(Book# 747) Sura: 13 Verses :- 30 [ قُلْ هُوَ رَبِّي لا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ তুমি বল, ‘তিনিই আমার প্রতিপালক, তিনি ছাড়া অন্য কোন (সত্য) উপাস্য নেই। Say:”He is my Lord! None has the right to be worshipped but He!”] www.motaher21.net

أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ

(Book# 747)
Sura: 13
Verses :- 30
[ قُلْ هُوَ رَبِّي لا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ
তুমি বল, ‘তিনিই আমার প্রতিপালক, তিনি ছাড়া অন্য কোন (সত্য) উপাস্য নেই।
Say:”He is my Lord! None has the right to be
worshipped but He!”]
www.motaher21.net
کَذٰلِکَ اَرۡسَلۡنٰکَ فِیۡۤ اُمَّۃٍ قَدۡ خَلَتۡ مِنۡ قَبۡلِہَاۤ اُمَمٌ لِّتَتۡلُوَا۠ عَلَیۡہِمُ الَّذِیۡۤ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلَیۡکَ وَ ہُمۡ یَکۡفُرُوۡنَ بِالرَّحۡمٰنِ ؕ قُلۡ ہُوَ رَبِّیۡ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ ۚ عَلَیۡہِ تَوَکَّلۡتُ وَ اِلَیۡہِ مَتَابِ ﴿۳۰﴾
এইভাবে আমি তোমাকে পাঠিয়েছি এমন এক জাতির প্রতি যার পূর্বে বহু জাতি গত হয়েছে; যাতে আমি তোমার প্রতি যা প্রত্যাদেশ করেছি তাদের নিকট তা আবৃত্তি কর। তারা পরম দয়াময়কে অস্বীকার করে। তুমি বল, ‘তিনিই আমার প্রতিপালক; তিনি ছাড়া অন্য কোন (সত্য) উপাস্য নেই। তাঁরই উপর আমি নির্ভর করি এবং আমার প্রত্যাবর্তন তাঁরই কাছে।’
Thus have We sent you to a community before which [other] communities have passed on so you might recite to them that which We revealed to you, while they disbelieve in the Most Merciful. Say, “He is my Lord; there is no deity except Him. Upon Him I rely, and to Him is my return.”

সুরা: রাদ
সুরা:১৩
৩০ নং আয়াত:-
قُلْ هُوَ رَبِّي لا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ
তুমি বল, ‘তিনিই আমার প্রতিপালক, তিনি ছাড়া অন্য কোন (সত্য) উপাস্য নেই।
Say:”He is my Lord! None has the right to be worshipped but He!”

৩০ নং আয়াতের তাফসীর:

তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-

উক্ত আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সান্ত্বনা দিয়ে বলছেন যে, তোমাকে যেমনভাবে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা হচ্ছে অনুরূপভাবে তোমার পূর্ববর্তী নবীদেরকেও মিথ্যা প্রতিপন্ন করা হয়েছিল। সুতরাং তুমি মন খারাপ কর না। তোমাকে যেরূপ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তাদেরকেও অনুরূপ তাদের উম্মতদেরকে আমার বিধান পাঠ করে শুনানোর ও তাদের সতর্ক করার দায়িত্ব দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা তা শুনেনি বরং মিথ্যা মনে করেছে। ফলে তাদেরকে শাস্তি পেয়ে বসেছে। অতএব তাদেরও তাদের পূর্ববর্তীদের শাস্তির কথা লক্ষ্য করা উচিৎ। তারা এ শাস্তি থেকে রেহাই পাবে না। আল্লাহ তা‘আলার বাণী:

(تَاللّٰهِ لَقَدْ أَرْسَلْنَآ إِلٰٓي أُمَمٍ مِّنْ قَبْلِكَ فَزَيَّنَ لَهُمُ الشَّيْطٰنُ أَعْمَالَهُمْ فَهُوَ وَلِيُّهُمُ الْيَوْمَ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ – ‏ وَمَآ أَنْزَلْنَا عَلَيْكَ الْكِتٰبَ إِلَّا لِتُبَيِّنَ لَهُمُ الَّذِي اخْتَلَفُوْا فِيْهِ لا وَهُدًى وَّرَحْمَةً لِّقَوْمٍ يُّؤْمِنُوْنَ)

“শপথ আল্লাহর! আমি তোমার পূর্বেও বহু জাতির নিকট রাসূল প্রেরণ করেছি; কিন্তু শয়তান ঐসব জাতির কার্যকলাপ তাদের দৃষ্টিতে শোভন করেছিল; সুতরাং সে-ই আজ তাদের অভিভাবক এবং তাদেরই জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আমি তো তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করেছি যারা এ বিষয়ে মতভেদ করে তাদেরকে সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেবার জন্য এবং মু’মিনদের জন্য পথনির্দেশ ও দয়াস্বরূপ।” (সূরা নাহল ১৬:৬৩-৬৪)

অতএব, তুমি মানুষকে এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করার দিকে দা‘ওয়াত দিয়ে যাও এবং তাদের কথার উপর ধৈর্য ধারণ কর, নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ তা‘আলাই তোমাকে সাহায্য করবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

(وَلَقَدْ كُذِّبَتْ رُسُلٌ مِّنْ قَبْلِكَ فَصَبَرُوْا عَلٰي مَا كُذِّبُوْا وَأُوْذُوْا حَتّٰي أَتٰهُمْ نَصْرُنَا ج وَلَا مُبَدِّلَ لِكَلِمٰتِ اللّٰهِ ج وَلَقَدْ جَا۬ءَكَ مِنْ نَّبَاْئِ الْمُرْسَلِيْنَ)

“মিথ্যা প্রতিপন্ন করা ও কষ্ট দেয়া সত্ত্বেও তারা ধৈর্য ধারণ করেছিল যে পর্যন্ত না আমার সাহায্য তাদের নিকট এসেছে। আল্লাহর আদেশ কেউ পরিবর্তন করতে পারে না, রাসূলগণের সম্বন্ধে কিছু সংবাদ তো তোমার নিকট এসেছেই।” (সূরা আনয়াম ৬:৩৪)

অত্র আয়াত থেকে তাদের এটা লক্ষ্য করা উচিৎ যে, কিভাবে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর অনুগত লোকদেরকে সাহায্য করেছিলেন এবং কিভাবে তাদেরকে জয়যুক্ত করেছিলেন এবং কিভাবে অস্বীকারকারীদেরকে শাস্তি প্রদান করেছিলেন।

আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

১. মানুষের তিরস্কারমূলক কথাবার্তার কারণে ইসলামের দিকে মানুষকে আহ্বান করা বন্ধ করা যাবে না। বরং দাওয়াতী কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
২. সর্বাবস্থায় ধৈর্য ধারণ ও আল্লাহ তা‘আলার ওপর ভরসা করতে হবে।

তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
আল্লাহ তাআ’লা স্বীয় নবীকে (সঃ) বলছেনঃ হে মুহাম্মদ! যেমন আমি তোমাকে এই উম্মতের নিকট পাঠিয়েছি যে, তুমি তাদেরকে আমার কালাম পাঠ করে শুনাবে, তেমনই তোমার পূর্বে অন্যান্য রাসূলদেরকেও আমি পূর্ববর্তী উম্মতদের নিকট প্রেরণ করেছিলাম। তারাও নিজ নিজ উম্মতের কাছে আমার পয়গাম পেীছিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু তারা তাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল। অনুরূপভাবে তোমাকেও মিথ্যা প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। সুতরাং তোমার মন খারাপ করা উচিত নয়। হাঁ, তবে এই মিথ্যা প্রতিপন্নকারীদের উচিত তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণামের প্রতি লক্ষ্য করা যে, কিভাবে আল্লাহ তাদেরকে তছনছ করে দিয়েছিলেন! আর তোমাকে অবিশ্বাস করা তো আমার কাছে তাদেরকে অবিশ্বাস করা অপেক্ষা বেশী অপছন্দনীয়। এখন তাদের উপর কিরূপ শাস্তি বর্ষিত হয় তা তারা দেখতেই পাবে। আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ (আরবি) (১৬: ৬৩) এবং আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবি)

অর্থাৎ “ (হে নবী, সঃ)! তোমার পূর্বে রাসূলদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা হয়েছিল, অতঃপর তারা ধৈর্য ধারণ করেছিল তাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা ও কষ্ট দেয়ার উপর, শেষ পর্যন্ত তাদের কাছে আমার সাহায্য এসে গিয়েছিল, আর (জেনে রেখোঁরেখো যে, আল্লাহর কথার কোন পরিবর্তন নেই এবং অবশ্যই তোমার কাছে রাসূলের খবর এসে গেছে।” (৬: ৩৪) ভাবার্থ হচ্ছেঃ তাদের এটা লক্ষ্য করা উচিত যে, কিভাবে আল্লাহ তাআ’লা তাঁর অনুগত লোকদেরকে সাহায্য করেছিলেন এবং কি ভাবে তাদেরকে জয়যুক্ত করেছিলেন।

আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ হে নবী (সঃ)! তোমার কওমের প্রতি লক্ষ্য কর যে, তারা রহমানকে (দয়াময় আল্লাহকে) অস্বীকার করছে। তারা আল্লাহর এই বিশেষণ ও নামকে মানছেই না।

হুদায়বিয়ার সন্ধিপত্র লিখবার সময় মুশরিকরা বাধা দিয়ে বলেঃ “আমরা (আরবি) লিখতে দিবো না। রহমান এবং রাহীম কি তা আমরা জানি না।” পূর্ণ হাদীসটি সহীহ বুখারীতে বিদ্যমান রয়েছে। কুরআন কারীমে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেনঃ (আরবি)

অর্থাৎ “তুমি তাদেরকে বলে দাওঃ তোমরা আল্লাহ বলে তাঁকে ডাকো অথবা রহমান বলে ডাকো, তিনি সমস্ত উত্তম নামের অধিকারী।” (১৭: ১১০)

হযরত আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “নিশ্চয় আল্লাহ তাআ’লার কাছে সবচেয়ে প্রিয় নাম হচ্ছে আবদুল্লাহ ও আবদুর রহমান।” (এ হাদীসটি সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে)

আল্লাহ পাক বলেনঃ হে নবী (সঃ)! তুমি তাদেরকে বলে দাওঃ তোমরা যে দয়াময় আল্লাহকে অস্বীকার করছো তিনিই আমার প্রতিপালক। তিনি ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই। তাঁরই উপর আমি নির্ভর করি। আমার প্রত্যাবর্তন তাঁরই দিকে। তিনি ছাড়া অন্য কেউ এর হকদার নয়।

English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura:- Ar-Ra’d
Sura: 13
Verses :- 30

قُلْ هُوَ رَبِّي لا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ

Say:”He is my Lord! None has the right to be worshipped but He!”
Our Prophet was sent to recite and call to Allah’s Revelation

Allah says,

كَذَلِكَ أَرْسَلْنَاكَ فِي أُمَّةٍ قَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِهَا أُمَمٌ

Thus have We sent you to a community before whom other communities have passed away,

Allah says, `Just as We sent you, O Muhammad, to your Ummah,

لِّتَتْلُوَ عَلَيْهِمُ الَّذِيَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ
in order that you might recite unto them what We have revealed to you,

so that you deliver to them Allah’s Message. Likewise, We sent others to earlier nations that disbelieved in Allah. The Messengers whom We sent before you, were also denied and rejected, so you have an example in what they faced. And since We sent Our torment and revenge on those people, then let these people fear what will strike them, for their denial of you is harsher than the denial that the previous Messengers faced,’

تَاللَّهِ لَقَدْ أَرْسَلْنَأ إِلَى أُمَمٍ مِّن قَبْلِكَ

By Allah, We indeed sent (Messengers) to the nations before you. (16-63)

Allah said in another Ayah,

وَلَقَدْ كُذِّبَتْ رُسُلٌ مِّن قَبْلِكَ فَصَبَرُواْ عَلَى مَا كُذِّبُواْ وَأُوذُواْ حَتَّى أَتَـهُمْ نَصْرُنَا وَلَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَـتِ اللَّهِ وَلَقدْ جَأءَكَ مِن نَّبَإِ الْمُرْسَلِينَ

Verily, many Messengers were denied before you, with patience they bore the denial and suffering until; till Our help reached them, and none can alter the Words (decree) of Allah. Surely, there has reached you the information (news) about the Messengers (before you). (6-34),

meaning, `How We gave them victory and granted the best end for them and their followers in this life and the Hereafter. ‘

Allah said next,

وَهُمْ يَكْفُرُونَ بِالرَّحْمَـنِ

while they disbelieve in the Most Gracious (Allah).

Allah says, `These people, that We sent you to, disbelieve in the Most Gracious and deny Him, because they dislike describing Allah by Ar-Rahman,Ar-Rahim (the Most Gracious, Most Merciful).’

This is why on the day of Al-Hudaybiyyah, as Al-Bukhari narrated, they refused to write, “In the Name of Allah, Ar-Rahman Ar-Rahim,” saying, “We do not know Ar-Rahman,Ar-Rahim!”

Qatadah narrated this words. Allah the Exalted said,

قُلِ ادْعُواْ اللَّهَ أَوِ ادْعُواْ الرَّحْمَـنَ أَيًّا مَّا تَدْعُواْ فَلَهُ الاٌّسْمَأءَ الْحُسْنَى

Say:”Invoke Allah or invoke the Most Gracious (Allah), by whatever name you invoke Him, for to Him belong the Best Names. (17:110)

In his Sahih, Imam Muslim recorded that Abdullah bin Umar said that the Messenger of Allah said,

إِنَّ أَحَبَّ الاَْسْمَاءِ إِلَى اللهِ تَعَالَى عَبْدُاللهِ وَعَبْدُ الرَّحْمَن

The most beloved names to Allah the Exalted are:

Abdullah and

Abdur-Rahman.

Allah said next,

قُلْ هُوَ رَبِّي لا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ

Say:”He is my Lord! None has the right to be worshipped but He!”

meaning:for I believe in Allah in Whom you disbelieve and affirm His Divinity and Lordship. He is my Lord, there is no deity worthy of worship except Him,

عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ

In Him is my trust,

in all of my affairs,

وَإِلَيْهِ مَتَابِ

and to Him I turn.

meaning:to Him I return and repent, for He alone is worthy of all this and none else besides Him.

Leave a Reply