أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book# 114/٢٧١)-৪৭৩
www.motaher21.net
সুরা: আল-আনয়াম
১৩১-১৩২ নং আয়াত:-
وَلِكُلٍّ دَرَجَاتٌ مِّمَّا عَمِلُواْ
আর প্রত্যেক লোকই নিজ নিজ ‘আমলের কারণে মর্যাদা লাভ করবে,
For all there will be degrees according to what they did.
ذٰلِکَ اَنۡ لَّمۡ یَکُنۡ رَّبُّکَ مُہۡلِکَ الۡقُرٰی بِظُلۡمٍ وَّ اَہۡلُہَا غٰفِلُوۡنَ ﴿۱۳۱﴾
এই রাসূল প্রেরণ এ জন্য যে, তোমার রাব্ব কোন জনপদকে উহার অধিবাসীরা সত্য সম্পর্কে অজ্ঞাত থাকা অবস্থায় অন্যায়ভাবে ধ্বংস করেন না।
وَ لِکُلٍّ دَرَجٰتٌ مِّمَّا عَمِلُوۡا ؕ وَ مَا رَبُّکَ بِغَافِلٍ عَمَّا یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۱۳۲﴾
আর প্রত্যেক লোকই নিজ নিজ ‘আমলের কারণে মর্যাদা লাভ করবে, তারা কি ‘আমল করত সে
বিষয়ে তোমার রাব্ব উদাসীন নন।
১৩১-১৩২ নং আয়াতের তাফসীর:
তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ বলেছেন:-
নাবী ও রাসূল প্রেরণের উদ্দেশ্য এই যে, কোন জাতি জুলুম করল আর সে সম্পর্কে অবগত না করেই ধ্বংস করেন এমনটি যাতে না হয় এবং যাতে কিয়ামতের দিন কেউ ওযর পেশ করতে না পারে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَا كُنَّا مُعَذِّبِيْنَ حَتّٰي نَبْعَثَ رَسُوْلًا)
“আমি রাসূল না পাঠান পর্যন্ত কাউকেও শাস্তি দেই না।”(সূরা ইসরা ১৭:১৫)
অন্যত্র তিনি বলেন:
(رُسُلاً مُّبَشِّرِيْنَ وَمُنْذِرِيْنَ لِئَلَّا يَكُوْنَ لِلنَّاسِ عَلَي اللّٰهِ حُجَّةٌۭ بَعْدَ الرُّسُلِ ط وَكَانَ اللّٰهُ عَزِيْزًا حَكِيْمًا)
“সুসংবাদদাতা ও সাবধানকারী রাসূল প্রেরণ করেছি, যাতে রাসূল আসার পর আল্লাহর বিরুদ্ধে মানুষের কোন অভিযোগ না থাকে। আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।”(সূরা নিসা ৩:১৬৫)
১৩১-১৩২ নং আয়াতের তাফসীর:
তাফসীরে ইবনে কাসীর বলেছেন:-
আল্লাহ পাক বলেনঃ হে রাসূল (সঃ)! এরূপ কখনও হতে পারে না যে, তোমার প্রভু আল্লাহ কোন গ্রাম বা শহরকে অন্যায়ভাবে এমন অবস্থায় ধ্বংস করবেন যখন ওর অধিবাসীবৃন্দ সত্য সম্পর্কে সম্পূর্ণ উদাসীন থাকে। তিনি বলেনঃ আমি এরূপভাবে ধ্বংস করি না, বরং তাদের কাছে রাসূল প্রেরণ করি এবং কিতাব অবতীর্ণ করি। এভাবে আমি তাদের ওযর পেশ করার সুযোগে হারিয়ে দেই, যাতে কাউকেও অন্যায়ভাবে পাকড়াও করা না হয় এবং তার কাছে তাওহীদের দাওয়াত না পৌঁছে থাকে। আমি লোকদের জন্যে কোন ওযর পেশ করার সুযোগ বাকী রাখিনি। আমি যদি কোন কওমের উপর শাস্তি পাঠিয়ে থাকি তবে তা তাদের কাছে রাসূল পাঠানোর পর। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ “কোন জনপদ এমন নেই যেখানে আমি আমার পক্ষ থেকে কোন ভয় প্রদর্শক রাসূল প্রেরণ করিনি।” তিনি আরও বলেনঃ “আমি প্রত্যেক কওমের মধ্যে রাসূল পাঠিয়ে বলেছি-তোমরা আল্লাহরই ইবাদত কর এবং শয়তান থেকে বেঁচে থাক।” আর এক জায়গায় তিনি বলেনঃ “আমি শাস্তি প্রদানকারী নই যে পর্যন্ত না রাসূল প্রেরণ করি।” আল্লাহ পাক অন্য স্থানে বলেনঃ “যখন কাফিরদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে তখন সেই জাহান্নামের রক্ষকগণ তাদেরকে জিজ্ঞেস করবে- তোমাদের কাছে কি কোন ভয় প্রদর্শনকারী (নবী) আগমন করেননি? তারা উত্তরে বলবে-নিশ্চয়ই আমাদের কাছে ভয় প্রদর্শনকারী এসেছিলেন, কিন্তু আমরা অবিশ্বাস করেছিলাম।এ বিষয় সম্পর্কীয় বহু আয়াত রয়েছে।
ইমাম আবু জাফর (রঃ) বলেন যে, আল্লাহ তাআলার (আরবী) এই উক্তির দু’টি যুক্তি বা কারণের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথম কারণ হচ্ছে-আল্লাহর এটা নীতি নয়, তিনি কোন কওমকে তাদের শিরকের কারণে এমন অবস্থায় তাদের ধ্বংস করবেন যে অবস্থায় তাদের নিজেদের শিরকের কোন সংবাদই থাকে না। অর্থাৎ তিনি শাস্তি প্রদানে তাড়াতাড়ি করেন না, যে পর্যন্ত না তাদের কাছে কোন রাসূল পাঠিয়ে তাদেরকে শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করেন এবং সেই রাসূল আল্লাহর হুজ্জত পূর্ণ করেন, আর আখিরাতের শাস্তি থেকে তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করেন। তিনি যদি কাউকে তার অজ্ঞাত অবস্থায় পাকড়াও করতেন তবে সে বলতোঃ আমার কাছে তো কোন সুসংবাদদাতা এবং ভয় প্রদর্শনকারী আসেননি। দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে-আল্লাহ পাক বলছেন যে, তিনি তাদেরকে সতর্ক করা ছাড়া এবং রাসূল ও আয়াতের মাধ্যমে উপদেশ দান ব্যতীত ধ্বংস করেন না। নতুবা তাদের উপর এটা অত্যাচার হয়ে যেতো। আর আল্লাহ তো স্বীয় বান্দাদের উপর যুলুম করেন না। এর পরে আবু জাফর (রঃ) প্রথম কারণকে প্রাধান্য দেন। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, এ কারণটিই বেশী প্রবল ও উত্তম। আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।
আল্লাহ তা’আলার উক্তি (আরবী) অর্থাৎ প্রত্যেক সৎ ও অসৎ আমলকারীর জন্যে আমল হিসেবে মরতবা ও মর্যাদা রয়েছে। যার যেরূপ আমল সেই অনুপাতে সে প্রতিফল পাবে। যদি আমল ভাল হয় তবে পরিণাম ভাল হবে, আর যদি আমল খারাপ হয় তবে পরিণামও খারাপ হবে। আবার এ অর্থও হতে পারে যে, ঐ কাফির দানব ও মানবের কয়েকটি শ্রেণী বিভাগ রয়েছে। প্রত্যেক কাফিরের জন্যে জাহান্নামে তার পাপের পরিণাম অনুযায়ী শ্রেণীভেদ রয়েছে। যেমন আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “প্রত্যেকের জন্যে দ্বিগুণ (শাস্তি) আছে।” (৭:৩৮) আর এক জায়গায় আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “যারা কুফরী করেছে এবং লোকদেরকে সরল সহজ পথ থেকে সরিয়ে রেখেছে, আমি তাদেরকে শাস্তির উপর শাস্তি বেশী বেশী করে প্রদান করবো, কেননা তারা নিজেরাও কুফরী করেছে এবং অন্যদেরকেও কুফরীর পথে পরিচালিত করেছে আর তারা বিশৃংখলা ও অশান্তি সৃষ্টি করেছে। তোমার প্রভু তো তাদের আমল থেকে উদাসীন নন।”এই লোকগুলো আল্লাহর ইলমের মধ্যে রয়েছে। যখন তারা তাঁর কাছে প্রত্যাবর্তন করবে তখন তিনি তাদেরকে শাস্তি দ্বারা জর্জরিত করবেন।
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura Anam
Verses :- 131-132
وَلِكُلٍّ دَرَجَاتٌ مِّمَّا عَمِلُواْ
For all there will be degrees according to what they did.
Allah said,
ذَلِكَ أَن لَّمْ يَكُن رَّبُّكَ مُهْلِكَ الْقُرَى بِظُلْمٍ وَأَهْلُهَا غَافِلُونَ
This is because your Lord would not destroy the (populations of) towns for their wrongdoing while their people were unaware.
meaning:`We sent the Messengers and revealed the Books to the Jinns and mankind, so that no one has an excuse that he is being punished for his wrongs although he did not receive Allah’s Message. Therefore, We did not punish any of the nations, except after sending Messengers to them, so that they have no excuse.’
Allah said in other Ayat,
وَإِن مِّنْ أُمَّةٍ إِلاَّ خَلَ فِيهَا نَذِيرٌ
And there never was a nation but a warner had passed among them. (35:24)
and,
وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِى كُلِّ أُمَّةٍ رَّسُولاً أَنِ اعْبُدُواْ اللَّهَ وَاجْتَنِبُواْ الْطَّـغُوتَ
And verily, We have sent among every Ummah a Messenger (proclaiming):”Worship Allah, and stay away from At-Taghut (all false deities).” (16:36)
and,
وَمَا كُنَّا مُعَذِّبِينَ حَتَّى نَبْعَثَ رَسُولاً
And We never punish until We have sent a Messenger. (17:15)
and,
كُلَّمَا أُلْقِىَ فِيهَا فَوْجٌ سَأَلَهُمْ خَزَنَتُهَأ أَلَمْ يَأْتِكُمْ نَذِيرٌ
قَالُواْ بَلَى قَدْ جَأءَنَا نَذِيرٌ فَكَذَّبْنَا
Every time a group is cast therein, its keeper will ask:”Did no warner come to you!”
They will say:”Yes, indeed a warner did come to us, but we belied him.” (67:8-9)
There are many other Ayat on this subject.
Allah’s statement
وَلِكُلٍّ دَرَجَاتٌ مِّمَّا عَمِلُواْ
For all there will be degrees according to what they did.
At-Tabari said,
means, every person who obeys Allah or behaves disobediently, has grades and ranks according to their works, which Allah gives them as recompense, good for good and evil for evil.” I say, it is possible that Allah’s statement,
وَلِكُلٍّ دَرَجَاتٌ مِّمَّا عَمِلُواْ
(For all there will be degrees according to what they did) refers to the disbelievers of the Jinns and mankind who will earn a place in the Fire according to their evil deeds. Allah said,
قَالَ لِكُلٍّ ضِعْفٌ
(He will say:”For each one there is double (torment).” (7:38)
and,
الَّذِينَ كَفَرُواْ وَصَدُّواْ عَن سَبِيلِ اللَّهِ زِدْنَـهُمْ عَذَابًا فَوْقَ الْعَذَابِ بِمَا كَانُواْ يُفْسِدُونَ
Those who disbelieved and hinder (others) from the path of Allah, for them We will add torment to the torment because they used to spread corruption. (16:88)
Allah said next,
وَمَا رَبُّكَ بِغَافِلٍ عَمَّا يَعْمَلُونَ
And your Lord is not unaware of what they do.
Ibn Jarir commented,
“All these deeds that they did, O Muhammad, they did while your Lord is aware of them, and He collects and records these deeds with Him, so that He recompenses them when they meet Him and return to Him.