أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book# 732)
[ تِلْكَ ايَاتُ الْكِتَابِ
এগুলি কুরআনের আয়াত;
These are the verses of the Book,]
www.motaher21.net
الٓـمّٓرٰ ۟ تِلۡکَ اٰیٰتُ الۡکِتٰبِ ؕ وَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡکَ مِنۡ رَّبِّکَ الۡحَقُّ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۱﴾
আলিফ লা-ম মী-ম রা। এগুলি কুরআনের আয়াত; যা তোমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে তোমার প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে তাই সত্য। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এতে বিশ্বাস করে না।
Alif, Lam, Meem, Ra. These are the verses of the Book; and what has been revealed to you from your Lord is the truth, but most of the people do not believe.
সুরা: আর-রাদ
সুরা:১৩
১ নং আয়াত:-
تِلْكَ ايَاتُ الْكِتَابِ
এগুলি কুরআনের আয়াত;
These are the verses of the Book,
১ নং আয়াত এর তাপসীর:-
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
الٓمّٓرٰ١۫ تِلْكَ اٰیٰتُ الْكِتٰبِ١ؕ وَ الَّذِیْۤ اُنْزِلَ اِلَیْكَ مِنْ رَّبِّكَ الْحَقُّ وَ لٰكِنَّ اَكْثَرَ النَّاسِ لَا یُؤْمِنُوْنَ
আলিম লাম মীম র। এগুলো আল্লাহর কিতাবের আয়াত। আর তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার প্রতি যা কিছু নাযিল হয়েছে তা প্রকৃত সত্য কিন্তু (তোমার কওমের) অধিকাংশ লোক তা বিশ্বাস করে না।
(১৩-রাদ) : নামকরণ:
তের নম্বর আয়াতের وَيُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهِ وَالْمَلَائِكَةُ مِنْ خِيفَتِهِ বাক্যাংশের “আর্ রা’দ” শব্দটিকে এ সূরার নাম হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এ নামকরণের মানে এ নয় যে, এ সূরায় রা’দ অর্থাৎ মেঘ গর্জনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বরং এটা শুধু আলামত হিসেবে একথা প্রকাশ করে যে, এ সূরায় “রাদ” উল্লেখিত হয়েছে বা “রা’দ”-এর কথা বলা হয়েছে।
(১৩-রাদ) : নাযিল হওয়ার সময়-কাল :
৪ ও ৬ রুকূ’র বিষয়বস্তু সাক্ষ্য দিচ্ছে, এ সূরাটিও সূরা ইউনূস, হূদ ও আ’রাফের সমসময়ে নাযিল হয়। অর্থাৎ মক্কায় অবস্থানের শেষ যুগে। বর্ণনাভংগী থেকে পরিষ্কার প্রতীয়মান হচ্ছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাওয়াত শুরু করার পর দীর্ঘকাল অতিবাহিত হয়ে গেছে। বিরোধী পক্ষ তাঁকে লাঞ্ছিত করার এবং তাঁর মিশনকে ব্যর্থ করে দেবার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে থাকে। মুমিনরা বারবার এ আকাংখা পোষণ করতে থাকে, হায়! যদি কোন প্রকার অলৌকিক কান্ড-কারখানার মাধ্যমে এ লোকগুলোকে সত্য সরল পথে আনা যায়। অন্যদিকে আল্লাহ মুসলমানদেরকে এ মর্মে বুঝাচ্ছেন যে, ঈমানের পথ দেখাবার এ পদ্ধতি আমার এখানে প্রচলিত নেই আর যদি ইসলামের শত্রুদের রশি ঢিলে করে দেয়া হয়ে থাকে তাহলে এটা এমন কোন ব্যাপার নয় যার ফলে তোমরা ভয় পেয়ে যাবে। তারপর ৩১ আয়াত থেকে জানা যায়, বার বার কাফেরদের হঠকারিতার এমন প্রকাশ ঘটেছে যারপর ন্যায়সংগতভাবে একথা বলা যায় যে, যদি কবর থেকে মৃত ব্যক্তিরাও উঠে আসেন তাহলেও এরা মেনে নেবে না বরং এ ঘটনার কোন না কোন ব্যাখ্যা করে নেবে। এসব কথা থেকে অনুমান করা যায় যে, এ সূরাটি মক্কার শেষ যুগে নাযিল হয়ে থাকবে।
(১৩-রাদ) : কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু :
সূরার মূল বক্তব্য প্রথম আয়াতেই বলে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা কিছু পেশ করছেন তাই সত্য কিন্তু এ লোকেরা তা মেনে নিচ্ছে না, এটা এদের ভুল। এ বক্তব্যই সমগ্র ভাষণটির কেন্দ্রীয় বিষয়। এ প্রসংগে বার বার বিভিন্ন পদ্ধতিতে তাওহীদ, রিসালাত ও পরকালের সত্যতা প্রমাণ করা হয়েছে। এগুলোর প্রতি ঈমান আনার নৈতিক ও আধ্যাত্মিক ফায়দা বুঝানো হয়েছে। এগুলো অস্বীকার করার ক্ষতি জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এ সংগে একথা মনের মধ্যে গেঁথে দেয়া হয়েছে যে, কুফরী আসলে পুরোপুরি একটি নির্বুদ্ধিতা ও মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই নয়। তারপর এ সমগ্র বর্ণনাটির উদ্দেশ্য শুধুমাত্র বুদ্ধি-বিবেককে দীক্ষিত করা নয় বরং মনকে ঈমানের দিকে আকৃষ্ট করাও এর অন্যতম উদ্দেশ্য। তাই নিছক বুদ্ধিবৃত্তিক দলীল-প্রমাণ পেশ করেই শেষ করে দেয়া হয়নি, এ সংগে এক একটি দলীল এ এক একটি প্রমাণ পেশ করার পর থেমে গিয়ে নানা প্রকার ভীতি প্রদর্শন, উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি এবং স্নেহপূর্ণ ও সহানুভূতিশীল উপদেশ প্রদানের মাধ্যমে অজ্ঞ লোকদের নিজেদের বিভ্রান্তিকর হঠকারিতা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
। ভাষণের মাঝখানে বিভিন্ন জায়গায় বিরোধীদের আপত্তিসমূহের উল্লেখ না করেই তার জবাব দেয়া হয়েছে। মুহাম্মাদ দাওয়াতের ব্যাপারে লোকদের মনে যেসব সন্দেহ-সংশয় সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিল অথবা বিরোধীদের পক্ষ থেকে সৃষ্টি করা হচ্ছিল সেগুলো দূর করা হয়েছে। এ সংগে মুমিনরা কয়েক বছরের দীর্ঘ ও কঠিন সংগ্রামের কারণে ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত হয়ে পড়ছিল এবং অস্থির চিত্তে অদৃশ্য সাহায্যের প্রতীক্ষা করছিল, তাই তাদেরকে সান্ত্বনা দেয়া হয়েছে।
# এটাই এ সূরার ভূমিকা। এখানে মাত্র কয়েকটি শব্দে সমগ্র বক্তব্যের উদ্দেশ্য বর্ণনা করা হয়েছে। বক্তব্যের লক্ষ্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাঁকে সম্বোধন করে মহান আল্লাহ বলছেনঃ হে নবী! তোমার সম্প্রদায়ের অধিকাংশ লোক এ শিক্ষা গ্রহণ করতে অস্বীকার করছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমি এটা তোমার প্রতি নাযিল করেছি এবং লোকেরা মানুক বা না মানুক এটাই সত্য। এ সংক্ষিপ্ত ভূমিকার পর মূল ভাষণ শুরু হয়ে গেছে। তাতে অস্বীকারকারীদেরকে এ শিক্ষা সত্য কেন এবং এর ব্যাপারে তাদের নীতি কতটুকু ভুল-একথা বুঝাবার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ভাষণটি বুঝতে হলে শুরুতেই এ বিষয়টি সামনে থাকা প্রয়োজন যে, নবী ﷺ সে সময় যে জিনিসটির দিকে লোকদেরকে দাওয়াত দিচ্ছিলেন তা তিনটি মৌলিক বিষয় সমন্বিত ছিল।
এক, প্রভুত্বের কর্তৃত্ব সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্য নির্ধারিত। এ কারণে তিনি ছাড়া আর কেউ ইবাদাত ও বন্দেগী লাভের যোগ্য নয়।
দুই, এ জীবনের পরে আর একটি জীবন আছে। সেখানে তোমাদের নিজেদের যাবতীয় কার্যক্রমের জবাবদিহি করতে হবে।
তিন, আমি আল্লাহর রসূল এবং আমি যা কিছু পেশ করছি নিজের পক্ষ থেকে নয় বরং আল্লাহর পক্ষ থেকে পেশ করছি।
এ তিনটি মৌলিক কথা মানতে লোকেরা অস্বীকার করছিল। এ কথাগুলোকেই এ ভাষণের মধ্যে বার বার বিভিন্ন পদ্ধতিতে বুঝাবার চেষ্টা করা হয়েছে এবং এগুলো সম্পর্কে লোকদের সন্দেহ ও আপত্তির জবাব দেয়া হয়েছে।
তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-
নামকরণ:
الرَّعْدِ অর্থ বজ্রধ্বনি। বজ্রধ্বনিসহ পৃথিবীর সব কিছু আল্লাহ তা‘আলার তাসবীহ পাঠ করে। এ সম্পর্কে অত্র সূরার ১৩ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে, সেখান থেকেই উক্ত নামে সূরার নামকরণ করা হয়েছে।
সূরার শুরুতে আল্লাহ তা‘আলার মহত্ব, বড়ত্ব ও রুবুবিয়্যাহ, পুনরুত্থানের ব্যাপারে কাফেরদের আশ্চর্যবোধ, গায়েবসহ সকল সূক্ষ্ম খবরাদি আল্লাহ তা‘আলা রাখেন এবং মানুষকে সংরক্ষণ ও তাদের আমল হিফাযতের জন্য নিযুক্ত ফেরেশতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সত্য-মিথ্যার উপমা, যারা আল্লাহ তা‘আলার আহ্বানে সাড়া দেয় তাদের উত্তম প্রতিদান, যারা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে তাদের খারাপ পরিণতি, মানুষকে পরিমিত রিযিক দেয়ার হিকমত এবং যারা আল্লাহ তা‘আলার সাথে অন্যকে অংশীস্থাপন করে তাদের পরিণতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তারপর জান্নাতের উপমা, নাবীদের স্ত্রী ও বংশধর দেয়া এবং আল্লাহ তা‘আলার ক্ষমতা ও কাফেরদের নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবুওয়াতকে অস্বীকার করা সম্পর্কে আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে।
১ নং আয়াতের তাফসীর:
ال۬مّ۬رٰ -(আলিফ-লাম-মীম-রা) এ জাতীয় “হুরূফুল মুক্বাত্বআত” বা বিচ্ছিন্ন অক্ষরসমূহ সম্পর্কে সূরা বাকারার শুরুতে আলোচনা করা হয়েছে। এর আসল উদ্দেশ্য একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই জানেন।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলছেন, এগুলো এমন কিতাবের আয়াত যা দীনের মূল ও শাখা-প্রশাখাসহ যা কিছু মানুষের প্রয়োজন তার দিক-নির্দেশনা প্রদান করে। কেননা আল্লাহ তা‘আলা এ কিতাবে যা সংবাদ দিয়েছেন তা সত্য, যে সকল নির্দেশ ও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা ন্যায়। সুতরাং যে ব্যক্তি কুরআনের প্রতি ঈমান এনে তাঁর নির্দেশানুযায়ী আমল করবে সে সত্যানুরাগী ও সঠিক পথের অনুসারী। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এ কুরআনের প্রতি ঈমান আনে না হয়তো অজ্ঞতার কারণে অথবা তার প্রতি বিমুখ হয়ে। সুতরাং নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তা সত্য, কোন সংশয় নেই। এখানে মূলত কাফির, মুশরিকদের সংশয় দূরীভূত করা হয়েছে যারা মনে করে এ কুরআন আল্লাহ তা‘আলার কিতাব বা ঐশীগ্রন্থ নয়। যেমন
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(نَزَّلَ عَلَيْكَ الْكِتٰبَ بِالْحَقِّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ وَأَنْزَلَ التَّوْرٰةَ وَالْأِنْجِيْلَ)
“তিনি সত্যসহকারে আপনার উপর কিতাব নাযিল করেছেন যা পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়নকারী। তিনি আরো নাযিল করেছেন তাওরাত ও ইঞ্জিল।” (সূরা আলি ইমরান ৩:৩) সুতরাং কুরআন আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে অবতারিত কিতাব যাতে কোন রকম সন্দেহের অবকাশ নেই।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কুরআন আল্লাহ তা‘আলার কালাম, এতে কোন সংশয় নেই।
২. কুরআনের সকল নির্দেশ ও নিষেধ ন্যায়সঙ্গত এবং সকল সংবাদ সত্য।
৩. অধিকাংশ লোক ঈমান আনবে না এটাই আল্লাহ তা‘আলার ভবিষ্যত বাণী।
তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
সূরার শুরুতে যে (আরবি) এসে থাকে সেগুলির পূর্ণ ব্যাখ্যা সুরায়ে বাকারার তাফসীরের শুরুতে লিখিত হয়েছে এবং সেখানে এ কথাও বলা হয়েছে যে, যে সূরাগুলির প্রথমে এই অক্ষরগুলি এসেছে সেখানে সাধারণভাবে এই বর্ণনাই হয়েছে যে, কুরআন আল্লাহর কালাম। এতে সন্দেহ ও সংশয়ের লেশ মাত্র নেই। এগুলি হচ্ছে কিতাব অর্থাৎ কুরআনের আয়াতসমূহ।
এই নীতি অনুসারে এখানেও এই অক্ষরগুলির পরে আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ এগুলি হলো কিতাব অর্থাৎ কুরআনের আয়াতসমূহ। কেউ কেউ বলেছেন যে, কিতাব দ্বারা তাওরাত ও ইঞ্জিলকে বুঝানো হয়েছে। কিন্তু এটা সঠিক কথা নয়। এরপর এর উপরই সংযোগ স্থাপন করে এই কিতাবের অন্যান্য বিশেষণ বর্ণনা করা হয়েছে যে, এটা সম্পূর্ণরূপে সত্য এবং আল্লাহ তাআ’লার পক্ষ হতে হযরত মুহাম্মদের (সঃ) উপর এটা অবতীর্ণ করা হয়েছে।
(আরবি) হচ্ছে (আরবি) বা বিধেয়। এর (আরবি) বা উদ্দেশ্য পূর্বে বর্ণিত হয়েছে অর্থাৎ (আরবি) এই অংশটুকু। কিন্তু ইমাম ইবনু জারীরের (রঃ) পছন্দনীয় উক্তি এটাই যে, (আরবি) অক্ষরটি (আরবি) (অতিরিক্ত) অথবা (আরবি) (সংযোগ স্থাপনকারী) এবং এখানে (আরবি) এর সংযোগ (আরবি) এর উপর হয়েছে, যেমন আমরা ইতিপূর্বে বর্ণনা করেছি। ইমাম ইবনু জারীর (রঃ) তাঁর উক্তির সমর্থনে কোন এক কবির কবিতাংশকে প্রমাণ হিসেবে আনয়ন করেছেন। কবিতাংশটি নিম্নরূপঃ (আরবি)
অর্থাৎ কওমের বাদশাহ, ইবনুল হাম্মামও জনতার মধ্যে কুতাইবার সিংহের নিকট। এখানে কওমের বাদশাহ, ইবনুল হাম্মাম এবং কুতাইবার সিংহ একই ব্যক্তি। সুতরাং এখানে (আরবি) টি অতিরিক্ত বা (আরবি) এর উপর (আরবি) এর (আরবি) বা সংযোগ হয়েছে।
এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ এটা সত্য হওয়া সত্ত্বেও অধিকাংশ লোক এর উপর বিশ্বাস স্থাপন করে না। অর্থাৎ এর সত্যতা স্পষ্ট ও সমুজ্জল। কিন্তু মানুষের অবাধ্যতা, হঠকারিতা এবং একগুঁয়েমী তাদেরকে ঈমানের দিকে মুখ করতে দেয় না।
তাফসীরে আবুবকর জাকারিয়া বলেছেন:-
৪৩ আয়াত, মাদানী
[১] আয়াতের প্রথমে “এগুলো কিতাবের আয়াত আর যা আপনার রব হতে আপনার প্রতি নাযিল হয়েছে তা সত্য” বলে কি বুঝানো হয়েছে তাতে দু’টি মত রয়েছে। এক, এখানে “এগুলো কিতাবের আয়াত” বলে কুরআনের পূর্বে নাযিলকৃত কিতাবসমূহকে বুঝানো হয়েছে, [তাবারী; বাগভী] আর তখন “আর যা আপনার রব হতে আপনার প্রতি নাযিল হয়েছে” বলে কুরআনকে উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে। [তাবারী] দুই, এখানে “এগুলো কিতাবের আয়াত” বলে কুরআনুল কারীম আল্লাহ্র কালাম এবং “আর যা আপনার রব এর পক্ষ হতে আপনার প্রতি নাযিল হয়েছে” বলে কুরআনই বুঝানো হয়েছে। [ইবন কাসীর] সে মতে আয়াতের অর্থ এই যে, এই কুরআনে যেসব বিধি-বিধান আপনার প্রতি নাযিল হয়, সেগুলো সব সত্য এবং সন্দেহের অবকাশমুক্ত। সেগুলোকে আঁকড়ে ধরুন। [বাগভী]
[২] যেমন অন্য আয়াতে বলা হয়েছে যে, “আর আপনি যতই চান না কেন, বেশীর ভাগ লোকই ঈমান গ্রহণকারী নয়” [সূরা ইউসুফ ১০৩]
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura:- Ar-Ra’d
Sura: 13
Verses :- 1
تِلْكَ ايَاتُ الْكِتَابِ
These are the verses of the Book,
The Qur’an is Allah’s Kalam (Speech)
Allah said:
المر
Alif Lam-Mim Ra
We talked before, in the beginning of Surah Al-Baqarah about the meaning of the letters that appear in the beginnings of some Surahs in the Qur’an.
We stated that every Surah that starts with separate letters, affirms that the Qur’an is miraculous and is an evidence that it is a revelation from Allah, and that there is no doubt or denying in this fact. This is why Allah said next,
تِلْكَ ايَاتُ الْكِتَابِ
These are the verses of the Book,
the Qur’an, which Allah described afterwards,
وَالَّذِيَ أُنزِلَ إِلَيْكَ
and that which has been revealed unto you, (O Muhammad),
مِن رَّبِّكَ الْحَقُّ
from your Lord is the truth,
Allah said next,
وَلَـكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يُوْمِنُونَ
but most men believe not.
just as He said in another Ayah,
وَمَأ أَكْثَرُ النَّاسِ وَلَوْ حَرَصْتَ بِمُوْمِنِينَ
And most of mankind will not believe even if you desire it eagerly. (12:103)
Allah declares that even after this clear, plain and unequivocal explanation (the Qur’an), most men will still not believe, due to their rebellion, stubbornness and hypocrisy.