(Book# 655) وَلَقَدْ أَهْلَكْنَا الْقُرُونَ مِن قَبْلِكُمْ] আমি অবশ্যই তোমাদের পূর্বে বহু সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছি, The Admonition held in the Destruction of the Previous Generations www.motaher21.net

أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ

(Book# 655)
وَلَقَدْ أَهْلَكْنَا الْقُرُونَ مِن قَبْلِكُمْ]
আমি অবশ্যই তোমাদের পূর্বে বহু সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছি,
The Admonition held in the Destruction of the Previous Generations
www.motaher21.net

সুরা: ইউনুস
সুরা:১০
১৩-১৪ নং আয়াত:-

وَلَقَدْ أَهْلَكْنَا الْقُرُونَ مِن قَبْلِكُمْ
আমি অবশ্যই তোমাদের পূর্বে বহু সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছি,
The Admonition held in the Destruction of the Previous Generations .
وَ لَقَدۡ اَہۡلَکۡنَا الۡقُرُوۡنَ مِنۡ قَبۡلِکُمۡ لَمَّا ظَلَمُوۡا ۙ وَ جَآءَتۡہُمۡ رُسُلُہُمۡ بِالۡبَیِّنٰتِ وَ مَا کَانُوۡا لِیُؤۡمِنُوۡا ؕ کَذٰلِکَ نَجۡزِی الۡقَوۡمَ الۡمُجۡرِمِیۡنَ ﴿۱۳﴾
আমি অবশ্যই তোমাদের পূর্বে বহু সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছি, যখন তারা সীমালংঘন করেছিল। তাদের নিকট তাদের রসূলগণও প্রমাণাদিসহ আগমন করেছিল; কিন্তু তারা বিশ্বাস করার জন্য প্রস্তুত ছিল না। আমি অপরাধীদেরকে এইরূপেই শাস্তি দিয়ে থাকি।
And We had already destroyed generations before you when they wronged, and their messengers had come to them with clear proofs, but they were not to believe. Thus do We recompense the criminal people.

ثُمَّ جَعَلۡنٰکُمۡ خَلٰٓئِفَ فِی الۡاَرۡضِ مِنۡۢ بَعۡدِہِمۡ لِنَنۡظُرَ کَیۡفَ تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۱۴﴾
তারপর আমরা তোমাদেরকে তাদের যমীনে স্থলাভিষিক্ত করেছি, তোমরা কিরূপ কাজ কর তা দেখার জন্য।
Then We made you successors in the land after them so that We may observe how you will do.

১৩-১৪ নং আয়াতের তাফসীর:

তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-

মূল আয়াতে “কার্ন” শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। সাধারণভাবে আরবীতে এর অর্থ হয় কোন বিশেষ যুগের অধিবাসী বা প্রজন্ম। কিন্তু কুরআন মজীদে যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় এ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে তাতে মনে হয় “কার্ন” শব্দের মাধ্যমে এমন জাতির কথা বুঝানো হয়েছে যারা নিজেদের যুগে উন্নতির উচ্চ শিখরে আরোহণ করেছিল এবং পুরোপুরি বা আংশিকভাবে বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে প্রতিষ্ঠিত ছিল। এ ধরনের জাতির ধ্বংস নিশ্চিতভাবে এ অর্থ বহন করে না যে, শাস্তি হিসেবে তাদের সমগ্র জনশক্তিকেই ধ্বংস করে দেয়া হতো বরং তাদেরকে উন্নতি ও নেতৃত্বের আসন থেকে নামিয়ে দেয়া, তাদের সভ্যতা-সংস্কৃতি ধ্বংস হয়ে যাওয়া তাদের বৈশিষ্ট্য বিলুপ্ত হওয়া এবং তাদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্য জাতির মধ্যে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হতো। মূলত এসবই ধ্বংসের এক একটি প্রক্রিয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।

* সাধারণভাবে জুলুম বলতে যা বুঝায় এখানে সেই ধরনের কোন সংকীর্ণ অর্থ ব্যবহার করা হয়নি। বরং আল্লাহর বান্দা ও গোলাম হিসেবে যে সীমারেখা ও বিধি নিষেধ মেনে চলা মানুষের কর্তব্য, সেই বিধি নিষেধ ও সীমারেখা লঙ্ঘন করে সে যেসব গোনাহ করে এখানে সেগুলোর অর্থেই জুলুম শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। (আরো বেশী ব্যাখ্যার জন্য দেখুন সূরা আল বাকারার ৪৯ নম্বর টীকা)।

* যালেম শব্দটি গভীর অর্থবোধক। ‘যুলুম’ বলা হয় অধিকার হরণকে। যে ব্যক্তি কারো অধিকার হরণ করে সে যালেম। যে ব্যক্তি আল্লাহর হুকুম পালন করে না, তাঁর নাফরমানি করে সে আসলে তিনটি বড় বড় মৌলিক অধিকার হরণ করে। প্রথমত সে আল্লাহর অধিকার হরণ করে। কারণ আল্লাহর হুকুম পালন করতে হবে, এটা আল্লাহর অধিকার। দ্বিতীয়ত এই নাফরমানি করতে গিয়ে সে যে সমস্ত জিনিস ব্যবহার করে তাদের সবার অধিকার সে হরণ করে তার দেহের অংগ-প্রত্যংগ, স্নায়ু মন্ডলী, তার সাথে বসবাসকারী সমাজের অন্যান্য লোক, তার ইচ্ছা ও সংকল্প পূর্ণ করার ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ফেরেশতাগণ এবং যে জিনিসগুলো সে তার কাজে ব্যবহার করে –এদের সবার তার উপর অধিকার ছিল, এদেরকে কেবলমাত্র এদের মালিকের ইচ্ছা অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু যখন তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সে তাদের ওপর নিজের কর্তৃত্ব ব্যবহার করে তখন সে আসলে তাদের ওপর যুলুম করে। তৃতীয়ত তার নিজের অধিকার হরণ করে। কারণ তার ওপর তার আপন সত্তাকে ধ্বংস থেকে বাঁচবার অধিকার আছে। কিন্তু নাফরমানি করে যখন সে নিজেকে আল্লাহর শাস্তি লাভের অধিকারী করে তখন সে আসলে নিজের ব্যক্তি সত্তার ওপর যুলুম করে। এসব কারণে কুরআনের বিভিন্ন স্থানে ‘গোনাহ’ শব্দটির জন্য যুলুম এবং ‘গোনাহগার’ শব্দটির জন্য যালেম পরিভাষা ব্যবহার করা হয়েছে।
* মনে রাখতে হবে, এখানে সম্বোধন করা হচ্ছে, আরববাসীদেরকে। তাদেরকে বলা হচ্ছে, আগের জাতিগুলোকে তাদের যুগে কাজ করার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত জুলুম ও বিদ্রোহের নীতি অবলম্বন করেছিল এবং তাদেরকে সঠিক পথ দেখাবার জন্য যেসব নবী পাঠানো হয়েছিল তাঁদের কথা তারা মানেনি। তাই আমার পরীক্ষায় তারা ব্যর্থ হয়েছে এবং তাদেরকে ময়দান থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন হে আরববাসীরা! তোমাদের পালা এসেছে। তাদের জায়গায় তোমাদের কাজ করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। তোমরা এখন পরীক্ষা গৃহে দাঁড়িয়ে আছো। তোমাদের পূর্ববর্তীরা ব্যর্থ হয়ে এখান থেকে বের হয়ে গেছে। তোমরা যদি তাদের মতো একই পরিণামের সম্মুখীন হতে না চাও তাহলে তোমাদের এই যে সুযোগ দেয়া হচ্ছে এ থেকে যথাযথভাবে লাভবান হও। অতীতের জাতিদের ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করো এবং যেসব ভুল তাদের ধ্বংসের কারণে পরিণত হয়েছিল সেগুলোর পুনরাবৃত্তি করো না।

তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-

১৩-১৪ নং আয়াতের তাফসীর:

আল্লাহ তা’আলা খবর দিচ্ছেন যে, পূর্ববর্তী রাসূলগণ যখন ঐ সময়ের কাফিরদের নিকট আগমন করেছিলেন এবং তাদের কাছে সুস্পষ্ট দলীল প্রমাণাদি উপস্থাপন করেছিলেন তখন তারা তাদের মিথ্যা প্রতিপন্ন করায় তিনি তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। তাদের পর আল্লাহ তা’আলা এই কওমকে সৃষ্টি করলেন এবং তাদের কাছে তার একজন রাসূলকে পাঠালেন। তিনি দেখতে চান যে, তারা তাঁর এই রাসূল (সঃ)-এর কথা মানছে কি না। সহীহ মুসলিমে আবু সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “দুনিয়াটা (বাহ্যিকভাবে) খুবই মিষ্ট ও সবুজ শ্যামল। এখন আল্লাহ তোমাদেরকে পূর্ববতী কওমদের স্থলাভিষিক্ত বানিয়েছেন। তিনি দেখতে চান যে, তোমরা কিরূপ আমল করছো । তোমাদের উচিত যে, তোমরা দুনিয়ার অবৈধ কামনা-বাসনা থেকে দূরে থাকবে। সবচেয়ে বড় কথা এই যে, তোমরা স্ত্রীলোকদের থেকে খুবই সতর্ক থাকবে। কেননা বানী ইসরাঈলের উপর প্রথম যে ফিত্না এসেছিল তা ছিল এই স্ত্রীলোকদেরই ফিত্না।”

একবার আউফ ইবনে মালিক (রাঃ) আবু বকর (রাঃ)-এর কাছে নিজের স্বপ্নের কথা বর্ণনা করেন যে, যেন আকাশ থেকে একটি রঞ্জু লটকে আছে। রাসূলুল্লাহ (সঃ) রঙ্কুটি টানলেন। আবার ওটা আকাশের সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়ে গেল। তখন আবু বকর (রাঃ) ওটা টানলেন। তারপর জনগণ মিম্বরের চার দিকে ওটাকে মাপতে লাগলেন। উমার (রাঃ)-এর মাপে ওটা মিম্বর থেকে তিন হাত লম্বা হলো। সেখানে উমার (রাঃ) বিদ্যমান ছিলেন। তিনি এই স্বপ্নের কথা শুনে বললেনঃ “রেখে দাও তোমার স্বপ্ন। এর সাথে আমাদের কি সম্পর্ক? কোথাকার কি স্বপ্ন!” কিন্তু যখন উমার (রাঃ) খলীফা নির্বাচিত হলেন তখন আউফ (রাঃ)-কে ডেকে বললেনঃ “হে আউফ (রাঃ)! আপনার স্বপ্নের বৃত্তান্ত আমাকে শুনিয়ে দিন।” তখন আউফ (রাঃ) বললেনঃ “এখন স্বপ্ন শ্রবণের কি প্রয়োজন পড়েছে? আপনি তো ঐ সময় আমাকে ধমক দিয়েছিলেন। তার এই কথা শুনে উমার (রাঃ) তাঁকে বললেনঃ “আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন! আমি এটা কখনো চাচ্ছিলাম না যে, আপনি রাসূল (সঃ)-এর খলীফা নফসে সিদ্দীক (রাঃ)-এর মৃত্যুর সংবাদ শোনাবেন।” অতঃপর আউফ (রাঃ) তাঁর স্বপ্নের বর্ণনা দিলেন। যখন তিনি এই পর্যন্ত পৌছলেন যে, জনগণ ওটাকে মিম্বর পর্যন্ত তিন তিন হাত মাপলেন, তখন উমার (রাঃ) বলে উঠলেনঃ “এই তিনের মধ্যে একজন ছিলেন খলীফা অর্থাৎ আবু বকর (রাঃ)। দ্বিতীয় হচ্ছে ঐ ব্যক্তি যিনি আল্লাহর ব্যাপারে কারো তিরস্কার ও অসন্তুষ্টির কোনই পরওয়া করেন না। আর তৃতীয় হাতের উপর সমাপ্তির উদ্দেশ্য হচ্ছে এই যে, তিনি শহীদ হবেন।” উমার (রাঃ) বলেন, আল্লাহ পাক বলেছেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “অতঃপর আমি তাদের স্থলে তোমাদেরকে তাদের পর ভূ-পৃষ্ঠে আবাদ করলাম, আমি দেখতে চাই যে, তোমরা কিরূপ কাজ কর।” সুতরাং হে উমার (রাঃ)! তুমি এখন খলীফা নির্বাচিত হয়েছে। কাজেই তুমি কাজ করার সময় চিন্তা করো যে, তুমি কি কাজ করছে। উমার (রাঃ) যে তিরস্কারকারীর তিরস্কারকে ভয় না করার কথা বললেন ওটা ছিল আল্লাহর আহকামের ব্যাপারে। আর (আরবী) শব্দ দ্বারা তার উদ্দেশ্য ছিল এই যে, তিনি শহীদ হবেন! আর ওটা ঐ সময় হবে যখন সমস্ত লোক তার অনুগত হয়ে যাবে।

তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-

১৩-১৪ নং আয়াতের তাফসীর:

পূর্ববর্তী আয়াতদ্বয়ে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর দয়া ও মানুষের মন্দ অভ্যাসের বর্ণনা দেয়ার পর উক্ত আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা মানুষদেরকে সতর্ক করছেন যে, পূর্ববর্তী লোকদের অত্যাচারের কারণে তাদেরকে যেমন ধ্বংস করে দিয়েছি, তাদের কাছে সত্যসহ নাবী-রাসূলগণ আসার পরও যখন তারা তাদের অনুসরণ করেনি অথচ তারা ছিল তোমাদের থেকে সর্বদিক দিয়ে শক্তিশালী। অনুরূপভাবে তোমাদেরকেও ধ্বংস করে দেব, যদি তোমরা সৎ পথের অনুসরণ না কর, অথচ তোমরা তাদের থেকে সর্বদিক দিয়ে দুর্বল। কেননা, অপরাধিদের শাস্তি মূলত এমনই হয়ে থাকে। সুতরাং তোমরা উত্তম আমল কর। কারণ, তোমরা কিরূপ কর্ম কর তা দেখার জন্যই তাদের পরে তোমাদেরকে তাদের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। কাজেই ভাল কর্ম ব্যতীত মুক্তি পাওয়া যাবে না। অন্যথায় তাদের মতই অবস্থা হবে।

আয়াত হতে শিক্ষনীয় বিষয়:

১. অত্যাচার বা জুলুম করা হতে বিরত থাকতে হবে।
২. নাবী-রাসূলগণের নিয়ে আসা রিসালাতকে সত্য বলে জেনে তার ওপর আমল করতে হবে।
৩. নাবী-রাসূলগণকে না মানলে আখিরাতে নাজাত পাওয়া যাবে না।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান বলেছেন:-

* এটা মক্কার কাফেরদের জন্য সতর্কবাণী যে, পূর্ব জাতির ন্যায় তোমরাও ধ্বংস হতে পার।

خلائف, خليفةএর বহুবচন।* যার অর্থ হল, পূর্ব জাতির প্রতিনিধি। অথবা এক অপরের প্রতিনিধি বা স্থলাভিষিক্ত।

তাফসীরে আবুবকর জাকারিয়া বলেছেন:-
* কেউ যেন আল্লাহ্‌ তা’আলার অবকাশ দানের কারণে এমন ধারণা করে না বসে যে, পৃথিবীতে আযাব আসতেই পারে না। বিগত জাতিসমূহের ইতিহাস এবং তাদের ঔদ্ধত্য ও কৃতঘ্নতার সাক্ষীস্বরূপ বিভিন্ন রকম আযাব এ পৃথিবীতেই এসে গেছে। এটা হচ্ছে জাতিসমূহের ব্যাপারে আল্লাহর নীতি [সা’দী] আল্লাহ্ তাআলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ দোআ কবুল করে নিয়েছেন যে, কোন সাধারণ ব্যাপক আযাব এ উম্মতের উপর আসবে না। ফলে আল্লাহ তা’আলার এহেন করুণা, অনুগ্রহ এসব লোককে এমন নির্ভয় করে দিয়েছে যে, তারা একান্ত দুঃসাহসের সাথে আল্লাহর আযাবকে আমন্ত্রণ জানাতে এবং তার দাবী করতে তৈরী হয়ে যায়। কিন্তু মনে রাখা প্রয়োজন যে, আল্লাহ তা’আলার আযাব সম্পর্কে এ নিশ্চিন্ততা কোন অবস্থাতেই তাদের জন্য সমীচীন ও কল্যাণকর নয়। কারণ, গোটা উম্মত এবং সমগ্র বিশ্বের উপর ব্যাপক আযাব না আসলেও বিশেষ বিশেষ ব্যক্তি বা সম্পপ্রদায়ের উপর আযাব নেমে আসা অসম্ভব নয়।
* অতঃপর পূর্ববর্তী জাতি-সম্প্রদায়কে ধ্বংস করার পর আমি তোমাদেরকে তাদের স্থলাভিষিক্ত বানিয়েছি। এই মর্যাদা ও সম্মান দানের পিছনে আসল উদ্দেশ্য হলো তোমাদের পরীক্ষা নেয়া। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “দুনিয়া হলো সুফলা সুমিষ্ট জিনিস, আর আল্লাহ্ তোমাদেরকে তাতে প্রতিনিধিত্ব করবেন। এতে করে তিনি দেখতে চান তোমাদের আমল কেমন? সুতরাং তোমরা দুনিয়ার ব্যাপারে তাকওয়া অবলম্বন কর এবং মহিলাদের ব্যাপারেও তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর। কেননা বনী ইসরাঈলদের প্রথম পরীক্ষা ছিল মহিলাদের দ্বারা”। [মুসলিমঃ ২৭৪২]

English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura:- Yunus
Sura: 10
Verses :- 13-14
وَلَقَدْ أَهْلَكْنَا الْقُرُونَ مِن قَبْلِكُمْ
The Admonition held in the Destruction of the Previous Generations .

The Admonition held in the Destruction of the Previous Generations

Allah tells;

وَلَقَدْ أَهْلَكْنَا الْقُرُونَ مِن قَبْلِكُمْ لَمَّا ظَلَمُواْ وَجَاءتْهُمْ رُسُلُهُم بِالْبَيِّنَاتِ وَمَا كَانُواْ لِيُوْمِنُواْ كَذَلِكَ نَجْزِي الْقَوْمَ الْمُجْرِمِينَ

ثُمَّ جَعَلْنَاكُمْ خَلَيِفَ فِي الَارْضِ مِن بَعْدِهِم لِنَنظُرَ كَيْفَ تَعْمَلُونَ

And indeed, We destroyed generations before you when they did wrong, while their Messengers came to them with clear proofs, but they were not such as to believe! Thus do We requite the people who are criminals.

Then We made you successors after them, generations after generations in the land, that We might see how you would work.

Allah tells us about what happened to past generations when they belied the Messengers and the clear signs and proofs the latter brought to them. Allah then made this nation successor after them. He sent to them a Messenger to test their obedience to Him and following His Messenger.

Muslim recorded that Abu Nadrah reported from Abu Sa`id that he said:

“Allah’s Messenger said:

إِنَّ الدُّنْيَا حُلْوَةٌ خَضِرَةٌ وَإِنَّ اللهَ مُسْتَخْلِفُكُمْ فِيهَا فَنَاظِرٌ كَيْفَ تَعْمَلُونَ فَاتَّقُوا الدُّنْيَا وَاتَّقُوا النِّسَاءَ فَإِنَّ أَوَّلَ فِتْنَةِ بِنَي إِسْرَايِيلَ كَانَتْ فِي النِّسَاء

The world is indeed sweet and green; and verily Allah is going to install you generations after generations in it in order to see how you act. So safeguard yourselves against the world and avoid (the trial caused by) women. For the first trial of the Children of Israel was due to women.”

Ibn Jarir reported from Abdur-Rahman from Ibn Abi Layla that;

Awf bin Malik said to Abu Bakr:”In a dream, I saw a rope hanging from the sky and Allah’s Messenger was being raised. The rope was suspended again and Abu Bakr was raised. Then people were given different measurements around the Minbar, and Umar was favored with three forearm measurements.”

Umar said:”Keep your dream away from us, we have no need for it.”

When Umar succeeded, he called for Awf and said to him, “Tell me about your dream”

Awf said:”Do you need to hear about my dream now! Did you not scold me before!”

He then said, “Woe unto you! I hated for you to announce it to the successor of Allah’s Messenger himself.”

So Awf related his dream until he got to the three forearms, he said:”One that he was Khalifah, second he did not — for the sake of Allah — fear the blame of blamers, and third he was a martyr.”

Allah said:

ثُمَّ جَعَلْنَاكُمْ خَلَيِفَ فِي الَارْضِ مِن بَعْدِهِم لِنَنظُرَ كَيْفَ تَعْمَلُونَ

Then We made you successors after them, generations after generations in the land, that We might see how you would work.

Then he said:”Son of the mother of Umar, you have been appointed as Khalifah, so look at what you will do! About not fearing the blame of blamers, that is Allah’s will.

About becoming a martyr, how can Umar reach that when the Muslims are in support of him!

Leave a Reply