أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book# 696)
[ اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ…
নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে,
Indeed, they who have believed and done righteous deeds…]
www.motaher21.net
اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَ اَخۡبَتُوۡۤا اِلٰی رَبِّہِمۡ ۙ اُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ الۡجَنَّۃِ ۚ ہُمۡ فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ ﴿۲۳﴾
নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, এবং তাদের রবের প্রতি বিনয়াবনত হয়েছে, তারাই জান্নাতের অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে।
Indeed, they who have believed and done righteous deeds and humbled themselves to their Lord – those are the companions of Paradise; they will abide eternally therein.
مَثَلُ الۡفَرِیۡقَیۡنِ کَالۡاَعۡمٰی وَ الۡاَصَمِّ وَ الۡبَصِیۡرِ وَ السَّمِیۡعِ ؕ ہَلۡ یَسۡتَوِیٰنِ مَثَلًا ؕ اَفَلَا تَذَکَّرُوۡنَ ﴿٪۲۴﴾
উভয় দলের দৃষ্টান্ত এরূপ; যেমন এক ব্যক্তি অন্ধ ও বধির এবং আর এক ব্যক্তি দৃষ্টি ও শ্রবণশক্তিসম্পন্ন।[১] এই দু’ ব্যক্তি কি তুলনায় সমান হবে? (কখনও নয়।) তবুও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না?
The example of the two parties is like the blind and deaf, and the seeing and hearing. Are they equal in comparison? Then, will you not remember?
সুরা: হুদ।
সুরা:১১
২৩-২৪ নং আয়াত:-
اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ…
নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে,
Indeed, they who have believed and done righteous deeds.
২৩-২৪ নং আয়াতের তাপসীর।
তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-
(اِنَّ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ….)
পূর্ববর্তী আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা কাফির-মুশরিকদের অবস্থা বর্ণনা করার পর এখানে তিনি সৎ ও ভাগ্যবান লোকদের অবস্থা বর্ণনা করছেন যে, তারা হচ্ছে ঐ সমস্ত লোক যারা ঈমান এনেছে ও সৎ কর্ম করেছে। সুতরাং তাদের অন্তরগুলোও মু’মিন হয়েছে এবং অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলোও। কথা ও কাজের দিক দিয়ে আনুগত্য বজায় রাখা ও নিকৃষ্ট কাজগুলোকে পরিহার করার মাধ্যমে সৎ কার্যাবলী সম্পাদন করেছে। এই সমস্ত কাজের বিনিময়ে এরাই ঐ জান্নাতের অধিকারী যার নিচ দিয়ে ঝর্ণা প্রবাহিত। সেখানে তারা থাকবে চির সুখের মধ্যে, কোন দিন তারা দুঃখ কষ্ট ভোগ করবে না।
(مَثَلُ الْفَرِیْقَیْنِ….)
পূর্বের আয়াতগুলোতে আল্লাহ তা‘আলা ভাল ও মন্দের অবস্থা বর্ণনা করার পর এখানে তাদের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করছেন। বলা হচ্ছে একজন দৃষ্টিহীন ও বধির আর অন্যজন চক্ষুষ্মান ও শ্রবণশক্তিসম্পন্ন। কাফির ব্যক্তি ইহকালে সত্যের সৌন্দর্য দর্শন করা থেকে বঞ্চিত এবং আখিরাতে পরিত্রাণের পথ লাভে বঞ্চিত। অনুরূপ সে সত্যের দলীল শোনা থেকে বঞ্চিত থাকে, ফলে এমন কথাবার্তা থেকে বঞ্চিত থেকে যায় যা তার জন্য কল্যাণকর হত। এর বিপরীতে একজন মু’মিন যে বুঝার ক্ষমতা রাখে, সত্য দর্শন করে ও গ্রহণ করে এবং হক ও বাতিলের মাঝে পার্থক্য নিরূপণ করতে সক্ষম হয়। সুতরাং সে সত্য ও ভালোর অনুসরণ করে। দলীল-প্রমাণ শ্রবণ ও দর্শন করে তার দ্বারা মনের সন্দেহ দূর করে এবং বাতিল থেকে দূরে থাকে। এরা উভয়ে কি সমান হতে পারে। কক্ষনো নয়।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(لَا يَسْتَوِيْٓ أَصْحٰبُ النَّارِ وَأَصْحٰبُ الْجَنَّةِ ط أَصْحٰبُ الْجَنَّةِ هُمُ الْفَا۬ئِزُوْنَ)
“জাহান্নামের অধিবাসী এবং জান্নাতের অধিবাসী সমান নয়। জান্নাতবাসীরাই সফলকাম।” (সূরা হাশর ৫৯:২০)
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কাফির ও মু’মিন ব্যক্তির মধ্যে পার্থক্য জানতে পারলাম যে, তারা মর্যাদায় সমান হতে পারে না।
তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
২৩-২৪ নং আয়াতের তাফসীর
দুষ্ট ও হতভাগ্যদের অবস্থা বর্ণনা করার পর আল্লাহ তা’আলা এখানে সৎ ভাগ্যবানদের অবস্থার বর্ণনা দিচ্ছেন। তারা হচ্ছে ঐ সব লোক যারা ঈমান এনেছে ও ভাল কাজ করেছে। সুতরাং তাদের অন্তরগুলিও মু’মিন হয়েছে এবং অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলিও কথা ও কাজের দিক দিয়ে আনুগত্য বজায় রাখা ও নিকৃষ্ট কাজগুলিকে পরিহার করার মাধ্যমে সৎ কার্যাবলী সম্পাদন করেছে। এরই মাধ্যমে তারা এমন বেহেশতের উত্তরাধিকারী হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে উঁচু উঁচু প্রকোষ্ঠ, সারি সারি সাজানো আসনসমূহ, ঝুঁকে পড়া ফলসমূহ, সুসজ্জিত গালিচাসমূহ, উত্তম স্বভাব সম্পন্ন রূপসীগণ, বিভিন্ন প্রকারের সুস্বাদু ফল, মনের চাহিদা মতো আহাৰ্যবস্তু, সুপেয় পানীয় এবং সর্বোপরি যমীন ও আসমানের সৃষ্টিকর্তার দর্শন। এসব নিয়ামতরাশি তারা চিরদিনের জন্যে ভোগ করবে। সেখানে তাদের মৃত্যু হবে না, বার্ধক্য আসবেনা, রোগ হবে না, পায়খানা-প্রস্রাবের প্রয়োজন হবে না, মুখে থুথু উঠবে না এবং নাকে শ্লেষ্মও দেখা দেবে না। তাদের দেহ হতে যে ঘাম বের হবে তা হবে মেশকে আম্বারের মত সুগন্ধময়।
পূর্বে বর্ণিত হতভাগ্য কাফির এবং এখানে বর্ণিত খোদাভীরু মু’মিনের দৃষ্টান্ত ঠিক এমন দু’ব্যক্তির মত, যাদের একজন অন্ধ ও বধির এবং অপরজন দেখতে পায় এবং শুনতেও পায়। সুতরাং কাফির দুনিয়ায় সত্যকে দেখা হতে অন্ধ এবং আখেরাতেও সে কল্যাণের পথ দেখতে পাবেনা। দুনিয়ায় সে সত্যের দলিল প্রমাণাদি শ্রবণ করা থেকে বধির, উপকার দানকারী কথা তারা শুনেই না। তাদের মধ্যে কল্যাণের কিছু জানলে অবশ্যই আল্লাহ তাদেরকে শুনিয়ে দিতেন। পক্ষান্তরে মু’মিন হয় তীক্ষ্ণবুদ্ধি সম্পন্ন, জ্ঞানী, আলিম ও বুদ্ধিমান। সে ভাল মন্দ বুঝে এবং এ দু’য়ের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে। সুতরাং সে ভাল ও সত্যকে গ্রহণ করে এবং মন্দ ও বাতিল পরিত্যাগ করে। সে দলিল প্রমাণাদি শ্রবণ করে এবং এর মধ্যে ও সন্দেহের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে। সুতরাং সে বাতিল থেকে বেঁচে থাকে এবং সত্যকে মান্য করে। কাজেই ঐ ব্যক্তি ও এই ব্যক্তি কি সমান হতে পারে? বড়ই আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে, এর পরেও তোমরা বিপরীতধর্মী। এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না। আল্লাহ পাক বলেনঃ (আরবি)
অর্থাৎ “দুযখের অধিবাসী ও বেহেশতের অধিবাসীরা পরস্পর সমান নয়, যারা বেহেশতের অধিবাসী তারাই সফলকাম।” (৫৯: ২০)
আর এক জায়গায় মহান আল্লাহ বলেনঃ “অন্ধ ও চক্ষুষ্মন সমান নয়। অন্ধকার ও আলোকও (সমান) নয়। আর ছায়া ও সূর্য কিরণও (সমান) নয়। (অর্থাৎ কাফির ও মু’মিন সমান নয়)। জীবিত এবং মৃত ব্যক্তি সমান হতে পারে না। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা শুনিয়ে থাকেন, আর যেহেতু কাফিররা মৃত বলে সাব্যস্ত হলো, কাজেই হে মুহাম্মদ (সঃ)! তুমি কবরে সমাহিত লোকদেরকে শুনাতে সক্ষম নও। (এরা যদি না মানে, তবে তুমি চিন্তিত হবে না) তুমি তো শুধু ভয় প্রদর্শনকারী। আমিই তোমাকে সত্য (ধর্ম) সহ সুসংবাদ দাতা ও ভয় প্রদর্শকরূপে প্রেরণ করেছি; আর কোন সম্প্রদায় এমন ছিল না যে, তাদের মধ্যে কোন ভয় প্রদর্শনকারী (নবী) অতীত হয় নাই।”
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
# এ দু’জনের কাজের ধারা এবং সবশেষে এদের পরিণাম কি এক রকম হতে পারে? যে ব্যক্তি নিজেই পথ দেখে না এবং এমন কোন লোকের কথাও শোনে না, যে তাকে পথের কথা বলছে, সে নিশ্চয়ই কোথাও ধাক্কা খাবে এবং মারাত্মক ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হবে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি নিজে পথ দেখতে পাচ্ছে এবং কোন পথের সন্ধান জানা লোকের পথনির্দেশনারও সাহায্য গ্রহণ করেছে সে নিশ্চয়ই নিরাপদে নিজের মনযিলে পৌঁছে যাবে। উল্লেখিত দু’জন লোকের মধ্যেও এ একই পর্যায়ের পার্থক্য রয়েছে। তাদের একজন স্বচক্ষেও বিশ্ব-জগতে মহা সত্যের নিদর্শনসমূহ প্রত্যক্ষ করে এবং আল্লাহর পাঠানো পথপ্রদর্শকদের কথাও শোনে আর অন্যজন আল্লাহর নিদর্শনসমূহ দেখার জন্য নিজের চোখ খোলা রাখে না এবং নবীদের কথাও শোনে না। জীবন ক্ষেত্রে এদের উভয়ের কার্যধারা এক রকম হবে কেমন করে? তারপর তাদের পরিণামের মধ্যে পার্থক্যই বা হবে না কেন?
তাফসীরে আহসানুল বায়ান বলেছেন:-
পূর্বের আয়াতে মু’মিন ও কাফের এবং সৌভাগ্যবান ও দুর্ভাগ্যবান লোকদের কথা আলোচিত হয়েছে। এই আয়াতে উভয়ের উদাহরণ বর্ণনা করে উভয়ের আসল রূপ আরো ভালভাবে পরিষ্ফুটিত করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, একজন দৃষ্টিহীন ও বধির। আর অন্যজন চক্ষুষ্মান ও শ্রবণশক্তিসম্পন্ন। কাফের ইহকালে সত্যের সৌন্দর্য দর্শন করা থেকে বঞ্চিত এবং পরকালে পরিত্রাণের পথ লাভে বঞ্চিত। অনুরূপ কাফের সত্যের দলীল শোনা থেকে বঞ্চিত থাকে, ফলে এমন কথাবার্তা থেকে তারা বঞ্চিত থেকে যায়, যা তার জন্য কল্যাণকর। এর বিপরীত একজন মু’মিন বুঝার ক্ষমতা রাখে, সত্য দর্শন ও গ্রহণ করে এবং হক ও বাতিলের মাঝে পার্থক্য করতে সক্ষম হয়। সুতরাং সে সত্য ও ভালোর অনুসরণ করে। দলীল-প্রমাণ শ্রবণ করে ও তার দ্বারা মনের সন্দেহ দূর করে এবং বাতিল থেকে দূরে থাকে। এরা উভয়ে কি সমান হতে পারে? অস্বীকৃতিসূচক জিজ্ঞাসা। অর্থাৎ, উভয়ে সমান হতে পারে না। যেমন অন্য স্থানে বলেছেন,(لا يَسْتَوِي أَصْحَابُ النَّارِ وَأَصْحَابُ الْجَنَّةِ أَصْحَابُ الْجَنَّةِ هُمُ الْفَائِزُون) অর্থাৎ, জাহান্নামের অধিবাসী এবং জান্নাতের অধিবাসী সমান নয়, জান্নাতবাসীরাই সফলকাম।” (সূরা হাশর ৫৯:২০) অন্য আর এক স্থানে এইভাবে বর্ণনা করা হয়েছে “অন্ধ ও চক্ষুষ্মান সমান নয়। অন্ধকার ও আলো, রৌদ্র ও ছায়া সমান নয়, জীবিত ও মৃত সমান নয়।” (সূরা ফাত্বির ৩৫:১৯-২০)
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura:- HUD.
Sura: 11
Verses :- 23-24
اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ…
Indeed, they who have believed and done righteous deeds..
Rewarding the People of Faith
Allah the Exalted says;
إِنَّ الَّذِينَ امَنُواْ وَعَمِلُواْ الصَّالِحَاتِ وَأَخْبَتُواْ إِلَى رَبِّهِمْ
أُوْلَـيِكَ أَصْحَابُ الجَنَّةِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
Verily, those who believe and do righteous good deeds, and humble themselves before their Lord, they will be the dwellers of Paradise to dwell therein forever.
When Allah, the Exalted, mentioned the condition of the wretched, He also commended the people of delight (the believers). They are those who believe and work righteous deeds. Thus, their hearts believed and their limbs worked righteous deeds, both in statements and actions. This includes their performance of deeds of obedience and their abandonment of evils. In this way they are the inheritors of Gardens (of Paradise),
which contain lofty rooms and seats arranged in rows.
Therein they will find bunches of fruit near to them, elevated couches, fair and beautiful wives, various types of fruit, desired kinds of food and delicious drinks.
They also will be allowed to see the Creator of the heavens and the earth and they will be in this state of pleasure forever.
They will not die, nor will they grow old.
They will not experience sickness, nor will they sleep.
They will not have excrement, nor will they spit or snot.
Their sweat will be the perfume of musk.
The Parable of the Believers and the Disbelievers
Then, Allah, the Exalted, makes a parable of the disbelievers and the believers.
He says.
مَثَلُ الْفَرِيقَيْنِ
The likeness of the two parties,
This refers to those disbelievers whom Allah first described as wretched, and then those believers whom He described with delightfulness.
كَالَاعْمَى وَالَاصَمِّ وَالْبَصِيرِ وَالسَّمِيعِ
The likeness of the two parties is as the blind and the deaf and the seer and the hearer.
The first group is like one who is blind and deaf, while the second group is like he who sees and hears.
Thus, the disbeliever is blind from the truth in this life and in the Hereafter. He is not guided to goodness, nor does he recognize it. He is deaf from hearing the proofs, thus he does not hear that which would benefit him.
As Allah says,
وَلَوْ عَلِمَ اللَّهُ فِيهِمْ خَيْرًا لَاسْمَعَهُمْ
Had Allah known of any good in them, He would indeed have made them listen. (8:23)
The believer is smart, bright and clever. He sees the truth and distinguishes between the truth and falsehood. Thus, he follows the good and abandons the evil. He hears and distinguishes between the proof and scepticism. Therefore, falsehood does not overcome him.
هَلْ يَسْتَوِيَانِ مَثَلً
Are they equal when compared!
ie are these two types of people alike!
أَفَلَ تَذَكَّرُونَ
Will you not then take heed!
This statement means, “Will you not consider, so that you may distinguish between these two categories of people.”
This is as Allah mentions in another verse,
لَا يَسْتَوِى أَصْحَـبُ النَّارِ وَأَصْحَـبُ الْجَنَّةِ أَصْحَـبُ الْجَنَّةِ هُمُ الْفَأيِزُونَ
Not equal are the dwellers of the Fire and the dwellers of the Paradise. It is the dwellers of Paradise that will be successful. (59:20)
Allah also says,
وَمَا يَسْتَوِى الاٌّعْمَى وَالْبَصِيرُ
وَلَا الظُّلُمَاتُ وَلَا النُّورُ
وَلَا الظِّلُّ وَلَا الْحَرُورُ
وَمَا يَسْتَوِى الاٌّحْيَأءُ وَلَا الاٌّمْوَاتُ إِنَّ اللَّهَ يُسْمِعُ مَن يَشَأءُ وَمَأ أَنتَ بِمُسْمِعٍ مَّن فِى الْقُبُورِ
إِنْ أَنتَ إِلاَّ نَذِيرٌ
إِنَّأ أَرْسَلْنَـكَ بِالْحَقِّ بَشِيراً وَنَذِيراً وَإِن مِّنْ أُمَّةٍ إِلاَّ خَلَ فِيهَا نَذِيرٌ
Not alike are the blind and the seeing. Nor are (alike) darkness and light. Nor are (alike) the shade and the sun’s heat. Nor are (alike) the living and the dead.
Verily, Allah makes whom He wills to hear, but you cannot make hear those who are in graves. You are only a warner.
Verily, We have sent you with the truth, a bearer of glad tidings and a warner. And there never was a nation but a warner had passed among them. (35:19-24).