أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
(Book# 639)[আরো কতক লোক রয়েছে,]
www.motaher21.net
সুরা: আত্ তাওবাহ
সুরা:০৯
১০৬ নং আয়াত:-
وَ اٰخَرُوۡنَ
আরো কতক লোক রয়েছে,
And others are…
وَ اٰخَرُوۡنَ مُرۡجَوۡنَ لِاَمۡرِ اللّٰہِ اِمَّا یُعَذِّبُہُمۡ وَ اِمَّا یَتُوۡبُ عَلَیۡہِمۡ ؕ وَ اللّٰہُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ ﴿۱۰۶﴾
আরো কতক লোক রয়েছে, যাদের ব্যাপারে (সিদ্ধান্ত) আল্লাহর আদেশ আসা পর্যন্ত স্থগিত রয়েছে; হয় তিনি তাদেরকে শাস্তি প্রদান করবেন অথবা তাদের তওবা কবুল করবেন। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।
And [there are] others deferred until the command of Allah – whether He will punish them or whether He will forgive them. And Allah is Knowing and Wise.
তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
ইবনে আব্বাস (রাঃ), মুজাহিদ (রঃ), ইকরামা (রঃ), যহহাক (রঃ) প্রমুখ গুরুজন বলেন যে, তাঁরা ছিলেন তিন ব্যক্তি যাদের তাওবা ককূল হওয়ার ব্যাপারটা পিছিয়ে গিয়েছিল। তারা হচ্ছেন মারারা ইবনে রাবী (রাঃ), কাব ইবনে মালিক (রাঃ) এবং হিলাল ইবনে উমাইয়া (রাঃ)। তারা তাপূর্কের যুদ্ধে ঐ লোকদের সাথেই রয়ে গিয়েছিলেন যারা অলসতা ও আরামপ্রিয়তার কারণে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। আর একটি কারণ ছিল এই যে, তাঁদের বাগানের ফল পেকে গিয়েছিল এবং সময়টা ছিল মনোমুগ্ধকর ও চিত্তাকর্ষক বসন্তকাল। তাদের যুদ্ধের প্রতি অবহেলা সন্দেহ ও নিফাকের কারণে ছিল না। তাঁদের মধ্যে কতক লোক এমনও ছিলেন যারা নিজেদেরকে স্তম্ভের সাথে বেঁধে ফেলেছিলেন। যেমন আবু লুবাবাহ্ ও তাঁর সঙ্গীরা। অন্যান্য কতকগুলো লোক এরূপ করেননি। তাঁরা ছিলেন উপরোল্লিখিত তিন ব্যক্তি। আবু লুবাবাহ (রাঃ) ও তাঁর সঙ্গীদের তাওবা এঁদের পূর্বেই কবুল হয়েছিল। এই তিন ব্যক্তির তাওবা কবুল হওয়ার ব্যাপারে বিলম্ব হয়েছিল। অবশেষে আল্লাহ তাআলা আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আল্লাহ নবী (সঃ), মুহাজির এবং আনসারের তাওবা কবুল করে নিয়েছেন (আয়াতের শেষ পর্যন্ত) আর ঐ তিন ব্যক্তির তাওবাও আল্লাহ ককূল করে নিয়েছেন যারা যুদ্ধ থেকে পিছনে রয়ে গিয়েছিল, এমন কি এতো প্রশস্ত যমীনও তাদের কাছে সংকীর্ণ হয়ে পড়েছিল এবং কোন জায়গাতেই তারা আশ্রয় পাচ্ছিল না।” (৯:১১৭-১১৮) যেমন কাব ইবনে মালিক (রাঃ)-এর হাদীসের বর্ণনা আসছে।
আল্লাহ তা’আলার উক্তিঃ (আরবী) অর্থাৎ এটা আল্লাহর ইচ্ছাধীন রয়েছে, তিনি ইচ্ছা করলে তাদেরকে শাস্তি প্রদান করবেন এবং ইচ্ছা করলে তাদের তাওবা কবূল করবেন (এবং ক্ষমা করে দিবেন)। কিন্তু আল্লাহর রহমত তার গযবের উপর জয়যুক্ত। কে শাস্তি পাওয়ার যোগ্য এবং কে ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য তা তিনি ভালরূপেই জানেন। তিনি তার কাজে ও কথায় বিজ্ঞানময় এবং তিনি ছাড়া অন্য কোন মা’বুদ ও প্রতিপালক নেই।
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
এদের ব্যাপারটি ছিল সন্দেহ পূর্ণ। এদেরকে না মুনাফিক বলে চিহ্নিত করা যেতো আর না বলা যেতো গোনাহগার মু’মিন। এ দু’টি জিনিসের কোনটিরই আলামত তখনো তাদের মধ্যে পুরোপরি ফুটে উঠেনি। তাই আল্লাহ তাদের ব্যাপারটি মুলতবী রাখেন। মুলতবী রাখার অর্থ এই নয় যে, আসলে আল্লাহর কাছেও তাদের ব্যাপারটি সন্দেহ পূর্ণ ছিল। বরং এর অর্থ এই যে, কোন ব্যক্তি বা দলের ব্যাপারে মুসলমানদের নিজেদের কর্মপদ্ধতি নির্ধারণে অতিমাত্রায় তাড়াহুড়া করা চাই না। যতক্ষণ পর্যন্ত না এমন ধরনের আলামতের মাধ্যমে তার অবস্থান সুস্পষ্ট হয়ে যায়, যা অদৃশ্য জ্ঞান দিয়ে নয় বরং যুক্তি ও অনুভূতি দিয়ে পরখ করা যেতে পারে, ততক্ষণ অপেক্ষা করা উচিত।
তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-
وَآخَرُوْنَ مُرْجَوْنَ لِأَمْرِ اللّٰهِ
‘আবার অনেকে রয়েছে যাদের ব্যাপারে আল্লাহর নির্দেশের প্রতীক্ষায় সিদ্ধান্ত স্থগিত রইল’ অর্থাৎ তাবুক যুদ্ধ থেকে প্রথমতঃ মুনাফিকরা পিছিয়ে ছিল। দ্বিতীয়তঃ এমন কিছু মুসলিম পিছনে ছিল যাদের কোন ওজর ছিল না। তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছিল। কিন্তু তাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা করা হয়নি। বরং আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশের অপেক্ষা করা হয়েছিল। এ আয়াতে সেই শ্রেণি লোকেদের কথা বলা হচ্ছে। এরা ছিল তিনজন। সামনে তাদের আলোচনা আসবে ইনশা-আল্লাহ।
তাফসীরে আবুবকর জাকারিয়া বলেছেন:-
এখানে পূর্বোল্লেখিত দশ জন সাহাবী যারা তাবুকের যুদ্ধে অংশ নেয়নি এবং মসজিদের স্তম্ভের সাথে নিজেদের বেঁধে নেয়নি এমন বাকী তিন জনের হুকুম রয়েছে। এ আয়াত নাযিল করে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল। এক বছর পর্যন্ত তাদের এ অবস্থা ছিল। তাদেরকে কি শাস্তি দেয়া হবে, নাকি তাদের তাওবা কবুল করা হবে তা তারা জানে না। [আত-তাফসীরুস সহীহ] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদের সমাজচ্যুত করার, এমনকি তাঁদের সাথে সালাম-দোয়ার আদান প্রদান পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এ ব্যবস্থা নেয়ার পর তাদের অবস্থা শোধরে যায় এবং তারা এখলাসের সাথে অপরাধ স্বীকার করে তাওবাহ করে নেন। ফলে তাদের জন্য ক্ষমার আদেশ দেয়া হয়। যার আলোচনা অচিরেই আসবে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান বলেছেন:-
[১] তাবুক যুদ্ধ থেকে প্রথমতঃ মুনাফিক্বরা পিছিয়ে ছিল। দ্বিতীয়তঃ এমন কিছু (মুসলিম) লোক পিছিয়ে ছিল, যাদের কোন ওজর ছিল না। তারা তাদের নিজ অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছিল; কিন্তু তাদেরকে সাথে সাথে ক্ষমা করা হয়নি; বরং তাদের ব্যাপারে আল্লাহর আদেশ আসা অবধি অপেক্ষা করা হয়েছিল। এই আয়াতে সেই শ্রেণীর লোকদের কথা আলোচিত হয়েছে। (এরা তিনজন ছিল, যাদের বর্ণনা সামনে আসবে।)
[২] যদি তারা আপন ত্রুটির উপর অটল থাকে।
[৩] যদি তারা আন্তরিকভাবে খাঁটি তওবা করে নেয়।
Sura Tawbah
Sura:09
Verses :- 106
وَ اٰخَرُوۡنَ
And others are…
Delaying the Decision about the Three Companions Who stayed away from the Battle of Tabuk
Allah said;
وَاخَرُونَ مُرْجَوْنَ لاِاَمْرِ اللّهِ
And others are made to await for Allah’s Decree,
Ibn Abbas, Mujahid, Ikrimah, Ad-Dahhak and several others said that;
those mentioned in the Ayah are the three who were made to wait to know if their repentance was accepted;
Mararah bin Ar-Rabi,
Ka`b bin Malik and
Hilal bin Umayyah.
Some Companions stayed behind from the battle of Tabuk due to laziness, preferring comfort, ease, ripe fruits and shade. They did not lag behind because of hypocrisy or doubts.
Some of them tied themselves to the pillars (of the Masjid) like Abu Lubabah and several of his friends did. Some of them did not do that, and they are the three mentioned here. Those who tied themselves received their pardon before these three men whose pardon was delayed, until this Ayah was revealed,
لَقَد تَّابَ الله عَلَى النَّبِيِّ وَالْمُهَاجِرِينَ وَالَانصَارِ
Allah has forgiven the Prophet, the Muhajirin and the Ansar… (9:117)
وَعَلَى الثَّلَثَةِ الَّذِينَ خُلِّفُواْ حَتَّى إِذَا ضَاقَتْ عَلَيْهِمُ الَارْضُ بِمَا رَحُبَتْ
And the three who stayed behind, until for them the earth, vast as it is, was straitened… (9:118)
We will mention the Hadith about this story from Ka`b bin Malik.
Allah said,
إِمَّا يُعَذِّبُهُمْ وَإِمَّا يَتُوبُ عَلَيْهِمْ
whether He will punish them or will forgive them.
meaning, they are at Allah’s mercy, if He wills, He pardons them or punishes them. However, Allah’s mercy comes before His anger,
وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
And Allah is All-Knowing, All-Wise.
Allah knows those who deserve the punishment and those who deserve the pardon. He is All-Wise in His actions and statements, there is no deity worthy of worship nor Lord besides Him.