أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book# 821)
সুরা: আন- নহল
সুরা:১৬
৯৮-১০০ নং আয়াত:-
[ فَاِذَا قَرَاۡتَ الۡقُرۡاٰنَ فَاسۡتَعِذۡ بِاللّٰہِ مِنَ الشَّیۡطٰنِ الرَّجِیۡمِ ﴿۹۸﴾
যখন তুমি কুরআন পাঠ (করার ইচ্ছা) করবে তখন অভিশপ্ত শয়তান হতে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা কর।
So when you recite the Qur’an, [first] seek refuge in Allah from Satan, the expelled.]
www.motaher21.net
৯৮-১০০ নং আয়াতের তাফসীর :-
(فَإِذَا قَرَأْتَ الْقُرْآنَ…)
এখানে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সম্বোধন করে উম্মতের সকলকে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে যে, কুরআন পাঠ করার শুরুতে
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
বিতাড়িত শয়তান হতে আশ্রয় প্রার্থনা করে শুরু করতে হবে। এটা পাঠ করা ওয়াজিব; নফল বা মুস্তাহাব নয়। সুতরাং যখনই কেউ কুরআন পাঠ করবে তখনই আউযুবিল্লাহ……..বলে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করে শুরু করতে হবে। এ সম্পর্কে সূরা ফাতিহার শুরুতে আলোচনা করা হয়েছে।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, যারা ঈমান আনে ও তাদের প্রতিপালকের ওপর ভরসা করে শয়তান তার ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে পারে না। বরং যারা তাকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে সেই তাদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে এবং তাদেরকে পথভ্রষ্ট করে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(إِنَّ عِبَادِيْ لَيْسَ لَكَ عَلَيْهِمْ سُلْطٰنٌ إِلَّا مَنِ اتَّبَعَكَ مِنَ الْغٰوِيْنَ)
‘‘বিভ্রান্তদের মধ্যে যারা তোমার অনুসরণ করবে তারা ব্যতীত আমার বান্দাদের ওপর তোমার কোনই ক্ষমতা থাকবে না; (সূরা হিজর ১৫:৪২)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(قَالَ فَبِعِزَّتِكَ لَأُغْوِيَنَّهُمْ أَجْمَعِيْنَ- إِلَّا عِبَادَكَ مِنْهُمُ الْمُخْلَصِيْنَ)
“সে বলল: তোমার ইযযতের শপথ! আমি তাদের সবাইকে পথভ্রষ্ট করবই। কিন্তু তাদের মধ্যে যারা তোমার একনিষ্ঠ বান্দা, তাদেরকে ছাড়া।” (সূরা স্ব-দ ৩৮:৮২-৮৩)
শয়তানের আধিপত্য বলতে বিষয়টি এমন যে, শয়তান সবধরণের মানুষের উপরই কর্তৃত্ব খাটাতে এমনকি একনিষ্ঠ মু’মিনদেরকেও পথভ্রষ্ট করার চেষ্টা করবে। কিন্তু সাধারণ লোকদের মাধ্যমে যেভাবে সে অন্যায় কাজ করানোর ব্যাপারে সফল হবে একনিষ্ঠ মু’মিনদের বেলায় সে তা পারবে না, তাদের বেলায় সে ব্যর্থ হবে। কারণ তারা সর্বদাই আল্লাহ তা‘আলার উপর ভরসা করে এবং তাঁরই আনুগত্যে ব্যস্ত থাকে, শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে না। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সবাইকে শয়তানের কুমন্ত্রণা হতে রক্ষা করুন। আমীন! (তাফসীর আযয়াউল বায়ান)
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কুরআন পাঠের পূর্বে اَعُوْذُ بِاللّٰهِ পাঠ করতে হবে।
২. ঈমানদারের ওপর শয়তান প্রাধান্য লাভ করতে পারে না।
৩. কোন আমল গ্রহণযোগ্য হতে হলে তা দুটি শর্ত সাপেক্ষে হতে হবে।
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
# এর অর্থ কেবল এতটুকুই নয় যে, মুখে শুধুমাত্র أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيطَنِ الرَّجِيم উচ্চারণ করলেই হয়ে যাবে। বরং এ সঙ্গে কুরআন পড়ার সময় যথার্থই শয়তানের বিভ্রান্তিকর প্ররোচনা থেকে মুক্ত থাকার বাসনা পোষণ করতে হবে এবং কার্যত তার প্ররোচনা থেকে নিষ্কৃতি লাভের প্রচেষ্টা চালাতে হবে। ভুল ও অনর্থক সন্দেহ-সংশয়ে লিপ্ত হওয়া যাবে না। কুরআনের প্রত্যেকটি কথাকে তার সঠিক আলোকে দেখতে হবে এবং নিজের মনগড়া মতবাদ বা বাইর থেকে আমদানী করা চিন্তার মিশ্রণে কুরআনের শব্দাবলীর এমন অর্থ করা যাবে না যা আল্লাহর ইচ্ছা ও উদ্দেশ্যের পরিপন্থী। এই সঙ্গে মানুষের মনে এ চেতনা এবং উপলব্ধিও জাগ্রত থাকতে হবে যে, মানুষ যাতে কুরআন থেকে কোন পথনির্দেশনা লাভ করতে না পারে সে জন্যই শয়তান সবচেয়ে বেশী তৎপর থাকে। এ কারণে মানুষ যখনি এ কিতাবটির দিকে ফিরে যায় তখনি শয়তান তাকে বিভ্রান্ত করার এবং পথনির্দেশনা লাভ থেকে বাধা দেবার এবং তাকে ভুল চিন্তার পথে পরিচালিত করার জন্য উঠে পড়ে লাগে। তাই এ কিতাবটি অধ্যয়ন করার সময় মানুষকে অত্যন্ত সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে যাতে শয়তানের প্ররোচনা ও সূক্ষ্ম অনুপ্রবেশের কারণে সে এ হেদায়াতের উৎসটির কল্যাণকারিতা থেকে বঞ্চিত না হয়ে যায়। কারণ যে ব্যক্তি এখান থেকে সঠিক পথের সন্ধান লাভ করতে পারেনি সে অন্য কোথা থেকেও সৎ পথের সন্ধান পাবে না। আর যে ব্যক্তি এ কিতাব থেকে ভ্রষ্টতা ও বিভ্রান্তির শিকার হয়েছে দুনিয়ার অন্য কোন জিনিস তাকে বিভ্রান্তি ও ভ্রষ্টতার হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে না।
এ আয়াতটি একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে নাযিল করা হয়েছে। সে উদ্দেশ্যটি হচ্ছে এই যে, সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে এমনসব আপত্তির জবাব দেয়া হয়েছে যেগুলো মক্কার মুশরিকরা কুরআন মজীদের বিরুদ্ধে উত্থাপন করতো। তাই প্রথমে ভূমিকা স্বরূপ বলা হয়েছে, কুরআনকে তার যথার্থ আলোকে একমাত্র সেই ব্যক্তিই দেখতে পারে যে শয়তানের বিভ্রান্তিকর প্ররোচনা থেকে সজাগ-সতর্ক থাকে এবং তা থেকে নিজেকে সংরক্ষিত রাখার জন্য আল্লাহর কাছে পানাহ চায়। অন্যথায় শয়তান কখনো সোজাসুজি কুরআন ও তার বক্তব্যসমূহ অনুধাবন করার সুযোগ মানুষকে দেয় না।
ফী জিলালিল কুরআন বলেছেন:-
*শয়তানের প্ররোচনা থেকে আল্লাহর সাহায্য কামনা : এরপর আসছে এ মহান কিতাবের বৈশিষ্ট্যের প্রসংগ, এ কিতাবের প্রতি নানা প্রকার শিষ্টাচার প্রদর্শন (আদব রক্ষা) এবং সঠিকভাবে এ পবিত্র কিতাব পাঠ করার পদ্ধতি বিষয়ক আলােচনা। পাশাপাশি আসছে এ কিতাব সম্পর্কে মােশরেকদের উক্তিসমূহ ও তার পর্যালোচনা। এরশাদ হচ্ছে, ‘অতএব, (হে নবী) যখনই তুমি আল কোরআন পড়বে তখন বিতাড়িত শয়তানের (কুটিল প্ররােচণা ও মন্দ) স্পর্শ থেকে বাঁচার জন্যে অবশ্যই আল্লাহর সাহায্য চাইবে যারা (সত্যিকারে) ঈমান এনেছে এবং তাদের রবের ওপর ভরসা তাদের ওপর ওর কোনাে ক্ষমতা নেই। হাঁ, অবশ্যই তার ক্ষমতা খাটে তাদের ওপর যারা তাকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করে এবং যারা মােশরেক।’ আর মরদূদ শয়তান থেকে পানাহ চাওয়ার প্রশ্ন সেই সময়ে আসে যখন আল্লাহর কিতাব পড়া হয় । আরও প্রয়ােজন হয় তখন যখন শয়তানের ওয়াস ওয়াসা (প্ররােচণা) আসছে বলে মনে হয়, এবং তখনও প্রয়ােজন হয় যখন কলুষ কালিমায় ভরা এই পৃথিবীর নানাবিধ ব্যস্ততা থেকে মুক্ত হয়ে কেউ একনিষ্ঠভবে আল্লাহর দিকে রুজু করার ইচ্ছা করে। দেখুন, আল্লাহ তায়ালা নিজেই তাঁর বান্দাদেরকে তার দিকে রুজু হওয়ার পদ্ধতি শিখাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি নিশ্চয়তা দিয়ে বলে দিচ্ছেন, ‘যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে তাদের ওপর ওর কোনােই ক্ষমতা নাই।’ অর্থাৎ যারা একমাত্র আল্লাহর দিকে ঝুঁকে থাকে এবং তাদের অন্তরকে পরিপূর্ণ নিষ্ঠার সাথে আল্লাহর দিকে রুজু করে রাখে, আর সাহায্য সহযোগিতার জন্যে ভরসা করে একমাত্র আল্লাহরই ওপর তাদের ওপর শয়তান কখনও বিজয়ী হতে পারে না, তা সে যতাে ওয়াসওয়াসা দিক না কেন-আল্লাহর সাথে তাদের যে সম্পর্কের গভীরতা রয়েছে তাই তাদেরকে শয়তানের খপ্পরে পড়া থেকে বাঁচিয়ে রাখবে এবং তাঁর কাছে জবাবদিহির জন্যে প্রস্তুত করবে। তাদের কখনও কখনও ভুল হয়ে যেতে পারে, তাই বলে শয়তানের কাছে তারা আত্মসমর্পণ করবে না; যার ফলে শয়তান তাদের থেকে পালিয়ে যাবে এবং তারা শীঘ্রই তাদের রবের কাছে ফিরে যাবে। এরপর জানানাে হচ্ছে যে, ‘ওর ক্ষমতা খাটবে শুধু তাদের ওপর যারা তাকে বন্ধু বা অভিভাবক-রূপে গ্রহণ করবে।’ অর্থাৎ এরাই হবে সেসব ব্যক্তি যারা তাদের নিজেদের বন্ধু বা অভিভাবক মনে করে কুপ্রবৃত্তির তাড়নে তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে অথবা নিজেদের স্বার্থের কারণে শয়তানের ক্রীড়ানক পরিণত হয়। তাদের মধ্যে রয়েছে অনেক শিরককারী। তাদের শিরক করার লক্ষণ এইভাবে প্রকাশ পায় যে, তারা শয়তানের কথায় উঠাবসা করে এবং অন্যায়কারী কোনাে ক্ষমতাধরের গােলামী করতে থাকে। এইভাবে যুক্তিহীনভাবে অথবা বিনাশর্তে শয়তানের আনুগত্যের মাধ্যমে, প্রকৃতপক্ষে তারা শিরকেই লিপ্ত হয়ে পড়ে।
৯৮-১০০ নং আয়াতের তাফসীর :-
তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
আল্লাহ তাআলা স্বীয় নবীর (সঃ) ভাষায় তাঁর মুমিন বান্দাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তারা যেন কুরআন পাঠের পূর্বে ‘আঊযুবিল্লাহ’ পাঠ করে নেয়। ইবনু জারীর (রঃ) প্রভৃতি ইমাম এর উপর ইজমা হওয়ার কথা বর্ণনা করেছেন। আউযু-এর অর্থ ইত্যাদিসহ আলোচনা আমরা এই তাফসীরের শুরুতে লিপিবদ্ধ করেছি। সুতরাং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর।
এই হুকুমের উপযোগিতা এই যে, এর মাধ্যমে পাঠক কুরআন কারীমের মধ্যে গবড়-জবড় হয়ে যাওয়া এবং আজে বাজে চিন্তা থেকে মাহফুজ থাকে এবং শয়তানী কুমন্ত্রণা থেকে বেঁচে যায়। এ জন্যেই জামহ্র আলেমগণ বলেন, কুরআন পাঠের শুরুতেই আউযুবিল্লাহ পড়ে নিতে হবে। কেউ কেউ এ কথাও বলেন যে, কুরআনপাঠের শেষে পড়তে হবে। তাদের দলীল এই আয়াতটিই। কিন্তু প্রথম উক্তিটিই সঠিক আর হাদীসসমূহের দ্বারাও এটাই প্রমাণিত হয়। এসব ব্যাপারে সর্বাধিক সঠিক জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ তাআলারই রয়েছে।
এরপর আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “তার কোন আধিপত্য নেই তাদের উপর, যারা ঈমান আনে ও তাদের প্রতিপালকের উপরই নির্ভর করে। মহান। আল্লাহর এই খাঁটি বান্দারা শয়তানের গভীর চক্রান্ত থেকে রক্ষা পেয়ে থাকে। তবে যারা তার আনুগত্য করে, তার কথা মত চলে, তাকে নিজেদের বন্ধু ও সাহায্যকারী মনে করে এবং তাকে আল্লাহর ইবাদতে শরীক করে নেয় তাদের উপর তার অধিপত্য হয়ে যায়। আবার ভাবার্থ এও হতে পারে যে, এখানে (আরবি) অক্ষরকে (আরবি) বা কারণবোধক ধরা হবে। অর্থাৎ তারা তার অনুগত হওয়ার কারণে আল্লাহর সঙ্গে শিরক করতে শুরু করে। এও ভাবার্থ হতে পারে যে, তারা তাদেরকে মাল ও সন্তান-সন্ততিতে তাকে আল্লাহর শরীক মনে করে বসে।
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura:- An-Nahl
Sura: 16
Verses :- 98-100
[ فَاِذَا قَرَاۡتَ الۡقُرۡاٰنَ فَاسۡتَعِذۡ بِاللّٰہِ مِنَ الشَّیۡطٰنِ الرَّجِیۡمِ ﴿۹۸﴾
So when you recite the Qur’an, [first] seek refuge in Allah from Satan, the expelled.]
www.motaher21.net
اِنَّہٗ لَیۡسَ لَہٗ سُلۡطٰنٌ عَلَی الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَلٰی رَبِّہِمۡ یَتَوَکَّلُوۡنَ ﴿۹۹﴾
Indeed, there is for him no authority over those who have believed and rely upon their Lord.
اِنَّمَا سُلۡطٰنُہٗ عَلَی الَّذِیۡنَ یَتَوَلَّوۡنَہٗ وَ الَّذِیۡنَ ہُمۡ بِہٖ مُشۡرِکُوۡنَ ﴿۱۰۰﴾٪
His authority is only over those who take him as an ally and those who through him associate others with Allah .
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
The Command to seek Refuge with Allah before reciting the Qur’an
Allah says:
فَإِذَا قَرَأْتَ الْقُرْانَ فَاسْتَعِذْ بِاللّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
So when you recite the Qur’an, seek refuge with Allah from Shaytan, the outcast.
This is a command from Allah to His servants upon the tongue of His Prophet, telling them that when they want to read Qur’an, they should seek refuge with Allah from the cursed Shaytan.
The Hadiths mentioned about seeking refuge with Allah (Isti`adhah), were quoted in our discussion at the beginning of this Tafsir, praise be to Allah.
The reason for seeking refuge with Allah before reading is that the reader should not get confused or mixed up, and that the Shaytan would not confuse him or stop him from thinking about and pondering over the meaning of what he reads. Hence the majority of scholars said that refuge should be sought with Allah before starting to read.
إِنَّهُ لَيْسَ لَهُ سُلْطَانٌ عَلَى الَّذِينَ امَنُواْ وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ
Verily, he has no power over those who believe and put their trust only in their Lord.
Ath-Thawri said:
“He has no power to make them commit a sin they will not repent from.”
Others said:
it means that he has no argument for them.
Others said it is like the Ayah:
إِلاَّ عِبَادَكَ مِنْهُمُ الْمُخْلَصِينَ
Except Your chosen servants amongst them. (15:40)
إِنَّمَا سُلْطَانُهُ عَلَى الَّذِينَ يَتَوَلَّوْنَهُ
His power is only over those who obey and follow him (Shaytan),
Mujahid said:
“Those who obey him.”
Others said,
“Those who take him as their protector instead of Allah.”
وَالَّذِينَ هُم بِهِ مُشْرِكُونَ
and those who join partners with Him.
means, those who associate others in worship with Allah.