(Book# 114/٢٨٨)-৪৯০ www.motaher21.net সুরা: আল-আনয়াম সুরা:৬ ১৬৫ নং আয়াত:- وَهُوَ الَّذِي جَعَلَكُمْ خَلَيِفَ الَارْضِ আর তিনি এমন, যিনি তোমাদেরকে দুনিয়ার প্রতিনিধি করেছেন। And it is He Who has made you generations coming after generations, replacing each other on the earth.

أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ

(Book# 114/٢٨٨)-৪৯০
www.motaher21.net
সুরা: আল-আনয়াম
সুরা:৬
১৬৫ নং আয়াত:-
وَهُوَ الَّذِي جَعَلَكُمْ خَلَيِفَ الَارْضِ
আর তিনি এমন, যিনি তোমাদেরকে দুনিয়ার প্রতিনিধি করেছেন।
And it is He Who has made you generations coming after generations, replacing each other on the earth.

وَ ہُوَ الَّذِیۡ جَعَلَکُمۡ خَلٰٓئِفَ الۡاَرۡضِ وَ رَفَعَ بَعۡضَکُمۡ فَوۡقَ بَعۡضٍ دَرَجٰتٍ لِّیَبۡلُوَکُمۡ فِیۡ مَاۤ اٰتٰکُمۡ ؕ اِنَّ رَبَّکَ سَرِیۡعُ الۡعِقَابِ ۫ۖ وَ اِنَّہٗ لَغَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۶۵﴾٪
আর তিনি এমন, যিনি তোমাদেরকে দুনিয়ার প্রতিনিধি করেছেন এবং তোমাদের কতককে কতকের উপর মর্যাদায় উন্নীত করেছেন, উদ্দেশ্য হল তোমাদেরকে তিনি যা কিছু দিয়েছেন তাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করা। নিঃসন্দেহে তোমার রাব্ব ত্বরিত শাস্তিদাতা, আর নিঃসন্দেহে তিনি ক্ষমাশীল ও কৃপানিধান।

সুরা: আল-আনয়াম
আয়াত নং :-165

তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-

এ বাক্যটির মধ্যে তিনটি সত্য বিবৃত হয়েছেঃ

এক, সমস্ত মানুষ পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি। এ অর্থে আল্লাহ‌ তাঁর সৃষ্টিলোকের বহু জিনিস মানুষের কাছে আমানত রেখেছেন এবং তা ব্যবহার করার স্বাধীন ক্ষমতা তাকে দান করেছেন।

দুই, আল্লাহ‌ নিজেই এ প্রতিনিধিদের মধ্যে মর্যাদার পার্থক্য সৃষ্টি করেছেন। কারোর আমানতের গণ্ডী ব্যাপক আবার কারোর সীমাবদ্ধ। কাউকে বেশী জিনিস ব্যবহারের ক্ষমতা দিয়েছেন, কাউকে দিয়েছেন কম। কাউকে বেশী কর্মক্ষমতা দিয়েছেন, কাউকে কম। আবার কোন কোন মানুষকে কোন কোন মানুষের কাছে আমানত রেখেছেন।

তিন, এ সবকিছুই আসলে পরীক্ষার বিষয়বস্তু। সারা জীবনটাই একটি পরীক্ষা ক্ষেত্র। আল্লাহ‌ যাকে যা কিছুই দিয়েছেন তার মধ্যেই তার পরীক্ষা। সে কিভাবে আল্লাহর আমানত ব্যবহার করলো? আমানতের দায়িত্ব কতটুকু অনুধাবন করলো এবং তার হক আদায় করলো? কতটুকু নিজের যোগ্যতা বা অযোগ্যতার স্বাক্ষর রাখলো? এ পরীক্ষার ফলাফলের ওপর নির্ভর করে জীবনের অন্যান্য পর্যায়ে মানুষের মর্যাদা নির্ধারণ।

English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura Anam
Sura:6
Verses :- 165

وَهُوَ الَّذِي جَعَلَكُمْ خَلَيِفَ الَارْضِ

And it is He Who has made you generations coming after generations, replacing each other on the earth.

Allah Made Mankind Dwellers on the earth, Generation After Generation, of Various Grades, in order to Test Them

Allah said,

وَهُوَ الَّذِي جَعَلَكُمْ خَلَيِفَ الَارْضِ

And it is He Who has made you generations coming after generations, replacing each other on the earth.

According to Ibn Zayd and others,

meaning, He made you dwell on the earth generation after generation, century after century and offspring after forefathers.

Allah also said,

وَلَوْ نَشَأءُ لَجَعَلْنَا مِنكُمْ مَّلَـيِكَةً فِى الاٌّرْضِ يَخْلُفُونَ

And if it were Our will, We would have made angels to replace you on the earth! (43:60)

and,

وَيَجْعَلُكُمْ حُلَفَأءَ الاٌّرْضِ

And makes you inheritors of the Earth, generations after generations. (27:62)

and,

إِنِّي جَاعِلٌ فِى الَارْضِ خَلِيفَةً

Verily, I am going to place (mankind) generations after generations on earth. (2:30)

and,

عَسَى رَبُّكُمْ أَن يُهْلِكَ عَدُوَّكُمْ وَيَسْتَخْلِفَكُمْ فِى الاٌّرْضِ فَيَنظُرَ كَيْفَ تَعْمَلُونَ

It may be that your Lord will destroy your enemy and make you successors on the earth, so that He may see how you act. (7:129)

Allah’s statement,

وَرَفَعَ بَعْضَكُمْ فَوْقَ بَعْضٍ دَرَجَاتٍ

And He has raised you in ranks, some above others,

means, He has made you different from each other with regards to provision, conduct, qualities, evilness, shapes, color of skin, and so forth, and He has the perfect wisdom in all this.

Allah said in other Ayat,

نَحْنُ قَسَمْنَا بَيْنَهُمْ مَّعِيشَتَهُمْ فِى الْحَيَوةِ الدُّنْيَا وَرَفَعْنَا بَعْضَهُمْ فَوْقَ بَعْضٍ دَرَجَـتٍ لِّيَتَّخِذَ بَعْضُهُم بَعْضاً سُخْرِيّاً

It is We Who portion out between them their livelihood in this world, and We raised some of them above others in ranks, so that some may employ others in their work. (43:32)

and,

انظُرْ كَيْفَ فَضَّلْنَا بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَلَلٌّخِرَةُ أَكْبَرُ دَرَجَـتٍ وَأَكْبَرُ تَفْضِيلً

See how We prefer one above another (in this world), and verily, the Hereafter will be greater in degrees and greater in preferment. (17:21)

Allah’s statement,

لِّيَبْلُوَكُمْ فِي مَا اتَاكُمْ

that He may try you in that which He has bestowed on you.

means, so that He tests you in what He has granted you, for Allah tries the rich concerning his wealth and will ask him about how he appreciated it. He also tries the poor concerning his poverty and will ask him about his patience with it.

Muslim recorded that Abu Sa`id Al-Khudri said that the Messenger of Allah said,

إِنَّ الدُّنْيَا حُلْوَةٌ خَضِرَةٌ وَإِنَّ اللهَ مُسْتَخْلِفُكُمْ فِيهَا فَنَاظِرٌ مَاذَا تَعْمَلُونَ فَاتَّقُوا الدُّنْيَا وَاتَّقُوا النِّسَاءَ فَإِنَّ أَوَّلَ فِتْنَةِ بَنِي إِسْرَايِيلَ كَانَتْ فِي النِّسَاء

Verily, this life is beautiful and green, and Allah made you dwell in it generation after generation so that He sees what you will do. Therefore, beware of this life and beware of women, for the first trial that the Children of Israel suffered from was with women.

Allah’s statement,

إِنَّ رَبَّكَ سَرِيعُ الْعِقَابِ وَإِنَّهُ لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ

Surely, your Lord is swift in retribution, and certainly He is Oft-Forgiving, Most Merciful.

this is both discouragement and encouragement, by reminding the believers that Allah is swift in reckoning and punishment with those who disobey Him and defy His Messengers.

وَإِنَّهُ لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ

And certainly He is Oft-Forgiving, Most Merciful.

for those who take Him as protector and follow His Messengers in the news and commandments they conveyed. Allah often mentions these two attributes together in the Qur’an.

Allah said,

وَإِنَّ رَبَّكَ لَذُو مَغْفِرَةٍ لِّلنَّاسِ عَلَى ظُلْمِهِمْ وَإِنَّ رَبَّكَ لَشَدِيدُ الْعِقَابِ

But verily, your Lord is full of forgiveness for mankind in spite of their wrongdoing. And verily, your Lord is (also) severe in punishment. (13:6)

and,

نَبِّىءْ عِبَادِى أَنِّى أَنَا الْغَفُورُ الرَّحِيمُ وَأَنَّ عَذَابِى هُوَ الْعَذَابُ الاٌّلِيمُ

Declare unto My servants, that truly, I am the Oft-Forgiving, the Most Merciful. And that My torment is indeed the most painful torment. (15:49-50)

There are similar Ayat that contain encouragement and discouragement.

Sometimes Allah calls His servants to Him with encouragement, describing Paradise and making them eager for what He has with Him. Sometimes, He calls His servants with discouragement, mentioning the Fire and its torment and punishment, as well as, the Day of Resurrection and its horrors.

Sometimes Allah mentions both so that each person is affected by it according to his or her qualities.

We ask Allah that He makes us among those who obey what He has commanded, avoid what He has prohibited, and believe in Him as He has informed. Certainly, He is Near, hears and answers the supplication, and He is the Most Kind, Generous and Bestowing.

Imam Ahmad recorded that Abu Hurayrah said that the Messenger of Allah said,

لَوْ يَعْلَمُ الْمُوْمِنُ مَا عِنْدَ اللهِ مِنَ الْعُقُوبَةِ مَا طَمِعَ بِجَنَّتِهِ أَحَدٌ وَلَوْ يَعْلَمُ الْكَافِرُ مَااِعنْدَ اللهِ مِنَ الرَّحْمَةِ مَا قَنَطَ أَحَدٌ مِنَ الْجَنَّةِ

If the believer knew Allah’s punishment, no one will hope in entering His Paradise. And if the disbeliever knew Allah’s mercy, no one will feel hopeless of acquiring Paradise.

خَلَقَ اللهُ مِايَةَ رَحْمَةٍ فَوَضَعَ وَاحِدَةً بَيْنَ خَلْقِهِ يَتَرَاحَمُونَ بِهَا وَعِنْدَ اللهِ تِسْعَةٌ وَتِسْعُون

Allah created a hundred kinds of mercy. He sent down one of them to His creation, and they are merciful to each other on that account. With Allah, there remains ninety-nine kinds of mercy.

Muslim and At-Tirmidhi also recorded this Hadith, At-Tirmidhi said “Hasan”.

Abu Hurayrah narrated that the Messenger of Allah said,

لَمَّا خَلَقَ اللهُ الْخَلْقَ كَتَبَ فِي كِتَابٍ فَهُوَ عِنْدَهُ فَوْقَ الْعَرْشِ إِنَّ رَحْمَتِي تَغْلِبُ غَضَبِي

When Allah created the creation, He wrote in a Book, and this Book is with Him above the Throne:`My mercy overcomes My anger.’

This is the end of the Tafsir of Surah Al-An`am, all the thanks and appreciation for Allah.

তাফসীরে ইবনে ‌কাসীর বলেছেন:-

ইরশাদ হচ্ছে- তোমরা একের পর এক ভূ-পৃষ্ঠে বসতি স্থাপন করে আসছিলে এবং পূর্ববর্তীদের পর পরবর্তীদের যুগ আসতে রয়েছিল। আর একে অপরের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছিল। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ “যদি আমি ইচ্ছা করতাম তবে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত তোমাদের সন্তানদেরকে বা অন্য কাউকেও না বানিয়ে ফেরেশতাদেরকে বানাতাম এবং তারা তোমাদের পর তোমাদের স্থান দখল করে নিত।” আর এক জায়গায় তিনি বলেনঃ “এ যমীনকে তিনি তোমাদেরকে পর্যায়ক্রমে একের পর অপরকে প্রদান করেছেন।” অন্যত্র তিনি বলেছেনঃ “ভূ-পৃষ্ঠে আমি নিজের প্রতিনিধি বানাতে চাই।” আর এক জায়গায় বলেনঃ “এ সম্ভাবনা রয়েছে যে, সত্বরই তোমাদের প্রভু তোমাদের শক্রকে ধ্বংস করে দিবেন। এবং তোমাদেরকে তাদের স্থানে বসাবেন, অতঃপর তিনি দেখবেন যে, তাদের স্থানে তোমরা এসে কিরূপ আমল পেশ করছে।”

আল্লাহ পাক বলেনঃ তিনি কতককে কতকের উপর মর্যাদায় উন্নত করেছেন, অর্থাৎ জীবিকা, চরিত্র, সৌন্দর্য, সমতা, দৃশ্য, দৈহিক গঠন, রং ইত্যাদিতে একে অপরের অপেক্ষা কম-বেশী রয়েছে। যেমন তিনি বলেছেনঃ “আমি তাদের পার্থিব জীবনে তাদের পারস্পরিক জীবিকা বন্টন করে দিয়েছি এবং একের মর্যাদা অপরের চেয়ে উচ্চ করেছি।” কেউ আমীর, কেউ গরীব, কেউ মনিব এবং কেউ তার চাকর । মহান আল্লাহ অন্যত্র বলেনঃ “লক্ষ্য কর, আমি কিভাবে একের উপরে অপরকে প্রাধান্য ও মর্যাদা দান করেছি, তবে পার্থিব জীবনের মর্যাদার তুলনায় পারলৌকিক মর্যাদা ও প্রাধান্য বহু গুণে গুরুত্বপূর্ণ।” আর এক জায়গায় তিনি বলেনঃ “এই মর্যাদার বিভিন্নতার উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে চাই, ধনীকে ধন দিয়ে জিজ্ঞেস করা হবে যে, সে ধন-সম্পদের শাকরিয়া কিভাবে আদায় করেছে এবং গরীবকে জিজ্ঞেস করা হবে যে, সে স্বীয় দারিদ্রের উপর ধৈর্যধারণ করেছে কি করেনি।”

সহীহ মুসলিমে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “দুনিয়া হচ্ছে সুমিষ্ট, শ্যামল ও সবুজ। আল্লাহ তোমাদেরকে অন্যান্যদের পরে দুনিয়া ভোগ করার সুযোগ দিয়েছেন এবং তোমাদেরকে তাদের স্থলাভিষিক্ত বানিয়েছেন। এখন তিনি দেখতে চান তোমরা কিরূপ আমল করছো। তোমরা দুনিয়াকে ভয় কর এবং নারীদেরকেও ভয় করে চল। বানী ইসরাঈলের মধ্যে প্রথম যে ফিত্না সৃষ্টি হয়েছিল তা ছিল নারী সম্পৰ্কীয়ই।” (এ হাদীসটি ইমাম মুসলিম (রঃ) আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে মারফু’রূপে বর্ণনা করেছেন)

আল্লাহ তা’আলার উক্তি- (আরবী) হে মুহাম্মাদ (সঃ)! নিঃসন্দেহে তোমার প্রতিপালক ত্বড়িত শাস্তিদাতা এবং অবশ্যই তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালুও বটে। অর্থাৎ তোমাদের পার্থিব জীবন সত্বরই শেষ হয়ে যাবে ও তোমাদেরকে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। তবে তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল এবং দয়ালুও বটে।

এখানে ভয়ও প্রদর্শন করা হচ্ছে এবং উৎসাহও প্রদান করা হচ্ছে যে, তাঁর হিসাব ও শাস্তি সত্বরই এসে যাবে এবং তার অবাধ্যরা ও তাঁর রাসূল (সঃ)-এর বিরোধিতাকারীরা পাকড়াও হয়ে যাবে। আর যারা তাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছে, আল্লাহ তাদের অলী এবং তাদের প্রতি তিনি ক্ষমাশীল ও কৃপানিধান । কুরআন কারীমের অধিকাংশ স্থানে এ দুটি বিশেষণ অর্থাৎ ক্ষমাশীল ও দয়ালু এক সাথে এসেছে। যেমন তিনি বলেনঃ “তেমাদের প্রভু স্বীয় বান্দাদের পাপরাশি ক্ষমা করার ব্যাপারে বড় ক্ষমাশীল, কিন্তু এর সাথে সাথে তাঁর পাকড়াও খুবই কঠিন।” আর এক জায়গায় তিনি বলেনঃ “হে নবী (সঃ)! আমার বান্দাদেরকে তুমি বলে দাও-আমি ক্ষমাশীল ও দয়ালু এবং আমার শাস্তিও বড়ই কঠিন।” উৎসাহ ও আশা প্রদান এবং ভয় প্রদর্শনের আয়াত অনেক রয়েছে। কখনও তো আল্লাহ পাক জান্নাতের গুণাবলী বর্ণনা করে বান্দাদেরকে উৎসাহ ও আশা প্রদান করেন, আবার কখনও জাহান্নামের বর্ণনা দিয়ে ওর শাস্তি এবং কিয়ামতের ভয়াবহ দৃশ্য থেকে ভয় প্রদর্শন করে থাকেন। মাঝে মাঝে আবার দু’টোর বর্ণনা একই সাথে দিয়েছেন। আল্লাহ যেন আমাদেরকে তাঁর বিধানসমূহ মেনে চলার তাওফীক প্রদান করেন এবং পাপীদের দল থেকে যেন আমাদেরকে দূরে রাখেন।

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আল্লাহর শাস্তি যে কত কঠিন তা যদি মুমিন জানতো তবে কেউ জান্নাতের লালসা করতো না (সে বলতো–যদি জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাই তবে এটাই যথেষ্ট)। পক্ষান্তরে আল্লাহর দয়া ও রহমত যে কত ব্যাপক তা যদি কাফির জানতো তবে কেউ জান্নাত থেকে নিরাশ হতো না (অথচ জান্নাত তো কাফিরের প্রাপ্যই নয়)। আল্লাহ একশ’ ভাগ রহমত রেখেছেন। এর মধ্য থেকে একটি মাত্র অংশ সারা মাখলুকাতের মধ্যে বণ্টন করে দিয়েছেন। এই এক ভাগ রহমতের কারণেই মানুষ ও জীবজন্তু একে অপরের উপর দয়া করে থাকে। আর নিরানব্বই ভাগ রহমত আল্লাহর কাছেই রয়েছে।” (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে মারফু’রূপে তাখরীজ করেছেন) তাঁর রহমত যে কত বেশী তা এটা থেকেই অনুমান করা যেতে পারে!

আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকেই বর্ণিত আছে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে বলতে শুনেছেনঃ “আল্লাহ একশ’ ভাগ রহমত রেখেছেন। এর মধ্য থেকে নিরানব্বই ভাগ তিনি নিজের কাছে রেখেছেন এবং এক ভাগ যমীনে অবতীর্ণ করেছেন। এই এক ভাগ রহমতের বরকতেই সৃষ্টজীবগুলো একে অপরের উপর দয়া করে থাকে, এমন কি চতুষ্পদ জন্তুও ওর বাচ্চাকে খুরের আঘাত থেকে রক্ষা করে থাকে এই ভয়ে যে, সে কষ্ট পাবে।” (এ হাদীসটি ইমাম মুসলিম (রঃ) তাঁর সহীহ গ্রন্থে আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে মারফু’রূপে তাখরীজ করেছেন) রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, যখন আল্লাহ মাখলুকাতকে সৃষ্টি করেন তখন আরশের উপর অবস্থিত লাওহে মাহফুযে তিনি লিপিবদ্ধ করেনঃ “আমার রহমত আমার গযবের উপর জয়যুক্ত থাকবে।”

Leave a Reply