أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book# 114/١١٣)-৩১৫
www.motaher21.net
وَخُلِقَ الْإِنسٰنُ ضَعِيفًا
মানুষকে দুর্বলরূপে সৃষ্টি করা হয়েছে।
Man was created weak.
সুরা: আন-নিসা
আয়াত নং :-২৬-২৮
یُرِیْدُ اللّٰهُ لِیُبَیِّنَ لَكُمْ وَ یَهْدِیَكُمْ سُنَنَ الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكُمْ وَ یَتُوْبَ عَلَیْكُمْؕ وَ اللّٰهُ عَلِیْمٌ حَكِیْمٌ
তোমাদের আগে যেসব সৎলোক চলে গেছে, তারা যেসব পদ্ধতির অনুসরণ করতো, আল্লাহ তোমাদের সামনে সেই পদ্ধতিগুলো সুস্পষ্ট করে দিতে এবং সেই সব পদ্ধতিতে তোমাদের চালাতে চান। তিনি নিজের রহমত সহকারে তোমাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করতে চান। আর তিনি সর্বজ্ঞ ও জ্ঞানময়।
আয়াত নং :-27
وَ اللّٰهُ یُرِیْدُ اَنْ یَّتُوْبَ عَلَیْكُمْ وَ یُرِیْدُ الَّذِیْنَ یَتَّبِعُوْنَ الشَّهَوٰتِ اَنْ تَمِیْلُوْا مَیْلًا عَظِیْمًا
হ্যাঁ, আল্লাহ তো রহমত সহকারে তোমাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করতে চান। কিন্তু যারা নিজেদের প্রবৃত্তির লালসার অনুসরণ করছে তারা চায় তোমরা ন্যায় ও সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে দূরে চলে যাও।
An-Nisa’ ৪:২৮
يُرِيدُ ٱللَّهُ أَن يُخَفِّفَ عَنكُمْۚ وَخُلِقَ ٱلْإِنسَٰنُ ضَعِيفًا
আল্লাহ তোমাদের ভার লঘু করতে চান, কারণ মানুষকে দুর্বলরূপে সৃষ্টি করা হয়েছে।
২৬-২৮ নং আয়াতের তাফসীর:
কুরআন ঘোষণা করে- হে মুমিনগণ! আল্লাহ তা’আলা তোমাদের উপর হালাল ও হারাম স্পষ্টভাবে বর্ণনা করতে চান, যেমন এ সূরায় এবং অন্যান্য সূরাসমূহে তিনি বর্ণনা করেছেন। তিনি তোমাদেরকে তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের প্রশংসনীয় পথে চালাতে চান, যেন তোমরা তাঁর শরীয়তের উপর আমল করতে থাক যে কাজ তাঁর নিকট প্রিয় ও যে কাজে তিনি সন্তুষ্ট। তিনি তোমাদের তাওবা কবুল করতে চান। যে পাপ ও অন্যায়কার্য হতে তোমরা তাওবা করে থাক সে তাওবা তিনি সতুর কবুল করে থাকেন। তিনি মহাজ্ঞানী ও মহা বিজ্ঞানময়। স্বীয় শরীয়তে, স্বীয় অনুমানে, স্বীয় কার্যে ও স্বীয় ঘঘাষণায় তিনি সঠিক জ্ঞান ও পর্ণ নিপুণতার অধিকারী। প্রবত্তি পূজারীরা অর্থাৎ শয়তানের দাস ইয়াহুদী ও খ্রীষ্টানেরা এবং অসৎ লোকেরা তোমাদের পদস্খলন ঘটিয়ে তোমাদেরকে সত্য ও সরল পথ হতে সরিয়ে দিয়ে অন্যায় ও অসত্যের পথে চালাতে চায়। আল্লাহ তা’আলা শরীয়তের আহকাম নির্ধাণের ব্যাপারে তোমাদের পথ সহজ করতে চান এবং এর উপর ভিত্তি করেই কতগুলো শর্ত আরোপ করতঃ দাসীদেরকে বিয়ে করে নেয়া তোমাদের জন্যে বৈধ করেছেন। মানুষ জন্মগত দুর্বল বলে মহান আল্লাহ স্বীয় আহকামের মধ্যে কোন কাঠিন্য রাখেননি। মানুষ সৃষ্টিগতই দুর্বল বলে তার আকাঙ্ক্ষা ও প্রবৃত্তি দুর্বল। তারা স্ত্রীদের ব্যাপারে দুর্বল। তারা এখানে এসে একেবারে বোকা বনে যায়।
তাই রাসূলুল্লাহ (সঃ) যখন মিরাজের রাত্রে ‘সিদরাতুল মুনতাহা’ হতে ফিরে আসেন এবং হযরত মূসা কালীমুল্লাহ (আঃ)-এর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয় তখন তিনি রাসূল্লাহ (সঃ)-কে জিজ্ঞেস করেনঃ “আপনার উপর কি ফরয করা হয়েছে?’ তিনি বলেনঃ “প্রত্যহ দিন রাতে পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায। তখন হযরত মূসা (আঃ) বলেনঃ ‘আপনি ফিরে যান এবং মহান আল্লাহর নিকট লঘুকরণের জন্যে প্রার্থনা করুন। আপনার উম্মতের মধ্যে এটা পালনের শক্তি নেই। আপনার পূর্ববর্তী লোকদেরকে আমি পরীক্ষা করেছি। তারা এর চেয়ে বহু কমেও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। আর আপনার উম্মত তো কর্ণের, চক্ষুর এবং অন্তরের দুর্বলতায় তাদেরকেও ছাড়িয়ে গেছে।’
অতএব রাসূলুল্লাহ (সঃ) ফিরে যান এবং দশ ওয়াক্ত কমিয়ে আনেন। পুনরায় হযরত মূসা (আঃ)-এর সঙ্গে একই আলোচনা হয়। তিনি পুনরায় ফিরে যান এবং আবার দশ ওয়াক্ত কম করিয়ে আনেন। অবশেষে পাঁচ ওয়াক্ত থেকে যায়।
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
সূরার শুরু থেকে নিয়ে এ পর্যন্ত যে নির্দেশ ও বিধান দেয়া হয়েছে এবং এই সূরা নাযিলের পূর্বে সূরা বাকারায় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনের সমস্যাবলী সমাধানের জন্য যে বিধান দেয়া হয়েছিল সেসবের দিকে সামগ্রিকভাবে একটি ইঙ্গিত করে বলা হচ্ছে, মানব সভ্যতার প্রাচীনতম যুগ থেকে প্রতি যুগের নবীগণ ও তাঁদের সৎ ও সত্যনিষ্ঠ অনুসারীগণ সমাজ, সংস্কৃতি ও নৈতিকতার এই আইনগুলো কার্যকর করে এসেছেন। আল্লাহ তাঁর অসীম অনুগ্রহের বদৌলতে তোমাদেরকে জাহেলীয়াতের অবস্থা থেকে বের করে সৎ ও সত্যনিষ্ঠ লোকদের জীবনধারার দিকে পরিচালিত করেছেন।
এখানে মুনাফিক, রক্ষণশীল ও প্রাচীন পন্থী মূর্খ এবং মদীনার উপকণ্ঠের ইহুদীদের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। সমাজ ও সংস্কৃতিতে শত শত বছরের পুঞ্জীভূত জাহেলী বংশ ও গোত্রপ্রীতি এবং রসম-রেওয়াজের বিরুদ্ধে যে সংস্কার অভিযান চলছিল মুনাফিক ও রক্ষণশীলদের কাছে তা ছিল অত্যন্ত অপ্রীতিকর। তারা এটাকে কোনক্রমেই বরদাশত করতে পারছিল না। মৃতের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে মেয়েদের অংশ লাভ, শ্বশুর বাড়ির বাঁধন থেকে বিধবাদের মুক্তি পাওয়া এবং ইদ্দত শেষ হবার পর যেকোন ব্যক্তিকে বিয়ে করার ব্যাপারে তাদের স্বাধীন ক্ষমতা লাভ, সৎ-মাকে বিয়ে করা হারাম হওয়া দুই বোনকে একই সাথে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করাকে অবৈধ গণ্য করা, পালকপুত্রকে বিয়ে করা হালাল গণ্য করা এবং এই ধরনের আরো অনেক সংস্কারমূলক কার্যাবলীর প্রত্যেকটির ওপর বয়োবৃদ্ধ ও বাপ-দাদার রীতি-রেওয়াজের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তিরা চীৎকার করে উঠছিল। দীর্ঘদিন থেকে এই বিধানগুলোর বিরুদ্ধে নানান কথাবার্তা চলছিল। দুষ্ট লোকেরা নবী ﷺ ও তাঁর সংস্কারমূলক দাওয়াতের বিরুদ্ধে এই বিরূপ কথাগুলো ব্যবহার করে লোকদেরকে উত্তেজিত করে চলছিল। যেমন, ইসলামী শরীয়াত যে ধরনের বিয়েকে হারাম গণ্য করছিল তেমনি ধরনের কোন বিয়ের ফলে ইতিপূর্বে যে ব্যক্তির জন্ম হয়েছিল তাকে এই বলে উত্তেজিত করা হচ্ছিলঃ “নিন জনাব, আজ যে নতুন বিধান ওখানে এসেছে তার দৃষ্টিতে তো আপনার বাপ ও মায়ের সম্পর্ক অবৈধ গণ্য হয়েছে।” এভাবে সেখানে আল্লাহর বিধানের আওতায় যে সংস্কারমূলক কাজ হচ্ছিল এই নির্বোধ লোকেরা তার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছিল।
অন্যদিকে ছিল ইহুদীরা। শত শত বছরের অপ্রয়োজনীয় সূক্ষ্ম শাস্ত্রীয় বিশ্লেষণের মাধ্যমে তারা আল্লাহর শরীয়াতের গায়ে নিজেদের মনগড়া আইন-বিধানের একটি মোটা চামড়া জড়িয়ে দিয়েছিল। শরীয়াতের মধ্যে তারা অসংখ্য বিধি-নিষেধ, সূক্ষ্মতা ও কঠোরতা বৃদ্ধি করেছিল। বহু হালাল জিনিসকে তারা হারাম করে নিয়েছিল। অনেক কল্পনাভিত্তিক কুসংস্কারকে তারা আল্লাহর আইনের অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছিল। এখন কুরআন যে সহজ-সরল শরীয়াত পেশ করছিল তার মর্যাদা অনুধাবন করা তাদের উলামা ও জনগণ উভয়ের মন-মানস ও রুচির সম্পূর্ণ বিরোধী ছিল। কুরআনের বিধান শুনে তারা অস্থির হয়ে পড়তো। এক একটি বিষয়ের ওপর শত শত আপত্তি উত্থাপন করতো। তাদের দাবী ছিল, যদি কুরআন তাদের ফকীহদের সমস্ত ইজতিহাদ ও তাদের পূর্বপূরুষদের যাবতীয় কাল্পনিক কুসংস্কার ও পৌরানিকতাবাদকে আল্লাহর শরীয়াত হিসেবে গণ্য না করে, তাহলে এটি কখনোই আল্লাহর কিতাব হতে পারে না। যেমন, ইহুদীদের নিয়ম ছিল, মাসিক ঋতুস্রাবের সময় তারা মেয়েদেরকে সম্পূর্ণ নাপাক মনে করতো। তাদের রান্না করা খাবার খেতো না। তাদের হাতের পানি পান করতো না। তাদের সাথে এক বিছানায় বসতো না। এমনকি তাদের হাতে স্পর্শ লেগে যাওয়াকে মকরূহ মনে করা হতো। এই কদিন মেয়েরা তাদের নিজেদের ঘরে নিজেরা ‘অচ্ছুৎ’ হয়ে থাকতো। ইহুদীদের সংস্পর্শে এসে মদীনার আনসারদের মধ্যেও এই রেওয়াজ চালু হয়ে গিয়েছিল। রসূলুল্লাহু ﷺ মদীনায় এলে তাঁকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে সূরা বাকারার ২৮ রুকূ’র প্রথম আয়াতটি নাযিল হয়। এই আয়াতের প্রেক্ষিতে নবী ﷺ হুকুম দেন, মাসিক ঋতুস্রাবের সময় স্ত্রীদের সাথে যে সমস্ত সম্পর্ক যেভাবে রাখা হতো সেগুলো ঠিক তেমনিভাবেই এখন তাদের সাথে রাখো। এতে ইহুদীরা হৈ চৈ করতে লাগলো। তারা বলতে থাকলো, এ ব্যক্তি তো কসম খেয়ে বসেছে, আমাদের এখানে যা কিছু হারাম হয়ে আছে সেগুলোকে সে হালাল করেই ছাড়বে এবং যেসব জিনিসকে আমরা নাপাক গণ্য করে এসেছি সেগুলোকে পাক-পবিত্র গণ্য করবেই।
তাফসীরে আবুবকর যাকারিয়া বলেছেন:-
[১] অর্থাৎ আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদের মা ও কন্যাদের হারাম হওয়ার ব্যাপারটি বিস্তারিত বর্ণনা করতে চান। আর এটাও জানিয়ে দিতে চান যে, এটা পূর্বে কখনও হালাল ছিল না। সব শরী’আতেই মা ও মেয়ে হারাম ছিল। [আত-তাফসীরুস সহীহ] অনুরূপভাবে তিনি চান তোমাদেরকে হিদায়াত দিতে বা মিল্লাতে ইবরাহীমীর প্রতি দিকনির্দেশ করতে এবং বর্ণনা আসার পূর্বে তোমাদের কৃত এ জাতীয় গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দিতে। [বাগভী]
[২] আয়াতের অর্থে কাতাদা ও সুদ্দী বলেন, অর্থাৎ যারা ব্যভিচারী বা যারা অন্য মতাদর্শে বিশ্বাসী যেমন, ইয়াহুদী অথবা নাসারা, তারা চায় তোমাদেরকে ব্যভিচারে লিপ্ত করতে, প্রবৃত্তি-পুজারী বানাতে। [তাবারী]
[৩] অর্থাৎ আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে হালকা ও সহজ বিধান দিতে চান। তোমাদের অসুবিধা দূর করার জন্য বিয়ের ব্যাপারে এমন সরল বিধান তিনি দিয়েছেন, যা সবাই পালন করতে পার। স্বাধীন নারীদেরকে বিয়ে করার শক্তি না থাকার ক্ষেত্রে বাঁদীদেরকে বিয়ে করার অনুমতি দান করেছেন। [তাবারী] অনুরূপভাবে উভয়পক্ষকে পারস্পরিক সম্মতিক্রমে মাহ্র নির্ধারণ করার ক্ষমতা দিয়েছেন এবং প্রয়োজনের ক্ষেত্রে ইনসাফ ও সুবিচারের শর্তে একাধিক বিয়ে করার অনুমতিও দিয়েছেন। এসব কিছুই হাল্কা ও সহজ করার স্বার্থেই করা হয়েছে।
[৪] অর্থাৎ মানুষ সৃষ্টিগতভাবে দুর্বল। তার মাঝে কাম-বাসনার উপাদানও নিহিত রয়েছে। যদি তাকে নারীদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকার আদেশ দেয়া হত, তবে সে আনুগত্য করতে অক্ষম হয়ে পড়ত। তার অক্ষমতা ও দুর্বলতার পরিপ্রেক্ষিতে নারীদেরকে বিয়ে করার শুধু অনুমতি দেয়া হয়নি; বরং উৎসাহিত করা হয়েছে। [আত-তাফসীরুস সহীহ]
তাফসীরে আহসানুল বায়ান বলেছেন:-
[১] أَنْ تَمِيْلُوْا অর্থাৎ, ন্যায় ছেড়ে অন্যায়ের দিকে ঝুঁকে পড়া। পথচ্যুত হওয়া।
[২] এই দুর্বলতার কারণে তার পাপে লিপ্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশী। এই কারণে মহান আল্লাহ তার জন্য সম্ভবপর সুবিধাসমূহের ব্যবস্থা করেছেন। আর সেই সুবিধার একটি হল, ক্রীতদাসীকে বিয়ে করার অনুমতি দেওয়া। কেউ কেউ বলেছেন, এই দুর্বলতার সম্পর্ক হল মহিলাদের সাথে। অর্থাৎ, মহিলার ব্যাপারে পুরুষ নিতান্তই দুর্বল। আর এই কারণেই মহিলা কম বুদ্ধি সত্ত্বেও পুরুষকে সহজেই নিজের জালে ফাঁসিয়ে নিতে পারে।
তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ বলেছেন:-
আল্লাহ তা‘আলা চান কোনটা হালাল কোনটা হারাম তার বিশদভাবে বর্ণনা করে দিতে যাতে তাঁর বান্দারা হালাল গ্রহণ করতে আর হারাম বর্জন করতে পারে। তিনি আরো চান পূর্ববর্তী যাদের ওপর তিনি অনুগ্রহ করেছিলেন তাদের পথ তোমাদেরকে প্রদর্শন করতে এবং তাওবাহ কবুল করতে।
আল্লাহ তা‘আলা চান মানুষের ওপর বিধান হালকা করে দিতে যাতে পালন করতে সহজ হয়। হাদীসে এসেছে: দীন সহজ, কেউ দীন নিয়ে কঠোরতা করলে দীন তার ওপর বিজয়ী হবে। (সহীহ বুখারী হা:৩৯) কেননা মানুষকে দুর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. বান্দার ওপর আল্লাহ তা‘আলার অনুগ্রহ অসীম।
২. আল্লাহ তা‘আলা প্রদত্ত বিধান মানুষের পালন করা সাধ্যের অধীন।
৩. প্রতিটি মানুষ তার সহজাত বাসনার কাছে দুর্বল।
৪. প্রবৃত্তির অনুসরণ করে সঠিক পথের সন্ধান পাওয়া যায় না। একমাত্র কুরআন ও সুন্নাহ সঠিক পথ দিতে পারে।