(Book# 631)[যারা দুর্বল, যারা পীড়িত।] www.motaher21.net

أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم

(Book# 631)[যারা দুর্বল, যারা পীড়িত।]
www.motaher21.net
সুরা: আত্ তাওবাহ
সুরা:০৯
৯১-৯৩ নং আয়াত:-
لَّيْسَ عَلَى الضُّعَفَاء وَلَا عَلَى الْمَرْضَى

যারা দুর্বল, যারা পীড়িত।
There is no blame on those who are weak or ill.
لَیۡسَ عَلَی الضُّعَفَآءِ وَ لَا عَلَی الۡمَرۡضٰی وَ لَا عَلَی الَّذِیۡنَ لَا یَجِدُوۡنَ مَا یُنۡفِقُوۡنَ حَرَجٌ اِذَا نَصَحُوۡا لِلّٰہِ وَ رَسُوۡلِہٖ ؕ مَا عَلَی الۡمُحۡسِنِیۡنَ مِنۡ سَبِیۡلٍ ؕ وَ اللّٰہُ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿ۙ۹۱﴾

যারা দুর্বল, যারা পীড়িত এবং যারা অর্থ সাহায্যে অসমর্থ, তাদের কোন অপরাধ নেই, যদি আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলের হিতাকাঙ্খী হয় । মুহসিনদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন পথ নেই; আর আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

There is not upon the weak or upon the ill or upon those who do not find anything to spend any discomfort when they are sincere to Allah and His Messenger. There is not upon the doers of good any cause [for blame]. And Allah is Forgiving and Merciful.

وَّ لَا عَلَی الَّذِیۡنَ اِذَا مَاۤ اَتَوۡکَ لِتَحۡمِلَہُمۡ قُلۡتَ لَاۤ اَجِدُ مَاۤ اَحۡمِلُکُمۡ عَلَیۡہِ ۪ تَوَلَّوۡا وَّ اَعۡیُنُہُمۡ تَفِیۡضُ مِنَ الدَّمۡعِ حَزَنًا اَلَّا یَجِدُوۡا مَا یُنۡفِقُوۡنَ ﴿ؕ۹۲﴾
আর তাদেরও কোন অপরাধ নেই যারা আপনার কাছে বাহনের জন্য আসলে আপনি বলেছিলেন, ‘তোমাদের জন্য কোন বাহন আমি পাচ্ছি না’; তারা অশ্রুবিগলিত চোখে ফিরে গেল, কারণ তারা খরচ করার মত কিছুই পায়নি।
Nor [is there blame] upon those who, when they came to you that you might give them mounts, you said, “I can find nothing for you to ride upon.” They turned back while their eyes overflowed with tears out of grief that they could not find something to spend [for the cause of Allah ].

اِنَّمَا السَّبِیۡلُ عَلَی الَّذِیۡنَ یَسۡتَاۡذِنُوۡنَکَ وَ ہُمۡ اَغۡنِیَآءُ ۚ رَضُوۡا بِاَنۡ یَّکُوۡنُوۡا مَعَ الۡخَوَالِفِ ۙ وَ طَبَعَ اللّٰہُ عَلٰی قُلُوۡبِہِمۡ فَہُمۡ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۹۳﴾
যারা অভাবমুক্ত হয়েও অব্যাহতি প্রার্থনা করেছে, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কারণ আছে। তারা অন্তঃপুরবাসিনীদের সাথে থাকাই পছন্দ করেছিল; আর আল্লাহ্‌ তাদের অন্তরের উপর মোহর এঁটে দিয়েছেন, ফলে তারা জানতে পারে না।
The cause [for blame] is only upon those who ask permission of you while they are rich. They are satisfied to be with those who stay behind, and Allah has sealed over their hearts, so they do not know.

৯১-৯৩ নং আয়াতের তাফসীর:

তাফসীরে‌ ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-

এ আয়াতগুলোতে ঐ সমস্ত লোকেদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যাদের জিহাদে শরীক না হওয়ার শরীয়তসম্মত কারণ রয়েছে। যেমন:

১. বৃদ্ধ ও অক্ষম লোক। যেমন- খোঁড়া, অন্ধ প্রভৃতি লোকেরা এ শ্রেণির শামিল। ২. অসুস্থ, ৩. যারা জিহাদে যাওয়ার সরঞ্জাম ও ব্যয় বহনে অসামর্থ এবং বাইতুল মাল থেকেও সাহায্য করা হয়নি।

এরা যদি আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর কল্যাণকামী হয় অর্থাৎ জিহাদে না গিয়েও জিহাদের আকাক্সক্ষা, মুজাহিদদের প্রতি ভালবাসা, আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর দুশমনদের সাথে শত্রুতা রাখে তাহলে জিহাদে শরীক না হলেও তাদের কোন গুনাহ নেই।

(إِذَا مَآ أَتَوْكَ لِتَحْمِلَهُمْ قُلْتَ لَآ أَجِدُ مَآ أَحْمِلُكُمْ عَلَيْهِ)

‘তাদেরও কোন অপরাধ নেই যারা তোমার নিকট বাহনের জন্য আসলে তুমি বলেছিলে, ‘তোমাদের জন্য কোন বাহন আমি পাচ্ছি না’ এদের দ্বারা কারা উদ্দেশ্য- এ নিয়ে মুফাসসিরগণ কয়েকটি মত তুলে ধরেছেন। মুহাম্মাদ বিন কাব বলেন: তারা আমর বিন আওফ গোত্রের সাত জন লোক। মুজাহিদ বলেন: তারা হলেন মুযাইনা গোত্রের লোক। তবে মুহাম্মাদ বিন ইসহাক তাবুক যুদ্ধের বিবরণ তুলে ধরার পর বলেন: তারা হলেন কতক মুসলিম ব্যক্তি যারা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিকট আগমন করেছিল ক্রন্দনরত অবস্থায়। তাদের সাত জন আনসার ও আমর বিন আওফ গোত্রের অন্যান্যরাও ছিলেন। (ইবুন কাসীর, কুরতুবী, অত্র আয়াতের তাফসীর)

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন: তোমরা মদীনাতে এমন লোক রেখে এসেছ, তোমরা যা ব্যয় কর, যত উপত্যকা অতিক্রম কর এবং শত্রুদের থেকে যেভাবেই আক্রান্ত হও, সবকিছুতেই তারা পূণ্যের দিক দিয়ে অংশীদার। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এ আয়াতটি তেলাওয়াত করলেন। অন্য বর্ণনায় রয়েছে তাদেরকে ওজর আটকে রেখেছে। (সহীহ বুখারী হা: ২৮৩৯)

(إِنَّمَا السَّبِيْلُ عَلَي الَّذِيْنَ)

‘তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পথ আছে..’ এদের আলোচনা ৮৬-৮৭ নং আয়াতে করা হয়েছে। এরা সামর্থ থাকা সত্ত্বেও জিহাদে শরীক হয়নি। মূলত এরা মুনাফিক।

আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

১. যাদের জন্য জিহাদে শরীক না হওয়ার অনুমতি রয়েছে তাদের পরিচয় জানলাম।
২. প্রকৃত মু’মিন জিহাদে শরীক না হতে পারলে তারা আন্তরিকভাবে ব্যথিত হয়।
৩. সামর্থ থাকা সত্ত্বেও যারা যুদ্ধে শরীক হয় না তারা মুনাফিক।

তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-

এ থেকে জানা যায় যারা বাহ্যত অক্ষম, তাদের জন্য ও নিছক শারীরিক দুর্বলতা, রুগ্নতা, বা নিছক অপরাগতা দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি লাভের জন্য নয়। বরং তাদের অক্ষমতা গুলো কেবলমাত্র তখনই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি লাভের কারণ হতে পারে যখন তারা হবে আল্লাহ‌ ও তার রসূলের সত্যিকার বিশ্বস্ত ও অনুগত। অন্যথায় কোন ব্যক্তির মধ্যে যদি বিশ্বস্ততা না থাকে তাহলে তাকে শুধুমাত্র এ জন্য মাফ করা যেতে পারে না যে, কর্তব্য পালনের সময় সে রোগগ্রস্ত বা অপরাগ ছিল। আল্লাহ‌ শুধু বাইরের অবস্থাই দেখন না। তাই যেসব লোক অসুস্থতার ডাক্তারি সার্টিফিকেট অথবা বার্ধক্য ও শারীরিক ত্রুটির ওযর পেশ করবে তাদেরকে আল্লাহর দরবারেও তদ্রূপ অক্ষম গণ্য করা হবে এবং তাদেরকে আর কোন প্রকার জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে হবে না, একথা ঠিক নয়। তিনি তো তাদের প্রত্যেক ব্যক্তির মন-মানসিকতা বিশ্লেষণ করবেন, তার সমগ্র গোপন ও আপাতদৃষ্ট আচরণ নিরীক্ষণ করবেন এবং তাদের অক্ষমতা কোন বিশ্বস্ত বান্দার অক্ষমতার পর্যায়ভুক্ত ছিল না, বিদ্রোহীর পর্যায়ভুক্ত তা যাচাই করবেন কেউ কেউ এমন আছে যে, কর্তব্যের ডাক শুনে লাখো লাখো, শুকরিয়া আদায় করে এবং মনে মনে বলে, বড় ভালো সময়ে আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি। নয়তো কোনক্রমেই এ বিপদের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যেতো না এবং অনর্থক আমাকে গঞ্জনা ভুগতে হতো। আবার অন্য একজন এ একই ডাক শুনে অস্থির না হয়ে উঠে বলে হায় কেমন এক সময় আমি অসুখে পড়লাম। যখন মাঠে ময়দানে নেমে কাজ করার সময় তখন কিনা আমি বিছানায় শুয়ে শুয়ে অযথা সময় নষ্ট করছি। একজন নিজের রোগকে কর্তব্যের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বাহানা হিসেবে ব্যবহার তো করছিলই এ সঙ্গে সে অন্যদেরকে ও এ কর্তব্য পালনে বাধা দেবার চেষ্টা করলো। অন্যজন বাধ্য হয়ে রোগা শয্যায় পড়ে থাকলেও বারবার নিজের ভাই-বেরাদার, আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের জিহাদ করতে উদ্বুদ্ধ করে চলছিল এবং নিজের সেবা ও শুশ্রূষাকারীদেরকেও বলে চলছিল, আমাকে আল্লাহর হাতে সোর্পদ করে দিয়ে যাও। ওষুধ ও পথ্যের ব্যবস্থা কোন না কোনভাবে হয়ে যাবেই। আমার একজনের জন্য আল্লাহর সত্য দ্বীনের সেবায় নিবেদিত মূল্যবান সময়টি তোমরা নষ্ট করো না। একজন অসুস্থতার অজুহাতে ঘরে বসে থেকে যুদ্ধের সারাটা সময় মানুষের মন ভাঙ্গাবার, দুঃসংবাদ ছড়াবার, যুদ্ধের প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার এবং মুজাহিদের অনুপস্থিতিতে তাদের পারিবারিক কাজ করে। অন্যজন নিজেকে যুদ্ধের ময়দানে উপস্থিত হবার সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হতে দেখে জেহাদের ঘরোয়া অঙ্গনকে (Home front) মজবুত রাখার জন্য নিজের সাধ্যমতো প্রচেষ্টা চালায়। বাহ্যত এরা দুজনই অক্ষম। কিন্তু আল্লাহর দৃষ্টিতে এ দুই ধরনের অক্ষমরা কখনো সমান হতে পারে না। আল্লাহ‌ যদি ক্ষমা করেন তাহলে কেবল এ দ্বিমত জনকেই ক্ষমা করবেন। আর প্রথমে ব্যক্তি নিজের অক্ষমতা সত্ত্বেও বিশ্বাসঘাতকতা ও নাফরমানীর অপরাধে অভিযুক্ত হবে।

*যারা দ্বীনের খেদমত করার জন্য সর্বক্ষণ উদগ্রীব থাকে তারা যদি কোন সত্যিকার অক্ষমতার কারণে অথবা উপায়-উপকরণ বা মাধ্যম যোগাড় না হওয়ার দরুন কার্যত খেদমত করতে না পারে তাহলে মনে ঠিক তেমনি কষ্ট পায় যেমন কোন বৈষয়িক স্বার্থান্বেষী ব্যক্তির রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেলে অথবা কোন বড় আকারের লাভের সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেলে মনে কষ্ট হয়, তারা বাস্তবে কোন খেদমত না করলেও আল্লাহর কাছে খেদমাতকারী হিসেবেই গণ্য হবে। কারণ তারা হাত পা চালিয়ে কোন কাজ করতে পারিনি ঠিকই কিন্তু মানসিক দিক দিয়ে তারা সর্বক্ষণ কাজের মধ্যেই থাকে। এ কারণে তাবুক যুদ্ধ থেকে ফেরার পথে এক জায়গায় নবী (সা.) তার সঙ্গী-সাথীদেরকে সম্বোধন করে বলেন,

إِنَّ بِالْمَدِينَةِ اقَوْامًا مَا سِرْتُمْ مَسِيرٍا وَلاَ قَطَعْتُمْ وَادِيًا إِلاَّ كَانُوا مَعَكُمْ

মদীনায় কিছু লোক আছে যারা প্রতিটি উপত্যকা অতিক্রম কালে এবং প্রতিটি যাত্রার সময় তোমাদের সাথে থেকেছে। সাহবীগণ আবাক হয়ে বলেন, মদীনায় অবস্থান করেই, বলেন, হ্যাঁ মদীনায় অবস্থান করেই। কারণ অক্ষমতা তাদেরকে আটকে রেখেছিল নয়তো, তারা নিজেরা থেকে যাবার লোক ছিল না।

তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-

৯১-৯৩ নং আয়াতের তাফসীর:

এখানে আল্লাহ তাআলা ঐ শরীয়ত সম্মত ওযরসমূহের বর্ণনা দিচ্ছেন যে ওরগুলো কোন মানুষের মাঝে থাকলে সে যদি জিহাদে অংশগ্রহণ না করে তবে শরীয়তের দৃষ্টিতে তার কোন অপরাধ হবে না। ঐ ওযরগুলোর মধ্যে এক প্রকারতো হচ্ছে এই যে, তা সব সময়ই থাকবে, কোন অবস্থাতেই মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না। যেমন জন্মগতভাবে দুর্বল হওয়া, খোড়া হওয়া, অন্ধ হওয়া, বিকলাঙ্গ হওয়া, সম্পূর্ণরূপে শক্তিহীন হওয়া ইত্যাদি। দ্বিতীয় প্রকারের ওযর হচ্ছে ঐ সব ওযর যেগুলো কখনো থাকে আবার কখনো থাকে না। ওগুলো হচ্ছে আকস্মিক কারণ। যেমন কেউ রুগ্ন হয়ে পড়লো বা অভাবগ্রস্ত হলো অথবা সফরের ও জিহাদের সরঞ্জাম জোগাড় করতে পারছে না ইত্যাদি। সুতরাং এসব ওযর বিশিষ্ট লোকেরা জিহাদে অংশগ্রহণ না করলে শরীয়তের দৃষ্টিতে তাদের কোন অপরাধ হবে না। কিন্তু তাদের আন্তরিকতা থাকতে হবে। তাদেরকে হতে হবে মুসলিমদের ও আল্লাহর দ্বীনের শুভাকাঙ্ক্ষী। তাদের কর্তব্য হবে অন্যদেরকে জিহাদের প্রতি উৎসাহিত করা। বাড়ীতে বসে বসে যতটুকু সম্ভব মুজাহিদদের খিদমত করতে হবে। এরূপ সৎ প্রকৃতির লোকদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল ও দয়ালু।

ঈসা (আঃ)-এর সাহায্যকারী হাওয়ারীগণ তাঁকে প্রশ্ন করেছিলঃ “আল্লাহর শুভাকাঙ্ক্ষী কারা বলুন তো?” তিনি উত্তরে বলেছিলেনঃ “যারা আল্লাহর হককে মানুষের হকের উপর প্রাধান্য দেয় এবং যখন একটি দ্বীনের কাজ এবং একটি দুনিয়ার কাজ সামনে এসে যায় তখন যারা দ্বীনের কাজের গুরুত্বের প্রতি পূর্ণ খেয়াল রাখে । তারপর দ্বীনের কাজ শেষ করে দুনিয়ার কাজ আনজাম দেয়।”

একবার দুর্ভিক্ষের সময় জনগণ ইসতিকার সালাত পড়ার জন্যে মাঠের দিকে বের হয়। তাদের সাথে বিলাল ইবনে সা’দ (রাঃ) ছিলেন। তিনি দাড়িয়ে আল্লাহ তাআলার হামদ ও সানার পর জনগণকে সম্বোধন করে বলেনঃ “হে উপস্থিত ভ্রাতৃবৃন্দ! আপনারা কি এটা স্বীকার করেন যে, আপনারা সবাই আল্লাহ তা’আলার পাপী বান্দা?” সবাই সমস্বরে বলে উঠলেনঃ “হ্যাঁ।” অতঃপর তিনি প্রার্থনার জন্যে হাত উঠিয়ে বলতে লাগলেন- হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আপনার কালামে পাকে বলেছেনঃ “সৎ লোকদের প্রতি কোন প্রকারের অভিযোগ নেই।” আমরা আমাদের দুষ্কর্যের স্বীকারোক্তি করছি। সুতরাং আপনি আমাদের। ক্ষমা করুন! আমাদের উপর আপনার করুণা বর্ষণ করুন! আমাদের উপর দয়াপরবশ হয়ে বৃষ্টি বর্ষণ করুন! তিনি হাত উঠালেন এবং জনগণও তাঁর সাথে হাত উঠালো। আল্লাহর করুণা উথলিয়ে উঠলো এবং মুষলধারে রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত হতে শুরু হলো।

যায়েদ ইবনে সাবিত (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর লেখক ছিলাম। সূরায়ে বারাআত যখন অবতীর্ণ হচ্ছিল তখন আমি ঐ সূরাটিও লিখছিলাম। আমি আমার কলমটি আমার কানের উপর রাখতাম। জিহাদের আয়াতগুলো অবতীর্ণ হচ্ছিল। রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর উপর কি অবতীর্ণ হতে যাচ্ছে সে জন্যে তিনি অপেক্ষমান ছিলেন। এমন সময় একজন অন্ধ এসে বলতে লাগলোঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আমি তো একজন অন্ধ লোক। সুতরাং আমি জিহাদের নির্দেশ কিরূপে পালন করতে পারি?” তখন এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয়।

এরপর ঐ লোকদের বর্ণনা দেয়া হচ্ছে যারা জিহাদে অংশগ্রহণের জন্যে সদা উদ্বিগ্ন, কিন্তু স্বভাবগত কারণে বিরত থাকতে বাধ্য হয়। জিহাদের হুকুম অবতীর্ণ হলে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর ঘোষণা অনুযায়ী মুজাহিদগণ জমা হতে শুরু করেন। একটি দল আগমন করলেন যাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ ইবনে মুগাফফাল ইবনে মাকরান মুযানীও (রাঃ) ছিলেন। তারা বললেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আমাদের সওয়ারী নেই। সুতরাং আপনি আমাদের সওয়ারীর ব্যবস্থা করে দিন, যাতে আমরাও জিহাদের সওয়াব লাভ করতে পারি।” তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাদেরকে বললেনঃ “আল্লাহর কসম! আমার কাছে তো একটিও সওয়ারী নেই যাতে আমি তোমাদেরকে আরোহণ করতে পারি।” সুতরাং তারা নিরাশ হয়ে কাঁদতে কাঁদতে ফিরে যান। তাঁদের এর চেয়ে বড় দুঃখ আর ছিল না যে, তারা জিহাদের মর্যাদা লাভে বঞ্চিত হয়ে গেলেন এবং নারীদের মত তাদেরকে ঐ সময়টা বাড়ীতেই কাটাতে হবে। তাদের না আছে নিজেদের কোন জিনিস, না কারো কাছ থেকে কোন বাহন পাচ্ছেন। তাই মহান আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করে তাদেরকে সান্তনা দান করেন। এ আয়াতটি মুযাইনা গোত্রের শাখা বানু। মাকরানের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়। মুহাম্মাদ ইবনে কা’ব (রঃ) বর্ণনা করেছেন যে, তাঁরা সাতজন ছিলেন। তাঁরা ছিলেন বানু আমির গোত্রের লোক। তাঁরা হচ্ছেন-(১) বানু ওয়াকিফ গোত্রের সালিম ইবনে আউফ, (২) বানু মাযিল গোত্রের হারামী ইবনে আমর, (৩) বানু মুআল্লা গোত্রের আব্দুর রহমান ইবনে কা’ব, (৪) বানু সালমা গোত্রের ফাযলুল্লাহ, (৫) আমর ইবনে উকবা, (৬) আব্দুল্লাহ ইবনে আমর মুযানী, (৭) বানু হারিসা গোত্রের আলিয়্যাহ ইবনে যায়েদ। কোন কোন রিওয়ায়াতে কতকগুলো নামের হেরফেরও রয়েছে। মহৎ হৃদয়ের অধিকারী এই বুযুর্গদের ব্যাপারেই রাসূলগণের মাথার মুকুট মুহাম্মাদ (সঃ) বলেছেনঃ “হে আমার মুজাহিদ সাহাবীবর্গ! তোমরা মদীনায় যেসব লোককে পিছনে ছেড়ে এসেছে তাদের মধ্যে এমন লোকও রয়েছে যারা তোমাদের খরচ করার মধ্যে, তোমাদের মাঠে-ময়দানে চলাফেরার মধ্যে, তোমাদের জিহাদ করার মধ্যে শরীক রয়েছে। এতে তোমাদের যে সওয়াব হবে তাতে তারাও শরীক থাকবে।” অতঃপর তিনি এই আয়াতটিই পাঠ করেন। অন্য এক রিওয়ায়াতে আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর এ কথা শুনে সাহাবীগণ বলেনঃ “তারা বাড়ীতে বসে থেকেও সওয়াবে আমাদের শরীক হবে?” রাসূলুল্লাহ (সঃ) উত্তরে বলেনঃ “হ্যা, কেননা তাদের ওযর রয়েছে। ওযরের কারণেই তারা জিহাদে অংশগ্রহণ করতে পারেনি।” অন্য হাদীসে আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “রোগ তাদেরকে জিহাদে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রেখেছে।” অতঃপর প্রকৃতপক্ষে যাদের কোন ওযর নেই, আল্লাহ তাআলা তাদের বর্ণনা দিচ্ছেন। তিনি বলছেনঃ অভিযোগ তো শুধু ঐ লোকদের উপরই যারা ধন-সম্পদের মালিক ও হৃষ্টপুষ্ট হওয়া সত্ত্বেও যুদ্ধে গমন না করার অনুমতি চাচ্ছে। তারা অন্তঃপুরবাসিনী মহিলাদের মত বাড়ীতেই অবস্থান করতে ইচ্ছুক। তারা মাটি কামড়ে বসে থাকে। তাদের দুষ্কার্যের কারণে আল্লাহ তা’আলা তাদের অন্তরসমূহের উপর মোহর মেরে দেন। সুতরাং তারা এখন নিজেদের ভাল মন্দ কিছুই জানতে পারছে না।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান বলেছেন:-

এই আয়াতে সেই সব লোকদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যাদের সত্যিকার ওজর ছিল। আর তাদের সে ওজরও স্পষ্ট ছিল। যেমন, (ক) বৃদ্ধ ও অক্ষম লোক। অন্ধ অথবা খোঁড়া প্রভৃতি লোকরাও এই শ্রেণীর আওতায় এসে পড়ে। কেউ কেউ এদেরকে অসুস্থ লোকদের মধ্যে গণ্য করেছেন। (খ) অসুস্থ ব্যক্তি। (গ) তারা যাদের নিকট জিহাদ করার সরঞ্জাম ছিল না এবং বায়তুল মাল থেকেও তাদের মদদ করা হয়নি। ‘আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি হিতাকাঙ্ক্ষী’ হয় এইভাবে যে, তারা অন্তরে জিহাদের প্রতি ব্যাকুল আগ্রহ ও মুজাহিদদের প্রতি ভালবাসা রাখে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের দুশমনদের প্রতি শত্রুতা পোষণ করে এবং যথাসাধ্য আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য করে। এমন সৎকর্মপরায়ণ ব্যক্তিরা যদি জিহাদে শরীক হতে অপারগ হয়, তাহলে তাদের কোন গোনাহ নেই।
* [১] এখানে মুসলিমদের দ্বিতীয় এক দলের কথা উল্লিখিত হয়েছে, যাদের কাছে কোন প্রকার সওয়ারী বা বাহন ছিল না। আর নবী (সাঃ)ও তাদেরকে সওয়ারী দিতে ওজর পেশ করলেন। যার ফলে তাদের মনে এমন কষ্ট হল যে, তাদের চক্ষুদ্বয় হতে অশ্রু বিগলিত হল। ‘রাযিবয়াল্লাহু আনহুম।’ (আল্লাহ তাদের উপর সন্তুষ্ট হন।) বুঝা গেল যে, আন্তরিকতাপূর্ণ খাঁটি মুসলিমগণ, যাঁদের কোন না কোন প্রকার সত্যই জিহাদে না যাওয়ার অজুহাত ছিল, গুপ্ত ও প্রকাশ্য সকল খবর সম্পর্কে অবহিত মহান আল্লাহ তাদেরকে জিহাদে অংশ গ্রহণ না করতে অনুমতি দিয়ে পৃথক করে দিলেন। বরং হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী (সাঃ) এইসব ওজর-ওয়ালা মানুষদের ব্যাপারে জিহাদে শরীক মুজাহিদদেরকে বললেন যে, “তোমাদের পিছনে মদীনার কিছু লোক এমনও রয়েছে যে, তোমরা যে উপত্যকাই অতিক্রম করছ এবং যে পথই চলছ তারা সওয়াবে তোমাদের বরাবর শরীক রয়েছে।” সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তা কি করে হতে পারে অথচ তারা মদীনায় বসে আছে?’ তিনি বললেন, “ওজর তাদেরকে সেখানে আটকে রেখেছে। (কিন্তু তাদের হৃদয়-মন তোমাদের সাথে আছে।)”

(বুখারীঃ জিহাদ অধ্যায়, মুসলিম কিতাবুল ইমারাহ, যাদেরকে ওজর যুদ্ধে শরীক হতে রুখে দিয়েছে তাদের সওয়াব পরিচ্ছেদ)

* এরা মুনাফিক্ব যাদের বর্ণনা ৮৬-৮৭নং আয়াতে এসেছে। এখানে দ্বিতীয়বার বিশুদ্ধচিত্ত মুসলিমদের মোকাবেলায় তাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেহেতু প্রত্যেক জিনিস তার বিপরীতধর্মী জিনিস দ্বারা জানা বা চেনা যায়। خَوالِف শব্দটি خَالِفَة এর বহুবচন; যার অর্থ হল পিছনে থাকা মহিলা, এখানে উদ্দেশ্য হল, মহিলা, শিশু, অক্ষম, খুব অসুস্থ এবং বৃদ্ধ ব্যক্তি; যারা জিহাদে শরীক হতে অপারগ। لاَ يَعلَمُون এর অর্থ হল, তারা জানে না যে, জিহাদে পিছনে থাকা কত বড় অপরাধ। নচেৎ তারা সম্ভবতঃ রসূল (সাঃ) থেকে পিছনে বসে থাকত না।

তাফসীরে‌ আবুবকর জাকারিয়া বলেছেন:-
* এখানে সে সমস্ত নিষ্ঠাবান মুসলিমদের কথা আলোচনা করা হচ্ছে, যারা প্রকৃতই অপরাগতার দরুণ জিহাদে অংশ গ্রহণে অসমর্থ ছিল। এদের মধ্যে কিছু লোক ছিল অন্ধ বা অসুস্থতার কারণে অপারগ এবং যাদের অপরাগতা ছিল একান্ত সুস্পষ্ট। আর কিছু লোক ছিল যারা জিহাদে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত ছিল, বরং জিহাদে কোন জীব ছিল না। বস্তুতঃ সফর ছিল সুদীর্ঘ এবং মওসুমটি ছিল গরমের। তারা নিজেদের জিহাদী উদ্দীপনা এবং সওয়ারীর অভাবে তাতে অংশগ্রহণে অপরাগতার কথা জানিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আবেদন করে যে, আমাদের জন্য সওয়ারীর কোন ব্যবস্থা করা হোক। তাফসীরের গ্রন্থসমূহে এ ধরনের একাধিক ঘটনার কথা লেখা হয়েছে। [দেখুন, কুরতুবী; ইবন কাসীর; আত-তাফসীরুস সহীহ] তবে আয়াতে একটি শর্ত দেয়া হয়েছে যে তাদের আল্লাহ ও তার রাসূলের হিতাকাঙ্খী হতে হবে। এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ হিতাকাঙ্খাকেই দ্বীন হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, দ্বীন হচ্ছে, নসীহত বা হিতাকাঙ্খা, দ্বীন হচ্ছে, হিতাকাঙ্খা, দ্বীন হচ্ছে, হিতাকাঙ্খা, আমরা বললাম, কার জন্য? তিনি বললেন, আল্লাহর জন্য, তাঁর কিতাবের জন্য, তাঁর রাসূলের জন্য, মুসলিম ইমামদের জন্য এবং সর্বসাধারণের জন্য। [মুসলিম: ৫৫]
*আলোচ্য আয়াতে তাদের কথাই বলা হয়েছে যাদের অপারগতা আল্লাহ্ কবুল করে নিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও যুদ্ধে বের হওয়ার পর যারা আগ্রহ থাকা সত্বেও যুদ্ধে আসতে পারেনি তাদের ব্যাপারটি মনে রাখার জন্য সাহাবায়ে কিরামকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মদীনাতে এমন একদল লোক রয়েছে, তোমরা যে উপত্যকাই অতিক্রম কর না কেন, যে জায়গায়ই সফর কর না কেন তারা তোমাদের সাথে আছে। তারা বলল, তারা তো মদীনায়? তিনি বললেন, হ্যা, তাদেরকে ওযর আটকে রেখেছে।’ [বুখারী: ২৮৩৯; মুসলিম: ১৯১১] অন্য বর্ণনায় এসেছে, তারা তোমাদের সাথে সওয়াবে শরীক হবে। অসুস্থতা তাদেরকে আটকে রেখেছে [মুসলিম: ১৯১১; ইবন মাজাহ: ২৭৬৫] এ আয়াতের পরে এ ব্যাপারে সতর্কবাণী উচ্চারণ করা হয়েছে যে, বিপদ শুধু তাদের ক্ষেত্রে যারা সামর্থ্য ও শক্তি থাকা সত্ত্বেও জিহাদে অনুপস্থিত থাকাকে নারীদের মত পছন্দ করে নিয়েছে।

Sura Tawbah
Sura:09
Verses :- 91-93
لَّيْسَ عَلَى الضُّعَفَاء وَلَا عَلَى الْمَرْضَى
There is no blame on those who are weak or ill.

Legitimate Excuses for staying away from Jihad

Allah says;

لَّيْسَ عَلَى الضُّعَفَاء وَلَا عَلَى الْمَرْضَى وَلَا عَلَى الَّذِينَ لَا يَجِدُونَ مَا يُنفِقُونَ حَرَجٌ إِذَا نَصَحُواْ لِلّهِ وَرَسُولِهِ

There is no blame on those who are weak or ill or who find no resources to spend, if they are sincere and true (in duty) to Allah and His Messenger.

Allah mentions here the valid excuses that permit one to stay away from fighting. He first mentions the excuses that remain with a person, the weakness in the body that disallows one from Jihad, such as blindness, limping, and so forth. He then mentions the excuses that are not permanent, such as an illness that would prevent one from fighting in the cause of Allah, or poverty that prevents preparing for Jihad. There is no sin in these cases if they remain behind, providing that when they remain behind, they do not spread malice or try to discourage Muslims from fighting, but all the while observing good behavior in this state, just as Allah said,

مَا عَلَى الْمُحْسِنِينَ مِن سَبِيلٍ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

No means (of complaint) can there be against the doers of good. And Allah is Oft-Forgiving, Most Merciful.

Al-Awza`i said,

“The people went out for the Istisqa’ (rain) prayer. Bilal bin Sa`d stood up, praised Allah and thanked Him then said, `O those who are present! Do you concur that wrong has been done!’

They said, `Yes, by Allah!’

He said, `O Allah! We hear your statement,
مَا عَلَى الْمُحْسِنِينَ مِن سَبِيلٍ
(No means (of complaint) can there be against the doers of good). O Allah! We admit our errors, so forgive us and give us mercy and rain.’

He then raised his hands and the people also raised their hands, and rain was sent down on them.
There is not upon the weak or upon the ill or upon those who do not find anything to spend any discomfort when they are sincere to Allah and His Messenger. There is not upon the doers of good any cause [for blame]. And Allah is Forgiving and Merciful.

وَلَا عَلَى الَّذِينَ إِذَا مَا أَتَوْكَ لِتَحْمِلَهُمْ

Nor (is there blame) on those who came to you to be provided with mounts,

Mujahid said;

“It was revealed about Bani Muqarrin from the tribe of Muzaynah.”

Ibn Abi Hatim recorded that Al-Hasan said that the Messenger of Allah said,

لَقَدْ خَلَّفْتُمْ بِالْمَدِينَةِ أَقْوَامًا مَا أَنْفَقْتُمْ مِنْ نَفَقَةٍ وَلَا قَطَعْتُمْ وَادِيًا وَلَا نِلْتُمْ مِنْ عَدُوَ نَيْلً إِلاَّ وَقَدْ شَرَكُوكُمْ فِي الاَْجْر

Some people have remained behind you in Al-Madinah; and you never spent anything, crossed a valley, or afflicted hardship on an enemy, but they were sharing the reward with you.

He then recited the Ayah,

وَلَا عَلَى الَّذِينَ إِذَا مَا أَتَوْكَ لِتَحْمِلَهُمْ

قُلْتَ لَا أَجِدُ مَا أَحْمِلُكُمْ عَلَيْهِ

Nor (is there blame) on those who came to you to be provided with mounts, when you said:”I can find no mounts for you.”

This Hadith has a basis in the Two Sahihs from Anas, the Messenger of Allah said,

إِنَّ بِالْمَدِينَةِ أَقْوَامًا مَا قَطَعْتُمْ وَادِيًا وَلَا سِرْتُمْ سَيْرًا إِلاَّ وَهُمْ مَعَكُم

Some people have remained behind in Al-Madinah and you never crossed a valley or marched forth, but they were with you.

They said, “While they are still at Al-Madinah?”

He said,

نَعَمْ حَبَسَهُمُ الْعُذْر

Yes, as they have been held back by a (legal) excuse.

تَوَلَّواْ وَّأَعْيُنُهُمْ تَفِيضُ مِنَ الدَّمْعِ حَزَنًا أَلاَّ يَجِدُواْ مَا يُنفِقُونَ

they turned back, with their eyes overflowing with tears of grief that they could not find anything to spend.

Then Allah says;

إِنَّمَا السَّبِيلُ عَلَى الَّذِينَ يَسْتَأْذِنُونَكَ وَهُمْ أَغْنِيَاء رَضُواْ بِأَن يَكُونُواْ مَعَ الْخَوَالِفِ

The means (of complaint) is only against those who are rich, and yet ask exemption. They are content to be with (the women) who sit behind (at home),

Allah criticized those who seek permission to remain behind while they are rich, admonishing them for wanting to stay behind with women who remained in their homes,

وَطَبَعَ اللّهُ عَلَى قُلُوبِهِمْ فَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ

and Allah has sealed up their hearts, so that they know not (what they are losing).

Leave a Reply