أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book# 114/٢٣٣)-৪৩৫
www.motaher21.net
সুরা: আল-আনয়াম
৩১-৩২ নং আয়াত:-
وَ مَا الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَاۤ اِلَّا لَعِبٌ وَّ لَہۡوٌ ؕ
দুনিয়ার জীবন তো একটি খেল-তামাসার ব্যাপার।
And the life of this world is nothing but play and amusement.
قَدۡ خَسِرَ الَّذِیۡنَ کَذَّبُوۡا بِلِقَآءِ اللّٰہِ ؕ حَتّٰۤی اِذَا جَآءَتۡہُمُ السَّاعَۃُ بَغۡتَۃً قَالُوۡا یٰحَسۡرَتَنَا عَلٰی مَا فَرَّطۡنَا فِیۡہَا ۙ وَ ہُمۡ یَحۡمِلُوۡنَ اَوۡزَارَہُمۡ عَلٰی ظُہُوۡرِہِمۡ ؕ اَلَا سَآءَ مَا یَزِرُوۡنَ ﴿۳۱﴾
ঐ সব লোকই ক্ষতিগ্রস্ত যারা আল্লাহর সাথে সাক্ষাত হওয়াকে মিথ্যা ভেবেছে। যখন সেই নির্দিষ্ট সময়টি হঠাৎ তাদের কাছে এসে পড়বে তখন তারা বলবেঃ হায়! পিছনে আমরা কতই না দোষ ক্রটি করেছি! তারা নিজেরাই নিজেদের বোঝা পিঠে বহন করবে। শুনে রেখ! তারা যা কিছু বহন করেছে তা কতই না নিকৃষ্টতর বোঝা!
وَ مَا الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَاۤ اِلَّا لَعِبٌ وَّ لَہۡوٌ ؕ وَ لَلدَّارُ الۡاٰخِرَۃُ خَیۡرٌ لِّلَّذِیۡنَ یَتَّقُوۡنَ ؕ اَفَلَا تَعۡقِلُوۡنَ ﴿۳۲﴾
এই পার্থিব জীবন খেল-তামাশা ও আমোদ প্রমোদের ব্যাপার ছাড়া আর কিছুই নয়, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে, পরকালের জীবনই হবে তাদের জন্য উৎকৃষ্টতর। তোমরা কি চিন্তা ভাবনা করবেনা?
৩১-৩২ নং আয়াতের তাফসীর:
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
টিকা:২০) এর মানে এ নয় যে, দুনিয়ার জীবনটি নেহাত হাল্কা ও গুরুত্বহীন বিষয়, এর মধ্যে কোন গাম্ভীর্য নেই এবং নিছক খেল-তামাসা করার জন্য এ জীবনটি তৈরী করা হয়েছে। বরং এর মানে হচ্ছে, আখেরাতের যথার্থ ও চিরন্তন জীবনের তুলনায় দুনিয়ার এ জীবনটি ঠিক তেমনি যেমন কোন ব্যক্তি কিছুক্ষণ খেলাধূলা করে চিত্তবিনোদন করে তারপর তার আসল ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ কারবারে মনোনিবেশ করে। তাছাড়া একে খেলাধূলার সাথে তুলনা করার কারণ হচ্ছে এই যে, এখানে প্রকৃত সত্য গোপন থাকার ফলে যারা ভেতরে দৃষ্টি না দিয়ে শুধুমাত্র বাইরেরটুকু দেখতে অভ্যস্ত তাদের জন্য বিভ্রান্তির শিকার হবার বহুতর কারণ বিদ্যমান। এসব বিভ্রান্তির শিকার হয়ে মানুষ প্রকৃত সত্যের বিরুদ্ধে এমন সব অদ্ভুত ধরনের কর্মপদ্ধতি অবলম্বন করে যার ফলশ্রুতিতে তাদের জীবন নিছক একটি খেলা ও তামাসার বস্তুতে পরিণত হয়। যেমন যে ব্যক্তি এ পৃথিবীতে বাদশাহের আসনে বসে তার মর্যাদা আসলে নাট্যমঞ্চের সেই কৃত্রিম বাদশাহর চাইতে মোটেই ভিন্নতর নয় যে, সোনার মুকুট মাথায় দিয়ে সিংহাসনে বসে এবং এমনভাবে হুকুম চালাতে থাকে যেন সে সত্যিকারের একজন বাদশাহ। অথচ প্রকৃত বাদশাহীর সামান্যতম নামগন্ধও তার মধ্যে নেই। পরিচালকের সামান্য ইঙ্গিতেই তার বরখাস্ত, বন্দী ও হত্যার সিদ্ধান্তও হয়ে যেতে পারে। এ দুনিয়ার সর্বত্র এ ধরনের অভিনয়ই চলছে। কোথাও কোন পীর-অলী বা দেব-দেবীর দরবারে মনস্কামনা পূরণের জন্য প্রার্থনা করা হচ্ছে। অথচ সেখানে মনস্কামনা পূর্ণ করার ক্ষমতার লেশ মাত্রও নেই। কোথাও অদৃশ্য জ্ঞানের কৃতিত্বের প্রকাশ ঘটানো হচ্ছে। অথচ সেখানে অদৃশ্য জ্ঞানের বিন্দু বিসর্গও নেই। কোথাও কেউ মানুষের জীবিকার মালিক হয়ে বসে আছে। অথচ সে বেচারা নিজের জীবিকার জন্য অন্যের মুখাপেক্ষী। কোথাও কেউ নিজেকে সম্মান ও অপমানের এবং লাভ ও ক্ষতির সর্বময় কর্তা মনে করে বসে আছে। সে এমনভাবে নিজের শ্রেষ্ঠত্বের ডংকা বাজিয়ে চলছে যেন মনে হয়, আশপাশের সমুদয় সৃষ্টির সে এক মহাপ্রভু। অথচ তার ললাটে চিহ্নিত হয়ে আছে দাসত্বের কলঙ্ক টীকা। ভাগ্যের সামান্য হেরফেরই শ্রেষ্ঠত্বের আসন থেকে নামিয়ে তাকে সেসব লোকের পদতলে নিষ্পিষ্ট করা হতে পারে যাদের ওপর কাল পর্যন্তও সে প্রভুত্ব ও কৃর্তত্ব চালিয়ে আসছিল। দুনিয়ার এই মাত্র কয়েকদিনের জীবনেই এসব অভিনয় চলছে। মৃত্যুর মুহূর্ত আসার সাথে সাথেই এক লহমার মধ্যেই এসব কিছুই বন্ধ হয়ে যাবে। এ জীবনের সীমান্ত পার হবার সাথে সাথেই মানুষ এমন এক জগতে পৌঁছে যাবে যেখানে সবকিছুই হবে প্রকৃত সত্যের অনুরূপ এবং যেখানে এ দুনিয়ার জীবনের সমস্ত বিভ্রান্তির আবরণ খুলে ফেলে দিয়ে মানুষকে দেখিয়ে দেয়া হবে কি পরিমাণ সত্য সে সাথে করে এনেছে। সত্যের মীযান তথা ভারসাম্যপূর্ণ তুলাদণ্ডে পরিমাপ করে তার মূল্য ও মান নির্ধারণ করা হবে।
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Verses :- 31-32
وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلاَّ لَعِبٌ وَلَهْوٌ
And the life of this world is nothing but play and amusement.
Allah says;
قَدْ خَسِرَ الَّذِينَ كَذَّبُواْ بِلِقَاء اللّهِ
They indeed are losers who denied their meeting with Allah,
Allah describes the regret of the disbelievers when facing Him, and their disappointment at the commencement, along with their sorrow for not performing good deeds and for their evil deeds.
This is why Allah said,
حَتَّى إِذَا جَاءتْهُمُ السَّاعَةُ بَغْتَةً قَالُواْ يَا حَسْرَتَنَا عَلَى مَا فَرَّطْنَا فِيهَا
until all of a sudden, the Hour (signs of death) is upon them, and they say:”Alas for us that we gave no thought to it.”
`It’ here refers to either the life of this world, or the affairs of the Hereafter.
Allah’s statement,
وَهُمْ يَحْمِلُونَ أَوْزَارَهُمْ عَلَى ظُهُورِهِمْ أَلَا سَاء مَا يَزِرُونَ
while they will bear their burdens on their backs; and evil indeed are the burdens that they will bear!
Asbat said that As-Suddi said,
“Upon entering his grave, every unjust person will meet a man with an ugly face, dark skin, awful odor, wearing dirty clothes, who will enter his grave with him. When the unjust person sees him, he will say, `How ugly is your face!’
He will reply, `So was your work, it was ugly.’
The unjust person will say, `How foul is the odor coming from you!’
He will reply, `Such was the case with your work, it stunk.’
The unjust person will say, `How dirty are your clothes!’
He will reply, `And your work too was dirty.’
The unjust person will ask, `Who are you?’
He will reply, `I am your deeds.’
So he will remain with the unjust person in his grave, and when he is resurrected on the Day of Resurrection, his companion will say to him, `In the life of the world, I used to carry you because you followed desire and lust. Today, you carry me.’
So he will ride on the unjust person’s back and lead him until he enters the Fire.
So Allah said,
وَهُمْ يَحْمِلُونَ أَوْزَارَهُمْ عَلَى ظُهُورِهِمْ أَلَا سَاء مَا يَزِرُونَ
(while they will bear their burdens on their backs; and evil indeed are the burdens that they will bear!”
Allah’s statement
وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلاَّ لَعِبٌ وَلَهْوٌ
And the life of this world is nothing but play and amusement.
means, most of it is play and amusement,
وَلَلدَّارُ الاخِرَةُ خَيْرٌ لِّلَّذِينَ يَتَّقُونَ أَفَلَ تَعْقِلُونَ
But far better is the abode of the Hereafter for those who have Taqwa. Will you not then understand!
তাফসীরে ইবনে কাসীর বলেছেন:-
৩১-৩২ নং আয়াতের তাফসীর:
এখানে মহান আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ হওয়াকে যারা অস্বীকার করে তাদের সম্পর্কে এবং তাদের উদ্দেশ্য সফল না হওয়া ও তাদের নৈরাশ্য সম্পর্কে বর্ণনা দেয়া হচ্ছে। আল্লাহ পাক বলছেন যে, যখন কিয়ামত হঠাৎ এসে পড়বে তখন তারা তাদের খারাপ আমলের জন্যে কতই না লজ্জিত হবে! তারা বলবে ? হায়! আমরা যদি সত্যের বিরোধিতা না করতাম তবে কতই না ভাল হতো! (আরবী) শব্দের সর্বনামটি পার্থিব জীবনের দিকেও ফিরতে পারে এবং আমলের দিকেও ফিরতে পারে।
আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ তারা তাদের গুনাহর বোঝা নিজেদের পিঠে বহন করবে এবং যেই বোঝা তারা বহন করবে সেটা কতই না জঘন্য বোঝা! হযরত কাতাদা (রঃ) (আরবী) শব্দটিকে (আরবী) পড়তেন। ইবনে আবি হাতিম (রঃ) আবু মিরযাওক (রঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেনঃ যখন কাফির বা পাপী ব্যক্তি কবর থেকে উঠবে তখন একটা অত্যন্ত জঘন্য আকৃতির লোক তাকে অভ্যর্থনা করবে। তার থেকে ভীষণ দুর্গন্ধ ছুটবে! ঐ কাফির ব্যক্তি তখন তাকে জিজ্ঞেস করবে, তুমি কে? সে উত্তরে বলবেঃ “তুমি আমাকে চিনতে পারছো না? আমি তো তোমারই নিকৃষ্ট আমলের প্রতিকৃতি, যে আমল তুমি দুনিয়ায় করতে। দুনিয়ায় বহু দিন যাবত তুমি আমার উপর সওয়ার ছিলে। এখন আমি তোমার উপর সওয়ার হবো। (এটা ইবনে আবি হাতিম আমর ইবনে কায়েসের হাদীস থেকে আবু মিরযাওক হতে বর্ণনা করেছেন) এই পরিপ্রেক্ষিতেই বলা হয়েছে যে, তারা তাদের পিঠের উপর তাদের বোঝা বহন করবে। সুদ্দী (রঃ) বলেন যে, যখনই কোন পাপী ব্যক্তিকে কবরে প্রবেশ করানো হয় তখনই এক অত্যন্ত জঘন্য প্রতিকৃতি তার কাছে এসে থাকে। ঐ প্রতিকৃতি অত্যন্ত কৃষ্ণ বর্ণের এবং ওর পরনের কাপড় খুবই ময়লাযুক্ত। তার থেকে বিকট দুর্গন্ধ ছুটতে থাকে। সে ঐ ব্যক্তির কবরে অবস্থান করতে থাকে। সে তাকে দেখে বলে, তোমার চেহারা কতই জঘন্য।” সে তখন বলে, আমি তোমার জঘন্য কাজেরই প্রতিকৃতি। তোমার কাজগুলো ছিল এই রূপই দুর্গন্ধময়।’ সে বলবেঃ তুমি কে?’ সেই প্রতিকৃতি উত্তরে বলবেঃ ‘আমি তোমারই আমল। অতঃপর সে কিয়ামত পর্যন্ত তার সাথে তার কবরেই অবস্থান করবে। কিয়ামতের দিন সে তাকে বলবেঃ দুনিয়ায় আমি তোমাকে কাম ও উপভোগের আকারে বহন করে এসেছিলাম। আজ তুমিই আমাকে বহন করবে। অতঃপর তার আমলের প্রতিকৃতি তার পিঠের উপর সওয়ার হয়ে তাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে। এই আয়াতের ব্যাখ্যা এটাই। ইরশাদ হচ্ছে যে, পার্থিব জীবন খেল তামাশা ও আমোদ-প্রমোদের ব্যাপার ছাড়া আর কিছুই নয়, আর মুত্তাকীদের জন্যে পরকালই হচ্ছে মঙ্গলময়।
তাফসীরে আবুবকর যাকারিয়া বলেছেন:-
[১] যে সমস্ত কাফের মৃত্যুর পরে পুনরুত্থান হওয়াকে অস্বীকার করেছে, তারা যখন কিয়ামতকে প্রতিষ্ঠিত সত্য হিসেবে দেখতে পাবে, আর তাদের খারাপ পরিণতি তাদেরকে ঘিরে ধরবে, তখন তারা নিজেদের দুনিয়ার জীবনকে হেলায় নষ্ট করার জন্য আফসোস করতে থাকবে। আর তারা তখন তাদের পিঠে গোনাহের বোঝা বহন করতে থাকবে। তাদের এ বোঝা কতই না নিকৃষ্ট। [মুয়াসসার] এ আফসোসের কারণ সম্পর্কে এক হাদীসে আরও এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘জাহান্নামীরা জান্নাতে তাদের জন্য যে স্থান ছিল সেটা দেখতে পাবে এবং সে জন্য হায় আফসোস! বলতে থাকবে।’ [তাবারী; আত-তাফসীরুস সহীহ]
[২] কিয়ামত হঠাৎ করেই হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কিয়ামত এমনভাবে সংঘটিত হবে যে, দু’জন লোক কোন কাপড় ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য প্রসারিত করেছে, সেটাকে তারা আবার মোড়ানোর সময় পাবে না। কিয়ামত এমনভাবে হবে যে, একজন তার জলাধার ঠিক করছে কিন্তু সেটা থেকে পানি পান করার সময় পাবে না। কিয়ামত এমনভাবে হবে যে, তোমাদের কেউ তার গ্রাসটি মুখের দিকে নেওয়ার জন্য উঠিয়েছে কিন্তু সে সেটা খেতে সময় পাবে না।‘ [বুখারী: ৬৫০৬; মুসলিম: ২৯৫৪]
তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ বলেছেন:-
৩১-৩২ নং আয়াতের তাফসীর:
ঈমানের ছয়টি রুকনের অন্যতম একটি হল পরকালের প্রতি ঈমান। কেউ ঈমানের সকল রুকনের প্রতি বিশ্বাস করল কিন্তু পরকালের প্রতি ঈমান আনল না তাহলে তার কোন নেক আমল গ্রহণযোগ্য হবে না। সকল যুগের নাস্তিক ও বস্তুবাদীদের ন্যায় মক্কার মুশকিরদের ধারণা ছিল মানুষের পরিণতি দুনিয়াতেই শেষ। অন্যান্য বস্তু যেমন পচে গলে মাটিতে মিশে যায়, মানুষও তেমনি মাটি হয়ে শেষ হয়ে যাবে। অতএব খাও-দাও ফুর্তি কর, শক্তি ও সাধ্যমত অন্যের উপর জুলুম কর। পরকাল, হিসাব-নিকাশ, কিয়ামত, জান্নাত-জাহান্নাম ইত্যাদি কিছুই নেই। নাস্তিক্যবাদী পরকাল অস্বীকারকারীদের সতর্ক সাবধান করে আল্লাহ তা‘আলা বলছেন: যারা কিয়ামত দিবসের প্রতি বিশ্বাসী নয় তারাই ক্ষতিগ্রস্থ। হঠাৎ যখন কিয়ামত চলে আসবে তখন আফসোস করে বলবে এ কিয়ামত সম্পর্কে আমরা অবজ্ঞা করেছিলাম। মু’মিনরা আমাদেরকে পরকাল সম্পর্কে সতর্ক করলে আমরা অসম্ভব মনে করতাম এবং পূর্ববর্তীদের রূপকথা বলে বর্জন করতাম। কিয়ামতের দিন এসব নাস্তিক কাফির-মুশরিকরা তাদের পাপের বোঝা পিঠে বহন করে উপস্থিত হবে। সেদিন কতই না অপমানজনক অবস্থা হবে তাদের।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলছেন, দুনিয়া খেল-তামাশার বস্তুর মত তুচ্ছ। এর কোন মূল্য আল্লাহ তা‘আলার কাছে নেই। দুনিয়ার সব কিছু ক্ষণস্থায়ী, অনিশ্চিত ও নশ্বর। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: অতএব সকলকে সতর্ক হওয়া উচিত; আরো উচিত দুুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী সুখ-শান্তি, ক্ষমতা ও রাজত্বের ধোঁকায় না পড়ে আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করে চিরস্থায়ী ঠিকানার জন্য পাথেয় তৈরি করা। যারা আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করে দুনিয়ার ওপর আখেরাতকে প্রাধান্য দেয় তাদের জন্য পরকালই শ্রেষ্ঠ। সেখানে জীবনের, সুখ-শান্তির কোন শেষ নেই, কোন দুশ্চিন্তা নেই, বরং সবাই এক অনন্ত ও অনাবিল জীবন যাপন করবে। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে দুনিয়ার ওপর আখেরাতকে প্রাধান্য দেয়ার তাওফীক দান করুন। আমীন॥
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. পরকালসহ ইসলামের মূলনীতিতে যারা বিশ্বাসী নয়, তারাই পরকালে ক্ষতিগ্রস্থ হবে, তারা জাহান্নামে যাবে।
২. কিয়ামত সংঘটিত হবার আগে তাওবাহ না করে মারা গেলে পরে আফসোস করে কোন উপকার হবে না।
৩. কিয়ামতের দিন অপরাধীরা তাদের অপরাধের বোঝা পিঠে নিয়ে উঠবে।
৪. মুত্তাকিদের জন্য পরকালই উত্তম আর পার্থিব জীবন কষ্টদায়ক।