(Book# 114/١٣٢)-৩৩৪ www.motaher21.net وَمَآ أَرْسَلْنَا مِن رَّسُولٍ إِلَّا لِيُطَاعَ بِإِذْنِ اللَّهِ ۚ আর আমি যে কোন রাসূল প্রেরণ করেছি তা কেবল এ জন্য, যেন আল্লাহর অনুমতিক্রমে তাদের আনুগত্য করা হয়। We sent no messenger, but to be obeyed by Allah’s Leave. সুরা: আন-নিসা আয়াত নং :-৬৪-৬৫

أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ

(Book# 114/١٣٢)-৩৩৪
www.motaher21.net

وَمَآ أَرْسَلْنَا مِن رَّسُولٍ إِلَّا لِيُطَاعَ بِإِذْنِ اللَّهِ ۚ
আর আমি যে কোন রাসূল প্রেরণ করেছি তা কেবল এ জন্য, যেন আল্লাহর অনুমতিক্রমে তাদের আনুগত্য করা হয়।
We sent no messenger, but to be obeyed by Allah’s Leave.

সুরা: আন-নিসা
আয়াত নং :-৬৪-৬৫

وَمَآ أَرْسَلْنَا مِن رَّسُولٍ إِلَّا لِيُطَاعَ بِإِذْنِ اللَّهِ ۚ وَلَوْ أَنَّهُمْ إِذ ظَّلَمُوٓا أَنفُسَهُمْ جَآءُوكَ فَاسْتَغْفَرُوا اللَّهَ وَاسْتَغْفَرَ لَهُمُ الرَّسُولُ لَوَجَدُوا اللَّهَ تَوَّابًا رَّحِيمًا

আর আমি যে কোন রাসূল প্রেরণ করেছি তা কেবল এ জন্য, যেন আল্লাহর অনুমতিক্রমে তাদের আনুগত্য করা হয়। আর যদি তারা- যখন নিজদের প্রতি যুলম করেছিল তখন তোমার কাছে আসত অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইত এবং রাসূলও তাদের জন্য ক্ষমা চাইত তাহলে অবশ্যই তারা আল্লাহকে তাওবা কবূলকারী, দয়ালু পেত।

فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتّٰى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوا فِىٓ أَنفُسِهِمْ حَرَجًا مِّمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا

অতএব তোমার রবের কসম, তারা মুমিন হবে না যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে বিচারক নির্ধারণ করে, তারপর তুমি যে ফয়সালা দেবে সে ব্যাপারে নিজদের অন্তরে কোন দ্বিধা অনুভব না করে এবং পূর্ণ সম্মতিতে মেনে নেয়।

৬৪-৬৫ নং আয়াতের তাফসীর:

তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-

টিকা:১:-
অর্থাৎ আল্লাহর পক্ষ থেকে রসূল এ জন্য আসেন না যে, কেবল তাঁর রিসালাতের প্রতি ঈমান আনতে হবে তারপর ইচ্ছেমতো যে কারো আনুগত্য করা যাবে। বরং রসূলের আগমনের উদ্দেশ্যই এই হয় যে, জীবন যাপনের জন্য যে আইন কানুন তিনি আনেন দুনিয়ার সমস্ত আইন কানুন বাদ দিয়ে কেবল মাত্র তারই অনুসরণ করতে হবে এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে তিনি যে বিধান দেন সমস্ত বিধান ত্যাগ করে একমাত্র তাকেই কার্যকর করতে হবে। যদি কেউ এ কাজে ব্রতী না হয়, তাহলে তার নিছক রসূলকে রসূল মেনে নেয়া অর্থহীন হয়ে পড়ে।

টিকা:২:-
এই আয়াতে দেয়া নির্দেশটি কেবল মাত্র রসূলের জীবন পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয় বরং কিয়ামত পর্যন্ত এটি কার্যকর হবে। নবী ﷺ আল্লাহর কাছ থেকে যা কিছু এনেছেন এবং আল্লাহর হেদায়াত ও পথপ্রদর্শনের ভিত্তিতে যে পদ্ধতিতে তিনি কাজ করেছেন, তা চিরস্থায়ীভাবে মুসলমানদের জন্য চূড়ান্ত ফায়সালাকারী সনদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এই সনদটি মানা ও না মানার ওপরইকোন ব্যক্তির মু’মিন হওয়া ও না হওয়া নির্ভর করে। নবী ﷺ হাদীসে একথাটিই এভাবে ব্যক্ত করেছেনঃ

لا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى يَكُونَ هَوَاءٌ تَبعًا لِمَا جِئتُ بٍه

“তোমাদের কোন ব্যক্তি মু’মিন হতে পারবে না যতক্ষণ না তার প্রবৃত্তি আমি যে পদ্ধতির প্রবর্তন করেছি তার অধীনতা স্বীকার করে নেবে।”

টিকা:৩:-
এই আয়াতে দেয়া নির্দেশটি কেবল মাত্র রসূলের জীবন পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয় বরং কিয়ামত পর্যন্ত এটি কার্যকর হবে। নবী ﷺ আল্লাহর কাছ থেকে যা কিছু এনেছেন এবং আল্লাহর হেদায়াত ও পথপ্রদর্শনের ভিত্তিতে যে পদ্ধতিতে তিনি কাজ করেছেন, তা চিরস্থায়ীভাবে মুসলমানদের জন্য চূড়ান্ত ফায়সালাকারী সনদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এই সনদটি মানা ও না মানার ওপরইকোন ব্যক্তির মু’মিন হওয়া ও না হওয়া নির্ভর করে। নবী ﷺ হাদীসে একথাটিই এভাবে ব্যক্ত করেছেনঃ

لا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى يَكُونَ هَوَاءٌ تَبعًا لِمَا جِئتُ بٍه

“তোমাদের কোন ব্যক্তি মু’মিন হতে পারবে না যতক্ষণ না তার প্রবৃত্তি আমি যে পদ্ধতির প্রবর্তন করেছি তার অধীনতা স্বীকার করে নেবে।”

তাফসীরে ইবনে ‌কাসীর বলেছেন:-

ভাবার্থ এই যে, প্রত্যেক যুগের রাসূলের আনুগত্য স্বীকার করা তাঁর উম্মতের উপর আল্লাহ তা’আলার পক্ষ হতে ফরয হয়ে থাকে। রিসালাতের পদমর্যাদা এই যে, তাঁর সমস্ত আদেশকে আল্লাহ তা’আলার আদেশ মনে করা হবে। হযরত মুজাহিদ (রঃ) বলেন: (আরবী)-এর ভাবার্থ হচ্ছে এই যে, এর ক্ষমতা আল্লাহ তা’আলার হাতেই রয়েছে এবং তা তার শক্তি ও ইচ্ছের উপরই নির্ভর করে। অর্থাৎ আল্লাহর ক্ষমতা ও ইচ্ছে ছাড়া কেউ তাঁর আনুগত্য স্বীকার করতে পারে। যেমন অন্য আয়াতে রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ যখন তুমি তাঁর হুকুমে তাদের উপর জয়যুক্ত হয়েছিলে।’ (৩:১৫২) এখানেও (আরবী) শব্দের ভাবার্থ হচ্ছে তার ক্ষমতা ও ইচ্ছা। অতঃপর আল্লাহ তাআলা অবাধ্য ও পাপীদের প্রতি ইরশাদ করেছেন যে, তারা যেন রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নিকট আগমন করতঃ আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নিকটও যেন তাদের জন্য আল্লাহ তা’আলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করার আবেদন জানায়। তারা যখন এরূপ করবে তখন নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তাদের তাওবা কবুল করবেন এবং তাদের প্রতি দয়া পরবশ হয়ে তাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন।

আবু মানসূর আস্সাববাগ্ (রঃ) স্বীয় প্রসিদ্ধ গল্পের পুস্তকে উত্তীর (রঃ) একটি বর্ণনা নকল করেছেন। উত্তী (রঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর সমাধির পার্শ্বে বসেছিলাম। এমন সময় সেখানে এক বেদুঈনের আগমন ঘটে। সে বলে, আস্সালামু আলাইকুম ইয়া রাসূলাল্লাহ (হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)! আমি আল্লাহ তা’আলার (আরবী) উক্তি শুনেছি। তাই আমি আপনার সামনে স্বীয় পাপের জন্যে আল্লাহ তা’আলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা ও আপনার শাফাআত কামনা করছি। অতঃপর সে নিম্নের কবিতাটি পাঠ করেঃ (আরবী) অর্থাৎ হে ঐ সবের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি! যাদের অস্থিগুলো প্রান্তরে প্রোথিত হয়েছে এবং সেগুলোর সুবাসে পর্বত ও প্রান্তর সুরভিত হয়েছে। সে কবরের জন্য আমার প্রাণ উৎসর্গিত হোক, যে কবরে আপনি অবস্থানকারী। এতে রয়েছে পবিত্রতা, দানশীলতা ও ভদ্রতা। অতঃপর বেদুঈন চলে যায় এবং আমার চোখে দ্রিা চেপে বসে। আমি স্বপ্নে দেখি যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) আমাকে যেন বলছেনঃ ‘যাও, ঐ বেদুঈনকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও যে, আল্লাহ তা’আলা তার পাপ মার্জনা করেছেন।

এরপর আল্লাহ তা’আলা স্বীয় পবিত্র ও সম্মানিত সত্তার শপথ করে বলছেনঃ ‘কোন ব্যক্তিই ঈমানের সীমার মধ্যে আসতে পারে না যে পর্যন্ত সমস্ত বিষয়ে আল্লাহ তাআলার শেষ নবী (সঃ)-কে ন্যায় বিচারক রূপে মেনে না নেবে এবং প্রত্যেক নির্দেশকে, প্রত্যেক মীমাংসাকে, প্রত্যেক সুন্নাতকে, প্রত্যেক হাদীসকে গ্রহণযোগ্য রূপে স্বীকার না করবে। আর অন্তর ও দেহকে একমাত্র ঐ রাসূলেরই (সঃ) অনুগত না করবে। মোটকথা, যে ব্যক্তি তার প্রকাশ্য, গোপনীয়, ছোট ও বড় প্রতিটি বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর হাদীসকে সমস্ত নীতির মূল মনে করবে সে হচ্ছে মুমিন। অতএব নির্দেশ দেয়া হচ্ছে, তারা যেন তোমার মীমাংসাকে সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নেয় এবং স্বীয় অন্তরে যেন কোন প্রকারের সংকীর্ণতা পোষণ না করে। তারা যেন সমস্ত হাদীসকেই স্বীকার করে নেয়। তারা যেন না হাদীসসমূহকে স্বীকার করা হতে বিরত থাকে, না ঐগুলোকে সরিয়ে দেয়ার উপায় অনুসন্ধান করে, না ওর মত অন্য কোন জিনিসকে মর্যাদা সম্পন্ন মনে করে, না ঐ গুলো খণ্ডন করে এবং না ঐ গুলো মেনে নেয়ার ব্যাপারে তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত হয়। যেমন রাসূলুল্লাহ (সঃ) ঘোষণা করেনঃ যার অধিকারে আমার প্রাণ রয়েছে তাঁর শপথ! তোমাদের মধ্যে কেউ মুমিন হতে পারে না যে পর্যন্ত না সে স্বীয় প্রবৃত্তিকে ঐ জিনিসের অনুগত করে যা আমি আনয়ন করেছি।’

সহীহ বুখারী শরীফে হযরত উরওয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন যে, নর্দমা দিয়ে বাগানে পানি নেয়ার ব্যাপারে একটি লোকের সঙ্গে হযরত যুবাইর (রাঃ)-এর বিবাদ হয়। নবী (সঃ) তখন বলেনঃ “হে যুবাইর (রাঃ)! তোমার বাগানে পানি নেয়ার পর তুমি আনসারীর বাগানে পানি যেতে দাও। তার একথা শুনে আনসারী বলে, ‘হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! সে আপনার ফুপাতো ভাই তো!’ এটা শুনে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর চেহারা মুবারক পরিবর্তিত হয় এবং তিনি বলেনঃ “হে যুবাইর (রাঃ)! তুমি তোমার বাগানে পানি দেয়ার পর তা বন্ধ রেখো যে পর্যন্ত না সে পানি বাগানের প্রাচীর পর্যন্ত পৌছে যায়। অতঃপর পানি তোমার প্রতিবেশীর দিকে ছেড়ে দাও।’ প্রথমে রাসূলুল্লাহ (সঃ) এমন পন্থা বের করেন যাতে হযরত যুবাইর (রাঃ)-এর কষ্ট না হয় এবং আনসারীরও প্রশস্ততা বেড়ে যায়। কিন্তু আনসারী যখন সেটা তার পক্ষে উত্তম মনে করলো না, তখন তিনি হযরত যুবাইর (রাঃ)-কে তাঁর পূর্ণ হক প্রদান করলেন। হযরত যুবাইর (রাঃ) বলেন, আমি ধারণা করি যে, (আরবী)-এ আয়াতটি এ ব্যাপারেই অবতীর্ণ হয়। মুসনাদ-ই-আহমাদের একটি মুরসাল হাদীসে রয়েছে যে, এ আনসারী বদরী সাহাবী ছিলেন। অন্য বর্ণনা হিসেবে উভয়ের মধ্যে বিবাদ ছিল এই যে, পানির নালা হতে প্রথমেই ছিল হযরত যুবাইর (রাঃ)-এর বাগান এবং তারপরে ঐ আনসারীর বাগান। আনসারী হযরত যুবাইর (রাঃ)-কে বলতেন, ‘পানি বন্ধ করবেন না। পানি আপনা আপনি এক সাথে দু’ বাগানেই আসবে।’

মুসনাদ-ই-ইবনে আবি হাতিমের আর একটি খুব বেশী দুর্বল বর্ণনায় এ আয়াতের শান-ই-নযুল এই বর্ণনা করা হয়েছে যে, দু’ব্যক্তি তাদের বিবাদের মীমাংসার জন্যে মুহাম্মাদ (সঃ)-এর দরবারে উপস্থিত হয়। তিনি একটা মীমাংসা করে দেন। কিন্তু মীমাংসা যার প্রতিকূল হয়েছিল সে বলে, হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! মীমাংসার জন্যে আপনি আমাদেরকে হযরত উমার (রাঃ)-এর নিকট পাঠিয়ে দিন। রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “ঠিক আছে, তোমরা সেখানেই যাও।’ তারা এখানে আসলে যার অনুকূলে ফায়সালা হয়েছিল সে সমস্ত ঘটনা হযরত উমারের নিকট বর্ণনা করে। হযরত উমার (রাঃ) অপর ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করেন, এটা সত্যা কি?’ সে স্বীকার করে নেয়। হযরত উমার (রাঃ) তখন তাদেরকে বলেন, এখানে তোমরা থাম, আমি এসে ফায়সালা করছি।’ তিনি। তরবারী নিয়ে আসলেন এবং যে ব্যক্তি বলেছিল, আমাদেরকে হযরত উমার (রাঃ)এর নিকট পাঠিয়ে দিন তার গর্দান উড়িয়ে দেন। অপর ব্যক্তি এটা দেখেই দৌড়ে পালিয়ে আসে এবং রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলে, “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আমার সঙ্গীকে হত্যা করা হয়েছে এবং আমি পালিয়ে না আসলে আমার মঙ্গল ছিল না। রাসূলুল্লাহ (সঃ) তখন বলেনঃ “আমি উমার (রাঃ)-কে এরূপ জানতাম না যে, তিনি এরূপ বীরত্বপনা দেখিয়ে একজন মুসলমানের রক্ত প্রবাহিত করবেন। সে সময় এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। ফলে ঐ ব্যক্তির রক্ত বিফলে যায় এবং হযরত উমার (রাঃ)-কে নির্দোষ সাব্যস্ত করা হয়। কিন্তু এ নিয়ম চালু হয়ে যাওয়া আল্লাহ তা’আলা অপছন্দ করেন। তাই তিনি (আরবী) (৪:৬৬) -এ আয়াতটি অবতীর্ণ। করেন যা পরে আসছে।

তাফসীর-ই-ইবনে মিরদুওয়াই-এর মধ্যেও এ বর্ণনাটি রয়েছে যা গারীব ও মুরসাল। ইবনে আবি লাহীআহ্ নামক বর্ণনাকারী দুর্বল। এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলাই সবচেয়ে বেশী জানেন। অন্য সনদের মাধ্যমে বর্ণিত আছে যে, দু’ ব্যক্তি তাদের বিবাদ মীমাংসার জন্যে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়। তিনি হক পন্থীর পক্ষে মীমাংসা করেন। কিন্তু মীমাংসা য%B