أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book# 804)
সুরা: আন- নহল
সুরা:১৬
৪৮-৫০ নং আয়াত:-
[ وَهُمْ دَاخِرُونَ
আল্লাহ্র প্রতি সিজদাবনত হয়!
While they are humble,]
www.motaher21.net
اَوَ لَمۡ یَرَوۡا اِلٰی مَا خَلَقَ اللّٰہُ مِنۡ شَیۡءٍ یَّتَفَیَّؤُا ظِلٰلُہٗ عَنِ الۡیَمِیۡنِ وَ الشَّمَآئِلِ سُجَّدًا لِّلّٰہِ وَ ہُمۡ دٰخِرُوۡنَ ﴿۴۸﴾
তারা কি লক্ষ্য করে না আল্লাহ্র সৃষ্ট বস্তুর প্রতি, যার ছায়া ডানে ও বামে ঢলে পড়ে একান্ত অনুগত হয়ে আল্লাহ্র প্রতি সিজদাবনত হয়!
Have they not considered what things Allah has created? Their shadows incline to the right and to the left, prostrating to Allah, while they are humble.
وَ لِلّٰہِ یَسۡجُدُ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ مِنۡ دَآبَّۃٍ وَّ الۡمَلٰٓئِکَۃُ وَ ہُمۡ لَا یَسۡتَکۡبِرُوۡنَ ﴿۴۹﴾
আর আল্লাহ্কেই সিজদা করে যা কিছু আছে আসমানসমূহে ও যমীনে, যত জীবজন্তু আছে সেসব এবং ফিরিশতাগণও, তারা অহংকার করে না।
And to Allah prostrates whatever is in the heavens and whatever is on the earth of creatures, and the angels [as well], and they are not arrogant.
یَخَافُوۡنَ رَبَّہُمۡ مِّنۡ فَوۡقِہِمۡ وَ یَفۡعَلُوۡنَ مَا یُؤۡمَرُوۡنَ ﴿٪ٛ۵۰﴾
তারা ভয় করে তাদের উপরস্থ তাদের রবকে এবং তাদেরকে যা আদেশ করা হয় তারা তা করে।
They fear their Lord above them, and they do what they are commanded.
সুরা: আন- নহল
সুরা:১৬
৪৮-৫০ নং আয়াত:-
[ وَهُمْ دَاخِرُونَ
আল্লাহ্র প্রতি সিজদাবনত হয়!
While they are humble,]
www.motaher21.net
৪৮-৫০ নং আয়াতের তাফসীর:
তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-
অত্র আয়াতগুলোতে আল্লাহ তা‘আলার বড়ত্ব ও মর্যাদার বর্ণনা এসেছে। যারা আল্লাহ তা‘আলাকে রব হিসেবে মানতে চায় না, তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করে না, তাঁর বিধি-বিধান মেনে চলে না এবং তাঁর সামনে সিজদাবনত হয় না তাদেরকে লক্ষ্য করে আল্লাহ তা‘আলা বলছেন: তারা কি আল্লাহ তা‘আলার সকল সৃষ্টির দিকে দৃষ্টিপাত করে দেখে না, কিভাবে তাদের ছায়াগুলো বিনয়ের সাথে ডানে বামে ঢলে আল্লাহ তা‘আলাকে সিজদা করে? পৃথিবীর প্রত্যেক বস্তু আল্লাহ তা‘আলার সামনে সিজদায় নত হয়। তা জড় পদার্থ হোক বা জীবজন্তু হোক এমনকি ফেরেশতারাও আল্লাহ তা‘আলার সামনে সিজদা করে, তারা আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করতে ও সিজদা করতে কুণ্ঠাবোধ করে না।
এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلِلّٰهِ يَسْجُدُ مَنْ فِي السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ طَوْعًا وَّكَرْهًا وَّظِلٰلُهُمْ بِالْغُدُوِّ وَالْاٰصَالِ)
“আল্লাহর প্রতি সিজ্দাবনত হয় আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছেয় এবং তাদের ছায়াগুলোও সকাল ও সন্ধ্যায়।” (সূরা রা‘দ ১৩:১৫)
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(لَنْ يَّسْتَنْكِفَ الْمَسِيْحُ أَنْ يَّكُوْنَ عَبْدًا لِّلهِ وَلَا الْمَلٰ۬ئِكَةُ الْمُقَرَّبُوْنَ ط وَمَنْ يَّسْتَنْكِفْ عَنْ عِبَادَتِه۪ وَيَسْتَكْبِرْ فَسَيَحْشُرُهُمْ إِلَيْهِ جَمِيْعًا)
“মসীহ আল্লাহর বান্দা হওয়াকে কখনও হেয় জ্ঞান করে না এবং ঘনিষ্ঠ ফেরেশতাগণও করে না। আর কেউ তাঁর ইবাদতকে হেয় জ্ঞান করলে এবং অহঙ্কার করলে তিনি অবশ্যই তাদের সকলকে তাঁর নিকট একত্র করবেন।” (সূরা নিসা ৪:১৭২)
আর তাঁরা সর্বশক্তিমান ও সর্ব ঊর্ধ্বে অধিষ্ঠিত আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করে। তাদেরকে যা আদেশ করা হয় তাই করে।
আল্লাহ তা‘আলা ফেরেশতাদের গুণাগুণ বর্ণনা করে বলেন:
(عَلَيْهَا مَلٰ۬ئِكَةٌ غِلَاظٌ شِدَادٌ لَّا يَعْصُوْنَ اللّٰهَ مَآ أَمَرَهُمْ وَيَفْعَلُوْنَ مَا يُؤْمَرُوْنَ)
“যাতে নিয়োজিত আছে নির্মম হৃদয়, কঠোর স্বভাবসম্পন্ন ফেরেশতাগণ, যারা অমান্য করে না আল্লাহ যা তাদেরকে আদেশ করেন তা এবং তাঁরা যা করতে আদিষ্ট হন তাই করেন।” (সূরা তাহরীম ৬৬:৬)
সুতরাং যে আল্লাহ তা‘আলা রব্বুল আলামীনকে সব কিছু মেনে চলে, তাঁকে সিজদা করে, তাঁর কাছে আত্মসমর্úণ করে সে আল্লাহ তা‘আলার সৃষ্ট মানুষেরও উচিত সকল ভ্রান্ত মা‘বূদদেরকে বাদ দিয়ে কেবল আল্লাহ তা‘আলারই ইবাদত করা, তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করা।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. পৃথিবীর সব কিছু আল্লাহ তা‘আলার সামনে সিজদাবনত হয়।
২. সৃষ্টির কেউ ইবাদত করতে কোন প্রকার অহঙ্কার করে না।
৩. আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সমস্ত সৃষ্টি জীবের ঊর্ধ্বে রয়েছেন। যেমনটি তাঁর জন্য উপযুক্ত ঠিক তেমনিভাবে।
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
# দেহ বিশিষ্ট সমস্ত জিনিসের ছায়া থেকে এ আলামতই জাহির হচ্ছে যে, পাহাড়-পর্বত, গাছ-পালা, জন্তু-জানোয়ার বা মানুষ সবাই একটি বিশ্বজনীন আইনের শৃংখলে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা। সবার কপালে আঁকা আছে বন্দেগী ও দাসত্বের টিকা। আল্লাহর সাব্যভৌম ক্ষমতার ক্ষেত্রে কারোর সামান্যতম অংশও নেই। কোন জিনিসের ছায়া থাকলে বুঝতে হবে, সেটি একটি জড় বস্তু। আর জড় বস্তু হওয়ার অর্থ হলো, সেটি একটি সৃষ্টি এবং সৃষ্টিকর্তার অনুগত গোলাম। এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ থাকতে পারে না।
# শুধু পৃথিবীরই নয়, আকাশেরও এমন সব বস্তু, পিণ্ড বা সত্ত্বা যাদেরকে প্রাচীনকাল থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত মানুষ দেব-দেবী এবং আল্লাহর আত্মীয়, স্বজন গণ্য করে এসেছে, তারা আসলে গোলাম ও তাবেদার ছাড়া আর কিছুই নয়। তাদের মধ্যেও কারোর আল্লাহর সার্বভৌম ক্ষমতায় কোন অংশ নেই।
পরোক্ষভাবে এ আয়াত থেকে এদিকে একটি ইঙ্গিত এসেছে যে, প্রাণসত্তা সম্পন্ন সৃষ্টি কেবলমাত্র দুনিয়াতেই নয় বরং মহাশূন্যের অন্যান্য গ্রহ-উপগ্রহেও আছে। একথাটিই সূরা শূরার ২৯ আয়াতেও বলা হয়েছে।
ফী জিলালিল কুরআন বলেছেন:-
*আল্লাহর আযাব যে কোনাে সময় আসতে পারে : অহংকারী ও কুচক্রীদের প্রতি ইংগীত দেয়ার মধ্য দিয়ে সূচিত এই অধ্যায়ের শেষ পর্যায়ে রয়েছে তীব্র চেতনা সঞ্চারকারী দুটো কথা। প্রথমটায় আল্লাহর আকস্মিক আয়াত সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে, যা থেকে দিনে বা রাতে এক মুহূর্তের জন্যেও কারাে উদাসীন হওয়া উচিত নয় । দ্বিতীয়টায় আল্লাহর এবাদাত ও তাসবীহে সমগ্র সৃষ্টি জগতের অংশ গ্রহণের কথা জানানো হয়েছে। বস্তুতঃ একমাত্র মানুষই দম্ভ ও অহংকারে লিপ্ত হয়ে থাকে এবং চক্রান্ত আঁটে। অথচ তার চারপাশে যতাে সৃষ্টি রয়েছে, তারা সর্বক্ষণ আল্লাহর প্রশংসা ও তাসবীহে লিপ্ত। ‘তবে কি কু-চক্রীরা মনে করে যে, আল্লাহ কর্তৃক তাদেরকে মাটিতে ধ্বসিয়ে দেয়া অথবা তাদের অজ্ঞাতসারেই তাদের ওপর আযাব চাপিয়ে দেয়ার কোন আশংকা নেই?… (আয়াত ৪৫-৫০) মানুষের সবচেয়ে বিস্ময়কর আচরণ এই যে তার চারপাশে প্রতিনিয়ত আল্লাহর হাত সক্রিয় রয়েছে, কিছু কিছু অপরাধীকে কঠোর শাস্তি দিচ্ছে, সে শাস্তি থেকে তাদের কোনো কৌশল, চালাকি শক্তি, জ্ঞানবিজ্ঞান ও ধন-সম্পদ তাদেরকে রক্ষা করতে পারছে না। অথচ এর পরও কু-চক্রীরা কূ-চক্র চালিয়েই যাচ্ছে এবং তাদের মধ্য থেকে যারা শাস্তি থেকে রক্ষা পেয়েছে, তারা ভেবেও দেখছে না যে তারাও পূর্বে শাস্তি প্রাপ্তদের মতাে শাস্তির কবলে পড়তে পারে, কখনাে ভাবে না যে ঘুমন্ত বা নিদ্রিত অবস্থায় তারা যে কোনাে মুহূর্তে আল্লাহর আযাবে আক্রান্ত হতে পারে। কোরআন তাদের বিবেক ও চেতনাকে এই ব্যাপারে সচকিত করছে যাতে সম্ভাব্য আশংকা সম্পর্কে তারা সংবেদনশীল হয়। কেননা সে আযাব থেকে উদাসীন হয়, তাদের কপালে সর্বনাশ ছাড়া আর কিছু জোটে না। পরবর্তী আয়াতে আল্লাহ তায়ালা জিজ্ঞেস করছেন, তারা কি নিশ্চিত হয়ে গেছে যে এক দেশ থেকে আর এক দেশে ভ্রমণ বা বাণিজ্যক বা যে কোনাে সফরে থাকাকালে তাদের ওপর আল্লাহর আযাব আসতে পারে? ‘সেটা প্রতিরােধের ক্ষমতা তাদের নেই’ অর্থাৎ আল্লাহর আযাবের বিরুদ্ধে তাদের কোনাে প্রতিরােধ চলে না। ‘অথবা তারা ভীত ও সতর্ক থাকা অবস্থাতেই তাদেরকে পাকড়াও করতে পারেন, এ সম্পর্কেও কি তারা নিশ্চিন্ত? কেননা তারা সচেতন ও সতর্ক থাকলে আল্লাহর আযাব থেকে নিষ্কৃতি পাবে না। তারা প্রস্তুত ও সচেতন থাকা অবস্থায় এবং অচেতন ও অসতর্ক উভয় অবস্থায়ই তাদেরকে আযাবে আক্রান্ত করতে পারেন। তবে তিনি স্নেহশীল ও দয়াশীল। কু-চক্রীরা তাদের কু-চক্র অব্যাহত রাখা, গােমরাহীর পথে চলতে থাকা এবং তাকওয়ার পথে ফিরে না আসা সত্তেও কি তারা আশা করে যে তাদের ওপর আল্লাহর আযাব আসবে না? অথচ তাদের চারপাশে যে বিশ্ব প্রকৃতি তার বিচিত্র নিয়ম ও বৈশিষ্ট্য সহকারে বিরাজ করছে, তা ঈমানের ইংগীত দেয় এবং আল্লাহর অনুগত হতে উদ্বুদ্ধ করে।(আয়াত ৪৮) *সকল সৃষ্টিই আল্লাহকে সিজদা করে : ৪৮ নং আয়াতে সিজদারত ছায়াসমূহের যে দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে, তার আকৃতি কখনাে বড় হয়, কখনাে ঘুরে ফিরে আগের জায়গায় চলে আসে, কখনাে স্থির থাকে আবার কখনাে একদিকে নুয়ে থাকে। এ দৃশ্য মুক্ত মন ও সচেতন বিবেকসম্পন্ন মানুষের জন্যে উদ্দীপনাদায়ক এবং তাকে সমগ্র প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যশীল করে দেয়। কোরআনের এ কটা আয়াতে বলা হয়েছে যে, আল্লাহর প্রাকৃতিক বিধানের প্রতি সমগ্র সৃষ্টিজগত সিজদার মাধ্যমে আনুগত্য প্রকাশ করে। কেননা সিজদাই হলাে সর্বাধিক আনুগত্যবােধক কাজ। এ আয়াত কটাতে সেই ছায়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে, যা লম্বা হওয়ার পর আবার ছােট হয়ে ফিরে আসে। এ বিবরণ মানুষের অনুভূতিতে একটা সূক্ষ্ম ও গভীর দোলা দেয়। সেই সাথে সমগ্র সৃষ্টি জগতকে, আকাশ ও পৃথিবীতে বিচরণশীল প্রাণীকে ও ফেরেশতাদেরকে একই রকম আল্লাহর অনুগত দেখানাে হয়েছে। অনুগত, সেজদারত, এবাদাতরত বস্তু, ছায়া, প্রাণী ও ফেরেশতাদের এক বিস্ময়কর সমাবেশের দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে। তারা কেউ অহংকার করে না। কেউ আল্লাহর হুকুম অমান্য করে না। এই বিস্ময়কর সমাবেশের পাশেই দেখা যায় একমাত্র একশ্রেণীর অহংকারী, দাম্ভিক ও খােদাদ্রোহী মানুষের বিরল দৃশ্য। এ পর্যন্তই এ অধ্যায়ের সমাপ্তি। এর শুরুতেও আলােচিত হয়েছে অহংকারী ও দাম্ভিক মানুষের কথা। আর এর উপসংহারেও দেখানাে হয়েছে যে আল্লাহর একান্ত অনুগত এ গােটা বিশ্বজগতে একমাত্র মানুষই দাম্ভিক ও খােদাদ্রোহী আর কেউ নয়।
তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
৪৮-৫০ নং আয়াতের তাফসীর
আল্লাহ তাআলা স্বীয় শ্রেষ্ঠত্ব, মর্যাদা ও মহিমার খবর দিচ্ছেন যে, সমস্ত মাখলুক আর হতে বিছানা পর্যন্ত তাঁর অনুগত ও দাস। জড় পদার্থ, প্রাণীসমূহ, মানব, দানব, ফেরেশতামণ্ডলী এবং সারা জগত তাঁর বাধ্য। প্রত্যেক জিনিস সকাল ও সন্ধ্যায় তাঁর সামনে নানা প্রকারে নিজেদের অপারগতা ও শক্তিহীনতার প্রমাণ পেশ করে থাকে। তারা ঝুঁকে তাঁর সামনে সিজদাবনত হয়। মুজাহিদ (রঃ) বলেন যে, সূর্য পশ্চিম গগণে ঢলে পড়া মাত্রই সমস্ত জিনিস বিশ্ব প্রতিপালকের সামনে অপারগ, দুর্বল ও শক্তিহীন। পাহাড় ইত্যাদির সিজদা হচ্ছে ওর ছায়া। সমুদ্রের তরঙ্গমালা হচ্ছে ওর নামায। ওগুলিকে যেন বিবেকবান মনে করে ওগুলির প্রতি সিজদার সম্পর্ক জুড়ে দেয়া হয়েছে। তাই তিনি বলেন, যমীন ও আসমানের সমস্ত প্রাণী তার সামনে সিজদাবনত রয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ “ইচ্ছায় ও অনিচ্ছায় প্রত্যেক জিনিস বিশ্ব প্রতিপালকের সামনে সিজদাবনত হয়, ওগুলির ছায়া সকাল সন্ধ্যায় সিজদায় পড়ে থাকে।” ফেরেশতামণ্ডলীও নিজেদের মান-মর্যাদা সত্ত্বেও আল্লাহর সামনে সিজদায় পতিত হন। তাঁর দাসত্ব করার ব্যাপারে তারা অহংকার করেন না। মহামহিমান্বিত ও প্রবল প্রতাপান্বিত আল্লাহর সামনে তারা কাঁপতে থাকেন এবং তাদেরকে যা আদেশ করা হয়, তা প্রতিপালনে। তারা সদা ব্যস্ত থাকেন। তারা না অবাধ্য হন, না অলসতা করেন।
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura:- An-Nahl
Sura: 16
Verses :- 48-50
وَهُمْ دَاخِرُونَ ]
While they are humble,]
Everything prostrates to Allah
Allah says:
أَوَ لَمْ يَرَوْاْ إِلَى مَا خَلَقَ اللّهُ مِن شَيْءٍ يَتَفَيَّأُ ظِلَلُهُ عَنِ الْيَمِينِ وَالْشَّمَأيِلِ سُجَّدًا لِلّهِ وَهُمْ دَاخِرُونَ
Have they not observed things that Allah has created:(how) their shadows shift from right to left, prostrating to Allah, while they are humble!
Allah informs us about His might, majesty and pride, meaning that all things submit themselves to Him and every created being – animate and inanimate, as well as the responsible – humans and Jinns, and the angels – all humble themselves before Him.
He tells us that everything that has a shadow leaning to the right and the left, i.e., in the morning and the evening, is by its shadow, prostrating to Allah.
Mujahid said,
“When the sun passes its zenith, everything prostrates to Allah, may He be glorified.”
This was also said by Qatadah, Ad-Dahhak and others.
وَهُمْ دَاخِرُونَ
while they are humble,
means, they are in a state of humility.
Mujahid also said:
“The prostration of every thing is its shadow,”
and he mentioned the mountains and said that their prostrations are their shadows.
Abu Ghalib Ash-Shaybani said:
“The waves of the sea are its prayers.”
It is as if reason is attributed to these inanimate objects when they are described as prostrating, so Allah says.
وَلِلّهِ يَسْجُدُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الَارْضِ مِن دَابَّةٍ
And to Allah prostrate all that are in the heavens and all that are in the earth, of the moving creatures,
As Allah says:
وَللَّهِ يَسْجُدُ مَن فِى السَّمَـوَتِ وَالاٌّرْضِ طَوْعًا وَكَرْهًا وَظِلَـلُهُم بِالْغُدُوِّ وَالاٌّصَالِ
And to Allah (alone) all who are in the heavens and the earth fall in prostration, willingly or unwillingly, and so do their shadows in the mornings and in the afternoons. (13:15)
وَالْمَليِكَةُ وَهُمْ لَا يَسْتَكْبِرُونَ
and the angels, and they are not proud.
means, they prostrate to Allah and are not too proud to worship Him.
يَخَافُونَ رَبَّهُم مِّن فَوْقِهِمْ
They fear their Lord above them,
means, they prostrate out of fear of their Lord, may He be glorified.
وَيَفْعَلُونَ مَا يُوْمَرُونَ
and they do what they are commanded.
meaning they continually obey Allah, doing what He tells them to do and avoiding that which He forbids.