(বই#৯০৬) সূরা:- মরিয়ম। সুরা:১৯ ৮৮-৯৫ নং আয়াত:- [وَ مَا یَنۡۢبَغِیۡ لِلرَّحۡمٰنِ اَنۡ یَّتَّخِذَ وَلَدًا ﴿ؕ۹۲﴾ অথচ সন্তান গ্রহণ করা পরম দয়াময়ের জন্য শোভনীয় নয়।] www.motaher21.net

أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(বই#৯০৬)
সূরা:- মরিয়ম।
সুরা:১৯
৮৮-৯৫ নং আয়াত:-
[وَ مَا یَنۡۢبَغِیۡ لِلرَّحۡمٰنِ اَنۡ یَّتَّخِذَ وَلَدًا ﴿ؕ۹۲﴾
অথচ সন্তান গ্রহণ করা পরম দয়াময়ের জন্য শোভনীয় নয়।]
www.motaher21.net
১৯:৮৮

وَ قَالُوا اتَّخَذَ الرَّحۡمٰنُ وَلَدًا ﴿ؕ۸۸﴾
তারা বলে, ‘পরম দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন!’
১৯:৮৯
لَقَدْ جِئْتُمْ شَیْئًا اِدًّاۙ

মারাত্মক বাজে কথা যা তোমরা তৈরী করে এনেছো।
১৯:৯০
تَكَادُ السَّمٰوٰتُ یَتَفَطَّرْنَ مِنْهُ وَ تَنْشَقُّ الْاَرْضُ وَ تَخِرُّ الْجِبَالُ هَدًّاۙ

আকাশ ফেটে পড়ার, পৃথিবী বিদীর্ণ হবার এবং পাহাড় ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে
১৯:৯১
اَنْ دَعَوْا لِلرَّحْمٰنِ وَلَدًاۚ

এজন্য যে, লোকেরা রহমানের জন্য সন্তান থাকার দাবী করেছে!
১৯:৯২
وَ مَا یَنْۢبَغِیْ لِلرَّحْمٰنِ اَنْ یَّتَّخِذَ وَلَدًاؕ

কাউকে সন্তান গ্রহণ করা রহমানের জন্য শোভন নয়।
১৯:৯৩
اِنْ كُلُّ مَنْ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ اِلَّاۤ اٰتِی الرَّحْمٰنِ عَبْدًاؕ

পৃথিবী ও আকাশের মধ্যে যা কিছু আছে সবই তাঁর সামনে বান্দা হিসেবে উপস্থিত হবে।
১৯:৯৪
لَقَدْ اَحْصٰىهُمْ وَ عَدَّهُمْ عَدًّاؕ

সবাইকে তিনি ঘিরে রেখেছেন এবং তিনি সবাইকে গণনা করে রেখেছেন।
১৯:৯৫
وَ كُلُّهُمْ اٰتِیْهِ یَوْمَ الْقِیٰمَةِ فَرْدًا

সবাই কিয়ামতের দিন একাকী অবস্থায় তাঁর সামনে আসবে।

For getting Quran app: play.google.com/store/apps/details?id=com.ihadis.quran
৮৮-৯৫ নং আয়াতের তাফসীর:

তাফসীরে‌ হাতহুল মাজিদ বলেছেন:-
৮৮-৯৫ নং আয়াতের তাফসীর:

যারা বলে আল্লাহ তা‘আলার সন্তান আছে, যেমন ইয়াহূদীরা বলে: উজাইর আল্লাহ তা‘আলার ছেলে, খ্রিস্টানরা বলে: ঈসা আল্লাহ তা‘আলার ছেলে তাদের ব্যাপারে আল্লাহ বলছেন: “তোমরা এমন এক বীভৎস বিষয়ের অবতারণা করেছ; যাতে আকাশমণ্ডলী বিদীর্ণ হবে, পৃথিবী খণ্ড-বিখণ্ড হবে ও পর্বতগুলো চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পতিত হবে।” আল্লাহ তা‘আলার জন্য সন্তান গ্রহণ করা সমীচীন নয়, বরং দুনিয়াতে যারা আছে সবাইকে আল্লাহ তা‘আলার কাছে বান্দা হিসেবে উপস্থিত হতে হবে।

إِدًّا অর্থ ভয়ানক, বীভৎস। অর্থাৎ তাদের কথা এত ভয়ানক যে, এ কথা শুনে আকাশ ভেঙ্গে পড়বে, পৃথিবী বিদীর্ণ হয়ে এবং পাহাড় চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে।

সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা এক ও অদ্বিতীয়, তাঁর কোন সন্তান নেই, স্ত্রীও নেই।

আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:

(قُلْ ھُوَ اللہُ اَحَدٌﭐﺆ اَللہُ الصَّمَدُﭑﺆ لَمْ یَلِدْﺃ وَلَمْ یُوْلَدْﭒﺫ وَلَمْ یَکُنْ لَّھ۫ کُفُوًا اَحَدٌﭓﺟ)‏

“বল:‎ তিনিই আল্লাহ একক। তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি। আর তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।” (সূরা ইখলাস ১১২:১-৪)

(وَعَدَّهُمْ عَدًّا)

অর্থাৎ পৃথিবীর আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত সকল মানব দানবকে আল্লাহ তা‘আলা পরিসংখ্যান করে রেখেছেন। তাঁর দ্বারা সবাই বেষ্টিত। কেউ তাঁর ক্ষমতার বাইরে যেতে পারবে না।

فَرْدًا অর্থাৎ সন্তান, সম্পদ, সাহায্যকারী ছাড়া একাকী নিয়ে আসা হবে, যেমন দুনিয়াতে প্রেরণ করার সময় একাকী প্রেরণ করা হয়েছে। নিজের হিসাব নিজেকেই দিতে হবে।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

(وَلَقَدْ جِئْتُمُوْنَا فُرَادٰي كَمَا خَلَقْنٰكُمْ أَوَّلَ مَرَّةٍ)

“তোমরা অবশ্যই আমার নিকট নিঃসঙ্গ অবস্থায় আসবে যেমন আমি প্রথমে তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছিলাম।” (সূরা আন‘আম ৬:৯৪)

আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

১. আল্লাহ তা‘আলা কোন সন্তান-সন্ততি স্ত্রী-পরিজন গ্রহণ করেন না।
২. প্রত্যেকে আল্লাহ তা‘আলার নিকট কিয়ামত দিবসে একা একা আসবে।

 

ফী জিলালিল কুরআন বলেছেন:-
*যে কথা শুনে আসমান যমীন ক্রোধে ফেটে পড়ে : এরপর পুনরায় মােশরেকদের একটা জঘন্য উক্তির সমালােচনা করা হয়েছে। আরবের মােশরেকরা বলতাে, ফেরেশতারা আল্লাহর মেয়ে। ইহুদী মােশরেকরা বলতাে, ওয়ায়ের আল্লাহর ছেলে। খৃষ্টান মােশরেকরা বলে থাকে, ঈসা মসীহ আল্লাহর ছেলে। এ কথাটা এতাে ঘৃণ্য যে, সমগ্র বিশ্ব প্রকৃতি এ উক্তিতে ভাবতই বিক্ষুব্ধ ও বিস্ফোরনােনুখ এবং স্বতস্ফুর্তভাবেই ঘৃণা প্রবণ, ‘তারা বলে, দয়াময় একজন সন্তান গ্রহণ করেছেন…'(আয়াত ৮৮-৯২) এ আয়াতগুলাের প্রতিটা শব্দের ঝংকার প্রকৃতির ক্রোধােদ্দীপ্ত পরিবেশটাকে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে চিত্রিত করেছে। কোনাে মানুষ নিজে বা তার প্রিয় কোনাে ব্যক্তি অপমানিত হলে যেমন রেগে যায় এবং তার প্রতিটা অংগ প্রত্যংগ ক্রোধে ফুলতে ও কাঁপতে থাকে, তেমনি আল্লাহর সন্তান গ্রহণ সংক্রান্ত জঘন্য উক্তি শুনে বিশ্ব প্রকৃতিও রাগে ও ক্ষোভে কেঁপে উঠে, কেননা এতে মহান আল্লাহর প্রচণ্ড অবমাননা হয়। প্রকৃতির এই রাগ ও ক্ষোভে আকাশ, পৃথিবী পাহাড় পর্বত ইত্যাদি সবই অংশ নেয়। প্রকৃতির এই রাগ ও ক্ষোভজনিত কম্পন এ আয়াতগুলাের শব্দের মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে। সেই ঘৃণ্য কথাটা যেই বলা হলাে, ‘তারা বলে, দয়াময় একজন সন্তান গ্রহণ করেছেন’ অমনি এই আতংকজনক কথাটাও সাথে সাথেই উচ্চারিত হলাে, ‘নিশ্চয় তােমরা একটা জঘন্য কাজ করে ফেলেছাে।’ এরপর তাদের আশপাশের প্রতিটি নিশ্চল জিনিস কেঁপে ওঠে এবং সমগ্র প্রকৃতি তার স্রষ্টার অপমানে ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠে। সে টের পায় যে, এই উক্তির মধ্য দিয়ে তার বিবেক ও প্রকৃতির মধ্যে সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠেছে, ‘এতে যেন আকাশ ফেটে পড়বে, পৃথিবী খন্ড বিখন্ড হয়ে যাবে এবং পবর্তমালা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে ধসে পড়বে। কেননা তারা দয়াময় আল্লাহর ওপর সন্তান গ্রহণের অপবাদ আরােপ করেছে।’ এই প্রাকৃতিক রুদ্র রােষের মাঝেই উচ্চারিত হয় ভয়াবহ বক্তব্য, আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, তা দয়াময় আল্লাহর কাছে অনুগত দাস হিসেবে আসবে। তিনি তাদের সবাইকে গুণে গুণে রেখেছেন। তাদের সকলেই কেয়ামতের দিন তার কাছে একাকী আসবে।’ অর্থাৎ আকাশ ও পৃথিবীর সবাই তার দাস এবং তারা আপন মনিবের কাছে অনুগত বান্দা হিসেবেই আসবে। কোনাে সন্তান বা অংশীদার হিসেবে নয় বরং সৃষ্টি ও দাস হিসেবেই আসবে। ‘তিনি তাদেরকে গুণে গুণে রেখেছেন।’ এই বক্তব্য উপলব্ধি করলে মানুষ মাত্রেই প্রকম্পিত হয়। কারােই আর পালাবার বা ভুলে থাকার অবকাশ নেই। তাদের প্রত্যেকেই একাকী আসবে কেয়ামতের দিন প্রত্যেকের ওপর আল্লাহর কড়া দৃষ্টি থাকবে। প্রত্যেকে একাকী আসবে। ফলে কেউ কারাে দ্বারা প্রভাবিত বা সম্মানিত হবে, এমন অবকাশ থাকবে না। এমনকি সংঘবদ্ধ হওয়ার বা দল ভুক্ত হওয়ার চেতনাই দূর করে দেয়া হবে। এভাবে সে মহান আল্লাহর কাছে একাকাই উপস্থিত হবে।

 

তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
৮৮-৯৫ নং আয়াতের তাফসীর:

এই পবিত্র সূরার প্রারম্ভে এই কথার প্রমাণ গত হয়েছে যে, হযরত ঈসা (আঃ) আল্লাহর বান্দা। তাঁকে আল্লাহ তাআলা পিতা ছাড়াই নিজের হুকুমে হযরত মারইয়ামের (রাঃ) গর্ভে জন্ম দান করেন। এ জন্যে যারা তাকে আল্লাহ্ব পুত্র বলে থাকে (নাউযুবিল্লাহ)। অথচ এর থেকে তিনি সম্পূর্ণরূপে পবিত্র। তাদের উক্তির বর্ণনা দেয়ার পর আল্লাহ তাআ’লাবলেন যে, এটা বড়ই অন্যায় কথা। হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ), হযরত মুজাহিদ (রঃ), হযরত কাতাদা (রঃ) এবং হযরত মালিক (রঃ) (আরবী) শব্দের অর্থ করেছেন (আরবী) অর্থাৎ বড় বা বিরাট। এটাকে (আরবী) এবং (আরবী) এই তিন রূপেই পড়া হয়েছে। কিন্তু পঠনই বেশী প্রসিদ্ধ। তাদের এই কথাটি এতই জঘন্য ও অপ্রীতিকর যে, যেন আকাশ বিদীর্ণ হয়ে যাবে, পৃথিবী খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে পড়বে এবং পর্বত রাজি চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে। কেননা, আকাশ ও পৃথিবী আল্লাহ্ তাআলার শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা বুঝে। তারা তাঁর একত্ববাদে বিশ্বাসী। তারা জানে যে, এ দুষ্ট ও নির্বোধ লোকেরা আল্লাহর সত্ত্বার উপর অপবাদ আরোপ করছে। তাঁর পিতামাতা নেই, সন্তান সন্ততি নেই, কোন অংশীদার নেই এবং সমতুল্য কেউ নেই। সমস্ত মাখলুক তার একত্বের সাক্ষ্য দানকারী। কবি বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “প্রত্যেক জিনিসের মধ্যেই তার জন্যে নিদর্শন রয়েছে, যা প্রমাণ করছে যে, তিনি এক।”

সারা বিশ্বের এক একটি অনুপরমাণু আল্লাহ তাআলার তাওহীদের প্রমাণ পেশ করছে। শিরুককারীদের শিকের কারণে সমস্ত মাখলুক প্রকম্পিত হচ্ছে। এর ফলে যেন জগতের পরিচালনায় ও ব্যবস্থাপনায় বিশৃংখলা দেখা দেয়ার উপক্রম হচ্ছে। শিকের সাথে কোন সৎকাজ ফলদায়ক হয় না। পক্ষান্তরে, এতে বিস্ময়ের কিছুই নেই যে, তাওহীদের সাথে সমস্ত গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দিবেন। যেমন হাদীসে আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “তোমরা তোমাদের মরণোন্মুখ ব্যক্তিকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর শাহাদাত পাঠ করাতে থাকো। কেননা, যে ব্যক্তি তার মৃত্যুর সময় এটা পাঠ করবে তার জন্যে জান্নাত। ওয়াজিব হয়ে যাবে।” সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ) যে ব্যক্তি সুস্থাবস্থায় এটা পাঠ করবে (তার হুকুম কি?)” তিনি উত্তরে বলেনঃ “এটা তো (জান্নাত) আরো বেশী ওয়াজিবকারী, এটাতো (জান্নাত) আরো বেশী ওয়াজিবকারী।” অতঃপর তিনি বলেনঃ “যার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে। তাঁর শপথ! যমীন ও আসমান এবং এতোদুভয়ের মাঝের সমস্ত কিছু এবং নিম্নের সমস্ত জিনিস যদি মীযানের (তারায়ূর) এক পাল্লায় রাখা হয় এবং “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর শাহাদাত দ্বিতীয় পাল্লায় রাখা হয় তবে এই শাহাদাতের ওজনই ভারী হয়ে যাবে।” এর আরো দলীল হচ্ছে ঐ হাদীসটি যাতে তাওহীদের একটি ক্ষুদ্র খণ্ড পাপরাশির বড় বড় দফতরের চেয়ে ভারী হওয়ার কথা বর্ণিত হয়েছে। (এই হাদীস ইমাম ইবনু জারীর (রঃ) বর্ণনা করেছেন)

সুতরাং তাদের (আল্লাহর সন্তান আছে) এই উক্তিটি এতো বড় অন্যায় যে, আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও বড়ত্বের কারণে আকাশ যেন কেঁপে ওঠে এবং যমীন যেন ক্রোধে ফেটে পড়ার উপক্রম হয়। আর পাহাড় যেন চূর্ণ বিচুর্ণ হয়ে পড়বে।

হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, একটি পাহাড় অপর পাহাড়কে জিজ্ঞেস করেঃ “আল্লাহর যিকর করেছেন এরূপ কোন লোকও কি তোমার উপর আরোহণ করেছে?” ঐ পাহাড়টি তখন খুশী হয়ে উত্তর দেয়ঃ “হাঁ, করেছে।” সুতরাং পাহাড়ও বাতিল ও মিথ্যা কথা এবং ভাল কথা শুনতে পায়, অন্য কেউ শুনতে পায় না। অতঃপর তিনি এই আয়াতটি পাঠ করেন।

বর্ণিত আছে যে, আল্লাহ তাআলা যখন যমীনকেও ওর বৃক্ষ লতাদি সৃষ্টি করেন তখন সমস্ত বৃক্ষ আদম সন্তানকে ফল ফুল ও উপকার দিতে থাকে। কিন্তু যখন যমীনের অধিবাসীরা আল্লাহর জন্যে সন্তান আরোপ করে তখন যমীন নড়তে শুরু করে এবং গাছগুলিতে কাটা হয়ে যায়। হযরত কা’ব (রাঃ) বলেন যে, ফেরেশতারা ক্রোধান্বিত হয়ে যান এবং জাহান্নাম ভীষণভাবে প্রজ্জ্বলিত হয়ে ওঠে।

হযরত আবু মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “কষ্টদায়ক কথায় আল্লাহ তাআলা অপেক্ষা অধিক ধৈর্য ধারণকারী আর কেউ নেই। মানুষ তার সাথে শরীক স্থাপন করে এবং তার জন্যে সন্তান নির্ধারণ করে, অথচ তিনি তাদেরকে নিরাপদে রাখেন এবং আহার্য দান করতে থাকেন। তাদের থেকে তিনি বিপদ আপদ দূর করে দেন। সুতরাং আল্লাহর সন্তান রয়েছে তাদের এ কথায় যমীন, আসমান ও পাহাড় পর্বত চরম অস্বস্তিবোধ করে। আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব চরম অস্বস্তি সন্তান মোটেই শোভনীয় নয়। কারণ সমস্ত সৃষ্টজীব তাঁরই দাসত্ব করছে। তার সঙ্গী সাথী বা তার সমতুল্য কেউই নেই। যমীন ও আসমানে যত কিছু রয়েছে সবই তাঁর আদেশাধীন ও তার অনুগত দাস। তিনি সবারই প্রতিপালক ও রক্ষক। সবারই গণনাতার কাছে রয়েছে। তার জ্ঞান সবকেই পরিবেষ্টন করে আছে। সবাই তার ক্ষমতার আওতার মধ্যে রয়েছে। সমস্ত পুরুষ, নারী, ছোট ও বড় এবং ভাল ও মন্দের খবর তিনি রাখেন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত কিছুর জ্ঞান তার আছে। তার কোন সাহায্যকারী নেই। তার সঙ্গী ও অংশীদারও নেই। প্রত্যেক বন্ধু বান্ধব ও সহায়কহীন অবস্থায় কিয়ামতের দিন তাঁর সামনে হাজির হবে। সমস্ত মাখলুকের ফায়সালা তারই হাতে। তিনি এক ও অংশী বিহীন। সবারই ফায়সালা তিনিই করবেন। তিনি যা চাবেন তাই করবেন। তিনি ন্যায় বিচারক, অত্যাচারী নন। কারো হক নষ্ট করা তাঁর সাহায্যের উল্টো।

أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book#906)
Sura:19
Sura: Maryam.
Ayat: 88-95
[وَ مَا یَنۡۢبَغِیۡ لِلرَّحۡمٰنِ اَنۡ یَّتَّخِذَ وَلَدًا ﴿ؕ۹۲﴾
And it is not appropriate for the Most Merciful that He should take a son.]
www.motaher21.net
19:88

وَ قَالُوا اتَّخَذَ الرَّحۡمٰنُ وَلَدًا ﴿ؕ۸۸﴾

And they say, “The Most Merciful has taken [for Himself] a son.”

 

The Stern Rejection of attributing a Son to Allah

After Allah affirms in this noble Surah that `Isa was a worshipper and servant of Allah and He mentioned his birth from Maryam without a father, He then begins refuting those who claim that He has a son. Holy is He and far Exalted is He above such description.

Allah says,

وَقَالُوا اتَّخَذَ الرَّحْمَنُ وَلَدًا

19:89

لَقَدۡ جِئۡتُمۡ شَیۡئًا اِدًّا ﴿ۙ۸۹﴾

You have done an atrocious thing.

 

لَقَدْ جِيْتُمْ
.

And they say:”The Most Gracious has begotten a son.”

Indeed you have brought forth,

This means, “In this statement of yours.”

..
شَيْيًا إِدًّا

a thing Idda.

Ibn Abbas, Mujahid, Qatadah and Malik all said,

“Terrible.”

It has been said that it is pronounced Iddan, Addan, and Addan with elongation on the first vowel. All three of these pronunciations are known, but the most popular is the first.

Allah said;

تَكَادُ السَّمَاوَاتُ يَتَفَطَّرْنَ مِنْهُ وَتَنشَقُّ الاَْرْضُ

وَتَخِرُّ الْجِبَالُ هَدًّا

19:90

تَکَادُ السَّمٰوٰتُ یَتَفَطَّرۡنَ مِنۡہُ وَ تَنۡشَقُّ الۡاَرۡضُ وَ تَخِرُّ الۡجِبَالُ ہَدًّا ﴿ۙ۹۰﴾
l
The heavens almost rupture therefrom and the earth splits open and the mountains collapse in devastation

 

أَن دَعَوْا لِلرَّحْمَنِ وَلَدًا

19:91

اَنۡ دَعَوۡا لِلرَّحۡمٰنِ وَلَدًا ﴿ۚ۹۱﴾

That they attribute to the Most Merciful a son.

 

Whereby the heavens are almost torn, and the earth is split asunder, and the mountains Hadda, that they ascribe a son to the Most Gracious.

that is, out of their high esteem for Allah, when they hear this statement of wickedness coming from the Children of Adam. The reason for this is that these are creatures of Allah and they are established upon His Tawhid and the fact that there is no deity worthy of worship except Him. He has no partners, no peer, no child, no mate and no coequal. Rather, He is the One, Self-Sufficient Master, Whom all creatures are in need of.

Ibn Jarir reported that Ibn Abbas said concerning Allah’s statement,

تَكَادُ السَّمَاوَاتُ يَتَفَطَّرْنَ مِنْهُ وَتَنشَقُّ الاَْرْضُ

وَتَخِرُّ الْجِبَالُ هَدًّا

أَن دَعَوْا لِلرَّحْمَنِ وَلَدًا

Whereby the heavens are almost torn, and the earth is split asunder, and the mountains Hadda, that they ascribe a son to the Most Gracious.

“Verily, the heavens, the earth, the mountains and all creatures — except for humans and Jinns — are frightened by the associating of partners with Allah. Creation will almost cease existing before the association of partners with Allah, due to His Greatness. Just as the idolator does not benefit by his good deeds because of associating partners with Allah, we hope that Allah would forgive the sins of those who believed in His absolute Oneness by worshipping Him alone.

The Messenger of Allah said,

لَقِّنُوا مَوْتَاكُمْ شَهَادَةَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلاَّ اللهُ فَمَنْ قَالَهَا عِنْدَ مَوْتِهِ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّة

Encourage your dying people to testify to La ilaha illallah, for whoever says it at the time of their death, they will definitely enter into Paradise.

The people said, “O Messenger of Allah, what about he who says it while in good health?”

He replied,

تِلْكَ أَوْجَبُ وَأَوْجَب

This will necessitate his entrance into Paradise even more.

Then he said,

وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ جِيءَ بِالسَّموَاتِ وَالاْاَرَضِينَ وَمَا فِيهِنَّ وَمَا بَيْنَهُنَّ وَمَا تَحْتَهُنَّ فَوُضِعْنَ فِي كِفَّةِ الْمِيزَانِ وَوُضِعَتْ شَهَادَةُ أَنْ لَاا إِلَهَ إِلاَّ اللهُ فِي الْكِفَّةِ الاْاُخْرى لَرَجَحَتْ بِهِن

I swear by He Whom my soul is in His Hand, if the heavens and the earths, and all that is in them, between them and under them, were brought and placed in a balance of a scale, and the testimony of La ilaha illallah was placed on the other side of the scale, the testimony would outweigh all of it.

This was recorded by Ibn Jarir and it is supported by the Hadith related to the story of the card. And Allah knows best.

Ad-Dahhak said,
تَكَادُ السَّمَاوَاتُ يَتَفَطَّرْنَ مِنْهُ
(Whereby the heavens are almost torn),

“This means to be split apart into pieces due to the fear of the magnificence of Allah.”

Abdur-Rahman bin Zayd bin Aslam said,
وَتَنشَقُّ الاَْرْضُ
(and the earth is split asunder),

“This is due to its anger on behalf of Allah, the Mighty and Sublime.”

Concerning Allah’s statement,

وَتَخِرُّ الْجِبَالُ هَدًّا

and the mountains Hadda.

Ibn Abbas said,

“This means to be torn down.”

Sa`id bin Jubayr said,

“Haddan means some of it is broken by other parts of it in succession.”

Imam Ahmad reported from Abu Musa that he said that the Messenger of Allah said,

لَاا أَحَدَ أَصْبَرُ عَلَى أَذىً سَمِعَهُ مِنَ اللهِ إِنَّهُ يُشْرَكُ بِهِ وَيُجْعَلُ لَهُ وَلَدٌ وَهُوَ يُعَافِيهِمْ وَيَدْفَعُ عَنْهُمْ وَيَرْزُقُهُم

There is no one more patient than Allah concerning something harmful that he hears. For verily, partners are associated with Him and a son is ascribed to Him, while He is the One Who gives them good health, protects them and sustains them.

This narration is also recorded in the Two Sahihs.

In one wording of it he said,

إِنَّهُمْ يَجْعَلُونَ لَهُ وَلَدًا وَهُوَ يَرْزُقُهُمْ وَيُعَافِيهِم
that they attribute a son to Him, while He is the One Who sustains them and gives them good health.

Allah said;

وَمَا يَنبَغِي لِلرَّحْمَنِ أَن يَتَّخِذَ وَلَدًا
19:92

وَ مَا یَنۡۢبَغِیۡ لِلرَّحۡمٰنِ اَنۡ یَّتَّخِذَ وَلَدًا ﴿ؕ۹۲﴾

And it is not appropriate for the Most Merciful that He should take a son.

 

But it is not suitable for the Most Gracious that He should beget a son.

Meaning that it is not befitting of Him, nor is it appropriate for His lofty majesty and greatness. There is no coequal for Him in His creation, because all creatures are His slaves.

This is why He says,

إِن كُلُّ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَالاَْرْضِ إِلاَّ اتِي الرَّحْمَنِ عَبْدًا

19:93

اِنۡ کُلُّ مَنۡ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ اِلَّاۤ اٰتِی الرَّحۡمٰنِ عَبۡدًا ﴿ؕ۹۳﴾

There is no one in the heavens and earth but that he comes to the Most Merciful as a servant.

 

لَقَدْ أَحْصَاهُمْ وَعَدَّهُمْ عَدًّا

19:94

لَقَدۡ اَحۡصٰہُمۡ وَ عَدَّہُمۡ عَدًّا ﴿ؕ۹۴﴾

He has enumerated them and counted them a [full] counting.

 

There is none in the heavens and the earth but comes unto the Most Gracious as a slave. Verily, He knows each one of them, and has counted them a full counting.

He knows their number from the time He created them, until the Day of Resurrection, male and female, both the small and the large of them.

وَكُلُّهُمْ اتِيهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَرْدًا

19:95

وَ کُلُّہُمۡ اٰتِیۡہِ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ فَرۡدًا ﴿۹۵﴾

And all of them are coming to Him on the Day of Resurrection alone.

 

And everyone of them will come to Him alone on the Day of Resurrection.

This means that there will be no helper for him and no one to save him, except Allah alone, Who has no partners. He judges His creatures as He wills and He is the Most Just, Who does not do even an atom’s weight of injustice. He will not wrong anyone

For getting Quran app: play.google.com/store/apps/details?id=com.ihadis.quran

Leave a Reply