أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book# 684)
[ وَمَا تُغْنِي الايَاتُ وَالنُّذُرُ عَن قَوْمٍ لاَّ يُوْمِنُونَ
আর যারা ঈমান আনে না, নিদর্শনাবলী ও ভীতি প্রদর্শন এমন সম্প্রদায়ের কোন কাজে আসে না।
But neither Ayat nor warners benefit those who do not believe.]
www.motaher21.net
قُلِ انۡظُرُوۡا مَاذَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ وَ مَا تُغۡنِی الۡاٰیٰتُ وَ النُّذُرُ عَنۡ قَوۡمٍ لَّا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۱۰۱﴾
তুমি বলে দাও, ‘আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে তোমরা তার প্রতি লক্ষ্য কর। আর নিদর্শনাবলী ও সতর্ককারী (নবী) তাদের উপকারে আসে না, যারা বিশ্বাস করে না।’
Say, “Observe what is in the heavens and earth.” But of no avail will be signs or warners to a people who do not believe.
فَہَلۡ یَنۡتَظِرُوۡنَ اِلَّا مِثۡلَ اَیَّامِ الَّذِیۡنَ خَلَوۡا مِنۡ قَبۡلِہِمۡ ؕ قُلۡ فَانۡتَظِرُوۡۤا اِنِّیۡ مَعَکُمۡ مِّنَ الۡمُنۡتَظِرِیۡنَ ﴿۱۰۲﴾
অতএব তারা শুধু ঐ লোকদের অনুরূপ ঘটনাবলীর প্রতীক্ষা করছে, যারা তাদের পূর্বে গত হয়ে গেছে। তুমি বলে দাও, ‘তাহলে তোমরা (ওর) প্রতীক্ষায় থাক, আমিও তোমাদের সাথে প্রতীক্ষারতদের অন্তর্ভুক্ত রইলাম।’
So do they wait except for like [what occurred in] the days of those who passed on before them? Say, “Then wait; indeed, I am with you among those who wait.”
ثُمَّ نُنَجِّیۡ رُسُلَنَا وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا کَذٰلِکَ ۚ حَقًّا عَلَیۡنَا نُنۡجِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۱۰۳﴾٪
অতঃপর আমি স্বীয় রসূলদেরকে উদ্ধার করি এবং যারা বিশ্বাস করেছে তাদেরকেও, অনুরূপ বিশ্বাসীদেরকেও উদ্ধার করা আমার দায়িত্ব।
Then We will save our messengers and those who have believed. Thus, it is an obligation upon Us that We save the believers
সুরা: ইউনুস
সুরা:১০
১০১-১০৩ নং আয়াত:-
وَمَا تُغْنِي الايَاتُ وَالنُّذُرُ عَن قَوْمٍ لاَّ يُوْمِنُونَ
আর যারা ঈমান আনে না, নিদর্শনাবলী ও ভীতি প্রদর্শন এমন সম্প্রদায়ের কোন কাজে আসে না।
But neither Ayat nor warners benefit those who do not believe.
১০১-১০৩ নং আয়াতের তাফসীর:
তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
এ আয়াতে আল্লাহ তা’আলা স্বীয় বন্দাদেরকে অন্তদৃষ্টি প্রসারিত করার উপদেশ দিতে গিয়ে বলেন- সারা বিশ্বে আমার যেসব নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে, যেমন আকাশের তারকারাজি, নক্ষত্র, সূর্য, চন্দ্র, রাত, দিন ইত্যাদি, এগুলোর প্রতি তোমরা তোমাদের অন্তর্দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দেখো যে, কিভাবে রাত্রির মধ্যে দিবসকে এবং দিবসের মধ্যে রাত্রিকে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হচ্ছে! কখনো দিন বড় হচ্ছে, আবার কখনো রাত বড় হচ্ছে। আর আকাশের উচ্চতা ও প্রশস্ততা, তারকারাজি দ্বারা তাকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করা, আকাশ হতে বৃষ্টি বর্ষণ, যমীন শুষ্ক হয়ে যাওয়ার পর পুনরায় তাকে সঞ্জীবিত ও সবুজ-শ্যামল করা, উদ্ভিদ ও বৃক্ষরাজিতে ফল, ফুল ও পাঁপড়ি সৃষ্টি করা, বিভিন্ন প্রকারের তরুলতা উৎপন্ন করা, বিভিন্ন প্রকারের জীব-জন্তু সৃষ্টি করা, এগুলোর আকৃতি, রং, উপকারিতা ও অপকারিতা পৃথক হওয়া, পাহাড়, মরুভূমি, বন-জঙ্গল, বাগবাগিচা, আবাদী ও পতিত ভূমি, সমুদ্র, তার তলদেশের বিস্ময়কর বস্তুরাজি, তরঙ্গমালা, জোয়ার-ভাটা, এতদসত্ত্বেও ভ্রমণকারীদের ওর উপর দিয়ে নৌকা, জাহাজ ইত্যাদি যোগে ভ্রমণ করা, এ সবগুলো হচ্ছে মহাশক্তিশালী আল্লাহ তা’আলার নিদর্শনসমূহ, যিনি ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই। কিন্তু বড়ই পরিতাপের বিষয় এই যে, এসব নিদর্শন কাফিরদের চিন্তা ও গবেষণার কোনই কারণ হচ্ছে না। আল্লাহর দলীল সাব্যস্ত হয়ে গেছে, এরা ঈমান আনছে না এবং আনবেও না। এ লোকগুলো তো ঐ শাস্তির দিনগুলোরও অপেক্ষা করছে, যার সম্মুখীন হয়েছিল তাদের পূর্ববর্তী কওমগুলো। আল্লাহ পাক বলেনঃ হে নবী (সঃ)! তাদেরকে বলে দাও- তোমরা সময়ের জন্যে অপেক্ষা কর। আমিও তোমাদের সাথে অপেক্ষা। করছি। অবশেষে যখন অপেক্ষার সময় শেষ হয়ে শাস্তি এসেই পড়বে তখন আমি রাসূলদেরকে এবং তাদের উম্মতদেরকে বাঁচিয়ে নিব। আর যারা রাসূলদেরকে অস্বীকার করেছিল তাদেরকে ধ্বংস করে দিব। মুমিনদেরকে রক্ষা করার যিম্মা মহান আল্লাহ গ্রহণ করেছেন, যেমন তিনি সকর্মশীলদের উপর করুণা বর্ষণ নিজের যিম্মায় নিয়েছেন। সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, আল্লাহর কিতাব লাওহে মাহফুজে, যা আরশের উপর রয়েছে, তাতে লিখিত আছেঃ “আমার রহমত আমার গযবের উপর জয়যুক্ত।”
তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-
১০১-১০৩ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা বান্দাদেরকে চিন্তার দৃষ্টি প্রসারিত করার নির্দেশনা দিয়ে বলেন, সারা বিশ্বে আমার যেসব নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে, যেমন আকাশের তারকারাজি, নক্ষত্র, সূর্য, চন্দ্র, রাত, দিন ইত্যাদি এগুলো তোমরা চিন্তার দৃষ্টি দিয়ে লক্ষ্য করে দেখ যে, কিভাবে রাতকে দিনের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হচ্ছে। কখনো দিন বড় হচ্ছে আবার কখনো রাত বড় হচ্ছে, আকাশকে তারকারাজি দ্বারা সৌন্দর্যমণ্ডিত করা, আকাশ হতে বৃষ্টিবর্ষণ, জমিন হতে বিভিন্ন প্রকার তরুলতা উৎপন্ন এ সবগুলো মহাশক্তিশালী আল্লাহ তা‘আলার নিদর্শন, যা প্রমাণ করে তিনি ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, কিন্তু বড়ই পরিতাপের বিষয় যে, এসব নিদর্শন ও ভয়-ভীতি কাফিরদের কোনই উপকারে আসে না। তারা একটু চিন্তা করে দেখে না যে, আল্লাহ তা‘আলা কেন এতসব নেয়ামত সৃষ্টি করেছেন, এসব নেয়ামত কেন তাদের জন্য নিয়োজিত করে দিয়েছেন? কিন্তু এসব নিদর্শন তাদের কোন উপকারে আসেনি। কারণ তাদের ওপর আল্লাহ তা‘আলার বাণী সাব্যস্ত হয়ে গেছে যে, তারা ঈমান আনবে না।
তবে কি তারা এই অপেক্ষায় আছে যে, তাদের সাথে সেই ঘটনা ঘটুক যা পূর্ববর্তীদের ওপর ঘটেছিল। অর্থাৎ যেমন পূর্ববর্তী আয়াতে বলা হয়েছে যে, মু’মিনদেরকে রক্ষা এবং কাফিরদেরকে ধ্বংস করে দেব। যদি এমনটিই হয় তাহলে বলে দাও! তোমরা অপেক্ষা কর আমিও তোমাদের সাথে অপেক্ষা করছি।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলার সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে এবং তা থেকে উপদেশ গ্রহণ করতে হবে।
২. যে কাজের কারণে পূর্ববর্তী জাতিরা ধ্বংস হয়েছিল সে কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
ঈমান আনার জন্য তারা যে দাবীটিকে শর্ত হিসেবে পেশ করতো এটি হচ্ছে তার শেষ ও চূড়ান্ত জবাব। তাদের এ দাবীটি ছিল, আমাদের এমন কোন নিদর্শন দেখাও যার ফলে তোমার নবুওয়াতকে আমরা সত্য বলে বিশ্বাস করতে পারি। এর জবাবে বলা হচ্ছে যদি তোমাদের মধ্যে সত্যের আকাঙ্ক্ষা এবং সত্য গ্রহণ করার আগ্রহ থাকে তাহলে পৃথিবী ও আকাশের চারদিকে যে অসংখ্য নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে এগুলো মুহাম্মাদের বাণীর সত্যতার ব্যাপারে তোমাদের নিশ্চিন্ত করার জন্য শুধু যথেষ্ট নয় বরং তার চাইতেও বেশী। শুধুমাত্র চোখ খুলে সেগুলো দেখার প্রয়োজন। কিন্তু যদি এ চাহিদা ও আগ্রহই তোমাদের মধ্যে না থাকে, তাহলে অন্য কোন নিদর্শন, তা যতই অলৌকিক, অটল ও চিরন্তন রীতি ভঙ্গকারী এবং বিস্ময়কর ও অত্যাশ্চর্য হোক না কেন, তোমাদেরকে ঈমানের নিয়ামত দান করতে পারে না। প্রত্যেকটি মুজিযা দেখে তোমরা ফেরাউন ও তার কওমের সরদারদের মতই বলবে, এ তো যাদু ছাড়া আর কিছুই নয়। এ রোগে যারা আক্রান্ত হয় তাদের চোখ কেবলমাত্র তখনই খুলে থাকে যখন ক্রোধ, রোষাবহ্নি ও গযব তার বিভীষিকাময় কঠোরতা সহকারে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ঠিক এমনিভাবে ডুবে যাবার সময় ফেরাউনের চোখ খুলেছিল। কিন্তু একেবারে পাকড়াও করার সময় শেষমুহুর্তে যে তওবা করা হয় তার কোন দাম নেই।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান বলেছেন:-
# এ সকল মানুষ যাদের উপর কোন প্রমাণ ও ধমক প্রভাব বিস্তার করে না, ফলে তারা ঈমান আনে না। তারা কি এই অপেক্ষায় আছে যে, তাদের সাথে সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটুক; যা পূর্ববর্তী জাতিরা ভোগ করেছে। অর্থাৎ মু’মিনদেরকে রক্ষা করে বাকি সকলকে ধ্বংস করে দেওয়া হত। (যেমন পরবর্তী আয়াতে বর্ণিত হয়েছে।) যদি তারই অপেক্ষায় থাকে, তবে ঠিক আছে, তোমরাও অপেক্ষা কর, আমিও অপেক্ষা করছি।
তাফসীরে আবুবকর জাকারিয়া বলেছেন:-
# আল্লামা শানকীতী বলেন, আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর সমস্ত বান্দাদেরকে এ নির্দেশই দিচ্ছেন যে, তারা যেন আসমান ও যমীনের বৃহৎ সৃষ্টিগুলোর দিকে তাকায় যেগুলো তাঁর মহত্বতা, পূর্ণতা, ও তিনিই যে একমাত্র ইবাদতযোগ্য ইলাহ তার উপর প্রমাণবহ। অনুরূপ নির্দেশ তিনি অন্য আয়াতেও দিয়েছেন। যেমন, “অচিরেই আমরা তাদেরকে আমাদের নিদর্শনাবলী দেখাব, বিশ্ব জগতের প্রান্তসমূহে এবং তাদের নিজেদের মধ্যে; যাতে তাদের কাছে সুস্পষ্ট হয়ে উঠে যে, অবশ্যই এটা (কুরআন) সত্য। এটা কি আপনার রবের সম্পর্কে যথেষ্ট নয় যে, তিনি সব কিছুর উপর সাক্ষী?” [সূরা ফুসসিলাত: ৫৩] [আদওয়াউল বায়ান] বস্তুত: ঈমান আনার জন্য তারা যে দাবীটিকে শর্ত হিসেবে পেশ করতো এটি হচ্ছে তার শেষ ও চূড়ান্ত জবাব। তাদের এ দাবীটি ছিল, আমাদের এমন কোন নির্দশন দেখান যার ফলে আপনার নবুওয়াতকে আমরা সত্য বলে বিশ্বাস করতে পারি। এর জবাবে বলা হচ্ছে, যদি তোমাদের মধ্যে সত্যের আকাংখা এবং সত্য গ্রহণ করার আগ্রহ থাকে তাহলে যমীন ও আসমানের চারদিকে যে অসংখ্য নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে এগুলো মুহাম্মদের বাণীর সত্যতার ব্যাপারে তোমাদের নিশ্চিন্ত করার জন্য শুধু যথেষ্ট নয় বরং তার চাইতেও বেশী। শুধুমাত্র চোখ খুলে সেগুলো দেখার প্রয়োজন। কিন্তু যদি এ চাহিদা ও আগ্রহই তোমাদের মধ্যে না থাকে, তাহলে অন্য কোন নির্দশন, তা যতই অলৌকিক, অটল ও চিরন্তন রীতি ভংগকারী এবং বিস্ময়কর ও অত্যাশ্চর্য হোক না কেন, তোমাদেরকে ঈমানের নিয়ামত দান করতে পারে না।
# তারা তো কেবল তাদের পূর্বে যারা চলে গেছে, নূহ, হুদ ও সামূদের কাওমের উপর দিয়ে যে যুগান্তকারী ঘটনা ঘটে গেল সেটার মত ঘটনারই অপেক্ষা করছে। [তাবারী] পূর্ববর্তী উম্মতদের মধ্যে যারা নবী-রাসূলদের উপর মিথ্যারোপ করেছিল, তাদের উপর যেমন শাস্তি এসেছিল এরাও কি তদ্রুপ শাস্তিরই অপেক্ষা করছে? [ইবন কাসীর]
# এ দায়িত্ব আল্লাহ স্বয়ং তাঁর নিজের উপর নিয়ে নিয়েছেন। কেউ তাঁকে বাধ্য করার নেই। তিনি নিজ করুণাবশতঃ মুমিনদেরকে উদ্ধার করে থাকেন। অন্য আয়াতে আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ “তোমাদের প্রভূ তার নিজের উপর রহমতকে লিখে নিয়েছেন” [সূরা আল-আনআমঃ৫৪] অপর এক হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘আল্লাহ তাঁর কাছে আরশের উপর একটি কিতাবে লিখে রেখেছেন যে, আমার রহমত আমার ক্রোধের উপর প্রাধান্য পাবে’। [বুখারীঃ ৩১৯৪, মুসলিমঃ ২৭৫১]
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura:- Yunus
Sura: 10
Verses :- 101-103
وَمَا تُغْنِي الايَاتُ وَالنُّذُرُ عَن قَوْمٍ لاَّ يُوْمِنُونَ
But neither Ayat nor warners benefit those who do not believe.
The Command to reflect upon the Creation of the Heavens and the Earth
Allah says,
قُلِ انظُرُواْ مَاذَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالَارْضِ
Say:”Behold all that is in the heavens and the earth.”
Allah, the Exalted, guides His servants to reflect upon His blessings.
Allah, the Exalted, guides His servants to reflect upon His blessings. What Allah has created in the heavens and the earth is part of the clear signs for those who possess correct understanding. From that which is in the heavens are the luminous stars, the firmaments, the moving planetary bodies, the sun and the moon. This also includes the night and day, their alternating, and their merging so that one is long and the other is short. Then they alternate (through the year) so that the long one becomes short and the short one becomes long. Likewise, from the signs in the heavens is the rising of the sun, its vastness, its beauty and its adornment.
Also, whatever rain that Allah sends down from the heavens, thereby bringing the earth to life after its death, and causing various types of fruits, crops, flowers and plants to grow, is from its signs. Whatever Allah creates in the earth from the various species of beasts, with their differing colors and benefits (for man), are signs. The mountains, plains, deserts, civilizations, structures and barren lands of the earth are signs.
Then there are the wonders of the sea and its waves. Yet, it still has been made subservient and submissive to those who travel upon its surface. It carries their ships, allowing them to traverse upon it with ease. This is all under the control of the Most Able; there is no God worthy of worship except Him and there is no true Lord other than Him.
Concerning Allah’s statement,
وَمَا تُغْنِي الايَاتُ وَالنُّذُرُ عَن قَوْمٍ لاَّ يُوْمِنُونَ
But neither Ayat nor warners benefit those who do not believe.
This means, `What thing will benefit such disbelieving people besides the heavenly and earthly signs, and the Messengers with their miracles, proofs and evidences that clearly prove the truthfulness of their message.’
This is similar to Allah’s statement,
إِنَّ الَّذِينَ حَقَّتْ عَلَيْهِمْ كَلِمَتُ رَبِّكَ لَا يُوْمِنُونَ
Truly! Those against whom the Word of your Lord has been justified, will not believe. (10:96)
Concerning Allah’s statement.
فَهَلْ يَنتَظِرُونَ إِلاَّ مِثْلَ أَيَّامِ الَّذِينَ خَلَوْاْ مِن قَبْلِهِمْ
Then do they wait save for the likes of the days of men who passed away before them,
This means, `Are these who reject you Muhammad, waiting for the vengeance and torment like the Days of Allah, when He those who came before them of the previous nations that rejected their Messengers!’
قُلْ فَانتَظِرُواْ إِنِّي مَعَكُم مِّنَ الْمُنتَظِرِينَ ثُمَّ نُنَجِّي رُسُلَنَا وَالَّذِينَ امَنُواْ
Say:”Wait then, I am waiting with you among those who wait.” Then We save Our Messengers and those who believe!
This means, `Verily, We destroy those who reject the Messengers.’
كَذَلِكَ حَقًّا عَلَيْنَا نُنجِ الْمُوْمِنِينَ
Thus it is incumbent upon Us to save the believers.
This means that this is a right that Allah, the Exalted, has obligated upon His Noble Self.
This is similar to His statement,
كَتَبَ رَبُّكُمْ عَلَى نَفْسِهِ الرَّحْمَةَ
Your Lord has written (prescribed) mercy for Himself. (6:54).