আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী (রহমাতুল্লাহর) “প্রেরনার বাতি ঘর।”
ইন্জনিয়ার মোতাহার
www.motaher21.net
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
اَلۡحَمۡدُ لِلّٰہِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ۙ
ছোট্ট একটি মেসেজ !
আমার মনোযোগ
*দৃষ্টি আকর্ষণ*
করলো:-
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী রহমাতুল্লাহর *জীবন ও কর্ম* নিয়ে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে ইনশাল্লাহ। এজন্য আপনার কাছ থেকে দুই পাতার মধ্যে একটি লেখা আশা করছি আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমার আইডিতে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
অনুরোধে
প্রকৌশলী শেখ আল আমিন
গ্রুপ এডমিন
০১৭৮৮৫৮৩৫৭৬
উত্তরে আমি বললাম:-
ইনশাআল্লাহ।
www.motaher21.net
এই মেসেজটি আজকে (২০/০৯/২০২৩)
সকালে ০৫:৩০ নামাজের পর মোবাইল খুলে দেখতে পেলাম।
সাথে সাথে সিদ্ধান্ত নিলাম।
কিন্তু বিভিন্ন ব্যস্ত তার জন্য শুরু করতে প্রায় ৮ ঘন্টা সময় লাগলো।
আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী (রহমাতুল্লাহর) কত স্মৃতি তা বলতে গেলে একটি বড় বই হতে পারে!
কিন্তু আল্ আমিন ভাই বলেছেন দুই পাতার মধ্যে লিখতে হবে!
ভাবছি ! কোনটি লিখবো!
কোনটি বাদ দিবো!
আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী (রহমাতুল্লাহর) নামটি মনে হলেই মনে হয় তিনি আমার “প্রেরনার বাতি ঘর।”
চট্টগ্রাম কলেজ থাকতে তাঁর সাথে পরিচয়।
তাঁর তাফসীর মাহফিলে কলেজিয়েট ইস্কুলে, চট্টগ্রাম কলেজের প্রেরেড গ্রাউন্ড, পোলো গ্রাউন্ড কতবার যে তাঁর তাফসীর শুনেছি তার কোন আমার হিসেব নেই।
ঢাকায় শাজাহানপুরে মাঠে
কয়েক বার তাফসীর শুনেছি।
যতবার শুনেছি ততবারই শুনার আগ্রহ আরো বেশি বেশি বেড়ে যায়।
আমার আম্মা, আমার ভায়েরা ও আমার বোনেরা সবাই হুজুরের একান্ত ভক্ত।
হুজুরের বাসা ছিল শহীদ বাগ। আমাদের বাসা ও ছিল খুবই কাছাকাছি।
আমাদের বাসা ছিল শাজাহান পুর এবং মালি বাগ। তখন আম্মা অনেক বারই শহীদ বাগের বাড়িতে যেতেন। বিশেষ ভাবে ৯১ এর ইলেকশনে মিসেস হুজুর ও আম্মা একসাথে ভোটের কাজে মনোসংযোগ কাজে যেতেন। বলাযায় আম্মা ও হুজুরান বান্ধবীর মত।
আমিও তাদের বাসায় অনেক গিয়ে ছিলাম।
তাই তাঁর খুব কাছ থেকে তাঁর বক্তব্য কাজকর্ম, চলাফেরা দেখতে পেতাম।
তাঁর ওয়াজ এর কথা তো বলার অপেক্ষা রাখেনা।
১৯৮৭ সালে তখন কলেজিয়েট ইস্কুলে একটি তাফসীরে অনুষ্ঠিত মনে আমার খুব মনে দাগ কাটে।
আমাদের বাসা তখন চট্টগ্রামে লালখান বাজার। আমি বিকাল তিনটার দিকে মাহফিল হাজির হলাম।
সেখানে হোটেল আগ্রাবাদ এর কাছে শৃঙ্খলা বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।
এখান থেকে কমার্স কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুল পর্যন্ত পেন্ডল দেখে এলাম।
ক্রমে জন লোক বাড়তি লাগলো।
তাই হোটেল আগ্রাবাদ এর পাশে রাস্তা থেকে রিকশা বন্ধ করে দিলাম।
হটাৎ করেই একটা রিকশা থামাল। আমি বললাম এখান থেকে সামনে আগাতে পারবেন না!
রিকশা থেকে দুই জন পেসেঞ্জার নামলেন।
পেসেঞ্জার বলল আরে!!!
তুমি এখানে কি করছ!
তাকাতেই দেখি পেসেঞ্জার আমার দোস্ত মাসুদ!!!
তার সাথে আমাদের সিনিয়র গোলাম কিবরিয়া স্যার।
আমি বললাম! তুমি দেখতেই পাচ্ছ!
তার সাথে কোলাকুলি করে বললাম:
আল্ হামদু লিল্লাহ।
আমি বললাম আমরা কয়েকজন মেরিনার এখানে আছি।
তাই আমরা মেরিনার দের নিয়ে কিছু কাজ করতে পারি।
সেখানে থেকে মেরিনার্স এর কাজ শুরু। আল্ হামদু লিল্লাহ।
সে থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দেশে ও বিদেশে যেখানে আমরা থাকি সেখানে ইসলামী আন্দোলন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ।
আল্ হামদু লিল্লাহ।
সেই তাফসীর মাহফিল এর একটি চমৎকার শিক্ষনিয় বিষয় বর্ণনা করে শেষ করছি।
আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী (রহমাতুল্লাহর) বলেছেন:-
তিনি একটি হাদিস বর্ণনা করে বুঝানোর জন্য একটি উদাহরণ দিয়ে বলেন,
একজন পথিক দূরের একটি পথে যাচ্ছিল।
তার সাথে তার প্রিয় কুকুর।
ও একটি থলি।
এক পর্যায়ে সে পথে দাঁড়িয়ে কাঁদত থাকলো।
অনান্য লোকজন জিগ্গেস করলো,
আপনি কেন কাঁদছেন?
উত্তরে বললেন,
আমার প্রিয় কুকুর মরে যাচ্ছে।
কেন কি হয়েছে তার?
সে বলল, পানি না পেয়ে মারা যাচ্ছে!
তারা জিগ্গেস করলো,
তোমার থলিতে কি আছে?
সে বলল, কিছু পানি ও খাবার!
তারা বললো, আপনি তো আজব মানুষ!
আপনার প্রিয় কুকুর মারা যায়!
তাই আপনি কাঁদছেন!
কিন্তু আপনার থলিতে পানি!
কিন্তু দিচ্ছেন না কেন!!!???
সে বলল! আমি কি আপনাদের মত বেকুব যে তাকে পানি দেব!!!
কাঁদত তো আমার কোন খরচ নেই।
আমাদের অবস্থা এই লোকের মত!
তারা মনে করে খুবই বুদ্ধিমান!!!
তারা ইসলামের জন্য কান্নাকাটি করতে খুবই পরজ্ঞম।
তারা ইসলামের জন্য কান্নাকাটি করতে করতে চোখ,মুখ ভাষিয়ে দেয়।
কিন্তু তারা ইসলামের জন্য তার টাকা পয়সা, সম্পদ, সময়, মেধা ইত্যাদি ব্যয় করত ইচ্ছুক নয়।
আল্লাহ আমাদের এই জাতিকে হেদায়েত দান করুন।
আমিন।
ছুম্মা আমিন।
ইয়া রাব্বুল আলামীন।