক। অনন্তর আল্লাহ তাকে আখেরাতের ও দুনিয়ার আযাবে পাকড়াও করলেন। নিশ্চয় এতে সেই ব্যক্তির জন্যে বড় শিক্ষণীয় রয়েছে যে (আল্লাহকে) ভয় করে। (৭৯:২১-২৬)
আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ ‘কিয়ামতের দিন সে (ফিরআউন) নিজ সম্প্রদায়ের আগে আগে থাকবে। অতঃপর তাদেরকে দুযখে উপণীত করে দেবে, আর তা অতি নিকৃষ্ট স্থান হবে যাতে তারা উপণীত হবে।
অনুরূপভাবে অসৎ লোকদের অনুসারীদেরকেও কিয়ামতের দিন জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করানো হবে। যেমন আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ (আরবি)
অর্থাৎ “প্রত্যেকের জন্যেই দ্বিগুণ শাস্তি, কিন্তু তোমরা জান না।” (৭:৩৮) এবার আল্লাহ তাআ’লা কাফিরদের ব্যাপারে সংবাদ দিচ্ছেন যে, জাহান্নামে তারা বলবেঃ (আরবি)
অর্থাৎ “হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা আমাদের নেতৃবৃন্দ এবং আমাদের মাতব্বরদের কথা মান্য করেছিলাম, সুতরাং তারা আমাদেরকে (সোজা) পথ হতে বিভ্রান্ত করেছিল। হে আমাদের রব! তাদেরকে আপনি দ্বিগুণ শাস্তি প্রদান করুন এবং তাদের প্রতি লা’নত বর্ষণ করুন গুরুতর ভাবে। (৩৩:৬৭-৬৮)
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “ (কিয়ামতের দিন) ইমরুল কায়েস অজ্ঞতার যুগের কবিদের পতাকা বহন করবে এবং তাদেরকে নিয়ে সে জাহান্নামের দিকে যাবে।” (এই হাদীসটি ইমাম আহমদ (রঃ) স্বীয় ‘মসনাদ’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন) জাহান্নামের শাস্তির উপর এটা আরো অতিরিক্ত শাস্তি যে, জাহান্নামীরা ইহকালে এবং পরকালে উভয় স্থানেই চিরস্থায়ী লা’নতের শিকার হবে। এটা আলী ইবনু আবি তালহা হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। অনুরূপ ভাবে যহ্হাক (রঃ) এবং কাতাদা’ (রঃ) বলেছেন যে, (আরবি) দ্বারা দুনিয়া এবং আখেরাতের লা’নতকেই বুঝানো হয়েছে। এটা আল্লাহ পাকের নিম্নের উক্তির মতইঃ (আরবি)
অর্থাৎ “আমি তাদেরকে এমন নেতা বানিয়ে ছিলাম যারা (লোকদেরকে) দুযখের প্রতি আহ্বান করছিল এবং কিয়ামত দিবসে তাদের কেউ সহায় হবে না। আর পৃথিবীতেও আমি তাদের পশ্চাতে লা’নত লাগিয়ে দিয়েছি, আর কিয়ামত দিবসেও তারা দুর্দশাগ্রস্ত লোকদের অন্তর্ভূক্ত থাকবে।” (২৮:৪১)
আল্লাহ তাআ’লা আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “তাদেরকে (প্রত্যহ) সকালে ও সন্ধায় অগ্নির সম্মুখে আনয়ন করা হয়, আর যেই দিন কিয়ামত কায়েম হবে (সেই দিন আদেশ করা হবে যে,) ফিরআউনী লোকদেরকে কঠোরতর আযাবে দাখিল কর।” (৪০:৪৬)
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
এ আয়াত ও কুরআনের অন্য কিছু বক্তব্য থেকে জানা যায়, যারা দুনিয়ায় কোন জাতির বা দলের নেতৃত্ব দেয় কিয়ামতের দিনও তারাই তাদের নেতা হবে। যদি তারা দুনিয়ায় নেকী, সততা ও সত্যের পথে নেতৃত্ব দিয়ে থাকে তাহলে এখানে যারা তাদের অনুসরণ করেছে তারা কিয়ামতের দিনও তাদেরই পতাকাতলে সমবেত হবে এবং তাদের নেতৃত্বে জান্নাতের দিকে এগিয়ে যাবে। আর যদি তারা দুনিয়ায় কোন ভ্রষ্টতা, নৈতিকতা বিরোধী কার্যকলাপ ও এমন কোন পথের দিকে মানুষকে আহবান জানিয়ে থাকে যা সত্য দ্বীনের পথ নয়, তাহলে যারা এখানে তাদের পথে চলেছে তারা সেখানেও তাদেরই পেছনে থাকবে এবং তাদের নেতৃত্বে জাহান্নামের দিকে এগিয়ে যাবে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিম্নোক্ত হাদীসটি এ একই বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করছেঃ
امرو القيس حامل لواء شعراء الجاهلية الى النار
“কিয়ামতের দিন কবি ইমরাউল কয়েসের হাতে থাকবে জাহেলী কাব্যচর্চার ঝাণ্ডা এবং আরবের জাহেলিয়াত পন্থী সমস্ত কবি তার নেতৃত্বে জাহান্নামের পথে এগিয়ে যাবে।”
এ দু’ধরনের শোভাযাত্রা কোন্ ধরনের জৌলুম ও জাঁক জমকের সাথে তাদের গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাবে তার চিত্র এখন প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের চিন্তা ও কল্পনার পটে এঁকে নিতে পারে। যেসব নেতা দুনিয়ায় লোকদেরকে গোমরাহ করেছে এবং সত্য বিরোধী পথে চালিয়েছে তাদের অনুসারীরা যখন নিজেদের চোখে দেখে নেবে এ জালেমরা কী ভয়াবহ পরিণতির দিকে তাদেরকে টেনে এনেছে তখন তারা নিজেদের সমস্ত বিপদ-মুসীবতের জন্য তাদেরকে দায়ী মনে করবে এবং তাদের শোভাযাত্রা তাদেরকে নিয়ে এমন অবস্থায় জাহান্নামের দিকে রওয়ানা দেবে যে, আগে আগে তাদের নেতারা চলবে এবং তারা পেছনে পেছনে তাদেরকে গালি দিতে দিতে এবং তাদের প্রতি লানত বর্ষণ করতে করতে চলতে থাকবে। অন্যদিকে যাদের নেতৃত্ব মানুষকে নিয়ামতপূর্ণ জান্নাতের অধিকারী করবে তাদের অনুসারীরা নিজেদের শুভ পরিণাম দেখে তাদের নেতাদের জন্য দোয়া করতে থাকবে এবং তাদের ওপর প্রশংসা ও শুভেচ্ছার পুষ্প বর্ষণ করতে করতে এগিয়ে যাবে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান বলেছেন:-
# কোন কোন তফসীরবিদের মতে নিদর্শনাবলী থেকে উদ্দেশ্য হল তাওরাত এবং সুষ্পষ্ট প্রমাণ হল মু’জিযাসমূহ। আর অনেকে বলেন যে, ‘নিদর্শনাবলী’ হল নয়টি মু’জিযা এবং সুষ্পষ্ট প্রমাণ হল লাঠি। যদিও লাঠি উক্ত নয় নিদর্শনেরই অন্তর্ভুক্ত; কিন্তু এ মু’জিযা যেহেতু খুবই গুরুতত্ত্বপূর্ণ ছিল, সেহেতু তাকে বিশেষভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
# ملاء (পারিষদবর্গ, প্রধানবর্গ) জাতির সম্মানিত ও সর্বোচ্চ পর্যায়ের লোকদেরকে বলা হয়। (এর ব্যাখ্যা পূর্বে আলোচনা হয়েছে।) ফিরাউনের সাথে তার দরবারের সম্মানিত লোকদের নাম এই জন্য নেওয়া হয়েছে যে, জাতির উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরাই সর্ববিষয়ে দায়িতত্ত্বশীল হয়ে থাকে এবং জাতির মানুষ তাদেরই অনুসরণ করে চলে। যদি তারা মূসা (আঃ)-এর উপর ঈমান আনত, তবে অবশ্যই ফিরাউনের সমস্ত জাতি ঈমান আনত।
[২] رشيد শব্দের অর্থ হল, সঠিক, বিবেকসম্মত, যুক্তিসঙ্গত, জ্ঞানসম্পন্ন ইত্যাদি। অর্থাৎ, মূসা (আঃ)-এর কথাই সঠিক ও যুক্তিসঙ্গত ছিল, কিন্তু তারা তা প্রত্যাখ্যান করল। আর ফিরআউনের কথা, যা সঠিক ও যুক্তিসঙ্গত ছিল না, তারা তার অনুসরণ করল।
# [১] অর্থাৎ ফিরআউন, যেমন দুনিয়াতে তাদের পথপ্রদর্শনকারী ও অগ্রবর্তী ছিল, কিয়ামতের দিনও সে তাদের অগ্রবর্তীই থাকবে এবং নিজ জাতিকে নিজের নেতৃত্যে জাহান্নামে নিয়ে যাবে।
[২] وِرْدٌ পানির ঘাটকে বলা হয়, যেখানে পিপাসিতরা আপন পিপাসা নিবৃত্ত করে। কিন্তু এখানে জাহান্নামকে وِرْد বলা হয়েছে।مورود সেই স্থান বা ঘাট অর্থাৎ জাহান্নাম; যেখানে মানুষকে নিয়ে যাওয়া হবে। অর্থাৎ স্থানও নিকৃষ্ট এবং যারা যাবে তারাও নিকৃষ্ট। আল্লাহ আমাদেরকে পানাহ দিন।
# [১] ‘লানত’ (অভিশাপ) আল্লাহর রহমত থেকে দূর ও বঞ্চিত হওয়া। সুতরাং দুনিয়াতেও তারা আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত এবং যদি তারা ঈমান না আনে, তবে আখেরাতেও রহমত থেকে বঞ্চিত থাকবে।
[২] رفدٌ কোন পুরস্কার বা দানকে বলা হয়। এখানে অভিশাপকে পুরস্কার বলা হয়েছে। তাই তাকে অতি নিকৃষ্ট পুরস্কার বলা হয়েছে।مرفود সেই পুরস্কার বা দানকে বলা হয়, যা কাউকে প্রদান করা হয়। এটি الرفد এর তা’কীদ স্বরূপ ব্যবহার হয়েছে।
তাফসীরে আবুবকর জাকারিয়া বলেছেন:-
# সে তাদের সামনে সামনে জাহান্নামে যাবে। কারণ সে তাদের নেতা। [কুরতুবী]
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura:- HUD.
Sura: 11
Verses :- 96-99
وَمَا أَمْرُ فِرْعَوْنَ بِرَشِيدٍ
The command of Fir`awn was no right guide.
The Story of Musa and Fir`awn
Allah tells;
وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا مُوسَى بِأيَاتِنَا وَسُلْطَانٍ مُّبِينٍ
إِلَى فِرْعَوْنَ وَمَلَيِهِ
And indeed We sent Musa with Our Ayat and a manifest authority. To Fir`awn and his chiefs,
In these verses Allah informs of His sending Musa with His signs and clear proofs to Fir`awn, the king of the Coptic people, and his chiefs.
فَاتَّبَعُواْ أَمْرَ فِرْعَوْنَ
but they followed the command of Fir`awn.
This means that they followed his path, way and methodology in transgression.
وَمَا أَمْرُ فِرْعَوْنَ بِرَشِيدٍ
and the command of Fir`awn was no right guide.
This means there was no right guidance in it. It was only ignorance, misguidance, disbelief and stubbornness.
Just as they followed him in this life and he was their leader and chief, likewise he will lead them to the Hellfire on the Day of Resurrection. He will lead them directly to it and they will drink from springs of destruction. Fir`awn will have a great share in that awful punishment.
This is as Allah, the Exalted, said,
فَعَصَى فِرْعَوْنُ الرَّسُولَ فَأَخَذْنَـهُ أَخْذاً وَبِيلً
But Fir`awn disobeyed the Messenger; so We seized him with a severe punishment. (73:16)
Allah also said,
فَكَذَّبَ وَعَصَى
ثُمَّ أَدْبَرَ يَسْعَى
فَحَشَرَ فَنَادَى
فَقَالَ أَنَاْ رَبُّكُمُ الاٌّعْلَى
فَأَخَذَهُ اللَّهُ نَكَالَ الاٌّخِرَةِ وَالاٍّوْلَى
إِنَّ فِى ذَلِكَ لَعِبْرَةً لِّمَن يَخْشَى
But Fir`awn belied and disobeyed. Then he turned his back, striving (against Allah). Then he gathered (his people) and cried aloud, Saying:”I am your lord, most high.”
So Allah, seized him with exemplary punishment for his last and first transgression. Verily, in this is an instructive admonition for whosoever fears Allah. (79:21-26)
Allah also said,
يَقْدُمُ قَوْمَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَأَوْرَدَهُمُ النَّارَ
وَبِيْسَ الْوِرْدُ الْمَوْرُودُ
He will go ahead of his people on the Day of Resurrection, and will lead them into the Fire, and evil indeed is the place to which they are led.
This will be the condition of those who were followed. They will have a great share of the punishment on the Day of Resurrection.
This is as Allah says,
لِكُلٍّ ضِعْفٌ وَلَـكِن لاَّ تَعْلَمُونَ
For each one there is double (torment), but you know not. (7:38)
Allah also says that the disbelievers will say while they are in the Hellfire,
رَبَّنَأ إِنَّأ أَطَعْنَا سَادَتَنَا وَكُبَرَاءَنَا فَأَضَلُّونَا السَّبِيلْ
رَبَّنَأ ءَاتِهِمْ ضِعْفَيْنِ مِنَ الْعَذَابِ
“Our Lord! Verily, we obeyed our chiefs and our great ones, and they misled us from the (right) way. Our Lord! Give them double torment.” (33:67-68)
Concerning the statement.
وَأُتْبِعُواْ فِي هَـذِهِ لَعْنَةً وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ
They were pursued by a curse in this (deceiving life of this world) and (so they will be pursued by a curse) on the Day of Resurrection.
meaning, `We have made them to be followed by something more than the punishment of the Fire and that is their being cursed in this life.’
وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ
بِيْسَ الرِّفْدُ الْمَرْفُودُ
and on the Day of Resurrection, evil is the gift granted.
Mujahid said,
“Another curse will be added to them on the Day of Resurrection, so these are two curses.”
Ali bin Abi Talhah said that Ibn Abbas said,
بِيْسَ الرِّفْدُ الْمَرْفُودُ
(evil indeed is the gift granted).
“The curse of this life and the Hereafter.”
Ad-Dahhak and Qatadah both said the same thing.
This is similar to Allah’s statement,
وَجَعَلْنَـهُمْ أَيِمَّةً يَدْعُونَ إِلَى النَّارِ وَيَوْمَ الْقِيـمَةِ لَا يُنصَرُونَ
وَأَتْبَعْنَـهُم فِى هَذِهِ الدُّنْيَا لَعْنَةً وَيَوْمَ القِيَـمَةِ هُمْ مِّنَ الْمَقْبُوحِينَ
And We made them leaders inviting to the Fire:and on the Day of Resurrection, they will not be helped. And We made a curse to follow them in this world, and on the Day of Resurrection, they will be among the despised. (28:41-42)
Allah also says,
النَّارُ يُعْرَضُونَ عَلَيْهَا غُدُوّاً وَعَشِيّاً وَيَوْمَ تَقُومُ السَّاعَةُ أَدْخِلُواْ ءَالَ فِرْعَوْنَ أَشَدَّ الْعَذَابِ
The Fire, they are exposed to it, morning and afternoon. And on the Day when the Hour will be established (it will be said to the angels):”Cause Fir`awn’s people to enter the severest torment!” (40:46).