(Book# 114/٢٢٥)-৪২৭ www.motaher21.net هَذَا يَوْمُ يَنفَعُ الصَّادِقِينَ صِدْقُهُمْ ‘এটা হল সেই দিন যেদিন সত্যবাদীগণকে তাদের সততা উপকার করবে। This is a Day on which the truthful will profit from their truth. সুরা: আল্ মায়িদাহ আয়াত নং :-১১৯-১২০

أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ

(Book# 114/٢٢٥)-৪২৭
www.motaher21.net

هَذَا يَوْمُ يَنفَعُ الصَّادِقِينَ صِدْقُهُمْ

‘এটা হল সেই দিন যেদিন সত্যবাদীগণকে তাদের সততা উপকার করবে।
This is a Day on which the truthful will profit from their truth.

সুরা: আল্ মায়িদাহ
আয়াত নং :-১১৯-১২০

قَالَ اللَّهُ هٰذَا يَوْمُ يَنفَعُ الصّٰدِقِينَ صِدْقُهُمْ ۚ لَهُمْ جَنّٰتٌ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا الْأَنْهٰرُ خٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدًا ۚ رَّضِىَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ ۚ ذٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ

আল্লাহ বলবেন, ‘এটা হল সেই দিন যেদিন সত্যবাদীগণকে তাদের সততা উপকার করবে। তাদের জন্য আছে জান্নাতসমূহ যার নীচে প্রবাহিত হবে নদীসমূহ। সেখানে তারা হবে চিরস্থায়ী। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন, তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে। এটা মহাসাফল্য।

আয়াত:-১২০
لِلَّهِ مُلْكُ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ وَمَا فِيهِنَّ ۚ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌۢ

আসমানসমূহ ও যমীন এবং তাদের মধ্যে যা কিছু আছে তার রাজত্ব আল্লাহরই এবং তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।

১১৯-১২০ নং আয়াতের তাফসীর:
তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ বলেছেন:-

আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন বলবেন: আজ সে-সব সত্যবাদীদের সততা উপকারে আসবে যারা দুনিয়াতে সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। সত্যবাদী হল তারা যারা নিয়্যতে, কথায় ও আমলে সঠিক পথের ওপর প্রতিষ্ঠিত। কিয়ামতের দিন তারা তাদের সততার প্রতিদানস্বরূপ নেয়ামতপূর্ণ জান্নাত পাবে। (তাফসীর সা‘দী পৃঃ ২৪১)

ইবনু আব্বাস (রাঃ) এ আয়াতের তাফসীরে বলেন: সেদিন তাওহীদপন্থীরা তাদের তাওহীদের মাধ্যমে উপকৃত হবে। অর্থাৎ মুশরিকদের ক্ষমা ও পরিত্রাণের কোন রাস্তাই থাকবে না। (ইবনে কাসীর, ৩ /২৭০)

জান্নাতবাসীদের ওপর আল্লাহ তা‘আলা সন্তুষ্ট থাকবেন এবং তারাও আল্লাহ তা‘আলার ওপর সন্তুষ্ট থাকবে। আর আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টিই সবচেয়ে বড় সফলতা।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

(وَرِضْوَانٌ مِّنَ اللّٰهِ أَكْبَرُ)

“আল্লাহর সন্তুষ্টিই সর্বশ্রেষ্ঠ।”(সূরা তাওবাহ ৯:৭২)

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতবাসীদেরকে সম্বোধন করে বলবেন: হে জান্নাতবাসীরা! জান্নাতবাসীরা বলবে: আপনার আহ্বানে আমরা হাজির, সকল কল্যাণ আপনার হাতে। তখন আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: তোমরা কি সন্তুষ্ট? তখন তারা বলবে: হে আমাদের রব, কেন আমরা সন্তুষ্ট থাকব না, অথচ আমাদের এমন কিছু দিয়েছেন যা আপনার কোন সৃষ্টিকে দেননি? আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: আমি কি তোমাদেরকে এর চেয়ে উত্তম কিছু দেব! তারা বলবে: এর চেয়ে উত্তম আর কী? আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: তোমাদের জন্য আমার সন্তুষ্টি অবধারিত হয়ে গেল আর কখনো অসন্তুষ্ট হব না। (সহীহ বুখারী হা: ৭৫১৮)

সুতরাং আখিরাতকে নষ্ট করে দুনিয়ার সামান্য সম্পদ, সুনাম ও ক্ষমতা অর্জন করাই প্রকৃত সফলতা নয়, বরং প্রকৃত সফলতা হল আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি হাসিল করে জান্নাতের অধিবাসী হওয়া। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে সে লক্ষ্যে আমল করার তৌফিক দান করুন, আমীন।

আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:

১. সকল মানুষ কিয়ামতের দিন প্রশ্নের সম্মুখীন হবে।
২. যাদেরকে কেন্দ্র করে শির্ক করা হয়েছে তাদেরকেও কৈফিয়ত দিতে হবে।
৩. ঈসা (আঃ) ও তাঁর মা কোন ইলাহ নন। বরং ঈসা (আঃ) আল্লাহ তা‘আলার বান্দা ও রাসূল এবং তাঁর মা একজন নেককার বান্দী ছিলেন।
৪. সকল নাবীগণই এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদতের দিকে আহ্বান করেছেন।
৫. শাস্তি দেয়া না দেয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা।
৬. নাবীরা ছিলেন উম্মাতের প্রতি দয়ালু।
৭. গায়েবের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা, কোন নাবী ও নৈকট্যশীল ফেরেশতাও নন।

English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Al Mayadah
Verse:- 119-120

هَذَا يَوْمُ يَنفَعُ الصَّادِقِينَ صِدْقُهُمْ

This is a Day on which the truthful will profit from their truth.

Only Truth will be of Benefit on the Day of Resurrection

Allah says;

قَالَ اللّهُ

Allah will say:

Allah answers His servant and Messenger `Isa, son of Maryam, after he disowns the disbelieving Christians who lied about Allah and His Messenger, and when `Isa refers their end to the will of his Lord.

هَذَا يَوْمُ يَنفَعُ الصَّادِقِينَ صِدْقُهُمْ

This is a Day on which the truthful will profit from their truth.

Ad-Dahhak said that Ibn Abbas commented,

“This is the Day when Tawhid will benefit those who believed in it.”

لَهُمْ جَنَّاتٌ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الَانْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا

Theirs are Gardens under which rivers flow (in Paradise) — they shall abide therein forever.

and they will never be removed from it.

رَّضِيَ اللّهُ عَنْهُمْ وَرَضُواْ عَنْهُ

Allah is pleased with them and they with Him.

وَرِضْوَنٌ مِّنَ اللَّهِ أَكْبَرُ

But the greatest bliss is the good pleasure of Allah. (9:72)

We will mention the Hadiths about this Ayah (9:72) later on.

Allah’s statement,

ذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ

That is the great success.

means, this is the great success, other than which there is no greater success.

Allah said in another Ayat,

لِمِثْلِ هَـذَا فَلْيَعْمَلِ الْعَـمِلُونَ

For the like of this let the workers work. (37:61)

and,

وَفِى ذَلِكَ فَلْيَتَنَافَسِ الْمُتَنَـفِسُونَ

And for this let (all) those strive who want to strive. (83:26)

Allah’s statement,

لِلّهِ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالَارْضِ وَمَا فِيهِنَّ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

To Allah belongs the dominion of the heavens and the earth and all that is therein, and He is able to do all things.

means, He created everything, owns everything, controls the affairs of everything and is able to do all things. Therefore, everything and everyone are in His domain and under His power and will. There is none like Him, nor is there rival, ancestor, son, or wife for Him, nor a lord or god besides Him.

Ibn Wahb said that he heard Huyay bin Abdullah saying that Abu Abdur-Rahman Al-Habli said that Abdullah bin `Amr said,

“The last revealed Surah was Surah Al-Ma’idah.”

This is the end of the Tafsir of Surah Al-Ma’idah. To Allah be praise and blessings.

তাফসীরে ইবনে ‌কাসীর বলেছেন:-

১১৯-১২০ নং আয়াতের তাফসীর:

ঈসা (আঃ) যে বিপথগামী ও মিথ্যাবাদী খ্রীষ্টানদের প্রতি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন সে কথারই জবাব দিতে গিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, (আরবী) অর্থাৎ আজকের দিনে একত্ববাদীদের একত্ববাদ এবং সত্যবাদীদের সত্যবাদিতা উপকার দেবে। তারা প্রবাহিত নহর বিশিষ্ট জান্নাতে প্রবেশ লাভ করবে। সেখান থেকে না তাদেরকে বের করা হবে, না তারা মুহূর্তের জন্যে জান্নাত পরিত্যাগ করবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকবেন এবং তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট থাকবে। যেমন আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ আল্লাহর সন্তুষ্টিই সবচেয়ে বড় কথা।’ (৯:৭২) এ আয়াতের সঙ্গে যে হাদীস সম্পর্কযুক্ত রয়েছে তা সত্বরই আসছে। ইবনে আবি হাতিম (রঃ) হযরত আনাস (রাঃ) হতে মারফু’রূপে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন যে, এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন- সেই দিন মহা মহিমান্বিত আল্লাহ উজ্জ্বল দীপ্তিমান অবস্থায় প্রকাশিত হবেন এবং বলবেনঃ ‘তোমরা চাও, আমি তোমাদেরকে প্রদান করবো।’ তিনি বলেন যে, তখন তারা তাঁর সন্তুষ্টি প্রার্থনা করবে। তিনি তখন কলবেনঃ ‘আমার সন্তুষ্টিই তো তোমাদেরকে আমার ঘরে নিয়ে এসেছে। জনগণ পুনরায় তাঁর সন্তুষ্টি প্রার্থনা করবে। তখন তিনি বলবেনঃ “তোমরা সাক্ষী থাক যে, মহান আল্লাহ তোমাদের প্রতি সন্তুষ্ট রয়েছেন। আল্লাহ পাক বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ এটাই হচ্ছে বড় সফলতা (৯:৭২) (এরূপ সফলতা আমি আর কাউকেও প্রদান করি না) মহান আল্লাহ অন্য জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ আমলকারীদের এরূপ আমলই করা উচিত (৩৭:৬১) আল্লাহ তাআলা আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ এ কাজেই প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতা করা উচিত। (৮৩:২৬) (আরবী) অর্থাৎ তিনিই সমস্ত জিনিসের সৃষ্টিকর্তা। তিনি প্রত্যেক জিনিসের উপরই পূর্ণ ক্ষমতাবান। সব কিছুরই উপর তাঁর পূর্ণ আধিপত্য রয়েছে। তার সাথে কেউই তুলনীয় নয় এবং তার কোন সাহায্যকারীর প্রয়োজন নেই। তাঁর পিতাও নেই, পুত্রও নেই এবং স্ত্রীও নেই। তিনি ছাড়া অন্য কোন মা’বুদ নেই।

Leave a Reply