أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book# 811)
সুরা: আন- নহল
সুরা:১৬
৭০ নং আয়াত:-
[ يَعْلَمَ بَعْدَ عِلْمٍ شَيْيًا
সে যা কিছু জানত সে সম্বন্ধে সজ্ঞান থাকে না;
They know nothing after having known.]
www.motaher21.net
وَ اللّٰہُ خَلَقَکُمۡ ثُمَّ یَتَوَفّٰىکُمۡ ۟ۙ وَ مِنۡکُمۡ مَّنۡ یُّرَدُّ اِلٰۤی اَرۡذَلِ الۡعُمُرِ لِکَیۡ لَا یَعۡلَمَ بَعۡدَ عِلۡمٍ شَیۡئًا ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَلِیۡمٌ قَدِیۡرٌ ﴿٪۷۰﴾
আল্লাহই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন এবং তোমাদের মধ্যে কাউকে কাউকে উপনীত করা হয় নিকৃষ্টতম বয়সে; ফলে সে যা কিছু জানত সে সম্বন্ধে সজ্ঞান থাকে না;আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান।
And Allah created you; then He will take you in death. And among you is he who is reversed to the most decrepit [old] age so that he will not know, after [having had] knowledge, a thing. Indeed, Allah is Knowing and Competent.
সুরা: আন- নহল
সুরা:১৬
৭০ নং আয়াত:-
[ يَعْلَمَ بَعْدَ عِلْمٍ شَيْيًا
সে যা কিছু জানত সে সম্বন্ধে সজ্ঞান থাকে না;
They know nothing after having known.]
www.motaher21.net
৭০ নং আয়াতের তাফসীর:
তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-
আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে অস্তিত্বহীন থেকে সৃষ্টি করে কাউকে পূর্ণ বার্ধক্যে উপনীত করেন, কাউকে সে অবস্থার পূর্বেই মৃত্যু দান করেন।
যখন মানুষের স্বাভাবিক বয়স পার হয়ে যায়, তখন তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। এমন কি কখনো কখনো স্মৃতিশক্তি সম্পূর্ণ লোপ পেয়ে যায়, ফলে সে শিশুতে পরিণত হয়ে যায়। এটাকেই أَرْذَلِ الْعُمُرِ বলা হয়েছে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمِنْكُمْ مَّنْ يُّتَوَفّٰي وَمِنْكُمْ مَّنْ يُّرَدُّ إِلٰٓي أَرْذَلِ الْعُمُرِ لِكَيْلَا يَعْلَمَ مِنْۭ بَعْدِ عِلْمٍ شَيْئًا)
“তোমাদের মধ্যে কারও কারও মৃত্যু ঘটানো হয় এবং তোমাদের মধ্যে কাউকে কাউকে প্রত্যাবৃত্ত করা হয় হীনতম বয়সে, যার ফলে তারা যা কিছু জানত সে সম্বন্ধে তারা সজ্ঞান থাকে না।” (সূরা হাজ্জ্ব ২২:৫)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(اَللّٰهُ الَّذِيْ خَلَقَكُمْ مِّنْ ضَعْفٍ ثُمَّ جَعَلَ مِنْۭ بَعْدِ ضَعْفٍ قُوَّةً ثُمَّ جَعَلَ مِنْۭ بَعْدِ قُوَّةٍ ضَعْفًا وَّشَيْبَةً)
“আল্লাহ তিনি, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেন দুর্বল অবস্থায়, অতঃপর তিনি দুর্বলতার পর শক্তি দিয়েছেন, তারপর শক্তির পর পুনরায় দিয়েছেন দুর্বলতা ও বার্ধক্য।” (সূরা রূম ৩০:৫৪)
সহীহ হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ তা‘আলার কাছে বার্ধক্যে উপনীত হওয়া থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الجُبْنِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ البُخْلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ أُرَدَّ إِلَي أَرْذَلِ العُمُرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا، وَعَذَابِ القَبْرِ
হে আল্লাহ তা‘আলা! আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি কাপুরুষতা থেকে, কৃপণতা থেকে, বার্ধক্যে উপনীত হওয়া থেকে, দুনিয়ার ফেতনা ও কবরের আযাব থেকে। (সহীহ বুখারী হা: ৬৩৪৭)
এরূপ দুর্বল মানুষকে কি আল্লাহ তা‘আলা আবার সৃষ্টি করতে সক্ষম হবেন না? অবশ্যই তিনি সৃষ্টি করতে সক্ষম।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সৃষ্টির সূচনা ও পুনত্থানের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা।
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
# আসল ব্যাপার শুধু এতটুকুই নয় যে, তোমাদের প্রতিপালন ও খাদ্য সংস্থাপনের এ সমগ্র ব্যবস্থাপনাটিই আল্লাহর হাতে রয়েছে বরং প্রকৃত সত্য এটাও যে, তোমাদের জীবন ও মৃত্যু দু’টোই আল্লাহর ক্ষমতার অধীন। অন্য কেউ তোমাদের জীবনও দান করতে পারে না, আর মৃত্যুও ঘটাতে পারে না।
# এ জ্ঞনবত্তা যা নিয়ে তোমরা গর্ব ও অহংকার করে বেড়াও এবং যার বদৌলতে পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণীর ওপর তোমাদের শ্রেষ্টত্ব স্বীকৃত হয়েছে, তাও আল্লাহর দান। তোমরা নিজেদের চোখে নিজেদের জীবনের একটি বিস্ময়কর শিক্ষণীয় দৃশ্য দেখে থাকো। যখন কোন ব্যক্তিকে আল্লাহ দীর্ঘায়ূ দান করেন, অনেক বেশী বয়স হয়ে যায় তখন এ ব্যক্তিই যে কখনো তার যৌবনকালে অন্যকে জ্ঞান দিতো, সে কেমন একটা লোলচর্ম বৃদ্ধে এবং অথর্ব-অক্ষম একটা নিরেট মাংস পিণ্ডে পরিণত হয়, যার কোন হুঁশ-জ্ঞান থাকে না।
ফী জিলালিল কুরআন বলেছেন:-
*জীবন মৃত্যু ও ধন সম্পদ নিয়ন্ত্রন প্রক্রিয়া : এবার জানানাে হচ্ছে, ‘আল্লাহ তায়ালা তােমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তারপর একসময় তােমাদেরকে মৃত্যুও দান করবেন, আর তােমাদের মধ্যে অনেকে আছে যাদেরকে বয়সের নিকৃষ্টতম স্তরে পৌছে দেয়া হয়, যাতে করে কোনাে কিছুর জ্ঞান অর্জন করার পর আবার সব ভুল হয়ে যায়। অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা সর্বজ্ঞ, তিনিই সর্বশক্তিমান।'(আয়াত ৭০) ‘আল্লাহ তায়ালা তােমাদের কাউকে কারাে ওপর রিযিকের ব্যাপারে প্রাধান্য দিয়েছেন এবং… তবে কি এরা আল্লাহর নেয়ামতকে অস্বীকার করে?'(আয়াত ৭১) ‘আল্লাহ তায়ালাই তােমাদের নিজেদের মধ্য থেকে তােমাদের জোড় পয়দা করেছেন… তারা আল্লাহ ছাড়া অন্য এমন ব্যক্তি বা বস্তুর বন্দেগী করে।'(আয়াত ৭২-৭৩) ওপরের আয়াত দুটিতে প্রথম বুঝবার বিষয় হচ্ছে জীবন ও মৃত্যু, যা প্রত্যেক ব্যক্তি ও প্রত্যেক প্রাণীর সাথে জড়িত। জীবন সবার কাছেই প্রিয় এবং যে কোনাে কঠিন হৃদয়ের মধ্যেও জীবন রক্ষার চিন্তা আসে, আসে জীবন সম্পর্কিত বড় ছােট সব বিষয়েরই চিন্তা। এসবের মধ্যে অনেক বিষয় আছে যা শুধু অনুভবই করা যায়, যার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে একমাত্র আল্লাহরই হাতে, তারই হাতে রয়েছে যাবতীয় নেয়ামতের চাবিকাঠি এবং সকল কুদরতও তারই। এই সকল নেয়ামতই সেই মালিকের কাছে আশ্রয় প্রার্থনার জন্যে তাকে উদ্বুদ্ধ করে। তারপর প্রত্যেক ব্যক্তির সামনে বার্ধক্যের অবস্থাটাকে তুলে ধরা হয়েছে। এসময় মানুষ সব থেকে দুর্বল বয়সে পৌছে যায়। জীবনে যা কিছু শিখেছিলাে এসময় সবই ভুলে যেতে থাকে এবং ছােট বেলায় যেমন দুর্বল, ভুলােমনা এবং অসহায় ছিলাে আবার সে সেই অবস্থায় পৌছে যায়। জীবন সম্পর্কে মানুষ যখন চিন্তা করে তখন এই পর্যায়গুলাে তার চোখের সামনে ভাসতে থাকে, আর তখনই তার অহংকার কমে যায়, তার শক্তি জ্ঞান ও ক্ষমতার কারণে যে প্রচন্ড আত্মমর্যাদা বােধ গড়ে উঠেছে তা দমে যেতে থাকে এবং অবশেষে অবশ্যম্ভাবী শেষ পরিণামের কথাটা মনে পড়ে যায়, তাই বলা হচ্ছে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা সব কিছু জনেন সব কিছু করতে সক্ষম।’ অর্থাৎ, যখনই সে জীবনের শেষ অবস্থাটা চিন্তা করে তখন এ পরম সত্য কথাটা তার বোধগম্য হয় যে অনন্ত অসীম সকল জ্ঞান ভান্ডারের মালিক একমাত্র আল্লাহ তায়ালা, আর অসীম শক্তি ক্ষমতার মালিকও একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। তিনিই সমস্ত শক্তি ক্ষমতার অধিকারী। মানুষের জ্ঞান ও শক্তি ক্ষমতা একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত টিকে থাকে, তারপর সব কিছু শেষ হয়ে যায় প্রকৃতপক্ষে সাময়িকভাবে প্রাপ্ত মানুষের ক্ষমতার কোনােই স্থায়িত্ব নেই।
তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
আল্লাহ তাআলা খবর দিচ্ছেনঃ সমস্ত বান্দার উপর আধিপত্য আল্লাহরই। তিনিই তাদেরকে অস্তিত্বহীনতা থেকে অস্তিত্বে আনয়ন করেছেন। তিনিই তাদের মৃত্যু ঘটাবেন। কাউকেও কাউকেও তিনি এতো বেশী বয়সে পৌঁছিয়ে থাকেন যে, সে শিশুদের মত দুর্বল হয়ে পড়ে। হযরত আলী (রাঃ) বলেন যে, পঁচাত্তর বছর বয়সে মানুষ এরূপ অবস্থায় উপনীত হয়। তার শক্তি শেষ হয়ে যায়, স্মরণ শক্তি কমে যায়, জ্ঞান হ্রাস পায় এবং বিদ্বান হওয়া সত্বেও অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
হযরত আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাঁর প্রার্থনায় বলতেনঃ
(আরবি) অর্থাৎ “(হে আল্লাহ!) আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি কার্পণ্য হতে, অপারগতা হতে, বার্ধক্য হতে, লাঞ্ছণা পূর্ণ বয়স হতে, কবরের আযাব হতে, দাজ্জালের ফিৎনা হতে এবং জীবন ও মরণের ফিৎনা হতে।” (এই আয়াতের তাফসীরে ইমাম বুখারী (রা?) এ হাদীসটি তার সহীহ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন)
কবি যুহায়ের ইবনু আবি সুলমা তাঁর প্রসিদ্ধ মুআল্লাকায় বলেছেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “দুঃসহ জীবন জ্বালায় জীবনের প্রতি আমি আজ অনাসক্ত, আর যে ব্যক্তি আশি বছরের দীর্ঘ জীবন বয়ে চলে, তোমার পিতা মরুক” সে এরূপ অনাসক্ত হয়েই থাকে। মৃত্যুকে আমি অন্ধ উষ্ট্রীর ন্যায় হাত-পা ছুড়তে দেখছি, যাকে পায় প্রাণে মারে, আর যাকে ছাড়ে সে জীবনভারে বার্ধক্যে পৌঁছে যায়।”
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura:- An-Nahl
Sura: 16
Verses :- 70
يَعْلَمَ بَعْدَ عِلْمٍ شَيْيًا ]
They know nothing after having known.]
www.motaher21.net
In Man there is a Lesson
Allah says,
وَاللّهُ خَلَقَكُمْ ثُمَّ يَتَوَفَّاكُمْ وَمِنكُم مَّن يُرَدُّ إِلَى أَرْذَلِ الْعُمُرِ لِكَيْ لَا يَعْلَمَ بَعْدَ عِلْمٍ شَيْيًا إِنَّ اللّهَ عَلِيمٌ قَدِيرٌ
And Allah created you and then He will cause you to die; and among you there are some who are sent back to senility, so that they know nothing after having known (much). Truly, Allah is Knowing, capable of all things.
Allah tells us that He is controlling the affairs of His servants. He is the One Who created them out of nothing, then He will cause them to die. But there are some of them that He allows to grow old, which is a physical weakness, as Allah says:
اللَّهُ الَّذِى خَلَقَكُمْ مِّن ضَعْفٍ ثُمَّ جَعَلَ مِن بَعْدِ ضَعْفٍ قُوَّةٍ
Allah is He Who created you in (a state of) weakness, then gave you strength after weakness, then after strength gave (you) weakness. (30:54)
لِكَيْ لَا يَعْلَمَ بَعْدَ عِلْمٍ شَيْيًا
so that they know nothing after having known.
meaning, after he knew things, he will reach a stage where he knows nothing because of weakness of mind due to old age and senility.
Thus Al-Bukhari, when commenting on this Ayah, reported a narration from Anas bin Malik that the Messenger of Allah used to pray:
أَعُوذُ بِكَ مِنَ
الْبُخْلِ
وَالْكَسَلِ
وَالْهَرَمِ
وَأَرْذَلِ الْعُمُرِ
وَعَذَابِ الْقَبْرِ
وَفِتْنَةِ الدَّجَّالِ
وَفِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَات
I seek refuge with You from
miserliness,
laziness,
old age,
senility,
the punishment of the grave,
the Fitnah of the Dajjal and
the trials of life and death.
Zuhayr bin Abi Sulma said, in his famous Mu`allaqah:
“I became exhausted from the responsibilities of life. Whoever lives for eighty years, no wonder he is tired. I saw death hitting people like a crazed camel, and whoever it hit dies, but whoever is not hit lives until he grows old.