أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
(Book# 644)[وَ لَا یَرۡغَبُوۡا …
সংগত নয় যে, প্রিয় মনে করবে;
It was not befitting to prefer ….]
www.motaher21.net
সুরা: আত্ তাওবাহ
সুরা:০৯
১২০-১২১ নং আয়াত:-
وَ لَا یَرۡغَبُوۡا …
সংগত নয় যে, প্রিয় মনে করবে;
It was not befitting to prefer ….
مَا کَانَ لِاَہۡلِ الۡمَدِیۡنَۃِ وَ مَنۡ حَوۡلَہُمۡ مِّنَ الۡاَعۡرَابِ اَنۡ یَّتَخَلَّفُوۡا عَنۡ رَّسُوۡلِ اللّٰہِ وَ لَا یَرۡغَبُوۡا بِاَنۡفُسِہِمۡ عَنۡ نَّفۡسِہٖ ؕ ذٰلِکَ بِاَنَّہُمۡ لَا یُصِیۡبُہُمۡ ظَمَاٌ وَّ لَا نَصَبٌ وَّ لَا مَخۡمَصَۃٌ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَ لَا یَطَـُٔوۡنَ مَوۡطِئًا یَّغِیۡظُ الۡکُفَّارَ وَ لَا یَنَالُوۡنَ مِنۡ عَدُوٍّ نَّیۡلًا اِلَّا کُتِبَ لَہُمۡ بِہٖ عَمَلٌ صَالِحٌ ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَا یُضِیۡعُ اَجۡرَ الۡمُحۡسِنِیۡنَ ﴿۱۲۰﴾ۙ
মদীনাবাসী ও তাদের পার্শ্ববর্তী মরুবাসীদের জন্য সংগত নয় যে তারা আল্লাহ্র রাসূলের সহগামী না হয়ে পিছনে রয়ে যাবে এবং তার জীবনের চেয়ে নিজেদের জীবনকে প্রিয় মনে করবে; কারণ আল্লাহর পথে তাদেরকে যে তৃষ্ণা, ক্লান্তি ও ক্ষুদা পেয়ে বসে এবং কাফেরদের ক্রোধ উদ্রেক করে তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ আর শত্রুদেরকে কোন কষ্ট প্রদান করে, তা তাদের জন্য সৎকাজরূপে লিপিবদ্ধ করা হয়। নিশ্চয় আল্লাহ্ মুহসিনদের কাজের প্রতিফল নষ্ট করেন না।
It was not [proper] for the people of Madinah and those surrounding them of the bedouins that they remain behind after [the departure of] the Messenger of Allah or that they prefer themselves over his self. That is because they are not afflicted by thirst or fatigue or hunger in the cause of Allah, nor do they tread on any ground that enrages the disbelievers, nor do they inflict upon an enemy any infliction but that is registered for them as a righteous deed. Indeed, Allah does not allow to be lost the reward of the doers of good.
وَ لَا یُنۡفِقُوۡنَ نَفَقَۃً صَغِیۡرَۃً وَّ لَا کَبِیۡرَۃً وَّ لَا یَقۡطَعُوۡنَ وَادِیًا اِلَّا کُتِبَ لَہُمۡ لِیَجۡزِیَہُمُ اللّٰہُ اَحۡسَنَ مَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۱۲۱﴾
আর তারা ছোট বা বড় যা কিছুই ব্যয় করে এবং যে কোন প্রান্তরই অতিক্রম করে তা তাদের অনুকূলে লিপিবদ্ধ হয়— যাতে তারা যা করে আল্লাহ্ তার উৎকৃষ্টতর পুরস্কার তাদেরকে দিতে পারেন।
Nor do they spend an expenditure, small or large, or cross a valley but that it is registered for them that Allah may reward them for the best of what they were doing.
১২০-১২১ নং আয়াতের তাফসীর:
তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-
ظَمَأ পিপাসা, তৃষ্ণা। نَصَبٌ অর্থ: কষ্ট, ক্লান্তি ইত্যাদি। مَخْمَصَةٌ প্রচণ্ড ক্ষুধা।
তাবুকের যুদ্ধে মদীনাবাসীদের যে সকল আরব গোত্র অংশগ্রহণ করেনি এবং নাবী (সাঃ) যুদ্ধে যে দুঃখ-কষ্ট সহ্য করেছিলেন তাতে সহানুভূতি না দেখিয়ে বরং আরামপ্রিয়তা অবলম্বন করেছিল তাদের সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা ক্রোধের সাথে বলছেন: তারা যুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রতিদান থেকে নিজেদেরকে বঞ্চিত করেছে। তারা না পিপাসার কষ্ট পেয়েছে, না যুদ্ধের ক্লান্তি সহ্য করেছে, না তারা এমন কোন স্থানে এসেছে যা কাফিরদেরকে ভীত-সন্ত্রস্ত করেছে আর না তারা কাফিরদের ওপর জয়যুক্ত হয়েছে। পক্ষান্তরে যারা এসব কষ্টের সম্মুখীন হয়েছে তাদের জন্য রয়েছে মহাপ্রতিদান যা আল্লাহ তা‘আলা নষ্ট করবেন না।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন: তোমরা মদীনাতে এমন সম্প্রদায় ছেড়ে এসেছ, তোমরা যে পথ অতিক্রম করবে এবং যা কিছু ব্যয় করবে এবং যে কোন উপত্যকা অতিক্রম করবে তাতে তারা তোমাদের সাথেই রয়েছে। সাহাবীগণ বললেন: হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ)! কিভাবে আমাদের সাথে রয়েছে অথচ তারা মদীনাতে? তিনি বললেন: তাদেরকে ওযর আটকে রেখেছে। (আবূ দাঊদ হা: ২৫০৮, আহমাদ হা: ১২২১৮, সহীহ) অন্য হাদীসে এসেছে: মু’মিন সুস্থ থাকাকালে যে ইবাদত করত, অসুস্থ হয়ে সে ইবাদত করতে না পারলেও সুস্থ থাকাকালীন ইবাদতের সমপরিমাণ নেকী দেয়া হবে।
অতএব নিয়ত ভাল থাকলে আর যথাযথ ওযর থাকলে সৎ কাজে শরীক না থেকেও সমান নেকী পাওয়া যায়।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সব কিছুর ওপর নাবী (সাঃ) কে প্রাধান্য দেয়া ওয়াজিব।
২. আল্লাহ তা‘আলার রাস্তায় জিহাদ করার ফযীলত জানলাম।
৩. যথাযথ ওযর থাকলে সৎ কাজে শরীক না হলেও নেকীর কোন কম হবে না।
তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
তাবুকের যুদ্ধে মদীনাবাসীদের যে আরব গোত্রগুলো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা। থেকে বিরত ছিল এবং নবী (সঃ)-কে যুদ্ধে যে দুঃখকষ্ট সহ্য করতে হয়েছিল তাতে সহানুভূতি না দেখিয়ে বরং আরামপ্রিয়তা অবলম্বন করেছিল তাদের সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা ক্রোধের সুরে বলেন যে, তারা যুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রতিদান থেকে নিজেদেরকে বঞ্চিত করেছে। তারা না পিপাসার কষ্ট পেয়েছে, না যুদ্ধের ক্লান্তি সহ্য করেছে। না ক্ষুধার কষ্ট অনুধাবন করেছে, না তারা এমন স্থানে এসেছে যা কাফিরদেরকে ভীত-সন্ত্রস্ত করতো, আর না তারা কাফিরদের উপর জয়যুক্ত ও সফলকাম হওয়ার মর্যাদা লাভ করেছে। পক্ষান্তরে, যারা এসব কষ্ট সহ্য করেছে এবং এসব কষ্ট যারা স্বেচ্ছাপ্রণাদিত হয়ে স্বীকার করে নিয়েছে, তাদের উপর কোন জোর জবরদস্তি করা হয়নি, আল্লাহ এসব নেককার লোকের নেক কাজের প্রতিদান কখনো নষ্ট করবেন না। যেমন মহান আল্লাহ অন্য জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যে ব্যক্তি ভাল কাজ করেছে, আমি তার প্রতিদান বিনষ্ট করবো না।” (১৮:৩০)
আল্লাহ পাক বলেন- এই গাযী লোকগুলো আল্লাহর পথে ছোট বড় খরচও করে এবং কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে বন জঙ্গলের অল্পবিস্তর পথ অতিক্রমও করে। এর প্রতিদান তারা অবশ্যই পাবে। আল্লাহ তা’আলা এখানে (আরবী) বলেছেন। আর পূর্ববর্তী আয়াতে (আরবী) বলেছেন। এই, (আরবী) -এর ভাবার্থ এই যে, এই খরচকরণ এবং শত্রুদের দিকে এই গমনাগমন হচ্ছে তাদের ব্যক্তিগত ও নিজস্ব কাজ। এ জন্যেই এই আয়াতে শারীফায় (আরবী) বলেছেন। আর পূর্ববর্তী আয়াতে কারীমায় আল্লাহর পথে ক্ষুধা, পিপাসা ইত্যাদির কষ্ট আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে ছিল। এ জন্যে এ আয়াতে (আরবী) ও আনা হয়নি এবং আমলকে তাদের দিকে সম্বন্ধযুক্ত করাও হয়নি। আমীরুল মুমিন উসমান ইবনে আফফান (রাঃ) এই আয়াতে কারীমা হতে একটা পূর্ণ ও বিরাট অংশ লাভ করেছেন। কেননা, তাবুকের যুদ্ধে তিনি মুসলিম সেনাবাহিনীকে তার প্রচুর সম্পদ দান করেছিলেন। ইবনে হাব আসসালমী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) একদা ভাষণ দান করেন এবং এই দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত সেনাবাহিনীকে সাহায্য করার জন্যে জনগণকে উৎসাহিত ও উত্তেজিত করেন। তখন উসমান (রাঃ) বললেনঃ “আমার উপর রইলো জিন ও গদিসহ একশটি উট (অর্থাৎ আমি একশটি উট দান করবো)।” রাসূলুল্লাহ (সঃ) পুনরায় কওমের কাছে চাঁদা চাইলেন। এবারও উসমান (রাঃ) বললেনঃ “আমার উপর থাকলো জিন, গদি ইত্যাদিসহ একশ’টি উট।” নবী (সঃ) মিম্বরের উপর থেকে এক সিঁড়ি নেমে আবার বললেনঃ “হে লোক সকল! আরো সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে।” তখন উসমান (রাঃ) বললেনঃ “সাজ ও সামানসহ একশ’টি উট।” (বর্ণনাকারী বলেন) আমি তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে দেখলাম যে, তিনি খুশীতে তাঁর হাত এভাবে নাড়াচ্ছেন (সর্বশেষ বর্ণনাকারী আব্দুস সামাদ (রঃ) এ কথা বলার সময় তাঁর হাত নাড়ালেন) এবং তিনি (নবী সঃ) বললেনঃ “এরপর উসমান (রাঃ) যে আমলই করুক না কেন তার (জাহান্নামের আগুনে দগ্ধীভূত হওয়ার) আর কোন ভয় নেই।” অতঃপর উসমান (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর কাছে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রার একটি থলে নিয়ে আসলেন এবং তা তাঁর ক্রোড়ে রেখে দিলেন, যেন তিনি তা দিয়ে অভাব ও অসুবিধাগ্রস্ত সেনাবাহিনীর যুদ্ধ যাত্রার প্রস্তুতি গ্রহণের ব্যবস্থা করেন। রাসূলুল্লাহ (সঃ) স্বর্ণমুদ্রাগুলো নাড়াচ্ছিলেন এবং বলছিলেনঃ “আজ থেকে উসমান (রাঃ)-কে তার কোন আমল কোন কষ্টে ফেলতে পারবে না। এই এক আমলই তার মুক্তির জন্যে যথেষ্ট।” আর খুশীতে তিনি বার বার ঐ মুদ্রাগুলোকে নাড়াচাড়া করছিলেন। (এ হাদীসটি আব্দুর রহমান ইবনে সামরা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন)
কাতাদা (রঃ) আল্লাহ তা’আলার। (আরবী)-এই উক্তি সম্পর্কে বলেন যে, আল্লাহর পথে সফর করতে গিয়ে মানুষ যত দূর পথ অতিক্রম করে ততই তারা আল্লাহ তা’আলার নৈকট্য লাভের দিক দিয়ে সামনে এগিয়ে যায়।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান বলেছেন:-
[১] তাবুক যুদ্ধে শরীক হওয়ার জন্য যেহেতু সাধারণভাবে সকলকে ডাক দেওয়া হয়েছিল। ফলে বিকলাঙ্গ, বৃদ্ধ ও শরয়ী ওজর-ওয়ালা ব্যতীত সকলের জন্য তাতে শরীক হওয়া জরুরী ছিল। কিন্তু এরপরেও যে সকল মদীনাবাসী বা মদীনার আশে-পাশে বসবাসকারীগণ সেই যুদ্ধে শরীক হয়নি, আল্লাহ তাআলা তাদেরকে তিরস্কার ও ধমক স্বরূপ বলছেন যে, রসূল (সাঃ) থেকে পিছিয়ে থাকা তাদের উচিত হয়নি।
[২] অর্থাৎ এটাও উচিত নয় যে, তারা নিজেদের জান বাঁচিয়ে নেবে এবং রসূল (সাঃ)-এর জান বাঁচানোর প্রতি কোন ভ্রূক্ষেপ থাকবে না। বরং রসূল (সাঃ)-এর নিকটে থেকে তাদের নিজেদের জান বাঁচানোর চেয়ে রসূল (সাঃ)-এর সুরক্ষা বিধান করা বেশি দরকার।
[৩] ذلك দ্বারা পিছিয়ে না থাকার কারণ বর্ণনা করা হচ্ছে। অর্থাৎ তাদের এই জন্য পিছিয়ে থাকা উচিত নয় যে, আল্লাহর পথে যে পিপাসা, ক্ষুধা ও ক্লান্তি তাদেরকে স্পর্শ করে বা তাদের এমন পদক্ষেপ যাতে কাফেরদের মনে ক্রোধ বৃদ্ধি পায়, অনুরূপ শত্রু পক্ষের মানুষ হত্যা বা তাদেরকে বন্দী করে, তার প্রত্যেকটিই তাদের জন্য নেক আমল হিসাবে লিখিত হয়। অর্থাৎ নেক আমল শুধু এই নয় যে, মানুষ মসজিদে বা কোন এক নির্জন স্থানে বসে বসে নফল নামায, কুরআন তেলাঅত, আল্লাহর যিকর ইত্যাদি করবে। বরং জিহাদে যে সকল কষ্ট ও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়; এমনকি এমন কর্ম যার দ্বারা শত্রুর মনে ভীতি বা ক্রোধের সঞ্চার হয়, তার সকল কিছু আল্লাহর নিকট নেক আমল রূপে লিখিত হয়। ফলে শুধু ইবাদত করার উদ্দেশ্যেও জিহাদ থেকে দূরে থাকা ঠিক নয়, বিনা ওজরে জিহাদে ফাঁকি দেওয়া তো দূরের কথা।
[৪] এর অর্থ পায়ে হেঁটে বা ঘোড়ায় চড়ে এমন এলাকা অতিক্রম করা যে, তাদের পদক্ষেপ ও ঘোড়ার পদশব্দে শত্রুর মনে ত্রাস ও কম্পন শুরু হয় এবং তাদের হৃদয়ে ক্রোধের আগুন দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে।
[৫] ‘শত্রুদের নিকট হতে তারা যা লাভ করে।’ এর অর্থ হল তাদের দলের মানুষকে হত্যা বা বন্দী করে অথবা তাদেরকে পরাজিত করে এবং গনীমতের সম্পদ অর্জন করে।
* পর্বতমালার মধ্যবর্তী যে জায়গা দিয়ে বৃষ্টির পানি বয়ে যায়, তাকে وَادي (উপত্যকা) বলা হয়। এখানে সাধারণ প্রান্তর ও এলাকা বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, আল্লাহর পথে অল্প-বিস্তর যা কিছু ব্যয় করবে, অনুরূপ যত প্রান্তর অতিক্রম করবে (অর্থাৎ জিহাদে অল্প বা বেশি যতটাই সফর করবে) তা সবই নেকী হিসাবে তাদের আমল-নামায় লেখা হবে, যার উপর আল্লাহ তাআলা তাদেরকে সর্বোত্তম বিনিময় প্রদান করবেন।
Sura Tawbah
Sura:09
Verses :- 120-121
وَ لَا یَرۡغَبُوۡا …
It was not befitting to prefer ….
Rewards of Jihad
Allah says;
مَا كَانَ لاِاَهْلِ الْمَدِينَةِ وَمَنْ حَوْلَهُم مِّنَ الَاعْرَابِ أَن يَتَخَلَّفُواْ عَن رَّسُولِ اللّهِ وَلَا يَرْغَبُواْ بِأَنفُسِهِمْ عَن نَّفْسِهِ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ لَا يُصِيبُهُمْ ظَمَأٌ وَلَا نَصَبٌ وَلَا مَخْمَصَةٌ فِي سَبِيلِ اللّهِ
It was neither befitting for the people of Al-Madinah and the Bedouins of the neighborhood to remain behind Allah’s Messenger nor to prefer their own lives to his life. That is because they suffer neither Zama nor Nasab, nor Makhmasah in the cause of Allah,
Allah, the Exalted and Most Honored, criticizes the people of Al-Madinah and the Bedouins around it, who did not participate in the battle of Tabuk with the Messenger of Allah. They sought to preserve themselves rather than comfort the Messenger during the hardship that he suffered in that battle. They incurred a loss in their share of the reward, since,
لَا يُصِيبُهُمْ ظَمَأٌ
they suffer neither Zama, (thirst),
وَلَا نَصَبٌ
nor Nasab, (fatigue),
وَلَا مَخْمَصَةٌ
nor Makhmasah, (hunger),
فِي سَبِيلِ اللّهِ
in the cause of Allah,
وَلَا يَطَوُونَ مَوْطِيًا يَغِيظُ الْكُفَّارَ
nor they take any step to raise the anger of disbelievers,
by strategies of war that would terrify their enemy,
وَلَا يَنَالُونَ
مِنْ عَدُوٍّ نَّيْلً
nor inflict any injury upon an enemy,
a defeat on the enemy,
.
إِلاَّ كُتِبَ لَهُم
but is written to their credit,
as compensation for these steps that are not under their control, but a consequence of performing good deeds that earn them tremendous rewards,
بِهِ عَمَلٌ صَالِحٌ
as a deed of righteousness.
إِنَّ اللّهَ لَا يُضِيعُ أَجْرَ الْمُحْسِنِينَ
Surely, Allah wastes not the reward of the doers of good.
Allah said in a similar Ayah,
إِنَّا لَا نُضِيعُ أَجْرَ مَنْ أَحْسَنَ عَمَلً
Certainly We shall not make the reward of anyone who does his (righteous) deeds in the most perfect manner to be lost. (18:30)
Allah said next,
وَلَا يُنفِقُونَ
Neither do they spend,
in reference to the fighters in Allah’s cause,
نَفَقَةً صَغِيرَةً وَلَا كَبِيرَةً
any contribution — small or great –,
with regards to its amount,
وَلَا يَقْطَعُونَ وَادِيًا
nor cross a valley,
while marching towards the enemy,
إِلاَّ كُتِبَ لَهُمْ
but is written to their credit,
for these actions that they take (and which are under their control),
لِيَجْزِيَهُمُ اللّهُ أَحْسَنَ مَا كَانُواْ يَعْمَلُونَ
that Allah may recompense them with the best of what they used to do.
Certainly, the Leader of the faithful, Uthman bin Affan, may Allah be pleased with him, acquired a tremendous share of the virtues mentioned in this honorable Ayah. He spent large amounts and tremendous wealth on this battle (Tabuk).
Abdullah, the son of Imam Ahmad recorded that Abdur-Rahman bin Khabbab As-Sulami said;
“The Messenger of Allah gave a speech in which he encouraged spending on the army of distress (for Tabuk).
Uthman bin Affan, may Allah be pleased with him said; `I will give one hundred camels with their saddles and supplies.’
Then he exhorted them some more. So Uthman said; `I will give one hundred more camels with their saddles and supplies.’
Then he descended one step of the Minbar and exhorted them some more. So Uthman bin Affan said; `I will give one hundred more camels with their saddles and supplies.’
Then I saw Allah’s Messenger with his hand moving like this – and Abdus-Samad’s (one of the narrators) hand went out like one in amazement – he said,
مَا عَلَى عُثْمَانَ مَا عَمِلَ بَعْدَ هَذَا
It does not matter what Uthman does after.
It is also recorded in the Musnad that Abdur-Rahman bin Samurah said,”
Uthman brought a thousand Dinars in his garment so that the Prophet could prepare supplies for the army of distress. Uthman poured the money on the Prophet’s lap, and the Prophet started turning it around with his hand and declaring repeatedly,
مَا ضَرَّ ابْنَ عَفَّانٍ مَا عَمِلَ بَعْدَ الْيَوْم
The son of Affan (i.e., Uthman) will never be harmed by anything he does after today.”
Qatadah commented on Allah’s statement,
وَلَا يَقْطَعُونَ وَادِيًا إِلاَّ كُتِبَ لَهُمْ
(nor cross a valley, but is written to their credit),
“The farther any people march forth away from their families in the cause of Allah, the nearer they will be to Allah.