أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book# 114/٢٠٥)-৪০৭
www.motaher21.net
وَحَسِبُواْ أَلاَّ تَكُونَ فِتْنَةٌ
আর তারা ভেবেছে যে, কোন বিপর্যয় হবে না।
They thought there will be no Fitnah (trial or punishment).
সুরা: আল্ মায়িদাহ
আয়াত নং :-৭০-৭১
لَقَدْ أَخَذْنَا مِيثٰقَ بَنِىٓ إِسْرٰٓءِيلَ وَأَرْسَلْنَآ إِلَيْهِمْ رُسُلًا ۖ كُلَّمَا جَآءَهُمْ رَسُولٌۢ بِمَا لَا تَهْوٰىٓ أَنفُسُهُمْ فَرِيقًا كَذَّبُوا وَفَرِيقًا يَقْتُلُونَ
অবশ্যই আমি বনী ইসরাঈলের অঙ্গীকার নিয়েছি এবং তাদের নিকট পাঠিয়েছি অনেক রাসূল। যখনই তাদের নিকট কোন রাসূল এমন কিছু নিয়ে এসেছে, যা তাদের মন চায় না, তখন তারা একদলকে অস্বীকার করেছে এবং একদলকে হত্যা করেছে।
আয়াত:-৭১
وَحَسِبُوٓا أَلَّا تَكُونَ فِتْنَةٌ فَعَمُوا وَصَمُّوا ثُمَّ تَابَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ ثُمَّ عَمُوا وَصَمُّوا كَثِيرٌ مِّنْهُمْ ۚ وَاللَّهُ بَصِيرٌۢ بِمَا يَعْمَلُونَ
আর তারা ভেবেছে যে, কোন বিপর্যয় হবে না। ফলে তারা অন্ধ ও বধির হয়ে গিয়েছে। অতঃপর আল্লাহ তাদের তাওবা কবূল করেছেন। অতঃপর তাদের অনেকে অন্ধ ও বধির হয়ে গিয়েছে। আর তারা যা আমল করে আল্লাহ তার দ্রষ্টা।
৭০-৭১ নং আয়াতের তাফসীর:
তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ বলেছেন:-
আল্লাহ তা‘আলা বানী ইসরাঈলের থেকে অঙ্গীকার নিয়েছেন যে, তারা আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলের আনুগত্য করবে। কিন্তু যখনই রাসূল এমন বিষয় নিয়ে আগমন করেছে যা তাদের মনোপুত হয়নি তখনই তারা আল্লাহ তা‘আলাকে দেয়া অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে।
(وَحَسِبُوْآ أَلَّا تَكُوْنَ فِتْنَةٌ)
‘তারা মনে করেছিল, তাদের কোন শাস্তি হবে না’আল্লাহ তা‘আলা বানী ইসরাঈলকে দু’বার অন্ধ ও বধির বানিয়ে শাস্তি দিয়েছিলেন সে কথা ব্যক্ত করেছেন। তারপরেও আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে তাওবার সুযোগ দিয়েছিলেন।
এর বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَقَضَيْنَآ إِلٰي بَنِيْٓ إِسْرَا۬ئِيْلَ فِي الْكِتٰبِ لَتُفْسِدُنَّ فِي الْأَرْضِ مَرَّتَيْنِ)
“এবং আমি কিতাবে প্রত্যাদেশ দ্বারা বানী ইসরাঈলকে জানিয়েছিলাম, ‘নিশ্চয়ই তোমরা পৃথিবীতে দু’বার বিপর্যয় সৃষ্টি করবে।”(সূরা ইসরা ১৭:৪) প্রথমবার তাদের পরিণতির ফল বধিরতা ও অন্ধত্বের কথা উল্লেখ করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(فَإِذَا جَا۬ءَ وَعْدُ أُوْلَاهُمَا بَعَثْنَا عَلَيْكُمْ عِبَادًا لَّنَآ أُولِيْ بَأْسٍ شَدِيْدٍ)
“অতঃপর এ দু’টির প্রথমটির নির্ধারিত সময় যখন উপস্থিত হল তখন আমি তোমাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম আমার বান্দাদেরকে, তারা ছিল যুদ্ধে অতিশয় শক্তিশালী; (সূরা ইসরা ১৭:৫)
দ্বিতীয়বার তাদের পরিণতির ফল বধিরতা ও অন্ধত্বের কথা উল্লেখ করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(فَإِذَا جَا۬ءَ وَعْدُ الْاٰخِرَةِ لِيَسُوْٓءُوْا وُجُوْهَكُمْ وَلِيَدْخُلُوا الْمَسْجِدَ كَمَا دَخَلُوْهُ أَوَّلَ مَرَّةٍ وَّلِيُتَبِّرُوْا مَا عَلَوْا تَتْبِيْرًا)
“অতঃপর পরবর্তী নির্ধারিত সময় উপস্থিত হলে আমি আমার বান্দাদেরকে প্রেরণ করলাম তোমাদের মুখমণ্ডল কালিমাচ্ছন্ন করার জন্য, প্রথমবার তারা যেভাবে মাসজিদে প্রবেশ করেছিল পুনরায় সেভাবেই তাতে প্রবেশ করার জন্য এবং তারা যা অধিকার করেছিল তা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার জন্য।”(সূরা ইসরা ১৭:৭)
উভয় শাস্তির মাঝে তাদের তাওবার কথা উল্লেখ করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(ثُمَّ رَدَدْنَا لَكُمُ الْكَرَّةَ عَلَيْهِمْ وَأَمْدَدْنٰكُمْ بِأَمْوَالٍ وَّبَنِيْنَ وَجَعَلْنٰكُمْ أَكْثَرَ نَفِيْرًا )
“অতঃপর আমি তোমাদেরকে পুনরায় তাদের ওপর প্রতিষ্ঠিত করলাম, তোমাদেরকে ধন ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা সাহায্য করলাম ও সংখ্যাগরিষ্ঠ করলাম।”(সূরা ইসরা ১৭:৬)
তারপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, এরপরেও যদি তারা ফাসাদ সৃষ্টি করে তাহলে আল্লাহ তা‘আলাও পুনরায় শাস্তি দেবেন:
(وَإِنْ عُدْتُّمْ عُدْنَا م وَجَعَلْنَا جَهَنَّمَ لِلْكٰفِرِيْنَ حَصِيْرًا)
“তোমরা যদি তোমাদের পূর্ব আচরণের পুনরাবৃত্তি কর তবে আমিও পুনরাবৃত্তি করব।
জাহান্নামকে আমি করেছি কাফিরদের জন্য কারাগার।”(সূরা ইসরা ১৭:৮)
তারা পুনরায় ফাসাদ সৃষ্টি করলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাদের ওপর কর্তৃত্ব দান করলেন। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বানী কুরাইযার যোদ্ধাদের হত্যা করলেন, শিশু ও নারীদের বন্দী করলেন, বানী কায়নুকা ও বানী নাযীরকে দেশান্তর করলেন। যেমন সূরা হাশরে উল্লেখ রয়েছে। (তাফসীর আযওয়াউল বায়ান, ২/৭৯)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. বানী ইসরাঈলের ওপর আল্লাহ তা‘আলা অশেষ অনুগ্রহ করেছিলেন।
২. বানী ইসরাঈলকে ওপর আল্লাহ তা‘আলা দু’বার শাস্তি দিয়েছিলেন।
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Al Mayadah
Verse:- 70-71
وَحَسِبُواْ أَلاَّ تَكُونَ فِتْنَةٌ
They thought there will be no Fitnah (trial or punishment).
Allah says;
لَقَدْ أَخَذْنَا مِيثَاقَ بَنِي إِسْرَايِيلَ وَأَرْسَلْنَا إِلَيْهِمْ رُسُلً
Verily, We took the covenant of the Children of Israel and sent Messengers to them.
Allah reminds that He took the covenant and pledges from the Children of Israel to hear and obey Him and His Messenger. They broke these pledges and covenants and followed their lusts and desires instead of the law, and whichever part of the law they agreed with, they took it. Otherwise, they abandoned it, if it did not conform to their desires.
This is why Allah said,
كُلَّمَا جَاءهُمْ رَسُولٌ بِمَا لَا تَهْوَى أَنْفُسُهُمْ فَرِيقًا كَذَّبُواْ وَفَرِيقًا يَقْتُلُونَ
وَحَسِبُواْ أَلاَّ تَكُونَ فِتْنَةٌ فَعَمُواْ وَصَمُّواْ
Whenever there came to them a Messenger with what they themselves desired not – a group of them they called liars, and others among them they killed. They thought there will be no Fitnah (trial or punishment) so they became blind and deaf.
thinking that they would suffer no repercussions for of the evil that they committed. Consequently, they were blinded from the truth and became deaf, incapable of hearing the truth. For these reasons they were unable to be guided by it.
..
ثُمَّ تَابَ اللّهُ عَلَيْهِمْ ثُمَّ عَمُواْ وَصَمُّواْ
after that Allah turned to them (with forgiveness); yet again many of them became blind and deaf.
Allah forgave that, then,
ثُمَّ عَمُواْ وَصَمُّواْ
(yet they became blind and deaf) again,
كَثِيرٌ مِّنْهُمْ وَاللّهُ بَصِيرٌ بِمَا يَعْمَلُونَ
many of them, and Allah is the All-Seer of what they do.
He has perfect knowledge of what they do and whomever among them deserves the guidance and whomever deserves misguidance.
তাফসীরে ইবনে কাসীর বলেছেন:-
৭০-৭১ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তাআলা ইয়াহুদী ও নাসারাদের নিকট ওয়াদা নিয়েছিলেন যে, তারা আল্লাহর আহকামের উপর আমল করবে এবং অহীর অনুসরণ করবে। কিন্তু তারা ঐ ওয়াদা ভেঙ্গে দেয় এবং নিজেদের প্রবৃত্তির চাহিদার পেছনে লেগে পড়ে! আল্লাহর কিতাবের যে কথা তারা নিজেদের স্বার্থের অনুকূলে পায় তা মেনে নেয় এবং যা তাদের স্বার্থের প্রতিকূলে হয় তা পরিত্যাগ করে। শুধু এটুকুই নয়, বরং তারা রাসূলকে মিথ্যাবাদী বলে এবং বহু রাসূলকে হত্যা করে ফেলে। কেননা, তারা তাদের কাছে যে আহকাম নিয়ে এসেছিলেন তা তাদের মতের বিপরীত ছিল।
এতবড় পাপ করার পরেও তারা নিশ্চিন্ত থাকে এবং মনে করে নেয় যে, তাদের কোনই শাস্তি হবে না। কিন্তু তাদের ভীষণ আধ্যাত্মিক শাস্তি হয়। অর্থাৎ তাদেরকে হক অনুধাবন করা থেকে দূরে নিক্ষেপ করা হয় এবং অন্ধ ও বধির বানিয়ে দেয়া হয়। না তারা হককে শুনতে পায়, না ‘হিদায়াত’কে দেখতে পায়। কিন্তু তবুও আল্লাহ তাদের উপর দয়া করেন। আর এর পরেও তাদের অধিকাংশই ঐ রূপই থেকে যায়, অর্থাৎ তারা হক দর্শন থেকে অন্ধ এবং হক শ্রবণ থেকে বধির। আল্লাহ তাদের আমল সম্পর্কে অবহিত রয়েছেন। কাজেই কে কিসের যোগ্য তা তিনি ভালই জানেন।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান বলেছেন:-
[১] অর্থাৎ, তারা ধারণা করেছিল যে, তাদের কর্মে কোন শাস্তি সন্নিবিষ্ট নেই। কিন্তু উল্লিখিত আল্লাহর নিয়ম মোতাবেক এই শাস্তি সন্নিবিষ্ট ছিল যে, তারা সত্য দর্শনের ব্যাপারে অধিক অন্ধ এবং সত্য শ্রবণ করার ব্যাপারে অধিক বধির হয়ে গেল। আর তওবা করার পর পুনরায় সেই কর্মেই লিপ্ত হল, তাই তাদের শাস্তিও দ্বিতীয়বার পুনরাবৃত্ত হল।
তাফসীরে আবুবকর যাকারিয়া বলেছেন:-
[১] বনী-ইসরাঈলের কাছে তাদের রাসূল যখন কোন নির্দেশ নিয়ে আসতেন, যা তাদের রুচি-বিরুদ্ধ হত, তখন অঙ্গীকার ভঙ্গ করে তারা আল্লাহর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে শুরু করত এবং নবীদের মধ্যে কারো প্রতি মিথ্যারোপ করত এবং কাউকে হত্যা করত। এটি ছিল আল্লাহর প্রতি ঈমান ও সৎকর্মের ক্ষেত্রে তাদের অবস্থা। এখন আখেরাতের প্রতি বিশ্বাসের অবস্থা এ দ্বারা অনুমান করা যায় যে, এত সব নির্মম অত্যাচার ও বিদ্ৰোহীসুলভ অপরাধে লিপ্ত হয়েও তারা সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকত। ভাবখানা এই যে, এসব কুকর্মের জন্য কোন সাজাই ভোগ করতে হবে না এবং কোন প্রকার অশুভ পরিণতি কখনো তাদের সামনে আসবে না। কেননা, তারা মনে করতে থাকে যে, তারা আল্লাহর পরিবার-পরিজন ও তাঁর প্রিয় বান্দা সুতরাং তাদের কোন অপরাধই ধর্তব্য নয়। এরূপ ধারণার কারণে তারা আল্লাহর নিদর্শন ও হুশিয়ারী থেকে সম্পূর্ণ অন্ধ ও বধির হয়ে যায় এবং যা গৰ্হিত তাই করতে থাকে। এমনকি, কিছুসংখ্যক নবীকে তারা হত্যা করেছে আর কিছুসংখ্যককে বন্দী করে। অবশেষে আল্লাহ তা’আলা বাদশাহ বখ্তে নসরকে তাদের উপর চাপিয়ে দেন। এরপর দীর্ঘদিন অতীত হলে জনৈক পারস্য সম্রাট তাদেরকে বখ্তে নসরের লাঞ্ছনা ও অবমাননার কবল থেকে উদ্ধার করে বাবেল থেকে বায়তুল মোকাদ্দাসে নিয়ে আসেন। তখন তারা তাওবাহ করে এবং অবস্থা সংশোধনে মনোনিবেশ করে। আল্লাহ তাদের সে তাওবাহ কবুল করেন। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই তারা আবার দুস্কৃতিতে মেতে উঠে এবং অন্ধ ও বধির হয়ে যাকারিয়া ও ইয়াহইয়া ‘‘আলাইহিমাস সালামকে হত্যা করার দুঃসাহস প্রদর্শন করে। এমনকি ঈসা ‘আলাইহিস সালামকেও হত্যা করতে উদ্যত হয়। [আইসারুত তাফাসীর, কুরতুবী, ফাতহুল কাদীর, আততাহরীর ওয়াত তানওয়ীর]
[২] আল্লামা শানকীতী বলেন, এ আয়াতে আল্লাহ তা’আলা বলেছেন যে, বনী ইসরাঈল দু’বার অন্ধ ও বধির হয়েছিল। যার মাঝে আল্লাহ তাদের তাওবাহও কবুল করেছিলেন। এর বিস্তারিত বিবরণ এসেছে সূরা আল-ইসরার ৪,৫,৬,৭ নং আয়াতে।
যাতে বলা হয়েছে, “আর আমরা কিতাবে ওহী দ্বারা বনী ইসরাঈলকে জানিয়েছিলাম, ‘নিশ্চয়ই তোমরা পৃথিবীতে দুবার বিপর্যয় সৃষ্টি করবে” এটা ছিল প্রথমবার অন্ধ ও বধির হওয়া। এর শাস্তিস্বরূপ যা এসেছে, তার বর্ণনায় এসেছে, “তারপর এ দুটির প্রথমটির নির্ধারিত সময় যখন উপস্থিত হল তখন আমরা তোমাদের বিরুদ্ধে পাঠিয়েছিলাম আমাদের বান্দাদেরকে, যুদ্ধে অত্যন্ত শক্তিশালী; তারা ঘরে ঘরে প্রবেশ করে সব কিছু ধ্বংস করেছিল”। এরপর দ্বিতীয়বার তাদের অন্ধ ও বধির হওয়ার বর্ণনা দিয়ে বলা হয়েছে, “তারপর পরবর্তী নির্ধারিত সময় উপস্থিত হলে (আমি আমার বান্দাদের পাঠালাম) তোমাদের মুখমন্ডল কালিমাচ্ছন্ন করার জন্য, প্রথমবার তারা যেভাবে মসজিদে প্রবেশ করেছিল আবার সেভাবেই তাতে প্রবেশ করার জন্য এবং তারা যা অধিকার করেছিল তা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার জন্য”। এ দু অন্ধত্ব ও বধিরতা ও এ দুয়ের শাস্তির মাঝখানে আল্লাহ তা’আলা তাদের প্রতি দয়াবান হয়ে যে তাওবা কবুল করেছিলেন, তার বর্ণনা দিয়ে আল্লাহ বলেন, “তারপর আমরা তোমাদেরকে আবার তাদের উপর প্রতিষ্ঠিত করলাম, তোমাদেরকে ধন ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা সাহায্য করলাম ও সংখ্যায় গরিষ্ঠ করলাম”। তারপর আল্লাহ বর্ণনা করলেন যে, আবার যদি তোমরা অন্ধ ও বধির হও এবং দুনিয়ার বুকে ফাসাদ সৃষ্টি কর, তবে আমি আবার তোমাদের জন্য শাস্তি নিয়ে আসব। তিনি বলেন, “কিন্তু তোমরা যদি তোমাদের আগের আচরণের পুনরাবৃত্তি কর তবে আমরাও পুনরাবৃত্তি করব”। [সূরা আল-ইসরা ৪-৮]
বনী ইসরাঈল কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অস্বীকার করার মাধ্যমে আবার অন্ধ ও বধির হয়েছিল এবং দুনিয়ার বুকে ফেতনা ও ফাসাদ সৃষ্টি করেছিল। তাওরাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের যে সমস্ত গুণাগুণ বর্ণিত হয়েছে সেগুলোকে তারা গোপন করল। সুতরাং আল্লাহও তাদের নবীর মাধ্যমে তাদেরকে শাস্তি দিলেন। বনু কুরাইযার যোদ্ধাদেরকে হত্যা করা হলো, তাদের নারী ও শিশুদেরকে বন্দি করা হলো, বনু কাইনুকা ও বনু নদ্বীরকে মদীনা থেকে নির্বাসন দেয়া হলো, যেমনটি আল্লাহ তার কিছু বর্ণনা সূরা আল-হাশরে উল্লেখ করেছেন। [আদওয়াউল বায়ান]