(Book# 721) [ ذَلِكَ مِنْ أَنبَاء الْقُرَى এটা ছিল সেই জনপদসমূহের কতিপয় অবস্থা, That is some of the news of the towns,] www.motaher21.net

أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ

(Book# 721)
[ ذَلِكَ مِنْ أَنبَاء الْقُرَى
এটা ছিল সেই জনপদসমূহের কতিপয় অবস্থা,
That is some of the news of the towns,]
www.motaher21.net
ذٰلِکَ مِنۡ اَنۡۢبَآءِ الۡقُرٰی نَقُصُّہٗ عَلَیۡکَ مِنۡہَا قَآئِمٌ وَّ حَصِیۡدٌ ﴿۱۰۰﴾
এটা ছিল সেই জনপদসমূহের কতিপয় অবস্থা যা আমি তোমার নিকট বর্ণনা করছি, ওগুলির মধ্যে কোন কোন জনপদ তো বিদ্যমান রয়েছে এবং কোন কোনটি নির্মূল হয়ে গেছে।
That is from the news of the cities, which We relate to you; of them, some are [still] standing and some are [as] a harvest [mowed down].
وَ مَا ظَلَمۡنٰہُمۡ وَ لٰکِنۡ ظَلَمُوۡۤا اَنۡفُسَہُمۡ فَمَاۤ اَغۡنَتۡ عَنۡہُمۡ اٰلِہَتُہُمُ الَّتِیۡ یَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ مِنۡ شَیۡءٍ لَّمَّا جَآءَ اَمۡرُ رَبِّکَ ؕ وَ مَا زَادُوۡہُمۡ غَیۡرَ تَتۡبِیۡبٍ ﴿۱۰۱﴾
আর আমরা তাদের প্রতি যুলুম করিনি কিন্তু তারাই নিজেদের প্রতি যুলুম করেছিল। অতঃপর যখন আপনার রবের নির্দেশ আসল, তখন আল্লাহ্‌ ছাড়া তাঁরা যে ইলাহসমূহের ইবাদত করত তারা তাদের কোন কাজে আসল না। আর তারা ধবস ছাড়া তাদের অন্য কিছুই বৃদ্ধি করল না।
And We did not wrong them, but they wronged themselves. And they were not availed at all by their gods which they invoked other than Allah when there came the command of your Lord. And they did not increase them in other than ruin.
وَ کَذٰلِکَ اَخۡذُ رَبِّکَ اِذَاۤ اَخَذَ الۡقُرٰی وَ ہِیَ ظَالِمَۃٌ ؕ اِنَّ اَخۡذَہٗۤ اَلِیۡمٌ شَدِیۡدٌ ﴿۱۰۲﴾
আর এরূপই তোমার প্রতিপালকের পাকড়াও; যখন তিনি কোন অত্যাচারী জনপদের অধিবাসীদেরকে পাকড়াও করেন। নিঃসন্দেহে তাঁর পাকড়াও অত্যন্ত যাতনাদায়ক, কঠিন।
And thus is the seizure of your Lord when He seizes the cities while they are committing wrong. Indeed, His seizure is painful and severe.
সুরা: হুদ।
সুরা:১১
১০০-১০২ নং আয়াত:-
ذَلِكَ مِنْ أَنبَاء الْقُرَى
এটা ছিল সেই জনপদসমূহের কতিপয় অবস্থা,
That is some of the news of the towns,

১০০-১০২ নং আয়াতের তাফসীর :-
তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-

قَآئِمٌ বিদ্যমান দ্বারা ঐ সকল শহর বা জনপদকে বুঝানো হয়েছে, যার ধ্বংসাবশেষ এখনও ছাদসহ বিদ্যমান রয়েছে। আর حَصِيْدٌ এর অর্থে সে শহর বা জনপদকে বুঝানো হয়েছে যা কাটা ফসলের মত নিশ্চি‎হ্ন হয়ে গেছে। অর্থাৎ পূর্ববর্তী যুগের যে কতিপয় শহর ও জনপদের কাহিনী আমি বর্ণনা করছি, তার মধ্যে কোন কোন শহরের ধ্বংসাবশেষ এখনও বর্তমান আছে, যা শিক্ষামূলক স্মৃতি। আর কোন কোন জনপদকে এমনভাবে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে যা একেবারে দুনিয়া থেকে মিটে গেছে এবং শুধু ইতিহাসের পাতায় তা বাকি রয়ে গেছে। আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে ধ্বংস করার মাধ্যমে তাদের ওপর কোনই অত্যাচার করেননি। বরং তারা তাদের কৃতকর্মের ফলাফলস্বরূপ এ শাস্তি পেয়েছে। আর আল্লাহ তা‘আলা কারো প্রতি জুলুমকারীও নন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

(وَمَا اللّٰهُ يُرِيْدُ ظُلْمًا لِّلْعِبَادِ)

“আল্লাহ তো বান্দাদের প্রতি কোন জুলুম করতে চান না।” (সূরা মু’মিন ৪০:৩১) বরং এই সমস্ত মানুষেরা তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি জুলুম করেছে।

(وَمَنْ يَّتَعَدَّ حُدُوْدَ اللّٰهِ فَأُولٰ۬ئِكَ هُمُ الظَّالِمُوْنَ)

“আর যারা আল্লাহর সীমা অতিক্রম করবে তারাই হবে অত্যাচারী।” (সূরা বাক্বারা ২:২২৯)

সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা কারো প্রতি জুলুম করেন না বরং মানুষেরা নিজেই আল্লাহ তা‘আলার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিজেদের প্রতি জুলুম করে। অতএব যারা আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্যের ইবাদত করে তাদের সে সকল মা‘বূদ কোন উপকার করতে পারেনি এবং কিয়ামতের দিনও পারবে না। অথচ তাদের বিশ্বাস ছিল যে, তাদের মা‘বূদ ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে, কল্যাণ বয়ে আনবে।

(وَكَذٰلِكَ أَخْذُ رَبِّكَ)

অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা যেমন পূর্ববর্তী জনপদসমূহকে অপরাধের কারণে ধ্বংস করে দিয়েছেন তেমনি ভবিষ্যতেও যত অত্যাচারি জালিম জাতির আগমন ঘটবে তাদেরকে শাস্তি দিতে সক্ষম। হাদীসে এসেছে: আল্লাহ তা‘আলা অবশ্যই জালিমদেরকে অবকাশ দেন। কিন্তু যখন তাদেরকে পাকড়াও করেন, তখন কোন সুযোগ থাকে না। অতঃপর তিনি এ আয়াত পাঠ করেন। (সহীহ বুখারী হা: ৪৬৮৬, সহীহ মুসলিম হা: ২৫৮৩) সুতরাং আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত, আমাদের দ্বারা যেন আল্লাহ তা‘আলার অবাধ্যতামূলক কোন কাজ না হয়। কারণ সেই আল্লাহ তা‘আলা এখনো আছেন এবং থাকবেন যিনি পূর্বের বিভিন্ন অবাধ্য জাতিকে পাপের কারণে ধ্বংস করে দিয়েছেন।

আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

১. আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দার প্রতি জুলুম করেন না।
২. আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত দুনিয়াতে যাদের উপাসনা করা হয় তারা আখিরাতে ক্ষতির কারণ হবে।
৩. মু’মিনদের সতর্ক হওয়া উচিত, তাদের দ্বারা যেন আল্লাহ তা‘আলার অবাধ্যতামূলক কোন কাজ না হয়।

তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
১০০-১০১ নং আয়াতের তাফসীর

আল্লাহ তাআ’লা নবীদের ও তাদের উম্মত বর্গের ঘটনাবলী এবং কিভাবে তিনি কাফিরদেরকে ধ্বংস করেন এবং মুমিনমু’মিনদেরকে মুক্তি দেন, এসব বর্ণনা করার পর তিনি এখানে বলেনঃ এগুলি হচ্ছে ঐ গ্রামবাসীদের ঘটনা যা আমি তোমার (রাসূলুল্লাহর সঃ) সামনে বর্ণনা করছি। ওগুলির মধ্যে কতকগুলি গ্রাম এখনো আবাদ রয়েছে এবং কতকগুলি একেবারে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

আল্লাহ পাক বলেনঃ আমি তাদের প্রতি অত্যাচার করে তাদেরকে ধ্বংস করি নাই। বরং তারা নিজেরাই কুফরী ও মিথ্যা প্রতিপন্ন করার কারণে নিজেদেরকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। আর তারা যে সব বাতিল মা’বুদের উপর নির্ভর করেছিল বিপদের সময় তারা তাদের কোনই কাজে আসে নাই। বরং তাদের পূজা পার্বনই তাদের ধ্বংস ও ক্ষতির কারণ হয়। উভয় জগতের শাস্তি তাদের উপর পতিত হয়।
# আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ যেভাবে আমি ঐ অত্যাচারী কওমকে ধ্বংস করেছি, তেমনিভাবে যারাই এদের মত আমল করবে তাদেরকেও এইরূপ প্রতিফলই পেতে হবে। আল্লাহ তাআ’লার পাকড়াও খুবই যন্ত্রণাদায়ক ও কঠিন হয়ে থাকে। সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে হযরত আবু মূসা আশআ’রী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ তাআ’লা যালিমদেরকে অবকাশ ও ঢিল দিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত কোন অবকাশ মিলবে না। অতঃপর তিনি উপরোক্ত আয়াতটি পাঠ করেন।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান বলেছেন:-

# قائم (বিদ্যমান) দ্বারা ঐ সকল শহর বা জনপদকে বুঝানো হয়েছে, যার ধংসাবশেষ এখনও ছাদসহ বিদ্যমান রয়েছে। আর حصيد ,محصود এর অর্থে; সেই শহর বা জনপদকে বুঝানো হয়েছে, যা কাটা ফসলের মত নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। অর্থাৎ পূর্ববর্তী যুগের যে কতিপয় শহর ও জনপদের কাহিনী আমি বর্ণনা করছি, তার মধ্যে কোন কোন শহরের ধংসাবশেষ এখনও বর্তমান আছে, যা শিক্ষামূলক স্মৃতি। আর কোন কোন জনপদকে এমনভাবে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে, যা একেবারে দুনিয়া থেকে মিটে গেছে এবং শুধু ইতিহাসের পাতায় তা বাকি রয়ে গেছে।

# [১] অর্থাৎ, তাদেরকে শাস্তি দিয়ে ও ধ্বংস করে।

[২] (বরং তারাই) কুফরী ও অবাধ্যতা করে (নিজেদের উপর অত্যাচার করেছে।)

[৩] অথচ তাদের বিশ্বাস এই ছিল যে, এরা তাদেরকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে এবং মঙ্গল এনে দেবে। কিন্তু যখন আল্লাহর আযাব উপস্থিত হল, তখন স্পষ্ট হয়ে গেল যে, তাদের উক্ত বিশ্বাস ভ্রান্ত ছিল এবং এ কথা প্রমাণ হয়ে গেল যে, আল্লাহ ব্যতীত কেউ কারোর মঙ্গল বা অমঙ্গল করার ক্ষমতা রাখে না।

# আল্লাহ তাআলা যেমন পূর্ববর্তী জনপদসমূহকে ধ্বংস করেছেন, অনুরূপ ভবিষ্যতেও তিনি অত্যাচারীদেরকে পাকড়াও করার ক্ষমতা রাখেন। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সাঃ) বলেছেন, “আল্লাহ তাআলা অবশ্যই অত্যাচারীদেরকে ঢিল দেন। কিন্তু যখন তাদেরকে পাকড়াও করেন, তখন কোন সুযোগ দেন না।” অতঃপর তিনি উক্ত আয়াত পাঠ করেছেন। (বুখারী, মুসলিম)

তাফসীরে আবুবকর জাকারিয়া বলেছেন:-
# রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ অত্যাচারীকে পৃথিবীতে সুযোগ ও অবকাশ দিয়ে থাকেন। আবার যখন তাকে ধরেন তখন আর ছাড়েন না। বর্ণনাকার সাহাবী আবু মূসা আশ’আরী বলেনঃ তারপর তিনি এ আয়াত পাঠ করলেনঃ “এরূপই আপনার প্রতিপালকের শাস্তি! তিনি শাস্তি দান করেন জনপদসমূহকে যখন ওরা যুলুম করে থাকে। নিশ্চয়ই তাঁর শাস্তি মর্মম্ভদ, কঠিন।” [বুখারীঃ ৪৬৮৬, মুসলিমঃ ২৫৮৩]

English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura:- HUD.
Sura: 11
Verses :- 100-102
ذَلِكَ مِنْ أَنبَاء الْقُرَى
That is some of the news of the towns,
The Lesson taken from the Destroyed Towns

When Allah mentioned the story of the Prophets and what happened with them and their nations — how He destroyed the disbelievers and saved the believers — He goes on to say,

ذَلِكَ مِنْ أَنبَاء الْقُرَى

That is some of the news of the (population of) towns,

meaning, news of them

نَقُصُّهُ عَلَيْكَ مِنْهَا قَأيِمٌ

which We relate unto you; of them, some are (still) standing,

This means still remaining.

وَحَصِيدٌ

and some have been (already) reaped.

This means totally destroyed.
وَمَا ظَلَمْنَاهُمْ

We wronged them not,

This means, “When We destroyed them.”

وَلَـكِن ظَلَمُواْ أَنفُسَهُمْ

but they wronged themselves.

their rejecting their Messengers and disbelieving in them.

فَمَا أَغْنَتْ عَنْهُمْ الِهَتُهُمُ

So their gods, profited them (not)…

This is referring to their idols that they used to worship and invoke.

الَّتِي يَدْعُونَ
..

whom they call upon,

مِن دُونِ اللّهِ مِن شَيْءٍ

other than Allah naught,

the idols did not benefit them, nor did they save them when Allah’s command came for their destruction.

لِّمَّا جَاء أَمْرُ رَبِّكَ

when there came the command of your Lord,

وَمَا زَادُوهُمْ غَيْرَ تَتْبِيبٍ

nor did they add aught to them but destruction.

Mujahid, Qatadah and others said,

“This means loss. Because the reason for their destruction and their ruin was that they followed those false gods. Therefore, they were losers in this life and the Hereafter.
Allah tells;

وَكَذَلِكَ أَخْذُ رَبِّكَ إِذَا أَخَذَ الْقُرَى وَهِيَ ظَالِمَةٌ

Such is the punishment of your Lord when He seizes the (population of) towns while they are doing wrong.

It is as though Allah is saying, “Just as We have destroyed these wicked generations who rejected their Messengers, We will do the same to any who are like them.”

إِنَّ أَخْذَهُ أَلِيمٌ شَدِيدٌ

Verily, His punishment is painful (and) severe.

In the Two Sahihs, it is recorded that Abu Musa said that the Messenger of Allah said,

إِنَّ اللهَ لَيُمْلِي لِلظَّالِمِ حَتَّى إِذَا أَخَذَهُ لَمْ يُفْلِتْه

Verily, Allah gives respite to a wrongdoer until He seizes him and he cannot escape.

Then the Messenger of Allah recited,

وَكَذَلِكَ أَخْذُ رَبِّكَ إِذَا أَخَذَ الْقُرَى وَهِيَ ظَالِمَةٌ

Such is the punishment of your Lord when He seizes the towns while they are doing wrong.

Leave a Reply