أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(বই#৮৬২)
সুরা: আল্ বনি ইসরাইল
সুরা:১৭
৫৯-৬০ নং আয়াত:-
[وَ مَا مَنَعَنَاۤ اَنۡ نُّرۡسِلَ بِالۡاٰیٰتِ
আমাদেরকে নিদর্শন প্রেরণ করা থেকে শুধু এটাই বিরত রেখেছে যে,]
www.motaher21.net
وَ مَا مَنَعَنَاۤ اَنۡ نُّرۡسِلَ بِالۡاٰیٰتِ اِلَّاۤ اَنۡ کَذَّبَ بِہَا الۡاَوَّلُوۡنَ ؕ وَ اٰتَیۡنَا ثَمُوۡدَ النَّاقَۃَ مُبۡصِرَۃً فَظَلَمُوۡا بِہَا ؕ وَ مَا نُرۡسِلُ بِالۡاٰیٰتِ اِلَّا تَخۡوِیۡفًا ﴿۵۹﴾
আর আমাদেরকে নিদর্শন প্রেরণ করা থেকে শুধু এটাই বিরত রেখেছে যে, তাদের পূর্ববর্তীগণ তাতে মিথ্যারোপ করেছিল। আর আমরা শিক্ষাপ্রদ নিদর্শনসরূপ সামূদ জাতিকে উষটৃ দিয়েছিলাম, অতঃপর তারা সেটার প্রতি যুলুম করেছিল। আমরা তো শুধু ভয় দেখানোর জন্যই নিদর্শন পাঠিয়ে থাকি।
وَ اِذۡ قُلۡنَا لَکَ اِنَّ رَبَّکَ اَحَاطَ بِالنَّاسِ ؕ وَ مَا جَعَلۡنَا الرُّءۡیَا الَّتِیۡۤ اَرَیۡنٰکَ اِلَّا فِتۡنَۃً لِّلنَّاسِ وَ الشَّجَرَۃَ الۡمَلۡعُوۡنَۃَ فِی الۡقُرۡاٰنِ ؕ وَ نُخَوِّفُہُمۡ ۙ فَمَا یَزِیۡدُہُمۡ اِلَّا طُغۡیَانًا کَبِیۡرًا ﴿٪۶۰﴾
আর স্মরণ করুন, যখন আমরা আপনাকে বলেছিলাম যে, নিশ্চয় আপনার রব মানুষকে পরিবেষ্টন করে আছেন । আর আমরা যে দৃশ্য আপনাকে দেখিয়েছি তা এবং কুরআনে উল্লেখিত অভিশপ্ত গাছটিও শুধু মানুষের জন্য ফিতনাস্বরূপ নির্ধারণ করেছি। আর আমরা তাদেরকে ভয় দেখাই, কিন্তু এটা তাদের ঘোর অবাধ্যতাই বৃদ্ধি করে।
৫৯-৬০ নং আয়াতের তাফসীর:
ফী জিলালিল কুরআন বলেছেন:-
মােজেযার স্বরূপ ও উদ্দেশ্য : আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর অলৌকিক ক্ষমতার যে সব নিদর্শন দেখিয়েছেন, হিসাব করে দেখলে যে কোনাে লােক বুঝবে যে রসূলদের সমর্থনে এবং ওই পথভ্রষ্ট লােকদেরকে সতর্ক করার লক্ষ্যে প্রেরিত আল্লাহর বাণীগুলােও ওই অলৌকিক নিদর্শনগুলাের অন্যতম। বিভিন্ন যামানায় ও বিভিন্ন দেশে পথভ্রষ্ট ওই সব মানুষ নিজেরা ভুল পথে চলেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং তাদের মধ্যেই লালিত পালিত সবার প্রিয় ও সবার আস্থাভাজন ব্যক্তিদেরকে নিছক নিজেদের স্বার্থহানির ভয়ে, তারা জোর করে মিথ্যাবাদী সাবস্ত করার চেষ্টা করেছে, এর ফল অবশ্যই তাদেরকে ভােগ করতে হবে আর তা হচ্ছে শীঘ্র আযাব নাযিল করে তাদেরকে ধ্বংস করে দেয়া। জনগণের তরফ থেকে মােজযা দেখানাের দাবী করায় প্রায় প্রতি যামানাতেই মােজেযা দেখানাে হয়েছে, কিন্তু তখনও ঈমান আনতে আগ্রহী ব্যক্তিরা ছাড়া বাকি লােকেরা ঈমান আনেনি। বিভিন্ন যামানার অস্বীকারকারীরা তাদের নিজ নিজ রসূলদেরকে মিথ্যাবাদী বলেও আখ্যা দিয়েছে। একারণে শেষ রসূল যখন এলেন তখন, পূর্ববর্তী রসূলদের মতাে তার কাছেও সরাসরি এবং তাৎক্ষণিকভাবে মােজেযা দেখানাের দাবী করা হয়েছিলো, কিন্তু তাকে এজন্যে ওই ধরনের অলৌকিক ক্ষমতা বা মােজেযা দেখানাের শক্তি দেয়া হয়নি যে মােজেযা দেখানাের পর ঈমান না আনলে তাদের ওপরও আযাব অবধারিত হয়ে যাবে এবং গােটা জাতি পুরােপুরিভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে। শেষ যামানার এই আযাব উম্মতদের ওপর নাযিল হলে গােটা জাতির অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাবে এবং পরবর্তীতে আর কোনাে বার্তাবাহক রসূল আসবে না ফলে আর কোনাে দিন দুনিয়ারবাসী হেদায়াতের আলাে পাবে না। একারণেই মােহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ(স.)-এর কাছে সরাসরি কোনাে বস্তুগত মােজেযা পাঠানাে হয়নি। তাই এরশাদ হচ্ছে, ‘আর আমি যে আমার নিদর্শনাবলী পাঠাতে বিরত হয়েছি তা এইজন্যে যে পূর্ববর্তীরা এগুলােকে মিথ্যা সাব্যস্ত করেছে এবং ওদের জ্ঞানের চোখ খুলে দেয়ার জন্যে আমি, সামূদ জাতিকে দিয়েছিলাম একটি উষ্ট্রী, কিন্তু ওরা সে উষ্ট্রীর ওপর অত্যাচার করলাে। ‘আর যতাে নিদর্শনই আমি পাঠিয়ে থাকি তার একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের মধ্যে (আমার) ভয় সৃষ্টি করা।’ হাঁ, ইসলামের জন্যে একেবারে কোনাে মােজেযা নেই, তা নয় বরং ইসলামের মােজেযা হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল কোরআন। এ হচ্ছে এমন এক কিতাব যা জীবনের দুর্গম পথে চলার জন্য পূর্ণাংগ ও ক্রুটিমুক্ত এক শুভ্র সমুজ্জল ব্যবস্থার সন্ধান দিয়েছে এবং মানুষের চিন্তা চেতনা ও অন্তরের কাছে আবেদন জানিয়েছে। সুদৃঢ় মানব প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে আগত জাতিসমূহের কাছে এর দরজা কে সদা-সর্বদা খােলা রেখেছে কেয়ামত পর্যন্ত মানুষ এ কিতাব পড়তে থাকবে এবং ঈমান আনতে থাকবে। বস্তুগত যে অলৌকিকতা এ কিতাবের মধ্যে দেখা যায় তা হচ্ছে এ কিতাব নাযিল হয়েছে বিশেষ একটি জাতিকে সম্বােধন করে। আর যারা এ কালামকে দেখে, সেই জাতিকে লক্ষ্য করে কথা বলতে গিয়ে সংক্ষিপ্ত করে কথা বলা হয়েছে। এখন বাস্তবে দেখা যায়, যাদেরকে সরাসরি আল কোরআন সম্বােধন করেছে এবং যারা আল কোরআনকে দেখেছে তাদের মধ্যে অধিকাংশই ঈমান আনেনি। এখানে দেখা যায়, আল কোরআন উদাহরণ দিতে গিয়ে সামুদ জাতির উদাহরণ দিয়েছে। যাদের মােজেযা প্রদর্শনের দাবী অনুযায়ী তাদের কাছে একটি উটনী পাঠানাে হয়েছিলাে, তারা একটি সুস্পষ্ট নিদর্শন বা মােজেযা দেখানাের দাবী করেছিলাে। তারপর যখন তাদেরকে এই নিদর্শন দেখান হলাে, অর্থাৎ তাদের কাছে মােজেযা স্বরূপ একটি উটনী পাঠানাে হলাে, তখন তারা সে উটনীটিকে হত্যা করে নিজেদের ওপর মারাত্মক যুলুম করে বসলাে এবং এ ধরনের ব্যবহার করলে তাদের ধ্বংস করে দেয়া হবে বলে আল্লাহ তায়ালা যে কথা দিয়েছিলেন সে কথাকে তারা সত্যে পরিণত করার ব্যবস্থা করে দিলাে, অর্থাৎ তারা ওই নিদর্শনের অবমাননা করলাে এবং এর ফলেই তাদের ওপর এমন গযব নাযিল করা হলাে যে গােটা জাতি একই সময়ে ধ্বংস হয়ে গেলাে। এ নিদর্শনটি পাঠানাে হয়েছিলাে তাদেরকে সতর্ক করার জন্যে ও ভয় দেখানাের উদ্দেশ্যে, বলা হয়েছিলাে তােমাদের দাবী অনুসারে মােজেযা পাঠানাে হচ্ছে-এর পরেও যদি নাফরমানী করাে এবং নবীর প্রতি ঈমান না আনাে তাহলে বিনা নােটিশে তােমাদের ওপর আল্লাহর সর্বাত্মক গযব নাযিল হবে। কিন্তু এ সতর্ক বাণীকে অগ্রাহ্য করে তারা ঈমান আনা থেকে দূরে থেকে গেলাে এবং উটনীটিকে হত্যা করে ওই নিদর্শনের অবমাননা করলাে, যার কারণে এসে গেলাে ওই সর্বাত্মক ধ্বংসলীলা এবং গােটা জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলাে। এ পর্যন্ত গােটা মানব জাতির ইতিহাস পর্যালােচনা করে দেখা গেছে যে হঠকারী লােকদের দাবী অনুযায়ী যদিও নবী রসূলরা মােজেযা দেখিয়েছেন, কিন্তু তার দ্বারা উপকার থেকে অপকারই হয়েছে বেশী এবং মানবজাতি সাধারণভাবে শেষ রসূলের কাছে অলৌকিক শক্তি (মােজেযা) দেখানাের পক্ষপাতি ছিলাে না, কারণ পরবর্তীকালের জাতিসমূহ আর কোনাে রসূলের অভিজ্ঞতা পাবে না, এজন্যে পরবর্তীতে আর কোনাে অলৌকিক ঘটনার আলােকে বিচার বিবেচনা করার সুযােগও থাকবে না। শেষ নবী মুহাম্মদ(সা.)-এর প্রদর্শিত যুক্তি আল কোরআনের ভাষাও তার মধ্যে অবস্থিত জ্ঞানগর্ভ কথাসমূহের সমাবেশ হচ্ছে এমন এক আশ্চর্য বার্তা যা যুগের পর যুগ ধরে মানব মনে দাগ কাটতে থাকবে। মানব মনের এ অনুভূতি এমনই সম্মানজনক এবং এমনই মূল্যবান যা তার মানবতাকে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলে, আর এই সত্য অনুভূতির কারণেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাকে তাঁর সৃষ্টির অনেকের ওপর সম্পর্কিত করেছেন। *মুহাম্মদ (স.)-এর মােজেযা : বস্তুগত ও ব্যাপক অর্থে মােহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ (স.)-এর কাছে মােজেযা না আসলেও তাঁকে হালকা ও মনস্তাত্বিক যে সব মােজেযা দেয়া হয়েছিলো সেগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো আল কোরআনের ভাষার মাধুর্য, যার বর্ণনা ওপরে দেয়া হয়েছে। এরপর উল্লিখিত হচ্ছে তার কাবা শরীফ থেকে বায়তুল মাকদাসের দিকে সফর এবং মেরাজ (মহাকাশ সফর) এর ঘটনাকে। প্রকৃতপক্ষে এ ঘটনা সাধারণভাবে তাদের চোখে দেখা অলৌকিক ঘটনা ছিলাে না, বরং এ ছিলাে মােমেনদের ঈমানের এক কঠিন পরীক্ষা এবং সাধারণ মানুষের জন্যেও এক বিরাট ও অসাধারণ পরীক্ষা। এরশাদ হচ্ছে, ‘আর স্মরণ করে দেখাে, ওই সময়ের কথা যখন আমি, তােমাকে বলেছিলাম। অবশ্যই তােমার রব মানুষকে তার জ্ঞানের পরিধির মধ্যে আবদ্ধ করে রেখেছেন আর… কারণ যাম বৃক্ষ দোযখের গভীর তলদেশে উৎপন্ন হবে, যার ফল অবিশ্বাসীদেরকে খেতে বাধ্য করা হবে।’ এ খবরটা কাফেরদের জন্যে একাধারে এক মহা বিপদ-সংকেত বহন করছে এবং একটি বিরাট পরীক্ষাও বটে, কারণ তাদেরই আল আমীনের পবিত্র মুখ থেকে মেরাজের এ খবরটা শুনে বাহ্যিকভাবে তারা ঠাট্টা-বিদ্রুপ করলেও তাদের অন্তরের গভীরে তারা এ কথার সত্যতা অনুভব করছিলাে, কিন্তু এর ফলে ভয়ে প্রকম্পিত হওয়া সত্তেও, স্বার্থ ও সামাজিক মর্যাদা হারানাের ভয়ে তারা ঈমান আনতে পারছিলাে না। এ জন্যে আল্লাহ তায়ালা বলছেন, ‘আমি সর্বশক্তিমান আল্লাহ, তাদেরকে (ঐ আযাবের) ভয় দেখাচ্ছি। কিন্তু তাদের দ্বারা ভীষণ বিদ্রোহাত্মক ব্যবহার ছাড়া এ ভীতি প্রদর্শন তাদের কোনাে উপকার করতে পারল না।’ মেরাজের ঘটনাটা মুসলমান-অমুসলমান নির্বিশেষে সবার জন্যেই ছিলাে এক কঠিন পরীক্ষা। অন্যান্য নবী-রসূলদের আমলে আগত মােজিযা তাে ছিলাে সরাসরি বস্তুগত জিনিস এবং কাফেরদের জন্যে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বিষয়। সে সব মােজেযা মােমেনদের জন্যে কোনাে পরীক্ষার জিনিস ছিলাে না। কিন্তু কুরাইশদের কাছে আল-আমীন মুহাম্মদের কথা ছিলাে এতােই বিস্ময়কর যা মুসলমানদের রসূল(স.)-এর মুখ দিয়ে বের হওয়া সত্তেও, তাদের কাছে এ সত্য বিষয়টাকে মেনে নেয়া বড় কঠিন ব্যাপার ছিলাে। এজন্যে এ ঘটনা তাদের জন্যেও ছিলাে এক বিরাট পরীক্ষার বিষয়। মহাকাশের সফর সম্পর্কিত বিবরণের এ পরীক্ষায় পড়ে মোমেনদের মধ্যে অনেকে মুরতাদ হয়ে গিয়েছিলাে তারা রসূলের ওপর ঈমান আনা সত্তেও, এ কঠিন পরীক্ষায় টিকতে পারেনি। অবশ্য অনেকে দৃঢ়ভাবে এ ঘটনাকে বিশ্বাসও করেছিলেন বরং তাদের ঈমান আরও মযবুত হয়ে গিয়েছিলাে। এজন্যে মেরাজের রাতে সংঘটিত সফর এবং এ সফরে আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাকে যে দৃশ্য দেখিয়েছিলেন তাকে তিনি ফিৎনাতান লিন্নাস (মানবমন্ডলীর জন্যে কঠিন পরীক্ষা) আখ্যা দিয়েছেন। অর্থাৎ, এটা ছিলাে তাদের ঈমান-এর জন্যে এক কঠিন পরীক্ষা। মানুষকে আল্লাহর ঘিরে রাখা বা তাদেরকে তার জ্ঞানের পরিধির মধ্যে আবদ্ধ করে রাখার ব্যাপারটা ছিলাে আল্লাহর তরফ থেকে রসূলের সাহায্যের জন্যে এক ওয়াদা। কাফেররা যেন তার দিকে তাদের আক্রমণের হাত তুলতে না পারে তার জন্যে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নিজেই তাকে রক্ষা করার দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছিলেন। আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে তার ওয়াদার কথা জানিয়েছেন এবং জানিয়েছেন সেই ওয়াদার কথা যা তিনি তাঁর নবীকে মেরাজের সফরের সময়ে জানিয়েছেন। এই সময়ে তিনি যাককুম বৃক্ষের কথা উল্লেখ করে মিথ্যাবাদী ও সত্যকে অস্বীকারকারীদেরকে ভয় দেখাচ্ছেন, কিন্তু এতদসত্তেও আবু জেহেল তাকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করার চেষ্টায় লেগে থাকল, এমনকি ঘৃণার সাথে এবং তির্যকভাবে সে বললাে, আমাদেরকে কিছু খুরমা এবং পনির দাও দেখি, এগুলাে তাকে দেয়া হলে সে খেতে খেতে বললাে, এগুলােকে যাককুম বানাও দেখি, আমরা তাে এগুলাের বাইরে অন্য কিছুকে যাককুম বলে জানি না! পূর্বে আগত রসূলদের জন্যে যেমন আল্লাহর নিদর্শনগুলাে ছিলাে মােজেযা এবং সেগুলােকে রেসালাতের প্রতীক বলে গণ্য করা হত, কিন্তু সেগুলাে দ্বারা গযব আনা ছাড়া যেমন আর কোনাে ফায়দা হয়নি, তেমনি মােহাম্মদুর রসূলুল্লাহ(স.)-কে যদি অনুরূপ কোনাে অলৌকিক ক্ষমতা বা নিদর্শন দেয়া হতাে তাহলে তার দ্বারা আর কী ফায়দা হতাে? মেরাজের সফর ও যাককুম বৃক্ষের দ্বারা ভীতি প্রদর্শন তাদের অহংকার ও বিদ্রোহাত্মক ব্যবহারকে কি আরও তীব্রতর করে দেয়নি? কাফেরদের বিশ্বাস ছিলো আল্লাহ তায়ালা তার আযাব নাযিল করে ওদেরকে ধ্বংস করতে পারেন না বা করবেন না আর এ জন্যে তিনি কোনাে মােজেযা নাযেল করেননি। অন্যান্যদেরকে তিনি নিদর্শন বা মােজেযাকে প্রত্যাখ্যান করার অপবাদে ধ্বংস করার এরাদা করেছিলেন বলেই তিনি তা করেছেন কিন্তু কওমে নূহ, কওমে হুদ, কওমে সালেহ, কওমে লূৎ ও কওমে শােয়ায়বকে যেমন করে চিরতরে ধ্বংস করে দিয়েছেন, তেমনি করে তিনি কোরায়শ জাতিকে ধ্বংস করবেন না, বরং তাদেরকে অবশ্যই সময় দিয়েছেন এবং দেবেন। আর (প্রকৃতপক্ষে) সত্যকে প্রত্যাখ্যানকারীদের মধ্য থেকেও তাে পরবর্তীতে অনেকে ঈমান এনেছে। তারা ইসলামের প্রকৃত সৈনিকে পরিণত হয়েছেন এবং সব থেকে সম্ভ্রান্ত ও সত্যনিষ্ঠ মােমেন হিসাবেও পরিচিত হয়েছেন। অপর দিকে কোরআনের ভাব, ভাষা ও ভংগি সব কিছু এ কিতাব নিজেই ইসলামের এক মোজেযা। এ মহান কিতাব কারও দৃষ্টির অন্তরালে নেই-এ কিতাব মােহাম্মদ(স.)-এর কওমের সবার সামনে রয়েছে সদা উন্মুক্ত, পরবর্তীকালের সকল জাতির অধ্যয়নের জন্যেও রয়েছে অবারিত সুযোগ। তাই দেখা যায়, যারা রসূলুল্লাহ(স.)-কে দেখেনি, তার যামানা পায়নি, সাহাবায়ে কেরামের যামানাও পায়নি। তারাও এ পাক কালামের ওপর ঈমান এনেছে। এইভাবে যে কোনাে ব্যক্তি পরবর্তীতে ঈমান এনেছে, সে অবশ্যই কুরআন পড়েছে এবং এর মায়াময় বাণীতে মুগ্ধ হয়েছে। এর বাচন ভংগি, শব্দ চয়ন, বর্ণনা মাধুর্য এবং এর মধ্যে অবস্থিত ভাষা শৈলী সব কিছু তাকে এতােই মু্গ্ধ করেছে যে তার অন্তরের গভীরে এ কিতাবের জন্যে এবং এ কিতাবের মধ্যে উপস্থাপিত বিষয়াদির জন্যে সে গভীর মােহব্বত অনুভব করেছে, শত বৈরী মনােভাবও এ পাক কালামের আকর্ষণে, আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়েছে। তাতেই তাে আমরা দেখতে পাই, ইসলাম গ্রহণের পূর্বে এ পাক কালামের সংস্পর্শে এসে ফারুকে আযম হযরত ওমরের মধ্যে এক প্রবল ভাবান্তর। অবশ্যই এ মহান কিতাব নাযিল হয়েছে সকল মানবমন্ডলীর হেদায়াতের জন্যে, কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসাবে কুক্ষিগত করে রেখে দেয়ার জন্যে নয়। তাই, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবারই রয়েছে এ কালাম পড়ার অবারিত অধিকার। এই অধিকার নিয়ে, নিজের কিতাব হওয়ার দাবী নিয়ে যখন যে কোনাে ব্যক্তি এ কিতাব অধ্যয়ন করবে, তার মন বলবে-এ কিতাব তাকেই সম্বােধন করছে, তখন তার অজান্তেই সৃষ্টি হবে এ কিতাবের জন্যে, এ কিতাবের বিষয়াদির জন্যে এক প্রচন্ড আকর্ষণ, এক গভীর ভালােবাসা, আর তখনই সে আহ্বানে সাড়া দিতে সে বাধ্য হবে; তার ঈমান হবে মযবুত এবং তার আমল হবে সুগঠিত, সুসংবদ্ধ, সুসম্পন্ন; আর তখনই সে পেছনের অনেকের তুলনায় ইসলামের জন্যে অনেক বেশী উপকারী বন্ধুতে পরিণত হবে।
তাফসীরে হাতহুল মাজিদ বলেছেন:-
৫৯ নং আয়াতের তাফসীর:
শানে নুযূল:
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: মক্কাবাসী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আবেদন করল সাফা পাহাড় তাদের জন্য স্বর্ণে পরিণত করে দেয়ার জন্য এবং মক্কা থেকে পাহাড়-পর্বত সরিয়ে দেয়ার জন্য, তারা সেখানে আবাদ করবে। ঐ সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট ওয়াহী আসল। এতে তাকে বলা হল, আপনি যদি তাদেরকে অবকাশ দেন তাহলে অবকাশ দেয়া হবে আর যদি তারা যা চায় তা দিতে বলেন, তাহলে তা-ই দেব কিন্তু এর পরেও যদি তারা অস্বীকার করে তাহলে তারা তাদের পূর্ববর্তী জাতির মত ধ্বংস হয়ে যাবে। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে অবকাশ দেয়ার কথা বললেন। তখন আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াতটি অবতীর্ণ করেন। (আহমাদ হা: ২৫৮, বাইহাক্বী ফিল কুবরা হা: ৩৮০) (লুবাবুন নুকুল ফি আসবাবিন নুযূল-পৃ.১৭০)
এই আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বর্ণনা করছেন যে, মানুষের ইচ্ছা অনুযায়ী নিদর্শন প্রেরণ করা আল্লাহ তা‘আলার জন্য কোন কঠিন কাজ নয়। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা এ থেকে বিরত থাকেন এ জন্য যে, পূর্বের জাতিরাও এরূপ নিদর্শন দাবী করেছিল তাদের তা দেয়ার পর তারা তাতে ঈমান আনার বিপরীতে কুফরী করল। ফলে তারা ধ্বংস হয়ে যায়। অনুরূপভাবে তাদেরকেও যদি তিনি নিদর্শন দিয়ে দেন আর তারা তাতে কুফরী করে তাহলে তাদেরকেও ধ্বংস করা হবে। যার ফলে আল্লাহ তা‘আলা তাদের ইচ্ছানুযায়ী নিদর্শন অবতীর্ণ করেন না। উদাহরণস্বরূপ আল্লাহ তা‘আলা সামূদ জাতির কথা উল্লেখ করেছেন, তাদের দাবী অনুযায়ী দশমাসের গর্ভবতী উষ্ট্রী দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এ নিদর্শন পাওয়ার পরেও নাবীর প্রতি ঈমান না আনা ও আল্লাহ তা‘আলার এ নিদর্শনকে হত্যার কারণে ভীষণ ভূমিকম্প এবং ওপর থেকে বিকট ও ভয়াবহ এক গর্জন দ্বারা তাদের ধ্বংস করে দেয়া হয়। ফলে সবাই যার যার স্থানে একযোগে অধোমুখী হয়ে ভূতলশায়ী হল (সূরা আ‘রাফ ৭:৭৮, হূদ ১১::৬৭-৬৮) এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত হল এমনভাবে, যেন তারা কোনদিন সেখানে বসবাস করেনি। এদের সম্পর্কে সূরা আ‘রাফের ৭৩-৭৯ নং আয়াতের আলোচনা করা হয়েছে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. নিদর্শন প্রেরণ করার একমাত্র উদ্দেশ্য হল মানুষকে সতর্ক করা।
২. নিদর্শন প্রেরণ করা আল্লাহ তা‘আলার নিকট কোন কঠিন কাজ নয়।
৩. নিদর্শন অমান্য করলে সাথে সাথে আল্লাহ তা‘আলার শাস্তি এসে যায়।
৬০ নং আয়াতের তাফসীর:
এখানে আল্লাহ তা‘আলা বর্ণনা করছেন যে, তিনি সমস্ত মানুষকে পরিবেষ্টন করে আছেন। সুতরাং কোন মানুষ তাঁর রাসূলের কোন ক্ষতি সাধন করতে পারবে না, তারা যত শক্তিশালীই হোক না কেন।
(وَمَا جَعَلْنَا الرُّؤْيَا الَّتِيْٓ أَرَيْنٰكَ…. )
এখানে أَرَيْنٰكَ বলতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মি‘রাজের রাত্রিতে যা দেখানো হয়েছিল তার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।
(وَالشَّجَرَةَ الْمَلْعُوْنَةَ)
বলতে যাক্কুম বৃক্ষকে বুঝানো হয়েছে।
(اَذٰلِکَ خَیْرٌ نُّزُلًا اَمْ شَجَرَةُ الزَّقُّوْمِﮍاِنَّا جَعَلْنٰھَا فِتْنَةً لِّلظّٰلِمِیْنَﮎاِنَّھَا شَجَرَةٌ تَخْرُجُ فِیْٓ اَصْلِ الْجَحِیْمِﮏﺫ)
“এ সকল আপ্যায়ন উত্তম, নাকি যাক্কুম গাছ? আমি তা সৃষ্টি করেছি জালিমদের জন্য শাস্তিস্বরূপ। এটি এমন বৃক্ষ, যা উৎপন্ন হয় দোযখের তলদেশ থেকে।” (সূরা স্বফ্ফাত ৩৭:৬২-৬৪)
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. জাহান্নাম থেকে যে বৃক্ষ উৎগত হয় সে সম্পর্কে জানলাম।
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন্য বলেছেন :-
ইন্দ্রিয় মু’জিযাসমূহ, যেগুলো সংঘটিত করা বা পাঠানো হয় নবুওয়াতের প্রমাণ হিসেবে। মক্কার কাফেররা বারবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এগুলোর দাবী জানিয়ে আসছিল।
# এখানে বক্তব্য হচ্ছে এই যে, এ ধরনের মু’জিযা দেখার পর যখন লোকেরা একে মিথ্যা বলতে থাকে তখন তাদের ওপর আযাব নাযিল হওয়া অনিবার্য হয়ে পড়ে এবং তখন এ জাতিকে ধ্বংস করা ছাড়া আর কোন পথ থাকে না। মানবজাতির অতীত ইতিহাস প্রমাণ করে, বিভিন্ন জাতি সুস্পষ্ট মু’জিযা দেখে নেবার পরও সেগুলোকে মিথ্যা বলেছে, ফলে তাদেরকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এখন এটা পুরোপুরি আল্লাহর রহমত যে, তিনি এমন ধরনের কোন মু’জিযা আর পাঠাচ্ছেন না। কিন্তু তোমরা এমনি নির্বোধ যে, মু’জিযার দাবী জানিয়ে সামূদ জাতির পরিণাম ভোগ করতে চাচ্ছো।
# কোন ম্যাজিক বা দর্শনীয় খেলা দেখানোর উদ্দেশ্যে কখনো মু’জিযা দেখানো হয় না। সব সময় মু’জিযা এ উদ্দেশ্যে দেখানো হয়েছে যে, লোকেরা তা দেখে সাবধান হয়ে যাবে, তারা বুঝতে পারবে নবীর পেছনে আছে এক সর্বময় শক্তিশালী সত্তার অসীম ক্ষমতা এবং তাঁর নাফরমানীর পরিণাম কি হতে পারে তাও তারা জানতে পারবে।
# তোমার নবুওয়াতী দাওয়াতের সূচনালগ্নেই যখন মক্কার এ কাফেররা তোমার বিরোধিতা করতে এবং তোমার পথে প্রতিবন্ধকতা দাঁড় করাতে শুরু করেছিল তখনই আমি পরিষ্কার ভাষায় ঘোষণা করেছিলাম, আমি এ লোকদেরকে ঘিরে রেখেছি, এরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে দেখে নিক, কোনভাবেই এরা তোমার দাওয়াতের পথ রোধ করতে পারবে না এবং তুমি যে কাজে হাত দিয়েছো সব রকমের বাধা-বিপত্তি সত্বেও সে কাজ সম্পন্ন হবেই। এখন যদি এ লোকদেরকে মু’জিযা দেখিয়ে সতর্ক করতে হয় তাহলে এ মু’জিযা তাদেরকে আগেই দেখানো হয়ে গেছে অর্থাৎ শুরুতে যা কিছু বলা হয়েছিল তা পুরা হয়ে গেছে, এদের কোন বিরোধিতাই ইসলামী দাওয়াতের অগ্রগতি রুখে দিতে পারেনি এবং এদের এ প্রচেষ্টা তোমার এক চুল পরিমাণও ক্ষতি করতে পারেনি। এদের দেখার মতো চোখ থাকলে এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করে এরা নিজেরাই বুঝতে পারে যে, নবীর এ দাওয়াতের পেছনে আল্লাহর হাত সক্রিয় রয়েছে। আল্লাহ বিরোধীদেরকে ঘিরে রেখেছেন এবং নবীর দাওয়াত আল্লাহর হেফাজতে রয়েছে—একথা মক্কার প্রাথমিক যুগের সূরাগুলোতে বিভিন্ন জায়গায় বলা হয়েছে। যেমন সূরা বুরুজে বলা হয়েছেঃ
الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا فِیۡ تَکۡذِیۡبٍ ﴿ۙ۱۹﴾
وَّ اللّٰہُ مِنۡ وَّرَآئِہِمۡ مُّحِیۡطٌ ﴿ۚ۲۰﴾
“কিন্তু এ কাফোররা মিথ্যা বলার ও অস্বীকার করার কাজে লেগেই আছে এবং আল্লাহ সবদিক থেকে তাদেরকে ঘেরাও করে রেখেছেন।” (আয়াতঃ ১৯-২০)
# মি’রাজের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। তাই এখানে রু’ইয়া শব্দটি ব্যবহৃত হলেও এর মানে এখানে স্বপ্ন নয় বরং এখানে এর মানে হচ্ছে চোখে দেখা। এটা নিছক স্বপ্ন হলে এবং নবী ﷺ কাফেরদের সামনে এটাকে স্বপ্ন হিসেবেই বর্ণনা করলে এটা তাদের জন্য ফিতনা হবার কোন কারণই ছিল না। একটার চাইতে একটা বেশী অদ্ভূত স্বপ্ন দেখা হয় এবং লোকদের সামনে বর্ণনাও করা হয় কিন্তু তা কখনো কারো জন্য এমন সমস্যা হয়ে দেখা দেয় না যে, লোকেরা এজন্য যে স্বপ্ন দেখেছে তাকে বিদ্রূপ করতে থেকেছে এবং তার প্রতি মিথ্যাচার ও পাগলপনার অপবাদ দিয়েছে।
# “যাক্কুম।” এ সম্পর্কে কুরআনে খবর দেয়া হয়েছে, এ গাছটি জাহান্নামের তলদেশে উৎপন্ন হবে এবং জাহান্নামীদের তা খেতে হবে। একে অভিশপ্ত করার মানে হচ্ছে এই যে, আল্লাহর রহমত থেকে এ গাছটি দূরে থাকবে। অর্থাৎ এটি আল্লাহর রহমতের নিদর্শন নয়। আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে লোকদের আহারের সংস্থান করার জন্য এ গাছটি উৎপন্ন করবেন না বরং এটি হবে তাঁর লানতের নিদর্শন। অভিশপ্ত লোকদের জন্য তিনি এটি উৎপন্ন করবেন। তারা ক্ষুধার জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে একেই খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করবে। ফলে তাদের কষ্ট আরো বেড়ে যাবে। সূরা “দুখান”–এ এ গাছের যে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে তা হচ্ছে এই যে, জাহান্নামীরা যখন তা খাবে, তাদের পেটে আগুন লেগে যাবে, মনে হবে যেন তাদের পেটের মধ্যে পানি টগবগ করে ফুটছে।
# এদের কল্যাণের জন্য আমি তোমাকে মি’রাজের মাধ্যমে বিভিন্ন জিনিস সরাসরি দেখিয়েছি, যাতে তোমার মতো সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত ব্যক্তির মাধ্যমে এ লোকেরা যথার্থ সত্যের জ্ঞান লাভ করতে পারে এবং এভাবে সতর্ক হয়ে সঠিক পথ অবলম্বন করতে সক্ষম হয়। কিন্তু এরা উল্টো এ ঘটনার ভিত্তিতে তোমাকে বিদ্রূপ করেছে। আমি তোমার মাধ্যমে এদেরকে এ মর্মে সতর্ক করে দিয়েছি যে, এখানে হারাম খাওয়ার পরিণামে তোমাদের যাক্কুম খেতে বাধ্য করা হবে। কিন্তু তারা এ বক্তব্যকে বিদ্রূপ করে বলেছেঃ দেখো, দেখো, এ ব্যক্তির অবস্থা দেখো, একদিকে বলছে, জাহান্নামের আগুন দাউদাউ করে জ্বলবে আবার অন্যদিকে খবর দিচ্ছে, সেখানে গাছ জন্মাবে!
তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
# রাসূলুল্লাহর (সঃ) যুগে কাফিররা তাকে বলেছিলঃ “হে মুহাম্মদ (সঃ)! আপনার পূর্ববর্তী নবীদের কারো অনুগত ছিল বাতাস, কেউ মৃতকে জীবিত করতেন ইত্যাদি। আপনি যদি চান যে, আমরাও আপনার উপর ঈমান আনয়ন করি তবে আপনি এই সাফা পাহাড়টিকে সোনার পাহাড় করে দিন। তাহলে আমরা আপনার সত্যাবাদীতা স্বীকার করে নেবো।” ঐ সময় রাসূলুল্লাহর (সঃ) উপর ওয়াহী আসলোঃ “হে নবী (সঃ)! যদি তোমারও এই আকাংখা হয় যে, আমি একে সোনা করি দেই তবে এখনই আমি এটাকে সোনা করে দিচ্ছি। কিন্তু মনে রাখবে যে, এর পরেও যদি এরা ঈমান আনয়ন না করে তবে আর তাদেরকে অবকাশ দেয়া হবে না। সাথে সাথেই শাস্তি নেমে আসবে এবং এদেরকে ধ্বংস করে দেয়া হবে। আর যদি তুমি তাদেরকে অবকাশ দেয়া ও চিন্তা করার সুযোগ দেয়া পছন্দ কর তবে আমি তা-ই করবো।” রাসূলুল্লাহ (সঃ) উত্তরে বললেনঃ “হে আল্লাহ! তাদেরকে বাকী রাখলেই আমি খুশী হবো।” মুসনাদে আরো এটুকু বেশী আছে যে, তারা বলেছিলঃ ‘বাকী’র অন্যান্য পাহাড়গুলি এখান থেকে সরিয়ে দেয়া হোক, যাতে আমরা এখানে চাষাবাদ করতে পারি (শেষ পর্যন্ত)।”
অন্য রিওয়াইয়াতে আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করেন, তখন হযরত জিবরাঈল (আঃ) আগমন করেন এবং বলেনঃ “আপনার প্রতিপালক আপনাকে সালাম জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে, যদি আপনি চান তবে সকালেই এই পাহাড়টিকে সোনা বানিয়ে দিবেন। কিন্তু এর পরেও যদি তাদের মধ্যে কেউই ঈমান না আনে তবে তাদেরকে এমন শাস্তি দেয়া হবে যা ইতিপূর্বে কাউকেও দেয়া হয় নাই। আর যদি আপনি চান তবে তিনি তাদের জন্যে তাওবা ও রহমতের দরজা খুলে রাখবেন।” রাসূলুল্লাহ (সঃ) দ্বিতীয়টিই গ্রহণ করেন।
মুসনাদে আবি ইয়ালায় বর্ণিত আছে যে, যখন (আরবি) এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয় তখন আল্লাহ তাআলার এই নিদের্শ পালন করার লক্ষ্যে রাসূলুল্লাহ (সঃ) “জাবালে আবি কুরায়েশ’-এর উপর আরোহণ করে বলে ওঠেনঃ “হে আবদে মানাফ! আমি তোমাদেরকে ভয় প্রদর্শনকারী।” এই শব্দ শোনা মাত্রই কুরায়েশরা সেখানে একত্রিত হয়ে যায়। অতঃপর তারা তাঁকে বলেঃ “শুনুন, আপনি নবুওয়াতের দাবীদার। হযরত সুলাইমানের (আঃ) অনুগত ছিল বাতাস। হযরত মূসার (আঃ) বাধ্য ছিল সমুদ্র। হযরত ঈসা (আঃ) মৃতকে জীবিত করতেন। আপনিও যখন একজন নবী তখন এই পাহাড়টিকে এখান থেকে সরিয়ে দিয়ে এই জায়গাকে চাষের উপযুক্ত করে তুলুনঃ যাতে আমরা এখানে কৃষিকার্য করতে পারি। এটা না হলে আমাদের মৃতদেরকে জীবিত করার জন্যে আপনার প্রতিপালকের নিকট প্রার্থনা করুন যাতে আমরা ও তারা মিলিত হয়ে কথাবার্তা বলতে পারি। যদি এটা না হয় তবে এই পাহাড়টিকে সোনা বানিয়ে দিন যাতে আমরা শীত ও গ্রীষ্মের সফর থেকে মুক্তি লাভ করতে পারি।” তৎক্ষণাৎ তাঁর প্রতি ওয়াহী নাযিল হতে শুরু হয়। এটা শেষ হলে তিনি তাদেরকে বলেনঃ “যাঁর হাতে আমার প্রাণ। রয়েছে তাঁর শপথ! তোমরা আমার কাছে যা কিছু চেয়েছিলে ওগুলো হয়ে যাওয়া এবং এর পরেও ঈমান না আনলে রহমতের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়া অথবা তোমাদের জন্যে রহমতের দরজা খোলা থাকা, যাতে তোমরা ঈমান ও ইসলাম আনয়নের পর আল্লাহর রহমত জমা করে নাও, এ দুটোর মধ্যে যে কোন একটি গ্রহণ করার আমাকে অধিকার দেয়া হয়েছে। আমি তোমাদের জন্যে রহমতের দরজা খোলা থাকাকেই পছন্দ করেছি। কেননা, প্রথম অবস্থায় তোমরা ঈমান না আনলে তোমাদের উপর এমন শাস্তি অবতীর্ণ হতো যা তোমাদের পূর্বে আর কারো উপর অবর্তীণ হয় নাই। তাই আমি ভয় পেয়ে গিয়ে দ্বিতীয়টি গ্রহণ করেছি।” তখন এই আয়াত অবতীর্ণ হয়। আর (আরবি) এই আয়াতও অবতীর্ণ হয়।
অর্থাৎ নিদর্শনগুলি পাঠাতে এবং তাদের আকাংখিত মু’জিযা’গুলি দেখাতে আমার অপারগতা নেই; বরং এগুলো আমার কাছে খুবই সহজ। তোমার কওম যেগুলি দেখতে চাচ্ছে আমি সেগুলি তাদেরকে দেখিয়ে দিতাম। কিন্তু ঐ অবস্থায় তারা ঈমান না আনলে তারা আমার শাস্তির কবলে পতিত হতো। পূর্ববর্তী লোকদের কথা চিন্তা কর, তারা এতেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
সূরায়ে মায়েদায় রয়েছেঃ “আমি এই খাদ্য তোমাদের উপর অবতীর্ণ করবো, অনন্তর তোমাদের মধ্যে যে এর পর অকৃতজ্ঞ হবে আমি তাকে এমন শাস্তি দিবো যে, বিশ্বাসীদের মধ্যে ঐ শাস্তি আর কাউকেও দিবো না।”
সামূদদেরকে দেখো যে, তারা একটি বিশেষ পাথরের মধ্য হতে একটি উষ্ট্রী বের হওয়া দেখতে চাইলো। হযরত সালেহের (আঃ) প্রার্থনায় তা বের হলো। কিন্তু তবুও তারা মানলো না। তারা উষ্ট্রীর পা কেটে ফেললো এবং নবীকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করলো। এরপর তাদেরকে তিন দিনের অবকাশ দেয়া হলো। তাদের ঐ উষ্ট্রীটিও আল্লাহ তাআলার একত্বের একটি নিদর্শন ছিল এবং তাঁর রাসূলের সত্যবাদিতার একটি চিহ্ন ছিল। কিন্তু ঐ লোকগুলি এর পরেও কুফরী করে এবং ওর পানি বন্ধ করে দেয়। শেষ পর্যন্ত ওকে হত্যা করে ফেলে। এরই শাস্তি হিসেবে তাদের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সকলকেই ধ্বংস করে দেয়া হয় এবং প্রবল পরাক্রান্ত আল্লাহর কাছে তারা পাকড়াও হয়। এই আয়াতগুলি শুধু ধমকের জন্যেই অবতীর্ণ হয় যাতে তারা উপদেশ ও শিক্ষা গ্রহণ করে।
হযরত ইবনু মাসউদের (রাঃ) যুগে কুফায় ভূমিকম্প হয়। তখন তিনি জনগণকে বলেনঃ “আল্লাহ তাআলা চান যে, তোমরা তাঁর দিকে ঝুঁকে পড়। অনতিবিলম্বে তোমাদের তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করা উচিত।” হযরত উমারের (রাঃ) যুগে মদীনায় কয়েকবার ঝটকা বা টান অনুভূত হয়। তখন তিনি জনগণকে বলেনঃ “আল্লাহর কসম! অবশ্যই তোমাদের দ্বারা নতুন কিছু। (অন্যায়) সংঘটিত হয়েছে। এর পর যদি তোমাদের দ্বারা এইরূপ কিছু ঘটে, তবে আমি তোমাদেরকে কঠিন শাস্তি দিবো।”
সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “সূর্য। ও চন্দ্র আল্লাহ তাআলার নিদর্শনাবলীর মধ্যে দু’টি নিদর্শন। এগুলিতে কারো মরণ ও জীবনের কারণে গ্রহণ লাগে না বরং আল্লাহ তাআলা এগুলির মাধ্যমে মানুষকে ভয় দেখিয়ে থাকেন। সুতরাং যখন তোমরা এইরূপ দেখবে তখন আল্লাহর যিকর, দুআ ও ক্ষমা প্রার্থনার দিকে ঝুঁকে পড়বে। হে মুহাম্মদের (সঃ) উম্মত! আল্লাহর কসম! আল্লাহ তাআলা অপেক্ষা অধিক লজ্জা ও মর্যাদাবোধ আর কারো নেই যে, তাঁর বান্দা ও বান্দী ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে পড়ে। হে উম্মতে মুহাম্মদী (সঃ)! আল্লাহর শপথ! আমি যা জানি যদি তা তোমরা জানতে তবে তোমরা হাসতে কম ও কাঁদতে বেশী।”
# মহামহিমান্বিত আল্লাহ স্বীয় রাসূলকে (সঃ) দ্বীনের তাবলীগের কাজে উৎসাহিত করছেন এবং তাঁকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তিনি বলছেন যে, সমস্ত লোক তাঁরই ক্ষমতাধীন। তিনি সবারই উপর জয়যুক্ত। সবাই তার অধীনস্থ। কাজেই হে নবী (সঃ)! তোমার প্রতিপালক তোমাকে এই সব কাফির ও মুশরিক থেকে রক্ষা করবেন।
আমি তোমাকে যা দেখিয়েছি তা জনগণের জন্যে একটা স্পষ্ট পরীক্ষা। এই দেখানো ছিল মিরাজের রাত্রির সাথে সম্পর্কিত, যা তিনি স্বচক্ষে দেখছিলেন। আর ঘৃণ্য ও অভিশপ্ত বৃক্ষ দ্বারা ‘যাককুম’ বৃক্ষকে বুঝানোহয়েছে। বহু তাবিঈ এবং হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, এই দেখানো ছিল চোখকে দেখানো, যা মিরাজের রাত্রে দেখানোহয়েছিল। মিরাজের হাদীসগুলি খুবই বিস্তারিতভাবে এই সূরার শুরুতে আমরা বর্ণনা করেছি। এটাও বর্ণিত হয়েছে যে, মিরাজের ঘটনা শুনে বহু মুসলমান ধর্মত্যাগী হয়ে যায় এবং সত্য হতে ফিরে আসে। কেননা, তাদের জ্ঞানে এটা ধরে নাই। তাই, তারা অজ্ঞতা। বশতঃ এটাকে মিথ্যা মনে করে এবং দ্বীনকে ছেড়ে দেয়। অপরপক্ষে যাদের ঈমান ছিল পূর্ণ, তাদের ঈমান এতে আরো বৃদ্ধি পায় এবং বিশ্বাস দৃঢ় হয়, স্থৈর্য ও স্থিরতায় তারা বেড়ে যায়। সুতরাং আল্লাহ তাআলা এই ঘটনাকে জনগণের পরীক্ষার একটা মাধ্যম করে দেন।
রাসূলুল্লাহ (সঃ) যখন খবর দেন এবং কুরআন কারীমের আয়াত অবতীর্ণ হয় যে, জাহান্নামীদেরকে যাককুম বৃক্ষ খাওয়ানো হবে, আর তিনি স্বয়ং এ গাছ দেখে এসেছেন, তখন অভিশপ্ত আয়ূ জেহেল বিদ্রুপের ছলে বলতে লাগলোঃ “খেজুর ও মাখন নিয়ে এসো এবং ওরই যাককূম তৈরী কর অর্থাৎ, এ দুটোকে মিশ্রিত করে খেয়ে নাও। এটাই যাককুম। সুতরাং এই খাদ্যে ভয় পাওয়ার কি আছে?” এভাবে সে ও অন্যান্য কাফিররা এটাকে অবিশ্বাস করে। একটি উক্তি এও আছে যে, এর দ্বারা বানু উমাইয়াকে বুঝানো হয়েছে। কিন্ত এ উক্তিটি খুবই দুর্বল। প্রথম উক্তিটির উক্তিকারী ঐ সব মুফাসসির রয়েছেন যারা এই আয়াতকে মিরাজের ব্যাপারে অবতারিত বলে মেনে থাকেন। যেমন হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) , হযরত মাসরূক (রাঃ) হযরত আবু মালিক (রাঃ) ও হযরত হাসান বসরী (রঃ) প্রভৃতি।
হযরত সাহল ইবনু সাঈদ (রাঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) অমুক গোত্রীয় লোকদেরকে তাঁর মিম্বরের উপর বানরের মত নাচতে দেখে খুবই দুঃখিত হন। তারপর মৃত্যু পর্যন্ত তাঁকে কখনো পূর্ণ হাস্যে হাস্য করতে দেখা যায় নাই। এই আয়াতে ঐ দিকেই ইশারা করা হয়েছে। (এটা ইমাম ইবনু জারীর (রঃ) বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এই সনদটি খুবই দুর্বল। মুহাম্মদ ইবনু হাসান ইবনু যিয়াদ পরিত্যক্ত এবং তার ইসনাদও সম্পূর্ণরূপে দুর্বল। স্বয়ং ইমাম ইবনু জারীরের (রঃ) পছন্দনীয় উক্তিও এটাই যে, এর দ্বারা মি’রাজের রাত্রিকে বুঝানো হয়েছে এবং গাছটি হচ্ছে যাককূম গাছ। কেননা, তাফসীরকারগণ এতে একমত)
মহান আল্লাহ বলেনঃ “আমি কাফিরদেরকে শাস্তি ইত্যাদি দ্বারা ভয় প্রদর্শন করছি। কিন্তু তারা তাদের হঠকারিতা ও বেঈমানীতে বেড়েই চলেছে।
….
আসসালামুয়ালাইকুম।
সম্মানিত খোতিব-গন:-
আপনি কি ধারাবাহিক ভাবে খোতবা দিতে পারেন!! ???
সুরা বাকারার থেকে শুরু করে নাস পর্যন্ত….
এতে কয়েক বছরের মধ্যে পুরো কুরআন বুঝাতে পারবেন….
ইনশাআল্লাহ….
উদাহরণ স্বরুপ:-
সুরা বাকারার ১-৫ নং আয়াতে মুমিনদের আলোচনা।
৬-৭ নং আয়াতে কাফেরদের আলোচনা।
৮-২০ নং আয়াতে মুনাফাক দের আলোচনায়।
২১ নং আয়াতে সকল মানুষ বলে সবাইকে বলা হয়েছে।
এইভাবে পুরো কুরআন সবাই কে বুঝতে পারবেন…
ইনশাআল্লাহ।
…..
READ MORE
(Book# 114/١٦١)-৩৬৩ www.motaher21.net إِنَّ الْمُنَافِقِينَ يُخَادِعُونَ اللّهَ وَهُوَ خَادِعُهُمْ Verily, the hypocrites seek to deceive Allah, but it is He Who deceives them. নিশ্চয় মুনাফিকরা আল্লাহকে ধোঁকা দেয়। আর তিনি তাদেরকে ধোঁকায় ফেলেন। সুরা: আন-নিসা আয়াত নং :-১৪২-১৪৩
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ (Book# 114/١٦١)-৩৬৩ www.motaher21.net إِنَّ الْمُنَافِقِينَ يُخَادِعُونَ اللّهَ وَهُوَ خَادِعُهُمْ Verily, the[…]
READ MORE
(Book# 114/١٤١)-৩৪৩ www.motaher21.net فَمَا لَكُمْ فِي الْمُنَافِقِينَ فِيَتَيْنِ মুনাফিকদের ব্যাপারে তোমাদের কী হল যে, তোমরা দু’ দল হয়ে গেলে? What is the matter with you that you are divided into two parties about the hypocrites? সুরা: আন-নিসা আয়াত নং :-৮৮-৯১
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ (Book# 114/١٤١)-৩৪৩ www.motaher21.net فَمَا لَكُمْ فِي الْمُنَافِقِينَ فِيَتَيْنِ মুনাফিকদের ব্যাপারে তোমাদের[…]
READ MORE
(Book# 114/ন) মুনাফিকদের চরিত্র । The character of hypocrites . وَهُوَ أَلَدُّ الْخِصَامِ
The character of hypocrites
READ MORE
(বই#৮৬১) সুরা:- আল্ জুমআ। সুরা:৬২ ০৫-০৮ নং আয়াত:- [ ثُمَّ لَمۡ یَحۡمِلُوۡہَا کَمَثَلِ الۡحِمَارِ یَحۡمِلُ اَسۡفَارًا ؕ কিন্তু তারা তা বহন করেনি, তারা গাধার মত! যে বহু পুস্তক বহন করে।] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ (বই#৮৬১) সুরা:- আল্ জুমআ। সুরা:৬২ ০৫-০৮ নং আয়াত:- [ ثُمَّ لَمۡ[…]
READ MORE
(বই#৮৬১) সুরা:- আল্ জুমআ। সুরা:৬২ ০৫-০৮ নং আয়াত:- [ ثُمَّ لَمۡ یَحۡمِلُوۡہَا کَمَثَلِ الۡحِمَارِ یَحۡمِلُ اَسۡفَارًا ؕ কিন্তু তারা তা বহন করেনি, তারা গাধার মত! যে বহু পুস্তক বহন করে।] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ (বই#৮৬১) সুরা:- আল্ জুমআ। সুরা:৬২ ০৫-০৮ নং আয়াত:- [ ثُمَّ لَمۡ[…]
READ MORE
(Book#860) Sura:62 Sura: Al-Zuma Ayat: 01-04 [ وَّ اٰخَرِیۡنَ مِنۡہُمۡ لَمَّا یَلۡحَقُوۡا بِہِمۡ ؕ Others of them who have not yet joined them.] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ (Book#860) Sura:62 Sura: Al-Zuma Ayat: 01-04 [ وَّ اٰخَرِیۡنَ مِنۡہُمۡ لَمَّا[…]
READ MORE
(বই#৮৬০) সুরা:- আল্ জুমআ। সুরা:৬২ ০১-০৪ নং আয়াত:- [ وَّ اٰخَرِیۡنَ مِنۡہُمۡ لَمَّا یَلۡحَقُوۡا بِہِمۡ ؕ তাদের মধ্য হতে অন্যান্যদের জন্যও যারা এখনো তাদের সাথে মিলিত হয়নি।] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ (বই#৮৬০) সুরা:- আল্ জুমআ। সুরা:৬২ ০১-০৪ নং আয়াত:- [ وَّ اٰخَرِیۡنَ[…]
READ MORE
(Book #859) [What is hypocrite?Why & How? Book Number -25] Surah # Al-Munafequn Surah #63 Verses:-9-11 [ یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تُلۡہِکُمۡ اَمۡوَالُکُمۡ وَ لَاۤ اَوۡلَادُکُمۡ عَنۡ ذِکۡرِ اللّٰہِ ۚ O you who have believed, let not your wealth and your children divert you from remembrance of Allah . ‘হে মুমিনগণ ! তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান–সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণে উদাসীন না করে।] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ (Book #859) [What is hypocrite?Why & How? Book Number -25] Surah[…]
READ MORE
(Book # 858) [What is Munafiq? Why?& How? Book # 24] Surah#63 Surah :- Al-Munafequn Number 5-8 Ayat:- [ وَ لٰکِنَّ الۡمُنٰفِقِیۡنَ لَا یَفۡقَہُوۡنَ ﴿۷﴾ But the hypocrites do not understand.] www.motaher21.net
Engr Motaher: Requested for your feedback. About Author بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم আসসালামুয়ালাইকুম। মুহতারাম, মহান আল্লাহ তায়ালা শুকরিয়া জানাই, আল্[…]
READ MORE
(Book#857) [Munafiq: What is That:- Book Number#23] Surah:-63 Surah:- Al-Munafequn Ayat:- 1-4 numbers. [اِذَا جَآءَکَ الۡمُنٰفِقُوۡنَ قَالُوۡا When the hypocrites come to you,] www.motaher21.net
[12/2, 12:59 PM] Engr Motaher: Requested for your feedback. About Author بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم আসসালামুয়ালাইকুম। মুহতারাম, মহান আল্লাহ তায়ালা[…]
READ MORE
(বই#৮৫৬) [জুমার আজান হলে, কেনা-বেচা ত্যাগ কর,] সুরা:- আল্ জুমআ। সুরা:৬২ ৯-১১ নং আয়াত:- [ یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا نُوۡدِیَ لِلصَّلٰوۃِ مِنۡ یَّوۡمِ الۡجُمُعَۃِ হে ঈমানদারগণ ! জুমু’আর দিনে যখন সালাতের জন্য ডাকা হয়:-] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ (বই#৮৫৬) [জুমার আজান হলে, কেনা-বেচা ত্যাগ কর,] সুরা:- আল্ জুমআ। সুরা:৬২[…]
READ MORE
(বই#৮৩৫) সুরা: আল্ বনি ইসরাইল সুরা:১৭ ১৫-নং আয়াত:- [ وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی ؕ কেউ অন্য কারো ভার বহন করবে না। No bearer of burdens will bear the burden of another.] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيم (বই#৮৩৫) সুরা: আল্ বনি ইসরাইল সুরা:১৭ ১৫-নং আয়াত:- [ وَ لَا[…]
READ MORE
(Book# 818) সুরা: আন- নহল সুরা:১৬ ৯১-৯২ নং আয়াত:- [ وَ اَوۡفُوۡا بِعَہۡدِ তোমরা যখন পরস্পর অঙ্গীকার কর, Fulfill the covenants.] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ (Book# 818) সুরা: আন- নহল সুরা:১৬ ৯১-৯২ নং আয়াত:- [ وَ[…]
READ MORE
(Book# 779) সুরা: হিজর সুরা:১৫ ২৬-৫০ নং আয়াত:- [ وَ لَقَدۡ خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ নিশ্চয় আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি, And We did certainly create man.] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ (Book# 779) সুরা: হিজর সুরা:১৫ ২৬-৫০ নং আয়াত:- [ وَ لَقَدۡ[…]
READ MORE
(Book# 778) সুরা: হিজর সুরা:১৫ ২১-২৫.নং আয়াত:- [ وَإِن مِّن شَيْءٍ إِلاَّ عِندَنَا خَزَايِنُهُ আমারই কাছে আছে প্রত্যেক বস্তুর ভান্ডার। And there is not a thing, but the supplies for it are with Us,] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ (Book# 778) সুরা: হিজর সুরা:১৫ ২১-২৫.নং আয়াত:- [ وَإِن مِّن شَيْءٍ[…]
READ MORE
(Book# 771) সুরা: ইব্রাহিম সুরা:১৪ ৪৪-৪৬ নং আয়াত:- [ وَأَنذِرِ النَّاسَ তুমি মানুষকে সতর্ক কর। Warn the people.] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ (Book# 771) সুরা: ইব্রাহিম সুরা:১৪ ৪৪-৪৬ নং আয়াত:- [ وَأَنذِرِ النَّاسَ[…]
READ MORE
(Book# 765) সুরা: ইব্রাহিম সুরা:১৪ ২৮-৩০ নং আয়াত:- [ أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ بَدَّلُواْ نِعْمَةَ اللّهِ তুমি কি তাদের প্রতি লক্ষ্য করনি যারা আল্লাহর অনুগ্রহের, Have you not seen those who have changed the blessings of Allah.] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ (Book# 765) সুরা: ইব্রাহিম সুরা:১৪ ২৮-৩০ নং আয়াত:- [ أَلَمْ تَرَ[…]
READ MORE
(Book# 764) সুরা: ইব্রাহিম সুরা:১৪ ২৪-৪৭ নং আয়াত:- [ اَلَمۡ تَرَ کَیۡفَ ضَرَبَ اللّٰہُ مَثَلًا তুমি কি লক্ষ্য কর না, আল্লাহ কিভাবে উপমা দিয়ে থাকেন? Have you not considered how Allah presents an example,] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ (Book# 764) সুরা: ইব্রাহিম সুরা:১৪ ২৪-৪৭ নং আয়াত:- [ اَلَمۡ تَرَ[…]
READ MORE
(Book# 759) সুরা: ইব্রাহিম সুরা:১৪ ৯-১২ নং আয়াত:- [ جَاءتْهُمْ رُسُلُهُم بِالْبَيِّنَاتِ তাদের কাছে স্পষ্ট নিদর্শনাবলীসহ তাদের রসূলগণ এসেছিল; To them came their Messengers with clear proofs,] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ (Book# 759) সুরা: ইব্রাহিম সুরা:১৪ ৯-১২ নং আয়াত:- [ جَاءتْهُمْ رُسُلُهُم[…]
READ MORE
(Book# 743) [ وَلَا يِنقُضُونَ الْمِيثَاقَ প্রতিজ্ঞা ভংগ করে না, Do not break the contract,] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ (Book# 743) [ وَلَا يِنقُضُونَ الْمِيثَاقَ প্রতিজ্ঞা ভংগ করে না, Do[…]
READ MORE
(Book# 741) [ كَذَلِكَ يَضْرِبُ اللّهُ الْحَقَّ وَالْبَاطِلَ এভাবে আল্লাহ্ সত্য ও অসত্যের দৃষ্টান্ত দিয়ে থাকেন। Thus does Allah (by parables) show forth truth and falsehood.] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ (Book# 741) [ كَذَلِكَ يَضْرِبُ اللّهُ الْحَقَّ وَالْبَاطِلَ এভাবে আল্লাহ্ সত্য[…]
READ MORE
(Book# 739) [ لَهُ دَعْوَةُ الْحَقِّ একমাত্র তাঁকেই ডাকা সঠিক। For Him is the Word of Truth.] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ (Book# 739) [ لَهُ دَعْوَةُ الْحَقِّ একমাত্র তাঁকেই ডাকা সঠিক। For[…]
READ MORE
(Book# 727) [ يَنْهَوْنَ عَنِ الْفَسَادِ فِي الَارْضِ যারা পৃথিবীতে অশান্তি ঘটাতে বাধা প্রদান করত। Prohibiting (others) from Fasad (corruption) in the earth, ] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ (Book# 727) [ يَنْهَوْنَ عَنِ الْفَسَادِ فِي الَارْضِ যারা পৃথিবীতে অশান্তি[…]
READ MORE
(Book# 695) [ وَ مَنۡ اَظۡلَمُ مِمَّنِ افۡتَرٰی عَلَی اللّٰہِ کَذِبًا ؕ আর ঐ ব্যক্তি অপেক্ষা অধিক অত্যাচারী কে হবে, যে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে? And who is more unjust than he who invents a lie about Allah ?] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ (Book# 695) [ وَ مَنۡ اَظۡلَمُ مِمَّنِ افۡتَرٰی عَلَی اللّٰہِ کَذِبًا[…]
READ MORE
(Book# 674) [ اَلَاۤ اِنَّ اَوۡلِیَآءَ اللّٰہِ মনে রেখো যে, আল্লাহর বন্ধুদের, Behold! The Awliya’ of Allah,] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ (Book# 674) [ اَلَاۤ اِنَّ اَوۡلِیَآءَ اللّٰہِ মনে রেখো যে, আল্লাহর[…]
READ MORE
(Book# 671) [ وَشِفَاء لِّمَا فِي الصُّدُورِ ও অন্তরের রোগের নিরাময়, And a cure for that which is in your breasts,] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ (Book# 671) [ وَشِفَاء لِّمَا فِي الصُّدُورِ ও অন্তরের রোগের নিরাময়,[…]
READ MORE
(Book# 662) [ فَکَفٰی بِاللّٰہِ شَہِیۡدًۢا بَیۡنَنَا وَ بَیۡنَکُمۡ বস্তুতঃ আমাদের ও তোমাদের মধ্যে আল্লাহই সাক্ষী হিসাবে যথেষ্ট যে, “So sufficient is Allah as a witness between us, www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ (Book# 662) [ فَکَفٰی بِاللّٰہِ شَہِیۡدًۢا بَیۡنَنَا وَ بَیۡنَکُمۡ বস্তুতঃ আমাদের[…]
READ MORE
(Book# 646)[یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا قَاتِلُوا হে ঈমানদারগণ ! কাফেরদের সাথে যুদ্ধ কর… The Order for Jihad against the Disbelievers..] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم (Book# 646)[یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا قَاتِلُوا হে ঈমানদারগণ ! কাফেরদের সাথে যুদ্ধ কর… The Order for[…]
READ MORE
(Book# 645)[وَ مَا کَانَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ لِیَنۡفِرُوۡا کَآفَّۃً ؕ আর মুমিনদের সকলের একসাথে অভিযানে বের হওয়া সংগত ন্য। And it is not for the believers to go forth all at once.] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم (Book# 645)[وَ مَا کَانَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ لِیَنۡفِرُوۡا کَآفَّۃً ؕ আর মুমিনদের সকলের একসাথে অভিযানে বের হওয়া[…]
READ MORE
(Book# 643)[کُوۡنُوۡا مَعَ الصّٰدِقِیۡنَ সত্যবাদীদের সঙ্গী হও। Be with those who are true.] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم (Book# 643)[کُوۡنُوۡا مَعَ الصّٰدِقِیۡنَ সত্যবাদীদের সঙ্গী হও। Be with those who are true.] www.motaher21.net সুরা:[…]
READ MORE
(Book# 641)[নিঃসন্দেহে আল্লাহ বিশ্বাসীদের নিকট থেকে তাদের প্রাণ ও তাদের ধন-সম্পদসমূহকে বেহেশ্তের বিনিময়ে ক্রয় করে নিয়েছেন।] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم (Book# 641)[নিঃসন্দেহে আল্লাহ বিশ্বাসীদের নিকট থেকে তাদের প্রাণ ও তাদের ধন-সম্পদসমূহকে বেহেশ্তের বিনিময়ে ক্রয় করে[…]
READ MORE
(Book# 639)[আরো কতক লোক রয়েছে,] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم (Book# 639)[আরো কতক লোক রয়েছে,] www.motaher21.net সুরা: আত্ তাওবাহ সুরা:০৯ ১০৬ নং আয়াত:- وَ اٰخَرُوۡنَ[…]
READ MORE
(Book# 638)[তুমি বলে দাও, তোমরা কাজ করতে থাক!] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم (Book# 638)[তুমি বলে দাও, তোমরা কাজ করতে থাক!] www.motaher21.net সুরা: আত্ তাওবাহ সুরা:০৯ ১০৫ নং[…]
READ MORE
(Book# 636)[নিজেদের অপরাধসমূহ স্বীকার করে।] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم (Book# 636)[নিজেদের অপরাধসমূহ স্বীকার করে।] www.motaher21.net সুরা: আত্ তাওবাহ সুরা:০৯ ১০২ নং আয়াত:- اعۡتَرَفُوۡا بِذُنُوۡبِہِمۡ[…]
READ MORE
(Book# 634)[যারা প্রথম অগ্রগামী] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم (Book# 634)[যারা প্রথম অগ্রগামী] www.motaher21.net সুরা: আত্ তাওবাহ সুরা:০৯ ১০০ নং আয়াত:- وَالسَّابِقُونَ الَاوَّلُونَ যারা[…]
READ MORE
(Book# 633)[মরুবাসী (বেদুঈন) লোকেরা..] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم (Book# 633)[মরুবাসী (বেদুঈন) লোকেরা..] www.motaher21.net সুরা: আত্ তাওবাহ সুরা:০৯ ৯৭-৯৯ নং আয়াত:- الَاعْرَابُ মরুবাসী (বেদুঈন)[…]
READ MORE
(Book# 631)[যারা দুর্বল, যারা পীড়িত।] www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم (Book# 631)[যারা দুর্বল, যারা পীড়িত।] www.motaher21.net সুরা: আত্ তাওবাহ সুরা:০৯ ৯১-৯৩ নং আয়াত:- لَّيْسَ عَلَى[…]
READ MORE
(Book# 623) www.motaher21.net মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী একে অপরের বন্ধু।
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم (Book# 623) www.motaher21.net সুরা: আত্ তাওবাহ সুরা:০৯ ৭১-৭২ নং আয়াত:- وَالْمُوْمِنُونَ وَالْمُوْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاء بَعْضٍ[…]
READ MORE
(Book# 619)[যাকাত সমুহের …]
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم (Book# 619)[যাকাত সমুহের …] www.motaher21.net সুরা: আত্ তাওবাহ সুরা:০৯ ৬০ নং আয়াত:- إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ যাকাত[…]
READ MORE
Book #617
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم (Book# 617) www.motaher21.net সুরা: আত্ তাওবাহ সুরা:০৯ ৫০-৫৫ নং আয়াত:- Sura Tawbah Sura:09 Verses :-[…]
READ MORE
Book #616
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم (Book# 616) www.motaher21.net সুরা: আত্ তাওবাহ সুরা:০৯ ৪৯ নং আয়াত:- Sura Tawbah Sura:09 Verses :-[…]
READ MORE
Book #615
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم (Book# 615) www.motaher21.net সুরা: আত্ তাওবাহ সুরা:০৯ ৪৬-৪৮ নং আয়াত:- Sura Tawbah Sura:09 Verses :-[…]
READ MORE
Book #614
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم (Book# 614) www.motaher21.net সুরা: আত্ তাওবাহ সুরা:০৯ ৪৪-৪৫ নং আয়াত:- Sura Tawbah Sura:09 Verses :-[…]
READ MORE
Book #613
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم (Book# 613) www.motaher21.net সুরা: আত্ তাওবাহ সুরা:০৯ ৪২-৪৩ নং আয়াত:- Sura Tawbah Sura:09 Verses :-[…]
READ MORE
Book #612
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم (Book# 612) www.motaher21.net সুরা: আত্ তাওবাহ সুরা:০৯ ৪১ নং আয়াত:- انْفِرُواْ خِفَافًا وَثِقَالاً দুর্বল হও[…]
READ MORE
Book #610
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم (Book# 610) www.motaher21.net সুরা: আত্ তাওবাহ সুরা:০৯ ৩৮-৩৯ নং আয়াত:- Sura Tawbah Sura:09 Verses :-[…]
READ MORE
Book#606
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم (Book# 606) www.motaher21.net সুরা: আত্ তাওবাহ সুরা:০৯ ৩২-৩৩ নং আয়াত:- يُرِيدُونَ أَن يُطْفِوُواْ نُورَ اللّهِ[…]
READ MORE
Book#604
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم (Book# 604) www.motaher21.net সুরা: আত্ তাওবাহ সুরা:০৯ ২৮-২৯ নং আয়াত:- یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنَّمَا الۡمُشۡرِکُوۡنَ[…]
READ MORE
Book#599
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم (Book# 114/٣٢٥)-৫৯৯ www.motaher21.net সুরা: আত্ তাওবাহ সুরা:০৯ ১৬ নং আয়াত:- أَمْ حَسِبْتُمْ তোমরা কি মনে[…]
READ MORE
মুনাফিক
RECENT POSTS
(Book#861) Sura:62 Sura: Al-Zuma Ayat: 05-08 [ثُمَّ لَمْ يَحْمِلُوهَا كَمَثَلِ الْحِمَارِ يَحْمِلُ أَسْفَارًا But did not carry it, is as the likeness of a donkey which carries huge burdens of books.] www.motaher21.net
(বই#৮৬১) সুরা:- আল্ জুমআ। সুরা:৬২ ০৫-০৮ নং আয়াত:- [ ثُمَّ لَمۡ یَحۡمِلُوۡہَا کَمَثَلِ الۡحِمَارِ یَحۡمِلُ اَسۡفَارًا ؕ কিন্তু তারা তা বহন করেনি, তারা গাধার মত! যে বহু পুস্তক বহন করে।] www.motaher21.net
(বই#৮৬১) সুরা:- আল্ জুমআ। সুরা:৬২ ০৫-০৮ নং আয়াত:- [ ثُمَّ لَمۡ یَحۡمِلُوۡہَا کَمَثَلِ الۡحِمَارِ یَحۡمِلُ اَسۡفَارًا ؕ কিন্তু তারা তা বহন করেনি, তারা গাধার মত! যে বহু পুস্তক বহন করে।] www.motaher21.net
(Book#860) Sura:62 Sura: Al-Zuma Ayat: 01-04 [ وَّ اٰخَرِیۡنَ مِنۡہُمۡ لَمَّا یَلۡحَقُوۡا بِہِمۡ ؕ Others of them who have not yet joined them.] www.motaher21.net
(বই#৮৬০) সুরা:- আল্ জুমআ। সুরা:৬২ ০১-০৪ নং আয়াত:- [ وَّ اٰخَرِیۡنَ مِنۡہُمۡ لَمَّا یَلۡحَقُوۡا بِہِمۡ ؕ তাদের মধ্য হতে অন্যান্যদের জন্যও যারা এখনো তাদের সাথে মিলিত হয়নি।] www.motaher21.net
Good news my friends,
My website has a new Book named “O Ye Mankind”. Please check it now..
SUBSCRIBE MOTAHER21.NET VIA EMAIL
Enter your email address to subscribe to this blog and receive notifications of new posts by email.
Email Address
Email Address
SUBSCRIBE
Join 18 other subscribers
BLOG STATS
40,035 k hits
……
www.motaher21.net
Engr Motaher: Requested for your feedback.
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم
আসসালামুয়ালাইকুম।
মুহতারাম,
মহান আল্লাহ তায়ালা শুকরিয়া জানাই, আল্ হাম্ দু লিল্লাহ।
……..……………………
শুধু ১ টি কোটেসান বলা হয়ত সুন্দর ও আকর্ষণীয়।
কিন্তু তাতে মানুষ পুরো বিষয়টি বুঝতে পারে না।
তাই চেষ্টা করছি মুল বিষয় যাতে সবাই বুঝতে পারে।
এতে আমি কম-বেশি এক ডজন (+/-) তাফসীর সহাযোগিতা নিচ্ছি।
যেমন:- ইবনে কাসীর, ফী যিলালিল কুরআন, তাফহীমুল কুরআন, কুরআনুল কারীম, মাও: আশরাফ আলী, আবুবকর যাকারিয়া, আহসানুল বায়ান, তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ,
English Tafsir Ibn Kathir,
The Noble Quran…..
………………..
আসসালামুয়ালাইকুম।
দোস্ত তোমরা কয়েকজন হয়তো বুঝতে পারছো।
কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারছি না।
আমি ধারাবাহিক কুরআন শরীফ এর আলোচনা করছি।
বাংলা, English এবং عرب তিন ভাষায় লিখিত।
তাই একটু সময় দিতে হবে। এবং একটু লম্বা হতে পারে।
যেন আমাদের ছেলেমেয়েরা ও সবাই মিলে বুঝতে পারে।
তোমরা নিজেদের অবস্থান ও সময় মত সবাই দেখতে পাবে।
১) সুরা ফাতিহা,২)বাকারা, ৩) আলে ইমরান,৪) নিছা,৫)মায়েদা,৬)আল আনআম, ৭)আল্ আরাফ, ৮)আল্ আন্ ফাল,৯) আত্ তাওবা, আলোচনা করা হয়েছে। ১০) সুরা ইউনুস ১১) সুরা হুদ ১২)সুরা ইউসুফ ১৩) সুরা রাদ ১৪) সুরা ইব্রাহিম ১৫)সুরা হিজর ১৬) সুরা নহল ১৭)সুরা বনি ইসরাইল চলছে…।
ধারাবাহিক কুরআন এর আলোচনা করা হচ্ছে..
এর আগেও সুরা হুজরাত(৪৯) সুরা সফ (৬১)
সুরা: ৬২ জুময়া
সুরা: ৬৩ আল-মুনাফিকুন
সুরা মুজাম্মাল (৭৩) ইত্যাদি আরো কয়েকটি সুরা আলোচনা করা হয়েছে।
আমি মনে করি সবাই বুদ্ধিমান।
এটা সবাই বুঝতে পারে।
………
একটা বিষয় লিখা হলে Facebook-এ ১০,০০,০০০/(দশ লক্ষ +/- ) এর বেশি লোক কে পাঠানো হয়।
What’s app তে ৪০(+/-) টি গ্রুপে ও tweete-এ পাঠানো হয়।
………………
আমার প্রকাশের অপেক্ষায় ৫টি
বই কেন আপনি ছাপাবেন ইনশাআল্লাহ :-
১) আল্ হাম্ দু লিল্লাহ, আমি এখন পর্যন্ত ৮৬২ টি বই লিখেছি।
২) এখন পর্যন্ত ছাপানো হয়েছে ১০
টি বই ।
৩) Durban R S A থেকে Ahmed Hossen Deedat (2004 সালে) প্রকাশ করেছেন।
তিনি এই বইগুলো ৫৬ টি দেশে পাঠিয়ে ছিলেন।
৪) ওয়ার্ল্ড এসেম্বলি অব মুসলিম ইয়ুথ (ওয়াম) ২০০৭ সালে প্রকাশ করেছেন ।
ওয়ামী বই সিরিজ ২৬।
৫) Australian Islamic Library
2015 সালে প্রকাশ করেছেন
৬) এই পর্যন্ত কম বা বেশি ১০ লক্ষ (+/-) বই বিতরণ বা বিক্রয় করা হয়েছে।
৭) প্রকাশিতব্য বই ৫টি ছাপানো হলে আমি ইনশাআল্লাহ ১০০০ এক হাজার বই ক্রয় করবো।
………….
বই ৫টি পছন্দ করেছি :-
আমার লেখা ৮৬২ টি বই এর মধ্যে এগুলো সর্ব উত্তম ৫টি।
১) কুরআন এর আলোকে আমাদের প্রতি দিন কেমন কাজকর্ম করতে হবে এই বিষয়ে বলা হয়েছে।
“ঘুম থেকে কাজ উত্তম ” এই বইতে পাঠকগণ ইনশাআল্লাহ বুঝতে পারবেন।
২) আমরা অনেকেই আল্লাহ তায়ালা কে ভালোবাসার দাবি করি।
আর আখেরাতে নাজাত পেতে হলে অবশ্যই আল্লাহকে বাস্তব জীবনে ভালোবাসতে হবে।
“আল্লাহকে কতটুকু ভালোবাসি”?
এই বইতে সেটা সুন্দর করে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
৩) আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বার বার বলেছেন যে আমাদের সঠিক কথা বলতে হবে,
সঠিক কাজটি করতে হবে।
“এমন কথা কেন বল?”
এই বইতে পাঠকগণকে সেটা সুন্দর করে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
৪) সুরা বনি ইসরাইলে ২৩ নং আয়াত থেকে ৩৯ নং আয়াত পর্যন্ত (৩ তৃতীয় রুকু ও ৪ চতুর্থ রুকু তে) বিস্তারিত আলোচনা করেছেন :-
আমাদের সমাজ ও জীবন কিভাবে পরিচালিত করা দরকার !
এই বিষয়ে চমৎকারভাবে বলেছেন।
“আপনার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেন”
বইতে সুন্দর করে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
৫) “ইসলামের বিজয়” বইটিতে
ক) আমাদের অধ্যায়ন, খ)বই পড়া ও বিতরণ, গ) মুমিন, কাফের,মুনাফীক ও মানুষ ঘ) লেনদেন । ঙ) ২৪ ঘন্টার রুটিন । চ) ইসলামের বিজয় কি ভাবে করা যাবে। ছ) আল্লাহকে ভালোবাসা, জ) আন্তর্জাতিক বিশ্বে দাওয়াত ।
এই সকল বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
তাই এটা অবশ্যই পড়া প্রয়োজন।
আমরা সবাই ইনশাআল্লাহ নিজে পড়ব , অন্যকেও পড়তে উৎসাহিত করব।
…….
আসসালামুয়ালাইকুম।
সম্মানিত খোতিব-গন:-
আপনি কি ধারাবাহিক ভাবে খোতবা দিতে পারেন!! ???
সুরা বাকারার থেকে শুরু করে নাস পর্যন্ত….
এতে কয়েক বছরের মধ্যে পুরো কুরআন বুঝাতে পারবেন….
ইনশাআল্লাহ….
উদাহরণ স্বরুপ:-
সুরা বাকারার ১-৫ নং আয়াতে মুমিনদের আলোচনা।
৬-৭ নং আয়াতে কাফেরদের আলোচনা।
৮-২০ নং আয়াতে মুনাফাক দের আলোচনায়।
২১ নং আয়াতে সকল মানুষ বলে সবাইকে বলা হয়েছে।
এইভাবে পুরো কুরআন সবাই কে বুঝতে পারবেন…
ইনশাআল্লাহ।
………
Engr Motaher Hossain
ইন্জিনিয়ার মুহাম্মদ মোতাহার হোসেন
House # 12
Road # 03, Block-B
Pink city Model Town,
Khilkhet, Dhaka1229, Bangladesh.
Phone: +88-01883385800/01827764252 email: motaher7862004@ya hoo.com/engrmotaher440@gmail.com
FB:Muhammed Motaher Hossain/ Motaher’s Fan Page
Engr Motaher: https://motaher21.net/about-author/